"তুমি আমার থেকেও বেটার কাউকে ডিজার্ভ কর...
আমার থেকেও ভালো কেউ আসবে তোমার জীবনে...
আমাদের রিলেশনটা ঠিক যাচ্ছে না জানপাখি...
চল, ব্রেক-আপ করে ফেলি..."
আমার থেকেও ভালো কেউ আসবে তোমার জীবনে...
আমাদের রিলেশনটা ঠিক যাচ্ছে না জানপাখি...
চল, ব্রেক-আপ করে ফেলি..."
ভেবে দেখা যাক এইটা সে কেন বলছে? এর মানে কি? এর সোজাসাপ্টা মানে হল, (দ্বিমত আছে) মেয়েটা তার প্রেমিকের থেকেও বেটার কাউকে পেয়ে গেছে। এখন সে উড়াল দিবে।
কিন্তু সমস্যা হল, এই নিখাদ সত্যটা মেয়েটা তার প্রেমিককে বলতে পারছে না।
পুরনো রিলেশন থেকে মুক্তি পাওয়ার আশায় সে এত বেশি নক্তামি করছে যে, হাবাগোবা ছেলেটা বুঝতেই পারছে না মেয়েটা ওর ভালো চায়, নাকি রসগোল্লা চায়..
ছেলেটা প্রাণান্ত চেষ্টা করে রিলেশনটা বাঁচিয়ে রাখতে। কিন্তু পারে না। কষ্ট হয়। আহা, সে কী কষ্ট...
***
গতকাল এক ভাই ইনবক্সে ওর জীবনের গল্প দিল। ছোট্ট একটা লেখা নামাতে গিয়ে সে কেঁদে ফেলল। কারণ গল্পটা সত্যি এবং ওর নিজের জীবনের গল্প। সে কষ্ট পাচ্ছে, কষ্টের কথাই লিখছে...
আমি বিন্দু পরিমাণ এডিট বা হেরফের না করে লেখাটা এখানে সেঁটে দিচ্ছিঃ
।।।।
ফেসবুকে হুট করে পরিচয়....... হঠাৎ করে ভাললেগে যাওয়া... তার সাথে কথা না বলতে পারলে অস্বস্তি লেগে উঠা........ হঠাৎ একদিন দেখা করা....!
তাকে দেখলে প্রচন্ড ভালো লাগে... চোখ বুঝলেই তাকে কল্পনা করা, তার নাম কোথাও দেখলেই ঠোটের কোনায় হাসি ফুটে উঠে.... উহু এটাকেই সম্ভবত ভালোবাসা বলে.....
হঠাৎ করে একদিন জগতের সব সমীকরণ পালটিয়ে কণ্যাকে ভালোবাসার কথা বলা....
চারদিন পর কণ্যার হুট করে রিপ্লাই তোমাকে ভালোবাসি....!
এরপর আস্তে আস্তে দেখা করা..... হাত ধরতে গিয়ে চোখ মুখ গরম হয়ে যাওয়া.... রিকশায় বসে হাজারটা অনুভুতি....!রিকশায় কণ্যার দিকে আড়চোখে তাকানো.... কণ্যা দেখে ফেল্লে বালকের লজ্জায় মাথা নিচু করে থাকা.....
ভালোবাসার কথা বলতে গিয়ে উলটপালট হয়ে যাওয়া.... কণ্যা শুধু হাসে.... তার হাসিতে বালকের জিবনটা আরে এলেমেলো হয়ে উঠে....
মাস শেষে বালকের হিসেবি হয়ে উঠা..... টাকা কতো জমানো হয়েছে তার চিন্তা করতে করতে ঘুম বাদ দিয়ে রাত পার করে ফেলা!
মার্কেটে তার পছন্দের জিনিষ কিনতে গিয়ে গুলিয়ে ফেলা! কণ্যার জন্মদিনে কণ্যাকে উপহার দিয়ে বলে, বলতো এতে কি আছে? কণ্যা হেসে বলে বই? উত্তর শুনে লজ্জায় বালক এর নিচুঁ হয়ে থাকা..... আহা!
সময় চলে যায়! সময় বড়ই অদ্ভুত!
কণ্যার মন হুট করে পাল্টে যায়! বালক কে আস্তে আস্তে ইগনোর! ওদিকে বালক এর চোখে ঘুম উদাও! চশমা ঝাপসা হয়ে উঠে! উত্তর খুজেঁ পায় না!
শেষে একদিন একরাশ অভিমান চেপে কণ্যা বলে, তুমি আমার থেকে ভালো কাউকে পাবে! তুমি আমাকে ডির্জাভ করে না! বালক এর সব সমীকরণ এলোমেলো হয়ে যায়! মাঝরাতে অকারণেই চোখ ভিজে উঠে.....কণ্যা যে বালক এর মস্তিষ্কের নিউরনে মিশে গেছে....ডান অলিন্দ থেকে বাম অলিন্দ! নিউরন থেকে শিরা- উপশিরায়, প্রশ্নই থেকে যায়!
কিকরে বোঝাই পাগলীকে, আমার বেটার কাউকে লাগবে না.... আমার শুধু তোকে লাগবে.... আমার ভালোবাসা তোহ শুধু তোর জন্য... হয় না বলা! কথাগুলো অব্যক্তই থেকে যায়!
চশমা ঝাপসা হয়ে উঠে.....চোখ বন্ধ করে কল্পনাই করতে থাকে রুমের লাইট অফ করে....!কল্পনায় অপেক্ষা করতেই থাকে যদি হুট করে মাঝরাতে কণ্যা ফোন দিয়ে বলে উঠে, খুওওওব ভালোবাসি তোমাকে....অথবা এইবুঝি কণ্যা তার অন্ধকার রুমের লাইট অন করে বলবে অপেক্ষার প্রহর শেষ! কিছু আশা কখনো পূরণ হবার না! তবু স্বপ্ন দেখতে ক্ষতি কি......
(দু-একবছর পর মাঝরাতে কণ্যা একরাশ অভিমান চেপে বালকের উপহার দেয়া হুমায়ুন এর বই কৃষ্ঞপক্ষ বই টা দেখবে হয়তোবা. বইটার শুরুতে বালকের দু লাইন! কালো কালিতে লেখা তখনো জ্বলজ্বল করে জ্বলবে...." আমি তোমার চোখের দিকে তাকিয়ে কি দেখি জানো?! "I can see the universe!" কণ্যার চোখ থেকে অভিমানের বর্ষা ঝরবে হয়তোবা....এটা ই কি বালক এর প্রতি ভালোবাসা?! উহু, না সম্ভবত অন্যকিছু........!)গল্পটা একজন পাগলাটে কবির অগোছালো শব্দে লেখা, তার জীবনের গল্প! তার প্রেয়সীকে নিয়ে লেখা..............
ফেসবুকে হুট করে পরিচয়....... হঠাৎ করে ভাললেগে যাওয়া... তার সাথে কথা না বলতে পারলে অস্বস্তি লেগে উঠা........ হঠাৎ একদিন দেখা করা....!
তাকে দেখলে প্রচন্ড ভালো লাগে... চোখ বুঝলেই তাকে কল্পনা করা, তার নাম কোথাও দেখলেই ঠোটের কোনায় হাসি ফুটে উঠে.... উহু এটাকেই সম্ভবত ভালোবাসা বলে.....
হঠাৎ করে একদিন জগতের সব সমীকরণ পালটিয়ে কণ্যাকে ভালোবাসার কথা বলা....
চারদিন পর কণ্যার হুট করে রিপ্লাই তোমাকে ভালোবাসি....!
এরপর আস্তে আস্তে দেখা করা..... হাত ধরতে গিয়ে চোখ মুখ গরম হয়ে যাওয়া.... রিকশায় বসে হাজারটা অনুভুতি....!রিকশায় কণ্যার দিকে আড়চোখে তাকানো.... কণ্যা দেখে ফেল্লে বালকের লজ্জায় মাথা নিচু করে থাকা.....
ভালোবাসার কথা বলতে গিয়ে উলটপালট হয়ে যাওয়া.... কণ্যা শুধু হাসে.... তার হাসিতে বালকের জিবনটা আরে এলেমেলো হয়ে উঠে....
মাস শেষে বালকের হিসেবি হয়ে উঠা..... টাকা কতো জমানো হয়েছে তার চিন্তা করতে করতে ঘুম বাদ দিয়ে রাত পার করে ফেলা!
মার্কেটে তার পছন্দের জিনিষ কিনতে গিয়ে গুলিয়ে ফেলা! কণ্যার জন্মদিনে কণ্যাকে উপহার দিয়ে বলে, বলতো এতে কি আছে? কণ্যা হেসে বলে বই? উত্তর শুনে লজ্জায় বালক এর নিচুঁ হয়ে থাকা..... আহা!
সময় চলে যায়! সময় বড়ই অদ্ভুত!
কণ্যার মন হুট করে পাল্টে যায়! বালক কে আস্তে আস্তে ইগনোর! ওদিকে বালক এর চোখে ঘুম উদাও! চশমা ঝাপসা হয়ে উঠে! উত্তর খুজেঁ পায় না!
শেষে একদিন একরাশ অভিমান চেপে কণ্যা বলে, তুমি আমার থেকে ভালো কাউকে পাবে! তুমি আমাকে ডির্জাভ করে না! বালক এর সব সমীকরণ এলোমেলো হয়ে যায়! মাঝরাতে অকারণেই চোখ ভিজে উঠে.....কণ্যা যে বালক এর মস্তিষ্কের নিউরনে মিশে গেছে....ডান অলিন্দ থেকে বাম অলিন্দ! নিউরন থেকে শিরা- উপশিরায়, প্রশ্নই থেকে যায়!
কিকরে বোঝাই পাগলীকে, আমার বেটার কাউকে লাগবে না.... আমার শুধু তোকে লাগবে.... আমার ভালোবাসা তোহ শুধু তোর জন্য... হয় না বলা! কথাগুলো অব্যক্তই থেকে যায়!
চশমা ঝাপসা হয়ে উঠে.....চোখ বন্ধ করে কল্পনাই করতে থাকে রুমের লাইট অফ করে....!কল্পনায় অপেক্ষা করতেই থাকে যদি হুট করে মাঝরাতে কণ্যা ফোন দিয়ে বলে উঠে, খুওওওব ভালোবাসি তোমাকে....অথবা এইবুঝি কণ্যা তার অন্ধকার রুমের লাইট অন করে বলবে অপেক্ষার প্রহর শেষ! কিছু আশা কখনো পূরণ হবার না! তবু স্বপ্ন দেখতে ক্ষতি কি......
(দু-একবছর পর মাঝরাতে কণ্যা একরাশ অভিমান চেপে বালকের উপহার দেয়া হুমায়ুন এর বই কৃষ্ঞপক্ষ বই টা দেখবে হয়তোবা. বইটার শুরুতে বালকের দু লাইন! কালো কালিতে লেখা তখনো জ্বলজ্বল করে জ্বলবে...." আমি তোমার চোখের দিকে তাকিয়ে কি দেখি জানো?! "I can see the universe!" কণ্যার চোখ থেকে অভিমানের বর্ষা ঝরবে হয়তোবা....এটা ই কি বালক এর প্রতি ভালোবাসা?! উহু, না সম্ভবত অন্যকিছু........!)গল্পটা একজন পাগলাটে কবির অগোছালো শব্দে লেখা, তার জীবনের গল্প! তার প্রেয়সীকে নিয়ে লেখা..............
।।।।।
এই লেখাটা পড়ে আমার কষ্ট হল। আমি যখন শেয়ার কথা বললাম, সে আঁতকে উঠে বলল, নাম দিয়েন না ভাই, প্লিজ। যদি আমার প্রেয়সী দেখতে পায়, খুব কষ্ট পাবে!
আহা রে পাগল ছেলে, আহা ভালোবাসা...
মনির খানের একটা গান আছে,
পার্বতীকে না পেয়ে পৃথিবীতে অনেক দেবদাসের জন্ম হয়েছে। নিজেকে নষ্ট করে দিয়েছে।
কিন্তু একজন দেবদাসকে না পেয়ে কখনো কোন পার্বতী নিজের জীবন উৎসর্গ করেছে কি?
কিন্তু একজন দেবদাসকে না পেয়ে কখনো কোন পার্বতী নিজের জীবন উৎসর্গ করেছে কি?
গীতিকার বলছেন না...
আমি বলি, হ্যা... মেয়েরাও করে...
আমি বলি, হ্যা... মেয়েরাও করে...
শুধুমাত্র প্রিয়তম পুরুষটার দ্বারা প্রতারিত হয়ে ব্রোথেলে আশ্রয় নিয়েছে কিংবা কল গার্ল হয়ে যাওয়ার অনেক গল্প আমরা জানি। এইগুলা হল নষ্ট যাওয়ার গল্প৷
ভালো গল্পও জানি।
বিভূতিভূষণের একটা ছোট গল্প আছে, মেঘমল্লার। একটা ছেলে এবং মেয়ের মধ্যে গভীর সম্পর্ক হল। কিন্তু নিয়তির করাল ইঙ্গিতে ছেলেটা নিষ্প্রাণ পাথর হয়ে গেল। ছেলেটাকে না পেয়ে মেয়েটা সন্ন্যাস জীবন বেছে নিল।
সে দেবী হয়ে গেল!
সে দেবী হয়ে গেল!
"ভালোবাসা" আসলে এমন এক "বাসা" লক্ষকোটি টাকা দামের দূরবীনে চোখ রেখেও এর হদিস পাওয়া যায় না। কিছু বোকাসোকা তরুণ-তরুণীর মনে আপনা থেকেই এইটা জাগ্রত হয়।
যারা খুব সৌভাগ্যবান... ঠিক সময়ে ঠিকঠাক একটা মনের মানুষের দেখা পেয়ে যায়...
যারা খুব সৌভাগ্যবান... ঠিক সময়ে ঠিকঠাক একটা মনের মানুষের দেখা পেয়ে যায়...
কিন্তু এদের সংখ্যা অল্প। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় ভাঙন... চোরাগলি... বিভিন্নরকম স্বার্থচিন্তা... পরকীয়া... সিলেক্ট দ্য বেস্ট অপশন...
কলেজে পড়ার সময় এইরূপ সিলেক্ট দ্য বেস্ট অপশন টাইপ এক আপুর সঙ্গে আমার এক বন্ধুর প্রেম হয়ে গেল।
ক্লাসের অন্যান্য বন্ধুরা তাকে বুঝানোর চেষ্টা করল, এইটা প্রেম নয়। মেয়েটা তোকে ব্যবহার করছে। তুই একটা ছাগল, তোকে হাতে রেখে সে একটা ঘোড়ার সন্ধান করছে। ঘোড়াটা পেয়ে গেলেই পাখি উড়ে যাবে।
তুমি তখন শূন্য খাঁচা।
ক্লাসের অন্যান্য বন্ধুরা তাকে বুঝানোর চেষ্টা করল, এইটা প্রেম নয়। মেয়েটা তোকে ব্যবহার করছে। তুই একটা ছাগল, তোকে হাতে রেখে সে একটা ঘোড়ার সন্ধান করছে। ঘোড়াটা পেয়ে গেলেই পাখি উড়ে যাবে।
তুমি তখন শূন্য খাঁচা।
বন্ধু আমার বুঝতে চায় না। চব্বিশ ঘন্টা প্রেমিকার ধ্যানে মগ্ন থাকে। একদিন আচমকাই ধ্যান ভাঙে। মেয়েটা একজন ডিফেন্স অফিসারকে বিয়ে করে হাওয়া হয়ে গেল।
বন্ধু আমার ইঁদুর মারার বিষ খেয়ে প্রথমে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। কিন্তু মরে নাই৷ বেঁচে থাকাও লজ্জার। সে তখন লেবার ভিসার পারমিট নিয়ে ইতালিতে চলে গেল। ইদানীং দেশে আসার পায়তার করছে। খুব শীঘ্রই হয়ত দেশে এসে বিয়ে করবে।
এবং আমি প্রায় শতভাগ নিশ্চিত, যে মেয়েটার সঙ্গে ওর বিয়ে হবে, সেই মেয়েটি এখন অন্যকোন ছেলের সঙ্গে প্রেম করছে। প্রেমিকের মন ভেঙে বিদেশগামী এক যুবকের শয্যা সঙ্গী হবে আরও একটা মেয়ে।
এইটা একটা চক্র।
এই চক্র থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন।
এই চক্র থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন।
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় আমার এক বান্ধবী আচমকা প্রেমিকের মেসবাড়িতে হানা দিয়েছিল। প্রেমিকের শয্যা সঙ্গিনী হিসেবে অন্য একটা মেয়েকে হাতেনাতে ধরে ফেলে।
বান্ধবী আমার চিল্লাফাল্লা করে কান্দে।
সাত বছরের পুরনো রিলেশন কেটে যায়।
তা যাক।
বান্ধবী আমার চিল্লাফাল্লা করে কান্দে।
সাত বছরের পুরনো রিলেশন কেটে যায়।
তা যাক।
সবচাইতে বাজে ব্যাপার হচ্ছে- আমার সেই বান্ধবী এখন আর পৃথিবীর কোন ছেলেকেই বিশ্বাস করে না। ওর কাছে পুরুষ মানুষ মাত্রই ভন্ড, বিকৃত, বহুগামী এবং সুযোগের অভাবে ভদ্রলোক!
এই হল প্রেম-পিরিতি নিয়তি। এর থেকে উত্তরণের পথ বোধহয় একটাই...
ভালো কাউকেই না বাসা...
মন্দ কাউকেই না বাসা...
ভালো কাউকেই না বাসা...
মন্দ কাউকেই না বাসা...
ভালোবাসার ঘরবাড়িতে আগুন লাগিয়ে আদিম আরণ্যক জীবনে ফিরে যাওয়া যায়। অরণ্যে অন্ধকার আছে। খুনাখুনি কিংবা জোরজবরদস্তি করে লুটপাট করার বিষয় আছে...
কিন্তু ভালোবাসার নামে মন্দবাসা নেই...
হাতে ছাগল রেখে ঘোড়া চরানোর মতো দুর্নীতিবাজি নেই...
সভ্য মানুষের মুখোশ পরে অসভ্যের মতো ভণ্ডামিটা অন্তত নেই...
Writer:- মুহম্মদ নিজাম। বাংলাভূমি