রাসেল আরো কাছে এগিয়ে এসে বলল,
___ " আমার কাছ থেকে লুকোচ্ছিলি তাই না?"
___ " আমিই...মানে আমি..."
নুপুর কোন মতে মিনমিনিয়ে বলতে লাগল।
___ " তুই মানে তো তুইইই হবি তাই না। আর শোন অমন ভেজা বিলাই হওয়ার মোটেও প্রয়োজন নেই। যা প্রশ্ন করেছি সোজা উওর দে।"
বাঁজখাই স্বরে রাসেল বলল। নুপুর আবারও বুঝানোর ট্রাই করে বলল,
___ " শরীর খারাপ ছিল!"
রাসেল বড় একটা নিঃশ্বাস ফেলল৷ বুঝলো একে দিয়ে সত্যিটা এজন্মেও স্বীকার করাতে পারবে না। রাসেল হাল ছেড়ে দিয়ে বলল ,
___ " রান্না ঘরে কি করতেছিস তুই? কোমরে ওড়না হাতে খুন্তি ভয়াবহ অবস্থা।"
নুপুরের এবার ভীষন রাগ হল, রান্না ঘরে কি কেউ গোল্লছুট খেলে, রান্না ঘরে তো রান্নাই করে। তাও সুন্দর করে বলল,
___ " কি রান্না করতেছিস? হাতি, ঘোড়া না গন্ডার।"
___ " তিনটাই খাওয়া আইনে দন্ডনীয় অপরাধ। আর এসব আমাদের বাসায় কেউ খায়ও না।"
___ " চ্যাটাং চ্যাটাং কথা না বলে কি রেঁধেছিস সেটা বললেই তো হয়।"
___ " খিচুড়ি রেঁধেছি।"
___ " প্লেটে করে নিয়ে আয় আমি খাবো।"
নুপুর এবার পড়লো বিপদে। যদি নুমা এসে দেখে কি ভাববে কে জানে আর যদি এই লোকটাকে খিচুড়ি না দেয় তাও কেয়ামত বাঁধিয়ে দেবে। নুপুর আপাতত কেয়ামত ঠান্ডা করার সিদ্ধান্তই নিল। তাই কথা না বাড়িয়ে প্লেটে করে খিচুড়ি বেড়ে নিয়ে আসলো। ডাইনিং টেবিলে এসে দেখে মিলি খুব মনোযোগ দিয়ে ফোন টিপে যাচ্ছে এক তালে। রাসেল চুপ করে বসে আছে মিলির পাশেই। নুপুর রাসেলের সামনে খিচুড়ির প্লেট আর আচারের বাটিটা রাখলো। আসার সময় বাটিতে আচার ও নিয়ে এসেছে। কিছু না বলে রাসেল প্লেট টেনে নিয়ে খেতে বসল। নুপুর আবার রান্নাঘরে গেল মিলির জন্য খাবার আনতে। সবাই যখন খেতে বসল তখন রাসেলের খাওয়া প্রায় অর্ধেক শেষ। খাওয়াদাওয়া শেষ করে মিলি রাসেলকে বলল,
___ " ভাইয়া ফৌজিয়া কই?"
___ " বাসায়ই আছে, কেন রে কোন দরকার।"
মিলি রাসেলের কথার উওর না দিয়ে বলল,
___ " ভাইয়া আপনার কোন কাজ আছে এখন,?"
___ " না আপাতত কোন কাজ নেই।"
___ " তাহলে আপনি একটু নুপাপুর সাথে থাকেন, আমি একটু আপনাদের বাসায় যাই ১৫ মিনিটের মধ্যে চলে আসব।"
এই বলেই মিলি এক ছুটে বেরিয়ে গেল। রাসেল পড়লো মহা মুশকিলে। নুপুর আর ও সারা ফ্লাটে একা এতো বিশাল ঝামেলা। নুপুর রান্নাঘরে তখন প্লেট ধুয়ে ধুয়ে রাখছে। রাসেল আবারও ধীরে ধীরে ডাইনিং রুমে এসে দাঁড়ালো। নুপুর রান্নাঘর থেকে বের হতেই দেখল রাসেল দাঁড়িয়ে আছে কিন্তু চোখ মুখে বেশ টেনশনের ছাপ। নুপুর ওড়না দিয়ে ভিজা হাত মুছতে মুছতে রাসেলের সামনে যেয়ে বলল,
___ " কি ব্যাপার কি হইছে আপনার চেহারা এমন দেখাচ্ছে কেন?"
___ " না মানে হইছে কি...."
রাসেল আমতা আমতা করতে লাগল আসলে ও বলবেটা কি সেটাই বুঝতেছিল না। নুপুর ভাল করে তাকালো রাসেলের দিকে। রাসেল তখন বলল,
___ " মিলি আমাদের বাসায় গেছে।"
___ " মিলি আপনাদের বাসায় গেছে মানে?"
___ " আমাদের বাসায় গেছে মানে মিলির দুইটা ঠ্যাং আছে না ওটা দিয়ে হেঁটে হেঁটে আমাদের বাসায় গেছে।"
___ " আপনি কি আমার সাথে ইয়ার্কি করতেছেন নাকি?".
___ " তুই কি আমার বেয়াইন লাগিস নাকি যে ইয়ার্কি মারবো তোর সাথে। মিলি ফৌজিয়ার সাথে দেখা করতে গেছে। "
এবারে নুপুরের অসস্তি হতে লাগল। বাসায় ও একা রাসেলের সাথে এটা ভাবতেই কেমন জানি লাগতে লাগল ওর কাছে৷ ও রাসেলের দিকে তাকিয়ে বলল,
___ " আচ্ছা আপনি ড্রইংরুমে বসে টিভি দেখন আমি একটু ঘুমাই।"
___ " ঘুমাবি মানে কি? ফাইজলামি শুরু করেছিস? উনি ঘুমাবে আর আমি মশা মারবো। কোন ঘুমাঘুমি হবে না আমার মাথার চুল টেনে দিবি চল।".
এই বলেই রাসেল নুপুরকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই টেনে নিয়ে চলল নুপুরদের রুমের দিকে। রুমে ঢুকেই নুপুরকে খাটের উপরে বসিয়ে দিয়ে কথাবার্তা ছাড়াই নুপুরের কোলে মাথা দিয়ে শুয়ে পড়লো। রাসেলকে এত কাছে কখনও পায় নুপুর। ওর কোলে রাসেল মাথা রাখতেই যেন সারাশরীর জুড়ে কেউ শক্ত করে ঝাঁকি দিয়ে গেল৷ রাসেল চোখ বন্ধ করেই বলল,
___ " কি রে দে মাথায় হাত বুলিয়ে।"
নুপুর আলতো করে রাসেলের মাথার চুলে হাত দিল। ভাল করে তাকালো এবার রাসেলের মুখের দিকে খোঁচা খোঁচা দাড়িতে মানুষটাকে যেন খুব মানিয়েছে। ঠোঁটের একদম নিচে বাঁপাশে কালো একটা তিল। এত দিন তো নুপুর এই তিলটা কখনও দেখে নি। চোখের ভ্রু জোড়া একদম মাপ মত। এত এত পারফেক্ট একটা মানুষ ওকে ভালবাসে..... ভাবতেই নুপুরের মন এক অজানা ভাল লাগায় আক্রান্ত হল৷ নুপুর আরো ভাল করে দেখার জন্য মুখটা আরো নিচে নামালো। নুপুরের নিঃশ্বাস রাসেলের মুখে লুটিয়ে পড়তেই রাসেল তড়াক করে চোখ মেলে ফেলল। নুপুরকে এত কাছাকাছি দেখে ওর সব হিসাব এলোমেলো হয়ে গেল। হঠাৎই নুপুরের মাথায় ওর হাত দিয়ে নুপুরকে আরো কাছে টেনে নিয়ে এলো৷ ওর ঠোঁট জোড়া নুপুরের ঠোঁটে আলতো করে ছুঁয়ে গেল। এত দ্রুত ঘটনাটা ঘটল যে নুপুর সত্যিই কিছু বুঝে উঠতে পারল না। যখন বুঝলো ততক্ষনে ঘটনা ঘটা শেষ। রাসেল কোন কথা না বলে চুপচাপ বেরিয়ে গেল বাসা থেকে। নুপুরের কি রিএক্ট করা উচিত সেটা ও তখনও বুঝে উঠতেই পারে নি।
___ " আমিই...মানে আমি..."
নুপুর কোন মতে মিনমিনিয়ে বলতে লাগল।
___ " তুই মানে তো তুইইই হবি তাই না। আর শোন অমন ভেজা বিলাই হওয়ার মোটেও প্রয়োজন নেই। যা প্রশ্ন করেছি সোজা উওর দে।"
বাঁজখাই স্বরে রাসেল বলল। নুপুর আবারও বুঝানোর ট্রাই করে বলল,
___ " শরীর খারাপ ছিল!"
রাসেল বড় একটা নিঃশ্বাস ফেলল৷ বুঝলো একে দিয়ে সত্যিটা এজন্মেও স্বীকার করাতে পারবে না। রাসেল হাল ছেড়ে দিয়ে বলল ,
___ " রান্না ঘরে কি করতেছিস তুই? কোমরে ওড়না হাতে খুন্তি ভয়াবহ অবস্থা।"
নুপুরের এবার ভীষন রাগ হল, রান্না ঘরে কি কেউ গোল্লছুট খেলে, রান্না ঘরে তো রান্নাই করে। তাও সুন্দর করে বলল,
___ " কি রান্না করতেছিস? হাতি, ঘোড়া না গন্ডার।"
___ " তিনটাই খাওয়া আইনে দন্ডনীয় অপরাধ। আর এসব আমাদের বাসায় কেউ খায়ও না।"
___ " চ্যাটাং চ্যাটাং কথা না বলে কি রেঁধেছিস সেটা বললেই তো হয়।"
___ " খিচুড়ি রেঁধেছি।"
___ " প্লেটে করে নিয়ে আয় আমি খাবো।"
নুপুর এবার পড়লো বিপদে। যদি নুমা এসে দেখে কি ভাববে কে জানে আর যদি এই লোকটাকে খিচুড়ি না দেয় তাও কেয়ামত বাঁধিয়ে দেবে। নুপুর আপাতত কেয়ামত ঠান্ডা করার সিদ্ধান্তই নিল। তাই কথা না বাড়িয়ে প্লেটে করে খিচুড়ি বেড়ে নিয়ে আসলো। ডাইনিং টেবিলে এসে দেখে মিলি খুব মনোযোগ দিয়ে ফোন টিপে যাচ্ছে এক তালে। রাসেল চুপ করে বসে আছে মিলির পাশেই। নুপুর রাসেলের সামনে খিচুড়ির প্লেট আর আচারের বাটিটা রাখলো। আসার সময় বাটিতে আচার ও নিয়ে এসেছে। কিছু না বলে রাসেল প্লেট টেনে নিয়ে খেতে বসল। নুপুর আবার রান্নাঘরে গেল মিলির জন্য খাবার আনতে। সবাই যখন খেতে বসল তখন রাসেলের খাওয়া প্রায় অর্ধেক শেষ। খাওয়াদাওয়া শেষ করে মিলি রাসেলকে বলল,
___ " ভাইয়া ফৌজিয়া কই?"
___ " বাসায়ই আছে, কেন রে কোন দরকার।"
মিলি রাসেলের কথার উওর না দিয়ে বলল,
___ " ভাইয়া আপনার কোন কাজ আছে এখন,?"
___ " না আপাতত কোন কাজ নেই।"
___ " তাহলে আপনি একটু নুপাপুর সাথে থাকেন, আমি একটু আপনাদের বাসায় যাই ১৫ মিনিটের মধ্যে চলে আসব।"
এই বলেই মিলি এক ছুটে বেরিয়ে গেল। রাসেল পড়লো মহা মুশকিলে। নুপুর আর ও সারা ফ্লাটে একা এতো বিশাল ঝামেলা। নুপুর রান্নাঘরে তখন প্লেট ধুয়ে ধুয়ে রাখছে। রাসেল আবারও ধীরে ধীরে ডাইনিং রুমে এসে দাঁড়ালো। নুপুর রান্নাঘর থেকে বের হতেই দেখল রাসেল দাঁড়িয়ে আছে কিন্তু চোখ মুখে বেশ টেনশনের ছাপ। নুপুর ওড়না দিয়ে ভিজা হাত মুছতে মুছতে রাসেলের সামনে যেয়ে বলল,
___ " কি ব্যাপার কি হইছে আপনার চেহারা এমন দেখাচ্ছে কেন?"
___ " না মানে হইছে কি...."
রাসেল আমতা আমতা করতে লাগল আসলে ও বলবেটা কি সেটাই বুঝতেছিল না। নুপুর ভাল করে তাকালো রাসেলের দিকে। রাসেল তখন বলল,
___ " মিলি আমাদের বাসায় গেছে।"
___ " মিলি আপনাদের বাসায় গেছে মানে?"
___ " আমাদের বাসায় গেছে মানে মিলির দুইটা ঠ্যাং আছে না ওটা দিয়ে হেঁটে হেঁটে আমাদের বাসায় গেছে।"
___ " আপনি কি আমার সাথে ইয়ার্কি করতেছেন নাকি?".
___ " তুই কি আমার বেয়াইন লাগিস নাকি যে ইয়ার্কি মারবো তোর সাথে। মিলি ফৌজিয়ার সাথে দেখা করতে গেছে। "
এবারে নুপুরের অসস্তি হতে লাগল। বাসায় ও একা রাসেলের সাথে এটা ভাবতেই কেমন জানি লাগতে লাগল ওর কাছে৷ ও রাসেলের দিকে তাকিয়ে বলল,
___ " আচ্ছা আপনি ড্রইংরুমে বসে টিভি দেখন আমি একটু ঘুমাই।"
___ " ঘুমাবি মানে কি? ফাইজলামি শুরু করেছিস? উনি ঘুমাবে আর আমি মশা মারবো। কোন ঘুমাঘুমি হবে না আমার মাথার চুল টেনে দিবি চল।".
এই বলেই রাসেল নুপুরকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই টেনে নিয়ে চলল নুপুরদের রুমের দিকে। রুমে ঢুকেই নুপুরকে খাটের উপরে বসিয়ে দিয়ে কথাবার্তা ছাড়াই নুপুরের কোলে মাথা দিয়ে শুয়ে পড়লো। রাসেলকে এত কাছে কখনও পায় নুপুর। ওর কোলে রাসেল মাথা রাখতেই যেন সারাশরীর জুড়ে কেউ শক্ত করে ঝাঁকি দিয়ে গেল৷ রাসেল চোখ বন্ধ করেই বলল,
___ " কি রে দে মাথায় হাত বুলিয়ে।"
নুপুর আলতো করে রাসেলের মাথার চুলে হাত দিল। ভাল করে তাকালো এবার রাসেলের মুখের দিকে খোঁচা খোঁচা দাড়িতে মানুষটাকে যেন খুব মানিয়েছে। ঠোঁটের একদম নিচে বাঁপাশে কালো একটা তিল। এত দিন তো নুপুর এই তিলটা কখনও দেখে নি। চোখের ভ্রু জোড়া একদম মাপ মত। এত এত পারফেক্ট একটা মানুষ ওকে ভালবাসে..... ভাবতেই নুপুরের মন এক অজানা ভাল লাগায় আক্রান্ত হল৷ নুপুর আরো ভাল করে দেখার জন্য মুখটা আরো নিচে নামালো। নুপুরের নিঃশ্বাস রাসেলের মুখে লুটিয়ে পড়তেই রাসেল তড়াক করে চোখ মেলে ফেলল। নুপুরকে এত কাছাকাছি দেখে ওর সব হিসাব এলোমেলো হয়ে গেল। হঠাৎই নুপুরের মাথায় ওর হাত দিয়ে নুপুরকে আরো কাছে টেনে নিয়ে এলো৷ ওর ঠোঁট জোড়া নুপুরের ঠোঁটে আলতো করে ছুঁয়ে গেল। এত দ্রুত ঘটনাটা ঘটল যে নুপুর সত্যিই কিছু বুঝে উঠতে পারল না। যখন বুঝলো ততক্ষনে ঘটনা ঘটা শেষ। রাসেল কোন কথা না বলে চুপচাপ বেরিয়ে গেল বাসা থেকে। নুপুরের কি রিএক্ট করা উচিত সেটা ও তখনও বুঝে উঠতেই পারে নি।
সেদিন রাতে খাওয়ার টেবিলে বড়রা সবাই গম্ভীর মুখে খাচ্ছে। হঠাৎ কোন কারণে জয় ওর বউকে বাপের বাড়ি রেখেই চলে এসেছে। মানহা আর জিমিও চলে এসেছে ততক্ষনে। রাসেল বেরিয়ে যাওয়ার পর পরই মিলি এসে ঢুকেছিল আর মানহা এসেছিল আরো পরে। খাওয়ার সময় হাওয়া বেগম একদম নিরবে খেয়ে গেলান। নুপুরের বেশ খটকা লাগল ব্যাপারটা যে হলোটা কি। জিমির কানের পাশে যেয়ে আস্তে করে মিলি বলল,
___ " আচ্ছা জিমি আমাদের আত্নীয়দের মধ্যে কি কেউ মরছে রে, জানিস। "
___ " হঠাৎ করে তোর কারে মারার শখ লাগল শুনি।"
___ " আমোর জ্বালা কাউকে মারার শখ হয় নাই। শুধু জিজ্ঞেস করলাম কেউ মারা গেছে কি না।"
___ " জানামতে বেবাকে ঠিক আছে। এখন বল এই প্রশ্নের কারণ কি?"
___ " তুই অবস্থা দেখছিস মনে হচ্ছে কেউ ইন্না-লিল্লাহ হইছে। না হয় জয় ভাইয়া বউ হারায়ে ফেলছে। "
ফিসফিস শব্দ শুনে হাওয়া বেগম ওদের দিয়ে তাকিয়ে বলল,
___ " চুপচাপ ভাত খেতে কত টাকা নিবি।"
এর পরে মিলি জিমি পর্যন্ত চুপ করে খেয়ে উঠে গেল হাওয়া বেগমের কণ্ঠ শুনে।
___ " আচ্ছা জিমি আমাদের আত্নীয়দের মধ্যে কি কেউ মরছে রে, জানিস। "
___ " হঠাৎ করে তোর কারে মারার শখ লাগল শুনি।"
___ " আমোর জ্বালা কাউকে মারার শখ হয় নাই। শুধু জিজ্ঞেস করলাম কেউ মারা গেছে কি না।"
___ " জানামতে বেবাকে ঠিক আছে। এখন বল এই প্রশ্নের কারণ কি?"
___ " তুই অবস্থা দেখছিস মনে হচ্ছে কেউ ইন্না-লিল্লাহ হইছে। না হয় জয় ভাইয়া বউ হারায়ে ফেলছে। "
ফিসফিস শব্দ শুনে হাওয়া বেগম ওদের দিয়ে তাকিয়ে বলল,
___ " চুপচাপ ভাত খেতে কত টাকা নিবি।"
এর পরে মিলি জিমি পর্যন্ত চুপ করে খেয়ে উঠে গেল হাওয়া বেগমের কণ্ঠ শুনে।
রাতে বিছানায় শুয়ে হঠাৎ নুপুর বলল,
___ " আমার বিষয়টা ভাল লাগছে না।"
___ " কোন বিষয়টা"।
মানহা প্রশ্ন করল। নুপুর কিছুক্ষন থেমে বলল,
___ " জয় ভাইয়া হুট করে চলে এসেছে খালা এমন নিরব এসব ঝড় আসার পূর্ব লক্ষন। পরিবেশ মাত্রাতিরিক্ত শান্ত। "
___ " নুপাপু আমি শিওর ভাইয়া ওর বউ হারাইছে। সেজন্যই সবাই এত টেনসড। কাউকে বলতেও পারতেছে না সইতেও পারতেছে না।"
মিলি বেশ আগ্রহ নিয়ে বলল। মানহা রাগ করে বলল,
___ " গরুর কাছ থেকে আর কোন ধরনের কথাই বা আশা করা যায়।"
___ " দেখো মানহা আপু ইনসাল্ট করবা না বলে দিলাম।''
নুপুর মাঝ থেকে দুজনকে থামিয়ে দিয়ে বলল,
___ " অনেক রাত হয়েছে ঘুমিয়ে পড়ো।"
এত এত কথার মাঝেও নুমা একটাও শব্দ করে নাই। শুধু শুনেই গিয়েছে সব। মনে হয় নুমাই একমাত্র আঁচ করতে পেরেছিল পরেরদিন কি হবে। পরের দিন সকাল বেলা হাওয়া বেগম এলেন মেয়েদের রুমে। তারপর সবাইকে,....
___ " আমার বিষয়টা ভাল লাগছে না।"
___ " কোন বিষয়টা"।
মানহা প্রশ্ন করল। নুপুর কিছুক্ষন থেমে বলল,
___ " জয় ভাইয়া হুট করে চলে এসেছে খালা এমন নিরব এসব ঝড় আসার পূর্ব লক্ষন। পরিবেশ মাত্রাতিরিক্ত শান্ত। "
___ " নুপাপু আমি শিওর ভাইয়া ওর বউ হারাইছে। সেজন্যই সবাই এত টেনসড। কাউকে বলতেও পারতেছে না সইতেও পারতেছে না।"
মিলি বেশ আগ্রহ নিয়ে বলল। মানহা রাগ করে বলল,
___ " গরুর কাছ থেকে আর কোন ধরনের কথাই বা আশা করা যায়।"
___ " দেখো মানহা আপু ইনসাল্ট করবা না বলে দিলাম।''
নুপুর মাঝ থেকে দুজনকে থামিয়ে দিয়ে বলল,
___ " অনেক রাত হয়েছে ঘুমিয়ে পড়ো।"
এত এত কথার মাঝেও নুমা একটাও শব্দ করে নাই। শুধু শুনেই গিয়েছে সব। মনে হয় নুমাই একমাত্র আঁচ করতে পেরেছিল পরেরদিন কি হবে। পরের দিন সকাল বেলা হাওয়া বেগম এলেন মেয়েদের রুমে। তারপর সবাইকে,....
চলবে...
Writer:- মারিয়া আফরিন নুপুর