তবে কি অরিদ্র লাইন টা কাটার সাথে সাথে আমার জীবন থেকে একেবারে চলে গেলো?
আমি নিশ্চুপ বসে রইলাম।
কিছু ক্ষণ পর অরিদ্রর ফোন।
হ্যালো বলতেই স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে এত ক্ষণ ছেলেটা কান্না করেছে।
হ্যালো বলতেই স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে এত ক্ষণ ছেলেটা কান্না করেছে।
তারপর বল্লো,
-একবার বলোনা প্লিজ তুমি যা বলেছো তা মিথ্যে।
-না অরিদ্র।মিথ্যে না।
আমি যা বলেছি সত্যি বলেছি।
-ঠিক আছে,আমি তা মেনে নিলাম,কিন্তু আমি সব কিছু জানতে চাই।
-না অরিদ্র।মিথ্যে না।
আমি যা বলেছি সত্যি বলেছি।
-ঠিক আছে,আমি তা মেনে নিলাম,কিন্তু আমি সব কিছু জানতে চাই।
কিভাবে কি হয়েছে।
আর যদি এমন কিছু হয়েই থাকে তাহলে তুমি কেন তোমার বাবা মায়ের পছন্দে বিয়ে করতে চাচ্ছো?
যার সাথে এমন ঘটনা ঘটেছে তাকে কেন বিয়ে করছো না?
তারপর আমি অরিদ্রকে সব কিছু খুলে বললাম।
আর এও বললাম,আমি চাইনি আপনাকে ঠকাতে।
আপনার বিশ্বাস ভাংতে।
তাই সব বলে দিলাম।
ভালো থাকবেন।
আর এও বললাম,আমি চাইনি আপনাকে ঠকাতে।
আপনার বিশ্বাস ভাংতে।
তাই সব বলে দিলাম।
ভালো থাকবেন।
-শোনো,
-জ্বী বলুন।
-জ্বী বলুন।
-লাইন কেটোনা,
তুমি আজ ওকে আরেকবার বলে দেখো,তোমার বাসায় আসতে বলো।
দেখো কি বলে।
দেখো কি বলে।
যদি এরপরও না আসে।
তবে তুমি তাকে বলে দিও,
তুমি অতিশীঘ্র অরিদ্র নামের কাউকে বিয়ে করে নিচ্ছো।
তবে তুমি তাকে বলে দিও,
তুমি অতিশীঘ্র অরিদ্র নামের কাউকে বিয়ে করে নিচ্ছো।
-অরিদ্র,
-হ্যাঁ।
-এর পরও আপনি আমাকে...
-আমি তোমাকে ভালবাসি স্পৃহা।তোমাকে।
তোমার দেহ টাকে না।
তোমার দেহ টাকে না।
আমি কোন দিন তোমাকে অসম্মান করবোনা।
এই টুকু ভরসা রেখো।
এই টুকু ভরসা রেখো।
আর আমার ভালবাসা ঠুনকো না যে,
সামান্য ঝড়ে উড়ে যাবে।
সামান্য ঝড়ে উড়ে যাবে।
ভয় পেওনা।
আমি তোমাকে কোন দিন এই জঘন্য অতীত মনেও করতে দিবোনা।
আমি তোমাকে কোন দিন এই জঘন্য অতীত মনেও করতে দিবোনা।
প্লিজ,এই কথা আমি ছাড়া আর কেউ যেন না জানে।
এমন কি তোমার বোন আমার ভাবীও যেন না জানে।
এমন কি তোমার বোন আমার ভাবীও যেন না জানে।
আমি চাইনা,আমার ভালবাসার মানুষ টাকে কেউ বাজে নজরে দেখুক।
-আর যদি অপূর্ব আসতে রাজি হয়,তখন?
তখন কি হবে?
-তখন না হয় তোমাদের ভালবাসাকে পূর্ণতা দিয়ে দিও।
তোমার সুখেই যে আমি সুখী।
তোমার সুখেই যে আমি সুখী।
আমি বুঝতে পারছিলাম,অরিদ্রর কথা গুলো বলতে যে বুকটা ফেটে যাচ্ছে।
আমি পরে এক সময় অপূর্বকে ফোন করলাম।
আর ওকে বললাম আবারো আসার কথা।
আর ওকে বললাম আবারো আসার কথা।
ও একই কথা বল্লো,
যে আমি যদি ওর কাছে লুকিয়ে না চলে যাই তাহলে ও আমার সব কিছু পাব্লিক করে দিবে।
আর যদি কাউকে বিয়ে করি তাহলে তাকে মেরে ফেলবে।
আমি সেই জন্য অপূর্বকে অরিদ্রর নাম বলিনা।
আর অরিদ্রকে ফোন করে সব জানাই।
অরিদ্র আমাকে কাঁদতে না করে।
আর জিজ্ঞেস করে,
আর জিজ্ঞেস করে,
আমি যদি তোমাকে এই মুহূর্তে বিয়ে করতে চাই,তুমি কি আমাকে বিয়ে করবে?
আমি দুই মিনিট চুপ থেকে কান্না জড়িত কন্ঠে ওকে হ্যাঁ বলে দেই।
যেই ছেলেটা আমার জন্য মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে এসেছে।
যেই ছেলেটা আমার জন্য পুরো পরিবার রাজি করিয়েছে।
যেই ছেলেটা আমার এত বড় দূর্ঘটনার কথা জেনেও আমাকে বিয়ে করতে চেয়েছে।
তাকে বিশ্বাস করবোনাতো আমি কাকে বিশ্বাস করবো।
যেই ছেলেটা আমার জন্য পুরো পরিবার রাজি করিয়েছে।
যেই ছেলেটা আমার এত বড় দূর্ঘটনার কথা জেনেও আমাকে বিয়ে করতে চেয়েছে।
তাকে বিশ্বাস করবোনাতো আমি কাকে বিশ্বাস করবো।
অরিদ্র আমার হ্যাঁ শব্দটা শোনার সাথে সাথে ফোন রেখে দেয়।
আমি ওর নাম্বার ট্রাই করে বন্ধ পাই।
প্রায় এক ঘন্টা পর শুনতে পাই অরিদ্র কয়েক জন লোক নিয়ে একেবারে বিয়ের প্রস্তুতি নিয়ে চলে এসেছে।
আম্মু আব্বু তো অবাক,
-তোমার না এক্সাম সামনে?
আর এখন এসব কি?
বলা নেই কওয়া নেই।
বলা নেই কওয়া নেই।
অরিদ্র শুধু আম্মুর হাত ধরে নিয়ে অন্য রুমে গিয়ে আম্মুকে ফিসফিস করে কি যেন বল্লো।
আর আম্মু এসে আব্বুকে বল্লো,যাও একটা পাঞ্জাবী পরে নাও।
তোমার মেয়ের বিয়ে বলে কথা।
আব্বু আম্মু এসে আমাকে ধরে কান্না করে দিলো।
অরিদ্র যেই শাড়ী গহনা নিয়ে এসেছে ওগুলো আম্মুই আমাকে পরিয়ে দিলো।
কিছু ক্ষণের মধ্যেই আমি তিন কবুল পড়ে অরিদ্রের স্ত্রী হয়ে যাই।
আর অরিদ্র হয়ে যায় আমারই স্বামী।
আর অরিদ্র হয়ে যায় আমারই স্বামী।
আম্মু আব্বু সহ বাকি সবাই আমাদের জন্য দোয়া করলেন।
অরিদ্রকে ওর আত্মীয় স্বজনরা আমাদের বাসায় সেদিন রেখে গেলেন।
যদিও ও খুব লজ্জা পাচ্ছিলো।
কিন্তু আম্মু যখন বল্লো,
এত লজ্জা পেতে হবেনা,আজ থেকে আপনি আমার ছেলে।
আর এ বাড়ীটা আপনারও।
এত লজ্জা পেতে হবেনা,আজ থেকে আপনি আমার ছেলে।
আর এ বাড়ীটা আপনারও।
থেকে যান আপনি।
তখন অরিদ্র মুচকি হেসে মাথা ঝাঁকিয়ে হ্যাঁ বল্লো।
স্বপ্নের মত করে হুট করে হয়ে গেলো আমাদের বিয়ে।
আমার চাচাতো বোন মানে অরিদ্রর ভাবী আর কয়েক জন মিলে আমার রুমে বাসর ঘর সাজালো।
আমাকে নিয়ে তারা বাসর ঘরে দিয়ে আসলো।
অনেক রাত হয়ে গেছে।
অরিদ্র রুমে প্রবেশ করলো।
আমি খাট থেকে নেমে অরিদ্রকে বললাম,
আমার কি আপনার পায়ে হাত দিয়ে সালাম করা লাগবে?
চলবে...
Writer:- স্পৃহা ঢালী