Leave a message
> একজন মায়াবতী
-->

একজন মায়াবতী


পরিষ্কার কাঁচ ঢাকা গ্লাসের ওপাশটায় হঠাত ই চোখ পড়লো ধ্রুবর। লাল রঙের পাড়ে হালকা সূক্ষ্ম হাতের কাজ করা একটা জামদানী শাড়ি। ট্যাগের দিকে চোখ বুলালো একবার, ১৭৫০ টাকা। যদিও তার বাজেটের কিছুটা এদিক ওদিক হবে, তবুও কেন যেন মনে হচ্ছে পুষ্প কে এই শাড়িতে খুব মানাবে। পকেট থেকে টাকা গুলো বের করে গুনতে শুরু করলো। সব মিলিয়ে হয়ে যাবে তো?

- এই, এদিকে এসো না! ওখানে কি করছো??

- হ্যা? ইয়ে... এইতো আসছি!

- এই শাড়িটা দেখো! সুন্দর না? 

পুষ্প এক হাতে গায়ে আলগোছে শাড়িটা ধরে ধ্রুব কে দেখাচ্ছে। হালকা গোলাপী আর সবুজ আঁচলের মোটামুটি গর্জিয়াস একটা শাড়ি। জিনিশটা সুন্দর, কিন্তু দাম শুনে সেখানে আর এক পা ও দাঁড়াতে ইচ্ছে হচ্ছিলো না ধ্রুবর। ৫৫০০ টাকা! সব মিলিয়েও তো এতো টাকা আনেনি সে! কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমতে শুরু করলো, পুষ্প এমনভাবে শাড়িটা ধরে দাঁড়িয়ে আছে দেখে মনে হচ্ছে খুবই পছন্দ হয়েছে তার। সদ্য প্রেমিকা থেকে হওয়া নতুন বউকে মানাও করতে পারছে না। মাসছয়েক হলো তাদের বিয়ে হয়েছে। শেষে কি মনে করে যেন একটু দামাদামি করে মোট ৪৭০০ টাকায় কিনেই ফেললো শাড়িটা। ফিক্সড প্রাইজের দোকান তবুও ঈদ উপলক্ষে কিছুটা ছাড় এই যা।

দোকান থেকে বের হয়ে দারুণ পিপাসা পেলো ধ্রুবর। একটা সিগেরেট ধরিয়ে রিকশা ডাকলো।

- সেকি, বাড়ি চলে যাচ্ছি যে আমরা? কিছুই তো কেনা হলো না...

- আহঃ পুষ্প, তোমরা মেয়েরা পারোও... এতো দোকান ঘুরে তবে একটা শাড়ি পছন্দ হলো! আজ আর পারছি না, মাথাটা খুব ধরেছে, অন্য আরেকদিন আবার আসবো নাহয়?

- হু, আচ্ছা...

রিকশায় উঠে হুড তুলে দিয়ে বসলো ধ্রুব। মেঘলা আকাশ, ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টি পড়তে শুরু করেছে কেবল। পুষ্প টান দিয়ে হুড টা নামিয়ে হাত বাড়িয়ে বৃষ্টি ধরতে লাগলো। মৃদু ধমকে দিয়ে আবার হুড টা তুলে দিলো ধ্রুব। পুষ্প এক হাতে দ্রুবর বাম হাত টা জড়িয়ে গল্প জুড়ে দিলো। 

পুষ্প আর ধ্রুব। ধ্রুব ছিলো পুষ্পর বড় ভাই অনিকের বন্ধু। ভালো ছাত্র হওয়ায় ধ্রুবর ডাক পড়ে পুষ্পর প্রাইভেট টিউটর হিসেবে। পুষ্প জানতো, ধ্রুব ভাই কখনোই মুখ ফুটে কিচ্ছু বলবে না, তাই এক প্রকার জোর করেই পুষ্প তাকে দিয়ে মনের কথা বলিয়ে নেয়। কিছু কিছু মানুষ খুব গুছিয়ে ভালোবাসতে জানে, ধ্রুব ঠিক  তেমনই একজন। আমি তোমায় ভালোবাসি মানে, তোমার ভালো খারাপ সবটা নিয়েই তোমাকে ভালোবাসি। পুষ্পও ধ্রুব কে ঠিক তেমন করেই ভালোবাসে।

পুষ্পর খুব ইচ্ছে ছিল ঢাবিতে পড়ার, একই ডিপার্টমেন্ট হলে তো আরো ভালো। কথা ছিলো দুজনে মিলে চষে বেড়াবে পুরো ঢাবি এলাকা। কিন্তু সে স্বপ্ন যখন পূরণ হয় নি, তখন ধ্রুবই তাকে বারবার করে বোঝাতো, "দেখো, তুমি খুব ভালো একটা জায়গায় চান্স পেয়ে যাবে।" 

তারপর যেদিন সত্যি সত্যি চুয়েটে চান্স পেয়ে রাতের ট্রেনে করে মেয়েটা চিটাগাং চলে যায় সেদিন প্রথমবারের মতো তাকে হারাবার ভয় করে ধ্রুব!

কিন্তু সে ভয় কে মিথ্যা প্রমাণ করে ২য় তম সপ্তাহ না পেরোতেই একা একা চিটাগাং পাড়ি দিয়ে পুষ্প চলে আসে ধ্রুবর কাছে। উত্তরে কান্নারত স্বরে বলে, "তোমাকে খুব দেখতে ইচ্ছে হচ্ছিলো, আমি তোমায় ছাড়া সেখানে একা থাকতে পারবো না ধ্রুব!"

অনেক বুঝিয়ে তবেই তাকে ফেরত পাঠানো গিয়েছিলো সেবার। তারপর থেকে প্রতি মাসদুয়েকে একবার হলেও তাকে দেখতে যেতো ধ্রুব। সারাদিন থেকে আবার রাতের ট্রেনে করে ঢাকা রওনা হতো।

অথচ সেসব দিন পেড়িয়ে আজ পুষ্প ধ্রুবর ঘরের বউ। ভাবা যায়! যে বাড়ির লোকজন ডুপ্লেক্স বাড়ির বারান্দায় চায়ের কাপ হাতে অলস বিকেল কাটায়, যাদের বাড়ি থেকে বেড়োলেই পা পড়ে এসি গাড়িতে, সেই বাড়ির ছোটমেয়ে কিনা এক সাধারণ মধ্যবিত্ত ছেলের সাথে রিকশায় ঘুরে আর লেক পাড় ধরে হেঁটে পাঁচ টা বছর দিব্যি কাটিয়ে দিয়েছে। 

সবটা এখনো কেমন স্বপ্ন বলে মনে হয় ধ্রুবর কাছে, সে কখনো ভাবেনি পুষ্পর বাবা এতো সহজে তাদের বিয়েটা মেনে নেবে। যদিও সে বাড়ির লোকজনদের খুব আপত্তি ছিল, তবু এবারেও কাজ করে পুষ্পর অসম্ভব জেদ আর জোরাজুরি। 

এছাড়া এবাড়ির লোকজন ও কি মেনে নিতে পেরেছে পুষ্প কে? মা? সে এখনো পুষ্প কে ভালো চোখে দেখে না। আসলে বড় ভাইয়ের পরপর দুটো প্রমোশন হওয়ার পর ভাবীর কথায় তারা আলাদা বাসা নিয়ে দূরে চলে যায়। নতুন নতুন বড়লোকি হাওয়া লাগলে যা হয়! 

ধ্রুবর একা হাতে এখন পুরো পরিবার সামলাতে হয়। বাবা রিটায়ার্ড পারসন। ওর স্বল্প বেতনের চাকরিতে সবটা সামলিয়ে উঠতে একধরনের হিমশিম খেতে হয়। তাছাড়া সামনের মাসের ২৭ তারিখে ছোট বোন রানুর বিয়ে। সেজন্য অনেক ধারদেনা হয়ে গেছে এম্নিতেই। সেসব জোগাড়যন্ত্র করা সহ এখনো কত কাজ বাকি! হাতে টাকা পয়সাও বিশেষ নেই। ঈদ বাজারের জন্য এ কটা টাকাই হাতে ছিলো মাত্র! রানুর বিয়ের আগে এবাড়িতে ওর শেষ ঈদ, ভেবেছিল হাজার দু'একের মধ্যে ভালো দেখে একটা কাপড় কিনে দেবে কিন্তু তার কাছে সর্বসাকুল্যে আছে কেবল চারশত পঁচিশ টাকা! 

ধুর, পুষ্পকে একটু বুঝিয়ে বললেই হতো, ও ঠিক বুঝতো। কি করবো এখন!

পুষ্পর ডাকে কল্পনার ভাবনায় ছেদ পড়লো। ভাড়া মিটিয়ে পুষ্পর হাত থেকে ব্যাগ টা নিয়ে সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতে লাগলো। বুকের ভেতর থেকে একটা দীর্ঘশ্বাস বেড়িয়ে আসলো,"কমলো আরো বিশ টাকা!"

দুদিন ধরে অনেক চেষ্টা করেও টাকার জোগার হলো না। সামনে ঈদ, সবারই টাকার প্রয়োজন। কেই বা ধার দিতে চাইবে এখন, হোক সে দুহাজার টাকা! 

অফিস থেকে ফিরে ক্লান্ত মাথাটা রাখলো পুষ্পর কোলের উপর। আলতোভাবে মাথায় বিলি কেটে দিচ্ছিলো পুষ্প। আর ধ্রুব ভাবছিলো তার আসন্ন ভবিষ্যতের কথা...

- কই,,,কিছু বলছো না যে। আচ্ছা শোনো না, বাড়ির কারো জন্যই তো কিছু কেনা হলো না, তুমি যে বলেছিলে পরে একদিন যাবে...ঈদের তো মাত্র তিনদিন বাকি।

- হ্যা, ঠিক বলেছ পুষ্প, আর কেবল তিনদিন! 

আজ থেকে অফিস ছুটি। অন্যসময় হলে কত খুশী নিয়ে বাড়ি ফিরতো ছেলেটা। আর আজ যেতে হচ্ছে চোরের মতো, যেন পালাতে পারলে বাঁচে। কলিংবেল টা দিয়ে দাঁড়িয়ে রইলো, রানুর মুখোমুখি হতে একটুও ইচ্ছে নেই। ওর হাতে কিছু টাকা দিতে পারলেও সুখ পেতো। 

পুষ্প হাসিমুখে দরজা খুলে ব্যাগ টা নিয়ে নিলো। এমনসময় পেছন থেকে দৌড়ে রানু এসে জড়িয়ে ধরলো আমায়। 

"ভাইয়া! তুই এতো ভালো কেন বলতো! আমি বাজি রেখে বলতে পারি এতো সুন্দর শাড়ি আমাদের পুরো কলেজে কারোর নেই! আমি অনেক অনেক খুশী!"

কাহিনী বুঝতে  কিছুটা দেরী হলো। কারণ রানু যে শাড়িটা দেখিয়ে হাত নাড়িয়ে উৎফুল্ল স্বরে কথা বলছে, সেটা সেই দামী শাড়িটা যেটা পুষ্প পছন্দ করে কিনেছিল। তার মানে সেটা পুষ্প নিজের জন্য কেনেনি! 

পুষ্প কে পাশে দাঁড়িয়ে মিটিমিটি হাসতে দেখলাম। রানুর এতো খুশী হওয়ার আরো কিছু কারন আছে। এতকাল মায়ের নতুন পুরনো শাড়ি দিয়েই কলেজের বিভিন্ন অনুষ্ঠান ফাংশনে যেতো। এটাই প্রথম তার নিজস্ব শাড়ি!

ধ্রুবর জন্য আরো কিছু চমক বাকি ছিল।

"ভাইয়া দেখ, মা'র এই শাড়িটা সুন্দর না? আর এই হলো বাবা আর তোর জন্য পাঞ্জাবী। পছন্দ হয়েছে কিনা দেখে বল। বাবার তো খুব পছন্দ হয়েছে। তুমি তো ভাবীর কাছে টাকা দিয়ে গিয়েছিলে, ব্যস্ততার জন্য যেতে পারছো না। তাই আমি আর ভাবী গিয়ে তোমাদের কেনাকাটা করে এলাম।"

মানে কি এসবের। পুষ্প টাকা পেলো কোথায়, তবে কি! নাহ পুষ্প র থেকে সব জানতে হবে...

- পুষ্প! সত্যি করে বলোতো টাকা কোথায় পেলে? 

- বা রে, এসব তো তোমার টাকা দিয়েই কেনা!

- পুষ্প প্লিজ! সত্যি করে বলো, কোথায় পেলে টাকা! তোমার বাবার কাছে চাওনি তো? কিংবা অনিকের কাছে??

- আরে নাহ, কি যে বলো। কেন, ভুলে গেলে মাঝেমধ্যে তুমি আমায় হাতখরচের টাকা দাও, সেসব তো জমাই থাকে। আমার আর কিসের খরচ সব তো তুমিই কিনে দাও। আর শোনো, আমি এখন তোমার বড়লোক প্রেমিকা নই যে আমার থেকে কিছু নিতে তোমার আত্নসম্মানে বাঁধবে। এখন তোমার আমার সবকিছু মিলিয়েই আমাদের।

পুষ্পর কথা শুনে দ্বিতীয়বারের মতো চমকে গেলো ধ্রুব। নিঃসন্দেহে এ সব টাকা মিলিয়েও বিয়ের আগের তার এক মাসের হাত খরচের সমান হবে না। অথচ এরইমধ্যে ও সব মানিয়ে নিতে শিখেছে! সত্যি, মেয়েরা কত দ্রুত পাল্টাতে পারে!

- আর, আর তোমার জন্য কেনো নি?

- কেন কিনবো না, আমার প্রেমিক যা পছন্দ করেছিল আমার জন্য তাই কিনেছি। এই দেখো!

এ তো সেই শাড়ি যেটা ধ্রুব পছন্দ করেছিল পুষ্পের জন্য। সেই লাল পাড়ের জামদানী শাড়িটা! ধ্রুব ভাবে, মেয়েটা  আবার কবে থেকে আমার মন পড়তে শুরু করলো! 

চোখে অশ্রু নিয়ে পুষ্পকে জড়িয়ে ধরে আস্তে করে বললো, "এতো ভালোবাসো কেন আমায় বলোতো? আমি কি তার যোগ্য?"

রাতে মায়ের ঘরে গেলো ধ্রুব। অন্ধকারে চুপ করে মায়ের পাশে বসলো। মা ছোটবেলার মতো করে মাথা টেনে টেনে তেল দিয়ে দিতে লাগলো ছেলের মাথায়। 

এই ফাঁকে পুরো ঘটনাটা বললো ধ্রুব। তিনি চুপ করে গেলেন। একসময় ধ্রুব আবার বলতে শুরু করলো,

" মা তোমার কি সেই দিনটার কথা মনে আছে? সেবার চাঁদ রাত্রিতে নতুন জামা কিনে দেবে বলে তিন ভাইবোন রাত জেগে বসে ছিলাম বাবার অপেক্ষায়। সে রাতেই বাবার স'মিলে আগুন ধরে সব পুরে ছাই হয়ে যায়। অপেক্ষা করতে করতে কান্নাকাটি করে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। হঠাৎ তুমি এসে ডেকে তুললে মার্কেটে যাবার কথা বলে, খুশীতে বাবাকে জড়িয়ে ধরেছিলাম। 

অথচ বাবা বাড়ি আসার পর তোমার জমানো সব টাকা বাবার হাতে তুলে দিয়েছিলে, দরজার ফাঁক দিয়ে আমি দেখে নিয়েছিলাম সবটা। বাবা তোমার হাত ধরে কেঁদে ফেলেছিল সেদিন। আমিও একা রাতে সেদিন কেঁদেছিলাম, আর প্রতিজ্ঞা করেছিলাম তোমাদের কখনো ছেড়ে না যাওয়ার! 

মা, তোমার কি এখনো মনে হয় পুষ্প খারাপ মেয়ে? যদি তাই হবে, তবে তোমাদের মধ্যে এতো মিল কেন বলোতো? সে হয়তো রাঁধতে জানে না, কোন কাজ শেখে নি ... কিন্তু নিজের বাহুডোরে সকলকে আগলে রাখার ক্ষমতা আছে, আপন বাঁধনে বাঁধতে জানে সে!

আমি ওকে একটু একটু করে গড়ে নিয়েছি, অথচ দেখো আজ নিজেই ওর কাছে ঋণি হয়ে গেলাম। 

আমি তোমাদের ছেড়ে যাবার কথা কখনো ভাবতেও পারি না। তবু যদি কিছু ভুল করে ফেলি তবে পুষ্পই আমাকে ঠিক ফিরিয়ে আনবে, এ বিশ্বাসটুকু আমার আছে! 

মা গো, পুষ্পর তো মা নেই, তুমি ওকে একটু আগলে রেখো! ও এর বেশী কিচ্ছু চায় না, ওর সরলতা তোমায় ঠিক মুগ্ধ করবে, তুমি মিলিয়ে নিও!"

ধ্রুব কথা শেষ করে উঠে চলে এলো। সে যেন স্পষ্ট দেখতে পেলো তার মায়ের চোখের কোনে বিন্দু কিছু জল!

ঈদের দিন, পুষ্পকে সত্যি অসম্ভব সুন্দর লাগছে। ও আর রানু মিলে রেডি হচ্ছে, ছাদে গিয়ে ওদের ছবি তুলে দিতে হবে। মা কে এতো বছর পর হাতে মেহেদী দিতে দেখলাম, নিশ্চই এ পুষ্পের কাজ! আজ পুষ্প সেমাই রান্না করেছে, সকালে দেখেছিলো মা তাকে বুঝিয়ে দিচ্ছে কিভাবে কি করতে হবে। মধ্যবিত্তরা হয়তো এই একটুকরো সুখের আশাতেই বেঁচে থাকে। একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে ধ্রুব নিজের মনেই বললো, "আজকের সকাল টা এতো সুন্দর হবে একবারো কি ভেবেছিলাম?"

পরিশিষ্টঃ সন্ধার পর ধ্রুব, পুষ্প কে নিয়ে হাঁটতে বের হলো। হঠাৎ তাকে ফেলে কোথায় যেন চলে গেলো, পরক্ষণেই আবার ফিরে এসে পঁচিশ টাকা চাইলো, আইসক্রিম কিনবে। ধ্রুব  টাকা দিয়ে সামনে তাকিয়ে দেখলো এক ভদ্রলোকের কোলে পিচ্চি এক বাচ্চা অনবরত কাঁদছে। হয়তো কিছুর বায়না ধরেছে, লোকটি দিতে পারছে না।

পুষ্প দৌড়ে গিয়ে পিচ্চির হাতে একটা আইসক্রিম তুলে দিলো। বাচ্চা কান্না বন্ধ করে তার দিকে হা করে তাকিয়ে রইলো। লোকটি কেমন বোকার মতোন হাসি দিয়ে পুষ্পকে কৃতজ্ঞতা জানালো। পুষ্প তাকিয়ে আছে বাচ্চাটার দিকে একগাল হাসিমুখ নিয়ে। আর ধ্রুব তাকিয়ে আছে তার পুষ্পের দিকে। ধ্রুব বিধাতার কাছে সবিনয়ে প্রার্থনা করলো, "এই মায়াবতীর হাসিমুখ টা দেখার জন্য হলেও আমায় হাজার বছর বাঁচিয়ে রেখো!" 


 

( সমাপ্ত )




Writer: Jeba Samia


PREVIOUS ARTICLE Quote #40
PREVIOUS ARTICLE Quote #40
 

Delivered by FeedBurner

a