Leave a message
> কনে দেখা আলোয় পর্ব ১১
-->

কনে দেখা আলোয় পর্ব ১১


বিকেলবেলা ছাদে পাটি বিছিয়ে সাফিনকে ঘিরে বসেছে পুরো পরিবার।সাক্ষরের মা স্টিলের একটা বড় গামলা ভরে মুড়ি মাখিয়ে এনে ওদের সঙ্গে পাটিতে বসে পরল।সাক্ষরের দাদি পা ভাজ করে নিচে বসতে পারেনা বলে পাশেই স্টিলের তৈরি দোলনায় নিজের বড় ছেলের সঙ্গে বসে আছেন।সাফিন ঠিক যতটা ভবঘুরে সাক্ষরের বাবা ঠিক ততটাই কাজ পাগল।মৃতঃশাহাবুদ্দিন চৌধুরীর দুই ছেলে শাফায়াত (সাক্ষরের বাবা),সাফিন। আর একমাত্র মেয়ে সুফিয়া(সাক্ষরের ফুপি)।বাবার মতো শাফায়াত ও কাজ পাগল ধাচের।তবে সাফিন বাড়ির ছোট ছেলে ছিলো বলে সবার আদরে আদরেই একা এরকমটা হয়েছে।সাফিনের গানের গলা ভালো ছিলো বলে ছোটবেলায় বাবা শাহাবুদ্দিন নিজের ছোট ছেলেকে গানের স্কুলে ভর্তি করিয়ে দিয়েছিলেন।বেশ কিছুদিন গান শেখার পর থেকেই হঠাৎ করে মাথায় এমন ঘুরার নেশা চেপে যায়।পাঁচ-ছয় বছর দেশের ভেতর ঘুরলেও এখন পুরো পৃথিবী ঘুরে বেড়ানোই সাফিনের একমাত্র ধ্যান জ্ঞান।আর সাক্ষরের ফুপি সুফিয়া পেশায় একজন এনজিও কর্মী।সমাজের অসহায় মানুষদের জন্য তিনি কাজ করে থাকেন।স্বামী মারা যাবার পর নিজের দুই মেয়েকে (তাহা,তাহি)নিয়ে এখন এ বাড়িতেই থাকেন।আর সাক্ষর পেশায় একজন আর্কিওলজিস্ট হলেও এখন আপাতত নিজেদের ফ্যামিলি বিজনেস সামলাচ্ছে।
বাড়ির সবাই একসাথে বসে বেশ মনোযোগ দিয়ে সাফিনের এবারের ট্যুরের কথাগুলো শুনছে।এর মধ্যে কিনঞ্জল সাফিনের ডানবাহু আঁকড়ে ধরে কাধে মাথা রেখে বলল,
"তুমি কিন্তু এখনো আমাকে বললে না কোথায় কোথায় ঘুরলে এবার?আমি কিন্তু রেগে যাচ্ছি।"
সাফিন কিনঞ্জলের গলায় এমন ন্যাকামো সুরে কথা বলা দেখে হেসে বললো,
"আমার সঙ্গে কথা বলতে গেলেই তোর যতো ন্যাকামি বেড়ে যায় টুকটুকি।তা আমার ভাইপোটা কি দোষ করলো?ওর সঙ্গে কথা বলতে গেলেতো মেনি বিড়ালের মতো চুপসে যাস।"
সাফিনের কথায় কিনঞ্জল খানিকটা রাগ আর লজ্জায় মুখ ফিরিয়ে নিতেই সাফিন কিনঞ্জলের থুতনিতে হাত দিয়ে বলল,
"আরেহ,বলছিতো।আমার আম্মাজান রাগ করছে কেনো?"
এই বলতেই শাফিন বেশ নড়েচড়ে বসল।এই দেখে ১০বছর বয়সী তাহা আর ৬বছর বয়সী তাহিও গালে হাত দিয়ে মামুর কথা শুনতে বসল।শাফিন গলা খাকারি দিয়ে বলতে লাগল,
"এবার দেশের মধ্যে তেমন ঘুরা হয়নি।শুধু নরসিংদী বালাপুর জমিদার বাড়িতে পুরো দিন কাটিয়েছি।মেঘনা নদীর তীরে প্রায় ৩২০ বিঘা জমির উপর এই জমিদার বাড়িটা জমিদার নবীনচন্দ্র সাহা তৈরি করেছিলেন।দেশে কেবল এই একটা জায়গাতেই গিয়েছিলাম।আর দেশের বাইরে বরফের পাহাড়(সান্দাকফু) তে গিয়েছিলাম।গর্ভধারিণী বইটা পড়ার পর থেকেই ইচ্ছে ছিলো পাহাড়ের দেশে যাবো।তাই এবার ইচ্ছেটা পূরণ করে ফেললাম।এছাড়া সামারকান্দ(উজবেকিস্তান),ল্যান্ড অফ স্মাইল(থাইল্যান্ড),বালি(ইন্দোনেশিয়া),মালদ্বীপ,সুইজারল্যান্ড,কানাডা,ভারত(মেঘালয়,সিকিম,দার্জিলিং) ব্যাস এই কয়টা দেশ এবার ঘুরেছি।তবে আমার এবার ট্যুরে বেষ্ট এক্সপিরিয়েন্স ছিলো মালদ্বীপের 'sea of star' সামনাসামনি দেখা আর সুইজারল্যান্ডের গ্রীন্ডেলওয়াল্ডে হাটা।'sea of star'মূলত গ্রীষ্মের শেষের দিকে রাতের সমুদ্রে মনে হয় আকাশের অজস্র তারা নেমে এসেছে।সমুদ্রে পানিতে তুই যেখানে যেখানে হাত ডুবাবি ঠিক তার চারপাশে অসংখ্য ব্লু স্টার জ্বলজ্বল করে উঠবে।এমনকি হাতের মুঠোতে থাকা পানিটুকুও জ্বলজ্বল করবে।সবই আল্লাহর কুদরত।তবে এর পিছনেও বেশ কিছু বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা আছে।গবেষকদের মতে এমনি সময় সমুদ্রের পানি স্থীর থাকে কিন্তু যখন তুই সমুদ্রের পানিতে হাত ডুবাবি তখন সমুদ্রের পানিতে হাতের চারপাশে তরঙ্গ সৃষ্টি হয় আর তখনি চাঁদের আলোর রিফ্লেকশন পানিতে পরে অমন নীল তারার মত জ্বলজ্বল করতে থাকে।আর আরেকটা হলো সুইজারল্যান্ডের গ্রীন্ডেলওয়াল্ড।এটা তোর একটা ব্রিজের মতো।আকাশপথে তৈরি এই সল্প দৈর্ঘ্যের ব্রীজটা।এই ব্রিজে যখন তুই হাটবি তোর মনে হবে তুই আকাশের উপর হাটছিস।যতদূর তোর চোখ যাবে সবটুকুতেই কেবল মেঘ আর মেঘ।আর এই ব্রিজটার সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয়টুকু হচ্ছে ব্রিজটার শেষপ্রান্ত।ওখানে তোর পায়ের নিচেও কাচ, দুইপাশেও কাচের দেয়াল।ওইখানে দাড়িয়ে তোর মনে হবে তুই পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ,মেঘরাজ্যের মেঘকন্যা। তোর পায়ের নিচে,ডানে-বামে,মাথার উপর সবটুকুই কেবল নীল মেঘে ঢাকা।"
এইটুকু বলেই সাফিন একটা বিশ্বজয় করা হাসি ছুড়ে দিলো সবার দিকে।এতক্ষন সবাই মুড়ি মুখে পুরছিলো আর সাফিনের কথাগুলো হা করে শুনছিলো।তাহিতো বলেই ফেলল,
"ছোট মামু তুমি কত্ত কিছু দেখেছো তাইনা?"
সাফিন হেসে ছোট ভাগনিকে কোলে নিয়ে আদর করে বলল,
"আমার ছোটমা টাও বড় হলে আমার মতো ঘুরতে পারবে।তবে একা নয় তখন সঙ্গে একটা রুপকথার রাজপুত্রের মতো সুন্দর দেখতে একটা বরও থাকবে।রাজপুত্রটা নিজের পক্ষীরাজ ঘোড়ায় করে আমার ছোটমাকে পুরো পৃথিবী ঘুরাবে।"
সাফিনের কথা শেষ হতে না হতেই তাহি বলল,
"রাজপুত্ররা কি সাক্ষর ভাইয়ার মতো সুন্দর দেখতে হয় মামু?
সাফিন তাহির গালে চুমু দিয়ে বলল,
"হুম,তোমার সাক্ষর ভাইয়ের মতই সুন্দর দেখতে হয় রাজপুত্ররা।"
"তাহলে তো টুকটুকি আপুর কাছেও একটা রাজপুত্র আছে।কই টুকটুকি আপুকেতো রাজপুত্রটা কোথাও ঘুরতে নিয়ে যায় না।"
তাহির মুখে কথাটা শুনতেই কিনঞ্জল সাক্ষরের দিকে চোখ তুলে তাকাতেই দুজনের এই পর্যায়ে চোখাচোখি হয়ে গেলো।কিনঞ্জলই আগে চোখ নিচে নামিয়ে দিলো।এবার সাফিনও তাহির সঙ্গে বেশ তাল মিলিয়ে বলল,
"তাইতো রাজপুত্রটা তো এখনো তোমার টুকটুকি আপুকে নিয়ে কোথাও ঘুরতে গেলো না।এমনকি রাজপুত্রটা তোমার টুকটুকি আপুকে মধুচন্দ্রিমাতেও নিয়ে গেলো না।তাহলে বোধহয় এই রাজপুত্রটা পঁচা হবে তাই না আম্মু?"
কথাটা শুনতেই এদিকে কিনঞ্জল লজ্জায় লাল হয়ে গেছে।মাটির দিকে তাকিয়ে নিজের আচল কুটতে কুটতে কথাগুলো এড়িয়ে যাওয়ার পায়তারা করছে কিনঞ্জল।এদিকে সাফিনের লাগামহীন কথার কাহিনি মোটামুটি সবাই জানে।তাই এই মুহূর্তে এখানে বসে থাকা আর খাদের কিনারায় পা ঝুলিয়ে বসে থাকা দুটোই যে সমান ডেঞ্জারাস তা সবাই বেশ ভালো করেই জানে।তাই একে একে সাক্ষরের বাবা-মা,ফুপি তিনজনই চলে যাওয়ার জন্য উঠে দাড়ালো।কেননা ছেলেমেয়েদের সামনে এই বয়সে এসে অপ্রীতিকর অবস্থায় কোনমতেই পরতে চায় না এরা।সাক্ষরের দাদি যেতে না চাইলেও মেডিসিন নেওয়ার সময় হয়ে গেছে বলে জোড় করে তাকেও নিয়ে বাকিরা চলে গেলো।এখন ছাদে শুধু সাফিন,তাহা,তাহি,কিনঞ্জল আর সাক্ষর বসে আছে।সাক্ষর উঠে গিয়ে নির্বিকার ভাবে দোলনায় একপাশে বসে পড়ল।এখন যে এখানে কি ঘটবে তা খানিকটা হলেও আন্দাজ করতে পারছে সাক্ষর।
তাহি আদুরে কন্ঠে বলল,
"নাতো মামু,সাক্ষর ভাইয়াতো সত্যিই রুপকথার রাজপুত্রের মতো সুন্দর।কিন্তু মামু মধুচন্দ্রিমা কি?এইটা কি কোন যায়গা?
সাফিন এবার মিটমিটিয়ে হেসে বলল,
"না তো আম্মু।মধুচন্দ্রিমা হলো রাজপুত্ররা দূরে ঘুরতে যাওয়ার সময় সঙ্গে এক হাড়ি মধু নিয়ে যায়।তারপর সেখানে গিয়ে তারা মধু খায়।"
কিনঞ্জল যেনো এবার লজ্জায় গর্তে ঢুকে যাবে এমন অবস্থা।সাফিন চাচ্চু এসব কি বলছে?তবে সাক্ষর নির্বিকার হয়েই বসে আছে।যেনো কথাটা সাক্ষরের কাছে খুবই স্বাভাবিক।তাহি এবার বিষ্ময় নিয়ে বলল,
"তাহলে সাক্ষরভাই মধুচন্দ্রিমায় মধূ নিয়ে ঘুরতে গেলে টুকটুকি আপুকে কে নিয়ে যাবে?"
এবার সাফিন একটা গগনবিহারী হাসি দিয়ে বলল,
"তোর টুকটুকি আপুই তো তোর সাক্ষর ভাইয়ের মধুরে মা।আর মধুচন্দ্রিমায় তো তোর রাজপুত্র ভাই এই মধুই খেতে.......।"
সাফিনের কথা শেষ হওয়ার আগেই কিনঞ্জল উঠে দৌড়ে পালানোর পায়তারা শুরু করল।তবে কিনঞ্জল উঠে দাঁড়াতেই সাফিন ধমকে কিনঞ্জলকে দোলনায় সাক্ষরের পাশে বসিয়ে দিলো।লজ্জায় রীতিমতো কিনঞ্জলের কান,নাক লাল হয়ে গিয়েছে।কিনঞ্জল লজ্জা পেলেও সাক্ষরের দিকে আড়চোখে তাকিয়ে বিড়বিড় করে বলল,
"নারে তাহি!তোর সাক্ষর ভাই রুপকথার রাজপুত্র না,রুপকথার বড় বড় দাঁতওয়ালা একটা পিশাচ।আর এর সাথে কোথাও ঘুরতে গেলে দেখবি এই পিশাচটা মধু না তোর টুকটুকি আপুর সব হাড়গোড় চিবিয়ে খেয়ে ফেলেছে।"
বিড়বিড় করে এসব বলেই কিনঞ্জল সাক্ষরের দিকে একটা 'খেয়ে ফেলবো' টাইপ লুক দিলো।ব্যাপারটা সাক্ষর টের না পেলেও সাফিনের নজর এড়ালোনা তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে বলল,
"তাহি মা।তোমার এই পঁচা রাজপুত্রটা কিন্তু খুব ভালো গান জানে।তা কি তুমি জানো?তোমার এই রাজপুত্র ভাই ছোটবেলায় আমার কাছে গান শিখেছে।"
"ওমা!সত্যি মামু?"
তাহি অবাক হয়ে সাক্ষরের দিকে তাকালো সেই সাথে কিনঞ্জলও খানিকটা অবাক হলো।কেনোনা পিশাচটার যে এই গুনটা আছে জানা ছিলো না কিনঞ্জলের।সাফিন তাহাকে কাছে এনে কি বলে যেনো নিচে পাঠালো।আর তাহিকে কোলে নিয়েই বলল,
"শুনবে তুমি এই পঁচা রাজপুত্রের গান?"
তাহি মাথা উপর নিচে ঝাকিয়ে সম্মতি জানালো।তবে ব্যাগ্রা দিলো সাক্ষর নিজেই।বিরক্তি কন্ঠস্বর নিয়ে বলল,
"প্লিজ ছোট চাচ্চু,এখন কিন্তু আমি গান গাইতে পারব না।প্লিজ,জোড় করবে না।"
সাফিন চোখ পাকিয়ে বলল,
"তুই ও গান গাবি আর আমার টুকটুকির বরও গান গাইবে।আমি কোন আরগুমেন্ট চাইনা।তুই যদি এখন টুকটুকিকে ডেডিকেট করে একটা গান না গাস আমি কালকে আবারো ট্যুরে চলে যাবো।টিওবি থেকে এবার জাপানে একটা ট্যুর দিচ্ছে বেশি ক্যাচাল করবি তো আমি চললাম।"
সাক্ষর চোখ ছোট ছোট করে বলল,
"তুমি খুব জেদি চাচ্চু।আর আমি কি খালি গলায় গান গাইবো?এলাকার সব কাক তো উড়ে চলে যাবে।"
"আমাকে ভূগোল বুঝিয়ে লাভ নেই।তুই নিজেও খুব ভালো করে জানিস তোর গানের গলা যথেষ্ট ভালো।তুই 'ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডন' এ পড়াকালীন আমি যেবার প্রথম ইংল্যান্ডে ট্যুর দিয়েছিলাম তুই আর আমি দুজন মিলে এদেশের অসহায় বাচ্চাদের ফান্ডের জন্য ওখানের একটা কন্সার্টে পার্ফম করে ছিলাম।আর সবাই তোর যথেষ্ট প্রশংসাও করেছিলো কারন তুই কোন প্রফেশনাল সিংগার ছিলি না।"
সাক্ষর অসহায় ভঙ্গিতে সাফিনের দিকে তাকাতেই সাফিন আবারো হাই তুলে বলল,
"ইউ ডোন্ট হ্যাভ এ্যনি আদার অপশন বেটা।ইউ হ্যাভ টু ড্যু ইট।"
শেষমেশ সাক্ষর রাজিই হয়ে গেলো।বেসিক্যালি যে কেউ গান গাওয়ার আগে একটু গলা ঝেড়ে কেশে নেয়।তবে সাক্ষর তেমন কিছু না করেই আকাশের দিকে তাকালো।আকাশ জুড়ে আজ পূর্ণ পূর্নিমার চাঁদ।সাথে সাথেই সাক্ষর ঘাড় ফিরিয়ে একবার কিনঞ্জলের দিকে তাকালো।গায়ে একরঙা জুম শাড়ি জড়িয়ে কিনঞ্জল অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে সাক্ষরের দিকে।চাঁদের আলো কিনঞ্জলের নাকে মুখে আছড়ে পরছে।চাঁদের আলোয় কিনঞ্জলের নাকে হীরের নাকফুলটাও ঝলমল করছে।এই মুহূর্তে সাক্ষরের কাছে কিনঞ্জলের মুখটার কাছে দুনিয়ার সমস্ত সৌন্দর্য যেনো ফিকে মনে হচ্ছে।ঘোর লেগে যাচ্ছে ওই মুখপানে চেয়ে থাকতে।ওদের দুজনের দৃষ্টি বিনিময়ের মাঝপথেই সাফিন বুদ্ধি করে তাহিকে কোলে তুলে চুপিচুপি ছাদ থেকে নেমে গেছে।এখন ছাদে শুধুই সাক্ষর-কিনঞ্জল নামের দুজন মানব-মানবীর পদচারণ।কয়েক মূহুর্ত কিনঞ্জলের দিকে ঘোরলাগা দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকেই,চোখ বন্ধ করে ফেলল সাক্ষর।আজ রাতে নিজের এই মুহূর্তের অনূভুতিটুকু মিশিয়েই গান গাইবে সাক্ষর।একটা লম্বা দম দিয়ে গাইতে শুরু করল সাক্ষর,

(গানটা কেউ স্কিপ করে পড়বেন না প্লিজ।গানটা একটু ফিল করার চেষ্টা করুন)
Woh rang bhi kya rang hai
Jo milta na tere honth ke rang se hu-ba-hu
Woh khushbu kya khushbu
Thehre na jo teri sanwari zulf ke ru-ba-ru
Tere aage yeh duniya hai feeki si
Mere bin tu na hogi kisi ki bhi
Ab yeh zahir sareaam hai, elaan hai
Jab tak jahan mein subah shaam hai
Tab tak mere naam tu
Jab tak jahan mein mera naam hai
Tab tak mere naam tu(2)
Uljhan bhi hoon teri
Uljhan ka hal bhi hoon main
Thoda sa ziddi hoon
Thoda paagal bhi hoon main
(এই লাইনটুকু সাক্ষর কিনঞ্জলের চোখে চোখ রেখেই গাইতে লাগল।সেই অন্তর্ভেদী দৃষ্টি দিয়েই যেনো কিনঞ্জের সবটা পড়ে নিবে সাক্ষর।তবে কিনঞ্জল আর বেশিক্ষন সাক্ষরের চোখ চোখ রাখতে পারল না।সাক্ষরের গা ঘেষে বসেই মাথাটা এলিয়ে দিলো সাক্ষরের কাধে।)
Barkha bijli baadal jhoote
Jhooti phoolon ki saughatein
Sachchi tu hai sachcha main hoon
Sachchi apne dil ki baatein
Dastkhat hathon se hathon pe kar de tu
Na kar aakhon pe palkon ke parde tu
Kya ye itna bada kaam hai, elaan hai
Jab tak jahan mein subah shaam hai
Tab tak mere naam tu
Jab tak jahan mein mera naam hai
Tab tak mere naam tu
Jab tak jahan mein subah shaam hai
Tab tak mere naam tu
Jab tak jahan mein mera naam hai
Tab tak mere naam tu
Mere hi ghere mein ghoomegi harpal tu aise
Suraj ke ghere mein rehti hai dharti yeh jaise
Payegi tu khud ko na mujhse juda
Tu hai mera aadha sa hissa sada
Tukde kar chaahe khwaabon ke tu mere
Tutenge bhi tu rehne hain woh tere
Tujhko bhi to yeh ilhaam hai
Elaan hai.....

বাকি গানটুকু সাক্ষর কিনঞ্জলকে জাপটে ধরেই গাইলো।কিনঞ্জল ঘুমের ভাণ ধরেই চোখ বন্ধ করে সাক্ষরের কাধে মাথা এলিয়ে রেখেছে।এই মুহূর্তে আর কিনঞ্জল সাক্ষরের সামনে পড়তে চায় না।এই সময়টাতে কেনো জানি ওর বড্ড সুখ সুখ পাচ্ছে তাই এই সময়টাকে কিনঞ্জল মোটেও নষ্ট করতে চায় না।কে জানে জেগে থাকলে হয়ত আবার একগাদা তেঁতো কথা শুনিয়ে দেবে পিশাচটা।তাই কিনঞ্জল নিজের ঘুমের অভিনয়টা জারি রাখল।মানুষটা ওর জন্য একটা মিস্ট্রি যাকে কিনঞ্জল রোজ নতুন করে আবিষ্কার করছে।সাক্ষরও আরো বেশ কিছুক্ষন ঘুমন্ত কিনঞ্জলকে বুকে জাপটে ধরেই বসে রইল।তারপর কিনঞ্জলকে পাঁজকোলা করে রুমের দিকে পাঁ বাড়ালো।
(চলবে)...

লিখা:~ নাজমুন নাহার তৃপ্তি

 

Delivered by FeedBurner

a