বাবু-প্লীজ নেহা আমাকে একটা বার সুযোগ দাও,আমি তোমাকে আপন করে নিব,প্লীজ শেষবারের মতো তোমাকে ভালোবাসার একটা সুযোগ দাও,,,(কাদঁতে কাদঁতে)
নেহা-মনে আছে সেদিনের কথা,আমি ও তোমাকে হাত জোর করে কেঁদে কেঁদে বলছিলাম, প্লীজ আমাকে ছেড়ে যেওনা,,
বাবু-প্লীজ নেহা এতটা নিষ্ঠুর হও না,আমাকে শেষ বারের মতো ক্ষমা করে দাও,আর তুমি তো আমাকে বলতে ক্ষমা করা মহত্ত্বের গুণ।
নেহা-হুম বলতাম ক্ষমা করা মহত্ত্বের গুণ,কিন্তু এখন আমি মহত্ত্ব না,তোমার মিথ্যা ভালোবাসা আমাকে কঠিন থেকে কঠিনতম তৈরী করছে,,,
বাবু-নেহা শুধু একবার আমার কথা বোঝার......(থামিয়ে দিয়ে)
নেহা-আমি আর কোন কথা শুনতে চাইনা,এই মূহুর্তে তুই আমার সামনে থেকে চলে যা,তাছাড়া আমার চেয়ে খারাপ আর কেউ হবে না বলে দিলাম।(কাঁদতে কাঁদতে)
বাবু কিছু একটা বলতে চেয়েছিলো কিন্তু মজনুর রাগান্বিত চেহারার দিকে তাকিয়ে আর কোন কথা না বলে চলে যায়।
কিছুক্ষন পর নেহা ও দৌড়ে নিজের রুমে যায়,ছাঁদে এখন শুধু মাএ দুজন মানুষ দাড়িয়ে আছে মজনু আর নিশি,দু'জনেই চুপ করে আছে।
কয়েক মিনিট পর মজনু বাবুর কাছে ফোন দেয়,তারপর তাদের মাঝের যে কথা হয়,,,
মজনু-থ্যাংকস দোস্ত, প্লান সাকসেক্সফুল হয়ছে,,,
বাবু-পার্টি কবে দিবি সেটা বল,,
মজনু-হুম আজকে সন্ধায় দিব,তবে তুই কিন্তু খুব সুন্দর অভিনয় করতে পারিস,সামনে তুই অনেক বড় অভিনেতা হতে পারবি।
বাবু-হুম,আর সন্ধায় আমি পার্টিতে এটেন্ড করব,ওখানেই সব কথা হবে।
ফোন কেটে দিয়ে এক পৈশাচিক হাসি দেয় মজনু, কি হলো আপনারা সবাই অবাক হয়ে গেলেন না-কি।
আর অবাক হওয়ারই কথা, আপনারা হয়তো ভাবছেন এতকিছু হয়ে গেলো সব কি তাহলে অভিনয় ছিলো।
হুম অভিনয় ছিলো কিন্তু সবটুকু না,নেহাকে ভালোবাসার গল্পটা এটা সঠিক।
আর একটা কথা যেটা না বললেই নয় তা হলো,বাবুর সাথে যে নেহার ফিজিক্যাল রিলেশন হয়ছিলো ওইটা একচুয়ালি বাবুর সাথে না, মজনুর সাথে হয়ছিল।
কারণ সেদিন রুমের মধ্যে দুইজন ছিলো,আর রুমটা ছিলো অন্ধকার,
আর সবচাইতে বড় কথা হলো মজনু আর বাবুর হাইট ওয়েট দেহের গঠন প্রায় সেম,যার কারণে নেহা এতকিছু বুঝতে পারেনি।
এখন হয়তো আপনারা প্রশ্ন করতে পারেন,এতকিছু কি জন্য করলেন,তাহলে আমি বলবো হারিয়ে যাওয়া ভালোবাসা ফিরে পাওয়ার জন্য।
তাহলে হয়তো আবার প্রশ্ন করবেন, আপনি তো আপনার ভালোবাসা ফিরে পাইছেন,
তাহলে আমি বলবো এটা আমার হারিয়ে যাওয়া ভালোবাসা নয়,এটা আমার আদরের কলিজার টুকরা ছোট বোনের ভালোবাসা।
চলুন ক্লিয়ার করে বলি,আমি যখন নেহার পিছনে ঘুরতাম তখন আমার বোন নিশি আর নেহার ভাই হাসানের রিলেশন ছিলো।
যদি ও আমি জানতাম না কিন্তু পরে নিশিই আমাকে বলছে।
তো নিশি আর হাসান দুজন দুজনকে খুব ভালোবাসতো,আর এখনো বাসে,হাসান বেশ কয়েকবার নিশিকে নিয়ে ওদের বাসায় গেছে।
সবাই মেনে নিলে ও নেহা আর নেহার আম্মু মেনে নেননি, কারণ নিশি একটু শ্যামলা।
এদিকে হাসান বাবা মায়ের কথার বিরুদ্ধে যেতে পারবেনা, কারণ তারা একভাই একবোন(নেহা-হাসান)কখনো বাবা মায়ের কষ্ট দেখতে পারবে না।
যদি ও হাসান এখনো নিশিকে ভালোবাসে কিন্তু বাসায় নিশিকে গ্রহন করবে না দেখে ইদানীং নিশিকে এভয়েড করা শুরু করে,
আর নিশি তো হাসানের সাথে কথা বলতে না পেরে পাগল প্রায়।
তাই আমি এই প্লানিং টা করি,যদি ও আমি নেহাকে আগে থেকেই ভালোবাসতাম।
তবু ও আমার বোনের ভালোবাসা ফিরে দেওয়ার জন্য আমাকে এটুকু অভিনয় আমাকে করতেই হবে।
আমার প্লানের মেইন বিষয় হলো,নেহা এখন বাবুকে ঘৃণা করে আমাকে ভালোবাসতে শুরু করবে,
আমি ও ওকে মন প্রাণ উজার করে ওকে ভালোবাসা দিয়ে ভরে দিব।
একসময় আসবে যখন নেহার পুরো দুনিয়া জুড়ে শুধু আমিই থাকবো।
তখন আমি নেহাকে ইমোশনাল ব্লাকমেইল করে নিশিকে হাসানের সাথে বিয়ে দিব।
তো যাই হোক কথা তো অনেক বললাম এখন গল্পে আসা যাক,
ছাঁদ থেকে নেমে মজনু নিজের রুমে প্রবেশ করে,আর রুমে ঢুকতেই মজনু ৩৩ হাজার ভোল্টের শকড খায়,,কারণ নেহা আত্মহত্যার চেষ্টা করছে।
তাহলে কি মজনুর এতদিনের সব প্লান মাটি হয়ে যাবে,,,,
চলবে,,,,
Writer:-
Md Mojnu Islam