> দিরিলিস আরতুগ্রুল - Dirilis ertugrul - উসমানী সাম্রাজ্য - তুর্কি - Ertugrul ghazi - ইসলামের ইতিহাস
-->

দিরিলিস আরতুগ্রুল - Dirilis ertugrul - উসমানী সাম্রাজ্য - তুর্কি - Ertugrul ghazi - ইসলামের ইতিহাস

তুর্কিঃ Diriliş Ertuğrul

বাংলায়ঃ দিরিলিস আরতুগ্রুল 

ইংলিশেঃ  Dirilis  ertugrul

ইউরোপে যে নামে প্রচার হয়েছেঃ Resurrection Ertugrul (পুনরুত্থান এরতুরুল) 

ক্যাটাগড়িঃ ইতিহাস, যুদ্ধ,ড্রামা, জিবনী

রানিং টাইম প্রতি ভলিউমঃ ১১০ মিনিট থেকে ১৪০ মিনিট 

ভাষাঃ মূল তুর্কি 

অনুবাদঃ ইংরেজী সাবটাইটেল, উর্দু ডাবিং, বাংলা ডাবিং, বাংলা সাবটাইটেল সহ বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ভাষায় ডাবিং ও সাবটাইটেল হয়েছে

যেখানে পাবেন বাংলা ডাবিং ও বাংলা সাবটাইটেলঃ কায়ী পরিবার  ফেসবুক গ্রুপের এবং পেইজের পিন পোস্টে।

ইউটিউবে পাবেনঃ মুল তুর্কি ও উর্দু ডাবিং, বাংলা ডাবিং ইউটিউবে আপলোড করলে কপিরাইটে বল্ক করে দেয়  ৷

নেটফ্লিক্স ও টরেন্ট সাইটে পাবেন ইংরেজী সাবটাইটেল সহ ৷

ফেসবুক থেকে ডাউনলোড করা যায় ৷
-ফেসবুক এপস ওপেন করে দিরলিস আরতগুল এর যেকোন ভলিউম এর লিংক কপি করে বিটম্যাট,স্নাপটিউব,টিউবম্যাট বা ফেসবুক এসডি ডাইনলোডার এপস ওপেন করে ভিডিওটার লিংক পেস্ট করলেই আপনাকে নিয়ে যাবে ডাউনলোড অপশনে তারপর আপনার পছন্দের রেজুলেশন 720/480/360 প্রিন্টে নামাতে পারবেন দিরিলিস ৷

মোট সিজনঃ ৫  
১ম সিজনঃ  ২৬ ভলিউম ( ২০১৫)
২য় সিজনঃ ৩৫ ভলিউম (২০১৬)
৩য় সিজনঃ  ৩০ ভলিউম (২০১৭)
৪র্থ সিজনঃ ৩০ ভলিউম ( ২০১৮)
৫ম সিজনঃ ২৯ ভলিউম ( ২০১৯)

Imdb রেটিং (ইন্টারন্যাশনাল মুভি ডাডাবেজ): ৭:৭/১০ ( ২১,০০০)  

আমার রেটিংঃ ৯:৫/১০

শুটিং স্পটঃ রিভা গ্রাম,  ইস্তাম্বুল,  তুর্কি 

এওয়ার্ডঃ ৯ টি এবং ৩৩ টি মনোয়ন

রেকর্ডঃ ২০১৪ -২০১৯ পর্যন্ত তুর্কি টিভি সিরিজের মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন 

Imdb এ তুর্কি সিরিজে প্রথমে রয়েছে, 

গিনেস বুক রেকর্ডে নাম লেখিয়েছে  দিরিলিসঃ 
এবার গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লেখিয়েছে উসমানীয় সাম্রাজ্যের গৌরবময় উত্থানের সত্য কাহিনি অবলম্বনে নির্মিত জনপ্রিয় তুর্কি সিরিজ ‘দিরিলিস আরতুগ্রুল’।

বুধবার একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানিয়েছে, শ্রেষ্ঠ ড্রামা সিরিজ ক্যাটাগরিতে এই সম্মানজনক মনোনয়ন পেয়েছে আলোচিত এই সিরিজটি।

বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, এ পর্যন্ত সিরিজটি থেকে আয়কৃত লভ্যাংশের পরিমাণ ১ শ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে। গোটা বিশ্বে অন্তত ৩৯ টির ও বেশী ভাষায় ডাবিং হয়েছে দিরিলিস আরতুগ্রুল।

এছাড়া পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন পিটিভিতে সম্প্রচারের  জন্য উর্দু ভাষায় প্রথম রমযান থেকে প্রতিদিন এক পর্ব করে  ডাবিং প্রচারিত হচ্ছে ।
ইউটিউব রেকর্ড ভেঙে ফেলেছিলো একটুর জন্য প্রথম পর্ব প্রচারের পর ১ কোটির উপরে দর্শক দেখেছেন এবং যেখানে নরমালী পিটিভির সদস্য ৪০ হাজারের মতন ছিলো সেখানে দিরিলিস প্রচারের পর এ পর্যন্ত প্রায় ৬০ লাখ সদস্য হয়েছেন ৷ 
যদি একমাসের মধ্যে  ৬৬ লাখ সদস্য হয়ে যেত তাহলে ইউটিউবের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিতো ৷ 

সারাবিশ্বের অন্ততপক্ষে ৩ শ’ কোটি দর্শক (সারা  বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক)  আলোচিত এই সিরিজটি দেখেছেন বলে জানিয়েছে গণমাধ্যমগুলো।

আল উম্মাহ আরবি অবলম্বনে বেলায়েত হুসাইন , ( ১১/১২/১৯)

যাদের প্রযোজনাঃ 
পরিচালকঃ মেতেন গুনেয় 
প্রযোজক ও লেখকঃ মেহমেত বোজদেগ 
ফিল্ম স্পন্সরঃ তেকতেন ফিল্ম 

সিরিজটি তৈরীতে উদ্যাগ নেনঃ তুরস্কের বর্তমান  প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোয়ান

সম্প্রচারঃ  ২০১৪ সালের ১০ ডিসেম্বর প্রথম ভলিউম প্রচার হয় এবং ৬ জুন ২০১৯ সালে শেষ ভলিউম ( ১৫০)   প্রচারের মাধ্যেমে শেষ হয় সিরিজটি ৷

যে টিভি তে প্রচারিত হয়ঃ TRT 1 টিভি ( তুরস্ক রেডিও এন্ড টেলিভিশন সরকারী টিভি)  

আন্তর্জাতিক সম্প্রচারঃ আমেরিকা,
যুক্তরাজ্য,কানাডা,সোমালিয়া,ব্রাজিল,আফগানিস্তান,পাকিস্তান,বাংলাদেশ,আলবেনিয়া, আলজেরিয়া,আজার বাইজান, বসনিয়া, চিলি, ইন্দোনিশিয়া, জর্দান,কাজাখাস্তান,দঃআফ্রিকা,উজবেকিস্তান,তিউনিশিয়া, উত্তর সাইপ্রাস,কাতার,আরব দেশ সমূহ,বিশ্বের প্রায় ৫০ টির উপরেদেশে,

ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটঃ

১২২৫ সালে  মধ্য এশিয়া থেকে চেঙ্গিস খানের মঙ্গলবাহিনীর তাড়া খেয়ে আনাতুলিয়াতে( বর্তমান তুর্কি)  যাযাবর এক গোষ্ঠী তাবু গেড়েছে,  তাদের গোষ্ঠীর নাম কায়ী গোষ্ঠী, আনাতুলিয়া তখন সেলজুক রাজ্যর অধীনে , সেলজুক রাজ্যর সুলতান তখন আলা উদ্দিন কায়কোবাদ।
কায়ীদের  তাবুর সংখ্যা প্রায় ২০০০ ,লোক সংখ্যা রয়েছে প্রায় ৬০০০ মতন, কায়ী গোষ্ঠীর প্রধান নেতা হলেন  সুলেমান শাহ।
সুলমান শাহের  চার ছেলে,  
সুলেমান শাহ বিয়ে করেছেন দুটি, প্রথম স্ত্রী মারা যাবার পরে হাইমে হাতুন কে বিয়ে করেন, প্রথম স্ত্রীর ঘরে একটি ছেলে সন্তান জন্ম নেয়, নাম তার গুন্দারো , হাইমে হাতুনের ঘরে জন্ম নেন তিন সন্তান
সুনগুর তেকিন, আরতুরুল, দুন্দার,  

এদিক দিয়ে আরতুরুল হলেন তৃতীয়  সন্তান,  
 
কায়ী গোষ্ঠীর সাহসী কামার আগুনের কুন্ডলী থেকে একটি লোহাকে পিডানোর জন্য তুলেছেন, তার সাথে কায়ী গোষ্ঠীর ভবিষৎ যুবক ,
সাহসী কামার লোহাকে তুলেই হাতুরি দিয়ে পিডানো শুরু করছেন আর বলছেন "হাইদির আল্লাহ্ " হাকতির আল্লাহ্ "
তার সাথে সাহসী যুবকটিও হাতুরি পিডাচ্ছে আর 
"হাইদির আল্লাহ্ হাকতির আল্লাহ্ " স্লোগান তুলেছে ৷
এ দৃশ্যপট দেখানোর মাধ্যেমে সিরিজটি শুরু হয়,

সাহসী কামারটি ছিলেন “দেলিদেমির ওস্তাদ” আর সাহসী যুবকটি হলেন উসমানীয় সাম্রাজ্যর স্বপ্নদ্রষ্টা আরতুগ্রুল গাজী,

আরতুগ্রুল গাজীর তিন ঘনিষ্ঠ সহচর 
তুরগুত ,বামসী, দোয়ান,  
এ তিনজনকে নিয়ে তিনি রওনা হলেন শিকারে যাবেন,  
আল্লাহু আকবার ধ্বনী দিয়ে ঘোড়া ছুটিয়ে চলছেন শিকারের খোঁজে।
শিকার খোঁজতে গিয়ে অমানুষ যে শিকার করে ফেলেছেন আজ!

নাইট টেম্পলার তিতুশের ভাই বিষুল যে মুসলিম তিনজন কে বন্দী করে নিয়ে যাচ্ছে মোনাফেক খ্যাত  সেলজুক আমির কারাতোয়াগারের কাছে। কারন বন্দী যে খুবই মূল্যবান ৷
বন্দীরা হলো সেলজুক সাম্রাজ্যর সুলতান আলাউদ্দিন কায়কোবাদের বড় ভাই শাহজাদা নোমান, ও তার ছেলে ইঘিত ও তার মেয়ে হালিমা সুলতানা৷

বন্দীদের নিয়ে যাচ্ছে তিতুশের ভাই বিষুল, পথিমধ্যে  ঘোড়া ও মানুষেরজন্য পানি পানের বিরতী চলছে,  এ সুযোগে শাহজাদা নোমান বন্দী খাঁচা থেকে পালিয়ে যাচ্ছেন, কিন্তু বিধিবাম অল্প একটু যাবার পরে তারা ধরা পরে যান নাইটদের হাতে,  ব্যস এখন তাদের খুব নির্যাতন করছে। 

এমন সময় এমন বিপদে কে বাঁচাবে?
নোমান চিৎকার করে বললেন ইয়া আল্লাহ্ সাহায্য করো।

এ কথা বলার পরেই দেখা যায় শিকার ছেড়ে চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে চলে এসেছেন আরতুগ্রুল,  ব্যস এসব দেখে সহ্য করতে না পেরে জালিমদের বিরুদ্ধে একাই লড়াই শুরু করে দিলেন, তারপর তার তিন সহচর ও ঘটনা স্থলে আসলেন তার নাইটদের কচুকাটা করে হত্যা করে শাহজাদা নোমানদের রক্ষা করলেন ৷

এটা প্রথম ভলিউমের প্রথম ফাইটিং দৃশ্য এ ফাইটিং দৃশ্যতে মধু লাগানো রয়েছে ৷ এদৃশ্য দেখে লক্ষ লক্ষ মানুষ দিরিলিস ভাইরাসে আজ আক্রান্ত ৷

দিরিলিসে গ্রাফিক্স বা উন্নত মানের ইডিড নেই বলতে,  যতই দেখবেন মনে হবে সব বাস্তবিক। আরতুগ্রুল ছোট চুরি  ও লম্বা তরবারী দিয়ে যুদ্ধ করেন, তিনি আবার বাহাতি,
তুরগুত লড়াই করেন কুঠার দিয়ে,
দোয়ান লড়াই করেন ঢাল ও তরবারী দিয়ে, 
আর বামসী তার তো সব সময় দুইটি তরবারী ছাড়া চলে না।

★১ম সিজনে ঘরের বিশ্বাষঘাতকদের সাথে এবং নাইট টেম্পলারদের সাথে লড়াই করতে করতে শেষ হয় এবং পরিশেষে নাইট টেম্পলারদের দুর্গ অামানোস পর্বত বিজয় করেন আরতুগ্রুল বেইম।

★২য় সিজনে দেখা পাবেন পৃথিবীর নিকৃস্ট বাহিনী মঙ্গল বাহিনী,  যারা ছেয়েছিলো পুরো পৃথিবী দখল করার, মঙ্গল বাহিনীর প্রধান চেঙ্গিস খান বাহিনী ভারত, চীন, এশিয়া দখল করে আফ্রিকা দিয়ে ডুকে ইউরোপ দখল করতে পারলে তারা পুরো পৃথিবী দখল করে ফেলতো,  কিন্তু তাদের এ জয়রথ কে থামিয়ে দেন মামলুক সুলতান সাইফ উদ্দিন কুতুজ ও সেনাপ্রধান রুকুন উদ্দিন বাইবার্স, ১২৬০ সালে আইনজালুত প্রান্তরে মঙ্গলদের সমস্ত অহংকারকে ধুলৎসাত করে ইসলাম কে বিজয়ী করেন সুলতান বাহিনী। মঙ্গলরা  বাস্তবে খুব নিকৃস্ট ও ভয়ংকর ছিলো। তাদের দয়ামায়া বলতে কিছু নেই, শিশু ছেলে যখন তিন বছরের তখন থেকেই শিশু ছেলেকে পরিপূর্ণ বেগে তীর ও ঘোড়া চালানো শিখতে হবে,  যদি কোন শিশু এসব পারে না তাহলে মঙ্গল সমাজে সে খুবই দুর্বল ও অবহেলিত হয়ে বেঁচে থাকে। আরতুগ্রুল বে খুব লড়াই করেন মঙ্গল বাহিনী ও নিজের বিশ্বাষঘাতক মোনাফেকদের সাথে ৷
২য় সিজনের শেষে বাইজেইন্টাইন সাম্রাজ্যর উদ্দেশ্য রওনা হোন ৷ যেখানে রয়েছে রাসূল ভবিষৎ বাণী করা কন্সটান্টিনোপেল দুর্গ যা পৃথিবীর সমস্ত দুর্গ থেকে সুরক্ষিত ও শক্তিশালী ৷

★ ৩য় সিজনে শুরু হয় ২য় সিজন এর কাল্পনিক ছয় বছর পর সেখানে নাইট টেম্পলার, খ্রিষ্ঠান দুর্গ, এবং পাশের বসতি চাভদার বিশ্বাষঘাতকদের সাথে লড়েন,  পরিশেষে নাইট টেম্পলারদের দখলে থাকা বানিজ্যর প্রাণকেন্দ্র হানলি বাজার দখল করেন।

★ ৪র্থ সিজনে শুরু হয় সুলতান আলাউদ্দিন কায়কোবাদের চ্যাপ্টার ,সাথে তো রয়েছে নিজেদের মোনাফেক বিশ্বাষঘাতকরা, তাদের সাথে লড়াই এবং খ্রিষ্ঠান বাহিনীর সাথে লড়াই চলে,  সিজন ৪ য়ে সবচে গুরুত্বপূর্ণ কারাযাইসার দুর্গ দখল করা হয় ৷ সিজন ৪ শেষে সুগুতের দিকে রওনা হোন।

★ ৫ম সিজনপ শুরু হয় ৪র্থ সিজন এর কাল্পনিক দশ বছর পরে, সিজন ৫ হলো সবচে গুরুত্বপূর্ণ সিজন, একদিকে নিজেদের মধ্যে মোনাফেক, বিশ্বাষঘাতক, আরেকদিকে নাইট ও খ্রিষ্ঠানরা আরেকদিকে মঙ্গল বাহিনী ৷
মানে চারিদিকে বিপদ একটু পা পিছলেই শেষ ৷
গুরুত্বপূর্ণ বিজয় সুগুত বাজার  দখল এবং আরতুগ্রুল বে সীমান্তের গভর্নর হোন ৷
সিজন ৫ এর মাধ্যমে শেষ হয় "দিরিলিস আরতুগ্রুল " 

দিরিলিসে আপনি কি পাবেন না?
দিরিলিসে পাবেন রহস্য,  ক্রাইম, বিশ্বাষঘাতকতা, যুদ্ধ, ভালোবাসা, ভ্রাতৃত্ব,  আনুগত্য ,  উপদেশ, হাসি,  কান্না, দুঃখ, সুখ, ন্যায় বিচার, নিতী রিতী,  মানে এ টু জেড সব পাবেন দিরিলিসে,  

১ আমি ন্যায় বিচার শিখেছিঃ আরতুগ্রুল বের কাছ থেকে,
২.আমি আনুগত্য শিখেছিঃ তুরগুত, বামসী দোয়ানদের কাছথেকে,
৩.আমি ভালোবাসা শিখেছিঃ হাইমে হাতুন,হালিমা সুলতানার কাছ থেকে 
৪.আমি রিতীনিতী শিখেছিঃ সুলেমান শাহের কাছ থেকে,
৫.আমি বিশ্বস্ততা শিখেছিঃ আর্তুক বে, আতসিজ বে, আলিয়ার বে,  ক্লাডিয়াস ওমর,  সুলেমান, সুনগুর তেকিন, মারগেন, হাচাতুরিয়ান উস্তাদের কাছথেকে 
৬.আমি ধৈর্য্য শিখেছিঃ ইবনে আরাবীর কাছ থেকে,
৭.আমি শত কস্টে দুঃখে ঘুড়ে দাড়াতে শিখেছিঃ আরতুগ্রুল বেইমের কাছ থেকে।

নভেম্বর ১৯ সাল থেকে প্রতি বুধবারে তুর্কির atv তে প্রচার হয় "কুরুলুস উসমান"

আপনি কি জানেন ইসলামের মূল  খেলাফত কয়টি ?

চারটি 

১.খুলাফায়ে রাশেদীন 
২.উমাইয়া খেলাফত 
৩.আব্বাসী খেলাফত 
৪.উসমানী খেলাফত,

এরমধ্যে সবচে বেশী ঠিকেছে উসমানীয় খেলাফত,  
১২৯৯ সাল থেকে ১৯২৪ সাল পর্যন্ত প্রায় ৭০০ বৎসর  ঠিকেছিলো ইসলামের স্বর্নউজ্জল  উসমানী খেলাফত।

উসমানীয় সাম্রাজ্যর প্রথম সুলতান হলেন আরতুগ্রুল গাজীর তিন নং সন্তান উসমান গাজী ৷
উসমানীয় সাম্রাজ্যর স্বপ্নদ্রষ্টা ছিলেন আরতুগ্রুল গাজী
তিনি ছেয়েছিলেন ন্যায় ইনসাফের ভিত্তিতে একটি ইসলামী খেলাফত কায়েম করার,  তাই তিনি অামৃত্যু লড়েছেন ইসলামী খেলাফত প্রতিষ্ঠার জন্য ৷
উসমানীয়দের পূর্ব পুরুষ আরতুগ্রুল গাজীর জীবনির উপরে নির্মিত হয়েছে "দিরিলিস আরতুগ্রুল টিভি সিরিজ "
এবং দিরিলিসের পরে নির্মিত হয়েছে আরতুগ্রুল গাজীর ছেলে উসমানীয় সাম্রাজ্যর ভিত্তি স্থাপনকারী উসমানের জীবনি নিয়ে "কুরুলুস উসমান" টিভি সিরিজ বর্তমান কুরুলুস উসমানের সিজন ১ প্রচার শেষ হয়েছে,  আগামী নভেম্বর /ডিসেম্বরে শুরু হবে সিজন ২ প্রচারের কাজ ৷

উসমানীয় সাম্রাজ্যর ছিলেন প্রায়  ৩৬ জন সুলতান 
প্রথম সুলতান উসমান গাজী এবং শেষ সুলতান ছিলেন দ্বিতীয় আব্দুল হামিদ ৷ শেষ সুলতান দ্বিতীয় আব্দুল হামিদের জীবনি নিয়ে নির্মিত হয়েছে " পায়িতাহত সুলতান আব্দুল হামিদ টিভি সিরিজ " 
বর্তমানে জমজমাট হয়ে চলছে এ তিনটি সিরিজ ৷ 
এ সিরিজগুলো দেখলে মুসলিমরা তাদের হারানো গৌরবময় ইতিহাসকে ভালো করে জানতেও বুঝতে পারবে ৷ তাই আমি বলবো আপনি আগে দিরিলিস আরতুগ্রুল সিরিজটি দেখেন ৷ প্রথম ভলিউমটা দেখেন যদি ভালো না  লাগে তাহলে  আর দেখার দরকার নেই ৷

এটার নির্মান ব্যয়   নিয়ে নিশ্চিত কোন তথ্য পাওয়া যায় নি তবে অনেকের কাছ থেকে জানা যায় এটার প্রতি ভলিউমে প্রায়  ৫০ লক্ষের উপরে  ব্যয় হয়েছে ৷

 নির্মান সম্পাদনাঃ মেহমেত বোজদাগ  সিরিজটি প্রযোজনা করেন এবং মেতিন গুনেয় পরিচালনা করেন। আল্পায় গোক্তেকিন  এর আবহ সঙ্গীত প্রস্তুত করেন। তুরস্কের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল টিআরটি ১-এ ২০১৪ এর ১০ ডিসেম্বর থেকে প্রতি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা ৫৫ মিনিটে সম্প্রচার করা হয়েছিলো ,

সিরিজটির যাযাবর পরিবেশের কোরিওগ্রাফির জন্য হলিউডের এক্সপেন্ডিবলস ২, রোনিন ও কোনান দ্য বারবারিয়ানের মত চলচ্চিত্রের কোরিওগ্রাফার টিমকে তুরস্কে আমন্ত্রণ জানানো হয়, যারা অভিনেতা, ঘোড়া ও অন্যান্য দৃশ্যের জন্য বিশেষ কোরিওগ্রাফির ব্যবস্থা করেন।

সেটে সর্বদা ২৫টি ঘোড়া ও একজন পশুচিকিৎসক সবসময় উপস্থিত রাখা হয়। এছাড়া, সিরিজের প্রয়োজনে রিভাতে একটি ঘোড়াশালও নির্মাণ করা হয়। চিড়িয়াখানার মত করে ছোট আকারের একটি বিশেষ এলাকাও প্রস্তুত করা হয় যাতে শুধু ঘোড়াই নয়, সিরিজের দৃশ্যায়নে প্রয়োজনীয় অন্যান্য পশুপাখিও রাখা হয়েছিলো।

শিল্প নির্দেশনার ক্ষেত্রেও এটি তুর্কি সিরিজের একটি অন্যতম মাইলফলক। সিরিজের প্রয়োজনে তুরস্কের বিভিন্ন স্থান থেকে তামা ও অন্যান্য ধাতুর সরঞ্জামাদি সংগ্রহ করা হয় ৷

বিঃদ্রঃ  আগামী ১০ ডিসেম্বর "দিরিলিস  দিবস " পালন করবো এবং ফেসবুকের সব দিরিলিসিয়ানরা তাদের প্রোফাইল ফটো আরতুগ্রুল বেইমের ফটো লাগাবে (ইনশাআল্লাহ্)   ,

দিরিলিস দেখে যারা ইসলাম গ্রহণ করেছেনঃ 

বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করা সুপারহিট তুর্কি টিভি সিরিয়াল ‘দিরিলিস আরতুগ্রুল’ বা দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে ইসলাম গ্রহণ করেছেন মেক্সিকান দম্পতি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে একটি সম্মেলনে এই সিরিয়ালটির অভিনেতাদের একজনের সাথে সাক্ষাত করার পরে ইসলাম গ্রহণ করেন ওই মেক্সিকান দম্পতি। সিরিয়ালটিতে আবদুর রহমান আল্প চরিত্রে অভিনয় করা সেলাল আল একটি মুসলিম সংস্থার অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন। তিনি মুসলিম আমেরিকান সোসাইটির (এমএএস) ২২তম বার্ষিক সভায় অংশ নিয়ে সিরিয়াল এবং তুরস্ক সম্পর্কে আলোচনা করেছিলেন। তিনি যাকাত ফাউন্ডেশনের অতিথি হয়ে এসেছিলেন। পরে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মুসলমানদের এই সংস্থা কতৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবার সাথে দেখা করেন। অনুষ্ঠানের শেষে এক মেক্সিকান দম্পতি এই বিখ্যাত অভিনেতার হাতে কালেমায়ে শাহাদাত পড়ে ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন। মেক্সিকান দম্পতি বলেন, ‘আমরা তুর্কি টিভি সিরিজ ‘দিরিলিস আরতুগ্রুল’ দেখে এবং বিশ্বজুড়ে তুরস্কের মানবিক কার্যক্রমে প্রভাবিত হয়ে ইসলাম গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ মুসলিম হওয়ার পরে অভিনেতা সেলাল আল ওই দম্পতিকে ইংরেজি ও স্প্যানিশ ভাষার দুটি কুরআন ও তুরস্কের পতাকা উপহার দিয়েছেন। অভিনেতা সেলাল আল বলেন, ‘‘এটা আমাদের জন্য আনন্দের বিষয় যে বিশ্বের মানুষেরা তুরস্কের মানবিক কর্মকা-ে খুব আগ্রহী। লস অ্যাঞ্জেলেসে এর উদাহরণ দেখে আমি অনেক খুশি।’’
----- সূত্রঃ যুগান্তর অনলাইন… …

কালের কন্ঠ   ২৩ মার্চ, ২০১৯  এর বরাতে জানা যায়, 
ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করবেন ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো। এমনটি জানালেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগ্লু। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুতকে বরাত দিয়ে এমন খবর প্রকাশ করেছে ‘গেজেট দুভার’।

মেভলুত জানান, গত বছর মাদুরো তাকে বলেছেন তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে পারেন।

বৃহস্পতিবার তুরস্কের আলিনিয়া শহরে অবস্থিত আলাদ্দিন কেইকুবাত বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতা দেয়ার সময় মেভলুত বলেন, মাদুরো ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে পারেন এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

তিনি বলেন, ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে ভেনিজুয়েলার রাজধানী কারাকাসে মাদুরোর সঙ্গে বৈঠক হয়। ওইসময় ওসমানিয়া সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতাকে নিয়ে নির্মিত টিভি সিরিজ ‘আরতুগ্রুল’ দেখার পর ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছিলেন মাদুরো।

‘বৈঠকের সময় সিরিজ নিয়ে কথা হলে মাদুরো চিৎকার করে দাঁড়িয়ে উঠেন, এবং ‘আরতুগ্রুল’ সিরিজের সব চরিত্রের নাম বলতে বলতে বসে যান।’

মেভলুত জানান, মাদুরো সেসময় বলেছেন, এই সিরিজগুলো ইসলাম সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান দেয়, এবং সিরিজগুলোকে ধন্যবাদ, একদিন আমি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করবো।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত আরো বলেন, আমরা মাদুরোর মুখ থেকে এমন কথা শুনে অনেক আনন্দিত।

তবে ঠিক কবে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করছেন মাদুরো সে সম্পর্কে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায় নি।

মাশাআল্লাহ্ আরো অনেকে ইসলামের দিকে ঝুকছেন

দিরিলিস দেখে যারা প্রভাবিতঃ

১.তুর্কির বর্তমান প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোয়ান,
এরদোয়ান কে এ ধারাবাহিক সিরিজ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে  এভাবেই উত্তর দেন। সময় হলে দেখি কিন্তু আমার নাতি নাতনীরা এগুলো দেখার জন্য পাগল, প্রথমে দিরিলিস দেখে এরপর পাইতাহত সুলতান আব্দুল হামিদ দেখে, সুলতান আব্দুল হামিদ খানে পরিবেশিত তখনকার অবস্থাগুলো যদি পর্যালোচনা করি  তাহলে দেখি, এখনো পশ্চিমারা একই খেলা খেলছে ৷ আবার ও বলছি তাদের সাথে যা করেছিলো আমাদের সাথেও একই খেলা খেলছে ৷ শুধু সময় ও ব্যক্তির পরিবর্তন ঘটেছে,
আমাদের দেশের যুবকদের নিয়ে আমি প্রায় কথা বলি,  আমার ধারনা   দিরিলিস যুবকদের  এক প্রাণসঞ্চার করবে… , যা আমি সত্যিই বিশ্বাস করি, এজন্য এগুলোতে কাজ করায় সকলকে ধন্যবাদ জানাই , এটা আমাগের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের  অন্যতম সফলতা,   নিজেদের পণ্য আর হ্যাঁ ! এগুলো ইউরোপ কিংবা গলফ দেশগুলোতে অনেক  বেশী দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে ৷ যখন ঐ দেশগুলোতে সফরে যাই তখন সবাই আমাকে ধন্যবাদ জানায় ৷
(সূত্রঃ এরদোয়ান দ্যা চেঞ্চ মেকার বই পৃস্টা ১৮০)

২.পাকিস্তানের  বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ,
তিনি এতটাই অনুপ্রানিত হয়েছেন যে দিরিলিস কে পাকিস্তানের সরকারী টিভি পিটিভিতে সম্প্রচার করার নির্দেশ দিয়েছেন, ইমরান খান আরো বলেন যুবকদের চরিত্র গঠনে দিরিলিস অবদান রেখেছে,

৩.পাকিস্তানের ক্রিকেটার শহীদ আফ্রিদী এক টুইটে বলেছে মুসলিমদের গৌরবময় সেনালী ইতিহাস জানার জন্য দিরিলিস অনন্য অবদান রাখছে, আমাদের সবার দিরিলিস দেখা উচিত,

৪.পাকিস্তানের ক্রিকেটার আমীর এক টুইটে ভারতের বিরাট কোহলী কে একটি ফটোতে ট্যাগ দিয়ে লিখেছেন ভাই এটা কি তুমি,   ফটো টি ছিলো দিরিলিসের অভিনয় করা দোয়ান আল্পের ৷ দোয়ান আল্পের সাথে কোহলির অনেক মিল রয়েছে ৷ 
পাকিস্তানে খুব প্রভাব ফেলেছে দিরিলিস ৷

ডাঃ জাকির নায়েক বলেছেন আপনি যদি হলিউড, বলিউড মুভি  সিরিজে আসক্ত থাকেন তাহলে আপনি দিরিলিস সিরিজটি দেখুন, হলিউড বলিউড মুভি থেকে  ১০০ % ভালো দিরিলিস সিরিজ,
আমি বলছিনা দিরিলিস দেখা যায়েজ।

সিরিজে কি সব সত্য ইতিহাস?

যেহেতু এটি একটি টিভি সিরিজ তাই শতভাগ সত্য ইতিহাস পাবেন না, বইয়েও শতভাগ ইতিহাস পাওয়া যায় না, একমাত্র কেরআন ও হাদীস বাদে বাকী বইয়ের লেখা শতভাগ সত্য না হতে পারে,,
সিরিজ তৈরীর জন্য কিছু কাটসাট করা হয়েছে তবে বেশীর ভাগই ইতিহাস নিয়ে তৈরী,  আপনি ইতিহাস জানতে হলে কিছু বই পড়ুন উসমানীয় সাম্রাজ্য নিয়ে।

সিরিজ নিয়ে নেগেটিভ মন্তব্যঃ 

ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ, মিশরের ইফতা বোর্ড, আরবদেশের ফতোয়া বিভাগগুলো দিরিলিস কে হারাম বলেছে,
তারা বলেছে বে পর্দা ও মিউজিক ব্যবহার করা হয়েছে এরজন্য এটি হারাম  
অনেকে মনে করতে পারেন যেহেতু এটি ইসলাম কে প্রমোট করছে সেহেতু হয়তো এটা জায়েজ, এ ধারনা যাতে জন্ম না নেয় সে জন্য তারা দিরিলিসের উপরে ফতোয়া দিয়েছেন ৷ পৃথিবীর কোন মুভি সিরিজই হালাল না।

বিঃদ্রঃ নোংরা, অশ্লীল, সুলতান সুলেমান সহ আরো অনেক পচা সিরিজ মুভি রয়েছে ঐ গুলো তে ফতোয়া বিভাগ নীরব কেন?  

বাংলাদেশে ২০১৬ সালে সীমান্তের সুলতান নামে একুশে টিভিতে দিরিলিস প্রচার হয় কিছুদিন প্রচারের পর বন্ধ হয়ে যায়,  তারপর পর একি বছর মাছরাঙা টিভি বাংলা ডাবিং করে দিরিলিস প্রচার করে এবং সিজন ১ ও ২ বাংলা ডাবিং করে প্রচার বন্ধ করে দেয় ৷ তাই সিজন ৩-৫ পর্যন্ত বাংলাদেশের দর্শক বাংলা সাবটাইটেল দিয়ে সিরিজটি দেখছেন ৷

যারা নতুন দিরিলিস দেখবেনঃ  আপনারা  মাছরাঙা টিভি যেটা বাংলা ডাবিং করে ৪০ মিনিটের পর্ব প্রচার করেছে সেটা দেখবেন না, যেহেতু মাছরাঙা টিভির মালিক খ্রিষ্ঠান স্যামচন এইচ চৌধুরী তাই ওরা তাদের জাতি ভাই খ্রিষ্ঠানদের পক্ষ নিয়ে মূল দিরিলিসের  কিছু অংশ কাট সাট করে প্রচার করেছে,  তাই অাপনি দুই ঘন্টার মূল ভলিউম গুলো দেখবেন লিংক আমাদের কায়ী পরিবার ফেসবুক পেইজ এবং গ্রুপের পিন পোস্টে সব দেওয়া আছে। 

যারা পুরাতন দেখসেনঃ আপনারা দিরিলিস সিজন ১ও২ নতুন করে ভলিউম আকারে দেখুন, তাহলে জানতে পারবেন মাছরাঙা টিভি কত কারচুপি করেছে ৷

(যা তথ্য দিলাম উইকিপিডিয়া , যুগান্তর, ইনকিলাব, আল জাজিরা, আওয়ার ইসলাম এগুলোর) 

আমার মতামতঃ আপনি যদি  মুভি সিনেমা দেখে সময় লস করেন তাহলে আপনার জন্য রয়েছে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ড্রামা সিরিজ" দিরিলিস আরতুগ্রুল " এটা একটা নেশা লাগানো সিরিজ,  রাতদিন ভুলে যাবেন এ সিরিজের নেশায়,  ঘুমের মধ্যেও স্বপ্ন দেখবেন যুদ্ধ করছেন আরতুগ্রুল, তুরগুত, বামসীদের সাথে, আপনার ঘুমন্ত বিবেক, ঘুনেধরা হৃদয়কে উজ্জবীত করার জন্য দিরিলিস দেখুন। পুরো পরিবার কে নিয়ে সিরিজটি দেখতে পারবেন। অশ্লীলতার ছিটেফুটেও নেই ৷

যাদের জন্য এ সিরিজ বাংলায় দেখতে পেলামঃ প্রথমে মাছরাঙা টিভি  বাংলা ডাবিং করে ৪০ মিনিটের পর্ব প্রচার করেছে এরজন্য তাদের ধন্যবাদ ৷
তারপর এ পর্বগুলি কস্ট করে সংগ্রহ করেছেন খলিলুর কাদেরী ভাই এবং তিনি ফেসবুকে প্রথম ও দ্বিতীয় সিজনের মোট ২১৬ পর্ব আপলোড করে দিরিলিস অনলাইনে প্রচার করেছেন তার জন্য ধন্যবাদ রইলো৷

তারপর সিজন ১ও ২, বাংলা ডাবিং ৪০ মিনিটের পর্বগুলো কে মূল ভলিউম ২ ঘন্টার আকারে করেছে আযমি পথিক ফেসবুক পেইজ এবং তারা সিজন ৩ ও ৫ বাংলা সাবটাইটেল করে আমাদের দেখার সুযোগ করে দেবার জন্য আযমী পথিকের মেহেদী হাসান রাফি ও মাহমুদ হিশাম ভাইকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে মোবারকবাদ জানাই।
আর সিজন ৪ বাংলা সাবটাইটেলের জন্য আমরা মুসলিম পেজের রতন ভাই ও তাহযীব মিডিয়ার সাদ বিন মনির ও ইসলামী অনুবাদের বদিউজ্জামান মজনু ভাইকে  জানাই শুকরান  যাজাকাল্লাহ্।

আমাদের লক্ষ্যঃ বাংলার প্রতিটি পরিবার সুস্থ সংস্কৃতির দিরিলিস সিরিজটা দেখুক,  তারা বস্তা পচা নোংরা অশ্লীলতা থেকে বিরত থাকুক,  যাহাতে সুস্থ সংস্কৃতির  ইতিহাস বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছায় সেই উদ্দেশ্যই দিরিলিস আমরা প্রচার করি ৷
লক্ষ্য করা গেছে করোনার সময় মার্চ ২০২০ থেকে বর্তমান পর্যন্ত সবচে বেশী দিরিলিস দর্শক বেড়েছে। যেখানে আগে দিরিলিস  গ্রুপগুলোর মেম্বার সংখ্যা ৪০,০০০ হাজার, ২০ হাজার, ১৫ হাজার ছিলো সেখানে দর্শক এ কয়েকমাসে ডবল বেড়ে গেছে। ইনশাআল্লাহ্ এমন একদিন আসবে বাংলাদেশের প্রতিটি কিশোর, যুবক, বৃদ্ধ, নারী, সবাই বেশী বেশী দিরিলিস, কুরুলুস সুস্থ সংস্কৃতির সিরিজ & মুভি দেখবে৷ 



হাইদির আল্লাহ্ 
হাকতির আল্লাহ্



Writer:- Abdullah Al Layke 
NEXT ARTICLE Next Post
PREVIOUS ARTICLE Previous Post
NEXT ARTICLE Next Post
PREVIOUS ARTICLE Previous Post
 

Delivered by FeedBurner