১. এই বৃষ্টিতে কবর হয়ে যাও ঘাস,
নেমে আসুক টুপটাপ জলের ছাট-
মাটি শোনো মৃত আমার দীর্ঘশ্বাস!
~কিঙ্কর আহসান
২. মানুষ, মানুষ খেলা ভালো লাগেনা আর। আমি বরং চাই পাখির জীবন। মানুষ থেকে পালিয়ে একটু সহজভাবে বাঁচা যাবে হয়তো তখন!
~কিঙ্কর আহসান
৩. থাকলে মন খারাপের ঝুঁকি,
আমি অতীতে দেই উঁকি!
~কিঙ্কর আহসান
৪. বড় বেশি সহজে পেলে, মানুষ বোঝেনা দাম,
পুড়িয়ে অবহেলায়, করে যায় বদনাম!
ইতিহাস রাখে সকল হিসাব, হোক যতই দেওয়া ফাঁকি,
তাইতো হারালে, দেয়ালে দেয়ালে ভালোবাসার ছবি আঁকি!
~কিঙ্কর আহসান
৫. ভেবেছো অপেক্ষায় থাকবো জনমভর?
মানুষ ঠিকই ভুলে যায়, যেভাবে
নদী শুকিয়ে জাগে চর!
~কিঙ্কর আহসান
৬. আমার আর কিছু অবশিষ্ট নেই,
যা ছিল ফুরিয়ে গেল,
জীবন, সময়, স্বপ্ন-সবকিছু, অপচয়-এলোমেলো,
আমি খুব গোছানো ছিলাম, এখন আদিম-বন্য,
কিছুই আর অবশিষ্ট নেই,
নিজেকে পুড়িয়েছি তোমার জন্য।
~কিঙ্কর আহসান
৭. মরে গেলে নদী হবো।
জল দিও, চোখের জল,
কাতর হও শোকে,
কাঁদো মানুষ সকল!
~কিঙ্কর আহসান
৮. নিজেকে মূল্যবান ভেবেছিলাম অথচ বিনামূল্যে ভালোবাসার কাছে বিক্রি হচ্ছি রোজ!
~কিঙ্কর আহসান
৯. নদী তোর শরীর জুড়ে বিষাদ,
দুঃখ আমার কিছু নিবি নাকি?
সাদামাটা কষ্ট নিয়ে,
ঘরকুনো এই চুপটি করে থাকি!
~কিঙ্কর আহসান
১০. না পেতে পেতে অভ্যস্ত মানুষগুলো হুট করে জীবনে কিছু পেয়ে গেলে এই পাওয়াটাকে অপরাধ বলে মনে করে!
~কিঙ্কর আহসান
১১. তোমায় ফেলে আসলেও ফেরত পাওয়ার বাহানা ঠিকই থাকে,
দোলাচলে মন, নিষিদ্ধ সুখ কোষাগারে জমা রাখে!
~কিঙ্কর আহসান
১২. লিখে রেখো নাম,
ছুড়ে ফেলে দিলেও-
তোমারই ছিলাম!
~কিঙ্কর আহসান
১৩. একটা মানুষের ভেতর চুপি চুপি আরো কয়েকটা মানুষ থাকে!
মানুষ কী তা জানে?
~কিঙ্কর আহসান
১৪. না পেতে পেতে আমি ক্লান্ত,
যদি সবাই জানতো-
কীভাবে বেঁচে আছি, সয়ে গিয়ে বেদনা সব,
টের পাই শুধু নিজে, বুকের ভেতর কান্না-নীরব!
কেউ কেউ পায়না কিছুই, হয়না সুখ কেনা,
এই ভেবে শোক পুষি, ভাল্লাগেনা!
আত্মহত্যাকে জেনে পাপ - মিছেমিছি আছি বেশ,
পাওয়া নয়, আমার আছে না পাওয়ারই অভ্যেস!
~কিঙ্কর আহসান
১৫. অথচ আমরা ইচ্ছের বিরুদ্ধেই বাঁচি,
অনেকে মেনে নেয়, কেউ আমরা অভিনয় করে আছি!
~কিঙ্কর আহসান
১৬. কোথায় গেলে শান্তি পাবো? পাইনা কোন খোঁজ,
খুব গোপনে বুকের ভেতর বৃষ্টি নামে রোজ!
~কিঙ্কর আহসান
১৭. মানুষের সুখ অনেকটাই নির্ভর করে তার কাছের মানুষদের ভালোবাসার ওপর। কারো কারো এসব ক্ষেত্রে ভাগ্যটা খুব মন্দ!
~কিঙ্কর আহসান
১৮. চলে যাওয়ার সময়ে থামাতে এসো না,
এতটা ব্যাকুল আগে হলে তোমারই হই,
যে অপমান আঁকলে শরীরে এতটা দিন,
বুঝে গেছি তারপর, আমি আর তোমার নই, তোমার নই!
~কিঙ্কর আহসান
১৯. ঘুমের মাঝেই মরে যাব কোনো একদিন,
খুব সামান্য কারণ,
এই নিয়ে বলাবলি, কত শত ঋণ!
জানাজায় কেউ কাঁদুক,
আমায় ঘিরে হোক মানুষের ভিড়,
মিলাদে তবারক,
জড়ো হওয়া শিশুদের আনন্দ গভীর।
কবরে বুনো ফুল, ভুলের মাসুল,
দিও বিদায় সবাই মিলে।
চলে গেলে লাশের মিছিলে এসে বুঝি কতটা আমার অপরিচিত ছিলে।
~ কিঙ্কর আহসান
২০. মনে রাখবা, যারা ঘৃণা করো, তোমাদের গালিগুলো আমি মুক্তোর মতোন কুড়াই!
~কিঙ্কর আহসান
২১. আজ যারা ফিরিয়ে দিচ্ছে কাল তারাই কাছে পাবার জন্য মরিয়া হয়ে উঠবে!
~কিঙ্কর আহসান
২২. ঝড় হচ্ছে? হোক!
তবুও ঝাপসা হতে নেই আমার চোখ।
~কিঙ্কর আহসান
২৩. তাকে আটকে রাখতে নেই,
চলে যাবে ঠিক সুদিন ফুরালেই!
সে চেনে ফুলের ঘ্রাণ, মোহর রাশি রাশি,
বলতে চাই, 'ঘৃণা করি খুব!' অথচ মুখে আসে, 'ভালোবাসি!'
~কিঙ্কর আহসান
২৪. তোমাকে দেবো এক পৃথিবী, আলোর রোশনাই!
ছোটাছুটি শেষে ক্লান্ত তবু, অপেক্ষা করে যাই।
~কিঙ্কর আহসান
২৫. দিলাম ধরা জালে,
খুন হয়ে যাই তোমার দাবার চালে!
~কিঙ্কর আহসান
২৬. ঝিম ধরা দুপুরে,
আটকে থাকে এক পৃথিবী-
তোমার রুপোর নূপুরে!
~কিঙ্কর আহসান
২৭. পৃথিবী সমান দুঃখ বুকের ভেতর
পুষে হেসে যাওয়া প্রাণীটার নাম
মানুষ।
~কিঙ্কর আহসান
২৮. কী ভাবো অত?
এভাবে ফুরাবে ক্ষত?
~কিঙ্কর আহসান
২৯. মনে রেখো এভাবেই,
ভালোবাসার নাম দিতে নেই!
~কিঙ্কর আহসান
৩০. তোমাকে পাওয়ার চেয়েও বেশি সুখ যে চাওয়ার প্রার্থনায়!
~কিঙ্কর আহসান
৩১. কাল সকালে যদি আর জেগে ওঠা না হয়,
না দেয় জানালায় রোদেরা এসে উঁকি,
ছেপে দিও তবে শোক সংবাদ!
'একটা মানুষ মারা গেছে-চিরদুখী'।
~কিঙ্কর আহসান
৩২. সুইচোরা পাখি ভড়কে গিয়ে দিয়েছে নালিশ,
চন্দ্রবোড়ার চেয়েও জমিয়েছো বুকে বেশি বিষ!
আঁধার নেমে এলে বিষাদে নত আকাশ,
এনেছো ডেকে আমার সর্বনাশ-
তাই হারিয়েছি সব, নিভে গেছে ঘরের যত বাতি,
বের হয়ে দেখি চাঁদ ও নীরব!
আলোর জন্য বলো, কার কাছে হাত পাতি?
~কিঙ্কর আহসান
৩৩. বাতাসে কানাকানি, হচ্ছে তৈরি ঠিকঠাক কোনো এক মাটির কবর,
হুট করে মরে গেলে আমি, কতটা জরুরী হবে এই খবর?
~কিঙ্কর আহসান
৩৪. নেমে এলে চিলেকোঠায় চাঁদ, তারা!
ছোট্ট একটা বাড়ি নেবো ভাড়া?
শুনে অবহেলার হাসি হাসলে!
ভুল করে গরীবের বাড়িতে আসলে,
বলবো আমিও, নেই আফসোস ভুল মানুষকে ভালোবাসলে!
~কিঙ্কর আহসান
৩৫. চলতি পথে পাশে থাকার অনুরোধ নিয়ে এলে যদি টের পাওয়া যায় কাছের মানুষদের নীরবতা তবে সবচেয়ে বেশি কষ্ট পায় মানুষ!
~কিঙ্কর আহসান
৩৬. অথচ আমি বই পড়ে সবটা জেনে বসে আছি, শুধু তোমাকেই জানা হলো না!
~কিঙ্কর আহসান
৩৭. এই নিরিবিলি ছায়ায়-
শুকনো পাতায় ঢাকা মাটি,
ওপরে রাখা তার শীতলপাটি,
চা, নোনতা বিস্কুট,
মধ্যদুপুর করে লুট,
ছোটাই সময়ের গাড়ি,
কসম, তোমার জন্য দু-চারটে মহাকাব্য আমিও লিখতে পারি!
~কিঙ্কর আহসান
৩৮. হাওয়ার গাড়ি চলে অচিনপুরে,
আপন মানুষ কাছে তো নেই, আছে অনেক দূরে!
~কিঙ্কর আহসান
৩৯. মানুষ যেনো একটা অবহেলিত একতারা! কোনো একদিন পরিচিত গানে সুর হয়ে বাজবে এই আশায় দিন গোনে অযথা!
~কিঙ্কর আহসান
৪০. আমার মনের ভেতর পথ, পথের ওপর বাড়ি,
একটা চিঠি ঠিকানা নিক, আসুক তাড়াতাড়ি!
~কিঙ্কর আহসান
৪১. মানুষ আসে, সাপ ও ঠিক নেয় ঠাই হাস্নাহেনার ঘ্রাণে, ভালোবাসলে বোকা হতেই হয়, তীব্র বিষ ছড়িয়ে যায় প্রাণে!
~কিঙ্কর আহসান
৪২. মাঝরাতে আমার মৃত্যু সংবাদ তোমার কাছে পৌঁছানো হোক,
সেদিন একটু কেঁদো, করলে না হয় লোকদেখানো শোক!
~কিঙ্কর আহসান
৪৩. তোমাকে চেয়েছিলাম, আবার এমন করে মনে হয় চাইনি, আস্ত কলিজা দিলেও বলো, কিছুই আমি পাইনি!
~কিঙ্কর আহসান
৪৪. কথা হয়, দেখা হয়, ভালো লাগা বেশ,
কাছে এলেই টের পাই দূরত্ব অশেষ!
~কিঙ্কর আহসান
৪৫. বয়স বাড়ার সাথে সাথে সমাজ আর পরিবারের চাপে মেয়েরা ছেলেদের চেয়ে পৃথিবীটাকে অনেকটা বেশি পড়ে ফেলে। বুঝে যায়, জানে, ছেলেরা আজীবনের শিশু, বোকা। নিজের সকল অনুভুতি নিয়ন্ত্রণ করার অসাধারণ এক ক্ষমতা নিয়ে পৃথিবীতে আসে মেয়েরা।
~কিঙ্কর আহসান
৪৬. ভালো নেই, পাও টের?
হারিয়েছে সব আগের –
আবেগ যা ছিল নেই অবশেষ,
আমাদের দূরত্ব এখন এক মহাদেশ!
~কিঙ্কর আহসান
৪৭. শার্টে অবশ্যই বুকপকেট থাকা প্রয়োজন আর সেই পকেটে গোলাপ। চাহিবা মাত্র প্রিয় মানুষকে এই ফুল দিতে বাধ্য থাকিবে!
~কিঙ্কর আহসান
৪৮. সবকিছু আঁকড়ে ধরে রাখতে নেই, ভুল ভাঙানোর প্রয়োজনও ফুরিয়ে যায় এক সময়।
~কিঙ্কর আহসান
৪৯. ভুলগুলো তাই পোড়ায় সারাদিন,
তোমার কাছে আমার যত ঋণ-
থাকলো জমা, শোধ না করেই সুখ,
দুঃখ পুষি, কষ্ট পোষাই আমার অসুখ!
~কিঙ্কর আহসান
৫০. উড়ে যায় এক, একটা প্রাণ,
নাম দিয়েছি ফানুস,
অবাক হয়ে দেখি-
কী অবলীলায় সময়ের কাছে বিক্রি হয় মানুষ!
~কিঙ্কর আহসান