১. আমি না হয় ভালবাসেই ভুল করেছি
ভুল করেছি, নষ্ট ফুলের পরাগ মেখে
পাঁচ দুপুরে নির্জনতা খুন করেছি, কি আসে যায়?
এক জীবনে কতোটা আর নষ্ট হবে,
এক মানবী কতোটা বা কষ্ট দেবে!
হেলাল হাফিজ
২. তুমি আর কী বেদনা দেবে, কতোটা নাড়াবে?
বালখিল্য এই খেলায় আমার চেয়েও বেশী তুমিই হারাবে।
হেলাল হাফিজ
৩. ব্যর্থ হয়ে থাকে যদি প্রণয়ের এতো আয়োজন,
আগামী মিছিলে এসো
স্লোগানে স্লোগানে হবে কথোপকথন।
আকালের এই কালে সাধ হলে পথে ভালোবেসো,
ধ্রুপদী পিপাসা নিয়ে আসো যদি
লাল শাড়িটা তোমার পড়ে এসো।
হেলাল হাফিজ
৪. শুনেছি সুখেই বেশ আছো, কিছু ভাঙচুর আর
তোলপাড় নিয়ে আজ আমিও সচ্ছল, টলমল
অনেক কষ্টের দামে জীবন গিয়েছে জেনে
মূলতই ভালোবাসা মিলনে মলিন হয়, বিরহে উজ্জ্বল।
হেলাল হাফিজ
৫. সুতো কেটে তুমি গোটালে নাটাই
আমি তো কাঙাল ঘুড়ি
বৈরি বাতাসে কী আশ্চর্য
একা একা আজও উড়ি।
হেলাল হাফিজ
৬. তুমিই তো অসময়ে অন্ধকারে
অন্তরের আরতির ঘৃতের
আগুনে পুড়বে নির্জনে।
আমাকে পাবে না খুঁজে, কেঁদে-
কেটে, মামুলী ফাল্গুনে।
হেলাল হাফিজ
৭. দুঃসময়ে এতটা পথ একলা এলাম শুশ্রূষাহীন।
কেউ বলেনি তবু এলাম, বলতে এলাম ভালবাসি।
হেলাল হাফিজ
৮. হয়তো তোমাকে হারিয়ে দিয়েছি
নয় তো গিয়েছি হেরে
থাক না ধ্রুপদী অস্পষ্টতা
কে কাকে গেলাম ছেড়ে।
হেলাল হাফিজ
৯. তুমি কি জুলেখা, শিরী, সাবিত্রী, নাকি রজকিনী?
চিনি, খুব জানি, তুমি যার তার, যে কেউ তোমার,
তোমাকে দিলাম না - ভালোবাসার অপূর্ব অধিকার।
হেলাল হাফিজ
১০. তুমি কি জুলেখা, শিরী, সাবিত্রী, নাকি রজকিনী?
চিনি, খুব জানি, তুমি যার তার, যে কেউ তোমার,
তোমাকে দিলাম না - ভালোবাসার অপূর্ব অধিকার।
হেলাল হাফিজ
১১. কোনদিন, আচমকা একদিন
ভালোবাসা এসে যদি হুট করে বলে বসে,-
‘চলো যেদিকে দুচোখ যায় চলে যাই'
যাবে?
হেলাল হাফিজ
১২. বেহিসেবি মনের খরচে
খরচ হয়ে যাব একদিন।
তোমার নামে বাকি থাকবে
ছোট্ট একটা হিসেবের ঋণ!
হেলাল হাফিজ
১৩. নিউট্রন বোমা বোঝ
মানুষ বোঝ না!
হেলাল হাফিজ
১৪. এখন আমি ভুলে গেছি সব কিছু,
যা কিছু সম্ভব ভুলে যাবার।
মরণ হয়েছে আমার! বহু অপঘাতে, বেদনা সয়ে, নিভৃতে! যে ছিল তোমার, মরণ হয়েছে তার!
হেলাল হাফিজ
১৫. কি অসীম শূণ্যতা!
কি অবাস্তব নিস্তব্ধতা!
কি অসম্ভব নিঃসঙ্গতা!
হেলাল হাফিজ
১৬. এখনও তোমার শরীরের ঘ্রাণ
লেগে আছে আমার বুক পকেটে!
হেলাল হাফিজ
১৭. কি তোমার প্রশ্ন ছিল, কি ছিল মনে?
তোমার অনুভূতি কি আর কারও অনুরাগে বন্দী?
আর কোথাও, অন্য কোন জনে?
হেলাল হাফিজ
১৮. দীর্ঘ অচেনা প্রান্তরে
হেঁটেছি অনেক দূর! হারিয়ে ফেলেছি হেলায় কত গান কত সুর! নিরন্তর বেঁচে থাকা বিবর্ণ বেদনা নিয়ে, রাখেনি কথা কেউ ভালবাসার কথা দিয়ে।
হেলাল হাফিজ
১৯. নখের নিচেরেখেছিলাম
তোমার জন্য প্রেম,
কাটতে কাটতেসব খোয়ালাম
বললে না তো, - ‘শ্যাম,
এই তো আমি তোমার ভূমি
ভালোবাসার খালা,
আঙুল ধরোলাঙ্গল চষো
পরাও প্রণয় মালা’।
হেলাল হাফিজ
২০. হয়তো তোমাকে হারিয়ে দিয়েছি
নয় তো গিয়েছি হেরে
থাক না ধ্রুপদী অস্পষ্টতা
কে কাকে গেলাম ছেড়ে।
হেলাল হাফিজ
২১. আমাকে উস্টা মেরে দিব্যি যাচ্ছো চলে,
দেখি দেখি, বাঁ পায়ের চারু নখে চোট লাগেনি তো;
ইস্! করছো কি? বসো না লক্ষ্মীটি,
ক্ষমার রুমালে মুছে সজীব ক্ষতেই
এন্টিসেপটিক দুটো চুমু দিয়ে দেই।
হেলাল হাফিজ
২২. তোমার মনে ভর করেছে
এক আকাশ অভিমান
তোমার আঁখি হতে ঝরেছে
এক সমুদ্র নোনা বান।
হেলাল হাফিজ
২৩. তোমার বুকের ওড়না, আমার প্রেমের জায়নামাজ।
হেলাল হাফিজ
২৪. আর না হলে যত্ন করে ভুলেই যেও, আপত্তি নেই।
গিয়ে থাকলে আমার গেছে, কার কী তাতে?
আমি না হয় ভালবেসেই ভুল করেছি ভুল করেছি,
নষ্ট ফুলের পরাগ মেখে
পাঁচ দুপুরে নির্জনতা খুন করেছি, কি আসে যায়?
এক জীবনে কতোটা আর নষ্ট হবে,
এক মানবী কতোটা বা কষ্ট দেবে!
হেলাল হাফিজ
২৫. তুমি আমার নিঃসঙ্গতার সতীন হয়েছ!
হেলাল হাফিজ
২৬. আমি তো কাঁচের নই
তবুও চৌচির হয়ে গেছি।
হেলাল হাফিজ
২৭. ইচ্ছে ছিল রাজা হবো
তোমাকে সাম্রাজ্ঞী করে সাম্রাজ্য
বাড়াবো, আজ দেখি রাজ্য আছে রাজা আছে
ইচ্ছে আছে, শুধু তুমি অন্য ঘরে।
হেলাল হাফিজ
২৮. ভালোবাসা মিলনে মলিন হয়, বিরহে উজ্জ্বল।
হেলাল হাফিজ
২৯. বেদনাকে বলেছি কেঁদো না!
হেলাল হাফিজ
৩০. এখন তুমি কোথায় আছ কেমন আছ পত্র দিও
এক বিকেলে মেলায় কেনা খামখেয়ালী তালপাখাটা
খুব নিশীথে তোমার হাতে কেমন আছে পত্র দিও
ক্যালেন্ডেরের কোন পাতাটা আমার মত খুব ব্যথিত
ডাগর চোখে তোমার দিকে তাকিয়ে থাকে পত্র দিও।
হেলাল হাফিজ