১. ভালোবাসা হারাবার জিনিস নয়। ভালোবাসা হচ্ছে পাত্র থেকে উড়ে যাওয়া কর্পুরের মতো, সে মিশে যায় হাওয়ার মধ্যে, শূন্যে, নীলকাশে।
২. যুদ্ধ মানেই শত্রু শত্রু খেলা
,যুদ্ধ মানেই আমার প্রতি
তোমার অবহেলা
৩. হাত বাড়িয়ে ছুঁইনা তোকে, মন বাড়িয়ে ছুঁই, দুইকে আমি এক করিনা, এক কে করি দুই!
৪. ব্যর্থ প্রেমিকের মতো মুগ্ধমূর্খচোখে
কেবল তাকিয়ে থাকি আকাশের দিকে ।
৫. রাত্রিভর স্বপ্ন দেখে
ভোরসকালে ক্লান্ত।
যাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখা,
সে যদি তা জানতো।
৬. ডাকিব না প্রিয়, কেবলি দেখিব
দু'চোখে পরান ভরে;
পূজারী যেমন প্রতিমার মুখে
প্রদীপ তুলিয়া ধরে ।
৭. হয়তো সহজ কাছে আসা, তাই কাছে আসি,
হয়তো সহজ ভালোবাসা, তাই ভালোবাসি।
৮. প্রাণে জ্বলে ওঠে গগনচুম্বী
বাসনা ঢেউ,
তোমাকে পাবে না পরান ভরিয়া
আমি ছাড়া কেউ ।
৯. ভুলে যাব সব সময়-নিপাতে
স্মরণে জাগিয়ে প্রেম,
আঁধারে তখন জ্বলিবে তোমার
চন্দনে মাখা হেম।
১০. ও আষাঢ়ের বেলি ও,
ও শ্রাবণের বেলি ও।
বাদলাদিনের মাদল গানে,
উতলরাতে হাওয়ার টানে-
ভালোবেসে আমার পানে
পাপড়ি তোমার মেলিও।
১১. আমি জন্মের প্রয়োজনে
ছোট হয়েছিলাম,
এখন মৃত্যুর প্রয়োজনে বড়
হচ্ছি!
১২. রাত্রিভর স্বপ্ন দেখে
ভোরসকালে ক্লান্ত।
যাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখা,
সে যদি তা জানতো!
১৩. শুধু তোমাকে একবার ছোঁব,
ঐ আনন্দে কেটে যাবে
সহস্র জীবন
১৪. তুমি লহ নাই ভালোবাসিবার দায়,
দু'হাতে শুধুই কুড়িয়েছো ঝরা
ফুল। কৃষ্ণচূড়ার তলে,আমি বসে একা
বুনিয়াছি প্রেম ঘৃণা বুনিবার ছলে।
১৫. শুধু তোমাকে একবার
ছোঁব, শুধু একবার পেতে চাই অমৃত
আস্বাদ।
১৬. আমরা দুজনে রচনা করেছি
একে অপরের ক্ষতি,
প্রবাসী প্রেমের পাথরে গড়েছি
অন্ধ অমরাবতী।
১৭. আমি স্বাধীনতা পেয়ে গেলে পরাধীন হতে ভালোবাসি। প্রেম এসে যাযাবর কণ্ঠে চুমু খেলে মনে হয় বিরহের স্মৃতিচারণের মতো সুখ কিছু নেই।
১৮. তুমি চলে গেলে ভাবি, এলোমেলো হয়ে যাই ।
সাজিয়ে কবির মতো বোঝাতে পারি না,
চলে গেলে কথা আসে, প্রেম আসে, বুদ্ধি আসে, হায়রে নিয়তি!
১৯. আমি চলে যাব পার হয়ে নদী
থামব না মোটে,
দেখবে তোমার আকাশে তখন
কত তারা ফোটে।
২০. তুমি আমার সবচেয়ে বড় সুখের স্মৃতি,
তুমি আমার সবচেয়ে বড় কষ্ট পাওয়া।
২১. আমি হাসি ।
উটের যেমন বালুতে মুখ
তেমনি আমি অগ্নিদগ্ধ
হাতের দুটি তালুতে মুখ
ঢেকে রাখি । বলি, আগুন,
জ্বলো সখা, জ্বলো, তোমার
দহন আমি ভালোবাসি।
২২. আমি খুব লক্ষ্য করে দেখেছি তোমাকে,
যতক্ষন জাগ্রত থাকো তুমি,
ততক্ষণই আনন্দ আমার।
ঠিক ততক্ষণই আনন্দ আমার।
২৩. আকাশের তারা ছিঁড়ে ফেলি আক্রোশে,
বিরহের মুখে স্বপ্নকে করি জয়ী;
পরশমথিত ফেলে আসা দিনগুলি
ভুলে গেলে এতো দ্রুত,হে ছলনাময়ী?
২৪. ভালো বেসে কিছু পাওয়া রেখে গেছো বলে আজো এত হারানোর ভয়, নিজের মুখের কাছে বারবার নত হয়ে আসি; ভাবি, এই মুখ এত সুখী, এত স্মৃতিময়!
২৫. ডাকিব না প্রিয়, কেবলি দেখিব।
২৬. বুকের কার্নিশে এসে মাঝে-মধ্যে বসো প্রিয়তমা,
এখানে আনন্দ পাবে, পাবে খোলা হাওয়া।
২৭. হয় নিদ্রা আসুক, না হয় এক্ষুনি অবসান হোক এই অসহায় রাত্রির।
২৮. আমি আছি, তুমি নেই, এইভাবে দু'জন দু'দিকে।
২৯. তোমার জন্যে কখনো কখনো মৃত্যুর ঝুঁকি নিতে সাধ হয়।
৩০. কাগজের দুটো পৃষ্ঠার মতো প্রেম,
কোনোদিন কেউ ছোঁবে না পরস্পর।
চোখের কৃষ্ণ বৃত্ত ঘিরেছে সাদা,
ভালোবাসা তবু আমার ভিতরে একা।
৩১. কাগজের দুটো পৃষ্ঠার মতো প্রেম,
কোনোদিন কেউ ছোঁবে না পরস্পর।
চোখের কৃষ্ণ বৃত্ত ঘিরেছে সাদা,
ভালোবাসা তবু আমার ভিতরে একা।
৩২. যা পেতে ইচ্ছে করে, আমি তাকেই বলি সুন্দর।
প্রত্যেকটি প্রাণেরই এক-একটা স্বতন্ত্র চেহারা থাকে।
সুন্দরের কোনো নির্দিষ্ট চেহারা নেই, সে আপেক্ষিক।
৩৩. আমি খুব লক্ষ্য করে দেখেছি তোমাকে,
যখন ঘুমিয়ে পড়ো তুমি, তখন আমার দেহে
প্রাণের আনন্দ বলে কিছুই থাকে না।
শুধু অকারণ, অর্থহীন জ়ীবনে তুচ্ছতার গানি
ছুটে এসে বেদনার বেশে জড়ায় আমাকে।
তখন আমাকে আমি চিনতে পারি না।
৩৪. এখন যখন হঠাৎ তোমাকে ভাবি
সত্য সে-ও স্বপ্ন মনে হয়;
বুঝি প্রেম যত তীব্র, যত সত্য হোক,
সময়ের চেয়ে সত্য নয়।
৩৫. আমার কিছু স্বপ্ন ছিল,আমার কিছু প্রাপ্য ছিল,
একখানা ঘর সবার মতো আপন করে পাবার,
একখানা ঘর বিবাহিত, স্বপ্ন ছিল রোজ সকালে
একমুঠো ভাত লঙ্কা মেখে খাবার।
৩৬. ভালোবাসা, কী নাম তোমাকে দিবো?
তুমি তো আমারই নাম, আমারই আঙুল ছোঁয়া
আলিঙ্গনে বন্ধ সারাবেলা।
৩৭. তোমাকে ভুলেছি স্বপ্নে, প্রেমে, অভ্যাসে, বেদনায়।
এখন বুকের মাঝে বন্ধন মুক্তির মৃদু-হাওয়া,
হাত তুলে অনায়াসে বিদায় দিয়েছি গত রাতে।
সুখে আছি, সুখলতা, বেঁচে থেকে বেদনা সহিতে।
৩৮. সবাই যে জাল ছিঁড়তে জানে
সময় কি আর সে জাল টানে?
আমিও সেই জাল টানি না।
তোর প্রেমের ঐ সিংহাসনে,
সবাই কি আর বসতে জানে?
৩৯. আমায় তুমি যতোই ঠেলো দূরে
মহাকাশের নিয়ম কোথায় যাবে?
আমি ফিরে আসবো ঘুরে ঘুরে
গ্রহ হলে উপগ্রহে পাবে।
৪০. ভাসাও আমারে অকূল সাগরে,
নিয়ে চলো প্রিয় যতো দূরে।
সেই মহাসিন্ধু দেখাও আমারে,
যার শেষ নাই, - নাই তীর যে।
৪১. নিজের জলেই টলমল করে আঁখি,
তাই নিয়ে খুব বিব্রত হয়ে থাকি।
চেষ্টা করেও রাখতে পারি না ধরে,
ভয় হয় আহা এই বুঝি যায় পড়ে।
৪২. আমি কতো ভালোবাসা দু'পায়ে মাড়িয়ে অবশেষে,
কল্পনার মেঘলোক ছেড়ে পৌঁছেছি বাস্তব মেঘে।
আজ রাত বৃষ্টি হবে মানুষের চিরকাম্য দাবির ভিতরে।
৪৩. ফুলগুলিকে ভালোবাসি, তাই তুলি না,
মুখগুলিকে লুকাই মরা ঘাসে।
ভুলগুলিকে নিজের ভাবি, তাই ভুলি না,
বেদনা পাই তোমার পরবাসে।
৪৪. তোমার ভালোবাসায় আমি অনশ্বর, অমর হয়েছি।
তোমাকে দেখার আগে আমি শিলা পাথর ছিলাম।
অচেতনের সাগরজলে আমি ভাসিতেছিলাম একা।
চেতনার প্রথম প্রভাতে, চোখ মেলে সেই যে আমি
চমকে উঠলাম তোমাকে দেখে, আজও আমার সে
ঘোর কাটেনি; পঞ্চাশসহস্র বর্ষ পার হয়ে গেলো।
৪৫. আমার দুঃখ আমিই কিছুটা বুঝি
কেউ যদি তার বেদনার দায়ভাগে
ভিখারির দাবি শোধ করে থাকে আগে
ইঙ্গিতে তাঁকে প্রণাম জানিয়ে আমি
আরো আগামীর বেদনার ভাষা খুঁজি।
৪৬. তীরের তরঙ্গ এসে বলে যায় সমুদ্রের কানে: 'সব প্রেম ফিরে পাবে, কিচ্ছু হারাবে না।
৪৭. প্রিয়জন চলে গেলে মানুষই ব্যথিত হয়,
আকাশ নির্বিকার, আকাশ কখনও নয়।
তোমরা মানুষ, তাই সহজেই দুঃখ পাও,
হে ঈশ্বর, আমাকে আকাশ করে দাও।
৪৮. আমার ভালোবাসা কিংবা প্রেম-সংক্রান্ত
কোনো স্মৃতি নেই, যাকে ঠিক ভালোবাসা
কিংবা প্রেম বলা যায়।
৪৯. এখনো বাসিনি ভালো পুরোপুরি,
আয়ত্তে রেখেছি কিছু প্রেম,
অপূর্ণ রেখেছি কিছু অন্তরঙ্গ বোধের বাসনা;
কল্পনায় ঘিরে আছি অন্ধ-যৌন রূপের কংকাল।
যদি ব্যর্থ হই এরকম নিঃসঙ্গ খেলায়
কুরে খাবো চর্বচোষ্য লাবণ্য তোমার,
আলিঙ্গন ভরে দেবো অজস্র বাহুর পিপীলিকা।
সবাই পড়েছে প্রেমে, আমি সকলের চেয়ে বেশি।
৫০. অনুশোচনা হচ্ছে পাপ, দুঃখের এক নিপুণ ছদ্মবেশ । তোমাকে বাঁচাতে পারে আনন্দ । তুমি তার হাত ধরো,
তার হাত ধরে নাচো, গাও, বাঁচো, ফুর্তি করো।
দুঃখকে স্বীকার করো না, মরে যাবে, ঠিক মরে যাবে।