> অপ্রত্যাশিত বাসর পর্ব ৩ - ভালবাসার গল্প - Bangla Love Story - Bangla New Story
-->

অপ্রত্যাশিত বাসর পর্ব ৩ - ভালবাসার গল্প - Bangla Love Story - Bangla New Story

রাতে দেখি সাইকোটা গরম লোহা আর সুচ নিয়ে ঘরে ঢুকল।চোখে আগের মত সেই পশুর ছায়া। দেখে মনে হল এখন এই লোক আমাকে খুন করবে। আমি ভয়ে ভয়ে পিছিয়ে যেতে লাগলাম। আমি যতই পিছিয়ে যাই জানোয়ারটা ততই আমার সামনে আসে । এক সময় আমি দেয়ালের সাথে লেগে গেলাম।উনি কিছু না বলে আমাকে কিস করা শুরু করলেন। কিছুক্ষন কিস করার পর গরম সুচ হাতে নিলেন। আমি ভয়ে কেদে দিলাম। আমার কান্নার আওয়াজে সে পৈশাচিক হাসি হাসছে...
-প্লিজ আমাকে মারবেন না...
-সোনা আমি তোমাকে মারতে পারি বল..আমি তো তোমায় ভালবাসি তাই না(আমার গালে হাত দিয়ে পাগলের মত বলছে কথা গুলো)
তার পাগলামো দেখে আমি আরো ভয় পেয়ে গেলাম। যেভাবেই হোক আমায় পালাতে হবে না হলে এই জানোয়ার আমাকে কবরে উঠাবে সিউর। আমি পালাতে যাব কিন্তু উনি আমার হাত ধরে ফেলে। তারপর উনি আমর ওড়নাটা বুক থেকে কেড়ে নিয়ে আমার হাত বাধতে থাকে.....
-প্লিজ আমাকে মারবেন না...আমাকে ছেড়ে দিন....
-মারবো না সোনা.. আজ আমাদের একটা ভালবাসার প্রতিক উপহার দিব তোমায়...
উনি আমার হাত বেধে ফেলললেন। তারপর আমার মুখে এক দলা কাপড় ঢুকিয়ে দিয়ে বিছানায় ফেলে দিলেন। ভয়ে আমার চোখ দিয়ে পানি পড়তে লাগল কিন্তু আমি চিৎকার করতে পারছিলাম না কারন আমার মুখ বাধা ছিল.....
কিছুক্ষন পর গরম কিছু আমার পিঠে অনুভব করলাম। মনে হল কেউ আমার চামড়া কেটে ফেলছে। আমি যন্ত্রনায় ছটফট করতে থাকলাম। কিন্তু উনি কিছুই মনে করলেন না। কিছুক্ষনের মাঝে আমার মনে হল আমি জাহান্নামে চলে এসেছি। এত কস্ট, যন্ত্রনা আমি আর সহ্য করতে পারছিলাম না। আমি প্রাথনা করতে লাগ্লাম আল্লাহর কাছে যেন এই লোকের কাছ থেকে আমার মুক্তি দেয়। কিছুক্ষন পর জানোয়ার টা কি যেন আমার পিঠে লাগিয়ে দিল। সব কস্ট চলে গেলল অল্প সময়ের মাঝে । তারপর উনি আমার বাধন খুলে দিলাম। আমার চোখ দিয়ে পানি ঝরছে কিন্তু ভয়ে কাদতে পারছি না।এমন সময় পশুটা আমার পিঠের ছবি দেখিয়ে বলল....
-সোনা ট্যটুটা সুন্দর হইছে না...এটা আমার আর তোমার ভালবাসার প্রতিক....
আমি কিছু না বলে ভয়ে ভয়ে মাথা নাড়ালাম।উনি আমাকে নিজের বাহুডোরে জড়িয়ে ধরে বলল...
-আমি জানি সোনা তোমার অনেক কস্ট হয়েছে.... এই দেখ আমিও করেছি.....
বলেই উনি আমাকে উনার বুকে করা ট্যটুটা দেখাল। সেখানে খুব ভালভাবে দেখা যায় একটা লাভের মাঝে আমাদের দুই জনের নাম। উনি আমার কপালে একটা চুমু দিয়ে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলেন। আমি উনার বুকের মাঝে শুয়ে ভাবতে লাগ্লাম সাইকোটাকে আমি খুন করবো বা হলে এ আমায় খুন করবে.....এমন সময় বিদ্যুত চমকায়। আমি ভয় পেয়ে উনাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলাম। উনি পরম আদরে আমাকে তার ভালবাসার শহরে নিয়ে গেলেন। ভালবাসে উনি কিন্ত এত কস্ট দেয় কেন আমাকে কিছুক্ষন আগে কত কস্ট দিল আর এখন আদরে ভরিয়ে দিচ্ছ আমায়।আমি ইচ্ছা করেও বাধা দিতে পারছি না তাকে। আমি আমার কান্ড জ্ঞান হারিয়ে ফেললাম। পাগলের মত আদর করতে লাগ্লাম এই সাইকো পশুটাকে........
.
ভোর বেলা ঘুম থেকে ঊঠে দেখি উনি আমার দিকে একমনে তাকিয়ে আছে। চোখে ভালবাসার সমুদ্র খেলা করছে তার। মাঝে মাঝে আমি অবাক হয়ে যাই একটা মানুষ এর কিভাবে দুইটা রুপ হতে পারে। কোন সময় পশুর রুপ আর কোন সময় একজন নিভ্ররতার মানুষ এর রুপ......
আজ বাবার বাসায় যাব। কিন্তু এই লোক আরো বেশি খুশি যাওয়ার জন্য।বাবার বাসায় গিয়ে খুন করে পালাব এই লোকটাকে। আমাকে কস্ট দেয়া সব পাই পাই করে বুঝিয়ে দিব। উনাকে দেখলেই ভয়ে আমার আত্তা কেপে উঠে। কিছুক্ষন পর রুমে আস্লো। পিছিনে কিছু একটা আছে। ভয়ে আমি চোখ বন্ধ করে ফেললাম....
-সোনা এই নাও শাড়িটা পড়ে নাও...
যাক বাচা গেল। আমি ভেবেছিলাম নতুন কোন অত্যাচার করবে আবার।
-কি হল জলদি পড়। আমি তোমার শাড়ি পরা দেখব....
-আসলে আমি শাড়ি পরতে পারি না.. (মাথা নিচু করে বললাম)
উনি আমার কোমর জড়িয়ে ধরে আমার কপালে আলতো করে চুমু দিল।
-দাও আমি পড়িয়ে দেই...
উনি নিজ হাতে আমায় শাড়ি পড়িয়ে দিতেছে। আমি হাবলার মত তাকিয়ে আছি। এরপর আমায় সাজিয়ে দিল......
বাবার বাসায় আসার সময় শশুড় আব্বা উনাকে কিছু খাম আর চাবি দিল। বাবার বাসায় আসলাম কিছুক্ষনের মাঝে। আসলে আমরা ভাড়া থাকতাম একটা ফ্লাটে। উনি এসেই বাবাকে খাম দুইটা আর চাবি দিল। বাবা চিঠিটা পড়ে চোখ দিয়ে দুই ফোটা পানি গড়িয়ে পড়লল।আমি চিঠি নিয়ে পড়তে থাকলাম..
প্রিয় বন্ধু...
সবাই জানে তুই আমার কর্মচারি কিন্রু আমরা তো জানি আমরা কত ভাল বন্ধু। তোকে অনেক বার বলেছি আমার জি এম হতে কিন্তু তুই হলি না। আজ তোকে আমার এমডি করলাম। ভাবিস না তোর মেয়ে আমার বউমা বলে করেছি। এটা তোর প্রাপ্য রে ভাই।অনেক দিন থেকেই ইচ্ছা ছিল তোর মেয়েকে আমার মেয়ে বানাব কিন্তু তার আগেই আমার ছেলে তোর মেয়েকে আমার মেয়ে বানিয়ে নিল। তুই আমার ছেলের উপর রাগ করিস না ও খুব ভাল ছেলে খালি একটু পাগলামি করে....
ইতি...
সেই বন্ধু....
চিঠিটা পড়ে এই পরিবারের প্রতি আমার সম্মান বেড়ে গেল। এম ডি হওয়ায় বাবাকে একটি বাংলো আর দুইটি কার গিফট করেছে বাবা....
এখন আমি প্রতিশোধ নিব। রান্নায় ঝাল দিলাম সেই রকম....
-কি করছিস কি ছেলেটা ঝালে মরে যাবে তো.....
-চুপ থাকো তো...
হি হি খেতে দিলাম রাতে। উনি খাচ্ছে আর করুন ভাবে আমার দিকে তাকাচ্ছে। দেখে বুঝা যায় খুব কস্ট হচ্ছে তার। তার অমন চেহারা দেখে আমারি বুকের ভেতর মোচড় দিয়ে উঠলো। উনি খেয়ে রুমে চলে গেল....
.
রুমে গিয়ে দেখি কস্টে লাফাচ্ছ। ঝালে চোখ মুখ লাল হয়ে গেছে। শাশাতে শাসাতে ক্লান্ত হয়ে গেছে। আমি কিছু না বলে উনার সামনে গিয়ে দাড়ালাম। তারপর উনার গলা ধরে আমার ঠোট মিলিয়ে দিলাম উনার ঠোটে। উনি খুব জোড়ে জড়িয়ে ধরল আমায়। কিছুক্ষনের মাঝে আবারো ভালবাসার মাঝে ডুবে গেলাম।.
.
উনি ঘুমিয়ে গেছে। আমি উনার বুকে মাথা রাখলাম। কিছুক্ষন পর আবিরের মেসেজ আসলো...
-প্লান সব রেডি সোনা...
-ওকে...



চলবে...



Writer:- Aaronno Joy
NEXT ARTICLE Next Post
PREVIOUS ARTICLE Previous Post
NEXT ARTICLE Next Post
PREVIOUS ARTICLE Previous Post
 

Delivered by FeedBurner