> ছদ্মবেশি কোটিপতি পর্ব ১৩, ১৪, ১৫ | Bangla Best Story | Bangla Thriller Story | Bangla New Story
-->

ছদ্মবেশি কোটিপতি পর্ব ১৩, ১৪, ১৫ | Bangla Best Story | Bangla Thriller Story | Bangla New Story

গাড়ির কাছে গেলাম গিয়ে গাড়ির দরজা টা খুলার চেষ্টা করলাম খুলতে পারছি না তাই বাদে হয় গাড়ির গ্লাস টা ভেঙে ফেলাম জানালা দিয়ে ভিতরে গেলাম আর দরজা টা খুলে ডাইভারদের কাছে যাই গিয়ে দেখি এ-ই কি এত হল আদিবা৷ 

আমি আদিবা কে তারা তারি করে গাড়ি থেকে বের করলাম  আর আমার গাড়িতে তুলাম আমি গাড়ি নিয়ে সুজা হাসপাতালে নিয়ে ইমারজেন্সি তে ভতি করিয়ে দিলাম আদিবা মাথা ফেটে গেছে আর রক্ত ওওওও বের হচ্ছে ডাক্তার   তাকে বেন্ডেজ করে দিছে আর সেলাইন লাগিয়ে দিছে তখন ডাক্তার বলে৷ 

(ডাক্তার)  ডাক্তার আমাকে ডেকে বলে রোগি আপনের কি হয়৷ 

(আমি)  আমার ফ্রেন্ড হয় ৷ 

(ডাক্তার)  আপনের ফ্রেন্ড এর রক্ত প্রয়োজন অনেক রক্ত বের হয়েছে তাই সে এখন অনেক দুর্বল (A+) পজিটিভ রক্ত লাগবে তাহলে সে তারা তারি সুস্থ হবে৷ 

(আমি)  ডাক্তার আমার (A+) পজিটিভ আমি রক্ত দিছি বলে ডাক্তারের সাথে চলে গেলাম৷ 

(ডাক্তার)  এ-ই খানে আপনে শুয়ে পড়েন৷ 

(আমি) শুয়ে পড়লাম সাথে সাথে আমার হাতে একটা সুই ডুকালে আর তারা আমার রক্ত টা কে পরীক্ষা করে নিয়ে আসলে আর আমার থেকে রক্ত নিলে এ-র মধ্যে আদিবা বাবা আর মা চলে আসলে৷ 

(আদিবা মা)  বাবা আমার মেয়ে কি হয়েছে৷ 

(আমি)  আপনের মেয়ে গাড়ি এক্সিডেন করছে আর মাথা ফেটে রক্ত বের হচ্ছে  ডাক্তার সেলাইন আর মাথা  বেন্ডেজ করে দিছে রক্তের প্রয়োজন ছিল সেই টা আমি দিয়ে দিছি৷ 

(আদিবা বাবা)  ধন্যবাদ বাবা তোমাকে তোমার এ-ই ঋিন আমরা কোনো দিন ওওওও শোধ করতে পারমু না বাবা৷ 

(আমি)  আরে আংকেল কি যে বলেন না আপনে এ-র মধ্যে রক্ত নেওয়া শেষ আমি আংকেল আন্টি কে কথা বলার সুযোগ না দিয়ে তাদের থেকে বিদায় নিয়ে  চলে আসলাম কারন কিছু খন পরে মারিয়া পরীক্ষা শেষ হবে তাই আমি তারা তারি করে চলে গেলাম গাড়িতে৷ 

গাড়ি ভিতরে অবস্থা খারাপ কারন গাড়ির সিটে রক্ত লেগে আছে আমি তারা তারি করে সিটের রক্ত পরিষ্কার করতে থাকলাম অনেক কষ্ট কিছু টা পরিষ্কার করছি বাট রক্ত টা শুকিয়ে গেছে৷ আমি তারা তারি করে মারিয়া স্কুলে সামনে চলে গেলাম কিছু খন পরে মারিয়া পরীক্ষা শেষ অনেকে বের হচ্ছে বাট মারিয়া কে দেখা যাচ্ছে না সবার লেষ্টে   মারিয়া বের হল  আমি গাড়ির দরজা খুলে দিলাম মারিয়া গাড়ি ভিতরে ডুকে বলে ৷ 

(মারিয়া) ভাইয়া গাড়ির ভিতরে রক্তে দাগ আসলে কোথায় থেকে তোমার কি কিছু হয়েছে নাকি ভাইয়া৷ 

(আমি)  আরে না আমার কি হবে আমার কিছু হয়    নাই৷ 

(মারিয়া) তাহলে রক্ত কোথায় থেকে আসলে গাড়িতে সত্যি করে বলে ভাইয়া কি হয়েছে তোমার৷ 

(আমি) আরে পাগলি আমার কিছু হয় নাই একটা গাড়ি এক্সিডেন  হয় আর আমি গাড়ি ডাইভার কে নিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাই  আর সিটে মধ্যে রক্ত লেগে যায়৷  

(মারিয়া)  তোমার  সামনে কি সব ঘটে না তুই কেন নিয়ে যেতে গেলা হুম৷ 

(আমি)  তে কি হয়েছে আমি নিয়ে গেছি বলে  হুম৷  

(মারিয়া) কিছু হয় নাই এখন চলে বাসায়  ৷ 

(আমি)  হুম চলে   বলে গাড়িতে উঠে মারিয়া আমি গাড়ি নিয়ে সুজা বাসা চলে আসলাম  মারিয়া গাড়ি থেকে নেয়ে বাসা ভিতরে  ডুকে গেলে আর আমি গাড়ি পার্কিং করে চলে আসলাম বাসা ভিতরে  গেলাম তখন আম্মু বলে৷ 

(আম্মু)  আদি কি হয়েছে রে আজকে মারিয়া স্কুলে সামনে হুম৷ 

(আমি)  কিছু হয় নাই আম্মু হ্মুদা লাগছে খাবার খামু আম্মু ৷ 

(আম্মু)  আচ্ছা যা   রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আয় আমি খাবার টেবিলে সাজিয়ে রাখছি কেমন৷ 

(আমি)  হুম আম্মু বলে চলে আসলাম রুমে গিয়ে বাথরুমে চলে গেলাম গিয়ে ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করে  ফ্রেশ হয়ে নিচে গিয়ে দেখি মারিয়া আসে নাই  আমি আম্মু কে বললাম মারিয়া কই৷ 

(আম্মু)  মারিয়া তে রুমে এখন আসে নাই গিয়ে দেখ কি করে মারিয়া৷ 

(আমি)  ওকে আমি নিয়ে আসছি  বলে মারিয়া রুমে চলে গেলাম  গিয়ে দেখি মারিয়া  ফ্রেশ হয়ে বসে আছে আমি বললাম চলে নিচে আম্মু খাবার বেরে বসে আছে৷ 

(মারিয়া)  ওকে চলে৷ 

আমরা দুই জন্য এক সাথে নিচে গেলাম গিয়ে দেখি আম্মু বসে আছে আমাদের জন্য খাবার নিয়ে আমি আম্মু এক পাশে আর মারিয়া আম্মু আরেক পাশে বসে পড়লে আম্মু আমাদের কে খাবার বেরে দিলে৷ আমি আর মারিয়া খাবার খাচ্ছে হটাৎ করে আমার ফোন বাজতে থাকলে আমি তারা তারি করে খাবার খেতে থাকলাম তখন মারিয়া বলে৷ 

(মারিয়া) আম্মু কিছু দিন থেকে দেখছি ভাইয়া ফোনে একটু বেশি কল আসছে ৷ 

(আমি)  তুই বেশি পাকনামি করতে হবে না তুই খাবার খেয়ে পড়তে বস যা৷ 

(মারিয়া)  সেই টা তোমাকে বলতে হবে না আমি নিজে থেকে পড়তে বসমু৷ 

(আমি)  হুম তুই বেশি কথা বলিস তরে তারা তারি করে বিয়ে দিতে হবে আব্বু কে বলতে হবে৷ 

(মারিয়া) কুতা বান্দর আম্মু তোমার পুলারে  চুপ করতে বলে নাকি তোমার পুলা মাথা প্লেট ফেলমু৷

(আমি)  ফেলায় দেখ না  একবা আমি কি করি তর৷ 

আম্মু বলে চুপ করবি তর তদের কে নিয়ে আমি আর পারছি না আমি চুপ হয় গেলাম সাথে মারিয়া ওওওও আমি তারা তারি করে খেয়ে উপরে চলে আসলাম এসে দেখি জান্নাতুল কল দিছে৷ আমি ভাবছিলাম মেঘ কন্যা কল দিছে তাই আরে তারা তারি করে আসলাম জান্নাতুল কে কল দেমু তখনি আম্মু ডাকা ডাকি শুরু করলে আমি বললাম আসছি বলে রুম থেকে বের হয়ে নিচে তাকিয়ে তে আমি অবাক কারন সে ছিল............





তারি করে আসলাম জান্নাতুল কে কল দেমু তখনি আম্মু ডাকা ডাকি শুরু করলে আমি বললাম আসছি বলে রুম থেকে বের হয়ে নিচে তাকিয়ে তে আমি   কারন সে ছিল হল 

কারণ হল নিচে দেখলাম জান্নাতুল কে একটা ফাইল নিয়ে এসেছে আর আম্মু আমাকে আদি আদি বলে ডাকছে হায় হায় নিচে তে আমি যে পারমু না কারন আমি জান্নাতুল কাছে এত তারা তারি ধরা খেতে চাই না৷ 

(আম্মু)  আবার ওওওও ডাকতে থাকলে৷ 

(আমি)  চুপ করে দাড়িয়ে আছি কি করবো হটাৎ মনে হল মারিয়া কথা আমি তারা তারি করে মারিয়া কাছে চলে গেলাম৷ 

(মারিয়া)  কিছু বলবা ভাইয়া৷ 

(আমি)  হুম তুই এখন নিচে যাবি আম্মু আমাকে কেন ডাকে সেই টা যেনে আসবি যদি আমার কথা আম্মু জিজ্ঞেস করে বলবি আমি বাথরুমে আর কিছু দিতে চাইলে তুমি নিয়ে আসবি আমার রুমে ওকে৷  

(মারিয়া)  ওয়েট ওয়েট ওয়েট তুমি নিজে যাও না কেন হুম আমাকে কেন পাঠাছে তুমি হুম৷ 

(আমি)  মারিয়া এখন তর্ক করার সময় না তুই যা আগে নিচে৷  

(মারিয়া)  ওকে যামু তার আগে আমার একটা শত আছে৷  

(আমি)  আগে যা পরে তর সব শত মেনে নেমু ওকে৷ 

(মারিয়া)  ওকে বলে নিচে চলে গেলে তখন আম্মু বলে৷ 

(আম্মু)  তকে ডাকি নাই আদি কে ডাকছি আদি কই৷ 

(মারিয়া)  আম্মু ভাইয়া তে বাথরুমে তাই তে আমি আসলাম৷ 

(আম্মু)  তর আব্বু ফোন দিছিলে ম্যানেজার অসুস্থ আর এ-ই ফাইল টা অনেক জরুলি আদিকে বলছে ফাইল টা রাখার জন্য ৷ 

(মারিয়া)  ওকে আমার কাছে দেও আমি ভাইয়াকে দিয়ে দেমু বলে আম্মু কাছে থেকে ফাইল টা নিয়ে আমার রুমে চলে আসে৷  

(আমি)  চুপ করে খাটে বসে আছি তখন মারিয়া৷ 

(মারিয়া)  ভাইয়া মেয়েটা কে হুম যার জন্য তুমি নিজে না গিয়ে আমাকে পাঠাইছে হুম৷ 

(আমি)  আরে না  মেয়েটা আমার ফ্রেন্ড হয় তার বেশি কিছু না সবাই জানে আমি গরীব আর ও-ই মেয়ে ওওওও জানে আমি গরীব৷ 

(মারিয়া)  ওয়েট ওয়েট ওয়েট ও-ই মেয়ে মানে তার নাম নাই হুম কি নাম মেয়েটার হুম৷  

(আমি)  জান্নাতুল  আমি চাই না কেউ আমাকে আমার বাবা জন্য চিনেক বা বাবা টাকা জন্য আমি চাই সবাই আমাকে আমার নিজে জন্য চিনেক৷ 

(মারিয়া)   হুম বুঝছি আচ্ছা ভাইয়া ফাইল টা আব্বু বলছে তোমাকে দেখার জন্য  ৷ 

(আমি)  ওকে রেখে যা আমি দেখে নিচ্ছে তুই গিয়ে পড় বলে মারিয়া কে পাঠিয়ে দিলাম তার রুমে আমি মন যোগ দিয়ে  পুরা ফাইল টা দেখলাম কোথাও কোনো ভুল নাই৷ আমি ফাইল দেখে ফোন টা হাতে নিলাম হটাৎ মনে হল জান্নাতুল না কল দিছে আমি তারা তারি করে জান্নাতুল কে কল দিলাম প্রথম বার রিসিভ করে নাই দ্বিতীয় বার দিলাম জান্নাতুল রিসিভ করে বলে৷  

(জান্নাতুল)  কুতা. হাতি. গন্ডার. বান্দর. ৷ 

(আমি)  মনে মনে ভাবতে থাকলাম আমার পরিচয় টা কি যেনে গেছে নাকি সে৷ 

(জান্নাতুল)  কি রে কুতা কথা বলিস না কেন হুম তরে আমি কখন কল দিছি আর তুই আমাকে এতখনে কল দেস না ৷ 

(আমি)  সরি রে আমি ঘুমিয়ে গেছিলাম রে৷ 

(জান্নাতুল)  আদি জানিস একটা মজার বেপার হল কি জানিস৷ 

(আমি)  না তুই না বলে কেমন করে জানমু আমি হুম৷ 

(জান্নাতুল)  তর নাম আর আমার বাবা মালিকের পুলার নাম একি নাম৷ 

(আমি)  হাহাহা তাই নাকি ভালো তে আর কিছু বলবি৷ 

(জান্নাতুল)  না আর কিছু বলমু না৷ 

(আমি)  তাহলে ফোনটা রাখি বলে কেটে দিলাম সাথে সাথে মেঘ কন্যা কে কল দিলাম বাট বন্ধ বলে আবার ওওওও দিলাম একি কথা বন্ধ তাই বকা দিতে থাকলাম তখনি আম্মু৷ 

(আম্মু)  কি রে কাকে বকা দিছিস তুই৷ 

(আমি)  না মানে আমার বন্ধু কে বকা দিচ্ছি আম্মু সে ফোনটা অফ করে রাখছে৷ 

(আম্মু)  ওওওও আচ্ছা মারিয়া কি তকে কোনো ফাইল দিছে৷  

(আমি)  হুম একটা ফাইল দিছে আম্মু৷  

(আম্মু)  ফাইল টা কি দেখছেত তুই৷ 

(আমি)  হুম দেখছি আম্মু এ-ই নেও ফাইল সব ঠিক আছে৷ 

(আম্মু)  ওকে বাট তকে যে এত করে ডাকলাম তুই নিচে আসলি না কেন  হুম৷ 

(আমি)  আম্মু আমি ও-ই সময় বাথরুমে ছিলাম৷ 

(আম্মু) আচ্ছা ঠিক আছে আমি যাই তুই একটু রেস্ট নে বাবা৷ 

(আমি)  হুম বলে খাটে শুয়ে পড়লাম  আম্মু চলে গেলে আর আমি ঘুমানো চেষ্টা করলাম  ঘুম তে আসছে না কি করমু তাই ছাদে চলে গেলাম গিয়ে একটা কোনায় দাড়ালাম দেখলাম অন্য পাশের ছাদে একটা বাচ্চা দাড়িয়ে আছে দেখতে অনেক কিউট  আমি বাচ্চা দিগে তাকিয়ে আছে তখন বাচ্চা বলে৷ 

(বাচ্চা)  এ-ই ভাবে তাকিয়ে আছেন কেন হুম৷  

(আমি)  তোমাকে দেখতে পরীর মতো লাগে তাই তোমার দিগে তাকিয়ে আছি৷ 

(বাচ্চা)  আমার দিগে হ্যা করে তাকিয়ে থাকলে আমার লজ্জা করে না বুঝি হুম৷ 

(আমি)  আমি পিচ্চি বাচ্চা কথা শুনে রীতি মতো অবাক আচ্ছা তুমি চকলেট খাবে৷ 

(বাচ্চা)  লাভ নাই আমার  আপু বয়ফ্রেন্ড আছে৷ 

(আমি) আমি আর কিছু না বলে সুজা ছাদ থেকে নেমে গেলাম দেখতে দেখতে সন্ধ্যা হয় গেলে  আম্মু ডাকতে থাকলে আমি বললাম কি কিছু বলবা৷ 

(আম্মু)  কিছু খাবি৷ 

(আমি)  না এখন কিছু খামু না বলে রুমে চলে গেলাম আমি ওওওও একটু পড়লাম অনেক খন পরে আম্মু ডাকলে খাবার খেতে আমি মারিয়া রুমে গিয়ে মারিয়া কে নিয়ে নিচে গেলাম দেখলাম আম্মু বসে আছে খাবার নিয়ে৷  

(মারিয়া)  ভাইয়া তোমাকে ডাকছে তুমি খেয়ে আসতে আমাকে কেন নিয়ে যাচ্ছে আমার তে হ্মুদা লাগে নাই৷ 

(আমি)  খামু যখন এক সাথে খামু৷ 

(আম্মু)  তদের আসতে এত দেরি হয় কেন হুম৷ 

আমি বললাম তোমার মেয়ে জন্য বলে খেতে বসলাম আম্মু খাবার বেরে দিলে আর আমরা খাবার খেলাম আমি খেয়ে রুমে চলে আসলাম আমার ঘুম পাইছে বিছানা শুয়ে পড়লাম কখন যে সকাল হয়েছে বলতে পারলাম না৷ মারিয়া ডাকা ডাকিতে আমার ঘুম ভেংঙে আমি তারা তারি করে রেডি হয় মারিয়া কে নিয়ে স্কুলে যাই এ-ই ভাবে কিছু দিন কেটে গেলে মারিয়া আর ওওওও পরীক্ষা প্রায় শেষ ও-ই দিন টা ছিল আমার জন্য স্পেশাল কারন দিন টা ছিল যে............





 মারিয়া ডাকা ডাকিতে আমার ঘুম ভেংঙে আমি তারা তারি করে রেডি হয় মারিয়া কে নিয়ে স্কুলে যাই এ-ই ভাবে কিছু দিন কেটে গেলে মারিয়া আর ওওওও পরীক্ষা প্রায় শেষ ও-ই দিন টা ছিল আমার জন্য স্পেশাল কারন দিন টা ছিল যে ভালোবাসা দিবস মানে ১৪ ফ্রেবরুয়ারি 

মারিয়া কে নিয়ে স্কুলে আসলাম মারিয়াকে তার স্কুলের গেটে নামিয়ে দিলাম মারিয়া চলে গেলে হটাৎ পিছন থেকে একটা মেয়ে আমাকে ডাক দেয় আমি পিছন ফিরে দেখি ওমা মেয়ে তে আমাকে প্রপোজ করছে৷ 

(মেয়ে) I Love you ৷ 

(আমি) আমি বললাম তুমি এখন ছোট তুমি কিছু বুঝ না রিলেশন কি বাট তুমি আমার ছোট বোনের সাথে একি ক্লাসে পড়ে  আমার ছোট বোন  তোমার বান্ধবী তাই  তুমি আমার ছোট বোন বুঝছে আর তোমার ফুল টা আমি নিচ্ছি বাট বড় ভাই হিসাবে ওকে৷ 

(মেয়ে)  কিছু না বলে চুপ চাপ চলে গেলে৷  

(আমি)  গাড়ি নিয়ে স্কুলে সামনে থেকে চলে আসলাম জানি না আবার যদি কেউ এসে প্রপোজ করে তাই আগে থেকে ও-ই খান থেকে চলে আসলাম একটা রেস্টুরেন্টে চলে গেলাম কিছু খাওয়া জন্য ওমা রেস্টুরেন্টে জোড়া জোড়া কোন সিট খালি নাই  কি  করমু চলে আসলাম৷  অন্য আরেক টা রেস্টুরেন্টে দেখলাম খালি আছে গিয়ে অডার দিলাম কাচ্চি  ২ মিনিট পরে নিয়ে আসলে কাচ্চি বিসমিল্লাহ বলে শুরু করলাম যেই খাবার টা মুখের সামনে নিলাম তখনি সামনে দাড়িয়ে আছে আদিব ও তার কিছু ফ্রেন্ড৷  

( আদিবা)  কেমন আছে আদি৷ 

(আমি)  আমার কাশ চলে আসলে আমি কাশ দিয়ে নিজের কান কে বিশ্বাস করতে পারছি না যে আদিবা আমার সাথে হাসি দিয়ে কথা বলছে আর ভদ্র ভাবে দাড়িয়ে আছে আর কেমন আছে বলছে৷  

(আদিবা)  কি হল কিছু বলছে না যে তুমি৷ 

(আমি)  না মানে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি আপনে কেমন আছেন৷  

(আদিবা) আমি ওওওও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি  তে কি খাচ্ছে৷ 

(আমি)  কাচ্চি খাচ্ছি ৷ 

(আদিবা) ওওও ভালো৷ 

(আমি)  হুম বলে উঠে গেলাম চলে আসমু বলা যায় না কখন কি বলে ফেলায় আদিবা তখন মান ইজ্জত সব যাবে তার থেকে ভালো আগে থেকে এখান থেকে চলে যাই যে আসতে যামু ঠিক তখনি অাদিবা বলে৷  

(আদিবা) আরে আরে কই যা তুমি বসে আমরা সবাই একসাথে আজ খাবার খামু  ৷ 

(আমি)  মুই বুঝছি আজকে আমার পকেট ফাকা করতে চায় কি করমু ফোন টা বের করে হ্যালে কই তুই বলে আমি দাড়িয়ে গেলাম কথা বলতে বলতে আদিবা কাছে থেকে একটু দূরে এলাম৷ ফাউ কোনো কল আসে নাই বাট আমার কাছে কোনো টাকা নাই তাই   আমি  আব্বু কে কল দিলাম আর দশ হাজার টাকা চাইলাম তারা তারি করে আমার বিকাশে পাঠানোর জন্য৷ 

( আব্বু)  আব্বু ওকে পাঠাছি বাট যদি টাকা লাগে আমাকে বলবি কেমন৷ 

(আমি) ওকে আব্বু বাট  জানতে চায় নাই কিসের জন্য আমি টাকা চাইছি  তারা তারি করে আবার ওওওও চলে আসলাম আমার জায়গা দেখলাম আদিবা আর তার বান্ধবীরা খাবার অডার করছে সবাই কাচ্চি সাথে এক গ্লাস করে বোরহানি আর একটা করে কোক খাচ্ছে সবার খাওয়া শেষ তখন আদিবা বলে৷  

(আদিবা) আদিবা সবার উদ্দেশ্য করে বলে আজকে আমাদের পাটি টা সম্পনে আদি দিয়েছে আর সব বিল আজকে আদি দিবে  আর যদি আদি না দিতে পারে তাহলে আদি বলতে পারে আমি না হয় দিয়ে দেমু৷  

সবাই সবার সাথে কথা বলছে একজন বলে আমি দিতে পারমু না আরেক জন বলে আমি দিতে পারমু এর মধ্যে ওয়েটার চলে আসলে বিল নিয়ে বিল আসলে পাঁচ হাজার  ৭ জন বান্ধবী মিলে তখন আদিবা৷  আদিবা বলে কি মিষ্টার আদি হ্মমতা আছে কি তোমার  হুম আমি বললাম জি মেডাম আমার আছে আপনার চলে জান আমি বিল দেমু ওকে৷ 

(আদিবা)  ওকে বাট তুমি দেও আমরা দেখি৷  

(আমি)  শালি আমাকে অপমান করতে চাস না ওকে তাহলে দেখ আমি বললাম ভাই ভাই আপনারা কি বিকাশে পেমেন্ট করেন৷ 

(ওয়েটার) জি স্যার এখানে কেডিট কাড ডেবিট কাড বিকাশ যে কোনো দিয়ে পেমেন্ট করতে পারেন৷ 

(আমি) ওকে চলেন বলে ক্যাশে গেলাম আর বিকাশে পাঁচ হাজার তুললাম আর ওয়েটার কে ২০০ টাকা বখশিশ দিলাম  আর চলে আসলাম ও-ই জায়গা থেকে আদিবা ওওওও তার বান্ধবীরা ভিতরে ছিল৷  আমি গাড়ি নিয়ে বাসা চলে আসলাম বাসা আম্মু রান্না করছে তাই আমি আমার রুমে চলে গেলাম ফোন টা পকেট থেকে বের করে টেবিলে রাখলাম সাথে সাথে আমার ফোন টা বেজে উঠলে  ইচ্ছা করছে না ফোন টা রিসিভ করতে কারন জান্নাতুল কল দিছে হয়তো একবা  দুই বার তিন বার যখন কল দিলে ঠিক তখনি ফোন টা হাতে নেই আর দেখি মেঘ কন্যা কল দিছে তারা তারি করে রিসিভ করলাম৷ 

(মেঘ কন্যা)  আপনে কি বিজি নাকি৷  

(আমি)  না আমি বিজি না৷ 

(মেঘ কন্যা)  তাহলে কল দরতে এত দেরি হল কেন৷ 

(আমি)  আসলে আমি বাথরুমে ছিলাম তাই রিসিভ করতে পারি নাই৷  

(মেঘ কন্যা)  হাহাহা৷ 

(আমি)  হাসেন কেন হুম৷ 

(মেঘ কন্যা)  এমনে হাসি তে কি কেমন আছেন আপনে৷  

(আমি) আলহামদুলিল্লাহ ভালো আপনে কেমন আছেন৷ 

(মেঘ কন্যা)  আলহামদুলিল্লাহ ভালো৷  

(আমি)  এত দিন আপনের ফোন টা বন্ধ ছিল বাট এত দিনে একটা কল ওওওও দিলেন না কেন হুম৷ 

(মেঘ কন্যা)  আসলে আমি একটু অসুস্থ ছিলাম তাই কল দিতে পারি নাই সরি ৷ 

 (আমি)  কি হয়েছে আপনের৷ 

(মেঘ কন্যা)  তেমন কিছু না মাথা একটু সমস্যা হয়েছে  তে আজকে দিন টা  কি দিন মনে আছে৷  

(আমি)  না তে আজকে কি দিন৷ 

(মেঘ কন্যা)  জানি না বায়৷ 

(আমি)  এ-ই শুনেন ৷ 

(মেঘ কন্যা)  কি বলেন ৷ 

(আমি)  আমরা কি আজকে দেখা করতে পারি৷ 

(মেঘ কন্যা)  দেখা করবেন আচ্ছা আজ বিকাল ৪ টা সময় বোটানি গার্ডে ওকে৷ 

(আমি) হুম বাট তোমাকে চিনমু কি করে একটা পিক দেও তোমার৷ 

(মেঘ কন্যা)  পিক দেমু না বাট একি বারে আমাকে সরাসরি দেখবা তুমি আমাকে চিনতে হবে না আমি তোমার সামনে হাজির হমু ওকে৷  

(আমি)  হুম৷  

(মেঘ কন্যা)  তাহলে আমি এখন ফোন টা রাখি৷  

(আমি)  হুম সাথে সাথে কল টা কেটে দিলে টাইম টা দেখলাম মারিয়া পরীক্ষা শেষ হবে ২০ মিনিট পরে তাই আমি তারা তারি করে গাড়ি নিয়ে বের হলাম মারিয়া স্কুলে উদ্দেশ্য কিছু টা রাস্তা যাবার পরে ফোন টা বেজে উঠলে দেখলান জান্নাতুল কল দিছে আমি রিসিভ করলাম৷ 

(জান্নাতুল)  দোস্ত আজকে তুই বিকাল টা আমাকে সময় দিবি৷  

(আমি)  কেন কি করবি তুই৷  

(জান্নাতুল)  না মানে আকাশ চাইছে তার সাথে আজকে বিকালে দেখা করতে তুই যাবি আমার সাথে প্লিজ দোস্ত৷  

(আমি)  আরে তুই পাগল নাকি তুই যাবি প্রেম করতে ওই খানে আমি গিয়ে কি করমু আর আজকে বিকালে আমার একটু কাজ আছে দোস্ত সরি রে৷  

(জান্নাতুল)  আমি জানতাম তুই আমাকে এমন কিছু বলবি যাবি না সেই টা বলে৷  

(আমি)  সত্যি বলছি দোস্ত আমার একটু কাজ আছে সাথে সাথে জান্নাতুল কল টা কেটে দিলে  আমি দুই বার কল দিছি বাট রিসিভ করছে না এ-র মধ্যে মারিয়া স্কুলে সামনে চলে আসলাম কিছু খন পরে মারিয়া চলে আসলে দেখলাম মারিয়া হাতে এক গুছা গোলাপ তা দেখে তে আমার মাথা গরম হয় গেলে মারিয়া আমার কাছে আসতে আমি বললাম এ-ই ফুল তকে কে দিছে (রাগি ভাবে বললাম) 

(মারিয়া)  ভাইয়া তুমি রেগে যাও কেন আর এ-ই ফুল তে আমার না এ-ই গুলো তে....৷ 

(আমি) মারিয়া কে থামিয়ে দিলাম আর বললাম মিথ্যা বলবি না কে দিছে তকে তখন মারিয়া বলে৷ 

(মারিয়া) আরে ভাইয়া আমার বান্ধবীরা তোমাকে এ-ই ফুল গুলো দিতে বলছে তাই আমি আনছি আর তুমি আমার উপর রেগে গেলা৷ 

(আমি)  সরি মারিয়া চল বাসা যাই বলে মারিয়া কে বাসা নিয়ে গেলাম আম্মু  বলে৷  

(আম্মু)  মারিয়া তর পরীক্ষা কেমন হয়েছে আজকে৷  

(মারিয়া) আম্মু আলহামদুলিল্লাহ ভালো হয়েছে ৷ 

(আম্মু)  ভালো হলে ভালো যা ফ্রেশ হয়ে আয় তরা৷  

আমি আর মারিয়া চলে গেলাম রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিচে আসলাম দেখলাম মারিয়া এসে বসে আছে আমি গিয়ে চেয়ার টেনে বসলাম আম্মু খাবার বেরে দিলে আমি খাবার খেলাম খেয়ে উপরে চলে আসলাম হলকা ঘুম দিলাম ৩ টা বাজে ঘুম থেকে উঠলাম৷  উঠে মুখ ধুয়ে পেন্ট শাট পড়ে রেডি হয় বাসা থেকে বের হলাম ৩.৩০  আমি বাসা সামনে থেকে একটা C.N.G নিয়ে গাডেনে চলে গেলাম মেঘ কন্যা কে কল দিলাম সে বলে তার ১০ মিনিট লাগবে আমি ২০ মিনিট দরে বসে আছি হটাৎ করে কল দিয়ে বলে আমি কই আমি যেখানে আছি সেই জায়গা নাম বললাম  ২ মিনিট পরে আমার সামনে একটা মেয়ে আসছে কিছু টা সামনে আসতে দেখলাম এ-ই সে এখানে কেন আমার দিগে আসছে আমি আস্তে করে সরে গেলাম ওই যায়গা থেকে সে এখানে কি করছে.........








Writer:- পিচ্চি ছেলে আদি

NEXT ARTICLE Next Post
PREVIOUS ARTICLE Previous Post
NEXT ARTICLE Next Post
PREVIOUS ARTICLE Previous Post
 

Delivered by FeedBurner