মামা তার সিএনজি থেকে একটা ডায়েরি
রাস্তার দিকে ছুড়ে ফেললেন।ডায়েরিটা এসে
আমার পায়ের কাছে পড়ল।আমি ডায়েরিটা
হাতে নেয়ার পর সেই মামা পান খাওয়া দাঁতে
হাসি দিয়ে বললেন,
-- কে জানি গাড়িতে ফেলায় গেছে খাতাটার
ভিতরে একটাও খালি পাতা নাই
তাই ফেলায় দিলাম,তুমার নিয়াও লাব হইবো
না।
ডায়েরিটা হাতে নেয়ার পর কভার পেজটা দেখে
বুঝতে পারলাম যে এটা কারো পার্সোনাল ডায়েরি।
আমি সিএনজিওয়ালা মামা দিকে মুচকি হাসি দিয়ে
ডায়েরিটা নিয়ে বাসায় চলে আসলাম। বাড়ি ফেরার পর থেকেই ডায়েরিটা পড়ার জন্য মনটা উতলা
হয়ে আছে,যদিও কারো পার্সোনাল কিছুতে হাত দেওয়া উচিত নয় তবুও। হাতমুখ ধুয়ে ফ্রেশ করে হয়ে ডায়েরিটা নিয়ে বসলাম। মোটামুটি পুরনো, বিবর্ন ডায়েরিটা।
প্রথম পেজটা খুলে পড়া শুরু করলাম, সেখানে
লিখা-
"প্রিয় ডায়েরি",
সবকথা সবাইকে বলা যায় না। গোপন কথাগুলো
মানুষ জানতে পারলে সে কথাগুলো দিয়ে যে
বড্ড কষ্ট দেয়। আবার কারো
সাথে শেয়ার করতে না পারলেও বুক ভার হয়ে
থাকে।তুমি না হয় আমার সুখ-দুঃখের সাথি
হয়ে থেকো।আজকে থেকে আমার সব
অতীতগুলোর সাক্ষী না হয় তুমিই থাকলে।
আমি জানি একমাত্র তুমিই
আছো যে কিনা আমার সব কথা জেনেও
আমার সাথে বেইমানি করবে না।
- (২৩/০৫/০৭ইং)
তারমানে এই ডায়েরিটা আজ থেকে প্রায় পনেরো
বছর আগের।তারিখের নিচে আবার খুব যত্নে
হালকা ফুল-লতা পাতার একটা নকশা
ডিজাইন করা।বুঝতে পারলাম এটা কোনো
মেয়ের খুব পছন্দের
ডায়েরি ছিল।আমিও একজন মেয়ে,আমিও
মাঝে মাঝে ডায়েরিতে কিছু লিখার
পর শেষে কোনো ফুলের ছবি আকিঁ।যাইহোক,
পরের পেজটা খুলে পড়া শুরু করলাম,
" আমি যখন ক্লাস ফাইভে পড়ি তখন আমার
বাবা মারা যায়। আমার ছোট ভাইটার বয়স
চার বছর।তখন থেকে মা আমাদের দুই
ভাইবোনকে বহু সংগ্রাম করে মানুষ করেন।
নানাবাড়ি থেকে বহুবার মাকে নিয়ে যেতে চাইলেও
মা নিজের আত্মসম্মানের জন্য যান নি।
তিনি কখনোই ভাই-ভাবীর সংসারের বোঝা হতে
চান নি।আবার বাবা মারা যাওয়ার পর আমার
দুইচাচা আমাদের সম্পত্তি দখলের চেষ্টা
করছিলেন। এইকারনেও মা এবাড়ি ছেড়ে যান নি।কারণ,
মা মনে করতেন একবার বাড়ির দখল ছেড়ে
দিলে আর কখনোই এবাড়িতে ঠাঁই নিতে
পারবেন না।আমার অনেক সুন্দরী ছিলেন।
গ্রামের লোভতুর মানুষের দৃষ্টি পড়ে আমার মায়ের ওপর।প্রায় রাতেই আমাদের দরজায় কে যেন
জোরে জোরে ধাক্কাতো।ঘুমানোর সময়
দেখতাম মা দা-বটি পাশে নিয়ে ঘুমাতেন
আর সবসময় একটা ধারালো ছুরি নিজের কাছে কোমরে গুজে রাখতেন।তখন দা-বটি নিয়ে
ঘুমানোর কারনটা না বুঝলেও এখন ঠিকই বুঝি।
এতো কষ্ট - সমস্যা উপেক্ষা করেও তিনি
এবাড়িতে থেকেছেন শুধু আমাদের সুখের
কথা ভেবে।আমাদের বাইরে বাথরুম হওয়ায়
যখন বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন হত তখন মা
আমাকে ঘুম থেকে জাগিয়ে তারপর বেশ সর্তকতা অবলম্বন
করে বাইরে যেতেন।
একদিন গভীর রাতে মা বাথরুমে গেছেন বাইরে
থেকে শেকল আটকে। আর আমি
ঘুম ঘুম চোখে বসে আছি আর হাই তুলছি।হঠাৎ
দেখি শেকল খুলে হুড়মুড় করে একজন পুরুষ
লোক আমাদের ঘরে, মুখে কালো রংয়ের
মুখোস পড়া।আমি ওনাকে দেখে ভয়ে চিৎকার দিয়ে
উঠলাম। লোকটা এসে আমার মুখটা চাপা দিয়ে
ধরল।তারপর আমার মুখ, হাত - পা বেঁধে ফেলল।
আমাকে বেঁধে কালো মুখোস পড়া লোকটা
দরজার আড়ালে গিয়ে দাড়ালো।এদিকে আমার মা
আমার চিৎকার শুনে দৌড়ে ঘরে আসলোমা ঘরে
ঢোকার সাথে সাথে ওই লোকটা দরজা লাগিয়ে দিলো।
আমার মা ভয় পেয়ে গেল।ওই লোকটা মায়ের
গায়ের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়লো। মা ওনার কাছ থেকে
নিজেকে ছোটানোর বিভিন্নরকম চেষ্টা করছে।
কোনোমতেই লোকটার গায়ের সঙ্গে পেরে উঠছেন
না।আমি থরথর করে কাপঁছি।আমার ছোট ভাইটাও
জেগে গেছে, ও ভীষণ ভয় পেয়ে আমাকে জড়িয়ে
ধরে আছে। এরমাঝেই মা তার কোমর থেকে
ছুড়িটা বহুকষ্টে বের করলেন তারপর মা....
মা ওই খারাপ লোকটার কাছ থেকে নিজেকে ছোটানোর বিভিন্নরকম চেষ্টা করছে। কোনোমতেই লোকটার গায়ের সঙ্গে পেরে উঠছেন না।আমি থরথর করে কাপঁছি।আমার ছোট ভাইটাও জেগে গেছে, ও ভীষণ ভয় পেয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরে আছে। এরমাঝেই মা তার কোমর থেকে ছুড়িটা বহুকষ্টে বের করলেন তারপর মা ছুরিটা ওনার কানি আঙুলে
পোচ লাগয়ে দেন,এরপরও নিজেকে ওনার কাছ
থেকে ছোটাতে না পেরে গায়ের সমস্ত শক্তি দিয়ে
কানি আঙুলে ভালোমতো পোচ দেয়ার ফলে
আঙুলটা কেটে দুভাগ হয়ে যায় আর গলগল করে
রক্ত পড়তে থাকে, রুমটা পুরো রক্তে ভরে যায়।
রক্ত দেখে আমরা দুই ভাইবোনও বেশ ভয় পেয়ে যাই।
মুখোশধারী লোকটা এবার মাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে
দিয়ে তাড়াতাড়ি ঘর থেকে চলে যান।আল্লাহর দয়ায়
আর মায়ের বুদ্ধির জোরে সেদিন মা নিজের সম্মান
রক্ষা করতে পেরেছিলেন।এরপর সারারাত মা ঘুমান
নি, আমার এখনো স্পষ্ট মনে পড়ে আমাদের বুকে
ধরে সারারাত কেঁদেছিলেন।
সকালে আমার বড়চাচা বেশ রাগী চেহারা নিয়ে ঘরে ঢোকে। আমি তখন খুব ভালো করে
বড়চাচার হাতের দিকে খেয়াল করে দেখি চাচার হাতে
একটা ব্যান্জেজ, বিশেষ করে কানি আঙুলের দিকটা ভালো করে ব্যান্ডেজ করা।বড়চাচা মাকে এবাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধামকি-ধুমকি দিলেন।রাতের ব্যাপার নিয়ে যাতে কোনো বিচার-শালিশ না ডাকে। আর যদি কোনো ঝামেলা করার চেষ্টা করে তাহলে আমাদের কপালে অনেক দুঃখ আছে--বলে চাচা চলে গেলেন। আমার শিশু মনে হঠাৎ করে
প্রশ্ন এলো তাহলে কি কালরাতে আমাদের ঘরে
মুখোশ পড়ে আমার বড়চাচা-ই এসেছিলেন? কিন্তু কেন
এসেছিলেন?
বড়চাচা চলে যাওয়ার পর মাকে গিয়ে একথা জিজ্ঞেস করায় মা মুখে আচঁল চেপে কাঁদতে লাগলেন। তখন
এতোটাও অবুঝ ছিলাম না, কিছুটা হলেও মায়ের মুখে আঁচল দিয়ে কান্নার মানেটা বুঝেছিলাম।
রাতের এমন ভয়ানক কাহিনি, সকালে চাচার হুমকি
সবমিলিয়ে মা বেশ ভয় পেয়ে যান।যদি আবার খারাপ কিছু ঘটে এই আশংকায়! মা বড়মামাকে ফোন দিয়ে
সবটা খুলে বলেন। মামা মায়ের কথা শুনে একমুহূর্ত দেরী না করে আমাদের বাসায় চলে আসেন। আমাদের বড় রকমের বিপদ হওয়ার ভয়ে মামা মায়ের অনিচ্ছা সত্ত্বেও আমাদের সবাইকে নিয়ে চলে গেলেন তাদের বাড়িতে। শুরু হলো আমাদের জীবনের অন্যরকম যাত্রা।
মামাবাড়িতে উঠার পর আমাদের সেখানে থাকার কথা শুনে মামির মুখ চুপসে গেল। অবশ্য মামিকে আমি দোষ দেই না কারন কেউ তার সংসারে আপদ চায় না।
তিন তিনটা মানুষের ভরনপোষণের দায়িত্ব নেওয়া
চাট্টিখানি কথা নয়।যদিও মামি প্রথম প্রথম আমাদের
সাথে খারাপ ব্যবহার করতো না,কিন্তু পরবর্তীতে আমাদের প্রতি তার আচরনে বিরক্তি ফুটে উঠতো।
কথায় কথায় মাকে ছোট করতো,খোটা দিতো।
মা তখন মামিকে বলেছিলো-" ভাবী, মেয়েরা খুব অসহায় না হলে কখনো বাপের বাড়ি পড়ে থাকে না।আজ আমি অসহায় বলে আপনার দারস্থ হয়েছি।
একদিন আমারও দিন ঘুচবে, সারাজীবন আপনার সংসারে থাকতে চাই না। ছেলেমেয়ে দুটো আরেকটু বড় হোক তারপর আমিই চলে যাব।"
মায়ের কথাগুলো এখনো আমার কানে বাজে।
তারপর থেকে মা ঘরের প্রায় সবকাজ করার চেষ্টা করতো।মামিও চাইতো কাজের লোক বিদায় করে
মাকে দিয়ে ঘরের সব কাজ করানোর।কিন্তু একদিন
মামা মা আর মামিকে ডাকেন।
মামা মামিকে কড়াগলায় বলেন, "আমাদের কি টাকা পয়সার কমতি আছে যে তুমি আমার আদরের বোনটাকে দিয়ে কাজ করাও? তোমার আরো কাজের লোক লাগলে আমাকে বলবা আমি রেখে দিব। তুমি কেন ওকে দিয়ে কাজ করাও?ও কি এবাড়ির কাজের লোকের কাজ করার জন্য এনেছি?শোনো ঝুমা আম্মু
তুমি রেশমার সাথে যা ব্যবহার করো সব আমি জানি,শুনি।কিন্তু কিছু বলি না তোমাকে।তবে আজকে
তোমাকে ওয়ার্নিং দিচ্ছি ভবিষ্যতে কোনো খারাপ ব্যবহার করবে না আর ঘরের কোন কাজও করাবে না।
মামি কাঁচুমাচু হয়ে দাড়িয়ে রইলেন।মামা মাকে বললেন,
--"রেশমা তোকে এবাড়িতে কাজ করতে আনি নি।
তুই এবাড়ির আশ্রিতা বা কাজের লোক কোনটাই না যে যার ইচ্ছা তোকে দিয়ে কাজ করাবে আর তুইও মুখ বুজে কাজ করবি সেটা হবে না।তুই এবাড়িতে থাকবি নিজের বাড়ির অধিকার নিয়ে।তোর যখন যা প্রয়োজন আমাকে বলবি, লজ্জা করবি না।তুই তো জানিসই আমি আর রোমান তোকে কতোটা ভালোবাসি।রোমান তো আপা আপা বলতেই পাগল। আর তুই নিজেকে ভাবছিস অসহায়?কে বলেছে তুই অসহায়?এই বড়ভাই যতদিন বেঁচে আছে ততদিন তোর গায়ে কোনো ফুলের টোকাও লাগতে দিব না।
সেদিন মামা মাকে মর্যাদা দেওয়ায় মামি সবসময় আমাদের সাথে ভালো ব্যবহার করত।মূলত বড়মামার ভয়ে তিনি আমাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করতো না।
.
.
দিন যাচ্ছে বড় হচ্ছি। এখন আমি দশম শ্রেণির ছাত্রী।
যতদিন যায়, মানুষের জীবনে খরচ অনেক বাড়ে।রোমান মামা আগে বিদেশে থাকতেন।প্রতি মাসে মাকে আমার পড়াশোনার খরচের কথা বলে বেশি টাকা পাঠাতেন যাতে আমাদের সংসারের খরচটাও হয়ে যায়।এখন মামা বিদেশ থেকে চলে এসেছেন। বিয়ে করেছেন ছেলে হয়েছে।আগের মতো টাকা নেই তার কাছে তবুও তিনি আমাদের সংসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।আর বড়মামার অবদান আমাদের জীবনে না বললেই নয়!
তিনি এখন পর্যন্ত আমাদের জন্য যা করেছেন তা ইতিহাসে বিরল।তবুও আর্থিক সংকট জীবন থেকে যাচ্ছে না। সবকিছু তো আর মামাদের থেকে নেওয়া
যায় না।তাদেরও ফ্যামিলি আছে,ভবিষ্যত আছে।
আমি পড়াশোনায় ভালো হওয়ায় স্কুলে বিনামূল্যে পড়াশোনা করি।বাড়িতে বড়মামার মেয়ে ঝুমা আপু আমাকে বাকি পড়া বুঝিয়ে দেয়। বড়মেয়ে হওয়ায় সংসারের অনেক কিছুই আমাকে বুঝে নিতে হয়।টেইলারিং এর কাজ করে টাকা উপার্জন করছি।এদিকে মা আবার অসুস্থ। আমাকে বিয়ে দেওয়ার
জন্য পাগল হয়ে গেছে। মায়ের ধারনা মা বেশিদিন বাঁচবে না।
মায়ের কিছু হলে আমার কি হবে সেই দুশ্চিন্তায় মা আরো ভেঙে পড়ছে।কিন্তু মামা এখন আমাকে বিয়ে দিতে রাজি নন।তিনি আমাকে অনার্স কমপ্লিট করাতে চান।
মাঝে মাঝে ভাবি আমার জীবনটা এতো সাদাকালো কেন?অন্য মেয়েদের জীবনের মতো আমরা
জীবনটাও তো হতে পারতো রঙিন।
তবে আমি কখনোই নিজেকে নিয়ে ভেঙে পড়ি না।আমার বিশ্বাস আমি পড়াশোনা শিখে অনেক বড় মানুষ হবো।অনেক ধন-সম্পদের মালিক হবো।সমাজসেবিকা হবো,দরিদ্রদের পাশে দাড়াব।
.
.
ঝুমাআপুর বিয়ে ঠিক হয়েছে। পাত্ররা অনেক ধনী।
মামি তো এমন পাত্র পেয়ে খুশিতে গদগদ।অবশ্য শুধু মামি না বাড়ির সকলেই খুশি।তবে মামি এমন পাত্র পেয়ে সবার তুলনায় একটু বেশিই খুশি। ঝুমা আপুও দেখতে শুনতে কম নয়।বলা যায় রুপে-গুনে অনন্য।
অনার্স তৃতীয় বর্ষে পড়ছে। আমি আপুর থেকে প্রায় পাঁচ বছরের ছোট।আমিও এবার ইন্টার ফার্স্ট ইয়ারে পড়ি। টেইলারিংয়ের পাশাপাশি স্টুডেন্টদের বাড়িতে গিয়ে টিউশনি পড়িয়ে বেশ ভালো টাকা ইনকাম করি।
তবে আমার মায়ের বাড়ি গিয়ে সন্ধ্যার পর টিউশনি পড়ানোর ব্যাপারটা পছন্দ নয়। তবে সন্ধ্যার পর পড়ানো ছাড়া কোন উপায়ও নেই।সারাদিন কলেজ,টেইলারিংয়ের কাজ,ঘরের কাজ সামলিয়ে আমি বেশ হাপিয়ে উঠি।তাই সন্ধ্যা সাতটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত টিউশনি করে বাড়ি ফিরি।বাড়ি ফিরার আগ পর্যন্ত মা ভীষণ টেনশন করে যদি আমার কোনো বিপদ-আপদ হয়। রাত করে বাড়ি ফিরা ছাড়া কোনো উপায় নেই কারন যে বাড়িতে কর্তা থাকে না, সেখানে নারীদেরই সকল বাধা পেরুতে হয়।
সেই নারীদের কোন ভয় থাকতে লাগে না।
.
.
মায়ের ভয়টাই একদিন আমার জীবনে সত্যি হয়ে দাঁড়ালো।আমি টিউশনি শেষে বাড়ি ফিরছি, দেখি সামনের কেরাম খেলার ঘরটায় তিন-চারজন ছেলে কি রকম লোভতুর দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছে! ওদের দৃষ্টি দেখে বুঝতে পারছি কেন এভাবে তাকিয়ে আছে?ভীষণ ক্লান্ত লাগছে আমার তবুও আমি তাড়াতাড়ি হাঁটার চেষ্টা করছি আর মনে মনে দোয়া-দরূদ পড়ছি।সামনে এক দম্পতিকে দেখতে পেলাম, তাদের দেখে মন এক টুকরো সাহস হলো কিন্তু একটুখানি যাওয়ার পর তারা অন্য রাস্তা ধরলো আর আমিও ভয়ে দৌড় দিলাম।তবে শেষ রক্ষা আর হলো না। মানুষরূপী জানোয়ারগুলোও আমাকে ধাওয়া করে ধরে ফেলল।
চলবে...
Writer:- নিঝুম