> ছদ্মবেশি কোটিপতি পর্ব ১৬, ১৭, ১৮ | Bangla Best Story | Bangla Thriller Story | Bangla New Story
-->

ছদ্মবেশি কোটিপতি পর্ব ১৬, ১৭, ১৮ | Bangla Best Story | Bangla Thriller Story | Bangla New Story

আমি যেখানে আছি সেই জায়গা নাম বললাম  ২ মিনিট পরে আমার সামনে একটা মেয়ে আসছে কিছু টা সামনে আসতে দেখলাম এ-ই সে এখানে কেন আমার দিগে আসছে আমি আস্তে করে সরে গেলাম ওই যায়গা থেকে সে এখানে কি করছে.........

জান্নাতুল এখানে কি করছে হায় হায় এখন যদি সে আমাকে দেখে এ-ই খানে তাহলে কি হবে তাই আমি সেই জায়গা থেকে লুকিয়ে গেলাম দেখলাম জান্নাতুল আমার জায়গা দাড়িয়ে গেছে ৷ তার মানে কি জান্নাতুল হলে মেঘ কন্যা  না জান্নাতুল যদি মেঘ কন্যা হয় তাহলে তে আমাকে বলতে সে আমাকে পছন্দ করে মনে হয় জান্নাতুল আমাকে সারপ্রাইজ দিবার জন্য বলে নাই আমি নিচ্ছিত জান্নাতুল হলে মেঘ কন্যা তা না হলে জান্নাতুল এখানে কেন আসবে৷  যাই তাহলে জান্নাতুলের কাছে যেই প্রথম পা বাড়ালাম তখনি দেখলাম আদিবা আসছে জান্নাতুল এ-র  দিগে হায় হায় ও-ই মেয়ের কাছে যাওয়া যাবে না যদি যাই না জানি কি না কি ব্যবহার করে বসে তার থেকে ভালো তাদের কথা গুলো এখান থেকে শুনি  আমি এখানে থাকি আর কি করে তা দেখি দুই জন দুই জনের কাছাকাছি আসলে৷ 

(আদিবা) ও-ই তুই এখানে কি করছিস হুম৷  

(জান্নাতুল)  কেন আমি এখানে আসলে তোমার সমস্যা কি হুম তুমি এখানে কি করছে৷ 

(আদিবা) আমার এখানে কাজ আছে এখানে আমার একটা লোক আসবে৷  

(আমি)  মনে মনে বললাম তার মানে আদিবা হলে মেঘ কন্যা তাহলে তে আমি শেষ৷ 

(জান্নাতুল)  আমার ওওওও এখানে একটা লোক আসার কথা৷ 

(আমি)  দুই জনের কথা শুনে আমার মাথা নষ্ট হয় যাচ্ছে  কে মেঘ কন্যা এখনি দেখছি যদি আদিবা হয় তাহলে সাথে সাথে আদিবা কে ব্লক করে দেমু আর যদি জান্নাতুল হয় তাহলে বন্ধুকতে খাতিলে একটা চান্স দেওয়া যায় মেয়ে টা অনেক ভদ্র৷ তাই আমি মেঘ কন্যা ফোনে কল দিয়ে দুই জনের দিগে তাকালাম  দেখলাম দুই জনে ফোন রিসিভ করলে হায় হায় এ-ই কি হল আমি হ্যাল বলে কল কেটে দিলাম আর দেখলাম দুই জনে ফোন রেখে দিল আমার মাথা কিছু আসছে না  কি করে হতে পারে এ-ই রকম আমি তে পাগল হয় গেলাম আর ও-ই দিগে দুই টা ঝগড়া করা শুরু করে দিলে৷  আমি এখন কি করমু ওদের মধ্যে কে মেঘ কন্যা আর দুই টা বা এখানে কি করছে কি করে ওদের ঝগড়া বন্ধ করমু আল্লাহ গো মাথা আর কাজ করছে না  ওদের সামনে গিয়ে কি ঝগড়া বন্ধ করমু নাকি একি বারে এখান থেকে চলে যামু৷ মেয়েদের ঝগড়া কাছে থেকে দূরে থাকা টা বুদ্ধিমানের কাজ কখন কি বলে ফেলায় তার নিচ্ছিওতা নাই তাই অন্য জায়গা দিয়ে আমি বের হলাম আর একটা রিক্সা দিয়ে চলে আসলাম  বাসায়  এসে কলিংভেল দিলাম মারিয়া দরজা খুলে দিলে৷  

(মারিয়া)  ভাইয়া কি হয়েছে এত টেনশন লাগছে কেন তোমার৷ 

(আমি)  কিছু না বলে রুমে চলে আসলাম এসে শুয়ে পড়লাম খাটে একটু রেস্ট দিলাম মাথা টাকে  ১ ঘন্টা পড়ে ফোন টা হাতে নিলাম     দেখলাম মেঘ কন্যা ১০ টা কল দিছে আর মেসেজ দিয়ে  সরি বলছে সরি কেন বলবে সরি তে আমি বলমু কারন তার সাথে কথা না বলে আমি চলে এসেছি তাই আমি কল দিছি মেঘ কন্যা রিসিভ করে৷  

(মেঘ কন্যা)  সরি প্লিজ রাগ করবেন না৷ 

(আমি)  আরে আসলে আমি  সরি বলছি৷  

(মেঘ কন্যা)  আপনে কেন সরি বলবেন আপনে আমার জন্য কতখন অপেক্ষা করছেন আমি আসতে পারি নাই   আপনে অনেক কষ্ট হয়েছে না৷ 

(আমি)  কি ( তার মানে মেঘ কন্যা আসে নাই যাক বাবা বেচে গেলাম কত না টেনশনে ছিলাম আমি )  এ-ই টা বুঝি একটা কাজ করলেন আপনে হুম৷ 

(মেঘ কন্যা)  আমি তে অধেক রাস্তা চলে আসলাম বাট বাসা থেকে কল আসলে আব্বু নাকি হটাৎ করে শরীল খারাপ হয়েছিল তাই আমি আবার ওওও চলে গেছিলাম আপনাকে বলতে ভুলে গেছি যে আমি আসমু  না৷  

(আমি)  আংকেল কেমন আছে এখন৷ 

(মেঘ কন্যা)  আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছে৷ 

(আমি)  আচ্ছা আপনাকে দেখতে অনেক ইচ্ছা করছে প্লিজ দেখা দেন মন টা ঠান্ডা করে দেন   দুই চোখে আপনাকে দেখে চোখ গুলো শান্তিতে ঘুমাতে চায়৷ 

( মেঘ কন্যা)  দেখতে চান তবে ওয়েট করেন দেখা হবে তবে একদিন সত্যি আপনের সামনে আসমু আর সেই দিন আপনে নিজে আমাকে খুজে নিবেন আর সেই দিন আমাকে ইচ্ছা মতো দেখবেন ৷ 

(আমি)   কি যদি আপনাকে আমি কোন দিন ওওওও না চিনতে পারি তাহলে কি হবে৷ 

( মেঘ কন্যা)  তাহলে সব শেষ  আর কখন আপনে আমাকে পাবেন না  যদি চিনতে পারেন তাহলে  আপনে আমাকে দেখতে পারবেন৷ 

(আমি)  এত বড় কঠিন শত আমি মানতে পারমু না মেঘ কন্যা তোমাকে দেখার জন্য আমার দুই চোখ পথ চেয়ে আছে সেই টা কি আপনে বুঝেন না৷ 

(মেঘ কন্যা)  হুম বুঝি বাট আপনে নিজে আমাকে চিনে নিতে হবে যে আমি যখন আপনের সামনে যামু তখন আমি আমার চেহেরা বননা দিয়ে যানু   তাহলে কি আমাকে চিনবেন না ৷ 

(আমি)  আমার এত অভিগতা নাই যে মেয়ের চেহেরা বননা দেখে তাকে আমি চিনে ফেলমু এ-র মধ্যে মারিয়া আসলে আমার রুমে দরজা আর ডাকতে থাকলে তখন মেঘ কন্যা বলে ৷ 

( মেঘ কন্যা)  কে আপনের বোন ডাকে নাকি হুম৷ 

(আমি)  জি বাট আপনে আমার পরিবারে সম্পকে সব জানেন তাই না৷ 

(মেঘ কন্যা)  আমি হলাম মেঘ কন্যা আর আমার সব জানতে হয় আচ্ছা বায় আপনে আপনের বোনের সাথে কথা বলেন কেমন৷ 

(আমি)  এ-ই শুনেন বলতে বলতে কল কেটে গেলে  আমি মারিয়া কে বললাম ভিতরে আয়৷ 

(মারিয়া)  মারিয়া ভিতরে আসলে আর বলে ভাইয়া কাল কে আমার পরীক্ষা শেষ চলে না কোথাও ঘুরতে যাই আমরা৷ 

(আমি)  মাইর খাবি হুম আমার সামনে ফাইনাল পরীক্ষা আমাকে পড়তে হবে তর সাথে গিয়ে আমার বার টা বেজে গেছে লেখা পড়ার এখন কোনো ঘুরাঘুরি চলবে না বুঝলি যা এখন পড়তে বস ৷ 

(মারিয়া)  ওকে ভাইয়া বলে চলে গেলে৷ 

আমি  রুম থেকে বের হলাম দেখলাম আব্বু আম্মু নিচে বসে গল্প করছে তাই আমি উপরে ছাদে  চলে যেতে যামু তখনি আব্বু আমাকে ডাক দেয়৷  

(আব্বু)  আদি তর সাথে তে আমার কোনো কথা হয় না হয় তে তুই বিজি থাকস না হয় আমি থাকি তে তর পড়া লেখা কেমন চলছে৷  

(আমি)  জি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আব্বু৷  

(আব্বু)  ভালো হলে ভালো৷ 

(আমি)  এখন আমি আসি৷ 

(আব্বু) ওকে যাও৷ 

তার পড়ে আমি চলে আসলাম সুজা ছাদে আকাশ টা আজ অনেক সুন্দর লাগছে উপর থেকে রাস্তা দিগে তাকালাম দেখলাম পিচ্চি পিচ্চি ছেলে মেয়ে হাতে হাত রেখে হেটে যাচ্ছে ৷ আজ যদি আমার একটা থাকতে তাহলে আমি ওওওও আজকে ঘুরে বেড়াতাম  নাই বলে আজ বাসায় কি আর করমু তাই আবার নিজের রুমে চলে গেলাম ......... একটু সমস্যা কারনে গল্প টা ছোট করে দিছি   মেঘ কন্যা কে তা আমার ওওওও অজানা  আদিবা বা জান্নাতুল কে ওওওও দিলাম না নতুন কোনো কেউ কে আনতে চাই.......




আজ যদি আমার একটা থাকতে তাহলে আমি ওওওও আজকে ঘুরে বেড়াতাম  নাই বলে আজ বাসায় কি আর করমু তাই আবার নিজের রুমে চলে গেলাম ........

নিজের রুমে গিয়ে সুয়ে পরলাম কিছু খন পরে আমার ফোন টা বেজে ওঠে আমি ফোন টা সাইলেন্স করে দেই  ১ ঘন্টা পরে  আম্মু এসে ডেকে গেলে খাবার খাওয়া জন্য আমি মারিয়া রুমে গিয়ে দেখি মারিয়া পড়ছে  মারিয়া কে বললাম যে আর পরতে হবে না এখন খাবার খেতে হবে নিচে চল৷ 

(মারিয়া)  না ভাইয়া আমার এখন পড়তে হবে আমি পরে খামু তুমি গিয়ে খেয়ে আসে৷ 

(আমি)  আর পড়তে হবে না তর এখন আমাদের সাথে খেতে চলে৷ 

(মারিয়া)  না ভাইয়া   একটু পরে খামু আমি ৷ 

(আমি)  চল বলছি রাগ দেখিয়ে ৷ 

(মারিয়া) ভাইয়া৷ 

(আমি) একদম চুপ চল নিচে বলে মারিয়া কে নিয়ে নিচে গেলাম দেখলাম আব্বু আম্মু খাবার নিয়ে বসে আছে    আমাদের জন্য আমি  আম্মু কাছে বসলাম আর আব্বু কাছে  মারিয়া বসলে আম্মু খাবার বেরে৷  দিলে প্রথম আব্বু কে তার পরে আমাকে তার পরে মারিয়াকে সবার শেষে আম্মু নিলে খাবার  তরকারি ওওওও সেইম আমি বললাম আম্মু আগে তুমি তরকারি নেও তার পরে আমাদের কে দিয়ে আম্মু বলে না আগে তারা খাবে তার পরে আমি খামু  আমি বুঝতে পারি কেন আম্মু বলে৷  (একটা জিনিস গ্রামে সব থেকে বেশি দেখা যায়  খাবার খাওয়া সময় আম্মুরা সবার পড়ে খাবার খায় আমাদের জন্য আমাদের যে খাবার খেতে গেলে শট না পরে তার জন্য তাদের ভাগ টা ওওওও আমাদের কে দিয়ে দেয় আম্মু তোমাকে সত্যি অনেক ভালোবাসি)৷ 

(মারিয়া)  আম্মু ভাইয়া তে ঠিক বলছে তুমি সব সময় পরে খাবার নেও পরে খাও এখন থেকে তুমি আগে সব কিছু নিবা ওকে৷  

(আম্মু)  এখন বুঝবি না যখন মা হবি তখন বুঝবি যে সন্তান কি আর সন্তান খেলে মা ওওওও খাওয়া হয়ে যায় তর হলি আমার সাত রাজা ধন  তরা ঠিক থাকলে আমি খুশি থাকি৷ 

(আব্বু)  আর আমি কি আমি তৃতীয় ব্যক্তি নাকি হুম আমার কি সন্তানের প্রতি কোনো দায়িত্ব নাই সব কি মা আর আমি কিছু না৷  

(আমি)  না আব্বু একটা সংসারে বট গাছটা কিন্তু বাবা হয় তোমার জন্য আমরা একটা সুন্দর উজ্জ্বল ভবিষ্য পাচ্ছি তুমি আমাদের কে দুই মুট খাবার খাওয়ানের জন্য অনেক পরিশ্রম করছে আমাদের একটু সুখে রাখার জন্য তোমার শরীরে অনেক ঘাম জড়াছে তোমার এ-ই ঘামের ঋিনটা ওওওও আমরা শোধ করতে পারমু না বাবা তোমাকে যে অনেক ভালোবাসি বাবা৷ ( জানি না হটাৎ করে আম্মু আব্বু  কে নিয়ে লেখতে মন চাইছে তাই লেখলাম বাট কেউ কিছু মনে করবেন না)  আমাদের খাবার আমাদের প্লেটে রয়েছে বাট আব্বু আম্মু চোখে অনেক পানি চলে আসলে আমি বললাম কি হলে কান্না করছে কেন৷ 

(আম্মু)  এ-ই টা দুঃখের কান্না না এ-ই টা সুখের কান্না বাবা৷ 

(আমি)  সুখের কোনো কান্না হয় নাকি হুম ৷ 

(আম্মু)  হয় এখন বুঝবি না যখন বাবা হবি তখন বুঝবি৷  

(মারিয়া)  এ-ই সব বাদ দিয়ে তোমরা খাবার খাবে কি না সেই টা বলে আমার পরীক্ষা কালকে৷ 

(আব্বু) হুম এখনি  খাচ্ছি আমরা ৷ 

এ-ই বলে আমরা সবাই খেতে থাকলাম সবাই  খেয়ে যার যার রুমে চলে গেলাম গিয়ে আমি ঘুমিয়ে গেলাম ফজরের আযান  শুনে  ঘুম ভেঙে গেলে  ঘুম থেকে উঠে অজু করে নামাজ পড়ে নিলাম৷ নামাজ পড়ে মারিয়া রুমে গিয়ে  মারিয়া কে জাগিয়ে দিলাম নামাজ পড়ে যেনে পড়তে বসেন৷  আমি একটু রাস্তা বের হলাম অনেক দিন ধরে রাস্তা বের হয় নাই  তাই সকাল সকাল রাস্তা বের হলাম রাস্তা দিয়ে হেটে হেটে যাচ্ছি   সকাল টা ভালো লাগছে সামনে দেখলাম একটা লোক চা  বিক্রি করছে  আমি লোক টা কাছে গিয়ে চা চাইলাম৷ 

(লোকটা)  মামা আমি তে চা  বিক্রি করি না কফি বিক্রি করি৷ 

(আমি)  ওওওও তা কফি দাম কত৷  

(লোকটা)  মামা প্রতি কাপ ১৫ টাকা৷ 

(আমি)  ওকে আমাকে এক কাপ দেও বলে এক কাপ নিয়ে ২০ টাকা দিলাম লোক টা আমাকে ৫ টাকা দিলে আমি প্রথম চুমুতে একটা সাদ পেলাম বাহ খুব ভালো তে অল্প টাকা কফি    আমি হাতে হাতে কফি খেলাম আর বাসা আসলাম এসে ফ্রেশ হয়ে নিচে এসে দেখি নাস্তা বানিয়ে রেডি  করে রাখছে মারিয়া ওওওও চলে আসলে দুই জন্য নাস্তা করে গাড়ি নিয়ে বের হলাম মারিয়া করে স্কুলে সামনে নামিয়ে দিয়ে আমি গাড়ি নিয়ে   একটা পার্কে যাই ফোন টা বের করে প্রথম জান্নাতুল কে কল দেই জান্নাতুল রিসিভ করে বলে ৷ 

(জান্নাতুল)  আপনে যাকে কল দিছেন সে এখন বেস্ত আছে অনুগ্রহ করে একটু পরে কল করেন৷ 

(আমি)  সরি আসলে কালকে ফোন টা সাইলেন ছিল যার কারনে কারো ফোন রিসিভ করতে পারি নাই জান্নাতুল৷ 

(জান্নাতুল)  আসলে তুই দিন দিন  কেমন কেমন যে হয় যাচ্ছি৷ 

(আমি)  কেমন হচ্ছি হুম৷  

(জান্নাতুল)  আগে মত আর আমাকে সময় দেস না তুই৷ 

(আমি)  আসলে আমি কিছু দিন ধরে বেস্ত আছি যার কারনে তর সাথে সময় দিতে পারছি না ৷ 

(জান্নাতুল)  হুম বুঝছি৷ 

(আমি)  আচ্ছা কাল তুই বিকাল বেলা কই ছিলি রে৷ 

(জান্নাতুল)  কেন৷ 

(আমি)  এমনে বল না কই ছিলি৷ 

(জান্নাতুল)  কালকে আমি বিকালে বোটানি গার্ডে গিয়ে ছিলাম আকাশের সাথে দেখা করতে৷ 

(আমি)  ওওওও আচ্ছা তর সাথে কি আর অন্য কেউ ছিল৷  

(জান্নাতুল)  আচ্ছা বলতে আগে তুই কি আমাকে দেখছেত নাকি৷  

( আমি)  না আমি যদি দেখতাম তাহলে তে তর কাছে আসতাম তাই না৷ 

(জান্নাতুল)  তাও তে ঠিক আরে বলিস না কাল কে আদিবা সাথে দেখ গাডেনে দেখা সে এসে আমার সাথে ঝগড়া লেগে গেছে ৷ 

(আমি)  কেন সে তর সাথে ঝগড়া লাগছে৷  

(আমি)  আরে সে নাকি আকাশ কে পছন্দ করে আর আকাশ আমাকে কল দিছে আমি রিসিভ করছি সে ওওওও তার ফোন দিয়ে আমাকে কথা গুলো রিবিট করছে তাই আমি ফোন টা রেখে দিলাম৷ 

(আমি)  ওওওও আচ্ছা  এ-ই কাহিনী ( তাই তে বলি এক সাথে কি ভাবি দুই জনে কথা বলে)  তার পরে কি হলে৷  

(জান্নাতুল)   তারপরে কসিয়ে একটা থাপ্পড় মারি আর চলে আসি   আকাশ কে ফোন করে বলে দিছি যে আজকে দেখা করতে হবে না  আর তকে কল রাতে এ-ই টা বলার জন্য আমি কল দিছিলাম৷  

(আমি)  আচ্ছা কল টা রাখি একটু পরে কল দেমু একটা কল এসেছে  বলে কেটে দিলাম দেখলাম মেঘ কন্যা কল দিছে৷ 

 (মেঘ কন্যা)  গুড মর্নিং স্যার৷ 

(আমি)  গুড মর্নিং মেডাম৷  

(মেঘ কন্যা)  স্যার কি করেন আপনে৷  

(আমি)  মেডামের কথা ভাবছি মেডাম কখন কল দিবে৷ 

(মেঘ কন্যা)  হুম স্যার মনে মনে ভাবছে তাই তে কল দিলাম ৷ 

(আমি)  মেডাম কি নাস্তা করছে নাকি ঘুমাছে হুম ৷ 

(মেঘ কন্যা)  না নাস্তা করে  আপনাকে কল দিলাম৷ 

(আমি)  আচ্ছা বলেন আজকে মিট করি আমরা আমি আপনাকে না দেখে পাগল হয় গেছি৷ 

(মেঘ কন্যা)  কি না দেখে পাগল হয় গেছেন আর দেখলে তে না জানি কি করে বসেন আল্লাহ ভালো জানে৷ 

আপনে সব সময় ফান করেন কেন হুম সত্যি আপনাকে  দেখতে মন চাইছে  প্লিজ চলে আপনে কন্ঠ টা শুনলে সত্যি আমি পাগল হয় পড়ি সেই টা আপনে বুঝেন না হুম৷  

(মেঘ কন্যা)  পাগল হবার কি আছে এখানে হুম আর  বললাম না আমি আপনের সামনে আসমু আপনাকে খুজে নিতে হবে তাহলে আমাকে দেখতে পারবেন ৷ 

  আমি আর কিছু না বলে ফোন টা কেটে দিলাম চুপ করে কিছু খন বসে থাকলাম তার উপরে একটু হাঁটলাম ৪ টা কল দিছে আমি দরি নাই সব সময় একটা কথা ভালো লাগে না৷ আমি গাড়ি নিয়ে বাসা গেলাম গিয়ে টিভিতে একটু কাটুন দেখলাম মটু পাতলু দেখে নিজে নিজে হাসতে থাকলাম মন টা ওওওও ভালো হয় গেলে মটু পাতলু শেষে রুদ্র দেখলাম রুদ্র দেখতে দেখতে মারিয়া স্কুলের সময় পার হয়ে গেছে আমার খেয়াল নাই আম্মু আমাকে বলে মারিয়া তে পরীক্ষা শেষ ৭ মিনিট আগে  তুই এখানে কাটুন দেখস হুম আমি তারা তারি করে গাড়ির  নিয়ে মারিয়া স্কুলের সামনে চলে গেলাম গিয়ে দেখি মারিয়া.........




আম্মু আমাকে বলে মারিয়া তে পরীক্ষা শেষ ৭ মিনিট আগে  তুই এখানে কাটুন দেখস হুম আমি তারা তারি করে গাড়ির  নিয়ে মারিয়া স্কুলের সামনে চলে গেলাম গিয়ে দেখি মারিয়া.........

আমি স্কুলে সামনে গাড়ি নিয়ে চলে গেলাম গিয়ে দেখি পরীক্ষা শেষ সবাই বের হয়ে গেছে আমি গেট এ-র সাথে দেখলাম মারিয়া দাড়িয়ে আছে আমি মারিয়া সামনে গেলাম গিয়ে দেখি একটু দূরে থেকে মারিয়া কে একটা ছেলে দেখছে আর ফোন দিয়ে পিক তুলছে এ-ই টা দেখে আমার মাথা টা সাথে সাথে গরম হয়ে গেছে আমি ও-ই ছেলেটা কাছে গিয়ে বললাম৷ 

(আমি)  এ-ই যে ভাইয়া আপনে ও-ই মেয়ে পিক তুলেন কেন আর ওকে লুকিয়ে লুকিয়ে দেখছেন কেন হুম৷ 

(ছেলে টা) সেই টা কি আপনাকে  বলতে হবে নাকি হুম৷  

(আমি)  আমার রাগ টা কে কন্ট্রোল করতে পারলাম না সাথে সাথে ছেলেটা হাতে থেকে ফোন টা নিয়ে একটা আছার দিয়ে ভেগে ফেলাম৷ 

(ছেলে টা) এই টা কি করলে তুমি ৷ 

(আমি)  একদম ঠিক কাজ টা করছি শালা ইভটিজিং কারি বাচ্চা  বলে ওর গালে একটা চর  বসিয়ে দিলাম  ৷ 

সাথে সাথে সে ওওওও আমাকে মারতে থাকে আমি ওওওও মারিয়া আমাকে ডাকছে কে শুনে কার কথা অনেক লোক জমা হয় সবাই মারা মারি দেখছে বাট কেউ কোন কথা বলছে না এক পযার্য়ে পুলিশ আসে এসে আমাদের মারা মারি বন্ধ করে৷ আর সব লোক ও-ই জায়গা থেকে সবাই কে সরিয়ে দেয় আর আমাদের মারা মারি বন্ধ করে দেয় আমাকে আমার রাস্তা আর ওকে ওর রাস্তা পাঠিয়ে দেয় আমি তার দিগে তাকিয়ে চোখের ইশারা বুঝিয়ে দিলাম নেক্সট টাইম যদি পাই তাহলে আর রহ্মা নাই তর৷ 

(মারিয়া)   আচ্ছা ভাইয়া তুমি শুধু শুধু মারা মারি করতে গেলে ছেড়ে গেলে তে তোমার টিশার্ট টা৷  

(আমি)  শুধু শুধু মানে তুই আমার কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তুই জানিস না তর দিগে কোনো বখাটে ছেলে চোখ দিবে আর আমি চুপ চাপ থাকমু হুম আমি থাকতে তর কোনো হ্মতি করবে তা কখন হয় আর টিশার্ট এ-ই টা ছেড়ে গেছে তে কি হয়েছে আবার কিনমু এখন চল বাসায়৷

(মারিয়া) বাসা যাবার পরে আম্মু যদি বলে তোমার টিশাট ছিড়া কেন তাহলে কি বলমু ৷ 

(আমি)  ভালো কথা মনে করাইছেত এখন শপিং মলে গিয়ে একটা টিশার্ট কিনমু চল বলে আমি গাড়ি নিয়ে সুজা শপিংমলে চলে গেলাম মারিয়া কে গাড়িতে রেখে আমি শপিংমলের ভিতরে গিয়ে একটা টিশার্ট কিনলাম  ৫৫০ টাকা দিয়ে ইজি থেকে আমি টিশার্ট নিয়ে   দোকানে থেকে বের হমু তখনি দেখি আদিবা আমার সামনে ৷  

(আদিবা)  আরে আদি যে কেমন আছে তুমি৷ 

(আমি)  জি ভালো ৷ 

(আদিবা)  তে কি কিনলে ৷ 

(আমি)  এ-ই যে  গায়ের যে টিশার্ট টা আছে সেই টা কিনছু৷ 

(আদিবা) ও অনেক সুন্দর লাগছে  আচ্ছা কই তোমার জান্নাতুল তাকে তে দেখছি না৷ 

 (আমি)  আমার মানে আর জান্নাতুল কি সব সময় আমার সাথে থাকবে নাকি হুম৷  

(আদিবা) না মানে তুমি তে আবার জান্নাতুল কে ছাড়া চলতে পারে না আচ্ছা তুমি ভাসিটিতে আসে না কেন কি হয়েছে তোমার৷ 

(আমি)  একটু সমস্যা আছে তাই ভাসিটিতে যাওয়া হচ্ছে না৷  

(আদিবা)   ওওওও আচ্ছা চলে আজকে আড্ডা দেই৷ 

(আমি)  না আমার একটা কাজ আছে বলে চলে আসলাম  আর ভাবছি আদিবা আমার সাথে এত ভালো ব্যবহার করছে এ-ই সব ভাবতে ভাবতে গাড়ির কাছে আসলাম  গাড়িতে উঠে বসলাম তখন মারিয়া৷ 

(মারিয়া) ভাইয়া  এত দেরি  করে আসলে কেন ৷ 

(আমি)  আরে গেঞ্জি দেখে কিনতে হবে না ৷ 

(মারিয়া)  তাই বলে এতখন   আমার হ্মুদা লাগছে না৷ 

(আমি)  সরি মারিয়া আচ্ছা চলে এখনি এখনি বাসায় চলে যাচ্ছি বলে গাড়ি নিয়ে বাসায় চলে আসলাম  কলিংবেল দিতে  আম্মু এসে দরজা খুলে দিলে৷ 

(আম্মু)  কি রে এত দেরি হলে কেন তদের আসতে৷ 

(আমি)  আম্মু মারিয়া পরীক্ষা শেষ হতে একটু দেরি হয়েছে  তাই তে লেইট হয়েছে৷  

(আম্মু) মারিয়া নাকি তর যেতে দেরি হয়েছে হুম৷  

(মারিয়া)  আম্মু তুমি কথা বলবা নাকি খাবার খেতে দিবা আমার অনেক হ্মুদা লাগছে৷ 

(আম্মু)  তাহলে তারা তারি করে ফ্রেশ হয়ে নিচে আয় আমি খাবার বারছি কেমন৷  

(আমি ) ওকে আম্মু বলে উপরে চলে গেলাম গিয়ে আমি ফ্রেশ হলাম ফোন টা বেজে উঠলে  দেখলাম জান্নাতুল কল দিছে ফোন টা রিসিভ করলাম৷ 

(জান্নাতুল)  আদি আজকে একটু দেখা করতে পারবি৷ 

(আমি)  আচ্ছা কখন দেখা করবি বল৷  

  (জান্নাতুল)  ৪ টা বাজে শহিদ মিনা আসবি কেমন৷  

(আমি)  ওকে  আচ্ছা রাখি এখন খাবার খামু   বায় বলে কেটে দিলাম আর নিচে চলে গেলাম গিয়ে দেখি মারিয়া বসে আছে খাবার নিয়ে আমি গিয়ে চেয়ারে বসলাম সাথে সাথে বিরিয়ানি ঘ্রাণ নাকে চলে আসলে আমি আম্মু কে বললাম আম্মু আগে বলবা না তুমি যে বিরিয়ানি রান্না করছে৷ 

(আম্মু)  আগে বলে কি করতি হুম৷  

(আমি)  ফ্রেশ না হয়ে আগে বিরিয়ানি খেইলাতাম তার পরে ফ্রেশ হতাম৷ 

( মারিয়া) আম্মু তোমার পুলা এত নাদান কেন হুম ৷ 

(আমি)  আম্মু আগে বিরিয়ানি দেও পরে তোমার মেয়ে সাত চুন্নি সাথে কথা বলছি  ৷ 

আম্মু  আচ্ছা দিছি বলে আমাকে বেরে দিলে তার পরে মারিয়া কে আমি দেখলাম মারিয়া কে একটা মাংস  বড় টুকরা দিছে আমি সাথে সাথে আম্মু কে বললাম৷ 

(আমি)  আম্মু তুমি তোমার মেয়েকে বেশি করে মাংস  দিয়ে দিছে আর আমাকে ছোট মাংস দিছে আমি খামু না৷ 

(মারিয়া)  আম্মু দেখছে তোমার এ-ই ছেলে কাহিনী তোমার পুলাকে কত গুলো মাংস দিছে আমি একবার ওওওও বললাম না যে এত মাংস কেন দিছে আর আমাকে একটা বড় মাংস টুকরা দিছে বলে কি করছে৷  

(আম্মু) ওকে  আদি তকে দিছি আরে একটা মাংস টুকরা খা তুই৷  

(মারিয়া) না আম্মু তোমার পুলা কে যদি দেও তাহলে আমাকে ওওওও বিরিয়ানি মাংস দিতে হবে ৷ 

(আমি)  না যদি মারিয়া কে মাংস দেও তাহলে আমি বিরিয়ানি খামু না৷ 

(আম্মু) আমাদের সামনে থেকে প্লেট টা নিয়ে বলে  ওকে তরা কেউ বিরিয়ানি খেতে হবে না তরা ভাত খাবি এখন বলে আম্মু বিরিয়ানি প্লেট নিয়ে যাচ্ছে৷ 

(আমি) আম্মু  নিয়ে না আমার মাংস লাগবে না৷ 

(আম্মু)  না তরা শুধু কাহিনী করিস সব সময় আর বিরিয়ানি খেতে হবে না৷ 

(আমি)  প্লেট আম্মু আমার আর মাংস লাগবে না আর মাংস বেশি খাওন ভালো না তুমি বরন মারিয়া টা নিয়ে যাও সে মনে হয় বিরিয়ানি খাবে না৷ 

(মারিয়া)  কুতা বিড়াল ইতুর নিজে প্লেট টা ঠিকি নিয়ে নিছেত আর আমার কে বলেস যে আমি খামু না৷ 

(আম্মু)  এ-ই নে তারা তারি খেয়ে নে ৷ 

মারিয়া প্লেট হাতে নিয়ে কিছু টা বিরিয়ানি খেলে আর আমি ২ প্লেট শেষ করে নিলাম মারিয়া খাওয়া শেষ আর আমি আমার রুমে চলে আসলাম আরাম করে একটা ঘুম দিলাম ঘুম ভেঙে গেলে ৩.৪০ ৷ আমি তারা তারি করে হাত মুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে রেডি হয়ে বাসা থেকে বের হলাম শহিদ মিনা উদ্দেশ্য ৩.৫৫ গিয়ে দেখি জান্নাতুল বসে আছে আমি তার কাছে গেলাম গিয়ে দেখি জান্নাতুল ফোনে কথা বলে আমাকে দেখে জান্নাতুল ফোন কেটে দিলে৷ 

(জান্নাতুল)  আজকে একটু বেশি বিজি থাক তাই না৷ 

(আমি)  হুম তকে বললাম না আমার ছোট বোনের পরীক্ষা আচ্ছা কেন ডাকছিস আমাকে একটু বলতে  

(মারিয়া)  কালকে আমার জন্মদিন আর প্রথম তকে আমি বললাম তুই তর পুরা পরিবার নিয়ে আমাদের বাসা আসবি কেমন ৷ 

(আমি)  পরিবার আসবে কি না জানি না বাট আমি আসমু   ৷ 

(জান্নাতুল)  না পরিবার সহ আসবি ওকে৷ 

(আমি)  চেষ্টা করমু যাতে আসে ৷ 

(জান্নাতুল)  ওকে চলে একটু হাটি৷ 

আমি বললাম হুম চলে বলে একটু হাঁটলাম সাথে বুদ্ধিজীবি কবরস্তান ওওওও ঘুরে আসলাম দেখতে দেখতে সন্ধ্যা হয়ে আসছে তাই জান্নাতুল কে বললাম চলে এ-ই বার বাসায় যাওয়া যাক৷ জান্নাতুল হুম চলে  আমি জান্নাতুল কে একটা রিক্সা করে দিলাম  আর আমি ওওওও একটা রিক্সা নিয়ে বাসায় চলে আসলাম বাসা এসে দেখি আব্বু চলে এসেছে বাসা ভিতরে প্রবেশ করলাম দেখলাম আব্বু মন টা ভালো না  তাই আমি চুপ চাপ করে রুমে চলে গেলাম কিছু খন পরে আম্মু এসে  আমাকে ডাকলে যে আব্বু নাকি আমাকে ডাকে আমি আব্বু রুমে গেলাম তখন আব্বু আমাকে যা বলে তা শুনে তে আমি অবাক কারন হল..........






 চলবে...






Writer:- পিচ্চি ছেলে আদি 




NEXT ARTICLE Next Post
PREVIOUS ARTICLE Previous Post
NEXT ARTICLE Next Post
PREVIOUS ARTICLE Previous Post
 

Delivered by FeedBurner