> ছদ্মবেশি কোটিপতি পর্ব ১৯, ২০, ২১ | Bangla Best Story | Bangla Thriller Story | Bangla New Story
-->

ছদ্মবেশি কোটিপতি পর্ব ১৯, ২০, ২১ | Bangla Best Story | Bangla Thriller Story | Bangla New Story

আমি চুপ চাপ করে রুমে চলে গেলাম কিছু খন পরে আম্মু এসে  আমাকে ডাকলে যে আব্বু নাকি আমাকে ডাকে আমি আব্বু রুমে গেলাম তখন আব্বু আমাকে যা বলে তা শুনে তে আমি অবাক কারন হল..........

কারন আব্বু তখন বলে যে আজকে আমার এক বন্ধু ছেলেকে মারিয়া স্কুলে পাঠাইছি লামিয়া কে দেখে পছন্দ করে ফেলছে  আমার বন্ধু ছেলে কে যেনে তাকে মেয়ে অবস্থা খারাপ করে দিছে তার ফোন টা ওওওও খারাপ করে দিছে৷ 

(আমি)  কি তুমি এ-ই কাজ টা কি ভাবে করলা আমাকে বলার প্রয়োজন মনে করে নাই ছেলেকে তোমরা সুজা স্কুলে পাঠিয়ে দিলা আর আমি জানি না৷ 

(আব্বু)  কেন তর আম্মু বলে নাই তকে৷ 

(আম্মু)  আসে আমার মনে ছিল না  

(আব্বু)  কি মনে থাকে তোমার হুম৷  

(আমি)  মারিয়া এখন ছোট আর সে পড়তে চায়  এখন বিয়ে টা বন্ধ করে তোমরা৷ 

(আব্বু)  না আমি আর কোনো ঝামেলা চাই না মারিয়া জন্য তুই অনেক মারা মারি করছেত জানি না কবে তুই আবার মারিয়া জন্য মানুষ খুন করে ফেলাস তাই আমি মারিয়া বিয়ে ঠিক করছি ছেলে আমেরিকার থেকে লেখা পড়া শেষ করে আইছে  ছেলে টা অনেক ভালো৷ 

(আমি)  ভালো না ছাই এখন মারিয়া বিয়ে বন্ধ মানে বন্ধ  আর শুনে তোমার বন্ধু ছেলেকে আমি মারছি আর সে আমার বোনের পিক লুকিয়ে লুকিয়ে তুলছে তাই তার ফোন টা ভেগে ফেলাইছি৷ 

(আব্বু)  কি আব্বু কপালে হাত ৷  

( আমি)  আগে যদি বলতা তাহলে  এমন কিছু হতে না বাট মাইর সে খেতে সে যদি দেখতে চাইতে তাহলে সে বাসা এসে দেখে যাবে স্কুলের সামনে কি হুম  বলে আমি রুমে চলে আসলাম তখন মারিয়া৷ 

(মারিয়া) ভাইয়া আসমু৷  

(আমি)  হুম আয় কিছু বলবি৷। 

(মারিয়া) ভাইয়া পরীক্ষা তে আমার প্রায় শেষ চলে না কোথায় ঘুরতে যাই৷ 

(আমি)  তর পরীক্ষা শেষ আর আমার পরীক্ষা শুরু  এখন আমার পড়তে হবে ঘুরা ঘুরি সব বন্ধ পরীক্ষা শেষ হলে কছিগ এ ভতি হবি তুই৷ 

(মারিয়া)  কি পারমু না  পরীক্ষা শেষ আবার কছিগ    পরীক্ষা শেষে ঘুরমু আর ঘুমাবো৷ 

(আমি)  তর কি ঘুরা ছাড়া কোনো কাজ নাই হুম৷  

(মারিয়া)  কাকে বলে তুমি হুম তুমি নিজে তে কত ঘুরছে এখন নিজের সামনে  পরীক্ষা তাই এখন সে ঘুরতে যেতে পারবে না আমাকে  ওওওও যেতে দিবে না  আমি তা মানমু না আব্বু কে বলে আমি ঘুরতে যামু৷  

(আমি)  ওকে যা আব্বু কে বলবি তে যাবি আজকে আব্বু কি বলছে শুনবি না  তুই৷ 

(মারিয়া)  কি বলছে তোমাকে বিয়ে দিবে নাকি হুম ৷  

(আমি)  জি আপু বিয়ে দিবে বাট আমাকে না তোমাকে৷ 

(মারিয়া)  কি৷ 

(আমি) জি আপনে জানেন কাকে আমি দুপুর বেলা মারছি হুম৷  

(মারিয়া)  হুম একটা বখাটে ছেলেকে যে আমার ছবি লুকিয়ে লুকিয়ে তুলছে  তাকে মারছে৷ 

(আমি)  জি আপু আর সে হলে আব্বু বন্ধু ছেলে   আর আপনের হবু জামাই  আপনের বিয়ে ঠিক করছে আব্বু ৷ 

(মারিয়া)  ভাইয়া আমি এখন বিয়ে করমু না তুমি আব্বু কে বলে দেও না আমি পড়মু৷ 

(আমি)  ওকে এখন রুমে যা  আমি আব্বু কে বলমু৷ 

(মারিয়া)  ওকে ভাইয়া ৷ 

মারিয়া চলে গেলে আমি রুমে বসে ফোনে গেইম খেলছি  হটাৎ করে মেঘ কন্যা কল দিলে আমি তারা তারি করে মেঘ কন্যা ফোন টা রিসিভ করলাম ৷ 

(মেঘ কন্যা)  কি করে স্যার আপনে৷  

(আমি)  আপনের কথা ভাবি মেডাম ৷ 

(মেঘ কন্যা)  ওওও তাই নাকি আমার কথা ভাবার কি আছে৷ 

(আমি)  জানি না বাট ভাবতে ভালো লাগে তাই ভাবি৷ 

(মেঘ কন্যা)   হুম আচ্ছা কি করছেন আপনে৷ 

(আমি)  ফোনে গেইম খেলছি৷ 

( মেঘ কন্যা)  ওকে গেইম খেলেন বায়৷ 

(আমি) এ-ই শুনেন বলতে বলতে কল কেটে দিলে  আমি মন খারাপ করে চুপ চাপ  বসে থাকলাম তখন আমি এসে বলে গেলে যে খাবার খেয়ে আসতে আমি নিচে গেলাম  গিয়ে দেখি সবাই বসে আছে আমি গিয়ে একটা চেয়ার টেনে বসলাম আম্মু খাবার বেরে দিলে সবাই খাচ্ছে  তখন আব্বু বলে৷ 

(আব্বু)  কালকে সন্ধ্যা সময় আমাদের কোম্পানি ম্যানেজার এ-র মেয়ে জন্মদিন তাই আমাদের পরিবারে সবাই কে দাওয়া দিছে সবাই যেনে যাই সবাই কালকে রেডি থাকবা আর আদি কালকে সন্ধ্যা আগে বাসা থাকবা আমরা সবাই পাঠিটে যামু ওকে৷ 

( আমি)  জি আব্বু  বলে খেতে থাকলাম  আর একটু খুশি ওওওও হলাম কারন আমি আর কষ্ট করে আব্বু আম্মু কে রাজি করাতে হলে না আমি খেয়ে রুমে চলে আসলাম কাল ভাসিটিতে যেতে হবে তাই বই খাতা কলম রেডি করে নিলাম  আর ঘুমানো জন্য চেষ্টা করলাম ঘুম আসছে না তাই আমি মিজানুর রহমান আজহারি   সাহেবের একটা ওয়াজ লাগিয়ে দিয়ে আমি ঘুমিয়ে  গেলাম হটাৎ করে ফযরের আযান শুনে ঘুম ভেঙে গেলে৷ আমি উঠে অজু করে নামার  পরে নিলাম আর একটু সকাল সকাল হাঁটলাম  ভালো লাগলে রাস্তা দিয়ে আসছি দেখলাম একটা চা দোকান আমি এক কাপ চা খেয়ে আসলাম চা  টা অনেক ভালো লাগলে    চা খেয়ে বাসা আসলাম    এসে গোসল করে ফ্রেশ হয়ে নিচে আসলাম   এসে হালকা পাতলা নাস্তা করে  বাসা থেকে বের হলাম একটা বাস ইশারা দিলাম বাস থেমে গেলে  আমি বাসে উঠে গেলাম গিয়ে একটা সিটে বসলাম  কিছু খন পরে বাস ভাসিটি সামনে থেমে গেলে আর আমি নেমে গেলাম ভাসিটি গেট দিয়ে ঢুকে প্রথম আদিবা কে দেখলাম আমি না দেখা ভান করে চলে আসতে যামু ঠিক তখনি আদিবা৷ 

(আদিবা) এ-ই যে আদি শুনে ৷ 

(আমি)  আমি আদিবা কাছে গেলাম গিয়ে বললাম কিছু বলবা৷ 

(আদিবা) কেমন আছে তুমি আদি৷ 

(আমি) আলহামদুলিল্লাহ ভালো তুমি৷  

(আদিবা) আলহামদুলিল্লাহ ভালো  তখন আদিবা বন্ধু বলে৷  

আদিবা  বন্ধু বলে এ-ই ছোট লোক   টা  সাথে এত সুন্দর করে কিসে কথা বলছে হুম তর নতুন গাড়িটা সে নষ্ট করে দিছে  এ-ই ছোট লোকটা ঠিক তখনি আদিবা   বলে উঠলে   চুপ করে সব সময় বেশি কথা বলে আর সরি আদি তোমার সাথে এত দিন বাজে ভাবে কথা বলার জন্য কিছু মনে করে না  ৷ 

(আমি)  মানুষ তার নিজে ভুল বুঝতে পারলে তার উপর আর রাগ থাকে না আর সরি ওওওও বলতে হবে না৷  

(আদিবা)  তাহলে আমরা ফ্রেন্ড   ৷ 

(আমি)  সরি আমি কারো ফ্রেন্ড হতে চাই না৷  

(আদিবা) তাহলে   জান্নাতুল এ-র সাথে কি সেই টা৷ 

(আমি)    দেখেন এ-ই সব বাদ দেন   আর কিছু বলবেন৷ 

(আদিবা) না৷ 

(আমি) আমি সাথে সাথে ওই খান থেকে চলে আসলাম  সুজা ক্লাসে চলে গেলাম কিছু খন পরে সবাই চলে আসলে  আর স্যার ওওওও চলে আসলে  স্যার এসে আমাকে বলে৷ 

(স্যার)  আরে আদি এতে দিন কই ছিলা তুমি হুম ভাসিটিতে আসে নাই কেন৷  

(আমি)  স্যার একটু সমস্যা ছিল তাই আসতে পারি নাই৷ 

(স্যার) ওওওও আচ্ছা  এখন থেকে প্রতিদিন আসবা কেমন তোমাকে না দেখলে আমার ভালো লাগে না৷ 

(আমি)  জি স্যার ৷ 

স্যার আমার কাছে থেকে চলে গেলে   আর স্যার তার লেকচার দিতে থাকলে  স্যার তার লেকচার শেষ করে একে একে সব ক্লাস শেষ করলাম ভাসিটি ছুটি হলে আমি চলে আসলাম আদিবা আমাকে ২ বার ডাক দিছে বাট আমি শুনি নাই আমার সামনে বাস আসলে আমি বাসে করে বাসার সামনে চলে আসলাম কলিংবেল দিতে আম্মু দরজা খুলে দিলে আমি ফ্রেশ হয়ে নিচে আসলাম দেখলাম মারিয়া বসে আছে আমি খেয়ে রুমে চলে আসলাম৷ আর একটা ঘুম দিলাম ৫ টা বাজে আমি ডাক দিয়ে আমার ঘুম ভেঙে দিলে বলে গোসল করে রেডি হতে পাটিতে যেতে হবে আসলে আমার মনে ছিল না ফোন টা হাতে নিয়ে দেখি জান্নাতুল ১৫ টা কল দিছে হায় হায় তারা তারি করে জান্নাতুল কে কল দিলাম বাট দরে না তাই মেসেজ দিলাম যে আমি আসছি বলে গোসল করে রেডি হয়ে নিচে আসলাম এসে দেখি সবাই রেডি গাড়িতে উঠলাম ৩০ মিনিট পরে জান্নাতুল এ-র বাসা সামনে আসলাম আব্বু আম্মু মারিয়া বের হলে কিছু খন পরে আমি বের হলাম আর তখন...........





গোসল করে রেডি হয়ে নিচে আসলাম এসে দেখি সবাই রেডি গাড়িতে উঠলাম ৩০ মিনিট পরে জান্নাতুল এ-র বাসা সামনে আসলাম আব্বু আম্মু মারিয়া বের হলে কিছু খন পরে আমি বের হলাম আর তখন...........

আব্বু আম্মু আর মারিয়া গাড়ি  থেকে বের হলে  ম্যানেজার সাহেব  এসে আব্বু আম্মু মারিয়া কে  নিয়ে গেলে আমি গাড়ি থেকে নেমে একটু সামনে গেলাম দেখলাম জান্নাতুল   দাড়িয়ে আছে তার সাথে কিছু মেয়ে ওওওও আছে আমাকে আব্বু ডাক দিলে৷  

(আব্বু)  আদি এ-ই দিগে আয় ওই খানে কি করছিস  বলে৷ 

 আমাকে নিয়ে গেলে তাদের মাঝে আর সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিলে আমাকে আমার ফোন টা হটাৎ করে বেজে উঠলে দেখলাম জান্নাতুল কল দিছে তাই  আমি আম্মু কাছে গেলাম আর বললাম আম্মু আমি একটু আসছি বলে একটু দৌড়ে গেলাম আর জান্নাতুলে কল টা রিসিভ করলাম সাথে সাথে জান্নাতুল বলে৷  

(জান্নাতুল)  ওই হারামজাদা কুতা হাতি বিড়াল কই তুই হুম৷  

(আমি)  আরে এ-ই ভাবে বকছিস কেন আমি তে এসেছি৷ 

(জান্নাতুল)  তাহলে কই তুই হুম৷ 

(আমি)  দেখ তর পিছে আমি  দাড়িয়ে আছে৷ 

(জান্নাতুল)  কই বলে আমাকে দেখতে পেলে  আর হ্যা হয়ে চেয়ে আছে কারন আজকে আমার সব  ভিন্ন পোষাক সাথে সাথে আমার কাছে চলে আসলে আর বলে এত খন সময় লাগে আসতে আর কত গুলো কল দিছি তকে হুম চলে এখন আমার কাজিনদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেই বলে আমাকে নিয়ে গেলে৷ 

(আমি)  থাক না আমি মেয়েদের সাথে পরিচয় হতে চাই না৷ 

(জান্নাতুল)  বেশি কথা বলিস তুই বলে আমাকে নিয়ে গেলে জান্নাতুলের তার কাজিনদের সাথে পরিচয় করাতে দেখতে মাশাল্লাহ এক একটা পরী আমি দেখে তে ক্রাশ খেয়ে গেলাম৷ 

আমাকে সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিলে জান্নাতুল এ-ই বলে যে আমি তার বেস্ট ফ্রেন্ড জান্নাতুলের কাজিনদের নাম  গুলো শুনে আমি আবার তাদের উপর ক্রাশ খাইছি কারন সব কাজিনদের নামের আগে এঞ্জেল বসানো৷ তাদের মুখ খানা দেখে তাই মনে হয় তার পরে জান্নাতুল তার বাবা সাথে পরিচয় করাতে নিয়ে গেলে আমাকে সেখানে আব্বু আম্মু মারিয়া ওওওও ছিল সবাই বসে গল্প করছে তখন জান্নাতুল বলে আব্বু এ-ই হচ্ছে আদি বলেছিলাম না আমার এক ফ্রেন্ড আসবে ওই হচ্ছে সেই ফ্রেন্ড আদি৷ 

আব্বু  আম্মু মারিয়া আংকেল আমার দিগে তাকিয়ে আছে হ্যা করে তখন জান্নাতুল বলে কি হলে ওর দিয়ে এ-ই ভাবে তাকিয়ে আছে কেন হুম তোমরা কি তাকে অপমান করবে নাকি হুম সে হতে পারে গরীব তাই বলে তার সম্মান নাই হুম তার সাথে কথা বলতে পারছে না তখন আংকেল বলে  ৷ 

( আংকেল)  আরে মা কি বলছিস তুই কাকে পরিচয় করাচ্ছিস তার সেই তে আমরা আগে পরিচয় হয় গেছি৷ 

(জান্নাতুল)  মানে ? ৷  

(মারিয়া)  হাহাহা ভাইয়া৷ 

(জান্নাতুল)  ভাইয়া মানে৷ 

(আব্বু) আরে আদি তরা আগে থেকে পরিচিত   আমাকে আগে বলবি না আর মামনি  আদি হচ্ছে আমার একমাত্র ছেলে ৷ 

(জান্নাতুল) কি৷ 

(আংকেল)  তর বেস্ট ফ্রেন্ড তুই তার পরিচয় জানেস না  বাহ৷ 

(জান্নাতুল)  আদি  তে তার পরিচয় দিছে সে একটা গরীব ঘরে ছেলে    আর এ-ই ছাড়া আমি কিছু জানি না আব্বু ৷ 

(মারিয়া)  আমার ভাইয়া  এমনি সে সব সময় নরমাল পোষাক  পড়ে  থাকে আর ভাসিটিতে যায়৷ 

(জান্নাতুল)  হুম বাট এত টাকা থাকার পরে ওওওও আদি মনে কোনো অহংকার নাই৷ 

(আম্মু)  দেখতে হবে না ছেলে টা কার ৷ 

(আংকেল)  চলে সবাই কেক কাটতে হবে সময় হয়েছে৷ 

আমরা সবাই গেলাম জান্নাতুলের আব্বু আম্মু জান্নাতুলে দুই পাশে তার পরে এক পাশে তার কাজিনরা আরেক পাশে আমি আব্বু আম্মু মারিয়া  কেক কাটলে জান্নাতুল তার আম্মু  প্রথম তাকে খাওয়া দিলে তার পরে আংকেল৷ জান্নাতুল ওওওও তার আম্মু কে প্রথম খাওয়া দিলে তার পরে আব্বু কে খাওয়া দিলে তার পরে আমার আব্বু আম্মু কে খাওয়া দিলে আমার আব্বু একটা বক্স উপহার দিলে কি আছে তা আমরা কেউ জানি না জান্নাতুল উপহার পেয়ে অনেক খুশি হলে তার পরে সবাই কেক খেলে আর কেউ কেউ কেক গালে ওওওও মেখে দিলে  সবাই আনন্দ করতে থাকলে তখনি হটাৎ করে আমার ফোন টা বেজে উঠলে   দেখলাম মেঘ কন্যা কল দিছে আমি তারা তারি করে একটু সাইটে হলাম আর রিসিভ করলাম৷ 

(মেঘ কন্যা)  কি করেন৷ 

(আমি)  একটা পাটিতে আইছি৷ 

(মেঘ কন্যা)  ওওওও তে কিসের পাটি৷ 

(আমি)  আমার এক ফ্রেন্ড জন্মদিন সেই খানে আসলাম৷ 

(মেঘ কন্যা)  ওওওও নাম কি আপনের ফ্রেন্ড৷ 

(আমি)  জান্নাতুল ৷ 

(মেঘ কন্যা)  ওওওও আচ্ছা রাখি৷ 

রাখি বলে কেটে দিলে আমি সাথে সাথে কল দিছি বাট বন্ধ বলছে  পিছন দিগে ফিরে দেখি জান্নাতুল দারিয়ে আছে আমি বলাম কি  হুম এ-ই ভাবে দারিয়ে আছিস কেন আর আমি তে ভয় পেয়ে গেছিলাম প্রথম ৷ 

(জান্নাতুল)  তুই এখানে দাড়িয়ে কার সাথে কথা বলছিস৷ 

(আমি)  আমার এক ফ্রেন্ড সাথে  তুই এখানে কেন৷ 

(জান্নাতুল)  না মানে আকাশ আইছে ওই দিগে দাড়িয়ে আছে  আমাকে wish   করবে৷ 

(আমি)  ভালো তে যা৷ 

(জান্নাতুল)  হুম আচ্ছা তুই ওওও চল দেখবি আকাশ কে৷ 

আমি বললাম   আরে আমি দেখতে পারমু পরে বাট তুই এখন যা গিয়ে দেখ কি গিফট আনছে আকাশ  বলে আমি চলে আসলাম ভিতরে সবাই হাত মুখ পানি দিয়ে ধুচ্ছে আমি ওওওও ধুয়ার জন্য গেলাম দেখলাম জান্নাতুলের কাজিনরা ওওওও গেছে৷  ওরা সবাই সবাই ফ্রেশ হবার জন্য মুখে পানি দিলে আর সাথে সাথে সর্বনাশ মানে মেকাপ শেষ আর এক একটা পেত্নী মত লাগছে  আমি দেখে তে ফিট হয় গেলাম কাদের কে আমি এতখন পরী মনে করছিলাম  ময়দা জিনিস টা যে এমন কে জানতে তারা তারি করে ওই খান থেকে চলে আসলাম দেখলাম মারিয়া দাড়িয়ে আছে আমি মারিয়া কাছে গেলান তখন মারিয়া বলে ৷ 

(মারিয়া)  কি ভাইয়া হুম ভাবি কে তে খুজে পেলাম৷ 

(আমি)  কই খুজে পাইছেত তুই৷ 

(মারিয়া)  কেন জান্নাতুল কে ওকে ভাবি হিসাবে আমার অনেজ ভালো লাগছে৷ 

(আমি)  মার খাবি নাকি তুই বেশি পাকনামি করিস সে আমার ভাসিটি ফ্রেন্ড আর কিছু না বুঝছেত ৷ 

(মারিয়া)  হুম বুঝছি আমাদের কে তে বলদ মনে হয় তোমার না   ফ্রেন্ড আর কাকে বলে সেই টা বুঝি আমরা৷ 

তুই বেশি পেকে গেছেত তর বিয়ে বেবস্তাকরতে হবে তারা তারি করে তখনি আম্মু ডাক দিলে যে খাবার খেতে আমি আর মারিয়া গেলাম সামনে প্লেট দিলে তখব মারিয়া বলে৷  ভাইয়া এ-ই টা হল একটা পাটি এখানে সুন্দর করে ভদ্র ভাবে খেতে হয় তুই যে ভাবে খাবার খাস এ-ই ভাবে খেলে আমাদের মান ইজ্জত আর থাকবে না৷ 

(আমি)  ওই তুই কি আমাকে অপমান করছিস নাকি হুম৷  

(মারিয়া)  আরে ভাইয়া তোমাকে অপমান করার সাহস কি আমার আছে হুম৷ 

তুই আমার সাথে ফাইজলামি করিস না বলে সামনে তাকালাম দেখলাম জান্নাতুল কাজিনরা সামনে ওমা আবার সেই মেকাপ মেরে সামনে আইছে পরী সেজে আর ধুঁকা খাচ্ছি না আমি৷ সামনে খাবার দিলে খাবার খেয়ে হাত ধুয়ে একটু রাস্তা দিগে গেলাম গিয়ে দেখি জান্নাতুল একটা ছেলে সাথে কথা বলছে আমি জান্নাতুল এ-র কাছে গেলাম আর ছেলেটা আমার কাছে ওওওও কেমন কেমন যে লাগছে আমি জান্নাতুল এ-র কাছে গেলাম আর ছেলেটা সামনে গেলাম সে আমাকে দেখে চুপ করে আমার দিগে তাকিয়ে থাকলে আর জান্নাতুল তাকে বলছে চুপ কেন জান্নাতুল পিছনে তাকিয়ে আমাকে দেখে বলে আরে আদি যে পরিচয় করিয়ে দেই  এ-ই হচ্ছে আকাশ আর আকাশ এ-ই হচ্ছে আদি আমার বলতে যাবে আমি থামিয়ে দিলাম আর...........





জান্নাতুল পিছনে তাকিয়ে আমাকে দেখে বলে আরে আদি যে পরিচয় করিয়ে দেই  এ-ই হচ্ছে আকাশ আর আকাশ এ-ই হচ্ছে আদি আমার বলতে যাবে আমি থামিয়ে দিলাম আর...........

জান্নাতুল যেই আমাকে পরিচয় করিয়ে দিবে সেই সময় আমি থামিয়ে দিলাম জান্নাতুল কে তাতে জান্নাতুল একটু অবাক হলে আর আমি আকাশের দিগে তাকিয়ে থাকলাম আকাশ জান্নাতুলের সামনে থেকে আমার সামনে আসলে আর আমাকে জড়িয়ে দরলে সাথে সাথে আমি ওওওও তাকে জড়িয়ে ধরলাম তখন জান্নাতুল বলে৷ 

(জান্নাতুল)  কি হচ্ছে এ-ই সব কিছু বুঝতে পারছি না আমি    আমাকে একটু বলবা ৷ 

(আকাশ) আদি হচ্ছে আমার ছোট বেলার বন্ধু আজ অনেক বছর পরে দেখা আমার আর আদি৷ 

(জান্নাতুল)  তাহলে এত বছর দেখা করে নাই কেন ৷ 

(আমি)  দেখা করি নাই তার একটা কারন ছিল৷ 

(জান্নাতুল)  কি কারন ৷ 

(আমি)  আমার বাবা সেই কারন ৷ 

(জান্নাতুল)  আংকেল আবার কি করছে ৷ 

(আমি)  আব্বু গরীবদের দেখতে পারতে না আর আকাশ ছিল মধ্যবিত্ত আর আব্বু চাইতে আমি যেনে সব সময় বড়লোকদের ছেলেদের সাথে চলা ফেরা কথা বাতা  করি আমি ছিল একটা বন্ধু আকাশ ছাড়া আমার আর কারো সাথে চলা ফেরা করতে ভালো লাগতে না আর সেইম আকাশের ওওওও কিন্তু একদিন আব্বু আকাশ কে আর তার বাবা কে অপমান করে আর এলাকা থেকে চলে যেতে বাদ করে সেই দিন থেকে আমি আকাশ কে হারালাম৷ 

(আকাশ) আদি তুই তে এখন সত্যি টা জানিস না আর আংকেল কে তুই দোষি মনে করছিস না এখানে আরে একটা সত্যি লুকিয়ে আছে আদি যে টা তর আব্বু আর আমার আব্বু জানে বাট পরে আমি জানতে পারলাম ৷ 

(আমি)  মানে কি লুকিয়ে আছে আর কি জানতে পারছেত তুই৷ 

(আকাশ) ওই দিন তর আব্বু আমাদের কে অপমান করার পরে আমাদের যখন এলাকা থেকে চলে যেতে বাধ্য করলে তখন ওই দিন রাতে বেলা একটা লোক আমার আব্বু সাথে দেখা করে আর ২০ লহ্ম টাকা আর একটা ঠিকানা দেয় আমরা ওই ঠিকানা চলে যাই সেখানে আমি ইস্কুলে  ভর্তি হই  আর আব্বু একটা ছোট খাট ব্যবসা করে আমাদের পরিবার টা সুখে আছে আর আমি পরে জানতে পারি এ-ই সব নাকি তর বাবা করছে৷  

(আমি)  আব্বু কে এমন করলে ৷ 

(আকাশ) আমি জানি না বাট আব্বু বলছে তদের সামনে যেনে আমি কখন না যাই বাট তকে আমি দূরে থেকে মনে রাখি আর আংকেল কে অনেক ধন্যবাদ আমাদের জন্য অনেক কিছু করছে আমি জানতাম তরা এখানে আসবি৷ 

(আমি) জানলে কি আসতি না এখানে৷ 

(আকাশ) না আর জান্নাতুল যে তর ফ্রেন্ড তা ওওওও আমি জানতাম না জানলে আমি কখন সম্পর্কে করতাম না৷ 

(জান্নাতুল)  আকাশের পরিবারে সাথে তোমাদের সমস্যা তাই বলে আমার সাথে৷ 

(আমি)  আরে জান্নাতুল তুই মন খারাপ করেস কেন সে বলে হবে না আগে টা আগে এখন তে হয় গেছে আমার দিগে তাকা তুই৷  

(জান্নাতুল)  না আদি আকাশ কে বলে সে চলে যেতে  ৷ 

(আমি)  আরে তুই এমন করছিস কেন আচ্ছা আকাশ তুই সরি বল আগে জান্নাতুল এর কাছে যা৷ 

(আকাশ) সরি বাবু আর কখন বলমু না৷  

(জান্নাতুল)   বাবু বলতে হবে না তুই চলে যা৷  

(আকাশ) সত্যি কিন্তু চলে যামু চলে গেলে আর আসমু না তোমাদের সামনে৷ 

(আমি)  ওই তুই কালো পেত্নী সাথে রাগ করে আমাদের সামনে আসবি না হুম লাগবে না তর কালো পেত্নী সাথে রিলেশন করা তর জন্য আমি নতুন সুন্দরী মেয়ে দেখমু তুই চিন্তা করিস না চল আমার সাথে ৷ 

(জান্নাতুল)  ওই আদি বাচ্চা আদি বজাতের কাদি তুই তে সত্যি সত্যি আমাদের রিলেশন ভেগে দিছিস৷ 

(আমি)  তে কি করমু তদের ভাব আর বাংলাদেশ অভাব কখন শেষ হবে না৷ (সরি কথা কথা চলে এসেছে আপুরা কেউ  মাইন্ড করবেন না)  

(জান্নাতুল)  কুতা তাই বলে কি একটু ঢং ওওওও করতে পারমু না মেয়েরা ঢং করবে না তে কে করবে  হুম৷ 

(আমি)  ঢং করতে হলে তর হবু জামাই সাথে করবি আমাকে সামনে রেখে ঢং করবি তে লাথি মেরে রাস্তা মাঝ খানে ফেলামু  ডাইনিং ৷ 

(আকাশ) থামবি তরা তদের ঝগড়া দেখে আমার হাসি  পাচ্ছে কি করে তরা ফ্রেন্ড হলি৷  

(জান্নাতুল)  আরে আদি তে ছিল একটা হ্মেত ছেলে ভাসিটিতে তাকে নিয়ে মজা করতে আমার সাথে ফ্রেন্ডশিপ করার পরে আমি তাকে চালাক বানিয়ে দিছি ৷ 

(আমি)  ওমা তাই নাকি মেডাম কোচিং করাতেন নাকি চালাক হবার হুম৷  

(জান্নাতুল)  ওকে থামতে এখন যা তুই এখান থেকে   আমার কথা আছে৷ 

(আমি)  হুম যামু একটা কথা জিজ্ঞেস করার আছে আকাশ কে৷  

(আকাশ) বল কি বলবি  ৷ 

(আমি)  তুই কি আদিবা কে চিনিস ৷  

(আকাশ) আদিবা কে....??? 

(আমি)  কেন তুই আদিবা করে চিনিস না৷  

(আকাশ) আরে আমি তে তর মুখ থেকে নাম টা প্রথম শুনলাম কে আদিবা৷  

(আমি)  হুম জান্নাতুল তুই সামনে আয় আমার৷ 

(জান্নাতুল) হুম বল৷  

(আমি)  তুই আমার সাথে মিথ্যা কথা বলি কেন আমি সত্যি তা জানতে চাই ওই দিন কি হয়েছিল আর মিথ্যা কেন বলি আমার সাথে ৷ 

(জান্নাতুল)  সরি আদি আসলে ওই দিন আদিবা আমাকে পার্কে দেখে আমার কাছে আসে আর আমাকে বলে যে আমি যেনে তর আসে পাশে না থাকি সে নাকি  তকে ভালোবাসে   এ-ই নিয়ে অনেক তর্ক হলে আমাদের মাঝে আর ওই সময় আমাকে আকাশ কল দিলে আর সেই সময় আদিবার ওওওও ফোনে কল আসে আর দুই জন্য ফোন টা কেটে দেই আর আমরা ঝগড়া লেগে যাই৷ 

আমি জানি আদিবা তর সাথে রিলেশন করতে চায় তার প্রতিশোধ নিবার জন্য তুই তার শখের গাড়ি ভেগে দিছেত তাই  সে তর সাথে রিলেশন করতে চায় আর আমি চামু না আমার ফ্রেন্ড কোনো বিপদে পরেক  আর আমি তকে সে দিন পার্কে দেখছি আদি তুই কেন সেই দিন পার্কে গেছেত সেই টা এখন তুই বল ৷ 

(আমি)  আমি একটা মেয়েকে না দেখে ভালোবেসে ফেলাইছি সে নাকি আমাকে চিনে বাট আমি তাকে চিনি না  সে বলছে আমার সাথে নাকি দেখা করবে তাই আমি পার্কে গেছিলাম বাট তদের দুই জন কে দেখে আমি লুকিয়ে গেছি৷ 

(জান্নাতুল)  কুতা তুই তলে তলে এত দূর চলে গেছেত আর আমাকে একবার ওওওও বলি না কটুতা যা তর সাথে কোনো কথা নাই ৷ 

(আকাশ) আদি একটা জিনিস আমার ভালো লাগছে যে জান্নাতুল তর ভালো মন্দ টা দেখে আমি না থাকা অবস্থা  ধন্যবাদ জান্নাতুল আমার বন্ধুকে সেইব করার জন্য  ৷ 

(আমি)   আরে পেত্নী কে ধন্যবাদ দিতে হবে না এখন তর ফোন টা দে তারা তারি নাম্বার দিয়ে আমি চলে যেতে হবে বলে আকাশের কাছে থেকে ফোন টা নিলাম আর নাম্বার টা  ০১৭******৬৮ দিয়ে একটা কল দিয়ে নাম্বার টা সেইব করলাম আর আম্মু কল আসলে আমি রিসিভ করলাম ৷ 

(আম্মু)  ওই তারা তারি করে ভিতরে আয় তর আব্বু তকে খুজতে ৷ 

(আমি)  আসছি বলে কেটে দিলাম আর জড়িয়ে ধরে ১ মিনিট পরে ছেড়ে দিলাম আর বললাম যে   ভালো থাকি আর আমার ফ্রেন্ড কে কষ্ট দিছ না জান্নাতুল অনেক ভালো একটা মেয়ে আর জান্নাতুল তুই ওওওও আমার বন্ধুকে কষ্ট দিস না কেমন বলে চলে আসলাম ভিতরে ৷ 

(আব্বু)  কই ছিলি এতখন৷  

(আমি)  একটু রাস্তা গিয়েছিলাম ভালো লাগছিল না বলে৷ 

(আব্বু) ওকে চলে যেতে হবে বলে সবার কাছে থেকে বিদায় নিয়ে চলে আসলাম৷ 

দেখলাম জান্নাতুলের কাজিন রা আমার দিগে তাকিয়ে আছে আমি না দেখার ভান করে গাড়িতে উঠে গেলাম ডাইভার গাড়ি চালিয়ে নিয়ে আসলে বাসায় আমি সুজা রুমে চলে গেলাম আর ফ্রেশ হয়ে সুয়ে পড়লাম ৷   অনেক ঘুম পাইছে স্বপ্ন মধ্যে একটা মেয়েকে দেখতে পেলাম জানি না কে সে বাট তার মাথা চুল গুলো বাতাসে উরাছে তার পিছন টা দেখে আমি একটা অনুভূতি হচ্ছে  জানি না কেন আমি দৌড়ে তার কাছে গেলাম আর তাকে থামতে বললাম সে থেমে গেলে আমি যেই তার সামনে গেলাম তখনি...........







চলবে...







Writer:- পিচ্চি ছেলে আদি

NEXT ARTICLE Next Post
PREVIOUS ARTICLE Previous Post
NEXT ARTICLE Next Post
PREVIOUS ARTICLE Previous Post
 

Delivered by FeedBurner