বিয়ের আগে আমি একটা সন্তান পেটে ধরেছিলাম,, নিজের বয়ফ্রেন্ডের ভালোবাসা পাওয়ার আশায় তার অন্যায় আবদার মেনে নিয়েছিলাম"
এইসব কথা অন্য একটা ছেলে কে বলতে হবে নিজের মুখে,, যে কি না আমারই বোনের দেবর হয়,
এগুলো কতটা বেশি লজ্জাজনক তা শুধু মাত্র আমিই জানি,
কারণ যে এইসব পরিস্থিতির মধ্যে না পরে সে মেয়ে এগুলো বুঝতে পারবে না,
আমি এত কঠিন একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি শুধু মাত্র নিজের বোন আর পরিবারের সম্মান টুকু ঠিক রাখার জন্য,
এগুলো ভাবতে ভাবতেই ছাদের দিকে যাচ্ছিলাম,,
এমন সময় দরজা খুলে আমি কিছুক্ষনের জন্য বাকরুদ্ধ হয়ে যাই,
কারন আমি চোখে যা দেখছিলাম তা দেখার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না, দরজা খোলার সাথে সাথে সামনে দেখি রিশাদ ভাই এর সাথে আমার বয়ফ্রেন্ড দাঁড়িয়ে আছে,, এবং তারা হেসে হেসে কথা বলছে,,
আমাকে দেখে রিশাদ ভাই হাসি দিয়ে জিজ্ঞেস করলো,,
- ভালো আছো রুহি?
আমার মুখে তো কোনো কথাই আসছে না,, ভয়ে কলিজা পর্যন্ত কেপে উঠছে,, ইরাদ কেন এসছে এখানে? ও কি চায়? আজ তো আমাকে ফিরিয়েই দিয়েছে যখন বলেছিলাম বাবা মা আমাকে রিশাদ ভাইয়ের সাথে বিয়ে দিতে চায়,, তখন ওরকম করে,, আজ এখানে কেন? আর রিশাদ ভাইয়ের সাথেই বা কেন? ও কি চায়? আর আমার বাসায়ই বা কেন এসেছে?
এত গুলো কথা আমার মাথায় ঘুরছে,, এমন সময় আমার মুখে কোনো উত্তর না পেয়ে রিশাদ ভাই আবার বললেন,,
- উত্তর দিবে না?
আমার তো ভেতর থেকে কোনো ধরনের আওয়াজই বেড় হতে চাচ্ছেনা এমন লাগছে, মনে হচ্ছে বাক প্রতিবন্ধী হয়ে গেছি,
কিছুক্ষন ভ্যাবলার মত তাকিয়ে থেকে খুব কষ্টে গলায় চাপ দিয়ে উত্তর দিলাম
-জ... জ্বি ভাইয়া ভালো,
ইরাদ সেখানে চুপচাপ করেই দাঁড়িয়ে আছে আমার দিকে চোখ তুলে দেখেও নি একবার, আর কোনো কথা ও বলছেনা,,
রিশাদ ভাই বললেন,,
-এসো ভিতরে বসেই কথা বলি সবাই,
আমু ভাবছি বাবা মা ইরাদকে দেখলে কি বলবে?
কি বলে পরিচয় করাবো ওকে?
আর রিশাদ ভাই ওকে কেন নিয়ে আসছে এখানে?
আমি গেইটে দাঁড়িয়ে আছি দেখে রিশাদ ভাই জিজ্ঞেস করলেন,
-কি বেয়াইন সাহেবা ভেতরে আসতে দিবেন না আমাদের??
আমি মাথা নেড়ে হ্যাঁ বুঝালাম এরপর সরে গেলাম দরজা ছেড়ে,,
ইরাদ- রিশাদ ভাই তুমি যাও মা বাবা এসে পরেছে নিচে মনে হয়,, আমি একবারে নিয়ে আসি,,
আমি একটা বড় ধরনের ধাক্কা খেলাম,,
হচ্ছে কি আমার সাথে?
রিশাদ- আচ্ছা,,
এই বলেই ইরাদ নিচে নেমে গেলো,,
রিশাদ ভাই ভিতরে এসে সোফায় বসতে বসতে বললেন,,
-বেয়াইন আজকে তো আপনার খুশির দিন, হাসি খুশি থাকবেন
আমি মনে মনে বললাম
-আল্লাহই জানে কি হতে যাচ্ছে, কিসের খুশি হবো আবার আজকে,
কিছুক্ষণের মধ্যে ইরাদের মা বাবা ও আসলেন,,
তাদের দেখে আমি সালাম দেই,
এমন সময় মা বাবা ভেতরের ঘর থেকে বাইরে আসে,,
এমন সময় ইরাদের মা আমাকে দেখে বলেন
-মাশআল্লাহ! মেয়ে ভারী মিষ্টি,,
-দেখতে হবে না পছন্দ কে করেছে??
আর এদিকে আমার বাবা মা আর আমি, আমরা কেউ কিছুই বুঝতে পারলাম না কি হচ্ছে,,
ইরাদ এসে মা বাবাকে পায়ে ধরে সালাম করলো,
মা বাবা তাদের সবাইকে বসতে বললেন,
সবাই চুপচাপ করে সোফায় বসে আছে, আমার হাত পা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে একদম,
নিরবতা ভেঙে ইরাদের বাবা আমার বাবাকে বললেন,,
- ভাই আমি সরাসরি কথা বলতে পছন্দ করি, তাই ভণিতা না করে, আমি কথা গুলো আপনাকে বলে দেই, আমাদের ছেলে মেয়ে নাকি একে অপরকে ভালোবাসে,, তাই আপনার মেয়ের হাতটা চাইতে এসেছি আমার ছেলের জন্য,,
বাবা প্রথমেই আমার দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলেন,,
- উনারা যা বলছেন এগুলো কি সত্যি??
আমার খুব ভয় লাগলো তারপর ও সাহস হলে ছোট্ট করে উত্তর দিলাম,,
-হুম
মা বাবা রিশাদের দিকে তাকিয়ে আছে,, রিশাদ ভাই তখন বললেন,,
- আংকেল ইরাদ অনেক ভালো একটা ছেলে রুহির কলেজ যেখানে ছিলো ওখানেই ওদের বাড়ি,, ওর নিজের ব্যাবসা আছে এবং আমাদের অনেক আগে থেকেই ব্যাবসার ম্যাধমে পরিচয়,, আপনি নিশ্চিত হয়ে রুহিকে ওদের ঘরে বউ করে দিতে পারেন,
মা বাবা তো অবাকের ওপরে অবাক হচ্ছে,
ইরাদের বাবা একটা বায়োডাটা এগিয়ে দিলেন আমার বাবার দিকে,,
এবং আবারো বললেন,
- আমার ছেলের সব কিছু এইখানে লিখা আছে ভাই,আপনি পড়ে দেখেন ভালো লাগলে অবশ্যই জানাবেন,
বাবা মায়ের কাছে তাদের হাসিমুখে কথা বলাটা খুব ভালো লাগলো যা দেখেই বুঝা যাচ্ছে,
মা এর মাঝে আপুকে ফোন করে দিলো, আপুর বাসা অনেক কাছে হওয়ার কারণে তারা মিনিট পাচেক এর ভিতর চলে আসলেন,,
ইরাদের মা আমাকে ডেকে তার পাশে বসালেন,, টুকটাক কথা বললেন
মা সবাইকে নাস্তা দিয়ে ঘরে গেলেন,,
কিছুক্ষণ পরে বাবা বললেন সবাইকে বসতে এবং উনি আপু ঘরে গেলেন,,
তাদের পিছু পিছু আবার রিশাদ ভাই ও চলে গেলেন,,
আমি শুধু ভাবছি ওই ঘরে কি হচ্ছে,,
ভয়ে আমার যায় যায় অবস্থা হয়ে গেছে,,
এসি চলছে এর মধ্যেও ঘেমে একাকার অবস্থা আমার,,
বাবা ঘর থেকে প্রসস্থ একটা হাসি দিয়ে বেড় হলেন,,
এবং এসে বললেন,,
- ভাই আমরা এই প্রস্তাবে রাজি,,
ইরাদের বাবা মা আলহামদুলিল্লাহ বললেন,,
ইরাদের মা বললেন,,
- ভাই তাহলে আগামী সপ্তাহে কি আমরা আমাদের মেয়েকে নিয়ে যেতে পারি?
আমার মা বললেন,,
- আপা এত তাড়াতাড়ি?
- জ্বি আপা,, আমার কোনো মেয়ে নেই বউ মা ঘরে এলে,, মেয়ের অভাব ঘুচবে আমার।
এভাবে কথা বলে ফাইনাল হলো সামনের সপ্তাহে বিয়ে হবে,,
এসব ঘটনা ঘটে গেলো মাত্র চার-পাঁচ ঘন্টার মধ্যে, কথা পাকা হওয়ার পরে তারা চলে গেলেন,
মা বাবা অনেক বলেছিলেন একসাথে খাওয়া দাওয়া করার জন্য কিছু ইরাদের ফ্যামিলির কেউ রাজি হয়নি, তাদের একটাই কথা বিয়ের সময় সব হবে, এসব ঘটনা ঘটে যাওয়ার আমি খুব খুশি হলাম,, মনে হচ্ছে যেন স্বপ্ন দেখছি,, এত দিন পরে খুশি লাগতে শুরু করলো,, এত বছর পর মনে হচ্ছে আমার হৃদপিণ্ডটা আমারো চলতে শুরু করেছে, আমিও মানুষ, আবেগ গুলো আবারো উকি দিচ্ছে মনের গহীনে,
ভেবেছিলাম হয়তোবা মা বাবা বকা দিবে,
কিন্ত তারা কিছুই বললেন না,, বরং সবাই অনেক খুশি,,
রিশাদ ভাই অনেক বেশি উপকার করেছেন তা মানতে হবে,, উনিই সবাইকে ম্যানেজ করেছেন,,
আর ইরাদের সাথে যে উনার আগে থেকেই পরিচয় সেটা ইরাদ আমাকে বলেনি,, কেন বলেনি জানিনা,
এটা অবশ্য পরে জানলেও হবে তবে রিশাদ ভাইকে একটা ধন্যবাদ না দিলে হবেনা,
আপুরা এখনো যায়নি
রিশাদ ভাই বারান্দায় বসে আছে
ভাবছি আমি গিয়ে একটা ধন্যবাদ তো জানাতেই পারি।
যেই কথা সেই কাজ, চলে গেলাম উনাকে ধন্যবাদ জানাতে,,
-আসতে পারি?
- হ্যাঁ আসো,
- কংগ্রাচুলেশনস
- থ্যাংকস টু ইউ, আসলে আপনি না থাকলে...
- হ্যাঁ হ্যাঁ আমি জানি তুমি এখন বলবা আমি না থাকলে এগুলো হতো না, অনেক উপকার করেছি তোমার যা তুমি জীবনেও ভুলতে পারবেনা, কিন্তু আমাকে এত মহান বানানোর কোনো দরকার নেই, কারণ এসবই আমি নিজের স্বার্থে করেছি,
- আপনার স্বার্থ?
- হুম, আমি একটা মেয়েকে ভালোবাসি অনেক, আমার তোমাকে বিয়ে করা আমার সম্ভব না এটাই আজকে বলতে আসছিলাম, পথেই ইরাদের সাথে দেখা ও তখন আমাকে বলে যে আমি কোথায় যাচ্ছি, আমার বাসায়ই নাকি যাচ্ছিলো আমাকে খুজতে আমার সাথে জরুরি কথা বলার আছে,,
তখন কথায় কথায় সব কথা এসে গেলো আর আমি চিন্তা করলাম,, যেহেতু ইরাদকে আমি চিনি ও কেমন আর তোমাকেও চিনি তাহলে তো তোমাদের এক হওয়ায় একটা ছোট সাহায্য করতে পারি, ব্যাস বাকি ঘটনা তোমার সামনেই।
সব গুলো কথা শুনে ভালো লাগলো অন্তত পক্ষে ইরাদ আমাকে ভালোবাসে এটা বুঝতে পারলাম,আমাকে নিয়ে ওর চিন্তা হয় তাও বুঝতে পারলাম।
.
আরো অবাক হলাম যখন ইরাদ বাসায় গিয়ে একটা মেসেজ দিলো আমি যেন তাড়াতাড়ি খেয়ে ঘুমিয়ে পরি,, খুব ভালো লাগলো ওর এই যত্নটা,,
আজকের রাতটা অনেক দিন পর এলো আমার জীবনে, কত রাত ঠিক মত ঘুমাইনি,, আজ একটা আনন্দের অনুভূতি নিয়ে ঘুম দিলাম।
ঘুম ভাংলো ১১টায়, একটু বেশিই ঘুমিয়ে পরেছি ক্লাসেও আজ আর যাওয়া হলো না,
আমাকে উঠতে দেখে মা জিজ্ঞেস করলেন,
- উঠেছিস?
- হ্যাঁ মা, আজকে দেরি হয়ে গেলো। ক্লাসেও গেলাম না,,
- কিছু হবেনা রে মা আর মাত্র কয়েক টা দিন বাসায় আছিস ঘুমিয়ে নে ক্লাস পরে,
বাবা পাশ থেকে বললেন,
- শুনো আমাদের মেয়ের ভাগ্য ভালো, কাল দেখলে না ওর হবু শাশুড়ী ওকে কত আদর করলো, তোমার মেয়েকে না ঘুম পাড়িয়ে রাখবে না তারা,
মা তখন বললেন,
- নিজের পেটে ধরেছি মেয়েকে আমার চিন্তা কি আর আপনি বুঝবেন?
অনেক মমতা মাখা কন্ঠে কথাটা বললেন মা,
-কেন মেয়ে কি আমার না?
- আপনার ও অবশ্যই, কিন্তু একটা মা বাচ্চা পেটে আসার পর থেকেই ওকে নিয়ে কত স্বপ্ন দেখে, কত রকম পরিকল্পনা করে, নাড়ির ছেরা ধন এরা, মায়ের ভালোবাসা আর চিন্তা বাবারা কি আর বুঝবে? সন্তান পেটে থাকার সময় ওকে আগলে রাখার একটা টেনশন কাজ করে, এটা মায়েদের বেশি হয় বাবাদের থেকে,
প্রতিত্তোরে বাবা বললেন মা কে,,
-আচ্ছা আচ্ছা আপনি জিতলেন আমি হারলাম,,
কথা গুলো কেমন যেন আমার কলিজায় লাগছে, সেখানে আর বসে থাকতে পারলাম না আমি
আমার চোখে পানি চলে এলো,
তাড়াতাড়ি করে বিছানা ছেড়ে বাথরুমে চলে এলাম,,
দরজা আটকে খুব কান্না করলাম,,
কানের কাছে সব গুলো কথা বারবার বারি খাচ্ছে, অনেক খারাপ লাগছে আমার
এভাবে আমার চোখে পানিটা কেন এলো বুঝলাম না, বাচ্চাটাকে আমি এই দুনিয়ার আলো দেখার আগেই শেষ করে দিয়েছি দেখে একটা অপরাধবোধ থেকে এমন হলো?
নাকি মায়ের প্রতি ভালোবাসায় কান্না চলে এলো?
ঠিক বুঝে উঠতে পারিনি
এক রাত শারীরিক সম্পর্ক করার পরেই রুহিকে আমার আর ভালো লাগছিলো না,
তাই ওর থেকে দূরে সরে যেতে চেয়েছিলাম।
ব্যাপারটা এমন না যে রুহিকে আমি ভালোবাসিনি,
কিন্তু কেন যেন ফিরে আসার পর ওর প্রতি আগের মত একটা টান কাজ করতো না, মনে হতো যা দরকার ছিলো হয়তো তা পেয়ে গেছি
আমি নিজেও জানিনা এমন কেন মনে হতে শুরু করে,
এরপর যখন ও প্রেগন্যান্ট হয়ে যায়,
আমার আসলে ভয় লেগে যায় কারণ আমি এখন বিয়ের জন্য প্রস্তুত না, ওর প্রতি মন উঠে যায় আমার আর এম্নিতেও আমার সময় দরকার
এরপর আমি রুহির সাথে সব যোগাযোগ বন্ধ করার চেষ্টা করি, এরই মাঝে সামিয়ার সাথে আমার পরিচয় হয়, মেয়েটা আমাকে ভালো বুঝতো, রুহির মত ছিলো না, একটা সময় তার সাথে আমি সম্পর্কে জড়িয়ে পরি, কেন যেন মনে হতে শুরু করে সামিয়াই আমার উপযুক্ত রুহি নয়।
এভাবে রুহির ব্যাপারটা গোপন করেই সামিয়ার সাথে সম্পর্কে আবদ্ধ ছিলাম। বেশ ভালোই চলছিলো সব কিছু কিন্তু একদিন বিকেলে হঠাৎ সামিয়া ফোন করে আমাকে বলে ও বিয়ে করতে যাচ্ছে আর একজন ছেলেকে। আমার তখন দিশেহারা অবস্থা । সামিয়ার বাসার সামনে যাই, ওকে অনেক বুঝানোর চেষ্টা করি, পায়ে ধরা বাকি ছিলো একমাত্র
তারপরেও ওর মন গলে নি ফেলে চলে যায় আমাকে ফেলে।
অনেকদিন ডিপ্রেশনে ছিলাম
কিছুই ভালো লাগতো না, এরপর ব্যাবসায় মন দিলাম একে ঘিরে আমার দিন কাটানো শুরু হলো, তারপরে যে রুহিকে আমি খুব ভালোবেসে ফেলেছি এমন কিছুই ঘটে নি,
কিন্তু রুহি আমাকে ভালোবাসে ও আমাকে চায় আর মনে হলো এই মেয়েটা আমাকে সুখী করতে পারবে এই আশায় কাল ওকে ফিরিয়ে দেওয়ার পরেও বাবা মা কে নিয়ে গেলাম ওকেই বিয়ে করতে।
আর আমাকে মা বাবা অনেক ভালো তারা রুহির মত মেয়েই খুজছিলেন,
কফির মগে চুমুক দিতে দিতে ইরাদ কথা গুলো ভাবছে, আসল জীবনে ও নায়ক নাকি খলনায়ক এগুলো কিছুর ধারণা ওর নেই,
হয়তো রুহির জীবনে ও কিছুটা খলনায়কের ভূমিকা পালন করে আবার সামিয়ার কারণে একজন ব্যার্থ প্রেমিক যে ওকে শরীর দিয়ে চায় নি, চেয়েছিলো মন থেকে কিন্তু সামিয়া ওকে না বুঝে ফেলে চলে যায়।
জীবন খুব অদ্ভুত, কার সাথে কখন কি ঘটে কেউ জানে না, হয়তো নতুন জীবন শুরুর পরে এসব আগের মত মনে হবেনা আবার হতেও পারে, রুহিকে আগের মত ভালোবাসলে সামিয়া ওর জীবনে আসতেই পারতো না এটা ইরাদ জানে, আর সামিয়া যাওয়ার পরে নানা মেয়েদের সাথে আবাধ মেলামেশা ও করেছে ও। যার ফলশ্রুতিতে এখন ভালোবাসা নামক জিনিসটা আর বুঝে ওঠা হয়না ওর। ইরাদের মনে হয় শান্তি আসবে এগুলো করলেই।
ও জানেনা সুখ আর শান্তি কিভাবে পাওয়া যায়। তবে এর সন্ধান পাওয়া যাবে একদিন সেই আশায় আছে ও।
ইরাদের মা ফোন করলেন রুহিকে
মার্কেটে নিয়ে যাবে তাই,
রুহি ইরাদের মা আর ইরাদের ফুপাতো বোন তনু সবাই মিলে শপিং করছিলো এমন সময় হঠাৎ করে তনুর শরীর খারাপ লাগতে শুরু করলো, যেহেতু তনু প্রেগন্যান্ট তাই ইরাদের মা আর রুহি ভয় পেয়ে গেলো, এবং কাছে যে হাসপাতাল আছে সেখানে নিয়ে গেলো।
রুহি এই হাসপাতালে এসে ভয় পাচ্ছে কারণ এটা সেই হাসপাতাল যেখানে ওর এবরশন হয়ে ছিলো।
আমি শুধু আশেপাশে তাকিয়ে দেখছিলাম যে ডাক্তার আমার অপারেশন করেছিলেন সে এখানে আছেন কি না?
আর উনি গাইনোকলোজিস্ট আর তনুও প্রেগন্যান্ট, যদি উনি আসে চেকাপে?
আর আমাকে যদি দেখে চিনে ফেলে?
ইরাদের মা বোনের সামনে আমার কি রকম ইম্প্রেশন পরবে?
এসব ভয় আমি পাচ্ছিলাম,
যেই ভয় পেলাম তাই হলো, আমার সামনে ওই ডাক্তারই আসলো
উনি চুপচাপ বসে তনুর চেকাপ করলেন,
মায়ের সাথেও কথা বললেন,
তনুর বেশি হাটাহাটি করার কারণে একটু দুর্বল অনুভব করছিলো ডাক্তার একটা স্যালাইন দিয়ে দিলো,
আমি এরপর একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ছেড়ে বাচলাম হয়তো বা আমাকে উনি চিনতে পারেন নি।
ইরাদের মায়ের ব্যাবহার অনেক ভালো ডাক্তার ও খুব ভালো করে উনার সাথে কথা বললেন,
আমাকে পরিচয় করিয়ে দিলেন মা
আমি তার ছেলের হবু স্ত্রী।
ডাক্তার তখন আমাকে কিছু না বললেও মা তনু
বেড় হয়ে যাওয়ার পর আমি আমার ব্যাগটা ভুলে ফেলে চলে যাচ্ছিলাম ডাক্তারের রুমে তা নিতে ফিরে আসার পরে তিনি আমাকে একা দেখে জিজ্ঞেস করলেন,
- যখন আপনি এবরশন করতে এসেছিলেন তখন আপনার বয়স ১৮ ছিলো না তাই না?
কথাটা শুনে আমি চমকে উঠি,,
উনি তাহলে আমাকে চিনতে পেরেছেন??
- না তখন আমি ১৭ বছরের ছিলাম,
ডাক্তার আমাকে কিছু বললেন না আর
শুধু মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন।
বাসায় ফিরে এলাম কিন্তু এখনো সেই হসপিটালের ঘটনাই ভাবছি,
ডাক্তার এমন কেনো করলো আমি জানিনা, আমার মাথায় কিছুই ঢুকলো না।
তবে বুঝতে পারলাম একটা জিনিস উনি ভালো মানুষ নাহয় মায়ের সামনে এগুলো বলতে পারতেন।
এভাবে করেই বাকি দিন গুলো কেটে গেলো, দেখতে দেখতে বিয়ের দিন চলে এলো,
অনেক বড় পাপ করেছি আগে তবে
আজ সম্পর্কটাকে পবিত্র করার পালা, আমি বধু সেজেছি, লাল বেনারসিতে নিজেকে মুড়িয়েছি, একদম লাল টুকটুকে বউ।
খুব বিচলিত লাগছিলো,
বিয়েটা আসলে হবে তো?
সব সঠিকভাবে হবে?
নাকি কোনো ঝামেলা হবে আমার??
এরপর ইরাদরা এলো
কাজী সাহেব বিয়ে পড়ালেন
কবুল বলার পর যেন একটা শান্তি অনুভব করলাম,
আমার সবচেয়ে বড় স্বপ্ন সত্য হয়ে গেলো,
ইরাদ আমাকে ছেড়ে গেলো না,
অবশেষে ও আমাকে নিজের স্ত্রী করলো
ভেবেছিলাম এইতো সুখ চলে এসেছে জীবনে, আর কোনোদিন খারাপ কিছু হবেনা,, দুঃখের দিন শেষ,
কিন্তু কে জানতো ভুলের খেসারত যে দেওয়া বাকিই রয়ে গেছে এখনো,
সেই হিসাব তো এখনো মিলে নি...
প্রাপ্য যার যেটা সেটা তাকে পেতেই হবে হয়তো আগে নয়তো পরে
নতুন বউ সেজে বাসর ঘরে বসে আছি স্বামীর অপেক্ষায় কিন্তু তার আসার নাম নেই
কারণ কি বুঝতে পারলাম না,
তবে ওর কাছে আমার শরীরটা পুরনো হয়ে গেছে বলেই কি ও আসতে দেরী করছে?
আজকের রাতটা নতুন দম্পত্তিদের জন্য কত বিশেষ, এগুলো কিছুই কি ইরাদ বুঝেনা?
কথা গুলো রুহি ভাবছে,,
রাত ১০ঃ৩০ টা বেজে যাওয়াতেও সে আমাদের এই নতুন জীবনের সূচনায় আমার সাথে একটা বারের জন্যেও দেখা দিতে আসেনি।
অপেক্ষা করতে করতে প্রায় ১১ঃ২০ এর দিকে বিছানা ছেড়ে উঠে চেঞ্জ করে আসলাম,,
এসে দেখি ইরাদ ইজি চেয়ারে বসে আছে,
- এত দেরি হলো কেন কোথায় ছিলে?
- একটু বাইরে ছিলাম বন্ধুদের সাথে শরীরটা ভালো লাগছেনা আর পা ব্যাথা করছে।
-ফ্রেশ হবে না?
- হ্যাঁ যাচ্ছি
ইরাদ ফ্রেশ হয়ে এসে দেখে রুহি দাড়িয়েই আছে খাটের পাশে।
-ঘুমাও রুহি আমিও ঘুমাই।
এই বলেই ইরাদ বিছানায় এসে লাইট বন্ধ করে শুয়ে পরলো, রুহিকে বউ করে তো ও এনেছে কিন্তু মনে তেমন অনুভূতি কাজ করছে না আর ওর জন্য।
আর সত্যি বলতে মেয়েটা শুধু ওকেই চেয়ে এসেছে সব সময় কিন্তু ও তো ওর শরীরটাকে পাওয়ার পর ওর থেকে অনুভুতি গুলো হারিয়ে ফেলেছিলো বলে কতজনের সাথে কত কি না করলো আপাতত ওসব করার ইচ্ছাও হচ্ছেনা তাই চুপচাপ শুয়ে থাকাই ইরাদের ভালো মনে হচ্ছে।
কিছুক্ষণ পর ইরাদ অনুভব করতে পারলো ওর পায়ে নরম কিছুর স্পর্শ।
তাকিয়ে দেখে রুহি ওর পায়ে তেল মালিশ করে দিচ্ছে।
-আরে কি করছো এগুলো?
- তোমার পায়ে ব্যাথা তাই মালিশ করছি
একটু আরাম পাবে দেখো,,
-দরকার নেই এভাবেই ঠিক হয়ে যাবে।
-উফ তুমি ঘুমাও আমি দিচ্ছি
এই বলে রুহি মালিশ করে দিলো, পায়ে পাতা এত আরাম দিয়ে টিপে দিলো যে কিছুক্ষণের মধ্যেই ইরাদ ঘুমিয়ে পরলো।
মাঝ রাতের দিকে ইরাদের ঘুম ভাংলো,
চোখ ডলে উঠে বসতে নিবে তখন ও তাকিয়ে দেখে ওর পায়ের মধ্যে রুহির হাত, বুঝতে বাকি রইলো না পায়ে মালিশ করতে করতে এখানেই মেয়েটা ঘুমিয়ে পরেছে।
ইরাদ ঘড়িতে দেখে ৪টা বাজে,, সারাটা রাত রুহি এভাবে ওকে তেল দিয়েছে,, মনের ভেতরটা কেমন যেন করতে শুরু করলো,
আজকে অনেক দিন পরে রুহির জন্য ইরাদের মনটা ঘামলো, মেয়েটা আসলেই ওকে যত্ন করতে চায়, ইরাদের প্রতি রুহির অসম্ভব ভালোবাসা আছে আজও।
আগের মতই ভালোবাসে ওকে।
নিজেকে অপরাধী লাগছে ইরাদের, মেয়েটার ঘুমন্ত মুখটা দেখতে নিষ্পাপ লাগছে।
রুহিকে কোলে তুলে ইরাদ বিছানায় শুইয়ে দিয়ে বাথরুমে গেলো।
এসে দেখে রুহি উঠে গেছে,,
- এত তাড়াতাড়ি উঠলে কেন? আর রাতে ঘুমাও নাই কেন?
- এমনিতেই
- আচ্ছা এখন ঘুমাও
-আচ্ছা
এটা বলে রুহি পাশ ফিরে শোয়ার পরে ইরাদ বুঝতে পারলো রুহি ওকে কাছে চাইছে,
এটা বুঝে ইরাদ আজকে ওকে আবার আপন করে নিলো। ইরাদ ভাবছে নতুন জীবনের সাথে পুরোনো সব খারাপ কাজ ধামাচাপা দিয়ে দেওয়া যায়। সব ভুলে নতুন করে তো সব শুরু করাই যায়।
কিন্তু পুরোনো কাজের হিসেব না দিয়ে তো নতুন কাজে হাত দেওয়া যায়না,, বিধির বিধান যে এর অনুমতি দেয় না।
ইরাদ নিজের স্বভাব পরিবর্তন করে ফেললো ধীরে ধীরে। রুহিও স্বামী সংসার নিয়ে ভালোই আছে,,
ইরাদের মা জামিলা বেগম প্রায়ই বাচ্চার কথা বলে রুহি লজ্জা পেলেও ইরাদ কেমন যেন কথা ঘুরিয়ে ফেলে,,
এভাবে প্রায় তিন বছর কেটে গেলো
রুহিকে এখন ইরাদ ভালোবাসে একজন সৎ পুরুষ যেমন হয় তেমনটাই হয়ে গেছে ইরাদ। রুহি একজন স্ত্রী হিসেবে ভালো, বাড়ির বউ হিসেবেও ভালো কিন্তু বাচ্চা হয়নি দেখে আজকাল শশুর শাশুড়ী কিছুটা মন খারাপ করে।
এতে রুহি কষ্ট পায়, কিন্তু বলার তো কেউ নেই।
ইরাদ কে বাচ্চার কথা বললেই কথা এড়িয়ে যায়,
গত দুইটা দিন ধরে ইরাদের মা রুহির সাথে রাগ করে কথা বলে না, ইরাদ অফিসিয়াল কাজে ঢাকা গিয়েছে ফিরবে বিকেলে,
আজকে ইরাদকে উত্তর দিতেই হবে রুহির সব প্রশ্নের। রুহি মনের সব গুলো কথা আজকে ইরাদকে জিজ্ঞেস করবে,,
বিকেলের দিকে ফোন আসলো রুহির মোবাইলে ইরাদের নাম্বার থেকে
রুহি রিসিভ করতেই পাশ থেকে এক অচেনা লোক ফোন রিসিভ করে বললেন
ইরাদ মাথা ঘুরে পরে গেছে তাই হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে ওকে।
রুহি আর ইরাদের মা বাবা সবাই মিলে সাথে সাথেই হাসপাতালে গেলো,
ডাক্তার অনেক গুলো টেস্ট দিয়েছে, ইরাদের চোখ মুখ দেখে খুব অসুস্থ লাগছে।
রুহি, জামিলা সবাই কাদছে অঝোরে।
একদিন হাসপাতালে থাকার পরে সেই সকল টেস্টে ডাক্তার কিছুই পায়নি দেখে বললো অন্য ডাক্তার দেখাতে
বাসায় আসার কিছুদিন পরে ইরাদের মাজায় ব্যাথা বেড়ে গেলো।
প্রায় ৬ মাসের মত হবে ওর কোমড় ব্যাথা কিন্তু এটায় তেমন গুরুত্ব ও দেয়নি ভেবেছিলো হয়তো সারাদিন অফিসে বসে কাজ করার জন্য এমন হচ্ছে,,
তবে রুহি জোর করে অন্য হাসপাতালে নিয়ে গেলো ইরাদকে এবং মেডিসিন ডাক্তার দেখালো। এবং একটা টেস্ট দিয়েছেন,, যার রিপোর্ট আজকে দিবে,,
সেখানে রুহি দেখলো ডাক্তার নাজিফা ও বসেন, যিনি ওর এবোরশনে করেছিলেন,
রুহি ভেবে নিয়েছে আজকে ইরাদকে দেখানোর সাথে উনাকেও দেখাবে তাই সিরিয়াল নিয়ে রেখেছে।
রুহি সেই ডাক্তারকে দেখাবে এটা ইরাদ জানতো না,
রিপোর্ট নিয়ে রুহি ইরাদ বাইরে বসে আছে,,
রুহি ইরাদকে বললো
-শোনো পেটে কিছুদিন ধরে ব্যাথা তাই ডাক্তার দেখাই আমিও আজকে?
- হ্যাঁ কিন্তু আমাকে বলো নি কেন?
- এমনিতেই তুমি বসো আমি দেখিয়ে আসি।
- না আমিও আসবো
- উহুম আমি যাই একাই।
রুহি ডাক্তারের রুম থেকে বেড় হয়ে আসলো ওকে বেশ বিধ্বস্ত দেখাচ্ছে। ইরাদ কিছু জিজ্ঞেস করতে যাবে এমন ইরাদের সিরিয়াল এসে গেছে,,
ডাক্তার কাছে গিয়ে ইরাদ জানতে পারলো
ওর ক্যান্সার হয়েছে,, ফাইনাল স্টেজ।
ইরাদ রুহি বাসায় ফিরে কেউ কারো সাথে কথা বলছেনা,
রাত হয়ে গেলো কেউ কিছু খেলো না,,
বাইরে বাতাস বইছে হিয়তো ঝড় হবে
একটা সময় ইরাদ বলে উঠলো
-এমন কেন হলো আমার সাথে রুহি?
আমি কি এমন পাপ করেছি?
রুহি বেশ কিছুক্ষন চুপ থেকে বললো,
-পাপ করেছি ইরাদ, আমরা অনেক বড় পাপ করেছি যার খেসারত এভাবে দিতে হচ্ছে।
ইরাদ খানিকটা চমকে উঠে রুহির কথায়।
- কেন এমন বলছো?
- বিয়ের আগে আমরা যা করেছিলাম তার সাজা হিসেবে আল্লাহ পাক আমাকে আর কখনো মা হওয়ার সুখ দিবেন না।
আমরা বিবাহ ছাড়া শারীরিক সম্পর্ক করেছিলাম, একটা শিশু এই দুনিয়া দেখার আগেই তার প্রাণ ছিনিয়ে নিয়েছি। তখন ওকে আমার অনেক লজ্জার
আর বোঝা মনে হচ্ছিলো, আজ দেখো একটা বাচ্চার জন্য কত শত চেষ্টা করেও আমি ব্যার্থ। ডাক্তার আজকেই আমাকে বলেছে তখন এবোরশন করার ফলে মা হওয়ার ক্ষমতা আমি হারিয়ে ফেলেছি ন
তখনই ইরাদের মনে পরলো কত মেয়েদের সাথে ও অবাধ মেলামেশা করেছে একটা সময়।
কারো মন বড় লাগেনি ওর শুধুই নিজের কথা ভেবেছিলো ও।
যত রকম নোংরামি আছে সবই তো করেছিলো ইরাদ৷তাই হয়তো সাজা স্বরূপ এই রোগটা এসেছে আজকে এত বছর পরে।
এবং এই রোগটা শেষ সময় ধরা পরেছে।
দুইজন অনেক কাদে সেদিন রাতে।
আল্লাহার কাছে মাফ চায় অনেক করে এবং সিদ্ধান্ত নেয় আজকের পর থেকে যতদিনই বাঁচে তত দিন আল্লাহকে স্মরণ করবে কারণ সব কিছুর পরে ওই একজনের কাছেই তো যেতে হবে, এবং তার কথার অমান্য করলে দুনিয়া আখিরাত কোথাও কিছুই পাওয়া যাবেনা।
ঠিক ৪ মাস পরে ইরাদ মারা যায়,, নিজের যত সম্পদ ছিলো তা সবই সে দান করে দেয় বাড়িটা ছাড়া মারা যাওয়ার আগে। বাড়িটা ৫তলা হওয়ায় ৪
তলার ভাড়া দিয়ে রুহি আর ইরাদের মা বাবা চলতে পারবে এই ব্যাবস্থা ইরাদ করে রেখে গেছে। মারা যাওয়ার আগে ইরাদ অনেক ভালোবাসতো রুহিকে ওর মা বাবা কে। দুনিয়া টা কতই না সুন্দর ছিলো এগুলো শেষ সময় ইরাদ বুঝতে পারতো,, কেনই বা ওইসব করে নিজেকে ও শেষ করেছিলো এগুলো ভাবতো আর আল্লাহর কাছে কাদতো, তাওবা করতো।
রুহি অনেকটা ভেতর থেকে ভেংগে পরেছে এখন ও শুধু আল্লাহ কে ডাকে, কোনো রকমে বেচে থাকে। যেই ইরাদের জন্য এগুলো করেছিলো ও, সেই ইরাদের সাথে থাকাটাই কত ক্ষনিকের ছিলো,, সুখের স্মৃতি খুব কম,
ওর করা দুইটা পাপ ওর জীবন টাকে শেষ করে দিয়েছে। আত্নপীড়নে হয়তো বাকি জীবন টা কেটে যাবে। আপাতত জীবনের লক্ষ্য একটাই আল্লাহ পাক যদি তাদের মাফ করে দেয় তাহলেই হয়তো রুহি শান্তি পাবে। যিনার খেসারত, একটা শিশুকে দুনিয়ায় আসতে না দেওয়ার খেসারত, ভয়াবহ ভাবে ইরাদ আর রুহির দিতে হলো।
(সমাপ্ত)
Writer:- Yasira Abisha