> সন্তানকে শাসন করার ৬টি ক্রিয়েটিভ ও শিক্ষণীয় টিপস
-->

সন্তানকে শাসন করার ৬টি ক্রিয়েটিভ ও শিক্ষণীয় টিপস

সন্তানকে শাসন না করলে সন্তান নষ্ট হয়ে যায়” এটা সব বাবা-মায়েরই ভাবনা। সন্তান কোন ভুল করলে অনেকেই সন্তানকে শাসন করেন, যা সন্তানের জন্য কষ্টদায়ক হয়। কিন্তু কেমন হয় যদি সন্তানকে শাসন করার মাধ্যমে নতুন কিছু শিক্ষা দেয়া যায়? চলুন জেনে নিই এমন কিছু সৃজনশীল ও শিক্ষণীয় টিপস যার মাধ্যমে সন্তানকে শাসন করাও হবে, সন্তান সেখান থেকে কিছু শিখতেও পারবে।




১. পানিশমেন্ট বক্স

পানিশমেন্ট বক্সের জন্য লাগবে কিছু কাগজ ও একটা বক্স। কাগজগুলোতে বিভিন্ন ধরণের শাস্তির কথা লিখে রাখুন, যেমন-টিভি দেখার সময় কম, ভিডিও গেম খেলা একদিনের জন্য বন্ধ, আধাঘন্টা বেশি পড়তে হবে। লিখে কাগজগুলো ভাঁজ করে বক্সের মধ্যে রেখে দিন। সন্তান কোন ধরণের অন্যায় করলে বা ভুল করলে যদি সন্তানকে শাসন করতে হয় তাহলে তাকে বলুন বক্স থেকে একটা কাগজ তুলতে। কাগজে যেটা লেখা থাকবে সেটাই তার শাস্তি হিসেবে ধরা হবে।

২. বেশি করে অনুশীলন করতে দিন


এই সৃজনশীল পদ্ধতিটা স্কুলে পড়া বাচ্চাদের ক্ষেত্রে করতে পারেন। সন্তান যদি ঠিকভাবে হোমওয়ার্ক করতে না পারে কিংবা স্কুলে তার পারফর্ম ভালো না হয় সেক্ষেত্রে তাকে বকাঝকা না করে কিংবা না মেরে কিছুটা সৃজনশীল পথে হাঁটুন। তাকে না পারা পড়াটা বেশি করে করতে দিন। যেমন- যে পড়াটা সে পারবে না সে পড়াটা তাকে দশবার করতে দিন। প্রয়োজনে সময়ও বাড়িয়ে দিন। কোন শব্দের অর্থ না পারলে ১০ বার সে শব্দের অর্থ লিখতে বলুন।

৩. শাস্তি হিসেবে ব্যায়াম করতে বলুন


এটা অনেক মজার ও সৃজনশীল একটা পানিশমেন্ট। সন্তান কোন অন্যায় করেছে? সন্তানকে শাসন করা দরকার? তাকে পার্কে একটা নির্দিষ্ট জায়গা দু-বার চক্কর দিতে বলুন। কিংবা বাসায় উঠার ক্ষেত্রে একদিন লিফট ব্যবহার না করে সিঁড়ি ব্যবহার করতে বলুন। স্কুলে কোন অন্যায় করলে শাস্তিস্বরূপ ওই দিন স্কুলে থেকে হেঁটে বাসায় আসার শাস্তি দিন। এতে শিশুর শারীরিক ব্যায়ামও হবে সাথে শাসনও।


৪. পানিশমেন্ট পয়েন্ট


এটার জন্য প্রথমে বাড়ির ছোট খাটো কাজগুলোর জন্য কিছু পয়েন্ট ঠিক করুন। যেমন-বারান্দায় গাছে পানি দেয়ার জন্য ৫০ পয়েন্ট, আলমারির আয়না মোছার জন্য ৫০ পয়েন্ট, নিজের রুম পরিছন্ন করার জন্য জন্য ১০০ পয়েন্ট। এবার সন্তান কোন অন্যায় করলে সে অন্যায় থেকে মাফ পাওয়ার জন্য তাকে এই কাজগুলো করে নির্দিষ্ট পয়েন্ট জোগাড় করতে বলুন। যেমন- খেলতে গিয়ে বন্ধুদের সাথে মারামারি করলে শাস্তিস্বরূপ কাজগুলো করে ২০০ পয়েন্ট সংগ্রহ করতে বলুন। শর্ত দিয়ে দিন, ২০০ পয়েন্ট সংগ্রহ করলেই কেবল সে আবার বন্ধুদের সাথে খেলতে যেতে পারবে।


৫. সৃজনশীল শাসন


সৃজনশীল কাজ (যেমন-ছবি আঁকা, কবিতা আবৃতি করা, বিজ্ঞানবাক্স থেকে চটপট দুটো এক্সপেরিমেন্ট করা) শিশুদের অনেক বেশি বুদ্ধিমান ও পড়ালেখার প্রতি আগ্রহী করে তোলে। তো সন্তান যদি কোন অন্যায় করে তাহলে সন্তানকে শাসন করার জন্য তাকে এমন কিছু সৃজনশীল কাজ করতে দিন। এতে মানসিক বিকাশের অনেক উন্নতি হবে।



৬. টাইমার সেট


সন্তান খেতে অনেক সময় নেয়? কিংবা ঠিক মতো খেতে চায় না? কিংবা নিজের রুম গোছানোতে অনীহা? তাহলে সন্তান ওই কাজটা কত সময়ে করতে পারবে এমন একটা টাইম সেট করে দিন। এই টাইমে কাজটা শেষ করতে পারলে পুরষ্কার স্বরূপ আধাঘন্টা বেশি তার প্রিয় কার্টুন দেখতে পারার কথা বলুন কিংবা তার পছন্দের কোন বস্তু পুরষ্কার দেয়ার কথা বলুন। দেখবেন শিশুর গতি রকেটের মতো বেড়ে গেছে।






Writer:- Unknown
NEXT ARTICLE Next Post
PREVIOUS ARTICLE Previous Post
NEXT ARTICLE Next Post
PREVIOUS ARTICLE Previous Post
 

Delivered by FeedBurner