:- গাড়ির সীটবেল্ট বাঁধতে পারা কঠিন কোনো কাজ না, মায়া! আমার পাশে বসে প্রতিদিন যাও আসো। এতদিনে তো তোমার গাড়ি ড্রাইভ করা শিখে যাওয়ার কথা। অথচ এখনো তোমার বেল্ট টাই আমাকে বেঁধে দিতে হয়!
:- না, আমি এখনো শিখিনি। আর সারাজীবনেও শিখবনা, শিখতে চাইবোওনা। শিখলেও নিজে বাধঁবোনা, তোমাকেই বেঁধে দিতে হবে। বুঝেছো? তোমার যদি কোনো প্রব্লেম হয় এতে, তাহলে বলো, আমি ট্যাক্সি করে অফিসে যাব।
:- প্লিজ মায়া!! We are matured enough now I think. I'm just telling you that in a logical manner. কথায় কথায় সেন্টিমেন্টাল রিয়েক্ট কেন করব আমরা? তুমি যদি বলো অবশ্যই আমি সারাজীবন বেঁধে দেব! I just would like to know the reason you're applying!
:- আমার ভালো লাগে তাই। তুমি যখন ঝুঁকে এসে সীটবেল্ট বেঁধে দাও আমি খুব ধীরে লম্বা এক নিশ্বাস নিতে নিতে তোমার গায়ের গন্ধ শুঁকি, এবং সারাদিনের জন্য তোমার গন্ধ গায়ে মেখে নিজেকে রিচার্জ করে নিই। তুমি নিচে ঝুঁকে থাকাতে লক্ষ করোনা, ভালো লাগায় তখন আমার চোখ বুজে আসে। এই ভালো লাগা আমি হারাতে চাইনা সীটবেল্ট বাধাঁ শিখে!
:- আই লাভ ইউ, মায়াবতী! অফিস শেষে থিয়েটারে যাবো। কেমন?
:- Ok we will, Now see the front and drive carefully!
-সন্ধ্যা-
:- মায়া, তুমি ঠিক আছো তো? খুব ক্লান্ত ও অসুস্থ দেখাচ্ছে তোমাকে।
:- মায়া, তুমি ঠিক আছো তো? খুব ক্লান্ত ও অসুস্থ দেখাচ্ছে তোমাকে।
:- Let's go home bby! I do really need your hug.
:- তোমার শরীরে তো অসম্ভব তাপ! কখন থেকে এই অবস্থা? আমাকে বলোনি কেন এতক্ষণ? This is not time of going home মায়া। আমরা প্রথমে হসপিটাল যাব। sit carefully! ওয়েট, আমি বেল্ট বেঁধে দিচ্ছি। সে কি,,তুমি কাঁদছো কেন মায়াবতী?
:- আমি আরো অনেকদিন তোমার সাথে বাঁচতে চাই রণ! তোমার গায়ের গন্ধ পেতে চাই! তোমার সাথে লেপ্টে শুয়ে বাহুতে মাথা রেখে হাজার বছর ঘুমুতে চাই! তোমার মন খারাপের রাতগুলোতে জেগে থেকে কফি খেতে খেতে ভোরের অপেক্ষা করতে চাই! তোমার সাথে অভিমান করে মুখ বাঁকিয়ে বসে থাকতে চাই! কষ্ট পেলে তোমায় জড়িয়ে ধরে কাদঁতে চাই!
:- অবশ্যই তুমি যা চাও তা হবে, তুমি সব পাবে। অবশ্যই পাবে। কিন্তু এখন এসব কেন বলছো? একটু অপেক্ষা করো, এইতো এসে গেছি।
ডাক্তার :- আপনার স্ত্রীর হেলথ টেস্ট করে ও আপনার সাথে কথা বলে যা বুঝলাম, she is in danger. সাধারণ সৌজন্যতার ভাষায় বললে তেমন কিছুই হয়নি। আবার আশংকা কিংবা সচেতনতার ভাষায় বললে 'মাইক্রো কমপ্লেক্স ডিযিজেস'। একাধিক শারীরিক মাইনর ইফেক্ট যার সবকটিই মেয়েলী বা গাইনী। সারাদিন কাজে থাকা ও বাসায় কোনো মেয়ে মানুষ না থাকায় এগুলো কেয়ার করার বা শেয়ার করার সুযোগ পাননি বা প্রয়োজন বোধ করেননি উনি। আর আপনার কথা অনুযায়ী উনার মেন্টাল কিছু ডিফল্টও ফাইন্ড আউট করা গেছে, এর জন্য দায়ী উনার একাকীত্ব ও অফিসের কাজের চাপ।যেগুলো আরো ভয়ংকর আভাস দেয়।
আমি আপনাকে একজন সাইকিয়াট্রিক ও একজন অভিজ্ঞ গাইনী প্রফেসার এর এড্রেস করছি, আপনি উনাদের সাথে যোগাযোগ করুন। উনাকে কোনোভাবেই জব কন্টিনিউ করতে দেয়া যাবেনা। উনার পরিপূর্ণ রেস্ট ও পরিচিত জনের সঙ্গ দরকার। আর হ্যা, why aren't you conceiving a baby? I think it would be a better solution than ever!
আমি আপনাকে একজন সাইকিয়াট্রিক ও একজন অভিজ্ঞ গাইনী প্রফেসার এর এড্রেস করছি, আপনি উনাদের সাথে যোগাযোগ করুন। উনাকে কোনোভাবেই জব কন্টিনিউ করতে দেয়া যাবেনা। উনার পরিপূর্ণ রেস্ট ও পরিচিত জনের সঙ্গ দরকার। আর হ্যা, why aren't you conceiving a baby? I think it would be a better solution than ever!
পরদিন সকাল,
:- মায়া, আজ দুপুর নাগাদ আম্মু চলে আসবে। আর তোমার ছোটবোন মাইশাও আসছে কাল সকাল নাগাদ। উনারা একসপ্তাহ থাকবেন তারপর আসবেন আমার শাশুড়ি। এভাবে পালাক্রমে সবাই আসতে থাকবেন। আমরা আর একা থাকবোনা।
:- এভাবে কতদিন চলবে?
:- যতদিন আমরা তিনজন না হচ্ছি!
:- হি হি হি হি হি হি,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,!
:- আর শুনো, অফিসে একটা রিজাইন লেটার পাঠিয়ে দাও, তুমি জবটা আর কন্টিনিউ করছোনা।
নাস্তা করে ফ্রেশ হয়ে নাও তোমাকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যাবো।
নাস্তা করে ফ্রেশ হয়ে নাও তোমাকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যাবো।
:- যথা আজ্ঞা মহারাজ! আর শুনো,,,,,আজ সন্ধায় কিন্তু থিয়েটারে যাচ্ছি!
:- মনে আছে? বলেছি যে দুপুরে আম্মু আসছে! সন্ধায় কী করে বের হবো?
:- আম্মুকে সাথে নিয়েই যাবো! হি হি হি,,,
:- আচ্ছা দেখা যাবে! তুমি যদি রাজি করাতে পারো অবশ্যই যাব!
দুই পরিবারের আত্বীয়স্বজনদের আনাগোনায় রণ ও মায়া'র সংসার হাসিখুশি এক সুখের রাজ্য হয়ে উঠলো। মায়া'র প্রতি রণ'র ভালোবাসা জ্যামিতিক হারে বাড়তে থাকলো। স্বর্গের কিঞ্চিৎ আভাসে প্রায়'ই মায়াবতীর চোখ ভিজে উঠে। নয়মাস কেটে গেছে মায়াবতীর শরীরে ও সবার মস্তিষ্কে একটা অনিন্দ ভালোবাসার অস্তিত্ব বহন করে। দুই পরিবারের নয়নের মণি অনাগত এক সুখের টুকরা। প্রার্থনায় চোখ ভাসিয়ে দেয় রণ প্রায়ই।
হসপিটালের OT তে ঢুকানোর প্রায় এক ঘন্টা পর ডাক্তার সাহেব মলিন মুখে বেরিয়ে এসে বললেন:- "I'm sorry Mr. Ron! We couldn't back your wife alive! You have a son and he is out of danger! "
হসপিটালের OT তে ঢুকানোর প্রায় এক ঘন্টা পর ডাক্তার সাহেব মলিন মুখে বেরিয়ে এসে বললেন:- "I'm sorry Mr. Ron! We couldn't back your wife alive! You have a son and he is out of danger! "
(লেখক ইচ্ছে করলে মায়াবতিকে বাঁচাতে পারতেন। লেখকের মন ভালো নেই, তাই তিনি অন্যদের মনও খারাপ করে দিতে চেয়েছেন!)
লেখা:- Raju TheNumb