> সূরা ফাতিহা নিয়ে একটি চমৎকার তথ্য
-->

সূরা ফাতিহা নিয়ে একটি চমৎকার তথ্য


সূত্র : প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ ২
লেখক: আরিফ আজাদ
অংশ: "কুরআন কেন আরবী ভাষায়"

"সূরা ফাতিহার সাতটি আয়াত। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা এর মাঝের আয়াতে এমন কিছু বলেছেন, যেটি সূরা ফাতিহার প্রথম অংশ এবং পরের অংশ, দুই অংশেরই প্রতিনিধিত্ব করে।"
"প্রথম তিনটি আয়াতে বলা হচ্ছে,
'যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তায়ালার যিনি জগৎসমূহের অধিপতি।'
'যিনি পরম করুনাময়, অসীম দয়ালু।'
'যিনি বিচার দিনের মালিক।'
চতুর্থ আয়াতে বলা হচ্ছে,
'আমরা তোমারই ইবাদত করি এবং তোমার কাছেই সাহায্য প্রার্থনা করি।'
এটি মাঝের আয়াত। এটি কোনো ভাগেই পড়বে না। এটিকে কেন্দ্রবিন্দু বলা যেতে পারে। এই আয়াত দিয়েই প্রথম আর পরের ভাগ যাচাই করা যাবে।
শেষ তিন আয়াতে বলা হচ্ছে,
'আমাদের সরল পথে পরিচালিত করুন।'
'ওই সব লোকদের পথে, যাদের আপনি নিয়ামত দান করেছেন।'
'তাদের পথ নয়, যাদের ওপর আপনার অভিশাপ নাযিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট। '
মাঝখানের, অর্থাৎ চার নম্বর আয়াতে দুটো অংশ আছে। 'আমরা তোমারই ইবাদত করি' এতটুকু একটি অংশ, এবং 'তোমারই কাছে সাহায্য প্রার্থনা করি' এতটুকু একটি অংশ।
আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছে, এই আয়াতের প্রথম অংশ সূরার প্রথম তিন আয়াতের প্রতিনিধিত্ব করছে এবং পরের অংশ প্রতিনিধিত্ব করছে সূরার পরের তিন আয়াতের।
এই আয়াতের প্রথম অংশ দিয়ে ওপরের তিন আয়াতের যাচাই করা যাক:
"আমরা তোমারই ইবাদত করি।"
আমরা কার ইবাদত করি?
'সকল প্রশংসা যার এবং যিনিই সৃষ্টিজগতের অধিপতি।' [সূরা ফাতিহার ১ম আয়াত]
আমরা কার ইবাদত করি?
'যিনি পরম করুনাময়, অসীম দয়ালু' [সূরা ফাতিহার ২য় আয়াত]
আমরা কার ইবাদত করি?
'যিনি বিচারদিনের মালিক।' [সূরা ফাতিহার ৩য় আয়াত]
এবার আসা যাক ওই আয়াতের পরের অংশে। যেখানে বলা হচ্ছে---
"তোমার কাছেই সাহায্য প্রার্থনা করি।"
আমরা কীসের জন্য সাহায্য প্রার্থনা করি?
'যাতে আমরা সরল পথে চলতে পারি।' [সূরা ফাতিহার ৫ম আয়াত]
আমরা কীসের জন্য সাহায্য প্রার্থনা করি?
'যাতে আমরা নিয়ামতপ্রাপ্তদের দলে ভিড়তে পারি।' [সূরা ফাতিহার ৬ষ্ঠ আয়াত]
আমরা কীসের জন্য সাহায্য প্রার্থনা করি?
'যাতে আমরা অভিশপ্ত এবং পথভ্রষ্টদের দলের অন্তর্ভুক্ত না হই।' [সূরা ফাতিহার ৭ম আয়াত]
চিন্তা করে দেখুন, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা এই ছোট্ট সূরাটার মধ্যেও কীরকম ভাষার মান, সাহিত্য মান দিয়েছেন। প্রথমে কিছু কথা, মাঝখানে একটি বাক্য, শেষে কিছু কথা; কিন্তু মাঝখানের সেই বাক্যটিকে এমনভাবে সাজিয়েছেন এবং এমনভাবে বলেছেন, যেটি প্রথম ও শেষ - দুটো অংশের সাথেই সামঞ্জস্যপূর্ণ।


সুবহানআল্লাহ...
NEXT ARTICLE Next Post
PREVIOUS ARTICLE Previous Post
NEXT ARTICLE Next Post
PREVIOUS ARTICLE Previous Post
 

Delivered by FeedBurner