জ্বর-সর্দি-গলাব্যথা নিয়ে হাসপাতালে গেলে তুমি। করোনার উপসর্গ দেখে দ্রুত নমুনা সংগ্রহ করল ডাক্তাররা। এরপর সেটা পাঠানো হলো মহাখালীতে। ওরা টেস্ট করে জানাল - পজিটিভ। করোনাবিবি বাসা বেঁধেছে তোমার শরীরে।
.
অনেক ঘোরাঘুরি করে শেষমেশ কুয়েত-মৈত্রী হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে তোমার স্থান হলো।
.
কোনো আত্মীয়স্বজন যায় না ওখানে। মা-বাবা-ভাই-বোন, কারও সাথেই দেখা হয় না তোমার। ফোনকলে কেবল কথা হয় পরিবারের সাথে।
.
দিন দিন অবস্থা খারাপ হতে থাকল।
.
অনেক ঘোরাঘুরি করে শেষমেশ কুয়েত-মৈত্রী হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে তোমার স্থান হলো।
.
কোনো আত্মীয়স্বজন যায় না ওখানে। মা-বাবা-ভাই-বোন, কারও সাথেই দেখা হয় না তোমার। ফোনকলে কেবল কথা হয় পরিবারের সাথে।
.
দিন দিন অবস্থা খারাপ হতে থাকল।
শ্বাসকষ্ট আর প্রচণ্ড জ্বরে তুমি তখন কাবু।নড়বার মতন শক্তি নেই গায়ে। এমন অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হলো আইসিইউতে৷
.
তোমার মুখে সারাক্ষণ অক্সিজেন লাগিয়ে রাখা হয়। তবু যেন শ্বাস বন্ধ হয়ে আসে। চোখে সর্ষে-ফুল দেখো। মাঝে মধ্যে অন্ধকার হয়ে যায় পুরো দুনিয়াটা। বিছানা চেপে ধরে কোনোমতে দমটা আটকানোর চেষ্টা করো।
এই প্রচণ্ড কষ্টের সময়, কোনো প্রিয়জন নেই পাশে। নার্স এসে খাবার দিয়ে যায়। ডাক্তার এসে রিপোর্টটা দেখেই দ্রুত কেটে পড়ে। কাচের ফাঁক দিয়ে কেউ একজন মাঝেসাঝে উঁকি দিয়ে দেখে, তুমি বেঁচে আছ কি না।
ব্যস, এতটুকুই।
ভয়ানক নিঃসঙ্গ অবস্থায় কাটছে তোমার দিন।
.
একদিন দুপুরে কেমন যেন আজেবাজে স্বপ্ন দেখছিলে তুমি। হঠাৎ এক নার্স এসে জিজ্ঞেস করল, আপনি কি কারও সাথে দেখা করতে চান?
ওর প্রশ্ন শুনেই তুমি বুঝে ফেললে, পরপারে যাবার সময়টা হয়তো ঘনিয়ে এসেছে।
.
তোমার মুখে সারাক্ষণ অক্সিজেন লাগিয়ে রাখা হয়। তবু যেন শ্বাস বন্ধ হয়ে আসে। চোখে সর্ষে-ফুল দেখো। মাঝে মধ্যে অন্ধকার হয়ে যায় পুরো দুনিয়াটা। বিছানা চেপে ধরে কোনোমতে দমটা আটকানোর চেষ্টা করো।
এই প্রচণ্ড কষ্টের সময়, কোনো প্রিয়জন নেই পাশে। নার্স এসে খাবার দিয়ে যায়। ডাক্তার এসে রিপোর্টটা দেখেই দ্রুত কেটে পড়ে। কাচের ফাঁক দিয়ে কেউ একজন মাঝেসাঝে উঁকি দিয়ে দেখে, তুমি বেঁচে আছ কি না।
ব্যস, এতটুকুই।
ভয়ানক নিঃসঙ্গ অবস্থায় কাটছে তোমার দিন।
.
একদিন দুপুরে কেমন যেন আজেবাজে স্বপ্ন দেখছিলে তুমি। হঠাৎ এক নার্স এসে জিজ্ঞেস করল, আপনি কি কারও সাথে দেখা করতে চান?
ওর প্রশ্ন শুনেই তুমি বুঝে ফেললে, পরপারে যাবার সময়টা হয়তো ঘনিয়ে এসেছে।
এই অবস্থায়ও কি তোমার গোনাহ করার ইচ্ছে জাগবে?
পর্ন কিংবা আইটেম সং দেখবার জন্যে নার্সকে একটা স্মার্টফোন আনতে বলবে?
পর্ন কিংবা আইটেম সং দেখবার জন্যে নার্সকে একটা স্মার্টফোন আনতে বলবে?
উত্তরের ঘরটা ফাঁকা রাখলাম তোমার জন্যে।
.
আচ্ছা, তুমি কি দেখোনি, এই কয়েক মাসে অর্ধলক্ষ মানুষ শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থায় মারা গিয়েছে? হাজারও মানুষ পরিবার-পরিজনসহ এই দুনিয়া থেকে চলে গেছে?
অনেকেই তো জীবনের শেষ মুহূর্তে নিজের প্রিয় মানুষটিকে একনজর দেখার সুযোগও পায়নি, এই খবর কি আসেনি কানে?
.
আচ্ছা, করোনাভাইরাস কি তোমার শরীরে বাসা বাঁধতে পারে না?
তোমার জীবনেও কি করোনা-জনিত-মৃত্যু আসতে পারে না?
তবুও কি সচেতন হবে না?
.
তুমিই-না যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য আর ইতালির মৃত্যু-পরিসংখ্যান আমাকে মেসেঞ্জারে পাঠালে?
তোমার দেশেই তো করোনা-জনিত-মৃত্যুর গ্রাফটা ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে।
ওই মৃত্যুর মিছিলে যে-কোনো মুহূর্তে তুমিও যে শামিল হতে পারো, একথা কি একবারও স্মরণে আনবে না?
.
ভাই আমার! বোন আমার! আর কত সময় গড়ালে তোমার হুঁশ হবে?
আর কত লাশের মিছিল দেখলে পরে তুমি আল্লাহর দিকে ফিরে আসবে?
.
আচ্ছা, তুমি কি দেখোনি, এই কয়েক মাসে অর্ধলক্ষ মানুষ শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থায় মারা গিয়েছে? হাজারও মানুষ পরিবার-পরিজনসহ এই দুনিয়া থেকে চলে গেছে?
অনেকেই তো জীবনের শেষ মুহূর্তে নিজের প্রিয় মানুষটিকে একনজর দেখার সুযোগও পায়নি, এই খবর কি আসেনি কানে?
.
আচ্ছা, করোনাভাইরাস কি তোমার শরীরে বাসা বাঁধতে পারে না?
তোমার জীবনেও কি করোনা-জনিত-মৃত্যু আসতে পারে না?
তবুও কি সচেতন হবে না?
.
তুমিই-না যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য আর ইতালির মৃত্যু-পরিসংখ্যান আমাকে মেসেঞ্জারে পাঠালে?
তোমার দেশেই তো করোনা-জনিত-মৃত্যুর গ্রাফটা ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে।
ওই মৃত্যুর মিছিলে যে-কোনো মুহূর্তে তুমিও যে শামিল হতে পারো, একথা কি একবারও স্মরণে আনবে না?
.
ভাই আমার! বোন আমার! আর কত সময় গড়ালে তোমার হুঁশ হবে?
আর কত লাশের মিছিল দেখলে পরে তুমি আল্লাহর দিকে ফিরে আসবে?
মৃত্যু তো তোমার সামনেই ঘোরাঘুরি করছে। যে-কোনো সময় প্রাণপাখিটা তুলে নিয়ে ফেলে যাবে তোমার নিথর দেহটা। তবুও কি বোধোদয় হবে না?
.
"হে মানুষ! কোন জিনিস তোমাকে তোমার মহান রবের ব্যাপারে ধোকায় ফেলে দিল?"
(সূরা ইনফিতর : ৬)
.
"হে মানুষ! কোন জিনিস তোমাকে তোমার মহান রবের ব্যাপারে ধোকায় ফেলে দিল?"
(সূরা ইনফিতর : ৬)
Writer:- জাকারিয়া মাসুদ