> সন্ধ্যার একটু পর পর্ব ০২ (শেষ)
-->

সন্ধ্যার একটু পর পর্ব ০২ (শেষ)




- সাজু বললো, আচ্ছা ঠিক আছে আমি কবিতার সঙ্গে ওর বাসায় গিয়ে ফ্রেশ হয়ে তারপর খুলনায় কল দিয়ে সবকিছু ভেবে দেখবো। 

- ঠিক আছে তুই বরং বাদল মামা কিংবা মামুন ভাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারো। তাদের কাছে সবকিছু জেনে তারপর নাহয় সিদ্ধান্ত নিয়ে সামনে এগোবি। তাছাড়া মাত্র বাহির থেকে ফিরে এসব কাজের মধ্যে জড়িয়ে লাভ নেই, আমিও এই মুহূর্তে কাজের জন্য বিজি। রকির কোন ছুটি নেই, তাই এখন একা একা না যাওয়াই ভালো তবে তুই একাই যথেষ্ট তা জানি। 

- ঠিক আছে। 

মোবাইল রেখে কবিতার দিকে তাকিয়ে সাজু ভাই অবাক হয়ে গেল, আগের চেয়ে আরও কয়েক গুণ বেশি রাগান্বিত হয়ে বসে আছে। সাজু তখন একটু হাসতে চেষ্টা করে বললো,

- গাড়ি থামালে কেন? 

- তোমার মালপত্র নিয়ে নেমে যাও। 

- ওমা কেন কেন? 

- তুমিই তো বললে যে কথা না বললে নেমে যাবে, আর চলন্ত গাড়ি থেকে তো নামতে পারবে না। তাই গাড়ি দাঁড় করলাম যাতে সুস্থ শরীরে সবকিছু ঠিক মতো সঙ্গে নিয়ে নামতে পারো। 

- আজব তো, আমি তো এমনিতেই বললাম। 

- তুমি তাড়াতাড়ি নামো। 

- কিন্তু আমার অপরাধ? 

- ওই মেয়েটা কে? 

- কোন মেয়ে? 

- যার সঙ্গে সারা পথে এনজয় করতে করতে এলে আমি সেই মেয়ের কথা জিজ্ঞেস করছি। 

- ওহ্ আচ্ছা, ওর সঙ্গে তো তোমাকে পরিচয় করে দেয়া হলো না। তার নাম তমা সুলতানা, বাংলাদেশ এসেছে তার একটা কাজের জন্য তবে সজীব এর কথা শুনে কিছুটা খটকা লাগলো। 

- কিসের খটকা? 

- যে লোকটা খুলনায় খুন হয়েছে তার সঙ্গে নাকি ব্রিটেনের কোন মেয়ের পরকীয়া সম্পর্ক আছে। এখন সেই মেয়ে তমা নয়তো? যদি তমা হয়ে থাকে তাহলে সে তো আজকেই আমার সঙ্গে ফিরলো। 

- আমি ভালো করে বলে দিচ্ছি, তুমি এখন কোন ঝামেলায় যাবে না। দেশে আসছো, এখন কিছুদিন গ্রামের বাড়িতে যাবে তারপর নাহয় এসবের মধ্যে জড়াবে। 

- কিন্তু... 

- কোন কিন্তু নেই, তুমি আমাকে বলেছিলে এবার আমাকে তোমার সঙ্গে তোমাদের গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাবে। 

- আচ্ছা ঠিক আছে আগে বাসায় চলো তারপর ফ্রেশ হয়ে এসব নিয়ে আলোচনা করবো। 

- বিদেশী ওই মেয়ের সঙ্গে আর কোন যোগাযোগ রাখতে পারবে না। 

- কেন? 

- আমি বলছি তাই, দেখতে কত সুন্দর, যদি সে তোমাকে কেড়ে নেয়? 

- হাহাহা হাহাহা। 

- একদম বিশ্রী হাসি দেবে না, আমার কিন্তু শরীর জ্বলে উঠে। 

- আমি তোমাকে রেখে আর কারো প্রেমের মায়ায় পরবো না, যদি পরি তাহলে সেটার পিছনে গভীর কিছু কারণ থাকবে। 

- আবার যদি? 

- হ্যাঁ। 

- খুন করে ফেলবো কিন্তু, তোমার জন্য আমি টিকটক করা ছেড়ে দিয়েছি। নিজের জীবন সবটা নতুন করে সাজিয়ে নিচ্ছি, আর সেখানে যদি কোন মেয়ে এসে স্বপ্ন ভেঙ্গে দেয় তাহলে আমি আগুন জ্বালিয়ে দেবো। 

- হাহাহা, আচ্ছা এবার ঠান্ডা মাথায় গাড়ি স্টার্ট করো আর নাহলে আমার কাছে দাও। 

- তুমি কি জানো আমি তোমাকে কতটা ভালবাসি সাজু? 

- জানি। 

- কচু জানো, তাহলে আবার কেন বলতে গেলে যদি কারো প্রেমে পরি? আমার বিয়ে হয়েছিল তাই কি আমার ভালবাসার অধিকার নেই? 

- কেন থাকবে না, আর আমারও কিন্তু বিয়ে হয়ে ছিল, আমারও ডিভোর্স হয়ে গেছে। 

- তুমি তো একটা ডাইনির হাতে পরেছিলে, কত্তো খারাপ মেয়ে তাই না? 

- হুম মারিয়াকে আমি এতটা খারাপ ভাবিনি, তবে টাকার লোভে মানুষ কতকিছু করে। 

- আমার কখনো টাকার লোভ হয়নি, জানো? 

- হুম। 

গাড়ির ড্রাইভিং সিটে এখন সাজু, কুড়িল বিশ্বরোড থেকে ধানমন্ডি কলাবাগান যেতে এখনো অনেক সময় লাগবে। ঢাকা শহরের ঐতিহ্যবাহী জ্যাম তো চিরন্তন সত্য তাই সময় লাগা স্বাভাবিক। বনানী সৈনিকক্লাব পার হয়ে হঠাৎ করে কবিতা বললো,

- আমি সপ্তাহ খানিক আগে মা-বাবার সন্ধান বের করার চেষ্টা করেছিলাম। 

- তারপর? 

- তারা এখন পিরোজপুর শহরে আছে। 

- তোমার সঙ্গে কথা হয়েছে? 

- মায়ের সঙ্গে কথা হয়েছে, তারা আজও আমাকে ক্ষমা করেননি, একটু কথা বলে রেখে দিল। 

- আমার বাড়ি থেকে পিরোজপুর মাত্র ২৩ কিঃমিঃ দুরত্ব, যদি আমাদের বাড়িতে যাও তাহলে আমি তোমাকে তাদের কাছে নিয়ে যাবো। 

- আচ্ছা সাজু, তুমি কি পারবে আমাকে আমার মা-বাবার কাছে ফিরিয়ে দিতে? তারা যেন এই আমাকে আবারও আদর করে, কতবছর পেরিয়ে গেল মা-বাবার সঙ্গে দেখা হয়নি। 

- আমি চেষ্টা করবো। 

- এক কাজ করলে কেমন হয়? 

- কি? 

- আমি তোমাকে নিয়ে সরাসরি মা-বাবার সামনে গিয়ে দাঁড়াতে চাই, তারপর দেখি কি হয়। 

- ঠিক আছে তাই হবে। 

★★★

পরদিন "সন্ধ্যার একটু পর" হাসপাতালে গেল রুহি এবং তার মামাতো বোন নিপা। অসুস্থ হাবিব চুপচাপ বিছানায় শুয়ে আছে, নিপা তার কেবিনের দরজা ধরে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে। 

- রুহি বললো, কেমন আছেন হাবিব ভাই? 

- অস্পষ্ট কণ্ঠে হাবিব বললো, আলহামদুলিল্লাহ তুমি কেমন আছো? 

- জ্বি ভাই ভালো আছি, আপনি কেন শুধু এমন পাগলামি করতে গেলেন হাবিব ভাই? মানুষের তো ভুল হতেই পারে তাই বলে কেউ কি আত্মহত্যা করতে যায়? আর আপনি শিক্ষিত একজন মানুষ তাই এটা করা কি ঠিক? 

- তোমার আপু দাঁড়িয়ে আছে কেন? তাকে বসতে বলো, নাকি সমস্যা আছে? 

নিপা এবার মুখ তুলে একবার হাবিবের চোখের দিকে তাকিয়ে রইল, গাল বেয়ে দুফোঁটা অশ্রু গড়িয়ে গেল। হাবিব একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বসতে ইশারা করলো, নিপা আস্তে করে হাবিবের পায়ের কাছে বসলো। 

- রুহি বললো, আপনার গ্রামের বাড়ি থেকে কেউ আসেনি? 

- না সেখানে খবর দেওয়া হয়নি, ফরিদপুর থেকে এতদূর কাউকে আনতে চাই না। তাছাড়া গ্রামের মধ্যে যদি জানাজানি হয়ে যায় যে আমি সুইসাইড করতে গেছি তাহলে সবাই ছিছি করবে। 

- এবার নিপা বললো, বুঝতে যখন পারছো তাখন কেন নিজেকে মারতে গেলে? আমার নাহয় ভুল হয়েছে কিন্তু সেই ভুল ভাঙ্গানে দায়িত্ব কার? শুধু একটা চিঠি লিখে মরে গেলেই কি সবকিছুর সকল সমাধান হয়ে যায়? 

- বিশ্বাস বলে একটা কথা থাকে নিপা। 

- মানলাম আমি, কিন্তু বললাম তো ভুল হয়েছে তাই বলে এতবড় শাস্তি দেবার ব্যবস্থা করতে হবে? 

- এ বিষয়টা এখন বাদ দাও তো। 

- কেন বাদ দেবো? আমি ওই কাজের মেয়েটাকে ছেড়ে দেবো ভেবেছ? কখখনো নয়। 

- তা ঠিক, আমিও যেহেতু মরিনি সেহেতু কেন সে আমার নামে মিথ্যা অপবাদ দিয়েছে সেটা খুঁজে বের করবো। 

- তোমাকে কিছু করতে হবে না তুমি শুধু আগের মতো তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠো, বিয়ের দিন তো ঘনিয়ে আসছে। 

- এতকিছুর পরও তোমার বাবা আমাকে তার মেয়ের জামাই হিসাবে মেনে নেবে? 

- কেন নেবে না? মেয়ে যদি মানে তাহলে সেখানে বাবা কি করবে? 

- তবুও, একবার যেহেতু কথা উঠেছে। 

- রুহি বললো, ভাইয়া আপনি চুপ করেন, মামার বিষয়টা আমরা দেখবো। আপনি শুধু সুস্থ হয়ে তাড়াতাড়ি বিয়ের জন্য তৈরি হন নাহলে তো... 

- নিপা বললো, ঠিক আছে ঠিক আছে তুই এবার চুপ কর তো রুহি। 

- আচ্ছা চুপ করলাম, তোমরা কথা বলো আমি বরং বাহিরে গিয়ে অপেক্ষা করি। 

রুহি দরজা খুলে বাইরে বেরিয়ে গেল, আর নিপা তখন হাবিবের আরও কাছে এগিয়ে গিয়ে কপালে হাত দিয়ে বললো, 

- এখন কেমন লাগছে? 

- ভালো। 

- ক্ষমা করেছ? 

- কিসের জন্য? 

- ভুল করেছি বলে। 

- মনে রাখিনি। 

- তাহলে এভাবে একা রেখে চলে যাচ্ছিলে কেন? 

- আল্লাহ তো গ্রহণ করে নিল না, আর যাকে এত ভালবাসলাম সে তো বুঝলে না। 

- একবার সুস্থ হয়ে ওঠো, এতো বেশি ভালবাসা দেবো যে কল্পনা করতে পারবে না। 

- তোমার হাতটা একটু আমার বুকের উপর রাখ তো, একটু অনুভব করি। 

★★★

রাতে খুলনাতে বাদল মামার সঙ্গে কথা বলতে চেষ্টা করছিল সাজু ভাই কিন্তু সম্ভব হয়নি। আর যে মেয়ে কল করেছিল তার নাম্বার বন্ধ, এখন এই বিষয় কিছু না জেনে হুট করে রওনা দিতে ইচ্ছে করছে না তার। রাবেয়া মেয়েটাকে পরবর্তীতে কল করার কথা ছিল কিন্তু সেই থেকে তার নাম্বার বন্ধ। তমা সুলতানা নামের সেই মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে না, সে নিজে কল না দিলে বিরক্ত করতে চায় না সাজু। 

সকল দশটার দিকে বাদল নিজে কল দিল সাজুর নাম্বারে। 

- হ্যালো বাদল মামা? 

- কি খবর সাজু? ভালো আছো? 

- জ্বি মামা, আপনি ভালো আছেন? 

- হ্যাঁ আছি আলহামদুলিল্লাহ, গতকাল রাতে কল দিলা কিন্তু রিসিভ করতে পারি নাই। একটা বড় ঝামেলার মধ্যে দিন যাচ্ছে তো তাই আরকি এই ব্যস্ততা। 

- কি হয়েছে মামা?

- মেঘার মোড়ে একটা খুন হয়েছে, লোকটার স্ত্রী নিজেই তাকে খুন করেছে। এদিকে সেই ছেলের সঙ্গে আবার লন্ডনের এক মেয়ের প্রেম ছিল তাই সেই সম্পর্কের কথা জানতে পেরেছিল তার স্ত্রী রাবেয়া। 

- কি নাম বললেন? 

- রাবেয়া, কেন তোমার কাছে খবর গেছে নাকি? 

- হ্যাঁ সেই মেয়ে নিজে কল করেছিল। 

- ওখানেই তো সমস্যা, সেই মেয়ে নিজে পুলিশের কাছে গিয়ে মামলা করলো সেই লন্ডনের মেয়ের নামে। পুলিশ যখন সেই লন্ডনের মেয়ের সন্ধান বের করতে বিজি তখন সেই মেয়ে নিজেই এসে হাজির। 

- তার নাম কি তমা সুলতানা? 

- এটাও জানো সাজু? 

- হ্যাঁ মামা, তারপর বলেন। 

- সেই মেয়ে খুলনা শহরে প্রবেশ করার পরে যখন তাকে জিজ্ঞেসাবাদ করা হচ্ছিল তখন হঠাৎ করে রাবেয়া মেয়েটা নিজেই স্বীকার করেছে যে তার স্বামীকে সে খুন করেছে। 

- কিন্তু কেন? 

- পরকীয়া সম্পর্কের জের ধরে তাদের মধ্যে বেশ কিছুদিন রাগারাগি হচ্ছিল। কিন্তু সেদিন রাতে নাকি বেশি ঝামেলা হয়েছে, আর সে যখন বুঝতে পেরেছে যে তার স্বামী হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে তখন এই পরিকল্পনা। 

- এগুলো সে নিজেই পুলিশের কাছে বলেছে? 

- হ্যাঁ, আর ওই লন্ডন প্রবাসী বাংলাদেশি মেয়েটা তো যখন জানতে পেরেছে যে ছেলেটার প্রথম স্ত্রী আছে তখন সে পুরো হতভম্ব হয়ে গেছে। কারণ সে নাকি জানতো না, তাকে সেই খুন হওয়া ছেলেটা নাকি অবিবাহিত যুবক দাবী করছে। 

- হায়রে কপাল। 

- এসব নিয়ে একটু ঝামেলা গেল, তারপর বলো তোমার কি খবর? 

- আমি আপনাকে এই বিষয়টা জানার জন্য কল করেছিলাম, ভেবেছিলাম যদি লুকানো রহস্যের গন্ধ থাকে তাহলে খুঁজে দেখতাম। 

- না আপাতত কিছু নেই, রাবেয়া মেয়েটা এখন জেলের মধ্যে আছে বাকিটা আদালত করবে। তো তুমি খুলনা আসবে নাকি এমনিতে? কতদিন তো হয়ে গেল দেখা নেই। 

- হ্যাঁ সপ্তাহ খানিক পরে গ্রামের বাড়িতে যাবো, তখন খুলনার দিকে যাবো ভাবছি। শফিকের জন্য দোয়া করবেন, লন্ডনে ওর চিকিৎসা হচ্ছে আর ডাক্তার খুব আশাবাদী ওর সুস্থতার ব্যাপারে। 

- বাহহ আলহামদুলিল্লাহ, শফিকের জন্য আমরা কত খোজাখুজি করলাম তাই না সাজু? 

- হ্যাঁ মামা, পাগলের মতো খুঁজেছিলাম। 

- আচ্ছা ঠিক আছে তুমি খুলনায় এলে আমাকে কিন্তু অবশ্যই জানাবে। 

- ওকে মামা, আল্লাহ হাফেজ। 

তমার সঙ্গে কথা হয়েছে, মেয়েটা বাংলাদেশে এসে খুব কষ্ট পেয়েছে, সে ভেবেছিল ওই ছেলেকে সারপ্রাইজ দেবে। কিন্তু নিজেই নাকি সারপ্রাইজ হয়ে গেছে, সবসময় নাকি বিয়ে বিয়ে করতো ছেলেটা। তাই বিয়ে করার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে সে এসেছিল, আর তারপরই নিজে ফিরে গিয়ে ওকে সেখানে নিয়ে যাবার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু দেশে ফিরে ওই ছেলে মারা গেছে তা শুনে যতটা কষ্ট হয়নি, তারচেয়ে বেশি কষ্ট হয়েছিল তার প্রথম স্ত্রী আছে সেটা শুনে। সে আবার ঢাকা ব্যাক করেছে এবং দু একদিনের মধ্যে ঢাকা থেকে লন্ডনে ফিরে যাবে। সাজুকে অনুরোধ করেছে সে যদি একটু দেখা করতে পারে তাহলে খুশি হবে। 

সাজু ভাই কবিতার কাছে সবকিছু বললো, যদিও এটা অনুমতি নেবার জন্য নয়। কিন্তু কবিতাকে বলতে ইচ্ছে করছে তাই বলা হয়েছে। 

- কবিতা বললো, কখন যাবে? 

- ভাবছি সন্ধ্যার একটু পরে বের হবো, তমা এখন মিরপুরে আছে। 

- কখন ফিরবে? 

- সেটা গেলে তারপর দেখা যাবে। 

- আমি ভেবেছিলাম তোমাকে নিয়ে আজকে রাতে বাহিরে ডিনার করবো। 

- তো সমস্যা কি? মিরপুর ও তো বাহির তাই না? সেখান থেকে নাহয় ডিনার করে আসবো। 

- তারমানে আমি সঙ্গে যাচ্ছি? 

- অবশ্যই। 

- আগে বলবা না? 

- একটা কথা বলবো? 

- বলো। 

- আমাদের এখনো বিয়ে হয়নি, কিন্তু এভাবে তোমার সঙ্গে তোমার ফ্ল্যাটে আমি আছি। এটাকে সবাই কীভাবে কি ভাবছে? 

- দেখো এই বিল্ডিংয়ের প্রতিটি ফ্ল্যাটের ভিন্ন ভিন্ন মালিক, আর এখানে কেউ কারো খবর রাখে না। তবে যদিও অনেক বছর ধরে আছি আর আগে আমার স্বামী আসতো এখানে। এখন নতুন করে তোমাকে দেখে প্রশ্ন জাগতে পারে কিন্তু এখনো কেউ কিছু জিজ্ঞেস করে নাই। 

- জিজ্ঞেস করলে কি বলবে? 

- বলবো আমি বিয়ে করেছি, এটা আমার স্বামী। 

- এভাবে বলতে পারবে? 

- কেন পারবো না? অবশ্যই পারবো। 

- বাহ, তোমার তো মেলা মেলা সাহস। 

- হিহিহিহি, গোয়েন্দার বউ বলে কথা। 

#সমাপ্ত 

সবাই দোয়া করবেন। 

আমি একটা যৌথ গল্পগ্রন্থের জন্য কিছু ছোটগল্প লিখতে ব্যস্ত থাকবো কিছুদিন। পান্ডুলিপি তৈরির জন্য ফেসবুকে লেখা আপাতত বন্ধ করতে চাই, তবে অনেক আগের একটা গল্প লেখা আছে। সেটা এখনো পোস্ট করা হয়নি তাই সম্ভব হলে সেটা পোস্ট করতে পারি। 



( সমাপ্ত )




লেখা:-

মোঃ সাইফুল ইসলাম (সজীব)

NEXT ARTICLE Next Post
PREVIOUS ARTICLE Previous Post
NEXT ARTICLE Next Post
PREVIOUS ARTICLE Previous Post
 

Delivered by FeedBurner