তারানাথ তান্ত্রিক (#২)
লেখকঃ তারাদাস বন্দোপাধ্যায়
প্রকাশকালঃ ১৯৮৫
পৃষ্ঠাঃ ২০৮
কাহিনী সংক্ষেপ করে লেখার কিছু নেই।
বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়ের তারানাথ তান্ত্রিক যারা পড়ে শেষ করেছেন তাদের জন্য তারানাথকে নিয়ে লেখা দ্বিতীয় বই তারই পুত্র তারাদাস বন্দোপাধ্যায়ের তারানাথ তান্ত্রিক।
বইয়ের কাহিনী নিয়ে বললে অনেক বড় হয়ে যায়,
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানে দুইটি গল্প দিয়েই তারানাথ তান্ত্রিক শেষ করেছেন সেখানে তারাদাস বন্দোপাধ্যায়ের সংকলন করেছেন তার বইয়ে দশটি গল্প।সব গল্পগুলোই তারানাথ তান্ত্রিকের মুখে বলা তারই জিবনের বিভিন্ন সময়ে ঘটে যাওয়া আলৌকিক অপ্রাকৃত ও রহস্যের গল্প।এবার উঠে এসেছে তারানাথ তান্ত্রিকের ছোটবেলার গল্প এবং যুবক বয়সের বিভিন্ন ব্যাক্তির সাথে পরিচয় ও নানার রহস্যের সাথে নিজেক যুক্ত করার গল্প।
যারা তারানাথ তান্ত্রিকের সাথে পরিচিত নয় তারা এই সিরিজের প্রথম বই (বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা "তারানাথ তান্ত্রিক")থেকে পরিচয় পেয়ে যাবেন।তারপরও এখানে অল্প কথায় তারানাথের পরিচয় দিই।
তারানাথ তান্ত্রিক এক রহস্যময় ব্যক্তি,
হাত দেখে আর কোষ্ঠী বানিয়ে দিন অর্থ উপার্জন করেন।তিনি তার বন্ধুদের সাথে আড্ডায় তার জীবনের নানান গল্প তাদেরকে বলে থাকেন।
খুব অল্প বয়সে ঘর ছেড়ে বেড়িয়ে পড়েছিলেন তন্ত্রসাধনায় মাঠ-ঘাট-প্রান্তরে।দেশ পরিভ্রমণের সময় অনেক অতিপ্রাকৃত শক্তির সাথে মুখোমুখি হন।
বীরভূমের এক শ্মশানে মাতু পাগলি নামের এক রহস্যময়ী সাধিকার কাছে মহাডামর সাধনা করেন তারানাথ।পরে বরাকরের অরণ্যে তিনি লাভ করেন যোগীনি মধুসুন্দরী দেবীর বর। তার সাধনা সম্পূর্ণ না হলেও তিনি পেয়েছেন বিভিন্ন সাধকের থেকে বেশ কয়েকটা শক্তি।
✎পাঠ-প্রতিক্রিয়াঃ
বইটা পড়তে আমার অনেক সময় লাগলো,পড়তে বিরক্তিকর এজন্য নয়,বইটি সুখপাঠ্য।পড়তে সময় লেগেছিলো কারন কড়া মিষ্টি একবারে বেশি খেতে নেই,অল্প অল্প করে খেতে হয়।এই ক্ষুদ্র রসিকতা করা আমার অমূলক নয়।
বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়ের তারানাথকে শেষ করে যখন তৃপ্তি মিটলো না তখন দেখলাম তিনি তারানাথকে নিয়ে আর কিছু লিখেননি,মনটা খারাপ হয়,তারাদাসের লেখা নিয়ে পড়ার আগে অনেক সংশয় ছিলো যে কতটা তিনি ভালো লেখক বা একজনের চরিত্রকে নিয়ে আরেকজন আদেও কিভাবে গল্প লিখতে পারে,কিন্তু সত্যি বলতে আমি ভুল প্রমাণিত হোই দুইপৃষ্ঠা পড়েই বোঝে যাই জাত লেখক তারাদাস বন্দোপাধ্যায়।বাবা বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুযোগ্য পুত্র।
বইটি পড়ে এখন মনে হয় তারানাথ তান্ত্রিক মোটেও বিভূতি বাবু নয়,এটা তারাদাসেরই।
Writer:- দিলশাদ বিন এরশাদ