১. একজন মানুষের জন্য অন্য একজন মানুষের অস্থিরতা দেখতে এত ভালো লাগে কেনো? অস্থিরতার নামই কি ভালোবাসা? 'আমি তোমাকে ভালোবাসি' এই বাক্যটার মানে কি? আমি তোমার জন্য অস্থির হয়ে থাকি? কে জানে ভালোবাসার মানে কী?
হুমায়ূন আহমেদ
২. যে থাকে আখিঁ পল্লবে
তার সাথে কেনো দেখা হবে,
নয়নের জলে যার বাস
সে তো রবে নয়নে নয়নে।
হুমায়ূন আহমেদ
৩. বউয়েরা ঘরের লক্ষী হয়! তাদেরকে যত বেশি ভালোবাসা দেয়া যায়, তত বেশি ঘরে শান্তি আসে!
হুমায়ূন আহমেদ
৪. জানেন বাকের ভাই এ পৃথিবীতে কিছু কিছু মানুষ শুধু কষ্ট পাওয়ার জন্যই জন্মায়। আমাকে দেখুন। আমি কখনো কারো কোন ক্ষতি করিনি। অথচ দেখুন আমি কষ্ট পাচ্ছি। আমার মাঝে মাঝে মনে হয় আমার বাকি জীবনটা কষ্টেই কেটে যাবে। আপনি কাঁদছেন নাকি বাকের ভাই?
না মুনা। আমার চোখে কি জানি পড়েছে।
আপনি চমৎকার একজন মানুষ। মাঝে মাঝে মনে হয় আমার বুঝি আপনাকে ভালোবাসা উচিত ছিল।
হুমায়ূন আহমেদ
৫. চোখে চোখ রাখার খেলাটা মেয়েরা খুব ভালো পারে!
হুমায়ূন আহমেদ
৬. মৃত মানুষ কত সহজেই না হারিয়ে যায়। মাঝে মাঝে জীবিত মানুষও হারিয়ে যায়।
হুমায়ূন আহমেদ
৭. তুমি হাসলে সবাই তোমার সাথে হাসবে, কিন্তু তুমি কাঁদলে কেউ তোমার সাথে কাঁদবে না। মানুষকে কাঁদতে হয় একা একা।
হুমায়ূন আহমেদ
৮. কাঁদার ও একটা সীমা আছে। সেই সীমা অতিক্রম করার পর কেউ কাঁদতে পারে না।
হুমায়ূন আহমেদ
৯. নারীর কারণে আমরা যদি স্বর্গ থেকে বিতাড়িত হয়ে থাকি তাহলে নারীই পারে আবার আমাদের স্বর্গে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে।
হুমায়ূন আহমেদ
১০. সুন্দর বলে কিছু হয় না!
তুমি যাকে যত বেশি ভালোবাসবে,
তাকে তত বেশি সুন্দর মনে হবে!
হুমায়ূন আহমেদ
১১. মানুষের সব সৌন্দৰ্য আসলে চোখে । যার চোখ সুন্দর তার সবই সুন্দর।
হুমায়ূন আহমেদ
১২. প্রতিটা মেয়েই নিষ্ঠুর হবার অসীম ক্ষমতা নিয়ে জন্মায়।
হুমায়ুন আহমেদ
১৩. এই পৃথিবীতে কেউ কেউ প্রচুর দায়িত্ব নিয়ে জন্মায়, আবার কেউ কেউ জন্মায় কোন রকম দায় দায়িত্ব ছাড়া।
হুমায়ূন আহমেদ
১৪. ভালবাসাটা খুবই জরুরী। সব কিছুর অভাব সহ্য করা যায়, কিন্তু ভালবাসার অভাব সহ্য করা যায় না।
হুমায়ূন আহমেদ
১৫. মেয়েদের বোঝা খুব কঠিন।
একটি মেয়েকে কখনো
পুরোপুরি বুঝতে যাবেন না।
পুরোপুরি বুঝতে গেলে
হয় আপনি পাগল হয়ে যাবেন
নয়তো আপনি মেয়েটির
প্রেমে পড়ে যাবেন।
হুমায়ূন আহমেদ
১৬. অতীত তোমাকে কষ্ট দিবে, ভবিষ্যৎ
তোমাকে আশা দেখাবে আর বর্তমান সবসময়ই তোমার
সাথে থাকবে। তাই সবসময় বর্তমান নিয়েই ভাবো|
হুমায়ূন আহমেদ
১৭. না বলতে পারাটা খুব বড় গুণ। বেশিরভাগ মানুষ 'না' বলতে পারে না। এতে তারা নিজেরাও সমস্যায় পড়ে, অন্যদেরও সমস্যায় ফেলে।
হুমায়ূন আহমেদ
১৮. যে যেটা অপছন্দ করে তার কপালে সেটাই জোটে, এটা বোধহয় সত্যি।
হুমায়ূন আহমেদ
১৯. মা হলো পৃথিবীর একমাত্র ব্যাংক। যেখানে আমরা আমাদের সব দুঃখ - কষ্ট জমা রাখি এবং বিনিময়ে পাই বিনা সুদে অকৃত্রিম ভালোবাসা।
হুমায়ূন আহমেদ
২০. ভালোবাসা খুব অদ্ভুত জিনিস। ভালোবাসা কখনো হারায় না। কখনো নষ্ট হয় না। কোনো না কোনভাবে থেকেই যায়।
হুমায়ূন আহমেদ
২১. পুরাতন হলেই অবহেলা বাড়ে,
সেটা জিনিসপত্র হোক বা মানুষ!
হুমায়ূন আহমেদ
২২. শুধু কাছে পাওয়ার জন্য ভালোবাসা নয়,
শুধু ভালো লাগার জন্য ভালোবাসা নয়,
নিজের সুখ বিসর্জন দিয়ে ভালোবাসার,
মানুষকে সুখী রাখার নামই ভালোবাসা।
হুমায়ন আহমেদ
২৩. পৃথিবীর সব মেয়েদের ভেতর অলৌকিক একটা ক্ষমতা থাকে। কোন পুরুষ তার প্রেমে পড়লে মেয়ে সঙ্গে সঙ্গে তা বুঝতে পারে। এই ক্ষমতা পুরুষদের নেই। তাদের কানের কাছে মুখ নিয়ে কোন মেয়ে যদি বলে- ‘শোন আমার প্রচণ্ড কষ্ট হচ্ছে। আমি মরে যাচ্ছি। তারপরেও পুরুষ মানুষ বোঝে না। সে ভাবে মেয়েটা বোধ হয় এপেন্ডিসাইটিসের ব্যাথায় মরে যাচ্ছে!
হুমায়ূন আহমেদ
২৪. ঈশ্বর মানুষকে প্রচুর ক্ষমতা দিয়েছেন, কিন্তু মানুষের মনের কথা বোঝার ক্ষমতা দেননি!
হুমায়ূন আহমেদ
২৫. টাকার অভাবে ভালোবাসা মারা যায়,
কিন্তু টাকা দিয়ে ভালোবাসা কিনা যায় না।
হুমায়ূন আহমেদ
২৬. চোখের আড়ালে যে থাকে মানুষ তাকে দ্রুত ভুলে যায়। ব্রেইন নতুন স্মৃতি রাখার জন্য পুরনো স্মৃতি ধুয়ে ফেলে।
হুমায়ূন আহমেদ
২৭. যে পুরুষ দেখতে সুন্দর
সে কখনো কাজের হয় না!
হুমায়ূন আহমেদ
২৮. বিয়ে করলে কালো মেয়ে কে বিয়ে করো, জীবনে সুখী হতে পারবে। কারণ কালো মেয়েদের মনে অহংকার থাকে না।
হুমায়ূন আহমেদ
২৯. বিয়ে নামক যে সামাজিক বিধি প্রচলিত আছে, তার মূল উদ্দেশ্য হল পূর্ণতা। একজন পুরুষ পূর্ণ হয় না যতক্ষণ না একজন সঙ্গিনী তার পাশে থাকে।
হুমায়ূন আহমেদ
৩০. কোন মানুষকে খুব বেশি পছন্দ হয়ে গেলে জীবন-যাত্রায় সেই মানুষটার ছায়া পড়ে।
হুমায়ূন আহমেদ
৩১. প্রেম বলিয়া জগতে কিছু নাই। ইহা শরীরের প্রতি শরীরের আকর্ষণ। এই আকর্ষণ প্রকৃতি তৈরি করিয়াছেন যাহাতে তাঁহার সৃষ্টি বজায় থাকে। নরনারীর মিলনে শিশু জন্মগ্রণ করিবে-প্রকৃতির সৃষ্টি বজায় থাকিবে।
হুমায়ূন আহমেদ
৩২. কম বয়সী বোকা বরের চেয়ে
বুদ্ধিমান বয়স্ক বর ভালো।
হুমায়ূন আহমেদ
৩৩. সঙ্গপ্রিয় মানুষের জন্যে নিঃসঙ্গতার শাস্তি-কঠিন শাস্তি। এই শাস্তি মানুষকে বদলে দেয়।
হুমায়ূন আহমেদ
৩৪. মনের তীব্র ব্যাথা কমানোর একটি উপায় হচ্ছে কিছু লেখা। যে লেখা ব্যক্তিগত দুঃখকে ছড়িয়ে দেয় সবদিকে।
হুমায়ূন আহমেদ
৩৫. মানুষের মনের ভেতরে একটা চাঁদ আছে।
সেই চাঁদের জোছনা হয়,অমাবস্যা হয়।
হুমায়ূন আহমেদ
৩৬. মেয়েরা গোছানো মানুষ পছন্দ করে না, মেয়েরা পছন্দ করে অগোছালো মানুষ।
হুমায়ূন আহমেদ
৩৭. কোনো মেয়ে বেলি ফুলের মালা হাতে নিয়ে রেগে থাকতে পারেনা! এই ফুলের গন্ধের ভেতর কিছু আছে, যা ঝপ করে রাগ কমিয়ে দেয়।
হুমায়ুন আহমেদ
৩৮. এই পৃথিবীতে প্রায় সবাই, তার থেকে বিপরীত স্বভাবের মানুষের সাথে প্রেমে পড়ে।
হুমায়ূন আহমেদ
৩৯. সুন্দরী মেয়েদের চুল কখনো লম্বা থাকে না!
হুমায়ূন আহমেদ
৪০. যদি আপনি অন্তর থেকে কাউকে চান, জেনে রাখুন সেই মানুষটিও আপনাকে ভেবেই ঘুমাতে যায়!
হুমায়ূন আহমেদ
৪১. যেসব মেয়েকে দেখবেন খুব মায়া মায়া চেহারা, আপনি ধরেই নিতে পারেন তারা প্রচুর মিথ্যা কথা বলে!
হুমায়ুন আহমেদ
৪২. দুই হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দরতম সংখ্যা, দুই মানে শুধু তুমি আর আমি।
হুমায়ূন আহমেদ
৪৩. যার ওপর মায়া পড়েছে তার সঙ্গে শুধু কথা বলতে ইচ্ছে করে। এই ইচ্ছেটিই বিপজ্জনক, কথা বলা মানেই মায়া বাড়ানো।
হুমায়ূন আহমেদ
৪৪. হাতের রেখায় মানুষের ভাগ্য থাকে না। মানুষের ভাগ্য থাকে কর্মে।
হুমায়ূন আহমেদ
৪৫. অতিরিক্ত রূপবতীরা বোকা হয়, এটা জগতের স্বঃতসিদ্ধ নিয়ম!
হুমায়ুন আহমেদ
৪৬. কিছু কিছু মেয়ে আছে, রেগে গেলে চোখে পানি এসে যায়!
হুমায়ূন আহমেদ
৪৭. মায়া ব্যাপারটি বেশ অদ্ভুত। হঠাৎ তেমন কোনো কারণ ছাড়াই কঠিন হৃদয় মানুষের মধ্যে এটা জেগে উঠে তাকে অভিভূত করে দেয়।
হুমায়ূন আহমেদ
৪৮. যখন মানুষের খুব প্রিয় কেউ তাকে অপছন্দ, অবহেলা কিংবা ঘৃণা করে তখন প্রথম প্রথম মানুষ খুব কষ্ট পায় এবং চায় যে সব ঠিক হয়ে যাক । কিছুদিন পর সে সেই প্রিয় ব্যক্তিকে ছাড়া থাকতে শিখে যায়। আর অনেকদিন পরে সে আগের চেয়েও অনেকবেশী খুশি থাকে যখন সে বুঝতে পারে যে কারো ভালবাসায় জীবনে অনেক কিছুই আসে যায় কিন্তু কারো অবহেলায় সত্যিই কিছু আসে যায় না।
হুমায়ূন আহমেদ
৪৯. পৃথিবীতে অনেক ধরনের অত্যাচার আছে। ভালবাসার অত্যাচার হচ্ছে সবচেয়ে ভয়ানক অত্যাচার। এ অত্যাচারের বিরুদ্ধে কখনো কিছু বলা যায় না, শুধু সহ্য করে নিতে হয়।
হুমায়ূন আহমেদ
৫০. যে কোন ইচ্ছা মনের ভেতর পুষলে দ্রুত বাড়ে।এক সময় মানুষ তার উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। তখন মানুষ ইচ্ছার পিঠে চাপে না। ইচ্ছা মানুষের পিঠে চাপে।
হুমায়ূন আহমেদ
৫১. প্রেমে পড়া মানে নির্ভরশীল হয়ে যাওয়া। আমি যার প্রেমে পড়বো সে আমার জগতের বিরাট একটা অংশ নিয়ে নিবে।আমার জগতটা ছোট হয়ে যাবে।
হুমায়ূন আহমেদ
৫২. জীবনে কখনো কাউকে বিশ্বাস করতে যেও না। কারন,যাকেই তুমি বিশ্বাস করবে সেই তোমাকে ঠকাবে।
হুমায়ূন আহমেদ
৫৩. আমরা যখন রাগ করি তখন চেষ্টা করি সেই রাগ সবচেয়ে আপন জনের উপর ঢেলে দিতে।
হুমায়ূন আহমেদ
৫৪. দিনের বেলায় যে কোন কষ্টই সহনীয় মনে হয়--রাতে ভিন্ন ব্যাপার।
হুমায়ূন আহমেদ
৫৫. বিয়ে অনেক বড় ব্যাপার, হুট করে দিয়ে দিলেই হয়
না, অনেক ভেবেচিন্তে দিতে হয়।
হুমায়ুন আহমেদ
৫৬. পৃথিবীতে যদি অপেক্ষা না থাকতো, তবে বোধ হয় পৃথিবীটা এতো সুন্দর হতো না।
হুমায়ূন আহমেদ
৫৭. পৃথিবীতে নিজের খুশিমত আসিনি, খুশিমতো চলেও যাবো না। জীবন হাত ধরে নিয়ে এসেছিলো বলেই এসেছি। যখন মৃত্যু হাত ধরে নিয়ে চলে যাবে, তখন চলে যাবো।
হুমায়ূন আহমেদ
৫৮. কিছু কিছু অতীত তার কালো সিল শক্ত করে বসিয়ে দেয়,কিছুতেই তা তুলে ফেলা যায় না।
হুমায়ূন আহমেদ
৫৯. ঘৃণা ব্যাপারটি অপরিচিত কারো প্রতি থাকে না কিন্তু পরিচিত জনের প্রতি থাকে।
হুমায়ূন আহমেদ
৬০. পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে হলে পদেপদে মায়াকে তুচ্ছ করতে হয়।
হুমায়ূন আহমেদ
৬১. মানুষ ভবিষ্যৎ জানে না। জানে না বলেই তারা মনের আনন্দে বর্তমান পার করতে পারে।
হুমায়ূন আহমেদ
৬২. পুরুষ মানুষকে বিশ্বাস করা আর শকুন বিশ্বাস করা একই।শকুন মরা গরু দেখলে ঝাঁপিয়ে পড়বে। পুরুষও মেয়ে মানুষ দেখলে ঝাঁপিয়ে পড়বে। মৃত মেয়ে মানুষ দেখলেও ঝাঁপ দিবে।
হুমায়ূন আহমেদ
৬৩. পুরুষ মানুষকে সব কথা বলতে নেই এতে সংসারের শান্তি নষ্ট হয়।
হুমায়ূন আহমেদ
৬৪. নিজের স্ত্রী ছাড়া অন্য কোনো মেয়ে দেখলেই পুরুষ মানুষের মন উদাস হয়ে যায়।
হুমায়ূন আহমেদ
৬৫. প্রতিটা মানুষের জীবনে কষ্ট আছে শুধুতা প্রকাশ করার পদ্ধতি ভিন্ন। নির্বোধরা প্রকাশকরে চোখের পানি দিয়ে আর বুদ্ধিমানরা প্রকাশ করে মৃদু হাসি দিয়ে।
হুমায়ূন আহমেদ
৬৬. সরাসরি চোখের দিকে তাকিয়ে কেউ মিথ্যা বলতে পারে না, মিথ্যা বলতে হয় অন্যদিকে তাকিয়ে।
হুমায়ূন আহমেদ
৬৭. প্রবল বৃষ্টির সময় কেউ যদি গভীর মমতায় আমার হাত ধরে বলে, কোনো ভয় নেই। আমি তোমার পাশে আছি। আমি তোমার হাত ধরে আছি। আমি এক মুহূর্তের জন্যেও তোমার হাত ছাড়ব না। তাহলে হয়তো আমার অসুখটা হবে না।
হুমায়ূন আহমেদ
৬৮. পৃথিবীতে ফিনিক ফোটা জোছনা আসবে। শ্রাবণ মাসে টিনের চালে বৃষ্টির সেতার বাজবে। সেই অলৌকিক সঙ্গীত শোনার জন্য আমি থাকব না। কোনো মানে হয়?
হুমায়ূন আহমেদ
৬৯. হাসলে মেয়েদের যত সুন্দর লাগে হাসি চেপে রাখলে তারচে দশগুণ বেশী সুন্দর লাগে।
হুমায়ুন আহমেদ
৭০. প্রেমের তো কোনো বর্ণ নেই, কালো মেয়ের প্রেম যেমন, রূপবতী মেয়ের প্রেমও একই রকম!
হুমায়ূন আহমেদ
৭১. সাধারণত বুদ্ধিমানরা ভালো মানুষ হতে পারে না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভালো মানুষেরা বোকাসোকা ধরনের হয়।
হুমায়ূন আহমেদ
৭২. যে প্রিয় সে সবসময় প্রিয়। আমি খারাপ বললেই কি প্রিয়জন অপ্রিয় হয়ে যাবে!
হুমায়ূন আহমেদ
৭৩. হাতে একটা বই থাকার সবচে' বড় সুবিধা হচ্ছে সব সময় মনে হবে আমি অকারণে বসে নেই, আমার একটা কাজ আছে।
হুমায়ূন আহমেদ
৭৪. খাদ্যের অভাবে মানুষ কষ্ট পায় না, মানুষ কষ্ট পায় ভালোবাসা'র অভাবে!
হুমায়ূন আহমেদ
৭৫. পৃথিবীর সকল সৌন্দর্যই দূর থেকে দেখতে হয়, খুব কাছ থেকে দেখতে গেলেই সৌন্দর্য টা কমে যায়।
হুমায়ূন আহমেদ
৭৬. কিছু কিছু মানুষ সত্যি খুব অসহায়, তাদের ভালোলাগা মন্দলাগা, ব্যাথা বেদনা গুলো বলার মত কেউ থাকে না।
হুমায়ূন আহমেদ
৭৭. প্রত্যেক মানুষই প্রেমে পরে, কেউ প্রকাশ করে, কেউবা লুকিয়ে রাখে।
হুমায়ূন আহমেদ
৭৮. কান্নার মত গভীর কিছু নেই। একজনের দুঃখ অন্যজনকে স্পর্শ করে না । কিন্তু একজনের চোখের জল অন্যকে স্পর্শ করে।
হুমায়ূন আহমেদ
৭৯. স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া হয়েছে। ফরীদি স্ত্রীর রাগ ভাঙানোর অনেক চেষ্টা করেছেন। রাগ ভাঙাতে পারেননি। সুবর্ণা কঠিন মুখ করে ঘুমাতে গেছেন। ভোরবেলায় ঘুম ভাঙতেই সুবর্ণা হতভম্ব। ঘরের দেয়াল এবং ছাদে ফরীদি লিখে ভর্তি করে ফেলেছে। লেখার বিষয়বস্তু, সুবর্ণা! আমি তোমাকে ভালোবাসি। সুবর্ণা আমার সঙ্গে হাসতে হাসতেই গল্পটা শুরু করেছিলেন, এক সময় দেখি তার চোখে ভালোবাসা এবং মমতার অশ্রু চিকচিক করছে।
হুমায়ূন আহমেদ
৮০. সমস্যা যত বড় হবে, তাকে তত সহজভাবে গ্রহণ করা উচিত।
হুমায়ূন আহমেদ
৮১. যে কোনো ভালো অভ্যাস সামান্য চেষ্টাতেই ছেড়ে দেওয়া যায়,কিন্তু খারাপ অভ্যাস হাজার চেষ্টাতেও ছাড়া যায় না!
হুমায়ূন আহমেদ
৮২. যে হারিয়ে যেতে চায় তাকে হারিয়ে যেতে দিতে হয়!।
হুমায়ূন আহমেদ
৮৩. সম্পর্ক তৈরিতে মেয়েরা ছেলেদের থেকে পিছিয়ে। কিন্তু, সম্পর্ক হয়ে গেলে সেই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের অবদান বেশি।
হুমায়ূন আহমেদ
৮৪. পৃথিবীতে সব নারীদের ডাক উপেক্ষা করা যায়, কিন্তু 'মা' এর ডাক উপেক্ষা করার ক্ষমতা প্রকৃতি আমাদের দেয়নি।
হুমায়ূন আহমেদ
৮৫. দুর্বল মনের মানুষের প্রধান ত্রুটি হচ্ছে সিদ্ধান্তহীনতা!
হুমায়ূন আহমেদ
৮৬. স্নেহ-মমতা-ভালোবাসা এই ব্যাপারগুলি আসলেই খুব অদ্ভুত। কোনো জাগতিক নিয়মকানুনের ভেতর এদের ফেলা যায় না।
হুমায়ূন আহমেদ
৮৭. মেয়েরা অগ্র-পশ্চাৎ বিবেচনা না করেই রাগ করে। এদের সঙ্গে তর্ক করাও বৃথা।
হুমায়ূন আহমেদ
৮৮. মেয়েদের সবচেয়ে সুন্দর দেখায় কেঁদে ফেলার আগ মুহূর্তে।
হুমায়ূন আহমেদ
৮৯. গল্প উপন্যাস হলো অল্প বয়সী মেয়েদের মাথা খারাপের মন্ত্র।
হুমায়ূন আহমেদ
৯০. অতি ক্ষুদ্র ইচ্ছাকেও প্রশ্রয় দিতে নেই, একবার প্রশ্রয় দিলে সব ইচ্ছাকে প্রশ্রয় দিতে মন চায়।
হুমায়ূন আহমেদ
৯১. আদর্শ মানুষকে কেউ পছন্দ করে না। আদর্শ মানুষ ডিসটিল্ড ওয়াটারের মতো স্বাদহীন।
হুমায়ূন আহমেদ
৯২. হারিয়ে যাওয়া মানুষ ফিরে আসলে সে আর আগের মত থাকে না। কেমন জানি অচেনা, অজানা হয়ে যায়। সবই হয়তো ঠিক থাকে কিন্তু কি যেন নাই কি যেন নাই।
হুমায়ন আহমেদ
৯৩. মানুষ পরাজিত হতে পছন্দ করে না। কিন্তু একদিন অবশ্যই তাকে পরাজয়ের স্বাধ গ্রহণ করতে হবে।
হুমায়ূন আহমেদ
৯৪. কাঁদতে হয় অন্ধকারে, হাসতে হয় আলোয়!
হুমায়ূন আহমেদ
৯৫. কোনো মেয়ের পক্ষে শুধুমাত্র রূপ দিয়ে একটি পুরুষকে দীর্ঘদিন মুগ্ধ করে রাখা সম্ভব না।
হুমায়ূন আহমেদ
৯৬. নিজের জীবনের চেয়ে মূল্যবান আর কিছুই নেই। এটা একটা সহজ সত্য। তুমি নেই তারমানে পৃথিবীর কাছে তোমার কোনো অস্তিত্ব নেই!
হুমায়ূন আহমেদ
৯৭. খুব বুদ্ধিমান মানুষদের একটা সমস্যা। নিজেদের তৈরি করা ছোট ছোট ফাঁদে তারা নিজেরাই ধরা পড়ে।
হুমায়ূন আহমেদ
৯৮. দুনিয়াতে খুব কম মানুষ ই আছে যে সুন্দর এর মানে বুঝে।
হুমায়ূন আহমেদ
৯৯. আমরা কেউ সাহসী নই, পরিস্থিতি আমাদের সাহাসী করে আবার পরিস্থিতি আমাদের ভীত করে।
হুমায়ূন আহমেদ
১০০. সন্দেহভাজন একজন মানুষ যত ভালো কাজই করুক তার কাজকে দেখা হয় সন্দেহের চোখে।
হুমায়ূন আহমেদ