> ও আমায় ভালোবাসেনি পর্ব ৯, ১০ - Bangla Thriller Story - Boipoka365
-->

ও আমায় ভালোবাসেনি পর্ব ৯, ১০ - Bangla Thriller Story - Boipoka365



আমি ঘুম থেকে উঠে দেখি বাসায় নিজের বিছানায় শুয়ে আছি । 
উঠে বসে আড়মোড়া ভেঙ্গে খেয়াল করি গায়ে একটা টিশার্ট আর ট্রাউজার পরা , আশেপাশে তাকিয়ে দেখি স্কুল ড্রেস গুলো সুন্দর ভাবে আলনায় গোছানো । 
পড়ার টেবিলে ব্যাগটাও কিন্তু ফোন নেই । 
ঝট করে বিছানা থেকে নেমে আতিপাতি খুঁজেও ফোন পাইনা । 
মনে পড়ে স্কুল থেকে বের হয়ে রাইদ ভাই ফোনটা নিয়ে পকেটে ঢুকিয়েছিলেন । 
মুহুর্তে অভিমান জেঁকে বসে ইশশ কত্ত জোরে চড় মেরেছিল সে আমায়! গালে হাত দিয়ে মনে হয় এখনো ব্যাথা । 
তারপর ওয়াশরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নেই । 
চুলগুলো রিবন্ডিং করার পর খুব বেশীই রাফ হয়ে গেছে , দ্বিতীয় বার কপাল চাপড়ে বের হয়ে ফুপ্পির খোঁজে রুম থেকে বের হই । 
খুব ক্ষুধা পেয়েছিলো আমার । 
ড্রয়িংরুমে রাইদ ভাইয়া খেলা দেখছিলেন , একটু মনযোগ দিয়ে টিভির স্ক্রিনে তাকাতেই দেখি বাংলাদেশ আর ইন্ডিয়ার খেলা চলছে । 
আমাকে আর পায় কে? এক লাফে আমি সোফায় গিয়ে বসলাম । 
আমিও বসেছি আর তামিমের ছক্কা । 
ইয়িপ্পিইই করে চিল্লিয়ে উঠে নাচতে শুরু করে দেই আমি । রাইদ ভাই যে আমারই পাশে বসে আছেন এই খেয়াল আমার নেই । 
আমি এসেছি লাস্ট মুহুর্তে আর দুই  ওভারের খেলা   আমি যেন জেনে বসে আছি বাংলাদেশ জিতবে সো আমার নাচানাচি চলছেই । 
এরই মাঝে রাইদ ভাই দিলেন এক ধমক _ এ্যাই মেয়ে বস! এতো কিসের নাচানাচি! 
গেলো তো মনটা খারাপ হয়ে! 
মুখ ভেঙচিয়ে ধপ করে বসলাম আমি । খেলা চলছেই , টান টান উত্তেজনা । 
মনে মনে দুআ করছি বাংলাদেশ জেতা চাই ই চাই । 
এবং ফাইনালি আল্লাহ আমার কথা শুনলেন পরপর দু'টো ছক্কা মেরে বাংলাদেশ জিতে গেলো । 
এবার আমি কি চিল্লাবো , রাগী মানুষটা খুশিতে চিল্লিয়ে উঠলেন _
-- মিথিইইই আমরা জিতে গেছিইই .. 
আমাকে অবাক করে দিয়ে উনি আমাকে টেনে দাঁড় করিয়ে হাত ধরে কতক্ষণ লাফালেন তারপর আমার গাল দু'টো টেনে দিয়ে বললেন_আমার গাল্পুস বাচ্চাটা । ফটাফট কয়েকটা চুমুও খেলেন দুই গালে । 
আমি শকড! মনে হলো হার্ট আ্যাটাক করে ফেলবো । 
তব্দা মেরে দাঁড়িয়ে রইলাম , পাঁচ মিনিট অতিবাহিত হবার পর উনি বুঝতে পারলেন কি করেছেন । 
উনি একটা হাবলা হাসি দিয়ে এক দৌড়ে ঘরে ঢুকে গেলেন । 
আর আমি? আমি তো আসমান হাতে পেয়েছি তখন । 
,
উফফ কি খুশি লাগছিল আমার! মনে হচ্ছিল যাকে সামনে পাবো তাকে নিয়েই নাচবো । 
হবু শ্বাশুড়ির সাথে নাচ করাই যায়? লাফিয়ে লাফিয়ে ফুপ্পির রুমে গেলাম কিন্তু একি ফুপ্পি তো নেই । 
রাত্রিবেলার রান্নার জন্য আমেনা খালা আসতেন , উনি রান্নাঘরে রান্না করছিলেন তো আমি সোজা ওনার কাছে চলে গেলাম । 
ফুপ্পির কথা জিজ্ঞেস করায় উনি বললেন_তোমার ফুবু তো সক্কাল বেলা গেরামের বাড়ি গ্যাছে আইজ আইবো না বরং কাইল তোমাগো লগে আমারেও যাইতে কইছে । 
মনটা খারাপ হয়ে গেলো , ফুপ্পির হাতে খেতে ইচ্ছা করছিলো এই মুহুর্তে । 
সোফায় গিয়ে বসলাম, আমেনা খালাকে বললাম আমার খাবারটা এনে দিতে । 

অযথা চ্যানেল চেইঞ্জ করে যাচ্ছি হঠাৎ সোনি ম্যাক্সে এসে চোখ আটকে গেলো । শাহরুখ খানের মুভি হচ্ছে সেখানে নায়িকা মাতাল নায়কের জুতো আর কোর্ট খুলে দিচ্ছে । ব্যাপারটা নিমেষেই আমার মাথায় আঘাত করলো , নিজের দিকে একবার তাকিয়ে চোখ বড় বড় করে ফেললাম । ফুপ্পি বাসায় নেই , আমেনা খালা একটু আগেই আসলেন তাহলে আমার ড্রেস চেইঞ্জ করে দিলো কে? 
রাইদ ভাই?
মাথায় রাগটা গেলো চড়ে । 
সাথেসাথেই উঠে ওনার রুমে চলে গেলাম , উনি ফোন চালাচ্ছিলেন । আমি ফোসফাস করে নিঃশ্বাস ছেড়ে সোজা ওনার সামনে গিয়ে হাত থেকে ফোনটা নিয়ে ফিঁকে দিলাম বেডে ।
উনি স্বভাবতই রেগে গম্ভীর হয়ে বললেন_ মিথি এসব কোন ধরণের বেয়াদবী? 
আমিও চিল্লিয়ে বললাম_ আপনি এটা কি করে করতে পারলেন? 
-- কি করেছি আমি? 
-- কি করেছেন জানেন না? 
-- না বললে জানবো কি করে? আজব! 
-- আজব না? আজবই তো । একটা কিশোরী মেয়ের কাপড় চেইঞ্জ করে দেয়া পৃথিবীর সবার চোখেই আজব আর যদি মানুষটা ছেলে হয় এবং এ্যাডাল্ট হয় তাহলে তো সেটা অন্যায়! 
-- স্যরি কি বললে বুঝলাম না? 
-- তা আর বুঝবেন কি করে? আমার যা সর্বনাশ হওয়ার তা তো হয়েই গেছে , এখন বাইরের মানুষ যদি শোনে আপনি আমার ড্রেস .. আমাকে সব্বাই বাজে মেয়ে বলবে । 
রাগে দুঃখে কেঁদে ফেললাম আমি । 
উনি হয়তো এবার বুঝতে পারলেন । 
কপাল চাপড়ে বললেন_ হায় আল্লাহ নাউ আই ক্যাচ ইট! 
মিথি তুমি কি পাগল হয়ে গেছো? এত ঘুম মানুষের হয়? 
-- মানেহ্? 
ভ্রু কুঁচকে বললেন উনি । 
-- মানে হলো ঘুমন্ত মিথিকে আমিই গাড়ি থেকে কোলে করে রুমে এনে শুইয়ে দিয়েছিলাম বাট ড্রেস তো তুমিই পাল্টেছো । 
হয়তোবা ঘুমের ঘোরে , আমি তোমাকে ডেকেছিলাম কয়েকবার , হাতের কাছে যে কাপড়ই পেয়েছি সেটাই এনে দিয়েছি । 
চেইঞ্জিং এর সময় আমি রুমে ছিলাম না । 
তোমার চেইঞ্জিং এর পর শুধু এসে তোমার ঠিক করে শুইয়ে এসিটা অন করে দিয়ে তোমার কাপড় গুছিয়ে চলে গেছি । 
,
ভাইয়ার কথাগুলি আমি চোখ গোলগোল করে শুনতে থাকলাম । 
উনি বললেন_ মিথি বিশ্বাস জিনিসটা নিজে থেকে আনাতে হয় । আমি সত্যি বললাম , বিশ্বাস অবিশ্বাস তোমার কাছে.. 
বলেই উনি বিছানায় গিয়ে ফোন নিয়ে বসলেন । 
আমি কিছুক্ষণ তব্দা মেরে বসে দাঁড়িয়ে থেকে বুঝে উঠতে লাগলাম কি করা উচিৎ আমার?
আমেনা খালা খাবার নিয়ে ভাইয়ার রুমেই আসলেন , ওনার কথাতেই আমার ধ্যান ভাঙলো একপ্রকার । 
খালার হাতে খাবার প্লেট দেখে আবদার করলাম_ খালা আমাকে খাইয়ে দিবেন?
খালা একটু কাঁচুমাচু করে বললেন_ মা আমি তো রান্ধন চড়ায় আইছি । তুমি একটু অপেক্ষা করতে পারবা? 
আমি বললাম_ আচ্ছা আপনি আমার হাতে দিন সমস্যা নেই , রান্না করেন আপনি । 
খাবার প্লেট নিয়ে নিজের রুমে যাবার জন্য  পা বাড়ালাম ঐ মুহুর্তে রাইদ ভাই ডেকে উঠলেন । 
ঘাড় ফিরিয়ে তাকাতেই বললেন_ বস আমি খাইয়ে দেই । 
আমি মাথা কাত করে সম্মতি দিয়ে বিছানায় বসলাম এদিকে মনে তো আমার লাড্ডু ফুটছে । আহ্ আমার হিরো আমাকে খাইয়ে দিবে! 
উনি হাত ধুয়ে এসে কি সুন্দর আমাকে খাওয়াতে লাগলেন । 
আমিও অজান্তেই ওনাকে আমার নতুন স্কুলের , স্কুল ফ্রেন্ডদের গল্প শুনিয়ে যাচ্ছি! 
এটাসেটা গল্পের এক পর্যায়ে উনি আমাকে জিজ্ঞেস করলেন_ মিথি তোর কি মনে হয়না আম্মার জন্য নতুন একটা সাথী প্রয়োজন? 
আমি ভ্রু কুঁচকে বললাম_ মানে? 
-- মানে এই ধর আমি যদি বিয়েশাদী করি.. বয়স তো হয়ে যাচ্ছে তাইনা? 
বিয়ের কথা শুনে আমার বুকটা ধক্  করে উঠলো শুধু । 
আমি কষ্ট চাপিয়ে জিজ্ঞেস করলাম_ আপনার গার্লফ্রেন্ড আছে? 
উনি লজ্জা পাওয়ার ভঙ্গি করে বললেন_ একজনকে পছন্দ করি । তুই দেখবি তাকে? তোরও পছন্দ হবে কিন্তু । খুব কিউট একদম চকলেট এর মতো দেখলেই খেয়ে নিতে মন চায় । 
গাল্পুস মেয়েটার শুধু গুলুমুলু গাল ধরে টানতে মন চায় বুঝলি! 
আমি এবার পারিনা কেঁদেই দিবো যেন! 
বুকটা অজানা কষ্টে গুমরে উঠতে লাগলো । 
আর বসে থাকতে পারলাম না ওনার সামনে । 
-- আর খাবো না বলে চলে আসলাম সামনে থেকে । 
সেদিন রাতে দরজা বন্ধ করে একা একা কেঁদেছি , ওনার ছবি হাতে নিয়ে কতগুলি বকা দিয়েছি ওনাকে! 
উনি অবশ্যি ডাকতে এসেছিলেন কয়েকবার , ধমকও দিয়েছেন কিন্তু আমি দরজা খুলিনি । 
 খুলবো কেনো? 
এত এত ভালোবাসা আমি যেই মানুষটার জন্য জমিয়েছি সে এক ঝটকায় একটা তোতা পাখির হয়ে যাবে এগুলো আমি মানবো কেনো? 
উনি সেদিন রাতের অর্ধেকটা সময় দরজা ধাক্কে কাটালেন আর আমি কেঁদে কেঁদে । 
ভোরবেলার দিকে মনে হয় দু'জনেই হালকা ঘুমিয়েছিলাম । 

১০.

বেলা ১১/১২ টার দিকে ফুপ্পি কল করে গ্রামের বাসায় যেতে বললেন । 
আমি জলদি উঠে গোসল দিয়ে ব্যাগ প্যাক করে রেডি হয়ে তবেই ঘর থেকে বেরুলাম । 
ড্রয়িংরুমে রাইদ ভাইয়া রেডি হয়েই বসে ছিলেন । 
আমাকে দেখে বললেন_ রেডি তুই চল??
চাবি ঘোরাতে ঘোরাতে সে বাইরে চলে গেলো । 
আমি আহাম্মক হয়ে গেলাম , কাল রাতে কত কিছু হলো অথচ তার হেলদোল নেই?? 
নোবডি লাভস মি এই বুলে আওড়ে আমিও বেরিয়ে পড়লাম । 
গাড়ির কাছাকাছি গিয়ে আমি সারপ্রাইজড সিমি ব্যাগ হাতে দাঁড়িয়ে , আমাকে দেখামাত্র দৌঁড়ে এসে জাপটে ধরলো । 
শুনলাম সেও যাবে , ভালোই হলো আমার সঙ্গী পেলাম একটা যার সাথে সব কথা শেয়ার করা যাবে । 
ফুপ্পিদের গ্রামের বাড়ি রংপুর , গাড়ি করে রওয়ানা হয়েছি আমরা  দু'টোর দিকে । 
খাওয়া দাওয়া কিচ্ছু হয়নি আমার , খিদের চোটে মাথা ঘুরছে । 
মনে মনে রাইদ ভাইকে গালাগাল করছি , এত্তগুলো খাবারের দোকান পার হয়ে গেলো অথচ সে গাড়িটা থামালো না । 
সাভারে এসে বিরাট এক জ্যামের মধ্যে পড়তে হলো আমাদেরকে , গল্পও ফুরিয়ে আসছে যেনো । 
ক্রমশ অস্থির হয়ে উঠছি আমি । 
আর ক্ষুধা! 
শেষে না পেরে বলেই ফেললাম_ আমার ক্ষুধা পেয়েছে রাইদ ভাইয়া , প্লিজ খাবার এনে দিন । 
উনিই ড্রাইভ করছিলেন । 
আমাদের বসতে বলে পাশের একটা বিরিয়ানী হাউজে গেলেন । 
খাবার মোট চার প্যাকেট নিয়ে এসেছিলেন ।
আমি আর সিমি খাবার পেয়ে বুভুক্ষুের মত কপাকপ গিলে ফেললাম , খাওয়ার ফাঁকে একবার ওনার দিকে নজর গেলো দেখি এদিকে তাকিয়েই হাসছেন । 
হাহ্ আমার সময় কই ওসব দেখার? 
খেয়েদেয়ে বাবু হয়ে একদম আলসেমি জেঁকে ধরলো । 
সিমি বেচারি পারলে হাত না ধুয়েই ঘুমায় । 
জ্যাম ও ছেড়ে গেলো আমাদের খাওয়া হতে । 
আবার গাড়ি চলছে । 
সিমি উল্টে পড়ে ঘুম আর আমি? আমি জানালা দিয়ে বাইরের প্রকৃতি দেখছি । 
সূর্যাস্তের সময় খুব ইচ্ছে করছিলো কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে সূর্যাস্তটা দেখি কিন্তু রাইদ ভাইকে বলার সাহস পাচ্ছিলাম না । 
উনি যেন আমার মনের কথা বুঝে গেলেন! 
গাড়ি থেমে গেলো । 
আমাকে আর পায় কে? গাড়ির দরজা খুলেই এক দৌড়। 
গাড়িটা একটা  ঝিল টাইপ জায়গায় থেমেছিলো , এ যেন সোনায় সোহাগা । 
ঝিল পাড়ে দাঁড়িয়ে সূর্যাস্ত দেখলে মনে হবে পৃথিবীতে সবচাইতে সুন্দর দৃশ্য বুঝি এটাই । 
,
আমি যখন এক মনে দাঁড়িয়ে সূর্যাস্ত দেখছি তখনই অনুভূত হয় কেউ আমায় দু'হাতে আঁকড়ে ধরেছে । 
আমি তার হৃদস্পন্দন অনুভব করতে পারছি , এ যেন চিরচেনা সেই হৃদস্পন্দন । 
আস্তে আস্তে আমার হৃদস্পন্দন দ্রুত হতে শুরু করলো । 
মানুষটা আমার কানের কাছে মুখ নামিয়ে ধিমি আওয়াজে বললো_ আমার তোতাপাখিটার এত্ত অভিমান? 
-- সরুন আপনি আমাকে এভাবে ধরেছেন কেনো? 
উনি আমার কথা অগ্রাহ্য করে বললেন_
আমার গাল্পুস বাচ্চা বউটাকে দেখতে চাস? 
আমি অভিমানে বললাম_ মোটেই না । 
-- পস্তাতে হবে কিন্তু ,চান্স হারিয়ে ফেলছিস । 
আমি আগ্রহ চাপিয়েও রাখতে পারছিনা , কে এমন সে আমার চাইতেও কিউট? 
না পেরে বললাম_ হু দেখতে চাই । 
উনি তাড়াহুড়ো করে বললেন_ আরেহ্ মিথি মিথি নিচে দেখ? 
আমি নিচে তাকিয়ে বললাম_ কি নিচে? 
উনি এবার শান্ত স্বরে বললেন_ ঐ যে প্রতিবিম্ব দেখা যায় আমি যেই গাল্পুস বাচ্চাটাকে বুকে জড়িয়ে রেখেছি তাকেই আমি আজীবন এই বুকে আগলে রাখতে চাই । 
আমি সারপ্রাইজড হয়ে বললাম _ তারমানে আমি? 
উনি বললেন_উহ্ তুই হতে যাবি ক্যান । ঐ যে পানিতে যার ছায়া সে পুরোটাই আমার , তুই তো হাফ টিকেট । 
খুশিতে আমার চোখে পানি এসে গেলো , আমি তার দিকে ঘুরে বুকে মুখ লুকালাম , কেঁদে ফেলেছিলাম আমি । 
সেও আমায় শক্ত করে বুকে জড়িয়ে মাথায় একটা চুমু খেয়ে বলেছিলো_ এই তোতা পাখিটার সাথে পুরোটা জীবন সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত দেখতে চাই । তুই চাইলেও আমার , না চাইলেও আমার । আমি তোকে ভালোবাসি মিথি । খুব করে ভালোবাসি , আমার চাই তোকে সবসময়ের জন্য । 
আমি সেদিন কোনো রিপ্লাই করিনি শুধু মুখ লুকিয়ে ছিলাম মানুষটার প্রশস্ত বুকে । 
সারা শরীরে কাঁপন ধরে দিয়েছিলো তার কথা গুলো তার ছোঁয়া গুলো । 
আমি ঐ মুহুর্তে ভাবছিলাম আমারো কেউ আছে ভালোবাসবার মতো , আমাকে পাগলের মতো চাওয়ার মানুষ আছে । 
এবং আমিও তাকে চাই , খুব করে চাই .. 
ও আমায় ভালোবাসে , সত্যিই ভালোবাসে।




চলবে...




Writer:- Sinin Tasnim Sara
NEXT ARTICLE Next Post
PREVIOUS ARTICLE Previous Post
NEXT ARTICLE Next Post
PREVIOUS ARTICLE Previous Post
 

Delivered by FeedBurner