১. ব্যস্ত লোকজনের হাতে অন্যকে বিরক্ত করার সময় থাকে না।
২. যে যা-ই বলুক, যদি আপনি নিজে জানেন যে আপনি ঠিক পথে আছেন, তবে ওদের কথাকে পাত্তা দেবেন না। বেশি বিরক্ত লাগলে ওদের আপনার জীবন থেকে ছুড়ে ফেলে দিন, কিংবা নিজদায়িত্বেই দূরে সরে আসুন।
৩. প্রত্যেক সফল পুরুষের পেছনে একজন নারীর অবদান থাকে, কিন্তু প্রায়ই দেখা যায়, একজন সফল নারীর পেছনে কোনও পুরুষেরই অবদান থাকে না। নারীকে এগিয়ে যেতে হয় নিজের সিদ্ধান্তে, নিজের চেষ্টায়, নিজের কৌশলে।
৪. পৃথিবীতে যে যত বেশি জাজ করে, সে তত বেশি পিছিয়ে থাকে। যে যত বোঝে, যে তত ভোগে। বেশি বোঝা লোকজন, দিনশেষে, নিজের জন্যও বোঝা, বাকিদের জন্যও বোঝা।
৫. মানুষের আয়ু যদি কয়েকটা মৃত্যুতে বিভক্ত হতো, তবে জীবনযাপন ব্যাপারটা আরও অনেক সুন্দর হয়ে উঠত।
৬. বিবাহিত মানুষ মানেই একাকিত্বের হাত থেকে মুক্ত মানুষ, এরকম অদ্ভুত রকমের ভুল ধারণা আপনার মধ্যে থাকলে তা থেকে সরে আসুন, যদি আপনি মানসিকভাবে পরিপক্ব হয়ে থাকেন।
৭. পাপী যখন নিজেরই ভাই হয়, মানুষ তখন পাপকে খুন করে। পাপী যখন পরের ভাই হয়, মানুষ তখন পাপীকেই খুন করে।
৮. দুঃখকে উদ্যাপন করো! উঠে দাঁড়াও, মেয়ে! আর কষ্ট নেই, আজ তুমি কষ্ট সহ্য করতে জানো! পৃথিবীকে দেখিয়ে দাও, পুরো পৃথিবী তোমাকে এতদিন সত্যিই ভুল বুঝেছে!
৯. যদি কারও সঙ্গে থাকলে আপনি ভালো ফিল না করেন, লো ফিল করেন, তবে হয় আপনি তাকে ভালোবাসেন না, নতুবা সে আপনাকে ভালোবাসে না। আপনাদের লাভমেকিং চমৎকার হতে পারে, কিন্তু লাভফিলিং-এ খুব সম্ভবত ভেজাল আছে।
১০. চাকরি পাবার আগে বিয়ে করলে মেয়েদের আত্মসম্মান প্রায়ই চরম হুমকির মুখে পড়ে। বেকার গৃহিণীকে উপযুক্ত পারিবারিক স্বীকৃতিপ্রদান এদেশে খুবই বিরল একটা ঘটনা।
১১. সত্যিই, আমরা যা জানি কিংবা বুঝি, তা ভুলে গেলেও যেতে পারি। তবে আমরা যা অনুভব করি, তা কখনওই শরীর-মন থেকে চলে যায় না, খুব স্পষ্ট করে থেকে যায়।
১২. ইদানীং মানুষের ক্রোধ দেখলে বোঝার চেষ্টা করি, সেই ক্রোধের উৎসটা ঠিক কোথায়। সক্ষমের সততায়? না কি অক্ষমের ঈর্ষায়?
১৩. প্রত্যেক মানুষই কোনও-না-কোনও ক্ষেত্রে গ্রেট হওয়ার ক্ষমতা নিয়ে জন্মায়। পরিবার ও সমাজের মনের মতো করে বাঁচতে গিয়ে মধ্যমেধার মানুষ হিসেবে জীবন কাটাতে অনেকেই বাধ্য হয়।
১৪. রাগী মানুষের মন ভালো হয়?
হ্যাঁ, হতেই পারে! তো সেই ভালো মনটা দিয়ে আমি কী করব, যে-মন আমার মন খারাপ করে দেয়?
১৫. এ পৃথিবীতে অনেক কিছুর ট্রেনিং হয়, কিন্তু দুঃখ সহ্য করার ট্রেনিং কোথাও হয় না। এই ট্রেনিংটা নিতে হয় জীবনের কাছ থেকে।
১৬. হেটারদের কোনও গ্রামার নেই, হেটারদের কোনও লজ্জা নেই, হেটারদের তেমন কোনও অর্জনও নেই। হেটারদের একমাত্র যা আছে, তা হলো, আপনাকে ঘৃণা করার অফুরন্ত সময়!
১৭. নিয়মনিষ্ঠ হবার চাইতে অনেক জরুরি,
মানবিক হওয়া।
১৮. সমাজ গোপন ব্যভিচারও মেনে নেয়, কিন্তু প্রকাশ্য ভালোবাসা মানতেই পারে না!
১৯. আজ যাদের কপাল দেখো,
ওদের বাহুর দিকেও তাকিয়ে দেখো,
ওখানে কত ক্ষতের দাগ রয়েছে, দেখেছ কি তা?
২০. সবাই বলে, যন্ত্রণা ভাগ করে নিলে নাকি কমে! এটা সত্যি কিন্তু, আমি নিজেও দেখেছি, যদি ভুল মানুষের সঙ্গে ভাগটা না করো!
২১. আপনি কারও সম্পর্কে ঠিক ততটুকুই জানেন, যতটুকু সে জানায়। এর বাইরে যা জানেন, তার পুরোটাই আপনার অনুমান কিংবা শোনাকথা।
২২. মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানরা আকাশছোঁয়া আত্মসম্মানবোধ নিয়ে চলে। প্রয়োজনে না খেয়ে মরে যাবে, তবুও মাথা নোয়াবে না, এরকম। আমিও ওরকম ছিলাম; সুখের বিষয়, এখনও আছি।
২৩. তুমি যা বলতে,
তার সবই মিথ্যে ছিল,
ঠিক তোমারই মতন!
২৪. 'আমি তোমাকে ভালোবাসি', এর চাইতে অনেক অনেক বেশি শক্তিশালী অনুভূতি হলো, 'আমি তোমাকে বুঝতে পারি'।
২৫. টাকা খরচ করার সামর্থ্য ও ইচ্ছে যার যত বেশি, লোকে বেড়ালের মতো তার কাছেই তত বেশি ঘেঁষে।
২৬. তুমি আমার জীবনের
সেই ভুল অধ্যায়, যা আর
শোধরানো যায় না, যা শুধুই
কাঁদায়।
২৭. মানুষের মনে দুই মন্দির: একটি প্রার্থনার জন্য, আরেকটি অনুশোচনার জন্য।
২৮. কিছু সম্পর্ক থাকে যা মানুষ মেনে নেয়; কিছু সম্পর্ক থাকে যা মানুষ মানিয়ে নেয়; কিছু সম্পর্ক থাকে যা মেনে নেওয়া কিংবা মানিয়ে নেওয়ার সমস্ত বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ দেয়ালের অনেক ঊর্ধ্বে উঠে গিয়ে বেঁচে থাকবার একমাত্র অজুহাতটি হয়ে বেঁচে থাকে।
২৯. যেখানে আপনার নিজেকে ব্যাখ্যা করার কোনও দরকারই নেই, সেখানে ব্যাখ্যা দিতে যাওয়া মানেই, নিজের হাতে ধরে জীবনে অহেতুক কিছু ঝামেলা নিয়ে আসা।
৩০. মন খারাপ হলে প্রথমেই যে মানুষটিকে ফোন করার কথা আপনার মাথায় আসে, সে-ই আপনার বন্ধু।
৩১. আমরা চারপাশের সমাজটাকে বদলে ফেলতে চাই, অথচ নিজেরাই থেকে যেতে চাই এখন যেমন আছি ঠিক তেমনই। সমাজ তো আমাদের নিয়েই, তো আমরা যদি একই থেকে যাই, সমাজটা অন্যরকম হবে কী করে?
৩২. তোমাকে মনে করার
অভ্যেসটা বাদে, জীবনে আজ অনেক কিছুই বদলে গেছে!
৩৩. তুমি ভালো আছ তো?
না থাকলে আমায় জানাও!
তোমায় ভালো রাখতে না পারি,
প্রার্থনা তো করতে পারি - আজও!
৩৪. নিজেকে অন্যের জন্য
ধ্বংস করে ফেলার পরেই
লোকে নিজের জীবনের
দামটা বুঝতে পারে।
৩৫. জিততে চাইলে
আরেকজন জিতল কেন,
তার জন্য না কেঁদে
নিজে হারলে কেন,
তার কারণ খোঁজো।
৩৬. তোমার তুমিত্ব,
আমার আমিত্ব,
আমাদের দূরত্ব।
৩৭. কিছু সম্পর্ক ভালোবাসারও ঊর্ধ্বে, কিছু ভালোবাসা সম্পর্কেরও ঊর্ধ্বে! যে প্রেমকে কেউ দেখতে পায় না, সে প্রেমই পুরো জীবনটাকে দেখায়!
৩৮. যে সম্পর্কগুলোতে পারস্পরিক আস্থা হারিয়ে যায়, সেগুলো আর কিছু দিয়েই বেঁধে রাখা যায় না।
৩৯. যে তোমার রাগ সহ্য করতে পারে,
কখনও বোলো না যে
সে তোমায় ভালোবাসে না।
৪০. ভালোবাসি যাকে, তাকে পেলেও ভালোবাসি, না পেলেও ভালোবাসি। ভালোবাসা তো একটা মানসিক অবস্থা, কোনও শর্ত তো নয়!
৪১. যে আমায় ভালোবাসে,
তাকে কোনোদিনই একগোছা চুড়ি কিনে দিলাম না।
অথচ যে আমায় সহ্যই করতে পারে না,
তার জন্য পুরো জীবনটাই বেচে দিতে প্রস্তুত!
৪২. কাদা মাড়িয়ে যাবার সময়ও
লোকে যতটা সাবধানে পা ফেলে,
এ বুকটা মাড়িয়ে যাবার সময়
তুমি অতটা সাবধানে পা ফেললে না!
৪৩. জীবনের সবচাইতে বড়ো সম্পদটির নাম দুঃখ। যার জীবনে কোনও দুঃখ নেই, সে হয় মিথ্যে বলে কিংবা সে দুঃখটা চিনতেই পারেনি। দুঃখকে চিনতে পারাটা খুব জরুরি। দুঃখকে চিনতে পারে না যারা, দুঃখ কখন যে ওদের গ্রাস করে ফেলে, তা ওরা নিজেরাও বুঝতে পারে না।
৪৪. মধ্যবিত্ত পরিবারের রাগ, অভিমান, দুঃখ, ভয়, ক্রাইসিস, এককথায় মোটামুটি সব রোগেরই উৎস হচ্ছে: মানুষ কী বলবে!
৪৫. প্রতিদিন অন্তত এক জন ব্যক্তিকে সাহায্য করুন কিংবা ক্ষমা করে দিন। এতে আপনার নিজের প্রতি সম্মানবোধ বাড়বে। নিজেকে সম্মান করুন সবচাইতে বেশি।
৪৬. বন্ধুর সাফল্যে বন্ধু ঈর্ষান্বিত নয়, বরং খুশি হয়। ঈর্ষা করে যে, সে কখনওই বন্ধু হতে পারে না।
৪৭. বন্ধুত্বে কিছুই লুকোতে হয় না, কেননা লুকোনো সব কিছুকেই বন্ধুত্ব সহজে মেনে নিতে জানে, যা জানে না প্রেম কিংবা দাম্পত্য।
৪৮. একজন জ্ঞানী ব্যক্তির সাথে ২০ মিনিট কথা বলা ২০টা বই পড়ার সমান। ভুল লোকের সাথে সময় কাটানোর চাইতে একা একা থাকা অনেক ভালো।
৪৯. যার নিজের গুণ যত কম, সে তত বেশি অন্যের দোষ খুঁজে বেড়ায়।
৫০. আপনি জীবনে যেটা করতে চাইছেন, সেটা যদি আপনাকে করতে চেষ্টা করার সুযোগ দেওয়া হয়, তবে আপনি নিশ্চয়ই সেটার যোগ্য। নাহলে তো সেটা আপনাকে করার সুযোগই দেওয়া হতো না।