> Mr husband পর্ব ১৯, ২০ - Romantic story - ভালোবাসার গল্প - Bangla Love Story
-->

Mr husband পর্ব ১৯, ২০ - Romantic story - ভালোবাসার গল্প - Bangla Love Story

মোহের কাঁধে মুখ রেখে মোহকে পেছন থেকে জরিয়ে ধরে দাঁড়িয়ে আছে রিদান।আকাশ টা মেঘলা।যেকোনো সময় বৃষ্টি নামতে পারে।ছাদের কিনারায় চোখ বুজে একে অপরের সাথে লেপ্টে দাঁড়িয়ে ঠান্ডা বাতাস উপভোগ করছে তারা।বেশ কিছু সময় এভাবে কাটাবার পর রিদান মোহকে নিজের দিকে ফিরিয়ে মোহের কপালে চুমু এঁকে দিয়ে কপালে কপাল ঠেকিয়ে দাঁড়ায়।উভয়ই নিরব দৃষ্টিতে একে অপরের চোখের গভীরতা মাপতে ব্যস্ত।হটাৎ এমন সময়ে বৃষ্টি পরতে শুরু করে।এটির জন্য তাদের মাঝে কেউই প্রস্তুত ছিলো না।বৃষ্টিতে প্রায় আধ ভেজা হয়ে গিয়েছে তারা।মোহ নিচে যাওয়ার জন্য এগিয়ে যেতে যেতে বলে ওঠে,
--চলুন, ভিজে যাচ্ছি তো।
রিদান এক হেঁচকা টানে মোহকে নিজের কাছে নিয়ে এসে শক্ত করে জরিয়ে ধরে বলে। 
"হোক না একটু বৃষ্টি বিলাস।"
রিদানের কথায় মোহ আলতো হেসে রিদানকে জরিয়ে ধরে।এভাবেই অনেকটা সময় বৃষ্টি বিলাস করার পর মোহ-রিদান কাক ভেজা হয়ে রুমে ফিরে আসে।কিন্তু বিপত্তি ঘটলো ওয়াশরুমে কে আগে যাবে।মোহ চাইছে রিদান আগে যাক নাহয় ঠান্ডা লেগে যাবে।আবার রিদান চাইছে মোহ আগে যাক।তাদের ঝগড়া আরো জোরদার করতে আগমন ঘটে হাঁচির।দুজনে একই সাথে হাঁচি দেয়।ব্যাস,রিদান কোনো কথা না শুনেই জোর করে মোহকে ওয়াশরুমে ঢুকিয়ে দেয়।কিন্তু মোহ তাও দরজা খুলে রিদানকে অনুরোধ করতে থাকে আগে গোসল করতে।কিন্তু রিদান তা মানতে নারাজ।অবশেষে রিদানের মাথায় আসে গেস্ট রুমের কথা।রিদান কাপড় নিয়ে গেস্ট রুমে চলে যায়।
কিছু সময় পর রিদান গোসল সেরে নিজের রুমে এসে দেখে মোহ নেই।তাই মোহকে খুজতে খুজতে রান্নাঘরে এসে দেখে মোহ রং চা তৈরি করছে।
-এখানে কি করছেন?চুল শুকিয়ে নিন নাহয় ঠান্ডা লাগবে আপনার।
মোহের কথার কোনো উত্তর না দিয়ে ঠোঁটে হাসি ফুটিয়ে রিদান চলে যায় নিজ রুমে। আর মোহ ব্যস্ত চায়ে বিভিন্ন মশল্লা দিতে।হটাৎ হেয়ার ড্রাই ওয়ারের শব্দ কানে আসে মোহের।পেছনে তাকিয়ে দেখে রিদান সেটি হাতে নিয়ে তার দিকে এগিয়ে আসছে। মোহ অবাক চাহনি নিয়ে তাকিয়ে আছে রিদানের দিকে।
-তোমারই বর।পড়ে নাহয় শান্তি মতো দেখে নিও।এখন কাজ করো।যাতে আমি শান্তিতে আমার বউয়ের চুলগুলো শুকিয়ে দিতে পারি।
মোহ চোখ নামিয়ে লজ্জামাখা এক হাসি দিয়ে আবারও আদা বাটতে আরম্ভ করে।আর রিদান,যত্নের সহিত মোহের চুল শুকাতে ব্যস্ত হয়ে পরে। 

!!
দিহান,তিশা,অরিন,তুরান ও রোশান বসে স্টাডি নিয়ে কিছু আলোচনা করছে ভার্সিটির ক্যাম্পাসে।তাদের পরিক্ষা শুরু হয়ে গিয়েছে আর আল্লাহর রহমতে তাদের সবার পরিক্ষাই ভালো হচ্ছে। তাদের কথার মাঝেই তিশা বারংবার দেখে নিচ্ছে তার ভালোবাসাকে।হটাৎ তিশার চোখ পরে এক মেয়ের দিকে।মেয়েটি একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে দিহানের দিকে।ব্যাস,তিশার রাগ এখন সপ্তম আসমান ছুঁই ছুঁই।তিশা চট করে উঠে দাঁড়িয়ে ও মেয়েটির সামনাসামনি দাঁড়িয়ে বেশ ভাব নিয়ে বলে ওঠে,
-ওইযে ছেলে টা যার দিকে তুমি শকুনের দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলে!সে আমার।হি ইজ অনলি মাইন।আর আমার জিনিসে চোখ দিলে,চোখ উঠিয়ে নিতে বেশ ভালোই জানি।কতো মেয়েদের শিক্ষা দিয়েছি তা নাহয় একটু খোঁজ নিয়ে জেনে নিও?
মেয়েটি ভয় ভয় দৃষ্টিতে তিশার দিকে একবার তাকিয়ে প্রস্থান করে।এতোটি কথা শুনিয়ে ও যেনো তিশা শান্তি পাচ্ছে না।মন মতো কয়েকটি থাপ্পড় বসিয়ে দিতে পারলে হয়তো শান্তি পেতো সে।তাও নিজের রাগকে দমিয়ে নিজের স্থানে এসে বসতেই তুরান বলে ওঠে, 
-কিরে তিশা,কি বললি মেয়েটিকে?
-মেয়েটি ভয় পেয়েছিল বোধহয় তোর কথায়।(রোশান)
-আরেহ তেমন কিছু না।বাদ দে তো।(তিশা)
-হুম।অন্য এক কথা ছিলো তোর সাথে(তুরান)
-হ্যাঁ বল।(তিশা)
-এক মেয়ে নাকি গত কাল দিহানকে প্রপোজ করেছিলো!
-কি!!!!(তিশা)
-এটা তিশাকে বলার মতো কোনো কথা নয় নিশ্চয়ই।(রাগী গলায় বলে ওঠে দিহান)
-চুপ কর তুই।তুরান,মেয়েটির নাম কি?কিসে পড়ে?আমাদের ক্লাসের হওয়ার সম্ভবনা তো নেই।(তিশা)
-২ বর্ষের ছাত্রী। এই যে এই মাত্র যার সাথে কথা বলে এলি এ মেয়েটিই।
এবার যেনো রাগ আর দমিয়ে রাখতে পারলো না তিশা।সাথে সাথে উঠে গেল মেয়েটিকে খুঁজতে।তিশা উঠে যাওয়ার সাথে সাথে দিহান ও উঠে গেল তিশার পেছন পেছন।
-হা হা।এখন ওই মেয়ের বারোটা বাজিয়ে ছাড়বে তিশা।(তুরান)
-আমার মনে হয় তিশা,দিহানকে ভালোবাসে।(রোশান)
-তোর এখনো শুধু মনেই হয়?আমরা তো নিশ্চিত।(অরিন)
-ওরা কি সম্পর্কে জরিয়েছে?(রোশন)
-আরে না।দিহানরে তো চিনিস এসব একদম পছন্দ করে না।(তুরান)
-আমার মনে হয় দিহানও ভালোবাসে।(অরিন)
-সম্ভবই না।(তুরান)
দিহান ভালোবাসে না শুনে মনে মনে বেশ খুশি হয় রোশান।কারণ তার রাস্তা পরিস্কার।কিন্তু হটাৎ রোশানের মনে পড়ে সেদিনের কথা যখন,তিশাকে নিয়ে ওমন কথা বলায় দিহান তাকে থাপ্পড় মেরেছিলো।কিন্তু কেনো?তবে কি দিহান ও ভালোবাসে!

!!
-হলুদের শাড়ি টি খুবই সুন্দর হওয়ায় ফেয়রি চাচ্ছে বিয়ের শাড়ি টিও আপনার দোকান থেকেই নিবে।(ডাঃফেইজ)
-এতো আমার জন্য খুশির খবর।ফেয়রি মায়ের জন্য আমি নিজেই ডিজাইন সিলেক্ট করে দক্ষ লোক দিয়েই শাড়ির কাজ করাবো।(আনিসা বেগম)
-বাহ,ধন্যবাদ। 
-জ্বি।ছোট্ট একটি অনুরোধ আছে।
-জ্বি বলেন।
-ফেয়রির নতুন পথচলার সূচনার দিনে আমার দুয়া হিসেবে এ শাড়িটি আমি ফেয়রিকে দিতে চাইছি।
-আপন ভাবলে অবশ্যই দিবেন।এতে অনুরোধের কি আছে? 
-ধন্যবাদ।তবে কাল ডিজাইন সিলেকশনের সময় আমি চাইছি ফেয়রি ও উপস্থিত থাকুক।ও কি আসতে পারবে?
-কখন?
-৪ টায়।
-জ্বি পারবে।
-আচ্ছা।রাখছি তাহলে।
কথা বলে বেশ খুশি খুশি লাগছে আনিসা বেগমের। তার দোকানের এমন সুনামে বেশ গর্ববোধ ও করছেন তিনি।সেই সাথে ভাবছেন ডাঃফেইজ ও তার পরিবারের মানুষ অনেক মিশুক।এতোটা কম সময়ের মাঝেই অনেকটা আপন করে নিয়েছে তারা আনিসা বেগমকে।যেনো সেও তাদের আত্নীয়ের মাঝে কেউ।

!!
ঘড়িতে ১১ টা ছুঁই ছুঁই। অধীর আগ্রহের সাথে ফোনটি হাতে নিয়ে বসে আছে রিদি।১১ টা বাজতেই কল চলে এলো মিহাদের।ঠোঁটে একটু হাসি ঝুলিয়ে ফোনটি রিসিভ করে সালাম দেয় রিদি।সালামের উত্তর দিয়ে মিহাদ বলতে শুরু করে, 
-দ্বিতীয় দেখাটা কবে হচ্ছে আমাদের?
-জানেন না,বেগানা পুরুষদের সাথে দেখা করা নাজায়েজ।
-ওহ।দেখা করতে চাইছো না?
-উহু।শুধু নাজায়েজ টাকে জায়েজ করতে চাইছি।
-মানে?
-মাথায় কি শুধু গোবরই আছে?
-কেনো?
-নাজায়েজ টা জায়েজ কীভাবে হবে?
-বিয়ে করে।(কথাটি বলার সাথে সাথে থমকে যায় মিহাদ।অবাক কন্ঠস্বরে বলে ওঠে)বিয়ে করতে চাইছো?
কিছু না বলেই ফোনটি কেটে দেয় রিদি। ছেলেটা আস্তো একটা বলদ।এভাবে প্রশ্ন করলে সে উত্তর দিবে কি করে?লজ্জা বলেও তো একটি জিনিস আছে।
এদিকে মিহাদ নিজের খুশি ধরে রাখতে না পেরে শুরু করে দিলো উড়া ধুরা নাচ।অবশেষে নিজের খুশি টাকে দমিয়ে মায়ের কাছে যেয়ে দেখে তার মা ড্রয়িং রুমে বসে টিভি দেখছে।মাকে পাশ থেকে জরিয়ে ধরে মিহাদ বলে ওঠে,
-মা,তোমার ভবিষ্যৎ বউমাকে দেখতে চাও?
-কি বলিস?পছন্দ করেছিস নাকি কেউকে?
-হুম হুম।
-সে কি!!!কোন মেয়ে?নাম কি?কিসে পড়ে?
-থামো!!এতো প্রশ্ন একসাথে?
-তুই বল আগে।আর মেয়ের ছবি কই দেখা তো।
-না।মেয়েকে তো তু্মি তার বাসায় যেয়েই দেখবা।তার নাম রিদি,অনার্স ২ বর্ষে পড়ছে।আচ্ছা বলো তো তোমার কি আমার উপর বিশ্বাস আছে?
-অবশ্যই আছে।
-তাহলে প্লিজ বাবাকে বলে কালই ওদের বাসায় যেয়ে বিয়ের কথা বলে আসো না!!!
-লজ্জা করে না নিজের মাকে এগুলো বলতে?নির্লজ্জ কোথাকার। 
-আমি তো নির্লজ্জ কিন্তু আমার মা তো ভিষণ ভালো।তার মাঝে দয়া মায়া ভরা।আমায় সে.........
-হইছে থাম।বলবনে তোর বাবারে।
-আই লাভ ইউ মা।(খুশি হয়ে)
 

রিদানের কোলে মাথা রেখে শুয়ে শুয়ে বই পড়ছে মোহ।আর রিদান,সে তো ব্যস্ত মোহের মাথা টিপে দিতে।পড়তে বসলেই মেয়েটির শুরু হয়ে যায় হাজারো বাহানা।তার মাঝে অন্যতম হলো "মাথা ব্যথা"।রিদানও যত্নের সাথে মাথা টিপে দেয় মোহের।
-শুনছেন? 
-বলো।
-ছাঁদে যাই?
-মাত্র ১ ঘন্টা হলো পড়তে বসেছো।
-ছাঁদে যেয়ে পড়ি?
-নাহ।ওখানে পড়া হবে না।
মন খারাপ হয়ে যায় মোহের।এ দেখে রিদান একটু মুচকি হাসি দিয়ে বলে,
-চলো।
সাথে সাথে ঠোঁটে হাসি ফুটে ওঠে মোহের।চটজলদি ওঠে বেরিয়ে যায় রুম থেকে ছাঁদের উদ্দেশ্য।কারাগারে বন্দি কোনো আসামিও ছাড়া পেলে এতোটা খুশি হয় না যতোটা খুশি মোহের চেহারায় ফুটে উঠেছে।মেয়েটি খুশিতে বই গুলোও ফেলে রেখে চলে গিয়েছে।মোহের কাজে রিদান একটু হেসে বই গুলো নিয়ে মোহের পিছু পিছু ছাঁদে চলে যায়।
ছাঁদের দোলনাটায় রিদানের কোলে বসে পড়ছে মোহ।মাঝে মাঝে রিদান পড়া ধরছে।আবার পড়ার মাঝেই গল্পে মেতে উঠছে তারা।
আজকাল রিদানকে ছাড়া পড়তেই বসে না মোহ।প্রতিদিন রিদান ৪ টায় অফিস থেকে এসে ৪ঃ৩০ থেকে মোহকে পড়ানো শুরু করে। মাঝে মাঝে খুব ক্লান্ত থাকে সে। কিন্তু মোহকে তা বুঝতে দেয় না।বরং পড়া টাকে যেনো মোহ উপভোগ করে তাই জন্যে সে পড়ার মাঝে মোহের সাথে বিভিন্ন গল্প এবং দুষ্টুমিতে মেতে ওঠে।

!!
-তুমি কি বোঝনা,আমি তোমায় ভালোবাসি না?
কথাটি শুনে থমকে যায় তিশা।নিরব দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে সে দিহানের দিকে।
-কি করতে যাচ্ছিলে তুমি?অন্য মেয়েদের যেমন ভয় দেখিয়ে কিংবা গায়ে হাত তুলে আমার থেকে দূরে থাকার জন্য বাধ্য করতে ওমনটিই ওই মেয়ের সাথে করতে যাচ্ছিলে?হ্যাঁ?কোন অধিকারে করো তুমি এগুলো?
-ভালোবাসার অধিকারে।
-বেহায়ামির ও একটি সীমা থাকা উচিৎ।আমি তোমাকে ভালোবাসি না।কোনো অধিকার নেই তোমার আমার উপর।নূন্যতম আত্মসম্মান থাকলে আর কোনোদিন আমার কোনো বিষয়ে নাক গলাবে না আর আমার উপর কোনো দিন অধিকার ফলাবে না।
কথাটি শেষ করেই স্থান ত্যাগ করে দিহান।রাগে তার শরীর জ্বলে যাচ্ছে। একটা মেয়ে কতোটা বেহায়া হলে বার বার ভালোবাসি না বলার পরেও অধিকার খাটায়,ভেবে পায় না দিহান।এদিকে তিশার অবাধ্য চোখের জলগুলো বিনা বিরতিতে বেয়ে চলছে।তিশা কেউকে কিছু না বলেই সোজা বাড়ি চলে যায়।এদিকে দিহানও বাড়ি চলে যায়।তাদের বন্ধুরা বেশ চিন্তায় পরে যায় দিহান ও তিশার এমন কাজে।

পরদিন পরিক্ষা শেষে সবাই ক্যান্টিনে এসে বসে।দিহান-তিশা ও রয়েছে তাদের মাঝে। কিন্তু আজ একটি বারের জন্যেও তিশা তাকায়নি দিহানের দিকে। দিহান এক-দু বার তাকিয়ে ছিলো কিন্তু তিশা তার দিকে তাকায়নি দেখে অবাক হয় দিহান কারণ আগে দিহান যখনই তিশার দিকে তাকাতো দেখতো মেয়েটি তার দিকেই তাকিয়ে আছে। 
-তিশা একটা গান শুনা না প্লিজ।(রোশান)
-হ্যাঁ হ্যাঁ।প্লিজ শুনা না!!(অরিন) 
-ওকে ইয়ার।এতো রিকুয়েষ্ট এর কি আছে।(তিশা)

"আমায় নিয়ে হাজার অভিযোগ
তোমার মনে জমা,
তোমায় ভালোবাসার জন্য
নেই কোনো দাড়ি কমা।

তোমার ভালো লাগায় আমি অপ্রিয়
আমি তোমায় ভালবাসি তবুও,
তোমার ভালো লাগায় আমি অপ্রিয়
আমি তোমায় ভালবাসি তবুও।

কত সময় বয়ে গেল ঘড়ির কাঁটা ধরে
অপেক্ষা বাড়ছে শুধু হাজার মুখের ভিড়ে।
বাধা নেই ভুলে যেতে পারো আমায়
আমি না থাকায় কি বা আসে যায়,
তোমার ভালো লাগায় আমি অপ্রিয়
আমি তোমায় ভালবাসি তবুও।"

গানটি শেষ করার সাথে সাথে রোশানসহ সবাই তিশার সুনামে লেগে যায়।কিন্তু দিহান অবাক হয়ে যাচ্ছে তিশার পরিবর্তন দেখে।আগে গান গাইবার সময় তিশার প্রেমময় চোখ অপলক ভাবে দেখে যেতো তাকে।কিন্তু আজ তিশার চোখে প্রেম নেই আছে লুকোনো কিছু একটা।আজ আর তিশা অপলক দেখে চলছিলো না তাকে।

!!
বাসায় মেহমান এসেছে বেশ ক'জন। সবাই মোহনার শাশুড়ীর বান্ধবী।হুট করে চলে আসায় বিপত্তি ঘটলো তাদের নাস্তার ব্যবস্থা করায়।আরুশ কিছু জরুরি কাজে বাইরে গিয়েছে।এদিকে ঘরে মোহনা ও তার শাশুড়ী ব্যতীত কেউ নেই।মোহনার শাশুড়ী তো ব্যস্ত তার বান্ধবীদের সাথে গল্প করায়।একটি বার ও সে ভাবছে না মোহনা কি করে এতো গুলো মানুষের জন্য নাস্তা বানাবে।তার ৭ মাস চলছে।পেট টা বেশ ভারী হয়েছে তার।নড়তেও বেশ কষ্ট হয় তার।তাও মোহনা তার শাশুড়ীকে বিরক্ত না করে চুলায় নুডলস আর চা বসিয়ে দেয়। দাঁড়িয়ে থাকতেও কষ্ট হচ্ছে মোহনার।পা গুলো আগের থেকেই ব্যথায় ফুলে ছিলো তার।এখন এভাবে দাঁড়িয়ে থাকায় পায়ের ব্যথা বেড়েই চলছে।সেই সাথে মোহনার শাশুড়ী তাড়া দিয়ে যাচ্ছে জলদি খাবার পরিবেশন করার জন্যে।




চলবে...




Writer:- Mahzabin



NEXT ARTICLE Next Post
PREVIOUS ARTICLE Previous Post
NEXT ARTICLE Next Post
PREVIOUS ARTICLE Previous Post
 

Delivered by FeedBurner