পাত্র চাই বিভাগে বিজ্ঞাপন দিয়েছিল আমার বাবা।বিজ্ঞাপনে নিজের মেয়ের খুঁটিনাটি উল্লেখ করে বাবা লিখল "একজন ভালো মনের মানুষ চাই।" আমার মা তো এমন বিজ্ঞাপন দেখে একটু রেগেই বলল,
--বিজ্ঞাপনে কী লিখেছো ওটা?ওই ভাবে কেউ বিজ্ঞাপন দেয়?মেয়ের সমস্ত তথ্য জানালে অথচ কেমন ছেলে আমাদের মেয়ের জন্য প্রয়োজন সেটা উল্লেখ না করে ওমনি বলে দিলে একজন ভালো মনের মানুষ চাই।এটা দেখে মানুষ কি বুঝবে?এই তো নাম্বার দিয়ে রেখেছো দেখো আবার যে সে ফোন করে না বসে।
--আরে এত ঘাবড়াচ্ছো কেন?দেখিই না কে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে চায়?
--আমি এমনি এমনি ঘাবড়াচ্ছি না।এটা একটা বিয়ের ব্যাপার।সেখানে দরকার ছিল ভালো সরকারি চাকরি বাকরি করা বা প্রতিষ্ঠিত কোনো ব্যবসায়ী ছেলে হবে এটা উল্লেখ করে দেওয়া।
--আমি তো আমার মেয়ের যোগ্যতা লিখেই দিয়েছি।শুধু একটা ভালো মনের মানুষ প্রয়োজন যার সাথে আমাদের মেয়েটা ভালো থাকবে।সেখানে যে সরকারী চাকুরে হতে হবে এমনটা নয়।একটা বেসরকারী চাকরি করা ছেলেও অনেক ভালো মনের মানুষ হতে পারে।
আসলে আমার বিয়ে নিয়ে আমার মায়ের একটু চিন্তাই বেশি ছিল।আমি একটু কম কথাই বলি।স্কুল কলেজে পড়তে গিয়ে প্রেমটা সেভাবে করা হয়ে ওঠেনি।কিন্তু আমার বন্ধু বান্ধবের সংখ্যা কম নয়।আমি প্রেম করলে আমার মা বাবা যে আপত্তি করত সেটাও নয়।তবুও কেন জানিনা প্রেমটা আমার হয়ে উঠল না।আমার বন্ধুরা প্রায়ই বলত,
"দেখতে সুন্দরী হয়েও একটা প্রেম করতে পারলি না তুই।"
প্রেম করতে না পারাটা সত্যিই আমার দুর্ভাগ্য বোধহয়।এই বয়সে এসে বাবা মাকে সেই দায়িত্ব নিতে হচ্ছে সে জন্য।কলেজে যখন পড়তাম তখন অনেকেরই এটাই ধারণা ছিল,দেখতে যখন সুন্দর নিশ্চয়ই প্রেম টেম করে।কেন জানি না কেউ সাহস করে প্রেমের প্রস্তাবটাও আমাকে দেয় নি।আর কম কথা বলার দরুন আমিও কাউকে বলে উঠতে পারি নি।
সে যাইহোক,বিয়ের এমন বিজ্ঞাপন দেখে আমার বেশ ভালোই লেগেছিল।বাবার ওপর আমার সম্পূর্ণ ভরসা ছিল।বাবা খুব বিচক্ষণ মানুষ এবং দূরদৃষ্টি সম্পন্ন।তাই ভুল কিছু করতেই পারে না।সে বিশ্বাস বাবার প্রতি আমার ছিলই।
বিজ্ঞাপন দেওয়ার পর থেকে প্রায় কুড়িদিন কেটে গেছে।তখনও পর্যন্ত কেউ যোগাযোগ করেনি।আমার মা তো সব সময়েই বাবাকে বলে চলেছে,
--কই তোমার বিজ্ঞাপন দেখে তো কেউ একজনও ফোন করল না।বিজ্ঞাপনের যা ছিরি।ওই ভাবে কেউ বিজ্ঞাপন দেয় না, বুঝলে।
বাবা একটু হেসে রসিকতা করেই বলে উঠল,
--কেন আমি কি বিজ্ঞাপনে বিরাট কিছু দাবী করে ফেলেছি নাকি যে কেউ যোগাযোগ করতে পারবে না?তাহলে বলতে চাইছো দেশে ভালো মানুষ একটাও নেই?
তারপর থেকে আরো কিছুদিন কাটল।বলতে গেলে প্রায় দুমাস কেটে গেছে।না বিজ্ঞাপনে কেউ সাড়া দিল না।একটু অবাকই হলাম।যাই হোক,এদিকে আমার মা তো আমার বিয়ে নিয়ে বেশ চিন্তায় পড়েছে।বাবাকে বলল,এবারে অন্তত ঠিকঠাক করে একটা বিজ্ঞাপন দাও।পরিচিত সার্কেলের মধ্যে অনেককেই তখন আমার মা বাবা বলে রেখেছে একটা ভালো ছেলে দেখে দিতে।এদিকে দেখতে দেখতে আমার বয়স সাতাশ হয়ে গেল।আমি তো মাকে বলতাম,
--বিয়ে কি করতেই হবে?এই তো বেশ ভালো আছি।চাকরি বাকরি করছি।তোমাদের সাথে আছি।নিজের বাড়িতে ইচ্ছেমত যা খুশি করছি।
মা বলত,
--তুই ও সব বুঝবি না।বাবা মা কি সারা জীবন থাকবে?তাছাড়া তোকে দেখবে কে?
--কী যে বোকার মত কথা বল!আমাকে দেখার আবার কি আছে?
--সে যতই তুই চাকরি বাকরি কর।মেয়েদের একটা নিজের ঘর লাগে,সংসার লাগে।জীবনটা তো আর একা একা কাটানো যায় না।একজন তো জীবন সঙ্গীর খুব প্রয়োজন।
মা কথা গুলো মন্দ বলেনি।জীবনে একজন মানুষকে তো প্রয়োজন যার সাথে হাসি আনন্দ করে সারা জীবনটা কাটিয়ে দেওয়া যায়।তবে বিয়ের ব্যাপারটা কপাল।কথায় বলে জন্ম মৃত্যু বিয়ে তিন বিধাতা নিয়ে।
যাইহোক,একদিন সন্ধ্যে বেলায় সবাই মিলে বসে নিজেরাই গল্প করছি।একটা ট্যুরের প্ল্যান চলছে আর কি।হঠাৎ আমার বাবার মোবাইলে ফোন।আমাদের বিজ্ঞাপন দেখে এক ভদ্রমহিলা ফোন করেছেন।ফোন করে বাবাকে বললেন,
--আপনার বিজ্ঞাপনটা দেখলাম।আমিও ছেলের বিয়ে দিতে চাই।আমারও একটি মাত্র ছেলে।ছেলে চাকরি করে।আপনি চাইলে তাহলে দেখাশোনা করা যেতে পারে।
বাবা খানিকক্ষণ কথা বার্তা বলার পর বলল,
--নিশ্চয়ই।তাহলে একদিন আপনারা চলে আসুন।এসে মেয়েকে পছন্দ করে যান।
ওদিক থেকে ভদ্রমহিলা উত্তর দিলেন,
--মেয়ে পছন্দ পরে হবে।তার আগে আপনারা আসুন মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে।আপনার মেয়ে আগে আমার ছেলেকে,আমাদের ফ্যামিলিকে,এবং যে বাড়িতে আপনার মেয়ে থাকবে সেই বাড়িটা অন্তত দেখে যাক।আপনি যে রকম ভালো মনের মানুষ চেয়েছেন আমিও আমার ছেলের জন্য ভালো মনের মানুষ খুঁজছি।তাই মেয়েকে দেখতে যাওয়ার দরকার পড়ে কি?আর আপনার মেয়েই যদি আমার বাড়িতে আসে তাহলে তো ওখানেই মেয়েকেও দেখা হয়ে যাবে।
ভদ্রমহিলার কথা শুনে বাবা যেন একটু ইতস্তত বোধ করছিলেন।সাধারণত বিয়ের ক্ষেত্রে পাত্রী পছন্দের ব্যাপারটাই আগে আসে।ওই ভদ্রমহিলা একটু উলট পুরাণে হাঁটলেন।বাবা কথা গুলো শোনার পর ওনাকে বললেন,
--আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে আপনাকে জানাচ্ছি।
বাবার মুখ থেকে সব কথা শোনার পর আমিই বাবাকে বললাম,
--উনি ঠিক বলেছেন।আমি ওনার প্রস্তাবে রাজি।আমি যাব ওনাদের বাড়ি।
মা শুনে বলল,
--কিন্তু মেয়ে হয়ে আগে ছেলে দেখতে যাওয়াটা কেমন কেমন লাগে না?
--কেমন কেমন লাগবে কেন?বিয়ের পর তো আমাকে থাকতে হবে ওখানে।তো নিজের মত করে সব কিছু দেখে নেওয়াই ভালো।
অবশেষে আমরা পৌঁছে গেলাম পাত্রের বাড়িতে।দেখলাম ছোটো ফ্যামিলি।ফ্যামিলিতে মা,বাবা, ঠাকুমা আর এক মাত্র ছেলে।আমরা যে পাত্র দেখতে গিয়েছি সেটা যেন মনে হল না।মনে হল একটা গেট টুগেদার।অতিথি আপ্যায়ন দেখে আমি মুগ্ধ হলাম।সেখানে পাত্র একাই একশো।হাতে হাতে কফি,প্লেটে গরম গরম পকোড়া।বাড়িতে সবাই যেন সবার সহযোগী।ভীষণ ফ্রাঙ্কলি কথা বার্তা সকলের।সবাই মিলে কফি খাচ্ছি তখন।ছেলেটির ঠাম্মা আমাকে বলল,
--কী নাম তোমার?
--নবমিতা।
--কী মিষ্টি নাম।আমার এই একটি মাত্রই নাতি।খুব ভালোবাসে আমাকে।আমার নাতি বলে বলব না,খুব ভালো ছেলে।আসলে আমার বৌমাটি ভালো।মায়ের শিক্ষাতেই তো ছেলে ভালো হয়ে ওঠে।
পাশ থেকে ছেলেটি তখন বলে ওঠে,
--আরে ঠাম্মা।কী সব বলছো আমার নামে।
তারপর ছেলেটি আমার দিকে তাকিয়ে বলে,
--আসলে জানেন তো আমার ঠাম্মাই সব থেকে ভালো।এই বাড়িতে আমরা সবাই আনন্দ করে থাকি।এই বাড়িতে মা আর ঠাম্মা ভালো বন্ধু।
আমি শুনে বলি,
--ঠাম্মা আপনাকে ভালোবাসেন।তাই উনি এগুলো বলছেন।
ঠাম্মা নাতির এই রকম সম্পর্ক দেখে বেশ ভালো লাগলো।আর যে বাড়িতে শাশুড়ি বৌমার প্রশংসা করে সেই বাড়িতে শাশুড়ি বৌমার সম্পর্কটা ভালোই সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।আমরা সবাই মিলে একটা ঘরোয়া আড্ডায় যেন মেতে উঠলাম।বেশি ভালো লাগছিল ছেলেটির কথা বার্তা।কথার মধ্যে বেশ বিনয়ী ভাব।আমাদের সকলের সাথে এমন করে কথা বলছিল যেন আমরা সকলেই পূর্ব পরিচিত।আমি যেখানে কম কথা বলি সেখানে এই ছেলেটি বিপরীত।বেশি কথা বলে।নিজে থেকেই জানিয়ে দিল একটা বেসরকারি চাকরি করে।খুব বেশি টাকা যে বেতন পায় না সেটাও জানালো।সেই সঙ্গে এটাও জানালো,
"একজন ভালো মনের মানুষ খুঁজছি যে আমার সাথে থাকবে,আমাকে বুঝবে,একজন ভালো বন্ধু হয়ে উঠবে।"
কথা গুলো আমার পছন্দ হল বেশ।ছেলের ব্যাপারে ছেলের বাবা মাকে কোনো গুণগান করতে দেখলাম না।
বরং আমার বাবা ছেলেটির বাবার সাথে কথা বলে ছেলের ব্যাপারে খুঁটি নাটি জিজ্ঞেস করে যাচ্ছে।কথা বার্তা মানে একটা ঘরোয়া পরিবেশে আড্ডা।আমার বাবা তো বলেই ফেলল,
--আপনাদের এই ব্যাপারটা ভালো লাগলো দেখে মেয়েকে আগে না দেখে আমার মেয়েকেই দেখতে আসতে বললেন।এমনটা সত্যিই দেখা যায় না।
ছেলেটির বাবা বলল,
--আমি ছেলের বিয়ে দিলে আপনার বাড়িতে গিয়ে আমার ছেলে থাকবে না।বরং আপনার মেয়েই থাকবে আমাদের বাড়িতে।জানেন তো আমাদের প্রায় সকলেরই একটি করেই সন্তান।সন্তান ছেলেই হোক বা মেয়ে,সে বড়ো আদরের আমাদের কাছে।সব থেকে প্রিয়।আপনাদের সব থেকে প্রিয় জিনিসটা আমাদের বাড়িতে পাঠাবেন।কিন্তু কোথায় পাঠাবেন,তার ঠিকঠাক যত্ন হবে কিনা,সেই পরিবারে সে থাকতে পারবে কিনা,সেই পরিবারের মানুষ গুলো কেমন সেটা দেখে নেওয়ার দায়িত্ব আপনাদের এবং সেই সঙ্গে আপনার মেয়েরও।বিয়ে যখন দেখা শোনা করেই হবে তার আগে ভালো করে দেখে শুনেই নিতে হবে।তাই একদিন নয়,পছন্দ থাকলে আরো দু তিন দিন আসুন।আমাদের সাথে সময় কাটান,আমার ছেলেকে ভালো করে জানুন।একজন ভালো মানুষ না হলে জীবন কাটানো বড়ই দুঃসহ হয়ে ওঠে।
--কথা গুলো ঠিকই বলেছেন।আপনাদের সঙ্গে এতটা টাইম কাটিয়ে আমাদের ভালো লেগেছে।তবে বিয়ে মানে একটা আত্মীয়তা।সেটা আমার মেয়ে আর আপনার ছেলে দুজন দুজনের পছন্দ থাকলে সিদ্ধান্ত ওরাই নেবে।
সমস্ত কথা বার্তা আলাদা করে বা লুকিয়ে কেউ কাউকেই বলল না।সকলের সামনে থেকে সব কথাই হল।বেশি ভালো লাগলো ছেলেটির একটি কথা শুনে।ছেলেটি নিজে থেকেই ফ্রাঙ্কলি জানালো,
---আপনাকে আমার মন্দ লাগেনি।যদি আমাকে আপনার পছন্দ হয়ে থাকে তাহলে দ্বিতীয় বার আসার জন্য আর একটা গেট টুগেদার হতে পারে।সেদিন আপনি বেশি বলবেন আমি শুনব।আজ তো আমিই বললাম বেশি।
এতটা ফ্রি হয়ে কেউ এত কথা বলতে পারে দেখে ভালো লাগলো।ছেলেটি নিজে থেকেই নাম্বার দিয়েছিল।বাড়ি আসার পর থেকে মনের মধ্যে একটা অদ্ভুত ভালো লাগা কাজ করছিল।একটা সুন্দর ফ্যামিলি যেখানে পরস্পর পরস্পরের প্রতি রেসপেক্ট,সহযোগিতা আছে।অতি রঞ্জিত করে কাউকে কিছুই বলতে দেখলাম না।একটা ভালো লাগা তৈরি হল।তিন দিন পর একদিন সন্ধ্যেয় ছেলেটিকে আমিই ফোন করলাম।ফোন করে বললাম,
--আপনাকেও আমার মন্দ লাগেনি।ফ্রাঙ্কলি কথা বার্তার জন্য আরো বেশি ভালো লাগলো।
ছেলেটি বলল,
--তাহলে আর একদিন আপনারা সকলেই আসুন।অনেক গল্প হবে।বিয়ে হবে কি না হবে সেটা পরের কথা।কিন্তু বন্ধুত্ব হতে পারে।
--বেশ তাহলে যাওয়া যাবে আর একদিন।
--তবে সেদিন সকাল সকাল আসবেন।আমাদের বাড়িতে লাঞ্চ করবেন সেদিন।
--ও আচ্ছা ইনভাইট করলেন আপনি রান্না করে খাওয়াবেন বলে?
--অবশ্যই।আপনি আমার হাতে রান্না খেতে চাইলে আমি রান্না করে খাওয়াবো।
--রান্না পারেন?
--শিখেছি বাবার থেকে।বাবা ভালো রান্না পারে।মাও খুব সুন্দর করে।তবে সে গুলো বাবার থেকেই শেখা।বাবা রিটায়ার করার পর থেকে যেদিন ইচ্ছে হয় সেদিনই রান্না করে।নতুন নতুন কত রেসিপি বানায়।আমিও শিখেছি বেশ কিছু।
--তাহলে তো ভালোই।আমরা যেদিন যাব তাহলে আপনার হাতের রান্না খেয়ে আসব।
--নিশ্চয়ই।
তারপর থেকে দুবছর কেটে গেছে।এখন ছুটির দিন পেলেই নীলাদ্রি বিরিয়ানী রান্না করে আর আমি খাই।শুধু বিরিয়ানী নয়,আরো নতুন নতুন রেসিপিও থাকে।আমি একটু খেতেই ভালোবাসি।আসলে গল্পটা তো বলাই হল না।নীলাদ্রি মানে সেই ছেলেটা,বিয়ের দেখাশোনার জন্য যে দ্বিতীয়বার ইনভাইট করে ছিল আর বলেছিল নিজের হাতে রান্না করে খাওয়াবে।সেদিন আমরা সকলেই গিয়েছিলাম।লাঞ্চ করতে বসে দেখলাম এত সুন্দর মটন বিরিয়ানী বানিয়েছে আমি আরো একবার চেয়ে নিয়েছিলাম।অসাধারণ বানিয়েছিল।বিরিয়ানী খেয়ে আমার মত কম কথা বলা মেয়েটি একটা কথাই সেদিন নীলাদ্রিকে বলে এসেছিল,
"বিয়েটা আমি আপনাকেই করব।আই লাভ মটন বিরিয়ানী।"
বিরিয়ানী খেতে গিয়ে একটা আস্ত মানুষের প্রেমেই পড়ে গিয়েছিলাম।দেখাশোনা করতে গিয়ে হয়ে গেল প্রেম।অবশেষে দুই বাড়ি সিদ্ধান্ত নিয়ে আমাদের চার হাত এক করে দিয়েছিল।আসলে বাড়িতে আমরা সবাই বিরিয়ানী প্রেমী।
সমাপ্ত
Writer:- সরজিৎ ঘোষ