পৃথিবী থেকে চলে এসেছি আজ ৩ মাস হলো,
আমি বলতে গেলে নামাজি ছিলাম যাইহোক নামাজ ছাড়তাম না, তবে মাঝে মাঝে নামায শেষ করেই একটা বেগানা পুরুষের সাথে কথা বলতাম ভালোই লাগতো ছেলেটাকে, আমি বোরকা পড়ে বের হতাম!তবে বিয়ে বা অন্য কোনো অনুষ্ঠানে যাবার সময় খুব সেজেই যেতাম, সত্যি কথা বলতে আমি ভালোই আমল করতাম, কিন্তু ঠিকভাবে পর্দা করতাম না।২ বছর রিলেশন করার পর ছেলেটা ব্রেকআপ করে আমিও আর কিছু বলিনা, হঠাৎ করে আমার মাথা ব্যাথা শুরু হয় ডাক্তারের কাছে গেলে বলে আমার মাথায় টিউমার হয়েছে! তিন মাস পড় মারা গেলাম। কবরে যখন দুজন ফেরেস্তা আমাকে জিজ্ঞেস করলো যে আমার দিন কি, নবী কে, কে আমার রব হায় আমি কিছু বলতে পারিনি, সব ভুলে গিয়েছিলাম আমি। তারপর আমার কবরটা একটা আগুনের ঘর হয়ে গিয়েছিল হায় কি জালা, কি যন্ত্রনা, আমি বাঁচাও বাঁচাও বলে কাঁদছিলাম বলছিলাম আমিতো নামায পড়তাম তাহলে আপনারা আমাকে কেন আগুনের ভেতর পুরছেন, একজন বলেছিলো তুমি নামায পড়তা ঠিক কিন্তুু তুমি হারাম ভালোবাসা, বেপর্দা নারী ছিলা। আহা কি করেছি আমি হাও মাও করে কাঁদছিলাম কেউ ছিলোনা কোথাও, আমি খুব ভয় পেতাম কখনো একা ঘুমাতাম না, আজ আমি এই অন্ধকার কবরে থাকি অনেক ভয় করে কিন্তুু আমাকে তবুও থাকতে হয়।আমার হারাম ভালবাসার সেই ছেলেটি বিয়ে করে খুব সুখে আছে, বাসায় সবাই হয়তো আমাকে ভুলেই গেছে।আজ আমার ছোট বোনের বিয়ে ছিলো দেখলাম সবাই খুব মজা করলো,নানু আমার কথা ওঠাতে মামি বল্লো কি শুরু করলেন আনন্দের অনুভূতিগুলো খারাপ করবেন না, আমার খালাতো বোনটা বলে রাত হয়েছে নানু আপুর কথা বলোনা আমার ভয় করে।আমি দূর থেকে কাঁদলাম ইস আমি এখন ভুত হয়েছি ওদের কাছে।বিয়েতে আমার আম্মুও খুব হাসিখুশি আছেন ভাবলাম আমার কথা হয়তো আর মনে পড়েনা তার, বাবা, বোন সবাইকে হাসিখুশি দেখে আবার আমার ঠিকানায় আমি চলে গেলাম, হায় আজ আমার জন্য দোয়া করার মতো কেউ নেই। ইস আমি যদি আল্লাহর কথা মতো চলতাম, হায় আপসোস।
Writer:- অরিন