আমি বাসা থেকে বের হলাম আর সাগর ভাইয়ের নাম্বার টা যোগার করে ফোন দিয়ে একটা জায়গা আসতে বললাম সে আসলে এসে আমাকে বলে কেন ডাকছি তখন আমি বললাম যে......
(আমি) সাগর ভাই আপনাকে কিছু বলার জন্য আমি এখানে ডাকছি৷
(সাগর ভাই) হুম বলে কি বলবা আমি কাল সকালে আমেরিকার চলে যাচ্ছি ৷
(আমি) কেন বিয়ে করবেন না আপনে৷
(সাগর ভাই) ভাই মজা নিচ্ছেন না আচ্ছা কিসের জন্য আমাকে ডাকছেন বলে ভাই৷
(আমি) সত্যি কি আপনে আমার ছোট বোন কে বিয়ে করবেন ৷
(সাগর ভাই) এখন বলে লাভ কি বললেন আপনে তে বিয়ে ভেঙে দিছেন বিয়ে টা হতে দিলেন না৷
(আমি) আচ্ছা আপনের সাথে আমার বোনকে বিয়ে দিলে আপনে কষ্ট দিবেন না তে৷
(সাগর ভাই) প্রশ্ন উঠে না ওকে তে আমি আমার রানী করে রাখমু সত্যি বলছি ভাইয়া৷
(আমি) ওকে কালকে তুমি আমাদের বাসা আসবা সকাল সকাল আমি ভাসিটিতে যাবার আগে মনে তাকবে তে৷
(সাগর ভাই) হুম ভাইয়া মনে থাকবে আমার বলে আমাকে বুকে নিলে৷
আমি ওওওও তাকে জড়িয়ে দরলাম আর ছেড়ে দিয়ে বললাম কালকে তুমি একা আসবে আর আসার সময় মনে করে আংটি টা নিয়ে আসবা কেমন বলে সাগর ভাইয়ের কাছে থেকে চলে আসলাম৷ বাসা এসে দেখি সবাই টিভি দেখছে আমি ওওওও তাদের সাথে বসলাম দেখলাম তারা নিজে নিজে কথা বলছে আমি যে আছি তারা আমাকে মনে করে না রাগ উঠে গেলে আমি রুমে চলে গেলাম গিয়ে পকেট থেকে ফোন টা বের করে দেখি জান্নাতুল আমাকে কল দিছে আরেক টা কল আইছে বাট চিনি না নাম নেই তাই আমি আগে ওই নাম্বারে কল দিলাম রিসিভ করে ওপাশ থেকে মেয়ে কন্ঠ বেসে আসলে আমি বললাম কে আপনে আপু ৷
(মেয়ে) আপু আপু কে আমি আদিবা আদি৷
(আমি) তুমি আমার নাম্বার কই পাইছে৷
(আদিবা) জান্নাতুল এ-র কাছে থেকে নিয়ে নিছি নাম্বার টা আচ্ছা তুই কি বেশি ব্যাথা পাইছেত থাপ্পড় টা ৷
(আমি) কাটা গায়ে নুনের ছিটা আমাকে দিস না আমি ভুলে গেছি ওই টা বুঝছেত৷
(আদিবা) আরে যে কারনে তকে কল দেওয়া প্রিন্সিপালের মেয়ে সব কিছু পরিকল্পনা করে তকে সবার সামনে অপমান করছে আমি আসা সময় ওদের সব কথা শুনে ফেলাইছি সরি রে আমার জন্য তুই অপমানিত হয়েছেত ৷
(আমি) ওই টা আমি প্রথমে বুঝতে পারছি৷
(আদিবা) কি তাহলে প্রতিবাদ করলি না কেন আমি তে তর সাথে ছিলাম যা হবার পরে আমি দেখে নিতাম তুই চুপ থাকলি কেন কুতা আমাকে ওই সময় বলি না কেন৷
(আমি) আরে রেগে গেলে তে সব সে রাগের মাথা কিছু করার ঠিক না সে তার অপমানের প্রতিশোধ নিছে নিতে দেও৷
(আদিবা) তাই বলে ভাসিটি সবার সামনে তর মান সম্মান টা কই গেলে হুম৷
(আমি) আমি তে গরীব আমার আবার সম্মান হুম আমি যে কি করে ওই ভাসিটিতে আছি তা আমি নিজে ওওওও জানি না৷
(আদিবা) তুই নিজেকে এত সস্তা ভাবিস কেন হুম দেখ আদি সব সময় বোকা মতো থাকিস না কেউ তর পায়ে পারা দিলে তুই তাকে লাথি মারবি দেখবি সে চুপ চাপ করে সেখান থেকে চলে যাবে আর যদি পারা খেয়ে দাড়িয়ে থাকিস তাহলে সে তকে ধাক্কা মেরে ফেলাই দিবে বোকা মতো করে থাকিস না আদি নিজেকে একটু বুঝার চেষ্টা কর৷
(আমি) হুম তুই তুই ঠিক বলছেত বাট আমার সেই সাহস নাই যে কেউ কে লাথি মারমু৷
(আদিবা) সাহস নিজে ঝগার করতে হবে ৷
(আমি) ওকে ঝগার করমু বায় খাবার খামু বলে কেটে দিলাম দেখলাম জান্নাতুল কল দিছে আমি রিসিভ করলাম৷
(জান্নাতুল) কিরে কার সাথে এতখন সময় নিয়ে কথা বলছিস তুই হুম৷
(আমি) আরে আদিবা কল দিছে ওর সাথে কথা বলছি৷
(জান্নাতুল) বাহ বাহ বাহ ভালো তে ভালো না শুরু হয় গেছে আমি তে পূরানো বন্ধু এখন আমার কথা কি কারো মনে থাকবে৷
(আমি) কেন আমার বন্ধ আকাশ কই হুম সে খবর নেয় না ৷
(জান্নাতুল) আকাশের বাচ্চা সাথে রাগ করে কথা বলি না৷
(আমি) কেন কি হয়েছে কি নিয়ে রাগ করছিস তুই ৷
(জান্নাতুল) তাকে দেখতে মন চাইছে তাকে বললাম আসার জন্য সে নাকি আসতে পারবে না তাই রাগ করে কল কেটে দিছি ফোন দিছে ধরছি না তে আদিবা কি বলে৷
(আমি) তেমন কিছু না তে আংকেল আন্টি কেমন আছে রে৷
(জান্নাতুল) আলহামদুলিল্লাহ ভালো তর আম্মু আব্বু আর মারিয়া কেমন আছে রে৷
(আমি) আলহামদুলিল্লাহ ভালো রে৷
(জান্নাতুল) কালকে ভাসিটিতে যাবি তুই৷
( আমি) হুম যামু রে তুই আসবি৷
(জান্নাতুল) হুম আসমু বাট তুই আদিবা কে কখন নাম্বার দিসেত দেখলাম না তে৷
(আমি) ওমা তুই কি বলিস তুই কি ফান করছিস হুম আদিবা কিন্তু বলে দিছে৷
(জান্নাতুল) ওই বোকা কি বলছে তকে আদিবা হুম৷
(আমি) কেন তুই যে আমার নাম্বার টা দিসেত সে বলে দিছে৷
(জান্নাতুল) আমি কেন জান্নাতুল কে তর নাম্বার দেমু তার সাথে আমার কোনো কথা হয় নাই তুই চলে যাবার পরে আমি ওওওও চলে আসলাম তাহলে নাম্বার কখন দিলাম৷
(আমি) কি জানি আচ্ছা ফোন টা রাখ আম্মু আইছে খাবার খাওয়া জন্য বলে ফোন টা রেখে দিলাম তখনি আম্মু এসে বলে৷
(আম্মু) আদি খাবার খেয়ে যা৷
(আমি) হুম আসছি বলে ফোন টা চাজে বসিয়ে নিচে খাবার খেতে গেলাম খাবার প্লেটে দেওয়া আছে আমি চুপ চাপ করে খাবার খেয়ে রুমে এসে সুয়ে পড়লাম হটাৎ করে ফোন টা বেজে উঠে আমি গিয়ে দেখলাম মেঘ কন্যা কল দিছে তারা তারি করে রিসিভ করলাম৷
(মেঘ কন্যা) বিজি নাকি আপনে৷
(আমি) না না বিজি কেন থাকমু আমি৷
(মেঘ কন্যা) তাহলে এত দেরি কেন রিসিভ করতে৷
(আমি) আসলে সুয়ে পড়ছিত তাই৷
(মেঘ কন্যা) ওওওও আচ্ছা ঘুমান আপনে৷
(আমি) আরে না না আরে পরে ঘুমাবো আমি৷
(মেঘ কন্যা) আপনের ভাসিটি কেমন চলছে৷
(আমি) ভালো বাট আমি তোমার কোনো পরিচয় জানি না আর তোমার সাথে কথা বলে তোমাকে দেখার আগ্রহ বেরে যায় প্লিজ দেখা তে দেও তুমি ৷
(মেঘ কন্যা) বললাম না দেখা হবে তোমার সাথে বাট চিনে নিতে হবে তুমি নিজে আর তোমাকে আমি সব সময় আমার চোখের সামনে রাখি তুমি কখন আমাকে খুজে দেখনাই যদি খুজে দেখতে তাহলে আমাকে তুমি অবশ্য খুজে পেতে জানি না যে দিন আমাকে তুমি দেখবে সেই দিন কি হয়৷
(আমি) হুম খুজে দেখি নাই বাট খুজতে হলে কিছু না কিছু দরকার হয় তোমার সম্পর্কে আমি কিছু জানি না কি ভাবে খুজমু আমি ৷
(মেঘ কন্যা) ওকে তোমাকে খুজতে হবে না এখন ঘুমাও তুমি বায়৷
আমি বললাম এ-ই শুনে বলতে বলতে কল কেটে দিলে আমি কল দিলাম বাট বন্ধ কি আর করার ফোন টা চাজে বসিয়ে সুয়ে মরলাম আর ভাবতে থাকলাম কে হতে পারে এ-ই মেয়ে আবার সিম টা ওওওও বন্ধ থাকে শুধু আমার সাথে কথা বলার জন্য সিম টা খুলে কি ভাবে তাকে খুজে পামু৷ এ-ই সব ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে গেলাম সকাল বেলা আব্বু আম্মু আমার রুমে তাদের কে দেখে অবাক হলাম আর বললাম কি হয়েছে তোমরা দুই জনে চোখে ঘুম ঘুম ভাব নিয়ে বললাম তখন আব্বু বলে.............
এ-ই সব ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে গেলাম সকাল বেলা আব্বু আম্মু আমার রুমে তাদের কে দেখে অবাক হলাম আর বললাম কি হয়েছে তোমরা দুই জনে চোখে ঘুম ঘুম ভাব নিয়ে বললাম তখন আব্বু বলে.............
(আব্বু) আদি সাগর আমাদের বাসা কেন এত সকালে তুই নাকি আসতে বলছেত ৷
(আমি) সাগর ভাই আইছে আচ্ছা তোমরা নিচে যাও আমি আসছি৷
(আব্বু) ওকে আয় তারা তারি করে আমরা যাচ্ছি ৷
(আমি) বিছানা থেকে উঠে বাথরুমে চলে আসলাম ফ্রেশ হয়ে নিচে গেলাম দেখলাম আম্মু চা বিস্কুট সাগর ভাইকে দিছে আমি সাগর ভাইয়ের সামনে গেলাম৷
( সাগর ভাই) আমাকে দেখে দাড়িয়ে গেলে আর আমার দিগে তাকিয়ে রইলে৷
আমি আব্বু আম্মু কে আমার কাছে ডাকলাম আর সাগর ভাইয়ের সঙ্গে দাড়ালাম আমি আম্মু কে বললাম মারিয়া কে নিয়ে আসে আম্মু মারিয়া কে আনার জন্য উপরে গেলে আমি আব্বু কে বললাম যে মারিয়া সাথে সাগর ভাইয়ের বিয়ে হবে আর সাগর ভাইয়া এখন মারিয়া কে আংটি পড়াবে ৷
(আব্বু) কেন তুই তে বিয়ে টা ভেঙে দিছেত আবার কেন বিয়েটা ঠিক করছেত হুম৷
(আমি) বিয়ে টা প্রথম আমি মানা করছি বাট পরে সবার ভালো জন্য বিয়ে এখন আবার হবে ৷
তখনি আম্মু মারিয়া কে নিয়ে আসলে সাগর ভাই এর সাথে মারিয়াকে বসানো হলে আর সাগর ভাই মারিয়াকে আংটি পড়িয়ে দিলে আমি আব্বু আম্মু দিকে তাকালাম দেখলাম ওরে আজকে অনেক খুশি হলে তারা খুশি থাকলে আমি ওওওও খুশি ৷ সাগর ভাই আংটি পড়িয়ে বলে আব্বু আংকেলের সাথে দেখা করে বিয়ে দিন তারিখ ঠিক করবে আমি এখন আসি আর ধন্যবাদ আদি ভাইয়া বলে সাগর ভাই চলে গেলে আর আমি উপরে চলে আসলাম ভাসিটিতে যাবার জন্য রেডি হলাম আর কিছু খন পরে আমি নিচে নামলাম দেখলাম আব্বু আম্মু কথা বলছে আমি বাসা থেকে বের হমু তখনি আম্মু৷
(আম্মু) আদি বাবা খেয়ে তার পরে ভাসিটিতে যা৷
(আমি) না আম্মু খামু না৷
(আম্মু) না খেয়ে তুই যেতে পারবি না বাহিরে খাবার খেলে তুই অসুস্থ হয়ে যাবি বাবা৷
(আমি) হুম এখন এত আদর ছেলে জন্য এ-ই কয়েক দিন তোমরা আমার সাথে কেমন ব্যবহার করছে তা কিন্তু আমি ভুলে নাই আম্মু৷
(আম্মু) কি করছি তর সাথে হুম এখনে খেয়ে নে তার পরে কথা৷
আমি আর কিছু না বলে চুপ চাপ হালকা পাতলা নাস্তা খেয়ে নিলাম আর ভাসিটি উদ্দেশ্য রওনা দিলাম রাস্তা বের হয়ে একটা বাস থামালাম বাসে উঠে দেখি আদিবা কল দিছে যে আমি আসমু কি না ভাসিটিতে আমি বললাম আসমু আর জান্নাতুল কে কল দিয়ে বললাম ভাসিটিতে আসতে৷ কিছু খনের ভিতের আমি চলে আসলাম বাস থেকে নেমে গেইট দিয়ে প্রথম পা টা দিলাম দেখলাম লিজা নামের মেয়ে টা দাড়িয়ে আছে আমি সেই দিগে না তাকিয়ে লিজা সামনে দিয়ে চলে আসলাম ভিতরে তখন একটা মেয়ে পিছন থেকে বলছে৷
(মেয়ে) কালকে সবার সামনে থাপ্পড় খেয়ে আজকে আবার সে ছোট লোক টা ভাসিটিতে আইছে৷
(আমি) আমার মাথা টা গরম হয় গেছল ছোট লোক না পিছনে তাকিয়ে দেখি লিজা এ-ই কথা টা বলে আমি সাথে সাথে লিজারটা সামনে গেলাম৷
(লিজা) কি রে রাগ কাকে দেখাছিস হুম আমাকে মারবি না দেখ আমার গায়ে হাত দিয়ে দেখ ছোট লোকের বাচ্চা তকে এ-ই ভাসিটি থেকে একি বারে বের করে দেমু যা এখান থেকে তখন আদিবা ৷
(আদিবাস) ভাসিটিটা তে তর বাপে যে তুই যাকে চাস তাকে বের করে দিবি হুম৷
(লিজা) আমি তর সাথে কথা বলতে চাই না তুই এ-র মাঝ খানে আসবি না ৷
(আদিবা) ওমা তুই আমার বন্ধুকে বলবি আর আমি তার মাঝ খানে আসবি না তাকি হয় ৷
( লিজা) এ-ই ছোটলোক টা জন্য আমার সাথে ঝগড়া না কে তুমি আমার সাথে চলে আয় তাতে তোমার মঙ্গল হবে৷
(আদিবা) মঙ্গল না আরে তর মঙ্গল হবে যে এ-ই ছেলেটা থেকে দূরে থাকলে তুই৷
(লিজা) কি এ-ই ছোট লোক টা থেকে দূরে হাহাহা ৷
আমার মাথা টা গরম হয়ে গেলে সাথে সাথে কয়েক টা থাপ্পড় বসিয়ে দিলাম একি বারে চুপ হয়ে গেলে সবাই আমি রাগে বসে আরে কয়েক টা দিলাম কিছু খন পরে আমাকে প্রিন্সিপাল আমাকে তার কহ্মে ডাকে আমি আর আদিবা প্রিন্সিপালের রুমে গিয়ে দেখি লিজা আর তার বান্ধবীরা লিজা কান্না করছে গালে দাগ লেগে আছে আমার একটু একটু ভয় করছে কি করমু বুঝতে পারছি না ভয়ে ভয়ে প্রিন্সিপালের সামনে গেলাম ৷
(প্রিন্সিপাল) আদি তুমি লিজা কে অপমান করছে কেন আর তাকে থাপ্পড় কেন মারছে (রাগি গলায় বলে)৷
(আমি) আমি কালকে কোনো অপরাধ না করে ওওওও সবার সামনে অপমানিত হতে হয়েছে তাতে ওওওও আমি কিছু বলি নাই আজকে যখন আমাকে ছোটলোক আরে অনেক ভাবে অপমানিত করছে শুধু শুধু আমি আর থাকতে পারলাম না আর সব করছে লিজা আর এ-ই টা তার পাওয়া দরকার ছিল ৷
(লিজা) আব্বু সব মিথ্যা বলে আরে কান্না আওয়াজ বাড়িয়ে দিলে৷
(প্রিন্সিপাল) রেগে গিয়ে বলে তোমার কাছে কোনো প্রমান আছে হুম৷
( আমি) আমতা আমতা করতে থাকলাম আর আদিবা দিগে তাকালাম দেখলাম আদিবা চুপ করে আছে আর তার মুখের হাসি চেহারা টা পাল্টে গেলে আমি বুঝে গেছি আদিবা আমার সাথে বেইমানি করছে তখন প্রিন্সিপাল বলে৷
(প্রিন্সিপাল) কি হলে বলে তোমার কাছে কি কোনো প্রমান আছে ৷
(আমি) আদিবা বলে তুমি কি শুনছে কালকে৷
(আদিবা) আমি তে কিছু শুনি নাই আমি কি বলমু ৷
(আমি) আদিবা তুমি কি বলছে এ-ই টা প্লিজ আদিবা এমন করে প্রতিশোধ নিছ না৷
(আদিবা) সত্যি আমি কিছু জানি না ৷
(প্রিন্সিপাল) সবাই কে বের করে দিলে আমাকে বাদে আর পুলিশ কে কল করলে আমি চুপ চাপ করে এক কোনায় দাড়িয়ে থাকলাম কিছু খন পরে পুলিশ আসলে প্রিন্সিপাল আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে আমি নাকি মেয়েদের সাথে লুচ্চামি করতে চাইছি আরে অনেক অভিযোগ করছে পুলিশ আমার শাটের কলারে ধরছে তখনি জান্নাতুল চলে আসলে ৷
(জান্নাতুল) দাড়ান পুলিশ অফিসার ওকে ধরার আগে এখানে আগে কথা বলে এ-ই নেন ফোন টা৷
(পুলিশ) কে সে আর কার সাথে কথা বলমু হুম ৷
(জান্নাতুল) আগে কথা বলে দেখেন কে ওনি৷
(পুলিশ) ওকে দেন হ্যাল কে বলছেন ওপাশ থেকে বলছে আমি ডিআইজি জি স্যার বলেন তার পরে আর কিন্তু শুনতে পাইলাম না শুধু জি স্যার বাদে৷
তখন জান্নাতুল একটা ভিডিও দেখায় তার পরে পুলিশ প্রিন্সিপাল কে ওওওও দেখায় আবার লিজা তার বান্ধবীদের কে ডাকলে সবাইকে প্রিন্সিপাল একটা করে থাপ্পড় মারে আর আমার কাছে প্রিন্সিপাল সরি বলে আর সবাই কে সরি বলতে বলে সবাই সরি বলে বাট লিজা মুখ দেখে মনে হচ্ছে লিজা আমার উপর রেখে আছে পুলিশ অফিসার এসে আমাকে সরি বলে আর বলে কে তুমি যার জন্য আমাকে আমি থামিয়ে দিলাম আর বললাম আপনে এখন আসতে পারেন বলে পুলিশ কে পাঠিয়ে দিলাম........ শরীলটা ভালো নাই তাই গল্প টা ছোট করে দিছি আজকে গল্প দিতাম না বাট তার পরে ওওওও দিছি সবাই দোয়া করবেন......
প্রিন্সিপাল সরি বলে আর সবাই কে সরি বলতে বলে সবাই সরি বলে বাট লিজা মুখ দেখে মনে হচ্ছে লিজা আমার উপর রেখে আছে পুলিশ অফিসার এসে আমাকে সরি বলে আর বলে কে তুমি যার জন্য আমাকে আমি থামিয়ে দিলাম আর বললাম আপনে এখন আসতে পারেন বলে পুলিশ কে পাঠিয়ে দিলাম........
পুলিশ অফিসার চলে গেলে প্রিন্সিপাল সবাইকে রাগিনত ভাবে বলে এ-ই শেষ বার তোমাদের কে হ্মমা করা হলে তোমরা সবাই আসতে পারে বলে সবাইকে পাঠিয়ে দিলে আমি ওওওও চলে আসতে যামু তখন প্রিন্সিপাল বলে সরি বাবা আবার ওওওও হ্মমা চেয়ে নিচ্ছি আবার আমার খারাপ ব্যবহারের জন্য ৷
(আমি) আরে না না স্যার আপনে কেন হ্মমা চাইছেন আপনের অধিকার আছে আমাকে শাসন করার প্লিজ স্যার আপনে আর হ্মমা চাইবেন না বলে আমি চলে আসলাম প্রিন্সিপাল রুম থেকে বাহিরে জান্নাতুল দাড়িয়ে আছে ৷
(জান্নাতুল) আগে বলছি তকে ওই মেয়ে সাথে ফ্রেন্ডশিপ করিস না তুই বোকার মতো তার চলনা কাছে হেরে গেলি আর৷
(আমি) থাম আর কথা বলিস না প্লিজ ৷
(জান্নাতুল) ওকে আর বলমু না বাট আর কখন জেনে তকে ওর সাথে কথা বলতে না দেখি৷
(আমি) ওকে যা আর কোনো কথা বলমু না এ-র মধ্যে আদিবা আমার সামনে চলে আসলে আমি কিছু বলতে যামু ঠিক তখনি জান্নাতুল৷
(জান্নাতুল) ঠাস ঠাস করে দুই টা থাপ্পড় বসিয়ে দিলে আর বলে বন্ধুতের নামে তুই যে বেইমানি করছেত সেই টা তুই ঠিক করিস নাই আমি জানতাম তুই যে কোনো সময় পল্টি নিবি তাই আমি সব সময় তর সাথে সাথে ছিলাম আর.... থাক তর মতো চলানামহি সাথে কথা বলতে ওওওও ঘৃণা আসে বলে চলে আসলে জান্নাতুল ৷
(আমি) ভালো লাগছে না আমার আমি বাসা চলে যাই রে বলে চলে আসলাম ভাসিটি থেকে বাসা এসে দেখি সবাই হাসি খুশি তে আছে আমি চুপ চাপ করে রুমে চলে গেলাম আর ভাবতে থাকলাম মারিয়া কি ও-ই বাড়িতে গিয়ে সুখে থাকতে পারবে আল্লাহ ভালো জানে মারিয়া আমার রুমে এসে বলে৷
(মারিয়া) ভাইয়া ভাসিটি থেকে চলে আসলে কেন কোনো সমস্যা হয়েছে নাকি৷
(আমি) না এমনে চলে আইছি ভালো লাগে না তাই তুই কি কিছু বলবি৷
(মারিয়া) ভাইয়া শপিংমল যামু যদি তুমি নিয়ে যেতে৷
(আমি) যাওয়া টা কি জরুলি তর৷
(আমি) না মানে মার্কেটে একটা নতুন থ্রী পিচ আইছে ওই টা আমার ভালো লাগছে তাই বলছি ভাইয়া৷
(আমি) যা তুই রেডি হয়ে আয় আমি গাড়ি নিয়ে বের হচ্ছি বলে মারিয়াকে পাঠিয়ে দিলাম তার রুমে আমি গাড়ি নিয়ে রেডি হলাম আর গাড়ি তে ২ টা হন বাজালাম যাতে মারিয়া বুঝতে পারে যে গাড়ি নিয়ে বসে আছি কিছু খন পরে মারিয়া আসলে আমি মারিয়া কে নিয়ে শপিংমলে গেলাম মারিয়া ঘুরে ঘুরে অনেক দোকান দেখলে বাট মারিয়া খুজে পাচ্ছে না তার পছন্দ থ্রী পিচ টা অনেক দোকান দেখার পরে একটা দোকানে পেলে বাট দাম চায় অনেক বেশি৷
(মারিয়া) চলে ভাইয়া থ্রী পিচ কিনমু না অনেক দাম চায় তারা ৷
(আমি) তে কি হয়েছে টাকা কি তর কাছে নাই হুম ৷
(মারিয়া) আছে বাট দাম তে বেশি৷
(আমি) তে কি হয়েছে কিনে নে বলে দোকানদার কে বললাম যে থ্রী পিচ টা পেকেট করে দিতে দোকানদার পেকেট করে দিলে আর মারিয়া টাকা দিয়ে দিলে আমি মারিয়া কে নিয়ে একটা রেস্টুরেন্টে গেলাম হ্মুদা লাগছে আমি খাবার অডার দিলাম কিছু তখন পরে খাবার আসলে আমি মারিয়া কে বলাম আগে তুই খা পরে আমি খাচ্ছি ৷
(মারিয়া) কেন ভাইয়া আগে তুমি খাও৷
(আমি) ওকে খাচ্ছি তুই ওওওও খা বলে আমি প্রথম খাবার খেলাম তার পরে মারিয়া খাবার খেয়ে বিল দিয়ে বাসা চলে আসলাম মারিয়া তার রুমে পাঠিয়ে দিলাম আমি আমার রুমে চলে আসলাম ফোন টা বেজে উঠলে দেখলাম জান্নাতুল কল দিছে রিসিভ করলাম ৷
(জান্নাতুল) কি রে কি করিস ৷
(আমি) কিছু করি না তুই কি করিস
(জান্নাতুল) খাবার খামু এখন৷
(আমি) ওকে যা আগে খেয়ে আয়৷
(জান্নাতুল) মন খারাপ নাকি তর হুম
(আমি) না মন খারাপ হবে কেন ৷
(জান্নাতুল) আচ্ছা পরে কথা বলি বায় নিজের খেয়েল রাখিস তুই৷
(আমি) হুম তুই ওওওও রাখিস আচ্ছা আমার বন্ধু কি খবর বলতে৷
(জান্নাতুল) আকাশ ভালো আছে৷
(আমি) সময় জন্য আকাশের সাথে কথা বলতে পারি না ৷
(জান্নাতুল) আচ্ছা রাখি রে ভালো থাক৷
(আমি) ওকে বলে ফোন টা রেখে দিলাম কিছু খন পরে আব্বু আসলে এসে আমাকে ডাকলে আমি নিচে গেলাম তখন আব্বু বলে৷
(আব্বু) মারিয়া হবু শশুরের সাথে আজকে কথা হয়েছে আগামী মাসে ৫ তারিখে মারিয়া বিয়ে ঠিক করা হয়েছে তুই কি বলিস৷
(আমি) তোমরা যা ভালো মনে করে তাই করে৷
(আব্বু) কি রে আজকে ভাসিটিতে কি সমস্যা হয়েছে তর হুম৷
(আমি) তেমন কিছু না৷
(আব্বু) আমি কিন্তু সব শুনছি তর প্রিন্সিপাল এত সাহস আসলে কোথায় থেকে হুম আমার নাম টা বলতে পারলি না দেখতি তর প্রিন্সিপালের অবস্থা খারাপ হয় যেতে৷
(আমি) আব্বু তুমি জানে যে আমি হ্মমতা দাপট দেখিয়ে চলি না আর যা হয়েছে সব মিটে গেছে৷
(আম্মু) কি হয়েছে আদি ভাসিটিতে আমাকে বলে৷
(আমি) আম্মু তেমন কিছু না বলে উপরে চলে আসলাম রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে একটা ঘুম দিলাম ৪ টা বাজে ঘুম থেকে উঠলান উঠে জান্নাতুল কে কল দিলাম যে রেডি হয়ে থাক তাকে নিয়ে ঘুরতে যামু আমি গাড়ি নিয়ে আসছি বলে কেটে দিলাম ফ্রেশ হয়ে শ্যাট পেন্ট আব্বু রুমে গেলাম ৷
(আব্বু) কিছু বলবি আদি৷
(আমি) না মানে আব্বু তোমার গাড়ি টা একটু লাগবে আমার৷
(আব্বু) আমাকে বলার কিছু নাই নিয়ে যা গাড়ি টা চাবি টা ওই যে ওখানে ৷
আমি চাবিটা নিয়ে আব্বু রুম থেকে চলে আসলাম আর গাড়িটা নিয়ে সুজা জান্নাতুলের বাসা সামনে চলে আসলাম এসে জান্নাতুল কে কল দিলাম আর বললাম নিচে চলে আসতে ৷ জান্নাতুল নিচে আসলে আমি জান্নাতুল কে গাড়িতে উঠে বললাম জান্নাতুল গাড়িতে উঠে আর বলে কোথায় যাবি আমি বললাম একটা যায়গা যামু তুই আমার সাথে এখন ওই যায়গা যাবি বলে আমি গাড়ি নিয়ে চলে গেলাম আমার গন্তব্য জান্নাতুল দেখে বলে আরে আদি আমরা এখানে আসলাম কেন এ-ই টা তে হলে........... জানি না কেন জানি বার বার ডিলেট হয় যায় গল্প লেখার পরে তাই ঠিক সময় গল্প পোষ্ট করতে পারি না.........
চলবে...
Writer:- পিচ্চি ছেলে আদি