> ছদ্মবেশি কোটিপতি পর্ব ২৫, ২৬, ২৭ | Bangla Best Story | Bangla Thriller Story | Bangla New Story
-->

ছদ্মবেশি কোটিপতি পর্ব ২৫, ২৬, ২৭ | Bangla Best Story | Bangla Thriller Story | Bangla New Story

এ-ই বিয়ে হলে মারিয়া সুখে থাকতে পারবে না আমি চাই না যে মারিয়া কষ্ট থাক তাই বিয়ে টা বন্ধ করতে হবে এখন আমাকে কি যে করমু কিছু বুঝতে পারছি না আমার মাথা টা গরম হয় আছে মারিয়া কে আজকে মারছি আমি........

(জান্নাতুল)  তুই শুধু শুধু জান্নাতুল কে মারছেত সে তে ইচ্ছা করে মারে নাই ৷ 

(আমি)  হুম কি করমু মাথা গরম হলে যা হয় আর কি রাগের বসে ওকে আমি মারছি আমার রাগ উঠলে রাগ কন্ট্রোল করতে পারি না তখন আমি কিছু একটা করে বসি (সত্যি সত্যি রাগ আমি কন্ট্রোল করতে পারি না মুখ দিয়ে যা আসে তাই বলে ফেলাই আর হাতে কাছে যা থাকে তা দিয়ে মারা মারি করে ফেলি) ৷ 

(জান্নাতুল)  তুই যা বলিস না কেন মারিয়া কে মারা তর ঠিক হয় নাই আদি  তুই মারিয়া কে সরি বলবি এখন যা৷ 

(আমি)  হুম তাই করতে হবে যে বোন কে ফুলে আচল লাগতে দেই নাই সে বোনকে আমি আজ কে মারলাম সত্যি  আমি এ-ই টা চাই নাই এখন আমার অনেক কষ্ট হচ্ছে  আচ্ছা রাখি পরে কথা বলমু বলে কেটে দিলাম মুখে ঠান্ডা পানি দিলাম মুখ টা মুছে খাটে বসলাম তখনি মারিয়া আামর রুমে আসলে ৷ 

(মারিয়া)  এ-ই নেও আংটি টা ভাইয়া কান্না করতে করতে ৷ 

(আমি) তুই কান্না করছিস কেন আচ্ছা সরি মারিয়া আমাকে হ্মমা করে দে  আর কান্না করিস না তুই৷ 

(মারিয়া)  তুই সরি বলছে কেন সরি তে আমি বলমু  ৷ 

(আমি)  মারিয়া আমার ভুল হয়েছে তকে মারা টা আর তুই তে জানিস যে আমার মাথা গরম হলে আমি কিছু একটা করে বসি আর যখন দেখলাম ওই ছেলে সাথে তখন আমার মাথা টা গরম হয় যা৷ মারিয়া বোন আমার  ওই পরিবার টা ভালো না তুই ও-ই পরিবারে গেলে তুই কখন সুখি হতে পারবি না ৷ আর সাগরের যে বোন টা আছে সেই মেয়ে টা অনেক খারাপ সে তকে কখন সুখে থাকতে  দিবে না   তাই আমি বিয়ে টা আমি বন্ধ করে  দিচ্ছি  তুই লেখা পড়া কর এ-র থেকে ভালো ছেলে পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ ৷ 

(মারিয়া) ভাইয়া বিয়া করার আমার কোনো ইচ্ছা নাই আর আব্বু বলছে বলে আমি ওদের সাথে গেছি আমি আব্বু কে কষ্ট দিতে পারমু না ভাইয়া আর এখানে আংটি টা দেওয়া আছে তুমি আব্বু আম্মু কে দিয়ে দিবে৷  

(আমি)  মারিয়া তুই কি এখন আমার উপর অভিমান করে আছিস বোন৷ 

(মারিয়া) না ভাইয়া তুমি তে আমার ভালো জন্য মারছে  ভাইয়া৷ 

(আমি)  মারিয়া তুই কিন্তু আমাকে অপরাধি বানিয়ে দিচ্ছি  আচ্ছা যা কানে ধরছি আমি  এ-ই দেখ কানে ধরে উঠ বস করছি দেখলাম মারিয়া একটু হাসলে ৷  

(মারিয়া) হয়েছে আর নাটক করতে হবে না আমি গেলাম৷ 

(আমি) ওকে যা  এখন একটু শান্তি লাগছে একটু রেস্ট নিলাম মাথা টা ঠান্ডা হয়েছে কিছু খন পরে আব্বু রুমে গেলাম  ৷ 

(আব্বু)  কিছু বলবি  ৷ 

(আমি)  হুম বলমু এ-ই নেও আংটি৷  

(আব্বু)  আংটি মানে তুই কি মারিয়া হাতে থেকে এ-ই আংটি টা খুলে রাখছিস ৷ 

(আমি)  না মারিয়া নিজে আংটি টা আমাকে দিয়ে গেছে৷  

(আব্বু)  মারিয়া ওই মারিয়া৷ 

(মারিয়া) জি আব্বু আসছি জি বলে আব্বু ৷ 

(আব্বু) তুই কি আদি হাতে আংটি খুলে দিছেত নাকি আদি জোড় করে খুলছে (রাগি গলা বলে) ৷ 

(মারিয়া) না আব্বু আমি আংটি খুলে ভাইয়া হাতে দিছি৷  

(আব্বু)  কেন ছেলে কি তোমার পছন্দ হয় নাই সুজা প্রশ্ন উত্তর দিবা আমার সাথে৷   

(মারিয়া) না মানে ভাইয়া যা বলবে তাই হবে  ভাইয়া কে কষ্ট দিতে আমি পারমু না৷ 

(আব্বু) তর সমস্যা টা কই একটু বলবি ওদের পরিবার টা অনেক ভালো৷ 

(আমি)  মারিয়া তুই উপরে যা বলে মারিয়া কে পাঠিয়ে দিলাম আর বললাম আমি ওদের পরিবার টা কে চিনি আর তোমার বন্ধু মেয়েটা কে খুব ভালো করে চিনি সে কেমন মেয়ে ওই মেয়ে মারিয়া কে সুখে থাকতে দিবে না৷ 

(আব্বু), ওই৷ 

(আমি)  কি এ-ই ভাবে  হ্যা তাকিয়ে আছে কেন৷ 

(আব্বু)  তুই কি করে চিনলি৷ 

(আমি)  তোমার বন্ধু মেয়ে আমার সাথে পড়ে আর অনেক অহংকারি আর ঝগড়াতে৷  

(আব্বু)  আমি বুঝতে পারছি বাট কি বলমু ওদের কে৷ 

(আমি)  যা মন চায় তাই বলে দেও৷ 

(আব্বু)  ওকে দেখি কি করা যায়৷ 

আমি বললাম ওকে বলে চলে আসলাম সুজা ছাদে চলে গেলাম গিয়ে চার দিগে তাকালাম দেখলাম আমার কাছে অনেক সুন্দর লাগছে দেখতে দেখতে সন্ধ্যা হয়ে চলে আসলে হটাৎ করে মেঘ কন্যা ফোন আমি ফোন টা রিসিভ করলাম ৷ 

(মেঘ কন্যা) কি করেন  ৷ 

(আমি)  আকাশ দেখছি তুমি কি করে৷ 

(মেঘ কন্যা)  সেইম আমি ওও বাট হাতে এককাপ কফি আছে সাথে৷ 

(আমি) ভালো আচ্ছা  তোমার সাথে দেখা করতে সত্যি আমার মন চাইছে প্লিজ আসে আমরা দেখা করি ৷ 

(মেঘ কন্যা)  এত তারা হুরা কেন ওয়েট করে দেখাতে অবশ্য হবে বাট তখন চিনে নিতে হবে আমাকে ৷ 

(আমি)  যদি না চিনি তাহলে কি হবে৷  

(মেঘ কন্যা)  তখন আর কিছু করার থাকবে না আমার৷ 

(আমি)  না না না এ-ই টা বলবেন না প্লিজ ৷ 

(মেঘ কন্যা)  আরে আপনে এমন করছেন কেন আমি আপনের কি হয় যে আমাকে দেখতে হবে আমার সাথে কথা বলতে হবে৷  

(আমি)  জানি না বাট তোমার সাথে কথা বলতে আমার ভালো লাগে৷  

(মেঘ কন্যা)  ওমা তাই নাকি৷ 

(আমি)  হুম তাই৷ 

(মেঘ কন্যা) আচ্ছা বায় আব্বু আসছে৷ 

আমি বলাম ওকে বায় তারপরে ফোন টা কেটে দিলাম চার টা দেখতে থাকলাম ছাদ থেকে   সূর্য ডুবে যাচ্ছে আকাশ টা অন্ধকার হয়ে আসছে আমি ছাদ থেকে নিচে নেমে আসলাম ৷ নিচে এসে দেখি বাসা সবাই চুপ চাপ আমি আম্মু পাসে বসলাম বাট আম্মু আব্বু আমার দিগে তাকা না তাই আম্মু সামনে থেকে রিমোট টা নিয়ে আমি টম এন্ড জেরি লাগিয়ে দিলাম আমি নিজে নিজে হাসতে থাকলাম  কিছু খন পরে দেখলাম আব্বু আম্মু মুখে ওওওও হাসি আসলে কাটুন মানুষের মন মুহূর্তে মধ্যে ভালো করে দিতে পারে যদি সেই টা বিরক্ত কর মনে না হয়৷ 

(আব্বু)  আদি আর একটা বার ভেবে দেখ বাবা ছেলেটা সত্যি খুব ভালো হয়তো আমার বন্ধু মেয়ে টা একটু তেরে বাট আমার বন্ধু ওওওও তার  স্ত্রী  খুব ভালো আদি৷  

(আমি)  হুম তোমার বন্ধু ভালো বাট যত দিন আছে তত দিন আমার বোনের জীবন টা নরক করে দিবে আমি চাই না কেউ আমার বোন কে কষ্ট দেখ বিয়ে বন্ধ মানে বন্ধ আর এ-ই বিষয় নিয়ে আমি কথা বলতে চাই না আব্বু ৷ 

(আম্মু)  এখন কি করে তর আব্বু ওদের কে আংটি ফিরিয়ে দিবে বল একটা মান সম্মানের বেপার আছে না বল একটু বুঝা চেষ্টা কর বাবা৷ 

(আমি)  আমি রুমে যাচ্ছি কাল ভাসিটিতে যেতে হবে৷ 

(আম্মু)  আদি ভেবে দেখ তর বাবা সম্মান টা নষ্ট হয় যাবে৷ 

আমি কোনো কথা জবাব না দিয়ে চলে আসলাম রুমে এসে পড়তে বসলাম ১০ মিনিট পড়ার পড়ে আর মন বসে না আমার তাই আবার  ফোন টা হাতে নিয়ে গেইম খেলতে শুরু করে দিলাম কখন যে ১০ টা বেজে গেছে বলতে পারছি  না৷  আম্মু এসে ডেকে গেলে খাবার খেতে আমি নিচে গেলাম সবাই আমার জন্য অপেক্ষা করছে আমি গিয়ে বসলাম সবাই যার যার মতো করে খেতে লাগলে কেউ আমার সাথে কথা বলছে না তাই আমি প্লেটে খাবার গুলো খেয়ে রুমে চলে গেলাম আর ঘুমিয়ে গেলাম ৮.৪৫ ঘুম ভেঙে গেলে আমি ফ্রেশ হয়ে ভাসিটিতে যাবার জন্য রেডি হয়ে বাসা থেকে বের হলাম আমি বাসের জন্য দাড়িয়ে আছি হটাৎ করে কেউ একজন আমার নাম ধরে আদি বলে ডাক দেয় আমি পিছনে থাকি তে অবাক কারন সে ছিল..............  গল্প আমি গত কাল লেখছি বাট পোষ্ট করার সময় কি থেকে কি হয়েছে বুঝতে পারছি না আর পোষ্ট ওওওও হয়  নাই সরি গল্প টা ঠিক সময় দিতে পারি নাই.........




রুমে চলে গেলাম আর ঘুমিয়ে গেলাম ৮.৪৫ ঘুম ভেঙে গেলে আর করে কেউ একজন আমার নাম ধরে আদি বলে ডাক দেয় আমি পিছনে থাকিয়ে তে অবাক কারন সে ছিল..............

পিছনে তাকিয়ে তে আবাক কারন আমার পিছনে ছিল সাগর ভাই আমি দাড়িয়ে গেলাম আরও বলাম আপনে এখানে কেন আর আমাকে ডাকছেন কেন তখন সাগর ভাই বলে৷ 

(সাগর ভাই)  আদি ভাই আপনের সাথে একটু কথা ছিল  যদি আপনের হাতে সময় থাকে তাহলে কোনো একটা কফি শাপে বসে কফি খেতে খেতে কথা বলি৷ 

(আমি)  আমার হাতে তেমন কোনো সময় নাই এখন আমাকে যেতে হবে যা বলার এখানে বলেন ৷ 

(সাগর ভাই) আচ্ছা আদি ভাই আমি কি দেখতে এত টা খারাপ৷  

(আমি)  এ-ই কথা বলার জন্য আমাকে এখানে দাড় করাইছেন আপনের বাসা আয়না কি নাই নাকি হুম আয়না সামনে দাড়িয়ে দেখেন আপনে কেমন সুন্দর না কালো ৷ 

(সাগর ভাই) আদি ভাই আপনে শুধু শুধু রেগে যাচ্ছেন আপনে শুধু শুধু বিয়ে টা ভেঙে দিছেন আংকেল রাতে আব্বু কে কল দিয়ে বলে দিছে যে বিয়ে টা হবে না আমার ছেলে রাজি না  কি কারনে বিয়ে টা ভাঙছেন একটু বলবেন৷ 

(আমি)  কারন টা আপনের না জানলে ওওওও চলবে এখন আপনে আসতে পারেন৷ 

(সাগর ভাই) কারন টা বলে ভালো হয় ভাই আর আমি আপনের বোনকে সুখে রাখমু সত্যি বলছি ভাইয়া বিশ্বাস করেন প্লিজ বিয়ে টা ভেঙে দিয়েন না ভাইয়া৷ 

(আমি)  আমার ভাসিটি সময় হয় গেছে আমাকে যেতে হবে বলে আমি চলে আসলাম আর একটা বাস কে হাতের ইশারা দাড় করালাম আমি বাসে উঠে গেলাম পিছনে আর তাকালাম না কিছু খন পরে বাস চলে আসলে ভাসিটি সামনে আমি ভাড়া দিয়ে নেমে গেলাম ভাসিটি গেইট দিয়ে যে ডুকমু ঠিক তখনি একটা অঘটন ঘটলে ৷  যেই ডুকলাম ঠিক তখনি একটা মেয়ে সাথে আমার ধাক্কা লাগে আর মেয়ে টা আইসক্রিম খাচ্ছিল  মেয়েটা নিচে পড়ে যায় আইসক্রিম টা মেয়েটা কাপর টা লেগে পুরা নষ্ট করে দিলে আমি মেয়ে টা কে নিচে থেকে তুলে সরি বললাম তখন মেয়ে টা৷ 

(মেয়েটা) কোনো কথা না বলে ঠাস ঠাস ঠাস করে কয়েক টা থাপ্পড় বসিয়ে দিলে৷ 

(আমি)  গালে হাত দিয়ে দাড়িয়ে থাকলাম তখন কোথায় থেকে জেনে আদিবা আসলে থাপ্পড় মারা টা দেখছিল ৷ 

(আদিবা) এসে কোনো কথা নাই ওই মেয়ে টা কে ওওওও কয়েক টা থাপ্পড় বসিয়ে দিলে৷ 

(মেয়ে টা) আমাকে মারা সাহস কোথায় পেলে তুই  জানি আমি কে তর কি করতে পারি৷ 

(আদিবা) আগে বল তুই ওকে চর মারলি কেন তুই কে সেই টা আমার জানার বিষয় না৷ 

(মেয়ে)  সে আমাকে ধাক্কা মেরে নিচে ফেলাই দিছে আর আমার আইসক্রিম দিয়ে আমার কাপর টা নষ্ট করে দিছে এখন কি আমার এ-ই কাপরের দাম টা কি সে দিবে পাঁচ হাজার টাকা আর দিবে বা কোথায় থেকে যে না তার পরনের কাপর সে দিবে কোথায় থেকে৷ 

(আদিবা) চুপ একি বারে চুপ আর একটা কথা ওওওও বলবি না তুই বলে ব্যাগ থেকে পাঁচ হাজার টাকা বের করে তখন আদিবা বন্ধুরা বলে৷ 

 এ-ই আদিবা এই কি করছিস আদি তে তর শক্র আর আদি উপর তে তর অনেক প্রতিশোধ নেওয়া কথা তুই কি ভুলে গেছেত সেই দিনের কথা যে দিন তর গাড়ি টা ভেঙে দিছিলে আজ তুই তার উপকার করছিস৷ 

(আদিবা) চুপ কর তর আর এ-ই নেন আপনের টাকা আর সরি বলেন তাকে৷  

(মেয়ে)  সরি বলতে পারমু না আর সরি বা কেন বলমু দোষ টা ছিল ওর আমার না৷ 

(আদিবা) দোষ টা তর ওওওও ছিল কারন ধাক্কা কিন্তু সে একা খায় নাই তুই ওওওও ধাক্কা তার সাথে খাইছেত তাই সরি বল এখন৷

(আমি)  থাক সরি বলতে হবে আপনে চলে জান এখান থেকে   ধাক্কা খাওয়া মেয়ে কে বললাম ৷ 

(আদিবা) ওই মেয়ে থাম কোথাও যাবি না ধাক্কা জন্য তুই ওকে থাপ্পড় দিছেত আচ্ছা ও না হয় না দেখে ধাক্কা খাইছে বাট তুই তে দেখে খাইছেত তাহলে ওর থেকে তর বেশি দোষ বলে ঠাস ঠাস করে দিলাম ৷ 

(মেয়ে) আমাকে আবার মারলে ওই ফকিন্নি পুলা জন্য৷  

(আদিবা) ঠাস ঠাস চুপ মানে চুপ ফকিন্নি কে হুম আর একবার ফকিন্নি বলবি তর খবর আছে এখন সরি বল না হলে কিন্তু অন্য কিছু করে বসমু তর হ্মতি পূরন তকে দিয়ে দিছি  

 সরি মেয়ে টা গালে হাত দিয়ে চলে যাচ্ছে আর বলছে তদের কে আমি দেখে নেমু কাউকে ছাড়মু না বলে চলে গেলে আমি তে  আদিবাকে দেখে অবাক এ-ই কি সেই অাদিবা যে আমাকে ফকিন্নি আর ছোট লোক বাদে কোনো কথা বলতে না ৷ 

(আদিবা) কি হুম এমন করে তাকিয়ে আছে কেন৷  

(আমি)    ধন্যবাদ  তোমাকে ৷ 

(আদিবা) ধন্যবাদ দিতে হবে না আমরা কি ফ্রেন্ড হতে পারি তখন পিছন থেকে জান্নাতুল বলে ৷  

(জান্নাতুল)  না কখন না তোমাকে ফ্রেন্ড বানানে মানে হলে আমাদের বিপদ  চাই না তোমার মতো ফ্রেন্ড ৷ 

(আদিবা) আমি সত্যি বলছি তোমাদের কোনো হ্মতি করার জন্য ফ্রেন্ড হতে আসি নাই৷

(আমি)  জান্নাতুল আদিবাকে একটা চান্স দেওয়া যাক অন্ততপক্ষে ৷ 

(জান্নাতুল)  আদি তুই বুঝতে পারছিস না তুই বোকা তাই তুই বলছিস দেখিস একটা সময় না এক সময় সে প্রতিশোধ নিবে ৷  

(আদিবা) এ-ই টা ঠিক যে আমি  প্রতিশোধ নিতাম আর  তোমার হ্মতি সব সময় চাইতাম বাট ওই দিন৷ 

(জান্নাতুল)  ওই দিন কোনো দিন কি হয়েছিল ওই আদি আমাকে তে কিছু বলিস নাই আদিবা সাথে আবার তর কি হয়েছিল ৷ 

(আদিবা) ওয়েট ওয়েট বলছি ওই দিন ছিল সোমবার সময় ১০. বা ১০.৩০ হবে  আমি গাড়ি ব্রকফিল করে আর এক্সদেন করি তার পরে আর আমার কিছু মনে নাই যখন ঙ্গান ফিরে তখন দেখলাম আমার পাশে আব্বু  আমি এখানে কেমনে আসলাম আব্বু কাছে জানতে চাইলে আব্বু সব বলে যে তুমি আমাকে হাসপাতালে আনছে আর রক্ত ওওওও নাকি তুমি দিছ তার পরে থেকে তোমাকে খুঁজছি শুধু সরি বলার জন্য৷ 

(জান্নাতুল)  বাহ বাহ বাহ ভালো তে আদি এত কিছু হয় গেলে আর আমি জানি না৷ 

(আমি)  আসলে তকে জানালে তুই রেগে যাবি বলে জানাই নাই  বলে আমার পকেট থেকে মানি ব্যাগ টা বের করে আর পাঁচ হাজার টাকা আদিবা কে দেই তখন আদিবা৷ 

(আদিবা) আরে না না টাকা লাগবে না আমার তুমি রেখে দেও৷ 

(আমি)  সরি আমি কারো কাছে ঋিন থাকতে চাই না৷ 

(আদিবা)  আরে ঋিনের কথা আসলে কোথায় থেকে যদি ঋণের কথা আসে তাহলে তোমার রক্তে দাম আমি কি করে দেমু আদি৷ 

(আমি)  যদি টাকা টা নেন তাহলে আমি খুশি হমু৷ 

(আদিবা) টাকা টা তোমার কাজে লাগলে তুমি রেখে দেও আদি৷  

(জান্নাতুল)  ওয়েট আদিবা আদি তোমাকে টাকা দিতে চাইছে তুমি নেও আর ওর টাকা লাগবে না আর যদি লাগে আমরা তে আছি তাই না৷ 

আদিবা বলে আমরা ওকে টাকা টা আমি নিলাম ফ্রেন্ড ওকে আমি বললাম ওকে চলে সবাই ক্লাসে যাই সময় হয় গেছে বলে ক্লাসে গেলাম আমাকে আর আদিবাকে দেখে ক্লাসে সবাই একটু অবাক হলে বাট তার বান্ধবীরা খুশি না৷ আমি গিয়ে আমার জায়গা বসলাম আর আদিবা জান্নাতুল এক সাথে বসলে ওরা এমন ভাবে কথা বলে মনে হয় ওদের আগে থেকে পরিচয় ছিল ওদের কথা শেষ হয়ে না এ-র মধ্যে স্যার আসলে আর সাথে ওই মেয়ে টা ওওওও ছিল যার সাথে ঝগড়া করছি মনে হয় স্যার এ-র কাছে বিচার দিছে এমনে কোনো স্যার আমাকে দেখতে পারে না এ-র মধ্যে স্যার বলে এমন কথা উঠলে তা শুনে তে অবাক হলাম কারন স্যার বলে........




এমন ভাবে কথা বলে মনে হয় ওদের আগে থেকে পরিচয় ছিল ওদের কথা শেষ হয়ে না এ-র মধ্যে স্যার আসলে আর সাথে ওই মেয়ে টা ওওওও ছিল যার সাথে ঝগড়া করছি মনে হয় স্যার এ-র কাছে বিচার দিছে এমনে কোনো স্যার আমাকে দেখতে পারে না এ-র মধ্যে স্যার বলে এমন কথা উঠলে তা শুনে তে অবাক হলাম কারন স্যার বলে........

স্যার বলে এ-ই হচ্ছে লিজা প্রিন্সিপালে মেয়ে ওরা সিলেটে থাকতে কালকে ঢাকা এসেছে আজ থেকে লিজা তোমাদের সাথে পড়বে  বলে স্যার ওকে সামনে সিটে বসালে আর আমি ভাবছি কিছু খন আগে যে অঘটন টা ঘটালাম যদি প্রিন্সিপাল  স্যার  তা জানে তাহলে তে আমাদের অবস্থা খারাপ করে দিবে আর সব থেকে বড় কথা হলে কোনো স্যার আমাকে দেখতে পারে না আমি গরীব বলে এখানে সবাই বড়লোক কিছু খন পরে জান্নাতুল আমার দিগে তাকালে ৷ 

(জান্নাতুল)  চোখে ইশারা আমাকে বুঝালে যে এখন কি হবে৷ 

(আমি)  জানি না কি হবে এ-র মধ্যে লিজা সাথে অনেকে পরিচয় হয় নিলে আমি আদিবা জান্নাতুল বাদে সবাই ওর সাথে পরিচয় হয় নিলে   আমরা চুপ চাপ করে বসে আছি এ-র মধ্যে স্যার চলে আসলে এসে প্রথমে লিজারটা প্রশংসা করে নিলে তার পরে লেকচার দিতে থাকলে  একে একে সব গুলো ক্লাস শেষ করলাম ভয়ে ভয়ে যদি লিজা বলে দেয় আদিবা তার গালে চর  মারছে তাহলে সবার আগে আমি ফেঁসে যামু কারন ঝগড়া টা আমার জন্য শুরু হয়েছে  ক্লাস শেষ করে বের হতে যামু দরজা দিয়ে কে জানি আমাকে লেগ মেরে আরেক টা মেয়ে উপর ফেলায়৷ 

(মেয়ে)   মেয়ে  আমাাকে চর মেরে বসে সবার সামনে আর লুচ্ছা বলতে থাকে আর বলে মেয়ে দেখলে গায়ে হাত দিতে মন চায় না ছোটলোক কোথাকার দেখে তে বখাটে মনে হয়৷  

(আমি)  দেখ উল্টা পাল্টা কথা বলবা না আমি ইচ্ছা করে তোমার গায়ে হাত দেই নাই৷  

(মেয়ে) ওমা তাই নাকি তাহলে কেন দিছিলি আমার গায়ে হাত হুম ৷ 

(আমি) কে জেনে আমাকে পিছন থেকে লেগ মারছে আর আমি সামনে পড়ে যাই আর তোমার গায়ে আমার হাত পড়ে নিজেকে বাচাতে গিয়ে৷ 

(মেয়ে) মিথ্যা বলার আর জায়গা পাস না হুম৷ 

(আদিবা) ওই চেমরি তুই তর চরিত্র যে কেমন তা সবাই জানে ৷ 

(মেয়ে) ওমা গো আইছে আরেক জন যে কিনা এত দিন  এ-ই ছোটলোকে মারার জন্য পাগল ছিল এখন আবার তার পহ্ম নিয়ে কথা বলতে আইছে যা এখান থেকে৷ 

(জান্নাতুল)  ওই মেয়ে তোমার কথা গুলো ঠিক করে বলে আর আদি এমন ছেলে না যে মেয়েদের গায়ে হাত দিবে সে এখন পযন্ত কোনো মেয়ে দিগে ওওওও তাকাই নাই আর তুমি তাকে এ-ই ভাবে অপমান করতে পারে না৷ 

এ-র মধ্যে প্রিন্সিপাল স্যার চলে আসলে আমাদের ঝগড়া মধ্যে এসে বলে কি হয়েছে এখানে তখন লিজা বলে আব্বু এ-ই ছেলেটা ওই মেয়ে সাথে খারাপ কিছু করতে চাইছিল তাই এ-ই নিয়ে ঝগড়া করতাছে আব্বু ৷ 

(প্রিন্সিপাল)  কি এ-ই ছেলে যা বলছে তা কি সত্যি নাকি 

(আমি)  আমি কিছু বলতে যামু এ-র মধ্যে ওই মেয়ে টা৷ 

(মেয়ে)  স্যার সব সত্যি এ-ই ছেলে আমার সাথে লুচ্চামি করতে চাইছে বলে কেঁদে দিলে ৷ 

(প্রিন্সিপাল) মামনি তুমি কেঁদে না প্লিজ আমি তার বিচার করছি বলে আমাকে স্যার সবার সামনে ২ টা চর  মারে আর বলে এখন তুমি সবার সামনে ওকে সরি বলে৷ 

সবাই শুধু মেয়েটা কান্না টা দেখলে এ-র মধ্যে যে কতটুকু সত্যি তা শুধু আমি আর মেয়ে টা জানি  আমি সবার সামনে মেয়েটাকে বললাম জানি না দোষ টা কার বাট তার পরে ওওওও আমি সরি বললাম৷  আর চুপ চাপ চলে আসলাম  আদিবা আর জান্নাতুল আমাকে পিছন থেকে ডাকা ডাকি করছে বাট আমি কোনো কিছু  না শুনে চলে আসলাম বাসা রাগে আমার মাথা আগুন জ্বলে ফ্রেশ হতে বাথরুমে চলে গেলাম গিয়ে মাথা ঠান্ডা পানি দিলাম মাথা টাকে ঠান্ডা করার জন্য গোসল শেষ করে নিচে খেতে গেলাম গিয়ে দেখি খাবার বারা আছে আমি  আম্মু কে ডাক দিলাম৷  

(আম্মু)  কি হয়েছে হুম ষারের মতো চিল্লাছিস কেন ৷ 

( আমি)  রাগে তে মাথা একি গরম হয় আছে তার উপরে আবার আম্মু এসে আমাকে রাগিয়ে দিলে আমি কিছু না বলে খাবার গুলো ফেলে দিলাম আর উপরে চলে আসলাম আমি ষারের মতো চিল্লাই না বলে ৷ 

(আম্মু)  খাবার গুলো কি দোষ করছে এ-ই গুলো কেন ফেলাইছেত হুম৷ 

আমি কোনো কিছু উওর না দিয়ে রুমে চলে আসলাম ঘুমানো চেষ্টা করছি বাট হ্মুদা ঘুম ওওওও আসে না কি করা যায় রাগে বসে খাবার গুলো ফেলে দেওয়া উচিত হয় নাই৷ যাই হোক এখন আমার ঘুম ছাড়া উপায় নাই এক পাস থেকে অন্য পাসে যাই  আস্তে আস্তে করে আমার ঘুম চলে আসলে৷  যখন আমার ঘুম ভেঙে তখন আর আমি ঘুম থেকে উঠে পারছি না কারন হ্মুদা আমার অনেক লাগছে আর হ্মুদা লাগলে আমার মাথা ঠিক থাকে না আমি তারা তারি করে হাত মুখ ধুয়ে প্যান্ট শাট পরে বাসা থেকে বের হলাম দেখলাম আম্মু নিচে বসে আছে আমি বাহিরে আসছি দেখে ওওওও কিছু  বলে নাই আমাকে ৷ বাসা থেকে বের হয়ে একটা রিকশা নিয়ে একটা রেস্টুরেন্টে সামনে গেলাম আর রিকশা মামা ভাড়া দিয়ে রেস্টুরেন্টে ভিতরে গেলাম খাবার অডার দিলাম তারা তারি করে অনেক গুলো খাবার চলে আসলে আমার খাবার দেখে আরে বেশি হ্মুদা লেগে গেলে খাবার পেয়ে ইচ্ছা মতো খাবার খেলাম এখন খাবার  খেয়ে তে আরেক সমস্যা     খেয়ে তে এখন আর উঠে পারছি না বেশি খেয়ে ফেলাইছি না কোনো মতো করে বিল টা দিয়ে আমি একটা রিকশা নিয়ে বাসা আসলাম আর রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে সুয়েক পরলাম তখন ফোন টা বেজে উঠলে দেখলাম মেঘ কন্যা কল দিছে৷  

(মেঘ কন্যা)  কেমন আছে৷ 

(আমি)  আলহামদুলিল্লাহ ভালো তুমি৷  

(মেঘ কন্যা)  আলহামদুলিল্লাহ ভালো  কি করেন৷  

(আমি)   সুয়েক আমি তুমি৷  

(মেঘ কন্যা)  আমি ছাদে দাড়িয়ে বিকালের সুন্দরযৌ উপভোগ করছি৷ 

(আমি)  ভালো তে আচ্ছা আমি ফোন টা রাখি কেমন৷  

(মেঘ কন্যা)  কেন আমার সাথে কথা বলতে ভালো লাগে না তোমার৷ 

(আমি)  আরে না না ভালো লাগে বাট আমার একটু ঘুম পাইছে তাই বলছিলাম৷ 

(মেঘ কন্যা)  ওওওও আচ্ছা আপনে ঘুমান ৷ 

(আমি)  হুম বলে কেটে দিলাম আমার পেটে ব্যাথা করছে বেশি খাওয়া ফলে আর জীবনে ওওওও বেশি খামু না এ-ই কানে ধরলাম আমি   বলে এপাস ওপাস করতে থাকলাম দেখলাম আস্তে আস্তে করে পেটের ব্যাথা ভালো হচ্ছে আমি ছাদে গেলাম দেখলাম মারিয়া ছাদে আমি মারিয়া কাছে গেলাম৷ 

(মারিয়া) ভাইয়া তুমি ছাদে৷ 

(আমি)  হুম আমি ছাদে আচ্ছা বলতে তুই কি আমার সাথে কোনো কারনে রাগে আছিস  মারিয়া বলতে ৷ 

(মারিয়া)  না তে ভাইয়া কেন তোমার এমন মনে হল৷ 

(আমি)  আগে তে আমার সাথে কথা বলতি সব সময় খাবার খেতে আমাকে না দেখলে আমার রুমে আসতি আমার সাথে ঝগড়া করতি এখন তে তুই আর এ-ই সব করিস না আমার ওওওও ভালো লাগে না আর ওই দিগে আব্বু আম্মু ওওওও আমার সাথে ঠিক মতো কথা বলে না আমার এখন একা একা লাগছে সবাই আচে বাট তার পরে ওওওও আমার কেউ নাই এমন মনে হচ্ছে ৷ 

(মারিয়া)  ভাইয়া ঝগড়া করতে আমার ভালো লাগে না আর তুমি গিয়ে আব্বু আম্মু সাথে সুন্দর ভাবে কথা বলে দেখ ওরা ওওওও তোমার সাথে সুন্দর করে কথা বলবে৷ 

আমি আর কিছু না বলে চার দিগ টা ভালো করে দেখতে থাকলাম আসলে বিকাল টা ছাদ থেকে দেখলে সব কষ্ট ভুলে যাই শুধু চার দিগে প্রকৃতি দেখতে ভালো লাগে কিছু খন ছাদে থেকে আমি নিচে চলে গেলাম আম্মু পাসে বসলাম দেখলাম আমি কোনো কথা বলে না বুঝলাম রাগ করছে৷ আমি বাসা থেকে বের হলাম আর সাগর ভাইয়ের নাম্বার টা যোগার করে ফোন দিয়ে একটা জায়গা আসতে বললাম সে আসলে এসে আমাকে বলে কেন ডাকছি তখন আমি বললাম যে......







চলবে....







Writer:- পিচ্চি ছেলে আদি 



NEXT ARTICLE Next Post
PREVIOUS ARTICLE Previous Post
NEXT ARTICLE Next Post
PREVIOUS ARTICLE Previous Post
 

Delivered by FeedBurner