> ছদ্মবেশি কোটিপতি পর্ব ২২, ২৩, ২৪ | Bangla Best Story | Bangla Thriller Story | Bangla New Story
-->

ছদ্মবেশি কোটিপতি পর্ব ২২, ২৩, ২৪ | Bangla Best Story | Bangla Thriller Story | Bangla New Story

অনেক ঘুম পাইছে স্বপ্ন মধ্যে একটা মেয়েকে দেখতে পেলাম জানি না কে সে বাট তার মাথা চুল গুলো বাতাসে উরাছে তার পিছন টা দেখে আমি একটা অনুভূতি হচ্ছে  জানি না কেন আমি দৌড়ে তার কাছে গেলাম আর তাকে থামতে বললাম সে থেমে গেলে আমি যেই তার সামনে গেলাম তখনি...........
 
(আমি) আমি যেই মেয়েটা সামনে যামু তখনি ঘুম টা ভেগে দিলে আম্মু এসে৷ 

(আমি)   ৯ টা বাজে ভাসিটিতে যাবি না  তুই৷ 

(আমি)  হুম যামু আরে একটু পরে আসতে পারলা না তুমি৷ 

(আম্মু)  হুম পারতাম আরে একটু আগে আসলে পরে না ৷ 

(আমি)  আচ্ছা যাও তুমি আমি আসছি বলে বাথরুমে চলে গেলান  আর ফ্রেশ হয়ে নিচে আসলাম আম্মু নাস্তা দিলে আমি নাস্তা করে বাসা থেকে বের হলাম জান্নাতুল কে ফোন দিয়ে বললাম ভাসিটিতে আসার জন্য  একটা বাস ধরে ভসিটিতে চলে আসলাম দেখলাম আদিবা সামনে দারিয়ে আছে৷ 

(আদিবা) আদি শুনে৷ 

(আমি)  আদিবা কাছে গেলাম তখনি জান্নাতুন৷  

( জান্নাতুল)  আদি এখানে আয়  তুই৷ 

(আদিবা) না আদি যাবে না দরকার হলে তুমি আসে এখানে৷ 

(জান্নাতুল)  আমি তোমার সাথে কথা বলছি না আমি আদি সাথে কথা বলছি তুমি কেন কথা বলছে৷ 

( আদিবা) আদি তুমি বলে পরে কথা বলবে৷ 

(আমি)  সরি আদিবা আমার জান্নাতুল এ-র সাথে কথা বলতে হবে এখন  বলে আমি চলে আসলাম জান্নাতুলের  এ-র কাছে বাট আদিবা এ-র মন টা খারাপ হয় গেছে৷  

(জান্নাতুল)  ওই তকে না বললাম  আদিবা সাথে কথা না বলতে হুম৷  

(আমি)  আমি তে যেতে চাই নাই বাট সে আমাকে ডাকছে আচ্ছা আমার বন্ধু রাতে কখন গেছে ৷ 

(জান্নাতুল)  ১১ টা বাজে য সে চলে গেছে ৷ 

(আমি)  আচ্ছা চল ওই খানে গিয়ে বসি বলে জান্নাতুল কে নিয়ে চলে আসলাম  একটা বসার জায়গা ওই খান থেকে আদিবা কে দেখলাম সে রাগে জ্বলছে রুটির মতো ফুলছে৷ 

(জান্নাতুল)  দেখ না মেয়েটা তর দিগে কেমন করে তাকিয়ে আছে তুই কিন্তু ভুলে আদিবা সাথে কথা বলবি না আবার কোনো না কোনো ভাবে তকে অপমান করবে৷ 

(আমি)  আচ্ছা বাবা আমি তার সাথে কথা বলমু না ওকে   এখন চল সময় হয়েছে ক্লাসে যেতে হবে  বলে জান্নাতুল কে নিয়ে ক্লাসে   ভিতের  আসলাম    এসে আমি আমার সিটে আর জান্নাতুল তার নিজের সিটে আর আদিবা ওওওও আসলে বাট আমার দিগে রাগি ভাবে তাকালে আছে৷ 

আমি  চুপ চাপ অন্য দিগে তাকিয়ে আছি এ-র মধ্যে স্যার চলে আসলে এসে লেকচার দিতে থাকলে একে একে সব ক্লাস করে নিলাম বাট আদিবা আমার দিগে তাকিয়ে থাকে মাঝে মাঝে আমি যখনি তার দিয়ে তাকাই ঠিক তখনি দেখি আদিবা আমার দিগে তাকিয়ে আছে  ৷ (একটা মজার বিষয় হল কোনো স্যার আমাকে দেখতে পারে না কারন আমি গরীব বলে শুধু একটা স্যার আছে যে আমাকে যথেষ্ট ভালোবাসে শুধু আমি এ-ই ভাসিটিতে পড়ছি মাএ মেধ কারনে) ৷ একে একে সব ক্লাস শেষ হয় গেলে ক্লাস থেকে বের হয়ে জান্নাতুল এ-র সাথে করে বের হলাম ভাসিটি থেকে৷ 

( জান্নাতুল)  এ-ই বার তে নিজেকে পরিবর্তন কর ৷ 

(আমি) এ-ই ভাবে থাকতে আমার ভালো লাগে ৷ 

(জান্নাতুল)  আচ্ছা এখন বাসা যেতে হবে বায় রে৷ 

( আ) হুম বলে জান্নাতুল কে বিদায় দিয়ে আমি চলে আসলাম  একটা বাস থেমে আছে আমি গিয়ে উঠে গেলাম কিছু খন পরে বাসা আসলাম কলিংবেল দিলাম  আম্মু এসে দরজা খুলে দিলে আমি ভিতরে আসলাম দেখলাম বাসা টা সুন্দর করে সাজানো ছিল আমি আম্মু কে বললাম কেউ কি আসবে না আম্মু ৷ 

(আম্মু)  হুম আসবে না এসেছিল আমাদের এক আত্মীয় সে চলে গেছে৷  

(আমি)  ওওওও আচ্ছা খাবার দেও টেবিলে  আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি বলে উপরে চলে গেলাম গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিচে আসলাম   এসে দেখলাম আম্মু খাবার দিছে দেখলাম মুরগী মাংস  গরু মাংস এ-ই গুলো আমি খাবার খেয়ে উপরে গেলাম গিয়ে বিছানা সুয়ে পরলাম তখনি মেঘ কন্যা কল দিলে৷ 

(মেঘ কন্যা)  কেমন আছেন৷ 

(আমি)  আলহামদুলিল্লাহ ভালো তুমি৷ 

(মেঘ কন্যা)  আলহামদুলিল্লাহ ভালো৷  

(আমি)  কাল কে রাতে কল টা কাটলে কেন তুমি৷ 

(জান্নাতুল )  এমনে আচ্ছা বায় ভালো থাকেন৷ 

(আমি)  এ-ই শুনে শুনে ৷ 

(মেঘ কন্যা)  কি বলেন৷  

(আমি)  আপনে কি কোনো কারনে আমার সাথে রেগে আছেন৷ 

(মেঘ কন্যা)  না এমন মনে হলে কেন আপনের৷ 

(আমি)  না কাল রাতে যখন শুনছেন আমি একটি পাটিতে আছি তখন সব ঠিক ছিল আর যখন শুনলেন যে একটা মেয়ে জন্মদিন আর নাম জান্নাতুল তখনি মন খারাপ করে কল টা কেটে দিলেন ৷ 

(মেঘ কন্যা)  তে কি করমু বলেন আপনে আর জান্নাতুল মেয়ে টা সাথে কথা বলবেন না৷ 

(আমি)  সে আমার ফ্রেন্ড আর কিছু না৷ 

(মেঘ কন্যা)  ফ্রেন্ড থেকে সব হয় আমি বলছি আর কখন জান্নাতুল এর সাথে কথা বলবেন না মানি না৷ 

(আমি)  দেখ সে আমার ভালো একটা ফ্রেন্ড আরও সে একটা ছেলেকে পছন্দ করে৷  

(মেঘ কন্যা)  ভালো ছেলে টা কি তুমি নাকি৷ 

(আমি)  কি আরে না আমার ফ্রেন্ড কে সে পছন্দ করে আর৷  

(মেঘ কন্যা)  আর কি ৷ 

(আমি)  কিছু না তে কি করেন খাবার খাইছেন আপনে৷ 

(মেঘ কন্যা)  হুম খাইছি আচ্ছা বায় পরে কথা বলমু কেমন৷ 

আমি বলাম হুম বলে কল কেটে দিলে আমি একটু ঘুমানো চেষ্টা করলাম আসতে আসতে আমি ওওওও ঘুমিয়ে গেলাম বিকাল বেলা ঘুম ভেঙে গেলে হাত মুখ ধয়ে নিচে গেলাম দেখলাম আম্মু নিচে সাথে মারিয়া ওওওও আমি নিয়ে গিয়ে আম্মু পাশে বসলাম আর মারিয়া হাতে দিগে তাকিয়ে তে অবাক কারন.........




হাত মুখ ধয়ে নিচে গেলাম দেখলাম আম্মু নিচে সাথে মারিয়া ওওওও আমি নিয়ে গিয়ে আম্মু পাশে বসলাম আর মারিয়া হাতে দিগে তাকিয়ে তে অবাক কারন.........

আমি মারিয়া হাতে দিগে তাকি তে অবাক কারন মারিয়া হাতে একটা ডায়মন্ড এ-র আংটি আমি মারিয়া কে বললাম এত সুন্দর আংটি তুই কোথায় পেলি তুই হুম তখন মারিয়া বলতে যাবে তখনি আম্মু মারিয়া কে থামিয়ে দিলে আর আম্মু বলে৷  

(আম্মু)  আরে তর আব্বু এ-ই টা বাহিরে দেশ থেকে মারিয়া জন্য আনছে তার এক বন্ধু কে দিয়ে৷  

(আমি)  ওওওও খুব সুন্দর লাগছে মারিয়া করে মানাইছে আংটি টা৷ 

(আম্মু)  হুম তুই ঠিক বলছেত ৷ 

(আমি)  মারিয়া কথা বলছে না কেন কি হয়েছে মারিয়া৷ 

(মারিয়া) কিছু না বলে রুমে চলে গেলে৷  

(আমি)  এ-ই মারিয়া শুন কি হয়েছে তর কে শুনে কার কথা আমি মারিয়া পিছু পিছু যেতে থাকলাম যে সিঁড়ি দিয়ে উপর যামু তখনি আব্বু ডাক৷ 

(আব্বু) আদি কালকে কি ফ্রী আছেত বাবা৷ 

(আমি)  জি আব্বু ফ্রী আছি ৷ 

(আব্বু)  কালকে একটু অফিসে যেতে পারবি আমি কালকে বাসা থাকমু তুই অফিসে যাবি৷   

(আমি)  আব্বু আমি তে কিছু বুঝি না তোমার ব্যবসা ৷ 

(আব্বু)  তুই কিছু করতে হবে না তুই অফিসে থাকলে হবে৷  

(আমি)  আচ্ছা আব্বু বাট আমার একটা প্রশ্ন ছিল তোমার কাছে৷ 

(আব্বু)  আচ্ছা বলে বাট তার আগে সোফা গিয়ে বসি তার পরে বল ৷
   
(আমি)   আচ্ছা চলে আব্বু বলে সোফা বসলাম আর বললাম আচ্ছা আব্বু আকাশের কথা তোমার মনে আছে৷  

(আব্বু) আকাশ টা আবার কে ৷ 

(আমি)  যাকে তুমি এলাকা থেকে তারিয়ে দিছে আব্বু মনে নাই৷  

(আব্বু) কি বলতে চাস তুই৷ 

(আমি)  কিছু বলতে চাই না বাট ওই দিন রাতে কি হয়েছিল একটু বলবা ৷ 

(আব্বু)  কি হয়েছে ওই দিন রাতে আমি কি করে বলমু৷  

(আমি)  ওই দিন রাতে আকাশের আব্বু সাথে একটা লোক দেখা করে আর অনেক টাকা আকাশের আব্বু কে দেয় আর তোমার নামে সেই টাকা টা দেওয়া হয় যদি টাকা দিতে হয় তাহলে কেন তাদের কে এখান থেকে তারিয়ে দিলে৷  

(আব্বু)  কিছু কিছু সময় সন্তানের মঙ্গল জন্য অন্যায় কাজ টা বাবা রা করে৷ 

(আমি)  বুঝলাম না আব্বু তোমার কথা টা ৷ 

(আব্বু)  যখন দেখলাম তুই লেখা পড়া না করে শুধু আকাশ আর আকাশ করছিস তর লেখা পড়া কোনো  আগ্রহ নেই আর তুই আমার একমাএ ছেলে তর গায়ে আমি হাত তুলতে পারছি না তাই বাধ্য হয়ে অন্যায় কাজ টা করছি আর কিছু টাকা থাকার জন্য বাসা সব দিয়ে পাঠিয়ে দিলাম অন্য শহরে ওদের কে৷  

(আমি) তাই বলে ওদের সাথে এমন টা করা ঠিক হয় নাই তোমার ৷ 

(আব্বু)  হুম বাট ওদের কাছে আমি হ্মমা চেয়ে নেমু যদি কখন দেখা হয়৷  

(আমি)  তাহলে ঠিক আছে আব্বু  আর কিছু বলবা৷ 

(আব্বু)  না আর কিছু বলমু না৷ 

(আমি)  তাহলে এখন আমি আসছি বাহিরে যামু অনেক দিন হল বের হই না৷ 

(আব্বু)  ওকে যা বাট সন্ধ্যা আগে বাসা চলে আসবি কেমন৷ 

(আমি)  হুম আসমু বলে বাসা থেকে বের হলাম আর আকাশ কে কল দিলাম  ৷ 

(আকাশ) কেমন আছিস আদি৷ 

(আমি)  আলহামদুলিল্লাহ ভালো তুই৷ 

(আকাশ) আলহামদুলিল্লাহ ভালো কি করেস তুই৷ 

(আমি)  রাস্তা একা একা হাঁটছি তুই কি করিস ৷ 

(আকাশ)  একটা নদী পারে বসে আছি আমি ৷ 

(আমি)  আকাশ আব্বু সরি বলছে আর তরা চলে আয় এখানে৷ 

(আকাশ) না আদি এখানে আমরা ভালো আছি কোনো ঝামেলা চাই না আমি ৷ 

(আমি)  আরে পাগল সমস্যা নাই চলে আয় আব্বু কিছু বলবে না তদের কোনো সমস্যা হবে না আমি বলছি তে৷ 

(আকাশ) ওকে দেখি কি করা যায়  আব্বু কে বলে দেখি৷ 

(আমি)  ওকে তাহলে রাখি কেমন৷ 

(আকাশ) ওকে রাখ ৷ 

আমি কল টা কেটে দিয়ে একটা ব্রিজ এ-র কাছে গেলাম বিকাল বেলা প্রকৃতি সুন্দরয্য আর শীতল ব্রিজ এ-র চার পাশ টা অনেক সুন্দর লাগছে একটা রোমান্টিক পরিবেশ তৈরি হয় গেলে পকেটে ফোন টা বাজতে থাকলে পকেট থেকে ফোন টা হাতে নিয়ে  দেখি মেঘ কন্যা কল দিছে সাথে সাথে রিসিভ করলাম৷ 

(মেঘ কন্যা)  কি করেন৷ 

(আমি)  একটা ব্রিজ এ-র সামনে দাড়িয়ে আছি৷ 

(মেঘ কন্যা)  ব্রিজ এ-র সামনে কি করেন কোন ব্রিজ এ-র সামনে৷ 

(আমি)  প্রকৃতি ভালোবাসা দেখি  আর বিরুলিয়া ব্রিজ এ-র সামনে৷ 

(মেঘ কন্যা)  মানে প্রকৃতি কি ভাবে ভালোবাসে৷  

(আমি)  মানুষ যে ভাবে  ভালোবাসতে পারে ঠিক প্রকৃতি ওওওও ওই ভাবে ভালোবাসতে জানে যদি ভালোবাসা টা না থাকতে তাহলে বিকাল বেলা এত মানুষ এ-ই ব্রিজ এ-র সামনে আসতে না প্রকৃতি ভালোবাসা দেখি আমরা ওও ভালোবাসি৷ 

(মেঘ কন্যা)  তা আপনে ঠিক বলছেন প্রকৃতি ভালোবাসা আছে আর সেই ভালোবাসা দেখতে হলে বিকাল বলে কোনো একটা সুন্দর জায়গা যেতে হয়৷ 

(আমি)  হুম আচ্ছা আপনের পরিচয় টা তে দেন এখন ৷ 

(মেঘ কন্যা)  বায় পরে কথা বলমু৷ 

আমি বললাম   এ-ই না না শুনেন কে শুনে কার কথা কল সাথে সাথে কেটে দিলে  কিছু খন ব্রিজ এ-র থেকে চলে আসলাম সন্ধ্যা সময় বাসায় এসে আমি গিয়ে সোফা বসলাম আম্মু এসে এক কাপ চা দিলে আমি চা খেয়ে রুমে গেলাম ফ্রেশ হয়ে পড়তে বসলাম  অনেক খন পড়ার পরে আম্মু এসে ডেকে গেলে খাবার খাওয়া জন্য৷ আমি খাবার খেয়ে এসে ঘুমিয়ে গেলাম কাল কে অফিসে যেতে হবে তাই সকাল বেলা আম্মু ঘুম থেকে উঠিয়ে দিলে অফিসে যাবার জন্য আমি উঠে ফ্রেশ হয়ে আব্বু গাড়ি নিয়ে বের হলাম অফিসে উদ্দেশ্য ২০ মিনিট পরে অফিস গেলাম অফিসের সব লোকেরা আমাকে অভিনন্দন জানিয়ে আহবান করে আর আব্বু যেখানে বসে সেখানে আমাকে বসতে দিলে আমি বসে বসে গেইম খেলতে থাকলাম কোনো কাজ নাই আমার ওওওও ভালো লাগছে না দেখতে দেখতে দুপুর হয় গেলে তাই আমি একটা ভালো রেস্টুরেন্টে গেলাম খাবার খাওয়া জন্য গিয়ে খাবার অর্ডার দিলাম চার দিগে লোক গুলো দেখতে থাকলাম আমার খাবার সামনে চলে আসলে যেই খাবার খামু ঠিক তখনি দেখলাম আর রাগে  আমার মাথা আগুন ধরে গেলে কারন আমার সামনে হল.........




রেস্টুরেন্টে গেলাম খাবার খাওয়া জন্য গিয়ে খাবার অর্ডার দিলাম চার দিগে লোক গুলো দেখতে থাকলাম আমার খাবার সামনে চলে আসলে যেই খাবার খামু ঠিক তখনি দেখলাম আর রাগে  আমার মাথা আগুন ধরে গেলে কারন আমার সামনে হল.........

আমি খাবার নিয়ে বসলাম আর চোখ আমার সামনে গেলে দেখলাম মারিয়া আর সেই ছেলেটা  সাথে দেখলাম আদিবা কে ওওও আমার তে মাথা নষ্ট হয় গেছে আমার সামনে দিয়ে মারিয়া আদিবা আর ছেলে টা চলে গেলে আমাকে দেখে নাই ওরা আমি পকেট থেকে ফোন টা বের করে সাথে সাথে বাসা কল দিলাম আব্বু কাছে আব্বু ফোন টা রিসিভ করে৷ 

(আব্বু) হুম বল আদি৷ 

(আমি)  আব্বু মারিয়া কই৷  

(আব্বু)  কেন মারিয়া তার রুমে৷  

(আমি)  ওওওও আচ্ছা তুমি কি শিয়র ৷ 

( আব্বু)   হুম  আমি শিয়র তুই কই৷ 

(আমি)  আম্মু কই   আম্মু কাছে ফোন টা দেও ৷ 

(আব্বু)  দিচ্ছি বাট রেগে আছেস মনে হয়  তুই কি হয়েছে তর আমাকে বল কোনো সমস্যা হয়েছে  নাকি আমি ম্যানেজার কে ফোন দিচ্ছি ৷ 

(আমি)  না না না ম্যানেজার কে কল দিতে হবে না কোনো সমস্যা নাই বাট আম্মু কাছে ফোন টা দেও ৷ 

(আব্বু)  ওকে দিচ্ছি ৷ 

(আম্মু)  কি বল বাবা কি হয়েছে  তর৷ 

(আমি)  আম্মু মারিয়া কই  ৷ 

(আম্মু)  কেন  মারিয়া তার রুমে৷  

(আমি)  ওকে যাও মারিয়া কাছে ফোন টা নিয়ে যাও তার তারি মারিয়া সাথে আমার কথা আছে৷  

(আম্মু)  আচ্ছা নিয়ে যাচ্ছি ৷  

(আমি)  ওকে তারা তারি যাও ১ মিনিট পরে৷ 

(মারিয়া)   হ্যাল ভাইয়া কি বলবা বলে৷  

(আমি)  আমি তে রীতি মতো অবাক আমার মুখ দিয়ে আর কথা বের হচ্ছে না কি করমু আমি পাগল হয় যাচ্ছি  আমার সামনে কি সত্যি মারিয়া নাকি আমার চোখে সমস্যা  কিছু বুঝতে পারছি না  আমি বললাম ফোন টা রাখ  বলে আমি কেটে দিলাম৷ আমার হ্মুদা মনে হয় উল্টে পাল্টা খামার টা খেয়ে নিলাম আবার ওওওও ওদের দিগে তাকালাম ঠিকি মারিয়া কে দেখছি আমি খাবারের বিল টা দিলাম দেখলাম আদিবা ওই জায়গা নাই তাই আমার এ-ই সুযোগ টা কাজে লাগাতে হবে কারণ আদিবা থাকা অবস্থা গেলে আর যদি মিস্টেক হয় তাহলে তে আমার মান ইজ্জত সব শেষ করে ফেলবে তাই আদিবা নাই আমি ওদের সামনে গিয়ে দাড়ালাম দেখলাম মেয়েটা আমাকে দেখে দাড়িয়ে গেলে আর ভাইয়া বলে ডাকলে তার মানে এ-ই টা মারিয়া৷ 

(মারিয়া) ভাইয়া তুমি এখানে৷ 

(আমি)  আমার রাগে মাথা গরম হয় গেছে কোনো কথা না বলে কসিয়ে দুই টা থাপ্পড় মারলাম   আর হাত টা ধরলাম আর নিয়ে আসতে যামু তখনি ছেলেটা বলে৷ 

(ছেলেটা) আমি সাগর আর মারিয়া কোনো দোষ নাই ভাইয়া ওকে কিছু বলবেন না৷ 

(আমি)  আপনে কোনো কথা বলবেন না আমি কি করমু কি না করমু সেই টা আমার বেপার বাট আপনে কোনো কথা বলবেন না আমার সাথে সবাই গেইম খেলছে না বাসা চল৷  

(মারিয়া) চুপ করে কান্না করছে ৷ 

(আমি)  মারিয়া হাত ধরে নিয়ে আসছি তখন আদিবা তার ভাইকে বলছে কে ওনি আমার হবু ভাবিকে নিয়ে যাচ্ছে৷  

(সাগর)  তার বড় ভাই নিয়ে যাচ্ছে ৷ 

আমি মারিয়া কে গাড়িতে তুললাম আর অফিসে ফোন দিয়ে ম্যানেজার আংকেল কে বললাম যে আমি আর আসমু না আপনে সব গুছিয়ে নিয়েন বলে কল টা কেটে দিলাম৷ আমি গাড়ি নিয়ে সুজা বাসা উদ্দেশ্য রওনা দিলাম ২০ মিনিট পরে বাসা আসলাম বাট মারিয়াকে গাড়িতে রেখে আমাকে দেখে আব্বু অবাক আম্মু অবাক আমি বললাম মারিয়া কই৷  

(আম্মু)  তুতলাছে আর বলছে মারিয়া তে উপরে৷ 

(আমি)  ওকে মারিয়াকে ডাকে আর বলে যে আমি ডাকছি তাকে৷  

(আম্মু)  মারিয়া কই তুই নিছে অায় তর ভাই তকে ডাকছে৷ 

আমি চুপ চাপ দাড়িয়ে আছি ৫ মিনিট  ধরে দাড়িয়ে আছি বাট কোন রাও শব্দ পেলাম না আমি আম্মু আব্বু দিগে তাকালাম আর গাড়ি থেকে মারিয়া কে নামিয়ে নিয়ে আসলাম৷ আব্বু আম্মু চুপ করে আছে আমি আম্মু কে বললাম ওই সময় কাকে দিয়ে কথা বলাইছে আমার সাথে  তোমরা আর মারিয়া যে বাহিরে গেছে তোমরা কি জানতে তারা চুপ করে আছে তার মানে তোমরা জানতে৷ 

(আব্বু)  না মানে আদি হয়েছে কি৷ 

(আমি)  থামিয়ে দিলাম সুজা মারিয়া কাছে গেলাম গিয়ে বলাম সত্যি টা কি সেই টা বল আমাকে তুই৷ 

(মারিয়া) কালকে সাগর এ-র বাসা লোকেরা এসে আমাকে আংটি পড়িয়ে গেছে আজকে বাসা থেকে বলে আমাকে নিয়ে গেছে দুপুরে খাবার খাবে আর একটু ঘুরা ফেরা করবে৷  

(আমি)  ওওওও আচ্ছা এ-ই কাহিনী এ-ই জন্য আমাকে তোমরা অফিসে পাঠিয়েছে না এ-ই বিয়ে বন্ধ মানে বন্ধ ওই আংটি টা এখন খুলে দে বলে আঙ্গুল ধরে টানা টানি শুরু করে দিলাম বাট খুলছে না তখন আম্মু বলে৷ 

(আম্মু)  আরে আরে কি করছিস ওর আঙ্গুলের সমস্যা হবে তে আর ওদের পরিবার টা তে অনেক ভালো  তর সমস্যা কই মারিয়া তুই রুমে যা বলে পাঠিয়ে দিল৷ 

(আমি)  মারিয়া এখন বিয়ের বয়স হয় নাই আর ওকে বিয়ে দেওয়া এত তারা  কিসের হুম মারিয়া বিয়ে এখন বন্ধ ৷  

(আব্বু)  ছেলে ভালো তার পরিবার ভালো তুই এমন শুরু করছেত কেন হুম  আর মারিয়া জন্য তুই  শুধু মারা মারি করিস  তাই আমি মারিয়া বিয়ে ঠিক করছি  আর এ-ই বিয়ে টা হবে আমার বন্ধু ছেলে সে অনেক ভালো৷ 

(আমি)  ওদের পরিবার টা আমি খুব ভালো করে চিনে আর চিনি বলে আমি আমার বোন কে  ওই পরিবারে যেতে দেমু না  ৷ 

(আম্মু)  আদি এখন তুই উপরে যা তর সাথে পরে কথা বলমু যা তুই  এখন রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে  তার পরে তর সাথে কথা বলমু ৷ 

(আমি)  ওকে বাট মারিয়া সাজিয়ে আমার সাথে কাকে কথা বলালে    তাকে তে দেখাবে নাকি তাকে একটু দেখি৷ 

(আম্মু) যেতে বললাম না যা এখন দেখতে হবে না তর৷  

আমি চুপ চাপ করে উপরে  চলে গেলাম  গিয়ে শাট প্যান্ট খুলে ফ্রেশ হয়ে সুয়ে পড়লাম একটু চোখ টা লেগে গেলে তখনি জান্নাতুল কল দিলে আমি রিসিভ করলাম৷ 
 
(জান্নাতুল)  কি রে আজকে ভাসিটিতে আসিস নাই কেন তুই৷ 

(আমি)  আজকে আব্বু অফিসে গিয়েছিলা তাই যেতে পারি নাই ভাসিটিতে৷  

(জান্নাতুল)  ওওওও তে এখন কি অফিসে নাকি৷  

(আমি)  না রে বাসা চলে এসেছি৷ 

(জান্নাতুল)  কেন অফিস ভালো লাগে নাই তর৷  

(আমি)  হুম অফিস তে ভালো লাগছে বাট৷ 

(জান্নাতুল)  বাট কি৷ 

তার পরে আমি সব বললাম জান্নাতুল কে যে আদিবা ভাইয়ের সাথে মারিয়া বিয়ে ঠিক করছে আমাকে না জানিয়ে আবার আংটি ওওওও পড়িয়ে গেছে অনেক চেষ্টা করছি খুলতে পারছি না আংটি৷ এ-ই বিয়ে হলে মারিয়া সুখে থাকতে পারবে না আমি চাই না যে মারিয়া কষ্ট থাক তাই বিয়ে টা বন্ধ করতে হবে এখন আমাকে কি যে করমু কিছু বুঝতে পারছি না আমার মাথা টা গরম হয় আছে মারিয়া কে আজকে মারছি আমি






চলবে...






Writer:- পিচ্চি ছেলে আদি 


NEXT ARTICLE Next Post
PREVIOUS ARTICLE Previous Post
NEXT ARTICLE Next Post
PREVIOUS ARTICLE Previous Post
 

Delivered by FeedBurner