১. "পাপে জর্জরিত হয়ে গেছে জীবন। চোখ মেললেই কেবল অন্ধকারের ঘনঘটা দেখতে পান। কলুষিত হৃদয় নিয়ে আল্লাহর দরবারে দাঁড়িয়ে বলবেন,"আমি যে এত পাপ করেছি! আল্লাহ কি সত্যি আমাকে ক্ষমা করবেন? তখনই আপনার রব জবাব দেন,
"নিশ্চয়ই আল্লাহ তাওবাকারীদের ভালোবাসেন"।
[সুরা বাকারা, আয়াত: ২২২]
বেলা ফুরাবার আগে
আরিফ আজাদ
২. একদিন, হয়তোবা এমন এক পড়ন্ত বিকেলে, গোধূলির শেষ আবিরের রঙকে সাক্ষী রেখে, প্রায় অস্ত যাওয়া সূর্যের শেষ আলোটুকু নিভে যাওয়ার ঠিক একটু আগে, আমাকেও রেখে আসা হবে মাটির নিচে।
আরিফ আজাদ
৩. রাগী মানুষ কোনোকিছু জিততে পারে না। ধৈর্যশীলরা সর্বদা জিতে যায়। সেটা দুনিয়া এবং আখিরাত- দুই জায়গাতেই।
আরিফ আজাদ
৪. এখানে ভীষণ নেমেছে আঁধার যায় না কিছুই চেনা
বাঁচার ক্ষণিক ইচ্ছেরা সব মৃত্যু দিয়েই কেনা।
তবুও আমরা বেঁচে থাকি রোজ অন্ধকারের তলে
চোখ খুলে সব নতুন নতুন মৃত্যু দেখবো বলে।
আরিফ আজাদ
৫. -'একটা কথা বলবো?' -'বল।'
-'জানিস, একসময় যুবকেরা হিমু হতে চাইতো। হলুদ পাঞ্জাবি গায়ে দিয়ে, মরুভূমিতে গর্ত খুঁড়ে জ্যোৎস্না দেখার স্বপ্ন দেখতো। দেখিস, এমন একদিন আসবে, যেদিন যুবকেরা সাজিদ হতে চাইবে।
আরিফ আজাদ
৬. প্রত্যাবর্তন অর্থ হলো আত্মার খাদ্য খুঁজে পাওয়া। যে খাদ্যে আত্মার শান্তি মেলে, যে খাদ্য আত্মাকে পরিতৃপ্ত করে।
প্রত্যাবর্তন
আরিফ আজাদ
৭. হাজার ইচ্ছে হলেও, এমন একদিন আসবে— কোলের ওপর মাথা রেখে চোখ বুজে শুয়ে থাকার জন্য মা'কে, এবং একটু জড়িয়ে ধরে কাঁদবার জন্য বাবাকে আর কোনোদিন খুঁজে পাওয়া যাবে না।
যদি আপনার বাবা-মা বেঁচে থাকে, জান্নাতে যাওয়ার দুটো বাড়তি দরজা এখনও আপনার জন্য খোলা। সুতরাং, দৌঁড়ান...
আরিফ আজাদ
৮. অন্ধকারে আপনার ছায়াও আপনাকে ছেড়ে চলে যায়, কিন্তু আল্লাহ আপনাকে ছেড়ে কোত্থাও যান না।
আলো কিংবা অন্ধকার, সুখ অথবা দুঃখ, জীবনের প্রতিটা পর্যায়ে তিনি আপনার সাথেই থাকেন। তাঁকে হাত বাড়ালেই পাওয়া যায়, নিবিষ্ট চিত্তে স্মরণ করলেই তিনি সাড়া দেন।
আরিফ আজাদ
৯. না পাওয়া বস্তুটি তোমার ছিল না।আর যে জিনিস তোমার নয়, সেটির জন্য খামোখা দুশ্চিন্তা করে সময়ের অপচয় করে লাভ কি বলো? তুমি বরং আল্লাহর উপর ভরসা করে গুটিগুটি পায়ে সামনের দিকে যেতে থাকো।একদিন সময়ই বলে দিবে, তুমি কোনটা পাওয়ার যোগ্য ছিলে।
প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ
আরিফ আজাদ
১০. সালাতকে জীবনের কম্পাস বানিয়ে নিয়ে, জীবনটাকে একটা নির্দিষ্ট ফ্রেমে নিয়ে আসুন। জীবন বড়োই সংক্ষিপ্ত এক সফরের নাম। জীবনের এই অপর্যাপ্ত সময়গুলো যেন অকাজে নষ্ট না হয়।
এবার ভিন্ন কিছু হোক।
আরিফ আজাদ
১১. আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া'তায়ালা শেষ রাত্তিরে দুনিয়ার একেবারে নিকটবর্তী আসমানে চলে আসেন শুধুমাত্র আপনার করজোড়ে করা ফরিয়াদ শুনবেন বলে। তিনি রোজ আসেন, কিন্তু আপনি জাগেন না।
আরিফ আজাদ
১২. স্বার্থের বাইরে, কেবলমাত্র আপনাকে আল্লাহর জন্যই ভালোবাসবে এমন মানুষ দুনিয়ায় সত্যি সত্যিই বিরল। একজীবনে যদি এমন কারো সন্ধান পান, সেই সম্পর্কটার যত্ন নিতে ভুল করবেন না।
আরিফ আজাদ
১৩. 'জাস্ট ফ্রেন্ড’- এর কোনো ধারণা ইসলামে নেই এবং এই ধারণ ইসলামের মৌলিক, বুনিয়াদি শিক্ষার সাথে পুরোপুরি সাংঘর্ষিক। নিজেকে মুমিন-মুসলিম দাবি করা কোনো ছেলে অবশ্যই বেগানা কোনো নারীর হাত ধরাধরি করে হাটতে পারে না। একজন মুমিন নারী কখনোই বেগানা কোনো পুরুষের সাথে রিকশায় চেপে চলাচল করতে পারে না, পার্কে পাশাপাশি বসে আড্ডা দিতে পারেন। এসবগুলোই তার জন্য হারাম।
বেলা ফুরাবার আগে
আরিফ আজাদ
১৪. সবচেয়ে ভালো লাগার ব্যাপার হলো এই— আপনার রব আপনাকে চেনেন। তিনি আপনার নাম জানেন। আপনার জীবনের কোন মুহূর্তকেই তিনি দৃষ্টির আড়াল হতে দেন না। গোটা সৃষ্টিজগতের নিয়ন্ত্রণকারী হয়েও তিনি আপনাকে একটা মুহুর্তের জন্যও ভুলে যান না। এমনকি— যখন আপনি ঘুমিয়ে থাকেন, তখনও তাঁর দৃষ্টি হতে আপনি আড়াল হোন না।
সুন্দর না ব্যাপারটা?
আরিফ আজাদ
১৫. হৃদয় ভাঙলে যদি রবের কথা স্মরণ হয়, তবে মনে রাখবেন;এমন হৃদয়গুলো আল্লাহ বারবার ভেঙে দেন তাঁর কছে ফিরে আসার জন্য!
এটাও আপনার প্রতি আপনার রবের অনেক বড় ইহসান। কারণ আপনার রব চান,আপনি বারবার যেনো তাঁর কাছে ফিরে আসেন,তাঁর রহমতের ধারায় সিক্ত হন!
আরিফ আজাদ
১৬. একদিন হুট করে মৃত্যু সামনে চলে আসবে,
আমাকে অপ্রস্তুত দেখে মালাকুল মাউত
ফেরেশতা কখনোই ফিরে যাবে না।
বেলা ফুরাবার আগে
আরিফ আজাদ
১৭. ইয়া আল্লাহ! অনেকটা সময় চলে গেছে জীবনের, তোমার থেকে অনেক দূরে গিয়েছিলাম। অনেক দূর থেকে এসেছি। এসেছি তো, মাফ করেই দাও মালিক।
প্রত্যাবর্তন
আরিফ আজাদ
১৮. এক বালক তার মাকে বললো, 'আচ্ছা মা, তাকদিরের সবকিছু যদি পূর্ব থেকেই লেখা থাকে, তাহলে আল্লাহর কাছে কিছু চাওয়ার জন্য কেনো আমাদের দুয়া করতে হবে?'
মা বললেন, 'বাবা, হতে পারে, আমাদের তাকদিরের কোন কোন পাতায় আল্লাহ লিখে রেখেছেন— 'আমার বান্দা যা চাইবে, তাই'।
আরিফ আজাদ
১৯. "দু'আ" আপনার হাতে থাকা সবচেয়ে কার্যকরী হাতিয়ার।
আরিফ আজাদ
২০. আজকাল মানুষ আল্লাহর সন্তুষ্টি ছেড়ে এমন সব বিষয়ে সুখের সন্ধানে ব্যস্ত, যেখানে আদতে মরীচিকা ছাড়া আর কিছুই নেই।
আরিফ আজাদ
২১. মাঝে মাঝে, ভীষণ মানিয়ে নেওয়া মানুষটারও কষ্ট হয়।
আরিফ আজাদ
২২. আমার রব, যাদের হৃদয়গুলো দুনিয়ার সাথে জুড়ে আছে, তাদের প্রতি আমাকে বিতৃষ্ণ করে তুলুন। আর যাদের অন্তর জুড়ে আছে আখিরাতের সাথে, আমার অন্তরটাকেও সেসব অন্তরের সাথে জুড়ে দিন।
আরিফ আজাদ
২৩. -আপনি হতাশ!
কারণ আপনি আপনার পাপগুলোকেই দেখছেন
কিন্তু এর চেয়ে বড় আল্লাহর দয়াকে অনুভব
করতে পারছেন না।
আরিফ আজাদ
২৪. শয়তানকে শায়েস্তা করতে চাইলে সিজদাহর পরিমাণ বাড়িয়ে দিন। আপনি আল্লাহকে সিজদাহ দিচ্ছেন— বিশ্বাস করুন এরচেয়ে কঠিন দৃশ্য শয়তানের জন্য আর কিছু নেই।
আরিফ আজাদ
২৫. জীবনে ম্যাজিকের মতো পরিবর্তন দেখতে চান? তাহলে রাতের শেষ প্রহরে জাগতে শুরু করুন। শেষ রাতের দুই রাক'আত সালাত, কিছু ইস্তিগফার, কিছু তাসবীহ-তাহলীল, কিছু তিলাওয়াত আপনার জীবনে আকস্মিক পরিবর্তন নিয়ে আসবে ইন শা আল্লাহ।
আরিফ আজাদ
২৬. মিথ্যে কথা বলার সময় আমি বুঝতে পারি যে আমি মিথ্যে বলছি। কিন্তু গীবত করার সময় বুঝতেই পারি না যে আমি গীবত করছি। উপরন্তু মনে হয় আমি ভালো কাজই তো করছি।
আরিফ আজাদ।
27. মানুষের জন্য বিনয়ের চাইতে সুন্দর আর কোন পোশাক নেই।
আরিফ আজাদ
২৮. 'কীভাবে ধৈর্য ধরবো?'
- 'যেভাবে সিয়াম রাখো, সেভাবে৷ দিনটা যতো দীর্ঘ-ই হোক, তুমি জানো মাগরিবের আযান হবেই'।
আরিফ আজাদ
২৯. মৃত্যুর মাধ্যমে যেন আমাদের স্মৃতি দুনিয়া থেকে মুছে না যায়। দুনিয়াতে না থাকা অবস্থাতেও যেন আমাদের কাজগুলো আমাদের হয়ে কথা বলে। আমাদের সাদকায়ে জারিয়া,আমাদের সন্তানাদি আর আমাদের জ্ঞান যেন নিরন্তর সওয়াবের 'চলমান ব্যাংক' হিশেবে কাজ করে। আমরা চলে যাব ঠিক, কিন্তু আমাদের যেন প্রস্থান না হয়।
বেলা ফুরাবার আগে
আরিফ আজাদ
৩০. দুনিয়ার সাথে স্বার্থ জিনিসটা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। স্বার্থের জন্যই আপনার সাথে অধিকাংশ মানুষ সম্পর্কে জড়ায়, কিন্তু তারা সেটা আপনাকে বুঝতে দেয় না। যখন মুগ্ধতা কেটে যাবে, আপনি দেখবেন স্বার্থের জন্য এতোদিনের 'ভালোবাসার' মানুষগুলো রাতারাতি কীরকম পাল্টে যায়!
তাই, একেবারে জীবন থেকে নেওয়া অভিজ্ঞতা থেকে বলছি— সরল হোন কিন্তু বোকা হইয়েন না।
আরিফ আজাদ
৩১. সমস্যা আর দুঃখের কথা যখন মন খুলে আল্লাহকেই বলা যায়, তখন সেসব কে শুনলো আর কে শুনতেই চাইলো না - তাতে কি ই বা আসে যায়?
আরিফ আজাদ
৩২. নারী হলো মুক্তো। ঝিনুকের মধ্যেই সে সুরক্ষিত। নারী চাঁদ নয় যার জোছনার প্রশংসা সবাই করে, নারী হলো সূর্যের মতো, যার দিকে চোখ পড়লেই চোখ নামিয়ে ফেলতে হয়।
আরিফ আজাদ
৩৩. জীবনে আপনি একজন ফেরেশতাকেই কেবল দেখতে পাবেন, আর সেটা হলো মালাকুল মাউত তথা মৃত্যুর ফেরেশতা।
আরিফ আজাদ
৩৪. এমনকি, অশ্লীলতা প্রচার করছে বলে যে চ্যানেলটাকে আপনি আন-সাবস্ক্রাইব করেন, অশ্লীল কন্টেন্ট দিচ্ছে বলে যে পেইজটাকে আপনি আন-লাইক করেন, অশ্লীল কথা বলে বিধায় যে লোকটাকে আপনি আন-ফলো করেন, এসবকিছুর জন্যেই আপনার আমলনামায় সওয়াব যুক্ত হয়।
আরিফ আজাদ
৩৫. মানুষের জন্য বাঁচবেন না, কারণ মানুষেরা বদলায়। আল্লাহর জন্যই বাঁচুন যিনি অপরিবর্তনশীল৷ আর, যদি আপনি আল্লাহর জন্য বাঁচতে পারেন, মানুষের জন্যেও তখন বাঁচা হয়ে যায়।
আরিফ আজাদ
৩৬. কচু পাতার ওপর জমে থাকা — শিশিরবিন্দুর মতোই ঠুনকো মানুষের জীবন। হালকা বাতাসে পাতা দুললেই গড়িয়ে পড়ে নি:শেষ হয়ে যায়!
আরিফ আজাদ
৩৭. আল্লাহকে সত্যিকার অর্থে ভালোবাসতে পারাটাই আপনার জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন।
আরিফ আজাদ
৩৮. তার সমুদ্রে আছে বিশাল জল রাশি। তিনি আকাশ থেকে নামান অবিরাম ধারার বৃষ্টি বর্ষণ। কিন্ত তিনি ভালবাসেন আপনার চোখ বেয়ে নামা ওই একফোঁটা অশ্রুকেই।তিনি আপনাকে সমুদ্র দিয়েছেন,নদী দিয়েছেন। আকাশ থেকে দিয়েছেন অবিরাম ধারার বৃষ্টি বর্ষণ। আপনি কি তাকে একফোঁটা চোখের অশ্রু দিতে পারবেন না?
আরিফ আজাদ
৩৯. দুনিয়াতে হেসে খেলে চলা মানুষটা | হয়তাে ওপারে গিয়ে আর হাসবেনা। চোখ ভর্তি অশ্রু, মন ভর্তি যন্ত্রণা নিয়ে চলা মানুষটা হয়তাে ওপারে গিয়ে আর কাঁদবেনা। এ-সময় শীঘ্রই ফুরিয়ে যাবে
আরিফ আজাদ
৪০. বিস্মৃত অন্তরকে নতুন করে জাগাতে,মরচে ধরা ঈমানকে ঝালাই করতে,অবাধ্যতার অন্ধকার থেকে আমাদের তুলে আনতে অনেক সময় একটি লাইনও যথেষ্ট হতে পারে।
আরিফ আজাদ
৪১. মানুষ হিসেবে আপনার অবশ্যই জানা উচিত এই দুনিয়া আপনার জন্য কখনোই নির্মল আর নির্ঝঞ্ঝাট হবে না।
আরিফ আজাদ
৪২. জীবনের একটা পরম বাস্তবতা হল জীবন কখনোই রেল লাইনের মতো সমান্তরাল হয় না।
আরিফ আজাদ
৪৩. স্বয়ং নবীজীকে যেখানে সমালোচনার ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে,সেখানে আপনি বা আমি কিভাবে ধরে নিতে পারে যে আমাদের সমালোচক থাকবে না? নিন্দুক থাকবে না।
আরিফ আজাদ
৪৪. মন খারাপের দিনগুলোতে আল্লাহর সাথে বেশি বেশি কথা বলুন-কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে, সালাতের সিজদার মধ্যে।
আরিফ আজাদ
৪৫. মানুষের একটা বৈশিষ্ট্য হলো সে নিজেকে সবসময় নির্ভুলতার আসনে দেখতে পছন্দ করে।
আরিফ আজাদ
৪৬. চোখ ধাঁধানো এই কর্পোরেট দুনিয়া আসলে আস্ত একখন্ড নরক।
আরিফ আজাদ
৪৭. সুখ আসলে শারীরিক নয়,আত্মিক।আত্মার পরিতৃপ্তির হলো সুখের কারণ।
আরিফ আজাদ
৪৮. আমাদের আত্মার যে খোরাক তা যদি আমরা লাভ করতে না পারি,তাহলে আমাদের সুখী হওয়াটা একটা নিছক অভিনয় মাত্র।সুখ নয়।
আরিফ আজাদ
৪৯. আজকের দুনিয়ায় অসুখী হওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ সম্ভবত এই দুনিয়াপূজাই।
আরিফ আজাদ
৫০. প্রতিটা খারাপ কাজ আরো অনেকগুলো খারাপ কাজের কারণ।প্রতিটা মিথ্যা কথা আরো অনেকগুলো মিথ্যা কথার জনক।প্রতিটা অসততা আরো অনেকগুলো অসততার সূত্রপাত।
আরিফ আজাদ
৫১. পাপ একপ্রকার সংক্রামক।সেটা ছড়িয়ে পড়ে ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে।
আরিফ আজাদ
৫২. সব চলে যাওয়াই প্রস্থান নয়।
আরিফ আজাদ
৫৩. সাদকায়ে জারিয়া একটি চলমান সাওয়াব ব্যাংকের নাম।
আরিফ আজাদ
৫৪. এমন অনেকেই আছে যারা হয়তাে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত পড়ে, রামাদানে সিয়াম। রাখে, দ্বীনের ব্যাপারেও খুব আগ্রহ কিন্তু, একটা জায়গায় এসে আটকে গেছে হাৱাম রিলেশনশিপ
আরিফ আজাদ
৫৫. অতিশয় সত্য কথা হল এই মৃত্যুর ব্যাপারে আমরা চূড়ান্তরূপে উদাসীন।
আরিফ আজাদ
৫৬. আমাদের অন্তরকে মসজিদের সাথে বেঁধে ফেলার একটি শর্ত হলো পাপ থেকে মুক্ত থাকা।
আরিফ আজাদ
৫৭. আমরা এমন ভাবে বাঁচি যেন মৃত্যু কখনোই আমাদের স্পর্শ করবে না।
আরিফ আজাদ
৫৮. মুসলিম হিসেবে আমাদের নিত্যদিনকার ব্যর্থতা শুরু হয় ফজর থেকে।
আরিফ আজাদ
৫৯. এখন আমাদের জীবনে সবচেয়ে বেশি যে জিনিসটার অনুপস্থিতি তা হলো দুআ।
আরিফ আজাদ
৬০. দুনিয়ায় প্রাপ্ত বড় একটি নিআমত হলো মুসলিম হিসেবে জন্মগ্রহণ করা।
আরিফ আজাদ
৬১. তাওবা করে ফিরে আসতে হবে। বদলে যেতে হবে নিজেকে। পাল্টে ফেলতে হবে অভ্যাস। এভাবে কৃত পাপগুলো থেকে বেরিয়ে আসতে পারলেই আমরা সহজে আমাদের অন্তরকে মসজিদের সাথে সংযুক্ত করতে পারব।
আরিফ আজাদ
৬২. সিন্দাবাদের জাদুর গালিচা নেই তো কি হয়েছে?
জায়নামাজ বিছিয়ে বসে পড়ুন আপনার আকুতিগুলো সপ্তম আসমান ভেদ করে ঠিক আরশে আযীমে পৌঁছে যাবে।
আরিফ আজাদ
৬৩. যে সুতোয় আল্লাহ সুবাহানাহু ওয়া তাআলা আপনার জীবনকে বাধতে চান, তাকে ধৈর্যের সাথে আলিঙ্গন করুন। বিশ্বাস করুন, রাত পোহালে একটা সুন্দর সকাল আপনার জীবনটাকেও রাঙিয়ে যাবে।
আরিফ আজাদ
এবার ভিন্ন কিছু হোক।
৬৪. জীবনে আমরা যা-ই করি না কেনো, ইখলাস তথা কাজটা কার সন্তুষ্টির জন্য করছি সেটাই প্রথম এবং শেষ কথা।
আরিফ আজাদ
৬৫. 'যারা দুনিয়ায় ঘুমায় তারা মৃত্যুর পর জেগে উঠে।
আর যারা দুনিয়ায় জেগে থাকে, তারা মৃত্যুর পর ঘুমিয়ে পড়ে'।
আরিফ আজাদ
৬৬. বেলা ফুরাবার আগেই ফিরে এসো রবে তরে
- হয়তো পরবর্তী ভোরের সূর্যের আলো
- তোমার জীবনে নাও পড়তে পারে।
আরিফ আজাদ
৬৭. জীবনটা বড় ক্ষুদ্র! ক্ষুদ্র এই জীবনের বড় একটা অংশ যদি অহেতুক কোনো আসক্তির পেছনে খরচ হয়ে যায় , কতোটাই বা তবে বিকশিত হতে পারে মানবজীবন।
আরিফ আজাদ
৬৮. চোখ ধাঁধানো এই কর্পোরেট দুনিয়া আসলে আস্ত এক খন্ড নরক!
বেলা ফুরাবার আগে
আরিফ আজাদ
৬৯. নিজেকে খুঁজে পেতে হলে খুঁজে পেতে হলে জীবনের সত্যিকার মানে। আমাদের ফিরতে হবে আমাদের রবের দেখানো পথে সেই পথে,যে পথ গিয়ে মিশেছে অনন্ত অসীমে।
আরিফ আজাদ
এবার ভিন্ন কিছু হোক
৭০. সবকিছু আপনার ইচ্ছামত না হলে ভেঙ্গে পড়বেন না। নিশ্চিত হন -সবকিছু আপনার ইচ্ছা মত না হলেও আল্লাহর ইচ্ছা মত কিন্তু ঠিকই হচ্ছে। আর যা আল্লাহর ইচ্ছামাফিক হয় তা কখনো অকল্যাণকর হতে পারে না।
আরিফ আজাদ
৭১. ব্যস্ততার দোহায় দিয়ে আপনি সালাত ত্যাগ করছেন না, নিজের আখিরাত ধ্বংসের আয়োজন করছেন।
আরিফ আজাদ
৭২. ভোরের পাখি আর ভোরের সূর্য দুটোই যদি আপনার আগে জেগে যায়, তাহলে জীবন নিয়ে জরুরীভাবে ভাবতে বসুন। জীবনের সত্যিকারের গতি থেকে আপনি ইতিমধ্যেই বিচ্যুত হয়ে পড়েছেন।
আরিফ আজাদ
৭৩. আল্লাহ যার অভিভাবক তার কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ থাকতেই পারেনা।
আরিফ আজাদ
৭৪. আপনার ব্যাপারে আমি কেবল একটাই ভবিষ্যৎ বাণী করতে পারি, আর তা হলো আপনি অবশ্যই মৃত্যুবরণ করবেন।
আরিফ আজাদ
৭৫. রাতের অন্ধকারে আল্লাহকে ডাকুন, তিনি দিনের আলো দিয়ে আপনার জীবনকে রাঙিয়ে দিবেন।
আরিফ আজাদ
৭৬. অন্যের সফলতায় আনন্দিত হতে পারাটা একটা হিংসামুক্ত অন্তরের প্রমান বহন করে।
আরিফ আজাদ
৭৭. প্রতিটা মানুষ কখনোই আপনাকে ভালোবাসবেনা, পৃথিবীর মহামানবকেও তার সময়ে তাকে গ্রহণ করেননি, ভালোবাসেনি, নবীজি (সঃ) কে ও না।
আরিফ আজাদ
৭৮. আল্লাহ সুবহানান ওয়া তায়ালা ইবলিসকেও ফিরিয়ে দেন নি, আমরা কেন ভাবছি যে তিনি আমাদের ফিরিয়ে দিবেন, নিরাশ করবেন।
আরিফ আজাদ
৭৯. যে মেয়েটাকে ক্যাম্পাসে না দেখলে। আপনার হৃদস্পন্দ ন থেমে যাওয়ার উপক্রম হয়, তাকে আজকেই জানিয়ে দিন আপনার পরিবর্তনের কথা। তাকে। বলে দিন, আজ থেকে আপনি আর। তাকে নিয়ে ভাবছেন না। কাউকে নিয়েই আপনি আর ভাবেন না, আল্লাহ। ছাড়া। তাকে আরাে বলুন, আল্লাহর জন্যই আপনি তাকে ত্যাগ করলেন। তার সাথে কাটানাে সকল স্মৃতি, সকল মুহূর্তকে আল্লাহর জন্যই মন থেকে মুছে দিলেন। আল্লাহর দিকে এক বিঘত আগান, তিনি আপনার দিকে। এক বাহু অগ্রসর হবেন।
আরিফ আজাদ
৮০. 'তুমি যখন হারামে ডুব দিবে, হারাম জিনিসকে পছন্দ করা শুরু করবে, তখন হালাল জিনিসকে তোমার কাছে ভালো লাগবে না। বিরক্তিকর লাগবে। এটাই স্বাভাবিক।
আরিফ আজাদ
৮১. চাহিদাকে সীমিত করুন, জানেন তো কাপনের কাপড়ের কোনো পকেট থাকেনা।
আরিফ আজাদ
৮২. বালির ওপর হাঁটলে কোন শব্দ হয়না, কিন্তু পশ্চাদে পদচিহ্ন থেকে যায়। আমাদের জীবনটাও সেরকম হোক৷ আমরা এমনভাবে বাঁচবো, যেন ছিলাম ই না। কিন্তু পশ্চাদে রেখে যাবো আমাদের কাজ, আমল, বন্ধন।
আরিফ আজাদ
৮৩. দ্বীনে ফেরার পথে সবচেয়ে বড় যে প্রতিবন্ধকতা, সেটা হলো হারাম রিলেশনশিপ।
আরিফ আজাদ
৮৪. আগামীকাল থেকে ভালো হয়ে যাবো, আপনাকে দ্বীন বিমুখ রাখতে শয়তানের সবচেয়ে বড় শক্তিশালী অস্রগুলোর একটা৷ আগামীকাল যে আপনি কবরের বাসিন্দা হয়ে যাবেন না। এই নিশ্চয়তা আপনাকে কে দিলো। ভালো হওয়ার এখনই সুযোগ, এই মূহুর্ত থেকেই।
আরিফ আজাদ
৮৫. মানুষ আপনার গুন বাদ দিয়ে দোষ বড় করতে চায়, আর আল্লাহ সুবহান ওয়া তায়ালা আপনার দোষ বাদ দিয়ে গুন বড় করে দেখতে চান
আরিফ আজাদ
৮৬. যে রিজিক আসমান থেইকা আসে, তার লাগি এতো পেরশানি কিয়ের?
আরিফ আজাদ
৮৭. চারপাশের সবাই দুনিয়া খুঁজে, আপনি না হয় আখিরাত খুঁজলেন।
আরিফ আজাদ
৮৮. জগতে প্রতারণার সবচেয়ে বিশ্বস্ত অঙ্গই সম্ভবত চোখ।
আরিফ আজাদ
৮৯. শয়তান আমাকে ক্ষুধার ভয় দেখায়, অথচ পকেটে আমি দুর্ভিক্ষ নিয়ে হাঁটি!
আরিফ আজাদ
৯০. নিজেকে আপনি যেরকম পরিবর্তন করবেন, দিনশেষে আপনার জীবন সেরকম আকৃতি পাবেন।
আরিফ আজাদ
৯১. রিকশাওয়ালাকে সালাম দিতে যদি আপনার সাহেবিপনায় আঘাত লাগে, মনে খচ খচ করে, তাহলে অতি অবশ্যই আপনার আত্মার চিকিৎসা করা দরকার।
আরিফ আজাদ
৯২. নিজেকে গড়তে হয় আস্তে আস্তে ধীরে ধীরে, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বালিকণা আর বিন্দু বিন্দু জল, গড়ে তোলে মহাদেশ সাগর অতল। ছোট ছোট কাজগুলোই বড় বড় ফলাফল বয়ে আনে।
আরিফ আজাদ
৯৩. কচুপাতার ওপর জমে থাকা শিশির বিন্দুর মতোই ঠুনকো মানুষের জীবন। হালকা বাতাসে পাতা দুলালেই গড়িয়ে পড়ে নিঃশেষ হয়ে যায়।
আরিফ আজাদ
৯৪. যদি কারো সাথে মিশলে আপনার অন্তরের শান্তি নষ্ট হয় বলে মনে করেন, তার সঙ্গ ত্যাগ করুন।
আরিফ আজাদ
৯৫. কারো কটু কথা, কটু বাক্য এবং অপমানের বিপরীতে সবরের চাইতে মোক্ষম জবাব আর কিছুই হতে পারেনা।
আরিফ আজাদ
৯৬. মাটির আয়নার যারা নিজেকে দেখতে পায়, অন্যের চোখে বড় হওয়ার বাসনা তাদের থাকতেই পারেনা।
আরিফ আজাদ
৯৭. মাটির উপর যতটা ভাল কাজ করবেন, মাটির নিচে ততটা ভালো থাকবেন।
আরিফ আজাদ
৯৮. আমাদের আত্মার যে খোরাক সেটা যদি আমরা লাভ করতে না পারি, তাহলে আমাদের সুখী হওয়াটা নিছক অভিনয় মাত্র, সুখ নয়।
আরিফ আজাদ
৯৯. প্রাপ্তির আশায় বাবা-মা কখনো সন্তান মানুষ করেনা, বাবা-মায়ের ভালোবাসা সবসময় নিঃস্বার্থ, নির্লোভ, নির্ঝঞ্ঝাট।
আরিফ আজাদ
১০০. বন্ধু তো সে, যে আপনার উপস্থিতিতে আপনার সামনে আল্লাহর কথা বলে। যখন আপনি থাকেন না তখন সে আল্লাহর কাছে আপনার কথা বলে।
আরিফ আজাদ