> পুলিশ কর্মকর্তার ২২ বছরোর্ধ পরিত্যাক্ত বাড়িটি পর্ব ১ | সত্য ঘটনা অবলম্বনে ভূতের গল্প | জ্বীন ভূতের গল্প | Ghost Story | Bangla Ghost Story
-->

পুলিশ কর্মকর্তার ২২ বছরোর্ধ পরিত্যাক্ত বাড়িটি পর্ব ১ | সত্য ঘটনা অবলম্বনে ভূতের গল্প | জ্বীন ভূতের গল্প | Ghost Story | Bangla Ghost Story

হ্যা, ঠিকই শুনেছেন আপনারা!!
আজ প্রায় ২২ বছর যাবৎ বাড়িটি পরিত্যাক্ত।
যেটি নির্মাণ করেছিলেন একজন পুলিশ কর্মকর্তা।

কেমন আছেন সবাই?
বরাবরের মতোই আবার চলে এলাম আপনাদের জন্য রাজধানীর বুকে নতুন এক ভূতুড়ে পরিত্যাক্ত বাড়ির লোমহর্ষক আদিভৌতিক সব তথ্য নিয়ে।
বাড়িটি বনশ্রীতে হলেও বিস্তারিত ঠিকানা নিরাপত্তার স্বার্থে গোপন রাখা হল। 

বনশ্রীর যে এলাকার ঘটনা, সেই এলাকার মেইন রোডের পাশ দিয়ে নেমে যাওয়া এক গলির ঠিক শেষ প্রান্তে অবস্থিত এই বাড়িটি।
বাড়ির সামনেই এসে গলির শেষ।
বাড়ীটির একপাশে তিনটি ও অন্য পাশে বেশ বড়-সড় এক মাঠ সহ একটি প্রকান্ড বাড়ি আছে।
পেছন দিকটায় আর নেই কিছু। তবে অদ্ভুত ভাবেই দু পাশের প্রতিটা বাড়ির পেছন সাইড এ বাড়ির দিকে। সেকারনেই বেশ নির্জনই থাকে যায়গাটা। 

১৯৮০ থেকে ১৯৮২ সালের মধ্যে, তৎকালীন এক পুলিশ কর্মকর্তা বাড়িটি নির্মান করেন। বেশ খানিকটা যায়গা নিয়েই নির্মিত বাড়ীটি।

বাড়িটির সামনের যায়গায় তিনটি আম গাছ। দেখে মূলত একটি বাড়ি মনে হলেও সেখানে মূলত দুটি বাড়ি। সামনের মূল দোতলা বাড়িটা, আর ঠিক সাথে লাগোয়া তিনতলা সাদা বাড়িটা, যেটার উপর একটা মেহেদী গাছ দেখা যাচ্ছে ছবিতে। অদ্ভুর ভাবে তিনতলা বাড়িটির দোতলা দিয়ে মূল দোতলা বাড়িটির আধছাদে আসার রাস্তা আছে। আপনারা ছবিতে খেয়াল করলে দোতলায় একটা দরজা দেখতে পাবেন, মুল বাড়ির আধ ছাদে আসার জন্য। তবে তিন তলা বাড়িটি মুল বাড়ির বেশ পরেই নির্মিত।     

বাড়িটিতে প্রথম দুইটি পরিবার ওঠেন, সেই পুলিশ কর্মকর্তা ও তার ভাই এর পরিবার। কর্মকর্তার এক ছেলে ও তার ভাই এর তিন ছেলে তখন।
বেশ ভালো ভাবেই কাটছিল সব কিছু ১৯৯৬-৯৭ সাল পর্যন্ত। ততদিনে সেই পুলিশ কর্মকর্তার ছেলেও একজন পুলিশ অফিসার হয়ে গেছে। হঠাৎ করেই এরপর শুরু হল নানা রকম গা শিরিশিরে ঘটনা...

ঘটনা অনেকটা এরকম যে প্রথম দিকে সেই কর্মকর্তার যে ছেলে ছিল সে তার ঘরে প্রায়ই অশরীরি কারো উপস্থীতি অনুভব করতে শুরু করে।
মাঝে মাঝে কালো ছায়া দেখতে পায় সে।
এরপর একে একে পরিবারে অনেকেই সম্মুখীন হতে থাকে সেই অদ্ভুত অস্তিত্বর উপস্থিতির। ধীরে ধীরে সেই অশুভ অস্তিত্ব নিজের জানান দিতে শুরু করে আরেকটু জোরে সোরে।

এক রাতে অন্য ভাইয়ের কোন এক ছেলের ঘুমের মধ্যেই হঠাৎ কারো হাতে সজোড়ে চড় খাবার অভিজ্ঞতা দিয়েই শুরু বলা যায়। এরপর আর রাতে নয় সুধু বিভিন্ন সময় পরিবারে ভিন্ন ভিন্ন সদস্য না না প্রকার অস্বাভাবিক সব আঘাতের  সম্মুখীন হতে থাকে। যদিও কাউকেই দেখা যায় না, কিন্তু আঘাতের যায়গা গুলোতে কালসিটের মত হয়ে থাকত নাকি। তবে কেউ কেউ কালো একটা ছায়ার মত সরে যেতে দেখেছে বলে জানা যায়।  

তবে ঘটনা প্রথম সব থেকে খারাপ দিকে মোড় নেয় যখন সেই পুলিশের এক মাত্র ছেলের প্রচন্ড ভাবে আঘাতপ্রাপ্ত মৃত দেহটি আবিষ্কার করে তার বাবা মা।

সমস্ত শরীর জুড়ে বেশ কিছু আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায় তার, যদিও ঘর ছিল ভেতর থেকে লাগানো। তবে ডাক্তার মৃত্যুর কারন হিসেবে হার্টএট্যাক বলে নিশ্চিত করেন। পরিবারটির সবার পায়ের নিচ থেকে যেন হটাৎ মাটি সরে গিয়েছিল সেদিন। এত বড় কোন দুঃসংবাদ তাদের জন্য আসতে পারে, সেটা কল্পনায়ও ছিলো না তাদের। তবে তারা হয়তো নিজেরা তখনও জানতো না, যে এতো ছিল সবে শুরু...

সদা হাস্যোজ্জল রমরমা দুইটি পরিবারের এক শান্তির নিলয়, কিভাবে ধীরে ধীরেই পরিনত হল এক অভিশপ্ত ভয়াল মৃত্যুপুরীতে?
আর কেনই বা হচ্ছিল এমনটা তাদের সাথে...?
কি কি ঘটেছিল তাদের সাথে?




চলবে...





Writer:- Akiluz Zaman
NEXT ARTICLE Next Post
PREVIOUS ARTICLE Previous Post
NEXT ARTICLE Next Post
PREVIOUS ARTICLE Previous Post
 

Delivered by FeedBurner