পাখি আমার, একলা পাখি
হুমায়ুন আহমেদ
২. "সুন্দর ফুল রূপ দিয়ে , গন্ধ দিয়ে , মধু দিয়ে মৌমাছি টেনে এনে ফলে পরিণত হয়, সেই ফল আবার ঠিক সময়ে মাটিতে পড়ে অঙ্কুরে পরিণত হয় – এই তার প্রকৃতি, এই তার প্রবৃত্তি, এই তার স্বর্গীয় প্রেম।"
চরিত্রহীন
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
৩. “আমরা বর্তমানকে নিয়ে বাঁচলেও, কিছু কিছু অতীত তার কলো সীল শক্ত করে বসিয়ে দেয়। কিছুতেই যা তুলে ফেলা যায় না।”
নিশীথিনী
হুমায়ূন আহমেদ
৪. "বিদ্যুৎকে মানুষ লোহার তার দিয়া বাঁধিয়াছে, কিন্তু কে জানিত মানুষ শব্দকে নিঃশব্দের মধ্যে বাঁধিতে পারিবে।"
লাইব্রেরি
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৫. "মৃত্যুর সময় পাশে কেউ থাকবে না, এর চেয়ে ভয়াবহ বোধ হয় আর কিছুই নেই। শেষ বিদায় নেয়ার সময় অন্তত কোনো একজন মানুষকে বলে যাওয়া দরকার। নিঃসঙ্গ ঘর থেকে একা একা চলে যাওয়া যায় না, যাওয়া উচিত নয়। এটা হৃদয়হীন ব্যাপার।"
দেবী
হুমায়ূন আহমেদ
৬. মানুষ প্রশংসা শুনতে ভালোবাসে।
হিমুর আছে জল
হুমায়ূন আহমেদ
৭. "জীবনের সমস্ত ক্ষেত্রেই হুন্ডি কেটে দেনাপাওনা নথিভুক্ত করতে হবে যে, এমন কথা নেই। হৃদয়ের ক্ষেত্রে তো কখনোই নয়। এ বাবদে অনেক দাদন দিতে হয়, অনেককে; অনেকবার। অনেক অগ্রিম দেয় ঋণ ধূলোয় ফেলাও যায়। আবার অনেক জমাও পড়ে প্রাপ্তির ঘরে, সে জমার কোনো ব্যাখা নেই।"
বাবলি
বুদ্ধদেব গুহ
৮. "বাঙালির রক্তে গল্প তৈরি করার ক্ষমতা দীর্ঘদিনের। শুধু কল্পনা দিয়ে বানানো সেইসব গল্পের মাহাত্ম্য এই যে, তারা পরবর্তী প্রজন্মগুলোর মধ্যে বেঁচে থাকতে থাকতে প্রায় সত্যি হয়ে যায়।"
মনে পাপ নেই
সমরেশ মজুমদার
৯. জগতের সত্যগুলি শিশুরা খুব স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করে। কখনই তেমন বিচলিত হয়না। শিশুদের কাছে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে।
হোটেল গ্রেভার ইন
হুমায়ূন আহমেদ
১০. "মানুষ হবার অনেক যন্ত্রণার একটি হচ্ছে–যা
বলতে প্ৰাণ কাঁদে তা কখনো বলা হয় না।"
একজন মায়াবতী
হুমায়ুন আহমেদ
১১. "বহুকাল-মৃত বহুকাল-বিস্মৃত কোন শুকনো ফুলের পাপড়ি যদি হঠাৎ আবিষ্কার করা যায় তাহলে যে সেটিকে এককালে সজীব অবস্থায় সাদরে সঞ্চিত করে রেখেছিল, একমাত্র তারই কাছে সে শুষ্ক পুষ্পের মূল্য আছে, অপরের কাছে তা বর্ণগন্ধহীন আবর্জনা মাত্র।"
বর্ষা
প্রমথ চৌধুরী
১২. "কোনো কিছুর জন্য অপেক্ষা করলেই সময় স্লো হয়ে যায়। টাইম ডাইলেশন হয়।"
চলে যায় বসন্তের দিন
হুমায়ূন আহমেদ
১৩. "মানুষের এমন একজন মানুষও থাকতে হয়। যে খুব যত্ন করে কষ্ট দেয়। হাসতে হাসতে কষ্ট দেয়। কষ্ট না পেলে জীবনবোধে গভীরতা আসে না!"
ভেতর বাহির
সাদ্দাম মোহাম্মদ
১৪. "কিছু কিছু যন্ত্রণা আছে যা একা বহন করতে হয় এবং যন্ত্রণা জয়ের পথ একাই বের করতে হয়।"
ছায়াবীথি
হুমায়ূন আহমেদ
১৫. সত্যিকারের ভালোবাসার একটা বড় লক্ষণ ভালোবেসে সুখ পাওয়া যায় না, কখনো না।
পাখি আমার একলা পাখি
হুমায়ূন আহমেদ
১৬. প্রকৃতিকে ভালোবাসা যৌবনের ধর্ম, কেননা মানবজীবনের দুঃখ এবং পাপবোধ প্রকৃতির প্রতি আকর্ষণকে বিলুপ্ত করে দেয়। যৌবনে রক্তের উচ্ছলতা থাকে, আশা থাকে, চিত্তের পরিচ্ছন্নতা থাকে এবং মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা থাকে না। তাই তখন প্রকৃতির কাছে আমরা সর্বস্ব সমর্পণ করতে পারি।
জীবনের শিলান্যাস
সৈয়দ আলী আহসান
১৭. "অমরত্বের পাশাপাশি সবমানুষের মধ্যেই বোধহয় থাকে মৃত্যুর জন্য আকাঙ্ক্ষা।"
নক্ষত্রের রাত
হুমায়ূন আহমেদ
১৮. "যখন তুমি কিছু পাওয়ার জন্য স্বপ্ন দেখো তা পাইয়ে দেওয়ার জন্য পুরো পৃথিবী তখন ফিসফাস শুরু করে দেয়।"
দি আলকেমিস্ট
পাওলো কোয়েলহো
১৯. অসুন্দর মেয়েদেরও মাঝে মাঝে রূপবতী মনে হয়, যেমন গায়ে-হলুদের দিন। শুধু এই দিনটিতেই কোনো বিচিত্র কারণে তারা দেবীমূর্তির মত হয়ে যায়।
প্রথম প্রহর
হুমায়ূন আহমেদ
২০. "মানুষের সবচেয়ে বড় ভুল হলো সে ভাবে তার হাতে অফুরান সময়। সেই অফুরান সময় যে কখন খুব সীমিত হয়ে যায় সেটা মানুষ জানতেই পারে না।"
সাইলেন্স
ফারজানা মিতু
২১. "মানুষ পাখি নয়, তাই চাইলে ও উড়তে পারেনা। নিজের তৈরি গণ্ডির ভেতরে মনে মনে ওড়ে, পাখা ঝাপটায়। সেই উড়ে বেড়ানো কারও চোখে পড়ে না।"
সাইলেন্স
ফারজানা মিতু
২২. “অসম্ভব ক্ষমতাবান লোকেরা প্রায় সময়ই নিঃসঙ্গ অবস্থায় মারা যায়।”
আকাশজোড়া মেঘ
হুমায়ূন আহমেদ
২৩. "একমাত্র মেয়ে মানুষই পারে অসম্ভব ভালোবাসা বুঝতে পেরেও না বোঝার ভান করে দূরে থাকতে l আবার বোকার মত এই মেয়ে মানুষই কাঁদতে থাকে শুধু মাত্র ভালোবাসার জন্য"
শঙ্খচিল
ইসমত আরা প্রিয়া
২৪. "মানুষ খুব যুক্তিবাদী প্রাণী হলেও তার মধ্যে অনেকখানি অংশ আছে যুক্তিহীন, মানুষ যুক্তি ছাড়াই বিশ্বাস করতে ভালোবাসে।"
হিমুর দ্বিতীয় প্রহর
হুমায়ূন আহমেদ
২৫. আমি কেউ না' বলাতে একটা রহস্য আছে। বলার ভঙ্গি সামান্য পরিবর্তন করে 'আমি কেউ না' বলেও বুঝিয়ে দেওয়া যায়- আমি অনেক কিছু।
জোছনা ও জননীর গল্প
হুমায়ূন আহমেদ
২৬. "ভালোবাসা বট গাছের মত, ক্ষুদ্র বীজ থেকে শুরু হয়, তারপর হঠাৎ একদিন ডালপালা মেলে দেয়।"
নবনী
হুমায়ুন আহমেদ
২৭. শিকল দিয়ে কাউকেই বেঁধে রাখা হয় না । তারপরেও সব মানুষই কোনও না কোনও সময় অনুভব করে তার হাত-পায়ে কঠিন শিকল । শিকল ভাঙতে গিয়ে সংসার বিরাগী হয়ে গভীর রাতে গৃহত্যাগ করে । ভাবে, মুক্তি পাওয়া গেল। দশতলা বাড়ির ছাদ থেকে গৃহী মানুষ লাফিয়ে পরে ফুটপাতে। এরা ক্ষণিকের জন্য শিকল ভাঙার তৃপ্তি পায়।
মৃন্ময়ী
হুমায়ূন আহমেদ
২৮. অনেকদিন পর মেয়ে বন্ধুরা একত্রিত হলে একটা দারুণ ব্যাপার হয়। আচমকা সবার বয়স কমে যায়। প্রতিনিয়ত মনে হয় বেঁচে থাকাটা কি দারুণ সুখের ব্যাপার।
নির্বাসন
হুমায়ূন আহমেদ
২৯. "আমি যে তাকে ভালবাসি, তা ওর রূপের জন্যেও নয়, ওর গুণের জন্যেও নয়। ভাল না বেসে থাকতে পারি না বলে বাসি।"
গয়নার বাক্স
শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
৩০. "শাসন শুনতে যতই খারাপ লাগুক, যে মানুষের জীবনে শাসন মানুষ থাকে না তার মত অভাগা আর কে আছে!"
সাতকাহন
সমরেশ মজুমদার
৩১. "তুমি আমার কাছে কী যে চাও আর আমি তোমাকে কতটুকুই-বা দিতে পারি ভেবে পাই নে।"
শেষের কবিতা
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৩২. " বেশি বুঝতে পারাটা একধরনের দুর্ভাগ্য।যারা কম বুঝতে পারে-এ পৃথিবীতে তারাই সবচেয়ে সুখী।বোকা মানুষেরা কখনো আত্মহত্যা করে না। "
তন্দ্রা বিলাস
হুমায়ূন আহমেদ
৩৩. "রাত্রি বলেই অন্ধকারে, আমার ভীষণ ভয়,
যদি ভুলে যাওয়া স্মৃতির সাথে হঠাৎ দেখা হয়,
মানুষ জানে, বাড়লে রাত্রি, মানুষ একা হয়।"
তোমাকে দেখার অসুখ
সাদাত হোসাইন
৩৪. "জীবন ও মৃত্যুই কিছু লোকের দেখাশোনা করে। কিছু লোককে দেখে ভাগ্য, কিছু লোককে ধর্ম এসে নিয়ে যায়।"
তোমার উদ্দেশ্যে
শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
৩৫. এখানে প্রতিষ্ঠাসম্পন্ন কাউকে সালাম দিলে, সালামটা তাঁর প্রাপ্য বলে ধরে নেন এবং যিনি সালাম দেন তাঁকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নিতান্তই ছোটোলোক বলে ধরে নেয়া হয়।
যদ্যপি আমার গুরু
আহমদ ছফা
৩৬. "যে জিনিস যত দুষ্প্রাপ্য মানুষের মনের কাছে তাহার মূল্য তত বেশি। এ কথা খুবই সত্য যে,এই মূল্য মানুষের মনগড়া একটি কৃত্রিম মূল্য,প্রার্থিত জিনিসের সত্যকার উৎকর্ষ বা অপকর্ষের সঙ্গে এর কোনো সম্বন্ধ নাই। কিন্তু জগতের অধিকাংশ জিনিসের উপরই একটা কৃত্রিম মূল্য আরোপ করিয়াই তো আমরা তাকে বড় বা ছোট করি।"
আরণ্যক
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
৩৭. এই পৃথিবী বড়ই বিষাদময়! আমি এই পৃথিবী ছেড়ে অন্য কোনো পৃথিবীতে যেতে চাই, যে-পৃথিবীতে মানুষ নেই। চারপাশে পত্ৰপুষ্পশোভিত বৃক্ষরাজি। আকাশে চিরপূর্ণিমার চাঁদ, যে-চাদের ছায়া পড়েছে ময়ূরাক্ষী নামের এক নদীতে। সেই নদীর স্বচ্ছ জলে সারাক্ষণ খেলা করে জোছনার ফুল। দূরের বন থেকে ভেসে আসে অপার্থিব সংগীত।
আমার ছেলেবেলা
হুমায়ুন আহমেদ
৩৮. মিথ্যা কখনো এক লাইনে বলা যায় না। মিথ্যা বলতে হয় আঁটঘাট বেঁধে। সত্যি কথার কোনো ডিটেল ওয়ার্কের প্রয়োজন হয় না, কিন্তু মিথ্যা মানেই প্রচুর ডিটেল কাজ।
আকাশজোড়া মেঘ
হুমায়ূন আহমেদ
৩৯. "জীবন কখনো কখনো প্রিয়তম মানুষদের মধ্যেও অদ্ভুত অভিমানের দেয়াল তুলে দেয়। ভালোবেসে কাছে এসে সেই দেয়াল ভাঙ্গা হয়না বলে তা ক্রমশ ই মহাপ্রাচীর হয়ে উঠতে থাকে। এক সময় হয়ে ওঠে অলঙ্ঘনীয় ও।"
ছদ্মবেশ
সাদাত হোসাইন
৪০. "দুঃখ চক্রাকারে ঘুরে আসে,যে দুঃখ ভোগ করা হয়নি প্রথম জীবনে, তা হয়তো দেখা দেবে জীবনের শেষে, এড়িয়ে যাবার উপায় নেই।"
সিদ্ধার্থ
হেরমান হেস
৪১. "শত্রু বেদনা দেয় মিলনে, মিত্র দেয় বিরহে।"
শবনম
সৈয়দ মুজতবা আলী
৪২. "তোমার জীবনে দুঃখ -কষ্ট যাই আসুক, তুমি ভেঙ্গে পড়বে না। একসময় সোজা হয়ে দাঁড়াবার সুযোগ তুমি পাবেই।"
পুষ্প বৃক্ষ এবং বিহঙ্গ পুরাণ
আহমদ ছফা
৪২. “যেসব সম্পর্ক জন্মসূত্রে পাওয়া সেগুলো অনেক আঘাত সত্ত্বেও শেষপর্যন্ত টিমটিম করে বেঁচে থাকে। অথচ জীবনযাপনের ক্ষেত্রে আমরা এই সম্পর্কগুলোকে খুব একটা গুরুত্ব দিই না”
সত্যমেব জয়তে
সমরেশ মজুমদার
৪৩. “পৃথিবীর সমস্ত সম্পদ পেয়েও মানুষ সুখী হয় না যদি সে একাকীত্ব বোধের শিকার হয়”
জন-যাজক
সমরেশ মজুমদার
৪৪. "নিজের পূণ্যের কথা বললে সে পূণ্য ক্ষয় হয়, কীর্তির কথা বললে সে কীর্তির বুনিয়াদে ফাটল ধরে, নিজের বেদনার কথা বললে নিজের আপমান করা হয়; নিজের সুখের কথা বললে অহংকারের পাপ স্পর্শ করে"
আমার কালের কথা
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
৪৫. “মনের গায়ে একবার কারো ছাপ বসে গেলে সেখানে অন্য কোন ছাপ স্পষ্ট হতে পারে না”
কুলকুন্ডলিনী
সমরেশ মজুমদার
৪৬. "তবু মানুষ এমন ই অন্ধ, এমন ই নিকৃষ্ট যে, নিজের বেলা আর পরের বেলা দুরকম চোখ নিয়ে দেখে।"
মানবজমিন
শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
৪৭. "সম্পর্ক যদি হৃদয়ের হয় তবে তাকে বাইরের ঘটনা দিয়ে বিচার করতে নেই। অন্তত, একেবারেই নয়।"
রংমহল
সমরেশ মজুমদার
৪৮. "সুযোগ-সম্ভাবনা বোঝার ক্ষমতা যাদের নেই, তারা সুযোগ এসে যখন দরজায় কড়া নাড়ে, তখন আওয়াজ হচ্ছে বলে বিরক্ত হয়।"
তুমিও জিতবে
শিব খেরা
৪৯. "প্রণয় এইরূপ! প্রণয় কর্কশ কে মধুর করে, অসৎকে সৎ করে, অপুণ্যকে পুণ্যবান করে, অন্ধকারকে আলোকময় করে!"
কপালকুণ্ডলা
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
৫০. "বাহিরকেই চরম করিয়া দেখিলে ভিতরকে দেখা হয় না এবং বাহিরকেও সত্যরূপে গ্রহণ করা অসম্ভব হয়।"
যাত্রার পূর্বপত্র
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৫১. যাহা দিলাম তাহা উজাড় করিয়াই দিলাম। এখন ফিরিয়া তাকাইতে গেলে দুঃখ পাইতে হইবে। অধিকার ছাড়িয়া দিয়া অধিকার রাখিতে যাইবার মতো এমন বিড়ম্বনা আর নাই।
হৈমন্তী গল্পগুচ্ছ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৫২. "প্রেমিকরা কখনো অভিজ্ঞ হয় না,অভিজ্ঞ লোকেরা প্রেমিক হতে পারে না !"
সোনালী দুঃখ
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
৫৩. “অকারণ উদ্বিগ্নতা মানুষের পায়ের তলার মাটিকে বড্ড পিছল করে দেয়”
বুনো হাঁসের পালক
সমরেশ মজুমদার
৫৪. "কেউ যখন একই মানুষজনকে প্রতিদিন দেখে, তারা একসময় সে মানুষটার জীবনের অংশ হয়ে ওঠে। তারপর তারা মানুষটাকে বদলাতে চায়। মানুষটা তাদের মনমতো না বদলালে তারা ক্ষেপে ওঠে। মজার ব্যাপার হলো অন্যদের জীবন-যাপন কেমন হওয়া উচিত সে ব্যাপারে সবার পরিষ্কার ধারনা থাকলেও নিজের ব্যাপারে কারোই কোনো ধারণা নেই।"
দ্য আলকেমিস্ট
পাওলো কোয়েলহো
৫৫. "পালিয়ে গিয়ে , পালানোই হয় ছাড়া হয় নাকি ? ঐশ্বর্যের মধ্যে থেকেই ঐশ্বর্য ছাড়তে হয় , পালালে তোমাকে আরো বেশি করে টানবে।"
সেই অজানার খোঁজে
আশুতোষ মুখোপাধ্যায়
৫৬. ‘মেয়েরা দশ হাজার বছর পরে দেখা হলেও আপনার জনকে চিনতে পারে ভাই, ওরা তো আর পুরুষ নয়!’
মৃত্যুক্ষুধা
কাজী নজরুল ইসলাম
৫৭. যে ছেলে চাবা-মাত্রই পায়,চাবার পূর্বেই যার অভাবমোচন হতে থাকে ; সে নিতান্ত দুর্ভাগা। ইচ্ছা দমন করতে না শিখে কেউ কোনো কালে সুখী হতে পারে না।
কর্মফল গল্পগুচ্ছ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৫৮. "মৌখিক আত্মীয়তা ভারি বিশ্রী ঠেকে, কেননা, কথা সেখানে শুধু মুখ থেকে বার হচ্ছে, বুক থেকে নয়; কোলাকোলি সেও বাইরে-বাইরে ছোঁয়াছুয়ি, বুকে-বুকে লাগা একে বলতে পারা গেল না! ভারি সুন্দর লাগে যখন মানুষটির সঙ্গে মানুষের হৃদয় বাইরেটির সঙ্গে ভিতরের ভাবগুলি সুন্দর মিল নিয়ে এসে লাগে মনে।"
সুন্দর
অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৫৯. "পিতা যখন পুত্রকে শাসন করে - পুত্র ভাবে যে, পিতা কি নিষ্ঠুর! সে জানে না যে পিতার উদ্যত বেত্রের অর্ধেকখানি পড়ে সেই পিতারই পৃষ্ঠে।"
সাজাহান
দ্বিজেন্দ্রলাল রায়
৬০. "মানুষ আসলে কখনো ভালো থাকে না। মানুষ যা পারে তা হলো ভালো থাকার চেষ্টা করাটা।
সমুদ্রের উঁচু নিচু ঢেউ বিপদ হয়ে যখন জীবনে আসে মানুষ তখন লড়াই করে টিকে থাকতে চায়। এই চেষ্টাটাই, চাওয়াটাই সব। সবাই আসলেই নিজ, নিজ জায়গা থেকে প্রবলভাবে একা। কতকিছু বলার থাকে, কতকিছু বোঝে না কাছের মানুষেরা!
প্রচন্ড অভিমান বুকের ভেতর পুষে এক একটা দিন টেনে নিয়ে যাওয়া সহজ কথা নয়! তবুও মানুষ বাঁচে, বাঁচতে চায়।"
মেঘডুবি
কিঙ্কর আহ্সান
৬১. "প্রেম হচ্ছে এক ধরনের জীবাণু, ইংরেজীতে বলে love bug, জীবাণুর প্রথম আক্রমনে নার্ভাস সিস্টেম উইক হয়ে যায়, তারপর লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হয়।"
বহুব্রীহি
হুমায়ূন আহমেদ
৬২. "জীবন বড় মধুময় শুধু এইজন্য যে,এই মাধুর্যের অনেকটাই স্বপ্ন ও কল্পনা দিয়া গড়া।হোক না স্বপ্ন মিথ্যা, কল্পনা বাস্তবতার লেশশূন্য;"
পথের পাঁচালী
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
৬৩. "আমি হেরেছি হেরেছি সত্য এ বচন।
হেরেই কিন্তু হয় সার্থক জীবন।"
কবি
তারাশঙ্কর বন্দ্যােপাধ্যায়
৬৪. " মানুষের উপবাসী হৃদয়ের সুধা মেটাবার প্রধান সামগ্রী হচ্ছে গল্প, তা সত্যই হোক আর মিথ্যাই হোক। "
বীরবলের হালখাতা
প্রমথ চৌধুরী
৬৫. "যে ভালোবাসে তার যেমন হৃদয় কাঁদে, যাকে ভালোবাসে তার ও যে হৃদয় ভাঙ্গে।"
একাকী আকাশ ওখানে
আফজাল হোসেন
৬৬. মানুষ হয়ে জন্মানোর সবচেয়ে বড় কষ্ট হচ্ছে মাঝে মাঝে তার সবকিছু পেছনে ফেলে চলে যেতে ইচ্ছা করে, কিন্তু সে যেতে পারে না।তাকে অপেক্ষা করতে হয়। কিসের অপেক্ষা তাও সে ভালমত জানে না।
রজনী
হুমায়ূন আহমেদ
৬৭. টাকা জিনিসটা ভালো নয়। উহাতে মন চাপা পড়িয়া যায়। মন যখন রাজত্ব করে তখন সে আপনার সুখ আপনি সৃষ্টি করিতে পারে, কিন্তু ধন যখন সুখসঞ্চয়ের ভার নেয়, তখন মনের আর কাজ থাকে না। তখন, আগে যেখানে মনের সুখ ছিল, জিনিসপত্র আসবাব আয়োজন সেই জায়গাটুকু জুড়িয়া বসে। তখন সুখের পরিবর্তে কেবল সামগ্রী পাওয়া যায়।
দৃষ্টিদান গল্পগুচ্ছ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৬৮. কেউ হেসে আনন্দ পায়।কেউ কেঁদে আনন্দ পায়। অনন্দটাই প্রধান। হাসা বা কাঁদাটা কোনো ব্যাপার না।
দেয়াল
হুমায়ূন আহমেদ
৬৯. পাগলের ভাব ধইরা থাকোনের মধ্যেও অনেক সুবিধা আছে। যা খুশি করন যায়, যা খুশি বলা যায় কেউ ঘাটায় না।
উড়ে যায় বক পক্ষী
হুমায়ূন আহমেদ
৭০. "কেউ সুখের কথা বললেই আমার বুকের ভেতরকার শুকনো পুকুরটা জলে ভরে যায়, আর মনে হয় সেখানে শান বাঁধানো ঘাটে জলে পা ডুবিয়ে তুমি বসে আছ।"
ঘুম ভাঙছেই
রুদ্র গোস্বামী
৭১. কান্না হচ্ছে একটি খুবই ব্যক্তিগত ব্যাপার। এমনভাবে কাঁদা উচিৎ নয় যে অন্য কেউ তা টের পেয়ে ফেলে!
প্রিয়তমেষু
হুমায়ূন আহমেদ
৭২. "জগৎ স্বার্থময়-মানুষ স্বার্থের দাস। যত দিন স্বার্থের আশা থাকে, ততদিন ইয়ার বন্ধুর গতিবিধির বিরাম থাকে না, অর্থ ফুরাইলেই অদর্শন।"
জোহরা
মোজাম্মল হক
৭৩. "জগতের সকলে ভান ধরে থাকে। ভানের আড়ালে চেহারাখানি বোঝা খুব শক্ত।"
অন্দরমহল
সাদাত হোসাইন
৭৪. "দেখ দাদা, আমাদের আর বড় হয়ে দরকার নেই। বড় হলেই মানুষ বুড়ো হয়ে যায়, বুড়ো হলেই জীবনটা যেন কেমন হয়ে যায়! মা থাকে না, বাবা থাকে না, কেউ থাকে না। হটাৎ একদিন মরে যায়। আয়, আমরা যেমন আছি তেমনই থাকি।"
রুকু সুকু
সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়
৭৫. ´বনের ফুল যারা ভালোবাসে না, সুন্দরকে চেনে না, দিক বলয় রেখা যাহাদের কখনো হাতছানি দিয়ে ডাকে নাই, তাহাদের কাছে এই পৃথিবী ধরা দেয় না কোন কালেই।’
আরন্যক
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
৭৬. " হারানোর বেদনা যার জানা নেই, কোনো কিছু আগলে রাখার চেষ্টা তার ভেতরে দেখা যায় না। "
বিবিয়ানা
কিঙ্কর আহ্সান
৭৬. "দুঃখের সান্তনা যে ঈশ্বর কোথায় কত জায়গায় রেখেছেন তা সব সময় জানতে পারিনে বলেই আমরা কষ্ট পাই।"
গোরা
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৭৭. "এত ক্ষতি,এত লাঞ্ছনা যাহার জন্য,এত বড় সর্বনাশ যে বাঁধিয়া গেল,সে তাহার কে ছিল?"
চরিত্রহীন
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
৭৮. "জগৎ জুড়ে কী অপার ভালোবাসা ছড়ানো ছিটানো। তার কতটুকুই বা আমরা নিতে পারি আমরা! আমরা খুঁজে খুঁজে কেবল ঘৃণা আর দুঃখ নেই। ভালবাসারা পরে থাকে আড়ালে -আবডালে।"
আরশিনগর
সাদাত হোসাইন
৭৯. "বুদ্ধির আবিষ্কার, বুদ্ধির সিদ্ধান্ত কাজে লাগানোর চেয়ে অন্ধ অকেজো ভালোলাগা ও পছন্দকে মেনে চলা অনেক সহজ, অনেক মনোরম। বুদ্ধিজীবিদের মধ্যে তাই অধ:পতন এত বেশি। এত বেশী হতাশা। কথার এত মারপ্যাঁচ। এত ফাঁকিবাজি। বিশ্বাসের এমন নিদারুণ অভাব।"
চিহ্ন
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
৮০. পরের ছেলে মানুষ করিলে তাহার প্রতি প্রাণের টান আরো যেন বেশি হয়, কারণ তাহার উপরে অধিকার থাকে না ; তাহার উপরে কোনো সামাজিক দাবি নাই, কেবল স্নেহের দাবি — কিন্তু কেবলমাত্র স্নেহ সমাজের সমক্ষে আপনার দাবি কোনো দলিল - অনুসারে সপ্রমাণ করিতে পারে না এবং চাহেও না,কেবল অনিশ্চিত প্রাণের ধনটিকে দ্বিগুণ ব্যাকুলতার সহিত ভালোবাসে।
জীবিত ও মৃত গল্পগুচ্ছ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৮১. যাহার কিছু নাই, সে যদি অহংকার করিয়া সুখী হয়, তাহাতে আমার তো সিকি পয়সার লোকসান নাই, বরং সে বেচারার সান্ত্বনা আছে।
ঠাকুরদা গল্পগুচ্ছ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৮২. "এক সময় আমাদের ইচ্ছেগুলোই ইচ্ছের বিরুদ্ধে দাঁড়ায়।"
ছায়ামেঘ
আসিফ আহম্মেদ
৮৩. "যত আশাবাদীই হই কিংবা হওয়ার অভিনয় করি না কেন, সত্যি বলতে কী মানুষের বেঁচে থাকার ইতিহাস আসলে শেষ পর্যন্ত সহিংসতারই ইতিহাস।"
ভালোবাসা কারে কয়
অভিজিৎ রায়
৮৪. "সংসারে সুখের স্থানই সবচেয়ে সংকীর্ণ-- কোথাও তাহাকে সম্পূর্ণ নির্বিঘ্নে রাখিবার অবকাশ নাই।"
চোখের বালি
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৮৫. হঠাৎ একদিন পূর্ণিমার রাত্রে জীবনে যখন জোয়ার আসে, তখন দুই কূল প্লাবিত করিয়া মানুষ মনে করে, 'আমার কোথাও সীমা নাই।' তখন যে একটা বৃহৎ প্রতিজ্ঞা করিয়া বসে জীবনের সুদীর্ঘ ভাঁটার সময় সে প্রতিজ্ঞা রক্ষা করিতে তাহার সমস্ত প্রাণে টান পড়ে। হঠাৎ ঐশ্বর্যের লেখনীর এক আঁচড়ে যে দানপত্র লিখিয়া দেয় চিরদারিদ্র্যের দিনে পলে পলে তিল তিল করিয়া তাহা শোধ করিতে হয়। তখন বুঝা যায়, মানুষ বড়ো দীন,হৃদয় বড়ো দুর্বল,তাহার ক্ষমতা অতি যৎসামান্য।
মধ্যবর্তিনী গল্পগুচ্ছ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৮৬. "এত আশাহত হও কেন? আশা রাখো ।স্বপ্ন দেখো। দেখবে একদিন সোনালি সকালে স্বপ্ন তোমার দরজায় অতিথির মতো কড়া নাড়ছে।"
উৎসর্গ
পরিতোষ বাড়ৈ
৮৭. "মানুষ বস্তুর চেয়ে অবস্তুকে বেশি মূল্যবান জ্ঞান করে,সোনার চেয়ে বানি,প্রাণের চেয়ে মান এবং আপনার চেয়ে আপনার নামটাকে বড়ো মনে করে।"
গিন্নি গল্পগুচ্ছ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৮৮. মনুষ্যসমাজ একটা জটিল ভ্রমের জাল। ঠিক সময়ে ঠিক কাজ করিতে কাহারও মনে পড়ে না, তাহার পরে বেঠিক সময়ে বেঠিক বাসনা লইয়া অস্থির হইয়া মরে।
একরাত্রি গল্পগুচ্ছ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৮৯. মানুষ যতদিন বিয়ে না করে,ততদিন তার থাকে দুটো পা। সে তখন স্বচ্ছন্দে যে কোন দ্বিপদ প্রাণীর মত হেঁটে বেড়াতে পারে, মুক্ত আকাশের মুক্ত পাখির মত স্বাধীনভাবে উড়ে বেড়াতেও পারে; - কিন্তু যেই সে বিয়ে করলে, অমনি হয়ে গেল তার দু'জোড়া বা এক গন্ডা পা। কাজেই সে তখন হয়ে গেল একটি চতুষ্পদ জন্তু। বেচারার তখন স্বাধীনভাবে বিচরণ করবার ক্ষমতা ত গেলই ( কারণ চার-চারটে পা নিয়ে ত কোন জন্তুকে উড়তে দেখলাম না!) অধিকন্তু সে হয়ে পড়ল একটা স্থাবর জমি-জমারই মত। একেবারে মাটির সঙ্গে 'জয়েন'! তারপর দৈবক্রমে যদি একটি সন্তান এসে জুটল তাহলে সে একটি ষটপদ মক্ষিকা - সর্বদাই আহরণে ব্যস্ত। আর একটি বংশবৃদ্ধি হলেই - অষ্টপদ পিপীলিকা ; দিন নেই, রাত নেই, - ছোটো শুধু আহারের চেষ্টায়। তারপর, এই বংশবৃদ্ধি যখন বংশ - ঝাড়েরই মত চরম উন্নতি লাভ করল,অর্থাৎ কিনা নিতান্ত অর্বাচীনের মত গিন্নী যখন এক বস্তা সন্তান প্রসব করে ফেলেন,বেচারা পুরুষ তখন হয়ে গেল একেবারে বহুপদবিশিষ্ট একটি অলস কেন্নো! বেশ একটা হতাশ - নির্বিকার ভাব! কোন বস্তুর নেই - ছুঁলেই জড়সড়।
বাঁধন- হারা
কাজী নজরুল ইসলাম
৯০. নারী শুধু ইঙ্গিত, সে প্রকাশ নয়। নারীকে আমরা দেখি বেলাভূমে দাঁড়িয়ে - মহাসিন্ধু, দেখার মত। তীরে দাঁড়িয়ে সমুদ্রের যতটুকু দেখা যায়, আমরা নারীকে দেখি ততটুকু। সমুদ্রের জলে আমরা যতটুকু নামতে পারি, নারীর মাঝেও ডুবি ততটুকুই।...সে সর্বদা রহস্যের পর রহস্য - জাল দিয়ে নিজকে গোপন করছে - এই তার স্বভাব।...
কি গভীর রহস্য ওদের চোখে - মুখে। ওরা চাঁদের মত মায়াবী ; তারার মত সূদুর। ছায়াপথের মত রহস্য।... শুধু আবছায়া, শুধু গোপন! ওরা যেন পৃথিবী হ'তে কোটি কোটি মাইল দূরে। গ্রহ - লোক ওদের চোখ চেয়ে আছে অবাক হয়ে - খুকী যেমন করে সন্ধ্যাতারা দেখে। ওদের হয়ত শুধু দেখা যায়, ধরা যায় না। রাখা যায়, ছোঁয়া যায় না। ওরা যেন চাঁদের শোভা, চোখের জলের বাদলা-রাতে চারপাশের বিষাদ -ঘন মেঘে ইন্দ্রধনুর বৃত্ত রচনা ক'রে। দু'দন্ডের তরে,তারপর মিলিয়ে যায়। ওরা যেন জলের ঢেউ, ফুলের গন্ধ, পাতার শ্যামলিমা,ওদের অনুভব কর,দেখ,কিন্তু ধরতে যেও না।
ঢেউ ধরতে গেলেই জলে ডুববে। গন্ধ ধরতে গেলেই বিঁধবে কাঁটা। শ্যামলিমা ধরতে গেলেই বাজবে শাখা। নারী দেবী,ওঁকে ছুঁতে নেই, পয়ের নিচে গড় করতে হয়।
কুহেলিকা
কাজী নজরুল ইসলাম
৯১. সোহিনী, তুমি আমার কাছে অর্ধেক আনন্দ, অর্ধেক বেদনা। অর্ধেক কষ্ট, অর্ধেক সুখ। অর্ধেক নারী, অর্ধেক ঈশ্বরী। তোমাকে নিয়ে আমি কি করবো! তোমার টানা টানা কালো চোখের অতল চাউনী আমাকে আকুল করে। তোমার মুখের দীপ্তি মেঘ-ভাঙা চাঁদের হঠাৎ ছড়িয়ে-যাওয়া জোছনার মতো আমার মনের গভীরে সুবর্ণ তরঙ্গ জাগিয়ে তোলে। দিঘল চিকন কালো কেশরাশি যখন তুমি আলুলায়িত করো,হাওয়া-লাগা চারাগাছের মতো আমি কেমন আন্দোলিত হয়ে উঠি।
অর্ধেক নারী, অর্ধেক ঈশ্বরী
আহমদ ছফা
৯২. "চিন্তা মানুষকে ভীরু করে তোলে, সিদ্ধান্তকে কাজে পরিণত করতে দেয় না, কর্মতৎপরতাকে নষ্ট করে দেয়।"
হ্যামলেট
উইলিয়াম শেক্সপিয়ার
৯৩. "আমার যা দাম তা একান্ত আমারই। যদি
আমি সোনা হয়ে থাকি সোনার দামই
পাবো। যদি পেতল হয়ে থাকি সোনা বলে
চালিয়ে কোনো লাভ নেই।"
আহমদ ছফার ডায়েরি
আহমদ ছফা
৯৪. “পালিয়ে কোন লাভ হয় না। কারণ, ভয়ের
হেতু বাইরে কোথাও নেই, আছে আমাদেরই ভিতরে, আমাদেরই বােঝবার ভুলে। পাপ বা
পুণ্য, ভীষণ বা সুন্দর, ভাল বা মন্দ আমাদের নিজেদেরই অজ্ঞতার সৃষ্টি। সংস্কারবশে আমরা
নিজেরাই নানা রঙে রঙিন করে দেখি সব জিনিসকে। আলকাতরা মাখিয়ে কাউকে করি
কালাে, আবার কুঙ্কুম মাখিয়ে কাউকে করি লাল। আবার নিজের সৃষ্টি কালােকে দেখে
নিজেরাই শিউরে উঠি, লালকে দেখে নিজেরাই মুগ্ধ হই। আসলে কেউ লালও নয়, কেউ
কালােও নয়।”
ডানা
বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়
৯৫. “বেশি বুদ্ধির মেয়ে কখনো সুখী হয় না।সংসারে যে মেয়ের বুদ্ধি যত কম সে তত সুখী।”
বৃষ্টি বিলাস
হুমায়ন আহমেদ
৯৬. মানুষ মাত্রেই চায় তার বেদনায় সহানুভূতি, তা নইলে তার জীবনভরা ব্যথার ভার নেহাত অসহ্য হ'য়ে পড়ে যে! দরদী বন্ধুর কাছে তার দুঃখের কথা ক'য়ে আর তার একটু সজল সহানুভূতি আকর্ষণ ক'রে যেন তার ভারাক্রান্ত হৃদয় লঘু হয়।
ঘুমের ঘোরে নির্বাচিত গল্প
কাজী নজরুল ইসলাম
৯৭. "যে লোক নিজের লড়াই থেকে পিছিয়ে আসে, ফুটো পয়সাও মূল্য নেই তার। অন্যরা কখনও পাত্তা দেয়না তাকে।"
সাহস
গোলাম মাওলা নঈম
৯৮. “ আমরা বর্তমানকে নিয়ে বাঁচলেও, কিছু কিছু অতীত তার কলো সীল শক্ত করে বসিয়ে দেয়। কিছুতেই যা তুলে ফেলা যায় না। ”
নিশীথিনী
হুমায়ূন আহমেদ
৯৯. "অমনি যাহা আমাদের হাতে আসে তাহাকে আমরা সম্পূর্ণ পাই না, ত্যাগের দ্বারা আমরা যখন তাহাকে পাই তখনই যথার্থ তাহা আমাদের অন্তরের ধন হইয়া ওঠে।"
নৌকাডুবি
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১০০. "ভালোবাসা মানেই তো দুঃখ, তবু মানুষ ভালবাসতে চায়।"
সোনালী দুঃখ
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়