কুচঁকুচেঁ একটি কালো মানুষের দুটো হাত এগিয়ে আসছে আমার দিকে। আমি ভয়ে চিৎকার দেয়ার আগেই মানুষটি আমার সামনে দাঁড়ালো। আমি জানালার পাশে দাড়িয়ে ছিলাম ঘুটঘুটে অন্ধকার রুমে। মানুষটি আমার দিকে তাকিয়ে বললো কিছু খাবে নীলা? সারাদিন মনে হয় কিছুই খাওনি ,প্লিজ রাগ করে থেকো না মাত্র ৭দিনই তো, দেখো ৭দিন দেখতে দেখতে কেটে যাবে .......
বললাম খিদে নেই। মানুষটার দিকে তাকালাম
মানুষটি অন্য কেউ না আমার স্বামী ইফতি আহমেদ। আজ আমাদের দ্বিতীয় তম বিবাহ বার্ষিকী । অথচ আজ রাতেই ইফতি জাপান যাচ্ছে ব্যবসার কাজে । তাছাড়া সামনের সপ্তাহে আমাকে ডাক্তার ডেট দিয়েছে সিজারে বাবু হবে । নরমালে রিক্সস হয়ে যায় .....
ইফতির ফ্লাইট রাত ৯টায়, তাড়াতাড়ী নিজেই ব্যাগ গোঁছালো তারপর আমাকে জড়িয়ে ধরে কপালে চুমু খেল। পেটের কাছে কান পেতে বললো "জুনিয়র ইফতি আর মাত্র ৭দিন তুমি পাপার সাথে খেলবে আর আমরা দুজন তোমার মাকে খুব জ্বালাবো "
মানুষটি অন্য কেউ না আমার স্বামী ইফতি আহমেদ। আজ আমাদের দ্বিতীয় তম বিবাহ বার্ষিকী । অথচ আজ রাতেই ইফতি জাপান যাচ্ছে ব্যবসার কাজে । তাছাড়া সামনের সপ্তাহে আমাকে ডাক্তার ডেট দিয়েছে সিজারে বাবু হবে । নরমালে রিক্সস হয়ে যায় .....
ইফতির ফ্লাইট রাত ৯টায়, তাড়াতাড়ী নিজেই ব্যাগ গোঁছালো তারপর আমাকে জড়িয়ে ধরে কপালে চুমু খেল। পেটের কাছে কান পেতে বললো "জুনিয়র ইফতি আর মাত্র ৭দিন তুমি পাপার সাথে খেলবে আর আমরা দুজন তোমার মাকে খুব জ্বালাবো "
ইফতিকে ছাড়া ভালোলাগছে না .....
পুরনো স্মৃতিগুলো মনে পড়ছে।
পুরনো স্মৃতিগুলো মনে পড়ছে।
আমি বিয়েতে রাজী ছিলাম না ইফতি সেটা জানে। তবু সে আমার অতীত জেনেও বিয়ে করতে রাজী হয়।
বাবা ইফতির কাছে আমার বিষয়ে সব বলেছে এমনকি আমি রিয়াদকে ভালবাসতাম, আমরা পালিয়ে বিয়ে করেছিলাম এমনকি আমার একটি মৃত সন্তান হয় ইত্যাদি সবকিছুই বাবা ইফতিকে বলেন।
একদিন ইফতি আমাকে ফোন করে বললো "চলো কোথাও দুজনে আজ ডিনার করে আসি" আমি সাথে সাথে না করে দেই এবং ইফতিকে অপমানসূচক কিছু কথা শুনিয়ে দেই।
ইফতি হেসে বলেছিল "তোমাকে আমি সরাসরি দেখিনি, তোমার বাবা আমার বাবা বন্ধু, তারা দুজনের সম্মতিতে আমি তোমাকে বিয়ে করতে রাজী হয়েছি,তাছাড়া তোমার দুঃখগুলো আমার হৃদয়কে স্পর্শ করেছে।
আমি ইফতির কথাতে রেগে বলেছিলাম আমি আপনাকে বিয়ে করবো না, পুরুষদের চরিত্র চেনা হয়ে গেছে। ইফতি তারপরও হাসতে লাগলো । এত হাসতে পারে ইফতি বলে শেষ হবে। সব কথায় উচ্চস্বরে হাসতে থাকে।
বাবা আমার বিয়ের কথাবার্তা যখন করছিল তখন বারবার আমাকে জিজ্ঞেস করেছিল ইফতির সাথে কথা বলে কেমন মনে হয়েছে। আমি বলে ছিলাম "তুমি যেমন মনে করেছো তেমন " বাবা আমার ত্যাড়ামি কথার উত্তর না দিয়ে বলেছিল "ইফতি তোর সেই বখাটে প্রতারক প্রেমিক রিয়াদের মত না"
আমি সহ্য করেছি বাবার কথা। কারন রিয়াদ সত্যিই তো প্রতারক ছিল .......
আমার রিয়াদের প্রেম ছিল চারবছরের। রিয়াদ যে আমার বাবার টাকাকে ভালবাসতো আমি বুঝিনি। একদিন দুজনের মধ্যে খুব ঝগড়া হয় তারপর রিয়াদ কিছুদিন যেতে না যেতেই হিরোদের মত আমার বাসায় চলে আসে এবং বাবা মায়ের সামনে এসে আমাকে ছাড়া বাঁচবে বলে কাঁদতে থাকে। সেদিনই বাবা মা রিয়াদের আমার সম্পর্কে সবকিছুই জানেন। বাবা রিয়াদকে প্রশ্ন করেছিল তার ইনকাম সোর্স কি? রিয়াদ বলেছিল বেকার তবে মাস্টার্স কমপ্লিট করেও ভালো চাকুরি পাচ্ছে না। বাবা মা নেই, ঢাকায় একটা মেসে থাকে দুটো টিউশনি করে নিজের খরচ চালাচ্ছে ....
বাবা মা তো চমকে যায় রিয়াদের কথায়। তারপর বাবা রিয়াদকে ক্লিয়ারলি জানিয়ে দেয় "নীলার উপযুক্ত পাত্র তুমি নও" রিয়াদ সেদিন বাসা থেকে চলে যায় আর রাতভর মোবাইলে দুজনে কথা বলি। আমি তখন মাত্র ইন্টার ফাস্টইয়ারে পড়ি। এর কিছুদিন পর রিয়াদ আমাকে বলে বাড়ী থেকে পালাতে আমরা বিয়ে করবো ....
আমার রিয়াদের প্রেম ছিল চারবছরের। রিয়াদ যে আমার বাবার টাকাকে ভালবাসতো আমি বুঝিনি। একদিন দুজনের মধ্যে খুব ঝগড়া হয় তারপর রিয়াদ কিছুদিন যেতে না যেতেই হিরোদের মত আমার বাসায় চলে আসে এবং বাবা মায়ের সামনে এসে আমাকে ছাড়া বাঁচবে বলে কাঁদতে থাকে। সেদিনই বাবা মা রিয়াদের আমার সম্পর্কে সবকিছুই জানেন। বাবা রিয়াদকে প্রশ্ন করেছিল তার ইনকাম সোর্স কি? রিয়াদ বলেছিল বেকার তবে মাস্টার্স কমপ্লিট করেও ভালো চাকুরি পাচ্ছে না। বাবা মা নেই, ঢাকায় একটা মেসে থাকে দুটো টিউশনি করে নিজের খরচ চালাচ্ছে ....
বাবা মা তো চমকে যায় রিয়াদের কথায়। তারপর বাবা রিয়াদকে ক্লিয়ারলি জানিয়ে দেয় "নীলার উপযুক্ত পাত্র তুমি নও" রিয়াদ সেদিন বাসা থেকে চলে যায় আর রাতভর মোবাইলে দুজনে কথা বলি। আমি তখন মাত্র ইন্টার ফাস্টইয়ারে পড়ি। এর কিছুদিন পর রিয়াদ আমাকে বলে বাড়ী থেকে পালাতে আমরা বিয়ে করবো ....
আবেগের বশে আমি রিয়াদের সাথে পালাই এবং দুজনে একটা ছোট একরুমের বাসা নিয়ে থাকি। রিয়াদ বিয়ের রাতেই আমাকে বলেছিল "টাকা কত এনেছো"? বললাম "চল্লিশ হাজার"
রিয়াদ টাকাটা নিজের কাছে রাখলো আর কিছু গহনা ছিল সেগুলি ও তার কাছে রাখলো।
রিয়াদ টাকাটা নিজের কাছে রাখলো আর কিছু গহনা ছিল সেগুলি ও তার কাছে রাখলো।
বাবা মার সাথে যোগাযোগ করিনি তাই তারাও আমার কোন খোঁজ করেনি। জমানো এইটুকু টাকা দিয়ে কতদিন চলা যায়? রিয়াদ কাজকর্ম করে নাা । যতবার বলতাম চাকুরি করো সে রেগে যেত। আমি প্রেগনেন্ট হলাম। রিয়াদ শোনার পর আমার গায়ে প্রথম হাত তুললো। রিয়াদ বললো "নিজেরাই চলতে পারিনা বাচ্চাকে কি খাওয়ায় রাখবো"? তোমার বাবার বাড়ী ফিরে যাও, নয়তো টাকা নিয়ে আসো বিজনেজ করবো ইত্যাদি .....
আমি রাজী না হওয়ায় রিয়াদ প্রতিদিনই আমাকে মারধর করতো ...
তবু সহ্য করতে লাগলাম। এভাবে চলতে চলতে আমার বাবুটা যখন ৮মাসের তখন একদিন দুপুরে খেতে এসে রিয়াদ আম্র পেটে জোড়ে লাথি মারে। কারন রিয়াদ রাতেই বলেছিল বাবাকে যেনো জানাই বাবু হবে, টাকা লাগবে একলাখ। দুপুরে এসে যখন জানলো আমি বাবাকে বলিনি তখন সে নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারলো না। আমি ফ্লোরে পড়ে গেলাম। রিয়াদ তারপর আবার আমার পেটে আরো দুটো লাথি দিল। চুলের মুঠি ধরে দরজার বাহিরে বের করে দিল। বেঁহুশ অবস্থায় প্রতিবেশী একজন আন্টি আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। জ্ঞান আসার পর প্রতিবেশীর কাছে জানতে পারি আমি একটি মৃত মেয়ে সন্তান জন্ম দিয়েছি। তখনো আমি রিয়াদকে পাশে চাচ্ছিলাম ......
প্রতিবেশী আন্টির মোবাইল থেকে বাবাকে ফোন দিলাম। বাবাকে যতটা কঠিন ভেবেছিলাম বাবা ততটা কঠিন হলো না। মা কে নিয়ে ছুঁটে আসলেন তাদের একমাত্র মেয়ের পাশে। সেদিন বাবা মা আমাকে সাপোর্ট না দিলে সুইসাইড করা ছাড়া উপায় থাকতো না। দুদিন পর হাসপাতালের সকল ফরমালিটি শেষ করে বাবা আমাকে নিয়ে এলেন আমার আগের ঠিকানায়। এবং একমাসের মধ্যে রিয়াদের সাথে আমার ডির্ভোস করালেন। রিয়াদ সেইদিনের পর একটি মুহূর্তের জন্য যোগাযোগ করিনি আমার সাথে...
প্রায় দুই বছর পর জানতে পারি রিয়াদ আবার বিয়ে করেছে তার এলাকার ধনী ব্যক্তির মেয়েকে। জানিনা সেই মেয়ের ভাগ্যটা আমার মত হয় কিনা। মনে মনে দোয়া করি "ভালো থাকুক ভালোবাসার সব মানুষ" ।
যাইহোক আমার দ্বিতীয় বিয়ে হলো ইফতির সাথে। ধুমধাম করে বাবা মা আমাকে বিয়ে দিলেন। কিন্তুু আমি ইফতিকে ভালবাসতে পারিনি তাই প্রায় সময় তার সাথে আমি খারাপ ব্যবহার করতাম .....
বিয়ের রাতে যখন প্রথম ইফতিকে দেখি আমি কেঁদেই দিছিলাম কুঁচকঁচে কালো জামাই দেখে। ইফতি হেসে বলেছিল "তোমাকে কতবার বলেছি আমাকে বিয়ের আগে একটু দেখো কিন্তুু বললে বাবা মায়ের পছন্দে বিয়ে করবে " এখন কাঁদতেছো কেন বোকা মেয়ে .....
সারাটারাত কাঁদলাম বারান্দায় আর ইফতি হাতে টিসু বক্স নিয়ে দাড়িয়ে ছিল। একটা একটা করে টিসু দিতে দিতে পুরো রাতে একবক্স টিসু শেষ হয়।
সকালে ইফতি বললো "নীলু দেখো আমি জাষ্ট কালো কিন্তুু মনটা ধবধবা সাদা "ভীষন রসিক ইফতি ...
বিয়ের রাতে যখন প্রথম ইফতিকে দেখি আমি কেঁদেই দিছিলাম কুঁচকঁচে কালো জামাই দেখে। ইফতি হেসে বলেছিল "তোমাকে কতবার বলেছি আমাকে বিয়ের আগে একটু দেখো কিন্তুু বললে বাবা মায়ের পছন্দে বিয়ে করবে " এখন কাঁদতেছো কেন বোকা মেয়ে .....
সারাটারাত কাঁদলাম বারান্দায় আর ইফতি হাতে টিসু বক্স নিয়ে দাড়িয়ে ছিল। একটা একটা করে টিসু দিতে দিতে পুরো রাতে একবক্স টিসু শেষ হয়।
সকালে ইফতি বললো "নীলু দেখো আমি জাষ্ট কালো কিন্তুু মনটা ধবধবা সাদা "ভীষন রসিক ইফতি ...
আমার কেনজানি ইফতির প্রতিটা কথা, তার সুন্দর ব্যবহারে আমি মুগ্ধ হতে লাগলাম। ইফতি আলাদা রুমে থাকলো বিয়ের পরদিন থেকেই। ইফতির বাবা মা বিষয়টা জানতো কিন্তুু ইন্টারেষ্টিং বিষয় হলো "কেউ আমাকে কিচ্ছু বলতো না"
ইফতি অফিস থেকে একটু পর পরই কল দিত
সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে আমাকে বেইলি রোডে নিত ফুচকা খাওয়াতে ,কখনো বা লং ড্রাইভে নিত দুরে বহুদূরে ....
বিয়ের প্রায় ৬মাস পর একদিন আমার ভীষন জ্বর হলো ।ডেঙ্গু জ্বর যাকে বলে । ইফতি পাগলের মত সেদিন ডাক্তারকে বলেছিল "আমার বউকে বাঁচান " হাসপাতালে লোকজন জোড়ো হয়ে গিয়েছিল ইফতির কান্নায় .....
আমার জ্বরের পরিমান এতই বেশি ছিল যে আমি কাউকে ঠিকমত চোখে দেখতে পারছিলাম না কিন্তুু ইফতিকে ক্লিয়ার দেখেছি সে ডাক্তারকে বলতেছিল "আমার বউর কিছু হলে আমি বাঁচবো নাা"
ইফতি অফিস থেকে একটু পর পরই কল দিত
সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে আমাকে বেইলি রোডে নিত ফুচকা খাওয়াতে ,কখনো বা লং ড্রাইভে নিত দুরে বহুদূরে ....
বিয়ের প্রায় ৬মাস পর একদিন আমার ভীষন জ্বর হলো ।ডেঙ্গু জ্বর যাকে বলে । ইফতি পাগলের মত সেদিন ডাক্তারকে বলেছিল "আমার বউকে বাঁচান " হাসপাতালে লোকজন জোড়ো হয়ে গিয়েছিল ইফতির কান্নায় .....
আমার জ্বরের পরিমান এতই বেশি ছিল যে আমি কাউকে ঠিকমত চোখে দেখতে পারছিলাম না কিন্তুু ইফতিকে ক্লিয়ার দেখেছি সে ডাক্তারকে বলতেছিল "আমার বউর কিছু হলে আমি বাঁচবো নাা"
হাসপাতাল থেকে ৪দিন পর বাসায় আসি। ইফতিই আমার সেবাযত্ন করে। আমি সেই থেকে ইফতিকে ভালবেসে ফেলি আর ইফতি সারাক্ষণ আমার পিছু পিছু ভালোবাসা পেতে ছুটোছুটি করে । এত দুষ্টু ইফতি বলে শেষ হবে না ............
আমি খুব সুখী। বাবা মায়ের সঠিক সিদ্ধান্তের কারনে আমি ইফতির মত কেয়ারিং বন্ধুত্বসুলভ স্বামী পেয়েছি।
আমি খুব সুখী। বাবা মায়ের সঠিক সিদ্ধান্তের কারনে আমি ইফতির মত কেয়ারিং বন্ধুত্বসুলভ স্বামী পেয়েছি।
৭দিন পর ....
খুব ভোরে ইফতির ফোন এলো
সুইটহার্ট আমি আসতে পারছিনা কিছুদিন পর আসতে হবে
তুমি মার সাথে হাসপাতালে ভর্তি হও আজকেই .........
খুব ভোরে ইফতির ফোন এলো
সুইটহার্ট আমি আসতে পারছিনা কিছুদিন পর আসতে হবে
তুমি মার সাথে হাসপাতালে ভর্তি হও আজকেই .........
আকাশটা মেঘলা, ভীষন ভয় করছে আমার । বারবার ইফতির কথা মনে হচ্ছে ,যদি ইফতি আর না আসে ,মনের ভীতরে যত্তসব আজেবাজে দুঃশ্চিন্তা আমাকে অস্থির করে দিচ্ছিলো । শেষপর্যন্ত অপারেশনের সব প্রস্তুুতি শেষ হলো একটু পর আমি হবো মা, হ্যা আমি মা হবো ......
ফুটঁফুঁটে ছেলের মা হয়েছি আজ দুপুর ১টায় , আমার কোলে জুনিয়র ইফতিকে দিলো একজন নার্স বিকেলের দিকে । সবাই বলাবলি করছে বাবু নাকি আমার মত হয়েছে হলুদ ফর্সা ।কিন্তুু আমার চোখে বাবু হুবাহুব ইফতির মত।
ইফতির মত কালো হলে আমার আরো বেশি ভাললাগতো তবে ইফতির মতই মায়াবী চোখ, হাস্যজ্জ্বল ঠোটের কোণের হাসিটা....হঠাৎ আমাকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে আছে ইফতি ... ঘাড় ফিরিয়ে চমকে বলি তুমি?
ইফতি কানে কানে আমাকে বললো .....ধন্যবাদ বাবুর সুইট মা, তোমাকে সারপ্রাইজ দিব বলে বলিনি ভোরে আমি এয়ারপোর্ট থেকে ফোন করেছিলাম। তোমাকে দেখছিলাম যখন অপারেশন রুমে নেয়া হচ্ছিল। তুমি বারবার আমাকে একটু দেখার অপেক্ষায় লম্বা করিডোরের দিকে তাকিয়ে যখন চোখ মুঁছতে ছিলে তখন বুঝেছি আমার নীলা শুধুই ইফতিকেই ভালোবাসে...
লেখা:- ফারজানা সাথী