বই - আরশিনগর
লেখক :-- সাদাত হোসাইন
পৃষ্ঠা -: ২৭২
লেখক :-- সাদাত হোসাইন
পৃষ্ঠা -: ২৭২
উপন্যাস টি মূলত যযাতিপুর গ্রামের মানুষদের নিয়ে গল্প, তাদের চাওয়া-পাওয়া, রাজনীতি, জমিজমা নিয়ে কলহ সহ আরো অনেক বিষয় উঠে এসেছে গল্পে। কিন্তু গল্পের মূল নারীপ্রধান চরিত্রটির নাম আরশি।আরশির চোখ আয়নার মত স্বচ্ছ সুন্দর প্রাণবন্ত। তার চোখ দিয়ে সে মনের ভাব প্রকাশ করে। আরশি ছোটখাটো শ্যামলা শান্ত মেয়ে। তার চোখ জুড়ে এক প্রবল মায়া।
খুব ছোটবেলায় মা হারানো আরশি বাবা মজিবর আর দাদীর আম্বরী বেগমের কাছেই বেড়ে উঠে। দাদি আরশীকে বড় করেছেন রাজকন্যার মত।কিন্তু তার জীবনে একের পর এক ঝড় আসতে থাকে সেখানে তাকে শুধু কষ্টের পরীক্ষা দিতে হয়।
বইয়ের ফ্ল্যাপের কথাঃ-
আরশি মাথা তুলে তাকাল। ভোলানাথের বন্ধ সেলুনের সামনে কাঁঠের খুটি। সেই খুঁটির গায়ে হাতের তালুর সমান ছোট্ট এক চিলতে আয়না। ঝাপসা হয়ে যাওয়া সেই আয়নার দিকে তাকিয়ে খানিক স্থীর দাঁড়িয়ে রইল আরশি। তারপর ধীর পায়ে আয়নাটার সামনে গিয়ে দাঁড়াল। আয়নার ভেতরে আবছা একটা মানুষ। গতকাল অবধি দেখে আসা সেই একই চোখ, সেই একই নাক, সেই একই মুখ, একই চেহারা। কিন্তু গতকালের সেই আরশি আর এই মানুষটাকে কি সে চেনে? আরশির হঠাৎ মনে হল, এই জগতে কেউ কাউকে চেনে না। এই জগত আয়নার মতন। উল্টোজগত। এই উল্টোজগতের নাম আসলে আরশিনগর।
পাঠপ্রতিক্রিয়াঃ-
এমনেই আমি একজন আবেগপ্রবণ মানুষ তার উপর যদি সাদাত হোসেইন এর বই পড়ি! কি জানি কি হলো আমার একটা পেজ পড়তে পড়তে গাল বেয়ে একটা উষ্ণ স্রোত অনুভুত হলো! না কষ্টের কোন গল্প বা নির্মম কোন বেদনাদায়ক লাইনের জন্য না মানুষের প্রতি মানুষের মায়া, প্রেম আরশির প্রতি ভালোবাসার আবেগ টা বোধ হয় আমাকে আপ্লুত করেছে। বইটার মাঝখানে কিঞ্চিত দীর্ঘ মনে হয়েছে কাহিনীটা, মনে হয়েছিল, অযথাই টানা হচ্ছে অযথাই কাব্যিক কথা বেশি লেখা হয়েছে একেঘেয়েমিও লেগেছে। বইয়ের বেশ কিছু প্রিয় লাইন ও ছিল । তার মধ্যে থেকে একটি নিয়ে লিখা শেষ করলা্ম,
'প্রতিটি মানুষের কষ্ট তার নিজের মতো করে আলাদা। তীব্র। তুমি যেমন তোমার কষ্টগুলো নিয়ে কাঁদো। অন্য একজনও তাঁর কষ্টগুলো নিয়ে কাঁদে।আবা্র কেউ বুকের ভেতর চেপে রেখে তোমার মতো হাসে। কিন্তু কারও চেয়ে কারও কষ্ট মোটেও কম নয়। কিন্তু আমরা প্রত্যেকেই ভাবি ,জগতে আমা্র মতো দুঃখী আর কেউ নেই।
'প্রতিটি মানুষের কষ্ট তার নিজের মতো করে আলাদা। তীব্র। তুমি যেমন তোমার কষ্টগুলো নিয়ে কাঁদো। অন্য একজনও তাঁর কষ্টগুলো নিয়ে কাঁদে।আবা্র কেউ বুকের ভেতর চেপে রেখে তোমার মতো হাসে। কিন্তু কারও চেয়ে কারও কষ্ট মোটেও কম নয়। কিন্তু আমরা প্রত্যেকেই ভাবি ,জগতে আমা্র মতো দুঃখী আর কেউ নেই।
Writer:-
তামান্না হোসেন