দুদিনেই জোয়ান চিনে ফেললো ইংরেজদের সেরা যোদ্ধাগুলোকে। বলা যায় রেইমস নগরীতে এরাই ইংরেজদের খুঁটি। এদের হারিয়ে ফেললে ইংরেজরা যুদ্ধে দুর্বল হয়ে পড়বে ফ্রেঞ্চদের বিপক্ষে। এদেরকে কৌশলে শেষ করতে হবে। জোয়ান আগেই ভেবে রেখেছে কীভাবে এদেরকে যুদ্ধের আগেই শেষ করা যায়।
হেঁটে প্রবেশ করে জোয়ান কমান্ডার সালিশবুরির কক্ষে। তাকে দেখে সালিশবুরি মৃদু অভ্যর্থনা জানিয়ে বললো,
-এসো জোয়ান, এসো।'
-একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কথা বলতে এসেছি কমান্ডার সালিশবুরি।
-হুমম বলো। তোমার সব কথা নিশ্চয়ই আমাদের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে। কারণ তুমি বুদ্ধিমান এবং সাহসী।
-ধন্যবাদ কমান্ডার সালিশবুরি। যে কথাটা বলতে এসেছি। রাজা চার্লসকে এভাবে এখানে রাখা হয়তো ঠিক হচ্ছে না। আপনি যে বার্তাবাহককে ইংল্যান্ডে পাঠিয়েছেন রাজা চার্লসের বন্দী হওয়ার সংবাদ জানাতে, সে ঠিকঠাক ইংল্যান্ডে পৌঁছেছে কি না তা আমরা জানি না। কিন্তু এই মুহূর্তে রাজা চার্লসকে এখানে রাখাটাও নিরাপদ না। আমার মনে হয় তাঁকে যতো দ্রুত ইংল্যান্ডে নিয়ে যাওয়া হয়, ততোই ভালো। আমার বিশ্বাস, চার্লসকে পেয়ে রাজা হেনরি খুশি হবেন, আর আপনার প্রতি তাঁর আস্থাটাও আরও বেড়ে যাবে।
-বিষয়টা মন্দ বলোনি তুমি, জোয়ান। আমি আজই ব্যবস্থা করছি চার্লসকে ইংল্যান্ডে পাঠানোর।
-কিন্তু, চার্লসকে ইংল্যান্ডে নিয়ে যাওয়াটাও সহজ না। এজন্য একটা শক্তিশালী দল আর গোপনীয়তা রক্ষা করতে হবে। নয়তো ফ্রেঞ্চরা আক্রমণ করতে পারে।
-আমি রেইমসের সেরা সেনাগুলোকে দায়িত্ব দেবো এটার।' বুক উঁচু করে বললো কমান্ডার সালিশবুরি।
হেঁটে প্রবেশ করে জোয়ান কমান্ডার সালিশবুরির কক্ষে। তাকে দেখে সালিশবুরি মৃদু অভ্যর্থনা জানিয়ে বললো,
-এসো জোয়ান, এসো।'
-একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কথা বলতে এসেছি কমান্ডার সালিশবুরি।
-হুমম বলো। তোমার সব কথা নিশ্চয়ই আমাদের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে। কারণ তুমি বুদ্ধিমান এবং সাহসী।
-ধন্যবাদ কমান্ডার সালিশবুরি। যে কথাটা বলতে এসেছি। রাজা চার্লসকে এভাবে এখানে রাখা হয়তো ঠিক হচ্ছে না। আপনি যে বার্তাবাহককে ইংল্যান্ডে পাঠিয়েছেন রাজা চার্লসের বন্দী হওয়ার সংবাদ জানাতে, সে ঠিকঠাক ইংল্যান্ডে পৌঁছেছে কি না তা আমরা জানি না। কিন্তু এই মুহূর্তে রাজা চার্লসকে এখানে রাখাটাও নিরাপদ না। আমার মনে হয় তাঁকে যতো দ্রুত ইংল্যান্ডে নিয়ে যাওয়া হয়, ততোই ভালো। আমার বিশ্বাস, চার্লসকে পেয়ে রাজা হেনরি খুশি হবেন, আর আপনার প্রতি তাঁর আস্থাটাও আরও বেড়ে যাবে।
-বিষয়টা মন্দ বলোনি তুমি, জোয়ান। আমি আজই ব্যবস্থা করছি চার্লসকে ইংল্যান্ডে পাঠানোর।
-কিন্তু, চার্লসকে ইংল্যান্ডে নিয়ে যাওয়াটাও সহজ না। এজন্য একটা শক্তিশালী দল আর গোপনীয়তা রক্ষা করতে হবে। নয়তো ফ্রেঞ্চরা আক্রমণ করতে পারে।
-আমি রেইমসের সেরা সেনাগুলোকে দায়িত্ব দেবো এটার।' বুক উঁচু করে বললো কমান্ডার সালিশবুরি।
পরবর্তীতে কমান্ডার সালিশবুরি একটা শক্তিশালী দল গঠন করলো, যারা রেইমসের সেরা সেনা তাদের বেশ কয়েকজনকে নিয়ে। তারপর তাদেরকে আদেশ দিলো রাজা চার্লসকে নিরাপদে ইংল্যান্ডে নিয়ে যেতে। ঘোড়ার গাড়িতে বন্দী খাঁচায় প্রবেশ করানো হলো রাজা চার্লসকে। তারপর তাঁকে নিয়ে ভূমি কাঁপিয়ে এগিয়ে চললো ইংরেজ দলটা।
ওরা চলে যেতেই জোয়ান পা দিলো তার পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপে। তবে যা করবে, কিছুতেই ওদের বুঝতে দেয়া যাবে না। আরও যারা সাহসী সেনা ছিল ইংরেজদের, তাদেরকে গোপনে ডাকলো সে। ওরা আসতেই জোয়ান বলে ওঠলো,
-আমি ভেবেছিলাম কমান্ডার সালিশবুরি তোমাদের মধ্য থেকেই দলটা নির্বাচন করবে। তোমরা সাহসী এবং বুদ্ধিমান। এখন যারা রাজা চার্লসকে ইংল্যান্ড নিয়ে যাচ্ছে তারা নিশ্চয়ই রাজা হেনরির সন্তুষ্টি অর্জন করবে, যা তোমাদের প্রাপ্য ছিল।'
জোয়ানের কথা শুনে পরস্পরের দিকে তাকালো ওরা। তারপর একজন মন্তব্য করে ওঠলো,
-কমান্ডার জোয়ান ঠিকই বলেছেন। কমান্ডার সালিশবুরি এটা আমাদের প্রতি দৃষ্টিকটু আচরণ করেছেন।'
-কিন্তু এখন আমরা কী করতে পারি?' অন্য একজন প্রশ্ন করলো।
তখন জোয়ান জবাব দিলো,
-চাইলেই তোমরা রাজা চার্লসকে ইংল্যান্ডে নিয়ে গিয়ে রাজা হেনরির সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারো। দলটা এখনও বেশিদূর যায়নি। তোমরা ওদের পথ আটকিয়ে নিজেরাই নিয়ে যেতে পারো চার্লসকে।
-কিন্তু এতে কমান্ডার সালিশবুরির আদেশ অমান্য করা হবে।
-নিশ্চয়ই রাজা হেনরির সন্তুষ্টির চেয়ে কমান্ডার সালিশবুরির আদেশ অমান্য করা কিছুই না।'
আবারও পরস্পরের দিকে চাওয়াচাওয়ি করলো ওরা। কয়েকজন মন্তব্য করলো,
-কমান্ডার জোয়ান ঠিকই বলছেন। আমরা নিজেদের প্রতি এ অন্যায় হতে দিতে পারি না। আমাদের এখনই রওনা দেয়া উচিত।'
ওরা বেরিয়ে পড়লো ঘোড়া নিয়ে। জোয়ানের ঠোঁটে ধূর্ত হাসি ফুটে ওঠলো। নিজেদের দলের মধ্যেই যুদ্ধ লাগবে এবার। তাদের যুদ্ধে যারা বেঁচে যাবে, তাদেরকে পুনরায় আক্রমণ করবে আলেনকনের ফ্রেঞ্চ সেনারা। কমান্ডার জন আলেনকন সুযোগের অপেক্ষায় আছে। ওদের যাওয়ার পথে আলেনকন উঁৎ পেতে আছে তার সেনা নিয়ে। জোয়ান তাকে আগেই ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছে এ ব্যাপারে। এখন কেবল সুযোগের অপেক্ষা।
ওরা চলে যেতেই জোয়ান পা দিলো তার পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপে। তবে যা করবে, কিছুতেই ওদের বুঝতে দেয়া যাবে না। আরও যারা সাহসী সেনা ছিল ইংরেজদের, তাদেরকে গোপনে ডাকলো সে। ওরা আসতেই জোয়ান বলে ওঠলো,
-আমি ভেবেছিলাম কমান্ডার সালিশবুরি তোমাদের মধ্য থেকেই দলটা নির্বাচন করবে। তোমরা সাহসী এবং বুদ্ধিমান। এখন যারা রাজা চার্লসকে ইংল্যান্ড নিয়ে যাচ্ছে তারা নিশ্চয়ই রাজা হেনরির সন্তুষ্টি অর্জন করবে, যা তোমাদের প্রাপ্য ছিল।'
জোয়ানের কথা শুনে পরস্পরের দিকে তাকালো ওরা। তারপর একজন মন্তব্য করে ওঠলো,
-কমান্ডার জোয়ান ঠিকই বলেছেন। কমান্ডার সালিশবুরি এটা আমাদের প্রতি দৃষ্টিকটু আচরণ করেছেন।'
-কিন্তু এখন আমরা কী করতে পারি?' অন্য একজন প্রশ্ন করলো।
তখন জোয়ান জবাব দিলো,
-চাইলেই তোমরা রাজা চার্লসকে ইংল্যান্ডে নিয়ে গিয়ে রাজা হেনরির সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারো। দলটা এখনও বেশিদূর যায়নি। তোমরা ওদের পথ আটকিয়ে নিজেরাই নিয়ে যেতে পারো চার্লসকে।
-কিন্তু এতে কমান্ডার সালিশবুরির আদেশ অমান্য করা হবে।
-নিশ্চয়ই রাজা হেনরির সন্তুষ্টির চেয়ে কমান্ডার সালিশবুরির আদেশ অমান্য করা কিছুই না।'
আবারও পরস্পরের দিকে চাওয়াচাওয়ি করলো ওরা। কয়েকজন মন্তব্য করলো,
-কমান্ডার জোয়ান ঠিকই বলছেন। আমরা নিজেদের প্রতি এ অন্যায় হতে দিতে পারি না। আমাদের এখনই রওনা দেয়া উচিত।'
ওরা বেরিয়ে পড়লো ঘোড়া নিয়ে। জোয়ানের ঠোঁটে ধূর্ত হাসি ফুটে ওঠলো। নিজেদের দলের মধ্যেই যুদ্ধ লাগবে এবার। তাদের যুদ্ধে যারা বেঁচে যাবে, তাদেরকে পুনরায় আক্রমণ করবে আলেনকনের ফ্রেঞ্চ সেনারা। কমান্ডার জন আলেনকন সুযোগের অপেক্ষায় আছে। ওদের যাওয়ার পথে আলেনকন উঁৎ পেতে আছে তার সেনা নিয়ে। জোয়ান তাকে আগেই ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছে এ ব্যাপারে। এখন কেবল সুযোগের অপেক্ষা।
রক্তাক্ত হয়ে ফিরে এসেছে কমান্ডার সালিশবুরির দুজন সেনা। তাদেরকে এ অবস্থায় দেখে সালিশবুরির বিস্ময় যেন আকাশচুম্বী।
-তোমাদের এ অবস্থা কেন? রাজা চার্লস কোথায়? তোমাদের তো রাজা চার্লসকে নিয়ে ইংল্যান্ডের পথে পাঠিয়েছিলাম।'
হাঁপাতে হাঁপাতে একজন সেনা জবাব দেয়,
-আমরা ঠিক পথেই যাচ্ছিলাম। কিন্তু এখান থেকে আরেকটা দল যায়। ওরা চেয়েছিল রাজা চার্লসকে নিয়ে নিজেরাই ইংল্যান্ডে যেতে।
-আরেকটা দল!' ভ্রু কুঁচকালো সালিশবুরি। তার অবস্থা দেখে জোয়ান মজাই পাচ্ছে ভেতরে ভেতরে। ধূর্ত হাসিটা লেগেই আছে তার ঠোঁটে সবার আড়ালে। আহত অন্য সেনা বলে ওঠলো,
-হ্যাঁ কমান্ডার সালিশবুরি, আমরা যাওয়ার পর, এখান থেকে আরও একটা দল যায় আমাদের পিছুপিছু। ওদের সাথে আমাদের সংঘর্ষ হয়। দুদলের অনেক সেনা মারা যায় তখন। কিন্তু সেই মুহূর্তে কোথা থেকে যেন ফ্রেঞ্চবাহিনী এসে হাজির। ওরা আক্রমণ করে আমাদের উপর। আমরা দুজনই কেবল পালিয়ে বেঁচে আসতে পেরেছি।'
জোয়ানের হাসিটা আরেকটু প্রসারিত হলো। সে জানে, ওরা নিজেরাই পালাতে পারেনি, বরং কমান্ডার আলেনকন ওদের দুজনকে পালানোর সুযোগ করে দিয়েছে, যাতে খবরটা কমান্ডার সালিশবুরির কানে দিতে পারে। সালিশবুরিকে এবার রেগে যেতে দেখা গেল। তরবারিতে হাত রেখে জিজ্ঞেস করলো,
-রাজা চার্লস কোথায়?'
-রাজা চার্লস ফ্রেঞ্চদের কাছেই।
-তাহলে তোমরা ফিরে এলে কেন?' উত্তেজিত হয়ে তরবারির কোপ চালালো সালিশবুরি। মুহূর্তেই পালিয়ে আসা দুই সেনার মুণ্ডু ধড় থেকে আলাদা হয়ে নিচে পড়লো ধপাস করে। নীরবে ওখান থেকে সরে এলো জোয়ান। মাঝেমাঝে শক্তির চেয়ে বুদ্ধিটা জয় এনে দেয়। রাজা চার্লস নিরাপদে ফিরে গেল ফ্রেঞ্চদের সাথে, আর ওরাও ইংরেজদের ভরসা অর্জন করে আছে রেইমস নগরীতে। এবার শেষ আক্রমণ করার পালা।
-তোমাদের এ অবস্থা কেন? রাজা চার্লস কোথায়? তোমাদের তো রাজা চার্লসকে নিয়ে ইংল্যান্ডের পথে পাঠিয়েছিলাম।'
হাঁপাতে হাঁপাতে একজন সেনা জবাব দেয়,
-আমরা ঠিক পথেই যাচ্ছিলাম। কিন্তু এখান থেকে আরেকটা দল যায়। ওরা চেয়েছিল রাজা চার্লসকে নিয়ে নিজেরাই ইংল্যান্ডে যেতে।
-আরেকটা দল!' ভ্রু কুঁচকালো সালিশবুরি। তার অবস্থা দেখে জোয়ান মজাই পাচ্ছে ভেতরে ভেতরে। ধূর্ত হাসিটা লেগেই আছে তার ঠোঁটে সবার আড়ালে। আহত অন্য সেনা বলে ওঠলো,
-হ্যাঁ কমান্ডার সালিশবুরি, আমরা যাওয়ার পর, এখান থেকে আরও একটা দল যায় আমাদের পিছুপিছু। ওদের সাথে আমাদের সংঘর্ষ হয়। দুদলের অনেক সেনা মারা যায় তখন। কিন্তু সেই মুহূর্তে কোথা থেকে যেন ফ্রেঞ্চবাহিনী এসে হাজির। ওরা আক্রমণ করে আমাদের উপর। আমরা দুজনই কেবল পালিয়ে বেঁচে আসতে পেরেছি।'
জোয়ানের হাসিটা আরেকটু প্রসারিত হলো। সে জানে, ওরা নিজেরাই পালাতে পারেনি, বরং কমান্ডার আলেনকন ওদের দুজনকে পালানোর সুযোগ করে দিয়েছে, যাতে খবরটা কমান্ডার সালিশবুরির কানে দিতে পারে। সালিশবুরিকে এবার রেগে যেতে দেখা গেল। তরবারিতে হাত রেখে জিজ্ঞেস করলো,
-রাজা চার্লস কোথায়?'
-রাজা চার্লস ফ্রেঞ্চদের কাছেই।
-তাহলে তোমরা ফিরে এলে কেন?' উত্তেজিত হয়ে তরবারির কোপ চালালো সালিশবুরি। মুহূর্তেই পালিয়ে আসা দুই সেনার মুণ্ডু ধড় থেকে আলাদা হয়ে নিচে পড়লো ধপাস করে। নীরবে ওখান থেকে সরে এলো জোয়ান। মাঝেমাঝে শক্তির চেয়ে বুদ্ধিটা জয় এনে দেয়। রাজা চার্লস নিরাপদে ফিরে গেল ফ্রেঞ্চদের সাথে, আর ওরাও ইংরেজদের ভরসা অর্জন করে আছে রেইমস নগরীতে। এবার শেষ আক্রমণ করার পালা।
যুদ্ধ প্রস্তুতি নিতে লাগলো কমান্ডার সালিশবুরি। রাজা চার্লসকে হারানোর পর একটু বেশি উত্তেজিত হয়ে পড়েছে সে। ফ্রেঞ্চদের উপর রাগ বেড়ে চলেছে তার। জোয়ান এসে তাকে আরেক ধাপ উসকিয়ে দিলো,
-কমান্ডার সালিশবুরি, এখন কি যুদ্ধ করা ঠিক হবে? অনেক সাহসী সেনাদের হারিয়েছি আমরা।'
সালিশবুরি মূঢ় ভঙ্গিতে বললো,
-এটাই উত্তম সময় জোয়ান। আমাদের পাশে জোয়ানের মতো সাহসী যোদ্ধা আর তার সৈন্যরা আছে।'
-ধন্যবাদ কমান্ডার সালিশবুরি, আমাদের উপর ভরসা করার জন্য।' বুকে হাত রেখে বললো জোয়ান। ঠিক সময়ে আঁতে ঘা লাগাবে ওরা। কমান্ডার সালিশবুরি নিজের মতো প্রস্তুতি নিক যুদ্ধের।
যেই মুহূর্তে ওরা প্রস্তুতি নিচ্ছিল যুদ্ধের, সেই মুহূর্তে বিশাল এক ফ্রেঞ্চবাহিনী এসে হাজির যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়ে। রেইমস নগরীর প্রবেশমুখে যখন ওরা উত্তেজিত হয়ে ঢুকছিল তখন কমান্ডার সালিশবুরিরও উত্তেজনা বেড়ে গেল। নিজের সৈন্যদের আদেশ দিলো আক্রমণ করতে। আদেশ পেয়ে ইংরেজ সেনারা তরবারি হাতে ছুটে গেল ওদিকে। কিন্তু জোয়ান তার নিজ সেনা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকলো। ধনুকে তির রেখে তাক করলো ওরা ছুটন্ত ইংরেজ সেনাদের দিকে। কমান্ডার সালিশবুরির চোখ তখন বড় বড় হয়ে গেল বিস্ময়ে।
-এ কী করছে তোমার সেনারা, জোয়ান?' গলা কেঁপে ওঠলো সালিশবুরির।
জোয়ান ইশারা করতেই তির ছুড়লো তার সেনারা। তিরের আঘাতে নিচে ঢলে পড়লো ইংরেজদের অনেকেই। জোয়ানের সেনারা ছুটে গেল পেছন পেছন আক্রমণ করতে। আর জোয়ান তরবারি বের করে এক কোপে আলাদা করে ফেললো সালিশবুরির মাথা। তারপর বিড়বিড় করলো,
-শিকার করলে দলের মাথাটাকেই আগে শিকার করবো।'
কয়েকমুহূর্ত সালিশবুরির নিস্তেজ দেহটা দেখে জোয়ান তরবারি হাতে ছুটে গেল ইংরেজ সেনাদের মারতে। তরবারি থেকে তখনও ঝরে পড়ছিল কমান্ডার সালিশবুরির দেহের তাজা রক্ত।
-কমান্ডার সালিশবুরি, এখন কি যুদ্ধ করা ঠিক হবে? অনেক সাহসী সেনাদের হারিয়েছি আমরা।'
সালিশবুরি মূঢ় ভঙ্গিতে বললো,
-এটাই উত্তম সময় জোয়ান। আমাদের পাশে জোয়ানের মতো সাহসী যোদ্ধা আর তার সৈন্যরা আছে।'
-ধন্যবাদ কমান্ডার সালিশবুরি, আমাদের উপর ভরসা করার জন্য।' বুকে হাত রেখে বললো জোয়ান। ঠিক সময়ে আঁতে ঘা লাগাবে ওরা। কমান্ডার সালিশবুরি নিজের মতো প্রস্তুতি নিক যুদ্ধের।
যেই মুহূর্তে ওরা প্রস্তুতি নিচ্ছিল যুদ্ধের, সেই মুহূর্তে বিশাল এক ফ্রেঞ্চবাহিনী এসে হাজির যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়ে। রেইমস নগরীর প্রবেশমুখে যখন ওরা উত্তেজিত হয়ে ঢুকছিল তখন কমান্ডার সালিশবুরিরও উত্তেজনা বেড়ে গেল। নিজের সৈন্যদের আদেশ দিলো আক্রমণ করতে। আদেশ পেয়ে ইংরেজ সেনারা তরবারি হাতে ছুটে গেল ওদিকে। কিন্তু জোয়ান তার নিজ সেনা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকলো। ধনুকে তির রেখে তাক করলো ওরা ছুটন্ত ইংরেজ সেনাদের দিকে। কমান্ডার সালিশবুরির চোখ তখন বড় বড় হয়ে গেল বিস্ময়ে।
-এ কী করছে তোমার সেনারা, জোয়ান?' গলা কেঁপে ওঠলো সালিশবুরির।
জোয়ান ইশারা করতেই তির ছুড়লো তার সেনারা। তিরের আঘাতে নিচে ঢলে পড়লো ইংরেজদের অনেকেই। জোয়ানের সেনারা ছুটে গেল পেছন পেছন আক্রমণ করতে। আর জোয়ান তরবারি বের করে এক কোপে আলাদা করে ফেললো সালিশবুরির মাথা। তারপর বিড়বিড় করলো,
-শিকার করলে দলের মাথাটাকেই আগে শিকার করবো।'
কয়েকমুহূর্ত সালিশবুরির নিস্তেজ দেহটা দেখে জোয়ান তরবারি হাতে ছুটে গেল ইংরেজ সেনাদের মারতে। তরবারি থেকে তখনও ঝরে পড়ছিল কমান্ডার সালিশবুরির দেহের তাজা রক্ত।
দুদিক থেকেই আক্রমণ করায় ইংরেজ সেনারা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়লো। তার উপর ইতোমধ্যে তাদের কমান্ডারের পতন হয়েছে। তরবারি তুলতেই পারলো না তারা ফ্রেঞ্চদের বিপক্ষে। পিঁপড়ার মতো মরতে লাগলো ইংরেজরা। জোয়ানের তরবারিটা রঞ্জিত হতে লাগলো ইংরেজ সেনাদের রক্তে।
সব ইংরেজদের পতন হলে জোয়ান হাঁটুগেড়ে বসে পড়ে নিচে। তরবারিটা সামনে রেখে জোরে শ্বাস নেয়। ঠোঁটে বিজয়ের হাসি লেগে থাকে তার। তারপর ফ্রান্সের একটা পতাকা বের করে উড়াতে থাকে রেইমস নগরীর বুকে।
সব ইংরেজদের পতন হলে জোয়ান হাঁটুগেড়ে বসে পড়ে নিচে। তরবারিটা সামনে রেখে জোরে শ্বাস নেয়। ঠোঁটে বিজয়ের হাসি লেগে থাকে তার। তারপর ফ্রান্সের একটা পতাকা বের করে উড়াতে থাকে রেইমস নগরীর বুকে।
অবশেষে এলো সেই কাঙ্ক্ষিত দিন। যেদিন রেইমস নগরী বিজয় করে ওরা, তার পরদিনই ধুমধাম করে আয়োজন করা হয় রাজা চার্লসের অভিষেক অনুষ্ঠান। প্রায় সাত বছর আগে নিজেকে রাজা হিসেবে ঘোষণা করলেও, রাজার অধিকার পাননি রাজা চার্লস। এবার সব অধিকার বুঝে নেয়ার সময় হয়েছে। ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে রাজকীয়ভাবে রেইমস নগরীতে প্রবেশ করে রাজা চার্লস। তার ঠিক পাশেই আছে জোয়ান। ঠোঁটে বিজয়ের হাসি লেগে থাকে তার সর্বক্ষণ। রেইমস নগরীতে পা রেখে সে নিজ হাতে রাজা চার্লসের মাথায় মুকুট পরায়। রাজা চার্লস হাসিমুখে তাকায় জোয়ানের দিকে। তারপর জোয়ানকে পাশে রেখে রাজা চার্লস সবার উদ্দেশ্যে বলে,
-এই দিনটি ছিল আমাদের কাছে স্বপ্নের মতো। আমরা স্বপ্ন দেখতাম এই দিনটির জন্য। কিন্তু হতাশায় ছিলাম কখনও এই দিনটি দেখতে পাবো কি না। হঠাৎ বীরের মতো আসে জোয়ান অব আর্ক। একের পর এক জয় এনে দেয় আমাদের। আমাদের আজকের দিনটা পাওয়ার পেছনে সবচেয়ে বেশি অবদান এই অল্পবয়সী যোদ্ধার। দেশের প্রতি তার অগাধ প্রেম আর ভালোবাসার জোরেই সে আমাদেরকে এই দিনটি এনে দিয়েছে। আমরা তার প্রতি কৃতজ্ঞ।
-জয়, জোয়ান অব আর্কের জয়।' চিৎকারধ্বনি শোনা গেল ফ্রেঞ্চ অধিবাসীদের। জোয়ান বুকে হাত রেখে হাসলো। রাজা চার্লস আবারও বলে ওঠলো,
-সময় হয়েছে এবার আমাদের পুরো ফ্রান্সের অধিকার ফিরিয়ে নেয়ার। পুরো ফ্রান্সকে স্বাধীন করার। ফ্রান্সে যেন ইংরেজদের আধিপত্য একেবারেই শেষ হয়ে যায়। আমরা জোয়ানের নেতৃত্বে আরও একটা বিজয় দেখতে চাই।'
-জয়, জোয়ান অব আর্কের জয়।' আবারও চিৎকার শোনা গেল ফ্রেঞ্চ অধিবাসীদের কণ্ঠে। তাদের চিৎকারে মুখরিত হয়ে ওঠলো রেইমস নগরী।
-এই দিনটি ছিল আমাদের কাছে স্বপ্নের মতো। আমরা স্বপ্ন দেখতাম এই দিনটির জন্য। কিন্তু হতাশায় ছিলাম কখনও এই দিনটি দেখতে পাবো কি না। হঠাৎ বীরের মতো আসে জোয়ান অব আর্ক। একের পর এক জয় এনে দেয় আমাদের। আমাদের আজকের দিনটা পাওয়ার পেছনে সবচেয়ে বেশি অবদান এই অল্পবয়সী যোদ্ধার। দেশের প্রতি তার অগাধ প্রেম আর ভালোবাসার জোরেই সে আমাদেরকে এই দিনটি এনে দিয়েছে। আমরা তার প্রতি কৃতজ্ঞ।
-জয়, জোয়ান অব আর্কের জয়।' চিৎকারধ্বনি শোনা গেল ফ্রেঞ্চ অধিবাসীদের। জোয়ান বুকে হাত রেখে হাসলো। রাজা চার্লস আবারও বলে ওঠলো,
-সময় হয়েছে এবার আমাদের পুরো ফ্রান্সের অধিকার ফিরিয়ে নেয়ার। পুরো ফ্রান্সকে স্বাধীন করার। ফ্রান্সে যেন ইংরেজদের আধিপত্য একেবারেই শেষ হয়ে যায়। আমরা জোয়ানের নেতৃত্বে আরও একটা বিজয় দেখতে চাই।'
-জয়, জোয়ান অব আর্কের জয়।' আবারও চিৎকার শোনা গেল ফ্রেঞ্চ অধিবাসীদের কণ্ঠে। তাদের চিৎকারে মুখরিত হয়ে ওঠলো রেইমস নগরী।
চলবে...
লেখা: ShoheL Rana