![]() |
Mysterying Story |
ঘুম ভাঙ্গলো কলিংবেলের টুংটাং শব্দে! এ বেলের আওয়াজটা বিরক্তিকর লাগছে! অথচ কেনার সময় কতবার শুনেছিলাম তখন ভালো লেগেছিল। প্রিয় গানটা অসময় খারাপ লাগে। ভালো লাগাটা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে।
লোকটা বিরতিহীনভাবে বেলটা বাজিয়ে যাচ্ছে। বেল বাজানোর ধরন দেখে বুঝা যায় এটা পুরুষ মানুষ। পুরুষের ধর্য্য বড্ড কম! এরা অল্পতেই মেজাজ হারায়। এত রাতে বিছানা ছেড়ে উঠতে ইচ্ছে করছে না। এ লোক তো দেখি নাছোড়বান্দা বান্দা দরজা না খোলা অবধি থামবে না। লোকটা বোধহয় বলদ ধরনের,আই,কি,ইউ শুন্যের কাছাকাছি হবে, না হলে গভীরে রাতে কারো বাসায় আসে! তারপর এতবার বেল বাজাচ্ছে!
কিছু জিনিস হিসাব মিলানোর চেষ্টা করলাম। লোকটার বয়স ত্রিশ থেকে পয়ত্রিশ হবে। উচ্চতা পাঁচ ফুট তিন ইঞ্চির বেশি। উচ্চতা বুঝলাম বেল বাজানো থেকে। আমার কলিং বেলটা ফ্লোর থেকে যতটা উপরে এর চেয়ে কম উচ্চতার মানুষ এত ঘন ঘন বেল বাজাতে পারবে না। পায়ের পাতায় ভর করে দাঁড়িয়ে এতবার বেল বাজালে পা ব্যথা হয়ে যাওয়ার কথা। বেল বাজানোর মাঝে বিরতি দিত। কিন্তু এ তো টানা বাজিয়ে যাচ্ছে! বয়সটা অনুমান করলাম পূর্বের অভিজ্ঞতা থেকে আমার কাছে এ বয়সের মানুষজন বেশি আসে।
গতবারের রেজাউল সাহেবের কেসটা সমাধান করার পর আমার বেশ নাম হয়েছে। এখন কেস নিয়ে অনেক ব্যস্ত থাকতে হয়। সোয়েব ছেলেটা দেশের বাড়ি গেছে বেড়াতে। এখন আমি একা। একজন এসিস্ট্যান্ট আছে। ও সকাল নয়টা থেকে ছয়টা পর্যন্ত থাকে। এটাই আমার সাক্ষাৎ সময়। কিন্তু কিছু মানুষ আছে এরা নিয়মের তোয়াক্কা করে না।
বাধ্য হয়ে বিছানা ছাড়তে হলো। ঢুলুঢুলু চোখে দরজা খুলে চোখ কপালে উঠে গেছে! এতক্ষণ কী সব সূত্র মিলাচ্ছিলাম। আমার সব ধারণায় পানি ঢেলে দিয়ে দরজায় দাড়িঁয়ে আছে আঠারো বা বিশ বছরের এক মেয়ে! পরনে জিন্স প্যান্ট, ফুল হাতা হালকা বেগুনি রংয়া শার্ট, পায়ে সম্ভবত বাটা কোম্পানির এক জোড়া পাম্প সু। শার্ট পরলে মেয়েদের এত সুন্দর লাগে জানা ছিল না। এ মেয়েকে দেখে মনে হচ্ছে শার্ট না পরলে একে এত ভালো লাগত না। কিছু মানুষ থাকে এরা যাই পরে মনে হয় ওটাই ওর জন্য পারফেক্ট। এ মেয়ে সেই ধরনের।
"রায়হান সাহেব আছেন? এটা তো ওনার অফিস তাই না? " বলতে বলতে ভিতরে ঢুকে পড়ল। আমি অবাক হয়ে চেয়ে আছি। অফিস রুমে ঢুকে চেয়ার টেনে বসলেন। আমি চোখ ঢলে পরিস্কার করলাম। আরে একে তো চেনা চেনা লাগছে। কোথায় যেন দেখছি! ঠিক মনে করতে পারছি না। বেশ কিছু সময় কেটে গেল। মেয়েটা বসে বসে আমার সাজানো অফিসটা দেখছে। আমার চেয়ারের পিছনের দেয়ালে বড় করে আর্ট করা মিসির আলি স্যারের ছবিটার দিকে মুগ্ধ চোখে চেয়ে আছে।
মনে পড়েছে এ তো আমাদের দেশের নাম করা স্টার নায়লা! গত কয়েকবছর যাবৎ নায়লা আমাদের মিডিয়া জগতের টপ নায়িকা। এতক্ষণে সব পরিস্কার হচ্ছে। কেন মেয়েটি এত রাতে এসেছে। কিন্তু এ বিখ্যাত নায়িকা আমার বাসায় কেন! না, মাথা ঠিক কাজ করছে না। আজ কোনো সূত্র কাজ করছে না। নিজেকে শার্লক হোমস্ ভাবতে শুরু করেছিলাম। এখনতো দেখছি কিছুই শিখা হয়নি। না, রায়হান তোমাকে আর শিখতে হবে। একটা কেস সমাধান করে হিরো হয়ে গেছ, ভাবছ সব শিখে ফেলেছ!
"আপনিই তো রায়হান? আই আ্যম স্যরি, আপনকে হুট করে দেখে চিনতে পারিনি।"
"ইট’স ওকে, কী নিবেন চা,না কফি? "নায়লা একবার তার পরিচয় দিলো না। সে ধরেই নিয়েছে তাকে আমি চিনবেই। এটা বিখ্যাত লোকদের এক ধরনের অহংকার। অবশ্য নায়লা যে মাপের নায়িকা এতটুকু অহংকার তাকে মানায়।
"আমি যতদূর জানি আপনার বাসায় কোনো কাজের লোক নেই। আ্যম আই রাইট?"
"জি, আপনি সঠিক।"
"আপনি আমাকে কিচেনটা দেখিয়ে দিন। আমি খুব ভালো কফি বানাতে পারি। আপনি কফি খুব পছন্দ করেন, তাই না?"
এ সব টিভি নায়িকাদের গাধা টাইপ ভাবতাম। আমার ধারণা পুরাই ভুল। এ মেয়েতো যথেষ্ট মেধাবী। আমার সম্পর্কে অনেক কিছু জেনে এসেছে। এমন বিখ্যাত নায়িকা আমার বাসায় নিশ্চয়ই আমাকে কফি বানিয়ে খাওয়াতে আসে নাই। তাহলে কেন এসেছে? এটা ঠিক ধরতে পারছি না। অনুমান লজিক আজ মোটেই কাজ করছে না। যা ভাবছি সব উল্টো হচ্ছে!
ধূমায়িত দুকাপ কফি হাতে নিয়ে নায়লা অফিস রুমে এসে বসল। আমি নায়লার কাজকর্মে দ্বিধার মধ্যে আছি। এত রাতে একজন নাম করা নায়িকা আমার বাসায় খোশগল্প করতে এসেছে এটা বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে। কোনো বিপদে পড়ে এসেছে এমন মনে হচ্ছে না। নায়লার চোখে কোনো অস্থিরতা নেই। দেখে শান্ত লাগছে! আমার দিকে হালকা হাসি দিয়ে বলল," আপনাকে চিন্তিত লাগছে?"
"না, ঠিক তা নয়।"
"বুঝতে পারছি আমার আসার কারণ বের করার চেষ্টা করছেন? আমি একটা কাজেই এসেছি। আগে কফিটা শেষ করেন। তারপর বলব। আমার কথা শুনে আপনি আর বেশি কনফিউজড হয়ে যাবেন। কফিটা কেমন লাগছে?"
"অসাধারণ!" সত্যি এত ভালো কফি অনেকদিন খাই না। লন্ডনে থাকার সময়ের খাওয়া কফির স্বাদ।
কেমন রহস্যময় হাসি দিচ্ছে। হাসিটা খুব সুন্দর! এই হাসির জন্য লক্ষ মানুষ পাগল। কফির কাপে চুমুক দিয়ে আমার দিকে তেরছা চোখে তাকাল নায়লা। "আমি বুঝতে পারছি আপনি আমাকে দেখে হিসাব মিলাতে পারছেন না। আমার চেহারায় কোন চিহ্ন নাই! অভিনয়টা আমি ভালোই করি রায়হান সাহেব।"
"সেটাই তো দেখছি!"
"আচ্ছা মূল কথায় আসি, আপনাকে একটা খুনের সমাধান করতে হবে। এই জন্যই আমি এসেছি। এই হলো আপনার কাজের অগ্রিম পঞ্চাশ হাজার টাকা। কাজ শেষ হলে পুরো পাঁচ লাক্ষ টাকা পাবেন। এই হলো তার চেক। চেকটা আগেই দিয়ে গেলাম কারণ এরপর আপনার সাথে আমার আর দেখা হবে না।"
"কার খুনের? "
"সেটা আপনি আগামীকাল পত্রিকা দেখলে বুঝতে পারবেন। আপনি তো টিভি দেখেন না, দেখলে আজকেই বুঝতে পারতেন। আমি তাহলে এখন যাই।"
নায়লা হনহন করে বেরিয়ে গেল। আমি বোকার মতো বসে বসে দেখলাম। কী হলো ঠিক মাথার ওপর দিয়ে গেল। এত রাতে আর ভাবতে ভালো লাগছে না। শুয়ে পড়লাম। সকালে দেখা যাবে।
সকালে ঘুম ভাঙ্গল সোয়েবের ডাকে। ঘুম ঘুম চোখে বললাম," কীরে তুই কখন এলি? রুমে ঢুকলি কেমনে!"
"আপনি তো দরজা হাট করে ঘুমাইছেন। আমি ভোরবেলা এসে দেখি দরজা খোলা।"
"ও আচ্ছা। এক কাপ কফি বানা আর দেখতো আজকের পত্রিকা দিয়ে গেছে কিনা?"
"স্যার খবর শুনছেন?"
সোয়েব আমার সাথে থাকতে থাকতে টুকটাক কিছু জিনিস শিখেছে। ছেলেটার মাথা ভালো। বিভিন্ন খবর পাওয়া যায় ওর কাছে। " কী খবর রে? "
"নায়িকা নায়লা খুন হয়েছে! "
"চমকে উঠলাম কথাটা শোনে। কী বলিস! কখন?"
"গতকাল সন্ধায়। "
বলে কী ছেলেটা। গতকাল রাত এগারোটার পরে শুয়েছি। ঘুম আসতে আসতে সারে এগারোটা বাজছে নিশ্চিত। তারপর নায়লা এসেছে দেখা করতে। তাহলে সন্ধায় খুন হলো কেমনে! দ্রুত উঠে অফিস রুমে গেলাম। না, টাকা চেক সব ঠিক আছে। স্বপ্ন হলে এ সব থাকত না। পত্রিকাটা নিয়ে খবরটা পড়লাম। হ্যাঁ, সোয়েবের কথা সত্যি। গতকাল আনুমানিক ছয়টা থেকে সাতটার মধ্যে তাকে খুন করা হয়েছে।
পত্রিকা পড়ে মাথা ঘুরাচ্ছে! সারা জীবন ভুত নাই বলে চিল্লাইয়া এখন নিজেই ভুতের পাল্লায় পরেছি। খুনের রহস্য উদঘাটন করব, না কে বাসায় এসেছিল তা! বড়ই বিপদজনক কথা। কাউকে বিশ্বাস করানো কষ্টকর হবে। ভিকটিম নিজে এসে তার খুনের রহস্য সমাধান করার জন্য দায়িত্ব দিয়ে গেছে! পৃথিবীতে এমন কোন ঘটনা নাই যার কোনো ব্যাখ্যা হয় না। যে কোনো ঘটনা ঘটার আগে তার কারণ ঘটে। অনেক রহস্য আছে আমরা সমাধান করতে পারিনি। এটা আমাদের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা।
নায়লার বাসা উত্তরায়। এখানে একটা ফ্লাটে নায়লা একাই থাকে। নিজ বাসায় গতকাল সন্ধায় খুন হয়েছে। এ সময় বাসায় কেউ ছিল না। পুলিশ ইতোমধ্যে বাসা তালাবদ্ধ করে দিয়েছে। উত্তরা থানার ওসি মামুন সাহেব আমার পরিচিত। খুব ভালো মানুষ। থানায় একটু খোঁজ খবর নেয়া দরকার।
থানায় এসেছি ওসির সাথে দেখা করতে। ওসি সাহেব কার সাথে কথা বলছেন। হবে কোনো ভিক্টিম। আমায় একটু অপেক্ষা করতে হলো। বসে বসে থানাটা দেখছি। অনেকটা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থানা। সাধারণত থানাগুলো নোংরা হয়। মামুন সাহেব আসার পর থানার চেহারা পরিবর্তন হয়ে গেছে। মানুষটা সত্যি কাজের! এর আগের একটা কেসে আমাকে অনেক সাহায্য করেছেন। অবশেষে ওসি সাহেবের রুমে ডাক পড়ল।
আমায় দেখে কেমন একটা হাসি ফুটিয়ে বললেন," আরে রায়হান সাহেব যে? স্যরি আপানকে অনেকটা সময় বসিয়ে রাখলাম।" মুখে লজ্জিত হাসি। অন্য ওসিদের মতো কঠিন চেহারা নয়। এই ওসি কে দেখলে আসামিরা একটুও ভয় পাবে না। ওসিদের দেখলেই ভিতরে ভয়ের কাঁটা বিঁধে যায়। এমন ভাবটা মামুন সাহেব রপ্ত করতে পারেননি। উনাকে উত্তম কুমারের মতো নায়ক নায়ক লাগছে।
এ প্রশ্নের উত্তর দেয়া যায় না। একটু সম্মতির হাসি দিলাম।
"তারপর খবর পেয়ে গেছেন! তা আপনাকে ইনভলভ করল কে?"
বলা তো যায় না! নায়িকা নিজে খুনের পর আমার বাসায় এসে দায়িত্ব দিয়ে গেছে। বললে যে একটা সম্মান ওসির কাছে আছে তা ধুলোয় মিশতে সময় লাগবে না। হালকা হাসি দিয়ে বললাম, "স্টারদের ফ্যানের অভাব আছে বলেন?"
"ও তাই বলুন। এ মেয়ের তো কোনো আত্মীয় স্বজন নেই ইহকুলে। থাকলেও বড় হয়ে তাদের খবর রাখেনি। তা চা চলবে তো?"
যদিও চা খুব একটা পছন্দ না। এখানে এত কিছু ভাবলে হবে না। অনেক সময় অপছন্দ কেউ সাদরে গ্রহণ করতে হয়। অনেকটা ওসির মুখ রাখতেই চায়ের কথায় সম্মতি দিলাম। উনি একজন কনস্টেবল কে ডেকে দুকাপ চা আনতে পাঠালেন সাথে এখানকার খুব নাকি বিখ্যাত পুরি।
"কিছু খুঁজে পেলেন?"
আমি ওনাকে জিজ্ঞেস করব ভাবছিলাম উনি আমার কাছে জানতে চাচ্ছেন। বুঝলাম ওনারা কোনো কিছুই পাননি। এমন একজন স্টারের খুনে তাদের ওপর চাপ থাকার কথা। " না, এখনও তেমন কিছু জানতে পারিনি। আপনারা কতটুকু জেনেছেন?"
" তেমন কোনো ক্লু নেই! ঘরের মাঝে ছুরির আঘাতে খুনটা হয়েছে। কোনো অস্ত্র পাওয়া যায়নি। পাশের ফ্লাটের লোকেরা কিছুই বলতে পারে না। বুঝতেই পারছেন। ও সব এড়িয়ায় মানুষজন নিজেদের মতো থাকে। পাশে কী হলো খবর রাখে না। এরা ভিন্ন জগতের প্রাণি রায়হান সাহেব। আপনি কেসটা হাতে নিয়েছেন ভালো হয়েছে। ওপর থেকে চাপ দিচ্ছে খুব "
"আমি ফ্লাটে একবার যেতে চাই।"
"ঠিক আছে। আমি নিয়ে যাব আপনাকে, দেখা যাক কিছু পাওয়া যায় কি না?"
ছোট একটা ছেলে একটা প্লাস্টিকের ট্রেতে দুকাপ চা, একটা বাটিতে পুরি, শষা, পিঁয়াজ কাটা সাথে কয়েকটা কাচা মরিচ টেবিলে এনে রাখল। কাপের গায়ে দুধের ফেনা লেগে আছে। একটা ভাজা পুরি হাতে তুলে পট করে একটা কামড় দিলেন ওসি সাহেব। মুরমুর শব্দে খেতে খেতে বললেন, "এ কেসটা খুব ভেজাল হবে!" হাতের ইশারায় আমাকে পুরি নিতে বললেন।
একটা পুরি মুখে পুরে দিলাম। পুরির আলদা স্বাদ হয় এ পুরি না খেলে বুঝতাম না। ডালের সাথে আর কী কী দিয়েছে পুরির মাঝে। কামড় দিলেই একটু ঝাল ঝাল লাগে। " কেন মনে হলো কেসটা জটিল হবে?"
নোংরা কাপের চায়ে ফুরৎ করে চুমুক দিতে দিতে বললেন," সারা বাসা তন্ন তন্ন করে কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। এমন বড় তারকার সাথে কত মানুষের ওঠাবসা, কতজন কে জিজ্ঞেসাবাদ করব বলেন। কিছুই বুঝতে পারছি না। তারউপর ওপর থেকে চাপ চটপট কিছু করে দেখাও।"
ওসি সাহেবের সাথে নায়লার বাসায় আসলাম। বেশ বড়সড় বাসা। এত বড় বাসায় নায়লা একা থাকত! কী নেই বাসা তে। সব আধুনিক জিনিস পত্রের ছড়াছড়ি। এ এপার্টমেন্টে নায়লা এসেছে পাঁচ বছর হয়েছে। নায়লার সেক্রেটারির সাথে কথা হলো। না, তেমন কোনো হদিস পাওয়া গেলো না। নায়লার শত্রু কেন হবে তা ঠাহর করতে পারছে না সেক্রেটারি মেয়েটা। খুবই ভারাক্রান্ত অবস্থায় আছে সেক্রেটারি সুমনা। বাসায় একজন কাজের মেয়ে আছে আয়শা নাম। সকালে একবার আসে ঘর পরিস্কার করে নাস্তা বানিয়ে চলে যায়। নায়লা সাধারণত দুপুরে শুটিং স্পষ্ট থাকে। রাতে তেমন একটা খেত না।
এ পর্যন্ত প্রায় পঞ্চাশটা ছবিতে অভিনয় করেছে নায়লা। এখনও হাতে অর্ধ সমাপ্ত অবস্থায় আছে দশটার মতো ছবি। টানা প্রথম অবস্থান দখল করে থাকায় কিছুটা অহংকারী ছিল সে। তাতে কাছের কিছু মানুষ ওর প্রতি বিতৃষ্ণ থাকলেও তারা ওকে মারার কথা ভাবতে পারে না। তারকদের মধ্যে একটু রেষারেষি থাকে সেটা কখনো খুন খারাপি অবধি যায় না।
কেসটা বেশ ঝামেলায় ফেলে দিচ্ছে। সবচেয়ে বড় প্রশ্নের উত্তরটা খুঁজে বের করতে পারছি না। আমার বাসায় সে দিন কে গিয়েছিল! নায়লার দেয়া চেকটা ব্যাংকে জমা দিলাম। মনে হয়েছিল চেক বাউন্স করবে। কিন্তু আমাকে অবাক করে দিয়ে টাকা জমা হয়েছে! ভেবেছিলাম নায়লা সেজে অন্য কেউ এসেছিল। টাকা জমা হওয়ায় আর দ্বিধায় পড়ে গেলাম। তারমানে চেকটা নায়লা নিজে সাইন করেছে। কেমনে সম্ভব এটা!
চলবে......
লেখা: নাবিল মাহমুদ