> রাগি মেয়ের প্রেমে পর্ব ১১ - রাগি মেয়ের গল্প - রাগি মেয়ে - রাগি মেয়ের সাথে প্রেম - Bangla New Story - Love Story
-->

রাগি মেয়ের প্রেমে পর্ব ১১ - রাগি মেয়ের গল্প - রাগি মেয়ে - রাগি মেয়ের সাথে প্রেম - Bangla New Story - Love Story

ওদের সাথে বসে বসে কথা বলতেছি, একটু পর দেখলাম তন্নি আসতেছে। চোখমুখ লাল হয়ে ফুলে আছে, দেখে মনে হচ্ছে অনেক কান্নাকাটি করেছি। 

সাদিয়াঃ কিরে কি অবস্থা তোর? অসুস্থ নাকি? 

তন্নিঃ না আমি ঠিক আছি,,,,

ফারিয়াঃ দেখে তো মনে হচ্ছে না। 

আয়মানঃ চল, দেরি হয়ে যাচ্ছে। 

তারপর সবাই পরীক্ষা কেন্দ্রে চলে গেলাম। যে যার মতো পরীক্ষা দিলো। বাইরে এসে অনেক্ষণ আড্ডা দিলাম। কিন্তু তন্নি একবারও আমার সাথে কথা বলেনি। আমিও নিজে থেকে বলিনি। 

দেখি সে কতক্ষন রাগ দেখিয়ে থাকতে পারে। এভাবে সব গুলো পরীক্ষা চলে গেলো, তন্নি আমার সাথে কথা বলেনি। 

শেষ পরীক্ষার দিন, পরীক্ষা দিয়ে বের হইছি। আজকেই কলেজ লাইফের শেষ দিন, হয়তো আর ওদের সাথে খুব একটা আড্ডা দিতে পারবো না। 

যে যার মতো ব্যস্ত হয়ে যাবো। সানি বললো.... 

সানিঃ এই চল, ওদিক থেকে ঘুরে আসি। 

আয়মানঃ আচ্ছা ঠিক আছে চল। 

আমি সানি আয়মান একটু দূরে একটা রাস্তার পাশে গিয়ে বসলাম। তখন ফারিয়ারা কেউ ছিলো না। সানি বললো..... 

সানিঃ বন্ধু ওর প্রপোজ একসেপ্ট করে নে। সমস্যা কি? 

আমিঃ তুই কি পাগল! ভুলে গেছিস সে আমার সাথে কি কি করেছিলো? 

সানিঃ সেটা তো ভুলিনি। কিন্তু সে তো এখন আমাদের খুব ভালো বন্ধু। তোরও ভালো বন্ধু। 

আমিঃ হুম বন্ধু,, কিন্তু সেটাও তোদের উপকারের জন্য করেছি। 

আয়মানঃ মানে? 

আমিঃ এতো তাড়াতাড়ি ভুলে গেলি? ফারিয়া আর ফয়সালের বিয়েটা যেন হয়, সেজন্যই ওর সাথে ফ্রেন্ডশিপ করেছি। এতে আমার কোনো স্বার্থ নেই। 

সানিঃ কিন্তু এখন তো রিয়েলি বন্ধু হয়ে গেছে। সো একসেপ্ট কর ভাই,,, 

আমিঃ তোর এতো দরদ লাগলে তুই কর। আমার ইন্টারেস্ট নাই। 

সানিঃ আমাকে তো আর প্রপোজ করেনি। করলে তো সেদিনই একসেপ্ট করতাম
 
আয়মানঃ আচ্ছা ওয়েট, সেদিন তুই বলেছিলি তোর gf আছে? কিন্তু আমরা তো কিছুই জানি না। 

আমিঃ মিথ্যা বলেছিলাম। যাতে তন্নির বাড়াবাড়ি টা একটু কমে। 

আয়মানঃ এটা না করলেও পারতি। 

আয়মানঃ এই থাম ওরা আসছে। 

তাকিয়ে দেখি সাদিয়া, ফারিয়া আর তন্নি এই দিকে আসছে। 

সাদিয়াঃ কিরে তোরা এখানে? আমাদের একটু বললিও না। 

সানিঃ তোদের দেখতে পাইনি। বস এখানে একটু আড্ডা দিই। 

তারপর ওরাও বসলো, তন্নি চুপচাপ বসে আছে, ফারিয়া তন্নিকে ধাক্কা দিতেছে কি যেন বলার জন্য। তারপর ফারিয়া নিজেই বললো.... 

ফারিয়াঃ জুয়েল দোস্ত, তোর সাথে কথা আছে। 

আমিঃ হুম, বল। 

ফারিয়াঃ তুই কি ওই ব্যাপারে কিছু ভেবেছিস? 

আমিঃ কোন ব্যাপার? 

ফারিয়াঃ তন্নি যে কথাটা বললো? 

আমিঃ তোদের সেদিন আমি কি বলেছিলাম মনে নেই? আমার আজকেও সেই একই সিদ্ধান্ত।

সাদিয়াঃ প্লিজ একটু ভেবে বল।

আমিঃ আমার যা ভাবার তা আগেই ভেবেছি। সো অন্য কথা থাকলে বল, নাহলে আমি গেলাম। 

উঠে চলে যাচ্ছিলাম এমন সময় তন্নি ডাকদিলো,,,,,  

তন্নিঃ ওই দাঁড়া! 

আমিঃ............(দাঁড়িয়ে আছি) 

তন্নিঃ যাহ তোকে ভালোবাসতে হবে না। শুধু একটা প্রশ্নের উত্তর দিয়ে যা। 

আমিঃ কি? 

তন্নিঃ সত্যিই থাকতে পারবি, আমার সাথে কথা না বলে? 

আমিঃ হুম পারবো, তুইও চেষ্টা কর। তুইও পারবি। 

তন্নিঃ কিন্তু.... 

আমিঃ কোনো কিন্তু না, তুই আমার থেকেও অনেক ভালো ছেলে পাবি। আমি ছোটলোক, এতিম, ফকিরের বাচ্ছা। তুইতো বলেছিলি, এখন আবার ভালোবাসিস কেন? 

তন্নিঃ এই সব কিছুর জন্য সরি বললাম তো। প্লিজ মাফ করে দে। 

আমিঃ তোর উপর তো আমার কোনো রাগ বা ক্ষোভ নেই, সো মাফের প্রশ্নই আসেনা। 

তন্নিঃ প্লিজ এমন বলিস না। আমি সত্যিই..... 

আমিঃ অনেক হইছে এবার থাম। আমি গেলাম,,, 

তন্নি পেছন থেকে আমাকে কয়েকবার ডেকেছে, আমি তাকাইনি। বাকীরাও অনেক বার ডেকেছে, আমি না দাঁড়িয়ে চলে যাই। 

সেদিন আমিও অনেক কেঁদেছি, হয়তো মেয়েটাকে আমিও ভালোবেসে ফেলেছি, কিন্তু কিছু করার নাই, সে আমার সাথে যেগুলো করেছে তার ফল ওকেও একটু ভোগ করতে হবে। 

এভাবে দিন যেতে লাগলো, সানি আয়মানের সাথে মাঝে মাঝে রাস্তায় দেখা হয়। মোবাইলে কথা হয়, ফারিয়া আর সাদিয়ার সাথে মোবাইলে কথা হয় বা অনলাইনে টুকটাক কথা হয়। তন্নির সাথে টোটালি কোনো কথা হয়না আমার। 

দেখতে দেখতে রেজাল্টের দিন চলে আসলো, মোবাইলেই রেজাল্ট দেখে নিলাম। আলহামদুলিল্লাহ খুব ভালো রেজাল্ট করলাম। 

আমাদের সবার রেজাল্ট মোটামুটি ভালো হয়, শুধু তন্নির টা ছাড়া। সেও পাশ করেছে বাট অন্যদের মতো না। কারনটা হয়তো আমি। 

রেজাল্টের দেওয়ার পর পরই বিভিন্ন জায়গায় চাকরীর জন্য আবেদন করতে শুরু করি। 

একটা কোম্পানিতে চাকরির জন্য আবেদন করি, ইন্টার্ভিউ দিলাম সব কিছু ঠিকঠাক ছিলো। তাই চাকরিও পেয়ে গেছি। 

চাকরি পাওয়ার পর ওদের সবাইকে কলেজে ক্যাম্পাসে আসতে বললাম, ট্রিট দিবো। সবাই আসলো কিন্তু তন্নি আসলো না। 

ফারিয়াঃ কিরে তুই তো পুরাই চেইঞ্জ? 

আমিঃ কই, আগের মতোই তো আছি। 

সানিঃ না মামা আগে থেকে একটু অন্যরকম। আচ্ছা বাদ দে তোর জব কেমন চলছে? 

আমিঃ ভালোই, তোরা ট্রাই করতেছিস না? 

সাদিয়াঃ নাহ, আমি বাবার অফিসেই করবো। সাথে আমার এই দুষ্টু বর টাকেও রাখবো (আয়মানকে) 

আমিঃ মামা এই ভুল করিস না, সারা জীবন খোটা শুনবি যে তুই শ্বশুরের টাকা খাস। 

সানিঃ শালা কয়দিন পর ঘর জামাই করে নিয়ে যাবে। তখন কি করবি? 

আমিঃ ফারিয়া তো সেটেল, তোর জামাই কেমন আছেরে? 

ফারিয়াঃ আছেই ভালো। 

আমিঃ এই তন্নির কি অবস্থা? তোদের সাথে কথা হয়? 

সাদিয়াঃ হুম মাঝে মাঝে, তোর সাথে হয়? 

আমিঃ আরে না, হইলে কি আর তোদের কে জিজ্ঞেস করি? 

সানিঃ তুই রাজি হলে কি এমন ক্ষতি হতো? 

আমিঃ ওইসব কথা বাদ দে। অনেক দিন আড্ডা দিইনা। চল ওই দিক থেকে ঘুরে আসি। 

ফারিয়াঃ হুম ঠিক বলছিস, চল ঘুরে আসি। 

ওদের সাথে পুরো বিকাল আড্ডা দিলাম, সন্ধ্যায় বাসায় চলে গেলাম। 

এভাবেই দিন কাটতেছিলো। ভালোই আছি, মাঝে মাঝে আম্মু আব্বুর কথা মনে উঠে, ইচ্ছা করে তাদের কাছে ছুটে যাই। আজ সব আছে, টাকা সম্মান সব কিছু আছে। 

কিন্তু নেই বাবা মা, যতো কিছুই করি দিন শেষে নিজেকে এতিমই মনে হয়। ইচ্ছা করছে এখনই ছুটে যাই কোনো এক অজানা শক্তি ধরে রাখে, চাইলেও যেতে পারি না। 

কিছুদিন পর আমি আমার বস গাড়ি নিয়ে একটা দরকারে অন্য একটা জায়গায় যাচ্ছি। 

গাড়িতে বসে বসে কথা বলতেছি এমন সময় ড্রাইভার অনেক জোরে ব্রেক চাপলো, সাথে সাথেই একটা ধাক্কা খেলাম,  বাইরে তাকিয়ে দেখলাম কেউ একজন গাড়ির সাথে ধাক্কা খেয়ে পড়ে গেলো, বস আমাকে বললো " জুয়েল দেখোতো বাইরে কি হইছে? আমি গাড়ি থেকে নেমে বাইরে গেলাম, দেখলাম একটা বৃদ্ধ লোক গাড়ির সাথে ধাক্কা খেয়ে পড়ে গেছে। 

আমি গিয়ে পিছন থেকে টান দিয়ে তুলতে তুলতে বললাম... 

আমিঃ সরি আংকেল! ড্রাইভার ভুল করে লাগিয়ে দিয়েছে? আপনার লাগে নি......(পুরোটা বলার আগেই আমি স্তব্ধ হয়ে গেলাম) 

কারণ লোকটা আর কেউই নয়, সেই হচ্ছে আমার বাবা। বাবা কে দেখেই চোখ দিয়ে পানি ঝরতে শুরু করলো। বাবা আমার দিকে তাকিয়ে অবাক হয়ে আছে, অবাক হওয়ার ওই কথা, আমার বেশভূষা আগেই মতো নেই, আগের জুয়েল আর এখনের জুয়েলের মধ্যে অনেক তপাত চলে এসেছে। 

আমিঃ আ আ আব্বু তুমি! 

আব্বু আমাকে জড়িয়ে ধরে কান্না শুরু করে দেয়, আমারও অঝোর ধারান চোখে পানি আসতে থাকে। কতক্ষণ বাবা জড়িয়ে ধরি দাঁড়িয়ে ছিলাম মনে নেই, পেছনে কারো হাতের স্পর্শ পেয়ে পেছনে তাকাই দেখি আমার বস, তারও চোখ ভেজা। 

বাবাঃ তোর মা হাসপাতালে,,,

আমিঃ কিহ! মায়ের কি হইছে? 

বস বললো.... 

বসঃ এই জুয়েল তাড়াতাড়ি গাড়িতে উঠো। হাসপাতালে চলো। 

তারপর বাবা আমি আর বস গাড়িতে উঠলাম, বাবা আমার হাত ধরে বাচ্ছা ছেলেদের মতো কাঁদতেছে। 

একটু পর হাসপাতালে গেলাম, গিয়ে দেখি আম্মুকে স্যালাইন লাগিয়ে শুয়ে রেখেছে। 

আমিঃ কি হয়েছে আম্মুর? 

বাবাঃ গত পরশু দিন স্ট্রোক করেছে। 

আমিঃ ডাক্তার কি বলেছে? 

বাবাঃ ভালো হতে সময় লাগবে। 

পেছন থেকে বস বললো.... 

বসঃ আচ্ছা জুয়েল, আমার তো সময় কম। মিটিং এর দেরি হয়ে যাচ্ছে। তুমি থাকো আমি গেলাম, পরে কি হয় আমাকে জানিও। 

আমিঃ স্যার আমি গেলে সমস্যা হবে না? 

বসঃ না আমি চালিয়ে নিবো। তুমি মায়ের কাছে থাকো। 

আমিঃ ধন্যবাদ স্যার। 

বস চলে গেলো, আমি আর বাবা হাসপাতালের বাইরে বসে আছি। 

বাবাঃ আমারে মাফ করে দিস? 

আমিঃ মানে! হঠ্যাৎ এ কথা কেন বলছো? 

বাবাঃ সেদিন তোকে বাসা থেকে বের হয়ে যেতে বলেছি সেজন্য তুই বেরিয়ে গেলি? একবারও ভাবলি না তুই ছাড়া যে আমাদের আর কেউ নেই! 

আমিঃ আব্বু সেদিন তুমি পৃথিবীর সেরা কাজটি করেছো। সেদিন যদি তুমি আমাকে বের করে না দিতে হয়তো আজকে আমি এই পর্যায়ে আসতাম। একজন ভালো মানুষ হতাম না, বাস্তবতা কি জিনিষ বুঝতাম না, তোমাদের ভালোবাসা কি জিনিষ বুঝতাম। 

বাবাঃ জানিস তুই চলে যাওয়ার পর তোর মা আর আমি তোকে কতো খুঁজেছি। তোর জন্যই তোর মা অসুস্থ হয়ে গেছে। দিন নেই রাত নেই শুধু কান্নাকাটি করতো। 

আমিঃ আমিও তোমাদের অনেক মিস করেছি, বাবা। 

বাবা আমাকে আবারও জড়িয়ে ধরে কান্না করতে লাগলো।

কিছুক্ষণ পর একটা ডাক্তার বাইরে এসে বললো " আম্মুর জ্ঞান এসেছে, ভিতরে যেতে পারবো। আমি আর বাবা তাড়াতাড়ি ভিতরে গেলাম। এক অজানা আনন্দ বিরাজ করছে। কত বছর পর আম্মুকে দেখবো। ভিতরে গেলাম. 

আম্মু আমাকে দেখে রীতিমতো অবাক হয়ে গেলো, হওয়ারই কথা। আম্মু আমার দিকে নির্বাক হয়ে তাকিয়ে আছে। আম্মুকে দেখে আমার পুরো শরীরের লোম দাঁড়িয়ে গেলো। কি থেকে কি হয়ে গেলো। আম্মুর এই অবস্থা দেখে গাল বেয়ে পানি পড়তে লাগলো। আম্মুর কাছে যেতেই আমাকে ধরে কান্নাকাটি শুরু করে দিলো। 

আমিও শক্ত করে ধরলাম। 

আমিঃ এখন কেমন আছো? 

আম্মুঃ তুই আসছিস এখন আমি ভালো না থেকে পারি। বল আর কোনো দিন ছেড়ে যাবি না তো? 

আমিঃ না গিয়ে কোনো উপায় আছে? আমার তো থাকার জায়গা নেই। 

বাবা আমার কাঁধে হাত রেখে বলে....

বাবাঃ প্লিজ বাবা! আমাকে আর লজ্জা দিস না। মাফ করে দে আমাকে। 

আমিঃ আরে কি বলো এসব! তুমি যেটা করেছো, একদম ঠিক করেছো। 

বাবাঃ তাহলে একথা বললি কেন? আজ থেকে বাইরে কোথাও থাকতে পারবি না। তোর ঘরে তুই থাকবি। 

মায়ের দিকে তাকিয়ে দেখি সে অসহায় দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। তাই আর না করিনি। 

তারপর আমি আব্বু আম্মু নিজেদের বাসায় চলে গেলাম। আম্মু আমার পুরোনো জিনিষ পত্র সব গুলো সেই আগের মতোই গুছিয়ে রেখেছে। 

বিকালবেলা আমি আবার আগের বাসায় আসলাম, চলতি মাসের বেতন দিয়ে দিলাম। তারপর সব গুলো মালামাল বাসায় নিয়ে গেলাম। 

পরেরদিন যথারীতি অফিসে চলে গেলাম, বসকে সব কিছু বললাম তিনিও খুশি হলেন। বিকালবেলা বাসায় গেলাম, দেখি আম্মু আমার রুমে বসে আছে। আমি যাওয়ার পর ফ্রেশ হলাম। 

তারপর আম্মুর সাথে বসে কথা বলতে শুরু করলাম। 

বাসা থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত যা যা হয়েছে সব বললাম। তন্নির কথাও বললাম,,,, 

আম্মুঃ তুই আমাকে একটা সত্যি কথা বলবি?

আমিঃ কি কথা? 

আম্মুঃ তুই কি তন্নিকে ভালোবাসিস? 

আমিঃ হয়তো! ওর জন্য সব সময় শূন্যতা অনুভব করি। কেন? 

আম্মুঃ ওর কি বিয়ে হইছে? 

আমিঃ মনেহয় না, হলে অন্তত পক্ষে একবার হলেও জানতে পারতাম। 

আম্মুঃ ওর বাসার ঠিকানা বা মোবাইল নাম্বার আছে? 

আমিঃ ওয়েট, তুমি এগুলো দিয়ে কি করবে? 

আম্মুঃ কিছু না। আচ্ছা শোন তোর জন্য একটা মেয়ে দেখেছি। 

আমিঃ মানে! কথা নেই বার্তা নেই, হঠাৎ করে কিসের মেয়ে দেখছো? 

আম্মুঃ বাসায় সারা দিন আমি একা, আমারও তো কথা বলার মতো কাওকে দরকার নাকি? আর একটা নাতি/নাতনী থাকলে তো কথাই নাই, পুরো বাসা সব সময় গরম থাকবে। 

আমিঃ লাগবে না, গরমের। আমি এতো তাড়াতাড়ি বিয়ে করতে পারবো না। 

আম্মুঃ তাহলে আমি মারা যাওয়ার পর করিস! 

আমিঃ ধুর এগুলো বলো কেন? ভাল্লাগেনা,,,

আম্মুঃ আচ্ছা তন্নির মায়ের নাম্বার টা দেতো। 

আমিঃ কেন? 

আম্মুঃ আরে আমার ছেলেকে সে নিজের ছেলের মতো দেখেছে, আদর করেছে। তার সাথে একটু কথা না বললেই নয়। 

আমিঃ ওকে, উল্টাপাল্টা কিছু বলবে না আবার।

আম্মুঃ আরে নাহ! তুই নাম্বারটা দে। 

আমিঃ........(নাম্বার দিলাম) 

তারপরেই...... 

চলবে...


Writer:- এম এইচ জুয়েল 


NEXT ARTICLE Next Post
PREVIOUS ARTICLE Previous Post
NEXT ARTICLE Next Post
PREVIOUS ARTICLE Previous Post
 

Delivered by FeedBurner