আকাশ,ফোনটা বিছানার পাশে রেখে ঘুমিয়ে পড়ে,সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে দেখে কেউ একজন তাকে জড়িয়ে ধরে আছে,
আকাশ তো পুরা তাজ্জব বনে গেছে,পাশে ফিরে দেখে মানহা -
এই মেয়ে তুমি এখানে কি...?
আর আমাকে জড়িয়ে ধরার অনুমতি তোমায় কে দিয়েছে,
মানহা,এখানে কি মানে আমার ইচ্ছে হয়েছে এসেছি,আর তোমায় জড়িয়ে ধরতে হলে কি কারোর অনুমতি লাগবে নাকি..?
আমার কলিজাকে আমি জড়িয়ে ধরেছি...
আকাশ,এই মানহা একদম নেকামো করবে না,মেজাজ কিন্তু খারাপ হচ্ছে,তোমার সাহস তো কম না..? তুমি আমায় এসে জড়িয়ে ধরো...?
মানহা,একটু জড়িয়ে ধরেছি আরকি,এতে এত রাগ করছো কেন..?
আকাশ,রাগ করবো না মানি..? সব কি ভুলে গেছিস...?
ঐদিন কুকুরের মত রুম থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিস,আবার একটার পর একটা ছেলেকে ইনবক্সে নাকানিচুবানি খাওয়াচ্ছিস,তারপরেও কি করে ভাবলি তোর উপরে রাগ না হয়ে সন্তুষ্ট হবো.....?
মানহা,আকাশ আমার ভুল হয়ে গেছে আমায় ক্ষমা করে দাও...?
আকাশ,নাহ তোর কোন ক্ষমা নাই,তোর মত মেয়েকে ক্ষমা করে দিলে ক্ষমার ও অপমান করা হবে...!
মানহা,নাহ তোর ক্ষমা করতে হবে,তুই ক্ষমা করবি তোর ঘাড়েও ক্ষমা করবে বলে আকাশকে বিছানার সাথে শক্ত করে চেপে ধরে,
আকাশ,নড়াচড়া ও করতে পারছে না,মানহা এখন কিন্তু অতিরিক্ত করে ফেলছ তুমি....?
মানহা,আমি এত কিছু বুঝি না তোকে আমি নিজের করেই ছাড়বো,তোর ক্ষমতা থাকলে তুই আটকা বলে আকাশের গালে গলায় ইচ্ছে মত ঠোঁটের উষ্ণ ছোঁয়া দিতে থাকে,আকাশকে এমন ভাবে বিছানার সাথে চেপে ধরেছে যে সে নড়ার মত শক্তিও পাচ্ছে না,
মানহা,আস্তে আস্তে আকাশের ঠোঁট জোড়া নিজের দখলে করে নেয়,
মানহা তো আকাশকে ছাড়ার কোন নাম গন্ধ নাই,এমন সময় দরজার অপরপাশ থেকে আকাশের আম্মু ডাক দেয়,কিরে আকাশ তোরা
রুমের মধ্যে কি করছিস...?
কত সময় হয়েছে খেয়াল আছে,নাস্তা করতে হবে তো নাকি....?
মানহা,সাথে সাথে আকাশকে ছেড়ে দিয়ে উঠে পড়ে..
আকাশের দম যাচ্ছে আর আসছে,কথা বলার মত শক্তিটাও পাচ্ছে না হাঁপানির জন্য,তাও নিজেকে সামলে নিয়ে আম্মু ফ্রেশ হয়ে আসছি তুমি নাস্তা লাগাও...?
আকাশের আম্মু,আচ্ছা তাড়াতাড়ি আয় বলে চলে যায়,
আকাশ,মানহার দিকে রাগী লুক নিয়ে তাকিয়ে আছে,
এই মেয়ে এটা কি করলে তুমি....?
মানহা,কেন তোমার ভালো লাগে নাই -
আকাশ,এমনিতে তো ক্ষেপে আছে তার উপরে মানহার এমন কথা শুনে আরো ক্ষেপে যায়,দ্বারা আজকে তোর কিস করার স্বাদ মিটিয়ে দিব বলে মানহাকে ধাক্কা দিয়ে খাটে ফেলে দেয়,মানহা থ হয়ে আছে আকাশের কান্ড দেখে -
আকাশ,মানহার শরীরের উপরে উঠে যায়,আর মানহার উষ্ণ ঠোঁট জোড়াতে ইচ্ছে মত কিস করতে থাকে...!
প্রায় দশমিনিট পর মানহাকে ছাড়ে,আকাশের হাঁপানি যেন ক্রমশ আরে বেড়ে গেছে,এখন কেমন লাগে বেয়াদ্দব ছেমড়ি...?
একদম ইচ্ছে মত কিস করে দিলাম,আমাকে জোর করে কিস করা হা...?
মানহা,কেমন লাগবে আবার আমার তো ভালোই লেগেছে,
কেন তোমার ভালো লাগে নি...?
আকাশ,কিহহহ...?
এই মেয়ে তোমার কি মাথা গেছে নাকি...?
তোমাকে জোর করে কিস করলাম তুমি কোথায় রেগে যাবা তা না উল্টো আরো বলছো ভালো লেগেছে
মানহা,হা আমার অনেক ভালো লেগেছে
এই তোমার কি আরো ইচ্ছে করছে কিস করতে...?
আকাশ,আল্লাহ কার পাল্লায় পড়লাম আমি -
মেয়েকে জোর করে কিস করলাম কোথায় সে রেগে যাবে তা না উল্টো আরো বলছে ভালো লেগেছে,ধুর বলে মনাহাকে ছেড়ে দিয়ে সে ওয়াশরুমে চলে যায়...
এদিকে মানহা তো হাসতে হাসতে শেষ
ইশ কি নরম ঠোঁট গুলো বেয়াদ্দপটা একটু কিস করেই ছেড়ে দিয়েছে,আরো কিছু সময় কিস করলে কি হতো...
আকাশ,ওয়াশরুম থেকে ফ্রেয় হয়ে এসে দেখে মানহা রুমে নাই,যাক ভালোই হয়েছে আপদটা বিদায় হয়েছে,আকাশ শার্ট গায়ে দিয়ে নাস্তা করতে নিচে যায়,গিয়ে দেখে মানহা আম্মুর সাথে হেসে হেসে কথা বলছে,বাহ এই অল্প সময়ে আম্মুর সাথে ভালোই খাতির জমিয়ে ফেলেছে,আম্মু এই মেয়ে ঘরে কি করে....?
আম্মু,সে কি রে..?
কি বলছিস উল্টো পাল্টা...?
ওর আম্মু আব্বু সাথে আমাদের এত ভালো সম্পর্ক ওরা তো আসতেই পারে..
আম্মু,ওহ ভালোই,হা আসতেই পারে...
দেখি এবার নাস্তা দাও...?
আম্মু,নাস্তা তো রেডি করাই আছে নিয়ে খা না...?
আকাশ,নাস্তা বেড়ে নিয়ে নিজে নিজে খাচ্ছে,
আকাশের আম্মু,মানহা তুই ও একটু কিছু খা...?
মানহা,নাহ আন্টি আমি খেয়ে এসেছি...
আকাশের আম্মু,আরে অল্প করে খেলে কি এমন জাত যাবে...?
মানহা,আসলে আন্টি আমি নিজের হাতে খেতে পারি না তাই খেতে চাচ্ছিলাম না...
আকাশের আম্মু,আল্লাহ এটা কোন কথা বললি,আচ্ছা দাঁড়া আমি খাইয়ে দিচ্ছি,খাবার নিয়ে মানহাকে খাইয়ে দেয়..!
এদিকে আকাশের গা তো একদম জ্বলে যাচ্ছে,আমি খাবার বেড়ে দিতে বললাম তা দিলো না,বললো নিজে নিয়ে খা,কিন্তু এই মেয়েকে নিজের হাতে খাইয়ে দিচ্ছে,সালার খাবোই না বলে খাবার না খেয়ে উঠে চলে গেলো...
আকাশের আম্মু,এই কিরে না খেয়ে উঠে গেলি যে...?
আকাশ,আমাকে নিয়ে এত চিন্তা করতে হবে না তোমার,ঐ মেয়েকে খাইয়ে দাও,দরকার পড়লে যত খাবার আছে সব ওকে খাওয়াও,সালার কোন দাম এই নাই এই বাড়িতে আমার,
রেগে মেগে ঘর থেকে বেড়িয়ে গেলো...!
আকাশের আম্মু,আল্লাহ এই ছেলেকে নিয়ে যে কি ভাবে কি করবো,ধুর আর পারি না বাপ বেটা একদম তেতো বানিয়ে ফেলেছে আমাকে,
মানহা,আন্টি আকাশকে একটা বিয়ে করিয়ে দেন না, তাহলেই তো সব ঠিক হয়ে যায়...!
আকাশের আম্মু,হা ঠিক বলেছিস কিন্তু মেয়ে খুজে পাবো কোথায়...?
মানহা,কেন মেয়ে কেন খুজতে হচ্ছে..?
মেয়ে তো আপনাদের চোখের সামনেই আছে..
আকাশের আম্মু,কি বলিস কোন মেয়ে আবার চোখের
সামনে আছে..?
মানহা,কেন আমাকে কি চোখে পড়ে না -
আকাশের আম্মু,তুই করবি আকাশকে বিয়ে..?
ওর মত ছেলেকে সোজা করা তোর ক্ষমতার বাহিরে...!
মানহা,নাহ আন্টি আমি পারবো,
আকাশের আম্মু,আচ্ছা তাহলে তোর বাসায় কথা বলবো..!
মানহা তো মহাখুশি,সে খেয়ে দেয়ে বাসায় চলে যায়,বাসায় গিয়েই আরেকটা নতুন আইডি অপেন করে,আর সেটার নিক নেমে সেট করে বিল্লা ভাউ এর বউ..
সাইবার গ্যাং আরো অন্যান্য টিমের অনেক ক্রুদের রিকুয়েষ্ট আসতে থাকে,মানহা রিকুয়েষ্ট এক্সেপ্ট করে কূল করতে পারছে না,অনেকে আবার মেসেজ করে রিকোয়েস্ট করছে মানহাকে ভাবি বিল্লা ভাউকে আমাদের টিমে কাজ করতে বলেন প্লিজ..
উনার মত একটা মানুষ আমাদের টিমে খুব প্রয়োজন,
মানহার তো খুব খুশী লাগতেছে,সবাই ওকে ভাবি বলতেছে -
এদিকে আকাশ তো বহু আগে রেগে মেগে ঘর থেকে বের হয়ে এসেছে,কিন্তু কোথায় যাবে ভেবে পাচ্ছে না,হটাৎ মাথায় আসলো রাফিকে ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করি সে কোথায়,পরে না হয় দুজনে মিলে নদির পাড়ে যাবো,
রাফিকে ফোন দিতেই সে রিসিভ করে,কিরে আকাশ হটাৎ অসময় আমাকে স্বরণ করলি...?
আকাশ,আরে ভালো লাগছে না চল নদির পড়ে যাবো,
রাফি,আচ্ছা তুই যা আমি ১০ মিনিটের মধ্যে পৌঁছাচ্ছি..
আকাশ,গিয়ে নদির পাড়ে বসে আছে,কিছু সময় পর রাফি আসে কিরে এমন তাড়াহুড়ো করে ডেকে আনলি কিছু হয়েছে নাকি...?
আকাশ,নারে মন ভালো না,তাই এমনি ডেকে আনলাম
আকাশ আর রাফি দুজনে বসে বসে কথা বলছে,এমন সময় পিছন থেকে কেউ একজন এসে আকাশের চুলের মুঠি ধরে টান দেয়...
আকাশ,ব্যথায় চিৎকার করে উঠে...!
চলবে...
Writer:- আকাশ মাহমুদ