> ছদ্মবেশি কোটিপতি পর্ব ৭, ৮, ৯ | Bangla Best Story | Bangla Thriller Story | Bangla New Story
-->

ছদ্মবেশি কোটিপতি পর্ব ৭, ৮, ৯ | Bangla Best Story | Bangla Thriller Story | Bangla New Story

আচ্ছা ছেলে নাম টা কি রে তখন জান্নাতুল নাম টা শুনে আমার মন টা কেমন কেমন যে করতে শুরু করে দিলে জান্নাতুল যে নাম টা বলে সেই নাম টা হল আকাশ  আমার বন্ধু কথা মনে পড়ে গেলে আমার মন টা খারাপ হয় গেলে তখন জান্নাতুল বলে৷  

(জান্নাতুল)  কি রে কি হয়েছে তর আবার৷ 

(আমি)  কিছু না আচ্ছা চল  আর বাসা চলে যাই৷  

(জান্নাতুল)  কেন তর কি ভালো লাগে না কি হয়েছে বলতে আমায়৷ 

(আমি)  আরে কিন্তু হয় নাই আচ্ছা সামনে তে ১৪ ফেব্রুয়ারী আসছে তখন তাকে তুই প্রপোজ করে দিবি কেমন  ৷ 

(জান্নাতুল)  আমি একটা মেয়ে হয় তাকে প্রপোজ করমু সে করতে পারে না৷  

(আমি)  সব সময় কি ছেলেরা প্রপোজ করবে নাকি হুম এখন থেকে মেয়েরা ওওওও করবে৷  

(জান্নাতুল)  আমি করমু না তাকে প্রপোজ৷ 

(আমি)  ওকে না করলে নাই বাট নিজের জিনিস টা যখন অন্য সাথে দেখবি তখন দেবদাসী হয় কান্না করিস কেমন৷ 

(জান্নাতুল)  না না না আমি কান্না করতে পারমু না আর ওকে অন্য কারো সাথে দেখতে ওওওও পারমু না আচ্ছা তুই কি তাকে দেখবি আকাশ কে৷ 

(আমি)  না রে একি বারে বিয়ের সময় দেখমু আমাদের দুলা ভাই কে৷ 

(জান্নাতুল)৷ 

(আমি)  ওমা গো মেয়ে তে লজ্জা ওওওও পাইছে বাহ বাহ ভালো তে৷ 

(জান্নাতুল)  কুতা তুই জানিস না মেয়েরা বিয়ে কথা বলে লজ্জা পায়৷  

(আমি)  ওমা তাই নাকি ( এ-ই কথা টা কি সত্যি নাকি মেয়ে বিয়ে কথা শুনলে লজ্জা পায়) ৷ 

(জান্নাতুল)  হুম  আচ্ছা চল আজকে তুই আমাদের বাসায়৷ 

(আমি)  না রে আমি বাসায় যেতে হবে এখন৷  

(জান্নাতুল)  আচ্ছা চল আমি তদের বাড়িতে যামু আন্টি আংকেল আর তর ছোট বোনের সাথে পরিচয় হয় আসমু৷ 

(আমি)  দেখ তুই হলি বড়লোকের এক মাএ মেয়ে আমার মতো সামান্য একটা ছেলের বাসা যাবি তা মানায় না রে৷ 

(জান্নাতুল)  কুতা বন্ধুতে মধ্যে কখন  বড়লোক আর ছোটলোক হয় না রে চলে এখন আমি তদের বাসায় যামু৷ 

(আমি)  তুই পাগল নাকি তকে আমার সাথে বাসায় নিলে আব্বু আম্মু আমাকে কত গুলো প্রশ্ন করবে আমি বাবা এত গুলো উওর দিতে পারমু না তকে অন্য এক সময় নিয়ে যামু কেমন ( আমি ইচ্ছা করে নিচে চাই নাই আমি চাই না কেউ আমার পরিচয় টা জানেক) ৷ 

(জান্নাতুল)  ওকে বাট আমাকে নিয়ে যাবি কিন্তু ৷ 

(আমি)  ওকে আচ্ছা যা নিয়ে যামু একদিন এখন আমাকে যেতে হবে সন্ধ্যা হয় আসছে ৷ 

(জান্নাতুল)  হুম ঠিক বলছেত চল তকে দিয়ে আসি আমি৷ 

(আমি)  না আমি যেতে পারমু তুই ও-ই যে  রিকশা টা থেমে আছে ও-ই টা দিয়ে  চলে যা আমি একটা বাসে করে চলে যাচ্ছে কেমন৷ 

(জান্নাতুল)  আচ্ছা তুই আমার সাথে রিকশা গেলে কি এমন হবে হুম৷  

(আমি)  কিছু হবে না বাট আমি কোনো মেয়ের সাথে রিকশা উঠতে পারমু না রে কেউ দেখলে আমার সমস্যা হবে এ-ই রিকশা মামা যাবে.....  এ-ই ঠিকানা জায়গা৷ 

(রিকশাওয়ালা মামা) হুম মামা যামু তবে ভাড়া ১০ টাকা বেশি দিতে হবে ভাড়া ৬০ টাকা আমাকে ৭০ টাকা দিতে হবে৷ 

(জান্নাতুল)  ওকে মামা সমস্যা নাই চলেন৷ 

আমি বললাম ওকে আল্লাহ হাফেজ বাসা গিয়ে আমাকে কল দিস কেমন বলে চলে আসলাম রাস্তা দেখলাম একটা ঝালমুড়ি দোকান দেখে আমি চলে গেলাম ঝালমুড়ি খেতে আমি বলাম মামা ঝাল কম দিয়ে ঘুনি বেশি দিয়ে ভালো করে একটা বানিয়ে দেন৷ ১ মিনিট পরে আমাকে বানিয়ে দিলে আমি টাকা টাকা ল দিয়ে খেতে খেতে রাস্তা দিয়ে চলে আসলাম দেখলাম একটা বাস থামিয়ে রাখছে আমি দৌড় গিয়ে বাস টা কে ধরলাম সাথে সাথে উঠে গেলাম   বাস চলে আসলে আমাদের বাসার কাছে আমি নেমে গেলাম আর বাসা চলে আসলাম কলিংবেল দিতে মারিয়া বলে৷ 

(মারিয়া) ভাইয়া তকে কত গুলো কল দিলাম তুই দরিস  নি কেন৷ 

(আমি)  আমি ফোন টা পগেট থেকে বের করে দেখি মারিয়া ৭ টা কল আমি বললাম দেখ ফোন টা সাইলেন ছিল কেন কল দিছিস৷ 

(মারিয়া) ভাইয়া ফুসকা খামু ঝালমুড়ি খামু চল না ভাইয়া৷ 

(আমি)  কি এখন সন্ধ্যা হয়েছে আব্বু বাসা আমাকে বকা শুনাবি নাকি হুম৷ 

(মারিয়া) আব্বু জানবে না আমরা লুকিয়ে লুকিয়ে যামু৷ 

(আমি)  আরে মাথা মোটা তর কি মনে হয় আব্বু বোকা হুম যখন তকে বাড়িতে কোনো জায়গা বা রুমে না দেখবে তখন কি হবে বুঝতে পারছিস বোকা মেয়ে যা রুমে যা ৷ 

(মারিয়া) যা খামু আর ফুসকা ঝালমুড়ি বলে চলে গেলে৷  

(আমি)  আমি বাসা থেকে আবার বের হলাম আর রাস্তা পাশে দেখলাম ফুসকা আর ঝালমুড়ি বিক্রি করছে ও-ই খান থেকে প্রসেস করে নিয়ে আসলাম বাসায় কলিংবেল দিতে আম্মু দরজা খুলে দিলে৷ 

(আম্মু)  কই ছিলি এত খন আর হাতে কি এ-ই টা হুম৷ 

(আমি)  তোমার মেয়ে কই৷ 

( আম্মু)  রুম পড়ছে আর গাল ফুলে আছে কি জানি৷ 

(আমি)  আচ্ছা থাক আমি আসছি মারিয়া গাল ফুলে আছে তার কারন আমার হাতে পেগেট গুলো দেখবা কিছু খন পরে সব ঠিক হয় যাবে৷  

(আম্মু)  কি যে করিস দুই ভাই বোন আল্লাহ ভালো জানে৷ 

আমি আর কিছু না বলে   উপরে চলে গেলাম গিয়ে দেখি মারিয়া চুপ করে বসে আছে বই খুলে আমি পিছন থেকে বেউ দিতে মারিয়া ও ভাইয়া বলে উঠলে৷ আমি সাথে সাথে মারিয়া কে বুকে জড়িয়ে নিলাম আর বলা ভয় পাস না আমি আছি তে তর সাথে  তখন মারিয়া বলে কুতা আমাকে ভয় দেখাস কেন যাও আমার রুম থেকে৷ 

(আমি)  ওকে চলে যাচ্ছি বাট ফুসকা আর ঝালমুড়ি গুলো ময়লা ঝুড়ি তে ফেলাই দিয়ে আসি ৷ 

(মারিয়া) কি এ-ই দাড়া দাড়া কই যাও বসে আগে৷ 

(আমি)  না চলে যাই তুই তে বলি৷ 

(মারিয়া)  ওওওও বলছিলাম না তকে চলে যেতে  আচ্ছা এক কাজ করে তুমি এ-ই গুলো  রেখে চলে যা বলে হাত থেকে পেগেট রেখে বের করে দিল৷ 

আমি  চলে আসলাম রুমে এসে ফোন টা বের করে দেখি জান্নাতুল কল দিছে আমি রিসিভ করি আর বলি পরে কথা বলমু এখন ফ্রেশ হচ্ছে বলে কেটে দিলাম তার পরে ফ্রেশ হলাম৷ আম্মু এসে ডেকে গেলে নিচে আসতে আমি নিচে গিয়ে দেখি আম্মু নাস্তা নিয়ে বসে আছে আমি গিয়ে একটা চেয়ারে বসলাম আরও নাস্তা করে রুম চলে আসলাম আর বললাম রাতে  আমি খামু না বলে রুমে চলে আসলাম মাথা ব্যাথা করছে তাই সুয়ে পড়লাম আর আস্তে আস্তে ঘুমিয়ে গেলাম সকালে কারো ডাকে আমার ঘুম ভেগে যায় চোখ তুলে দেখি মারিয়া৷ 

(মারিয়া)  ভাইয়া উঠ না৷ 

(আমি)  কি হুম কি হয়েছে বল৷ 

(মারিয়া) শপিং করমু তুই যেতে হবে আব্বু আমাকে একা ছাড়বে না তে৷ 

(আমি)  তে আমি কি করমু আমি যেতে পারমু না তুই যা এখান থেকে৷  

(মারিয়া)  ওকে বলে চলে গেলে কিছু খান পরে আমার মুখে এক জগ পানি ঢেলে দিলে আমি চিল্লান দিয়ে উঠে গেলাম৷ 

(আমি)  রাগে মাথা মারিয়া কে মারতে গেলাম যখন থাপ্পড় দেমু তখনি মারিয়া ভয় পেয়ে কেঁদে দেয় ৷ 

(আমি)  আরে আরে তকে কি কিছু করছি আমি দেখ তুই কাঁদবি না বলে দিলাম আচ্ছা যা তুই রেডি হয় তকে নিয়ে শপিং করতে যামু যা৷ 

(মারিয়া) সত্যি বলছে তবে  

(আমি)  হুম যা রেডি হয়৷ 

মারিয়া খুশি হয় চলে গেলে রেডি হতে আমি বাথরুমে চলে গেলাম গোসল করে রেডি হয় নিচে গিয়ে দেখি মারিয়া রেডি  শপিং বলে কথা তাই আমার আগে এসে হাজির হালকা নাস্তা করে নিলাম আর মারিয়া কে বললাম টাকা নিচেত৷  মারিয়া বলে হুম কাড নিচ্ছে এখন চলে আম্মু থেকে বিদায় নিলাম একটা সিএনজি নিয়ে মার্কেটে চলে আসলাম মারিয়া সাথে শপিং কমপ্লেক্স ডুকলাম  ১ ঘন্টা ধরে ঘুরছে বাট কোনো কিছু কিনে নাই মারিয়া নাকি কোনো কিছু ভালো লাগে না৷ আমি বললাম দেখ মারিয়া আমার আর হাতে ভালো লাগে না তুই যদি এ-ই ভাবে ঘুরতে থাকিস আমি তরে রেখে চলে যামু কিন্তু রাগ হচ্ছে মারিয়া৷ 

(মারিয়া)  কি করমু পছন্দ হচ্ছে না তে৷  

(আমি)  তাহলে আম্মু সাথে শপিং করতে আসবি এখন চল বাসায়৷ 

(মারিয়া) এ-ই না না না সত্যি এবার কিনমু বলে একটা দোকানে গেলাম দেখতে দেখতে মারিয়া একটা ডেস পছন্দ হয়েছে ও-ই ডেস টা মারিয়া কিনে ফেলে৷ 

আমি বললাম যাক বাবা তাহলে তুই শেষ পর্যন্ত কিনলি এখন চল মারিয়া বলে না এখন তুই ওওওও কিছু কিনবি তারপরে যামু চল পেন্টের দোকানে আমি বলাম না আমার আচে এখন চলে বলে মারিয়া কে জোড়া করে  নিয়ে আসলাম বাহিরে ৷ মারিয়া তে সেই ভাবে রেগে আছে আমি চুপ চাপ দাড়িয়ে আছি মারিয়া রাগ আমি কেন কিছু  কিনলাম না তাই আমি একটা সিএনজি ডাকতে গেলাম ঠিক তখনি কি হলে মনে নাই মারিয়া একটা চিল্লান দিলে আর আমি নিয়ে শুয়ে পরলাম............




আমি একটা সিএনজি ডাকতে গেলাম ঠিক তখনি কি হলে মনে নাই মারিয়া একটা চিল্লান দিলে আর আমি নিচে শুয়ে পরলাম দেখলাম একটা গাড়ি ওপাশ এসে আমাকে দেখা মারে যার কারেন আমার হাতে সমস্যা হয় আমি নিচে পরে গেলে আমার হাতে ব্যাথা পাই৷  গাড়ির নাম্বার টা মনে রেখে দিছি মারিয়া দৌড়ে আমার কাছে আসে সাথে সাথে মানুষের বির জমে যায় আর আমাকে একটা গাড়ি করে হাসপাতালে নিয়ে যায় মারিয়া আব্বু কে কল দিয়ে  বলে ভাইয়া গাড়ি সাথে ধাক্কা খেয়ে এখন হাসপাতালে আছে    সাথে সাথে আব্বু আম্মু কে  নিয়ে চলে আসে হাসপাতালে৷ 

(আম্মু)  রুমে আসার আগে থেকে আম্মু কান্না শুরু করে দিলে আম্মু রুমে ডুকে আমাকে জড়িয়ে ধরে কান্না শুরু করে দিলে আর বলে বাবা তুই ঠিল আছিস কি না৷  

(আমি) হুম ঠিক আছি আব্বু ডিআইজি কে কল দিয়ে বলে আমার ছেলেকে কারা জেনে মারা চেষ্টা করছে তোমরা কি করে বলে চিল্লা চিল্লি শুরু করে দিলে৷ 

(আম্মু)  আম্মু গিয়ে মারিয়া কে একটা থাপ্পড় মারে৷ 

(মারিয়া)  গালে হাত দিয়ে বসে আছে চুপ চাপ 

(আমি)  আম্মু তুমি কেন মারিয়া কে মারছে মারিয়া আবার কি করছে৷ 

(আম্মু)  মারিয়া জন্য তে আজ তুই এখানে মারিয়া যদি তকে নিয়ে না আসতে তাহলে আজকে তুই হাসপাতালে থাক টি না৷ 

(আমি)  ওমা এখানে মারিয়া কি দোষ হুম এ-ই টা আমার নিয়তি ছিল মারিয়া আমার কাছে আয়৷ 

(মারিয়া) ........! 

(আমি)  কি হলে গাল ফুকিয়ে দাড়িয়ে আছিস কেন এখানে আয়৷ 

মারিয়া আসে আমার কাছে আমি বললাম দেখ মন খারাপ করে থাকিস না বোন আম্মু তর দোষ দিচ্ছে আমি তবে জানি তর দোষ নাই৷  তখন মারিয়া বলে আম্মু করে নিজের ছেলে রাস্তা দেখে চলতে পারে মাঝে আবার আরেক জন কে দোষ দিচ্ছে তখন আব্বু এসে চিল্লা চিল্লি শুরু করে দিলে যে এই বলে আমার এত গাড়ি টাকা পয়সা কার জন্য কামাই করি যেই গাড়ি আমার কোনো কাজে আসে না ৩-৪ বছর আগে একটা ছেলের জন্য  বাপ সম্পর্ক নষ্ট হয় যায়৷ আমার কি বাপ ডাক শুনতে ইচ্ছা করে না আজ যদি তুই গাড়ির নিচে পড়ে মরে যেতে তাহলে আমাদের কি হতে সেই টা একবার ভেবে দেখিস না যখন নিজে একদিন বাপ হবি তখন বুঝবি আমার কি পরিমান কষ্ট হয়েছে এ-র মধ্যে পুলিশ আসলে৷

(পুলিশ) আচ্ছা আদি তুমি কি কেউ কে সন্দেহ করে৷ 

(আমি)  না পুলিশ আংকেল৷ 

(পুলিশ)  কিছু একটা বলে যে টা দিয়ে আমরা তাকে ধরতে পারি৷ 

(আমি)  হুম একটা জিনিস আমার মনে আছে ও-ই টা দিয়ে ধরতে পারেন৷ 

(পুলিশ)  কি সেই টা বলে৷ 

(আমি)  গাড়ি টা ছিল নতুন আর গাড়ির কালার ছিল মেরুন কালার গাড়ি নাম্বার টা আমার মনে আছে (.....) (সরি নাম্বার টা বললাম  না  কারন কার না কার গাড়ি নাম্বারের সাথে মিলে যা তখন আবার আমার নামে মামলা করবে)৷ 

(পুলিশ)  ওকে আমরা চেষ্টা করমু তারা তারি করে জেনে  খুজে পাই বলে চলে গেলে৷  

(আব্বু)  আদি মা বলে দিলাম আজ থেকে যেনে সে নিজের গাড়ি বাদে জেনে বের না হয়  তোমার ছেলে মাথা এ-ই টা ঢুকিয়ে দেও৷ 

(আম্মু)  আদি কি বলছে তুই শুনছেত৷ 

(আমি)  চুপ হয় আছি.......…|

(মারিয়া)  কি শুরু করছে তোমরা হুম ভাই অসুস্থ আর তোমরা চিল্লা চিল্লি শুরু করছে  হুম৷ 

কিছু খন পরে ডাক্তার আসলে এসে বলে আপনের রোগী বাসায় নিয়ে যেতে পারেন আম্মু সাথে সাথে আমাকে তুলে নিলে একদিগে আম্মু আরেক দিগে আব্বু আর মারিয়া মাঝ খানে৷ আব্বু আমাকে শক্ত করে ধরে রাখছে আর আম্মু অন্য দিগ দিয়ে ধরে রাখছে আসলে আজ বুঝলাম আব্বু আম্মু যে কি পরিবার ছাড়া বেচে থাকা মানে হয়ে না আব্বু উপর যে রাগ ছিল সেই রাগ টা আমার কমে গেছে আমাকে গাড়িতে উঠানো হলে এক পাশে আম্মু আরেক পাশে মারিয়া আর আব্বু সামনে সিটে৷ 

(আম্মু)  ঠিকমত  রাস্তা পাড় হতে পারিস না তুই৷ 

(আমি)  পারি তে বাট কখন যে কি হয় গেলে আমি বুঝে উঠে পারি নাই৷ 

(আব্বু)  বুঝবে কি করে বুঝতে হলে চোখ কান খুলা রাখতে হয় ৷ 

(মারিয়া) আবার ওওও ভাইয়া করে বকা দিছে তোমরা৷ 

আম্মু বলে চুপ থাক বেশি কথা বলিস কেন তুই কিছু খন পরে আমি বাসায় চলে আসলাম  আমাকে আমার রুমে দিয়ে আসলে আমি সুয়েক পরলাম হটাৎ করে মনে পড়লে আমার ফোনর কথা  ৷ আমি সাথে সাথে মারিয়া কে ডাকলাম আর বললাম আমার ফোন মারিয়া বলে আমি জানি না কই তোমার ফোন ৷ 

(আমি)  কি তুই ফোন টা রাখবি না৷ 

( মারিয়া)  এত কিছু খেয়াল ছিল না৷ 

 (আমি) যা তুই আমার সামনে থেকে যা এখন৷ 

(মারিয়া) রাগের কি আছে নতুন একটা ফোন কিনে নিয়ে তাহলে তে হয়৷ 

(আমি) চুপ করে আছি মারিয়া কিছু খন পরে ফোন টা আমার হাতে দেয়  ফোন টা পেয়ে আমার মুখে একটা হাসি ফুটে৷ 

(মারিয়া)  কি আছে এ-ই ফোনে যা তোমার হাসি ফুটলে৷ 

(আমি)  তুই বুঝবি না বলে মারিয়া কে রুম থেকে বের করলাম তখনি জান্নাতুলের কল৷  

(জান্নাতুল)  কি রে কি খাবার তর৷ 

(আমি) আলহামদুলিল্লাহ ভালো তর  কি খবর৷  

(জান্নাতুল)  আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি দেখা করতে পারবি আজ৷ ৷ 

(আমি)  না রে এখন আর দেখা করার সম্ভব না  আচ্ছা পরে কথা বলি আম্মু এসেছে বলে কল টা কেটে দিলাম৷ 

(আম্মু)  কি করিস৷ 

(আমি)  সুয়ে আছি৷ 

দেখলাম আব্বু আম্মু পিছে খাবার নিয়ে দাড়িয়ে আছে আমি আমাকে সুয়ে থেকে তুলে দিলে আব্বু নিজের হাতে আমাকে খাবার খাওয়া দিলে আসলে আব্বু আম্মু যে কি তা এখন বুঝতে পারছি ৷ খাওয়া দাওয়া শেষ করে আমাকে সুয়ে  দিলে এ-ই ভাবে কেটে গেলে অনেক দিন বাট জান্নাতুল সাথে আর দেখা করি নাই শুধু ফোনে কথা বলছি দেখতে দেখতে ভাসিটি ওওওও খুলে গেলে আমি ওওওও সুস্থ হয়ে উঠি অনেক দিন পরে ভাসিটিতে যামু আম্মু অনেক বার বলছে যে গাড়ি নিয়ে যাবার জন্য বাট আমি যাই নাই সেই বাস এ যাই৷  আমি বাসে করে ভাসিটিতে গেলাম দেখলাম আদিবা তার বন্ধুদের কে নিয়ে দাড়িয়ে আছে আমাকে  দেখে মজা নিচে আমি তাদের সামনে দিয়ে যাচ্ছি দেখলাম জান্নাতুল ও-ই কোনো দাড়িয়ে আছে যে ওদের সামনে দিয়ে যামু ঠিক তখনি আদিবা আমাকে …........... সবাই শুধু আমার গল্পের খবর নেয় কেউ আমার খবর নেয় না সবাই গল্পের জন্য আমাকে মনে রাখে  আরে ভালো লাগে না........




আমাকে  দেখে মজা নিচে আমি তাদের সামনে দিয়ে যাচ্ছি দেখলাম জান্নাতুল ও-ই কোনায় দাড়িয়ে আছে যে ওদের সামনে দিয়ে যামু ঠিক তখনি আদিবা আমাকে আমাকে লেঙ্গ মেরে ফেলাই দিলে একটি গাড়ির উপর আমার কপাল টা ফুলে গেছে  আদিবা আর তার বন্ধুরা মজা নিয়ে বলে আমি নাকি হাতে পারি না তাই নাকি আমি পড়ে গেছি তখন জান্নাতুল৷ 

(জান্নাতুল)  ও-ই তোমরা তে তাকে লেঙ্গ মেরে ফেলাইছে আমি তে দেখলাম জান্নাতুল আমার কপাল টা দেখে সাথে সাথে আমার কাছে এসে বলে আদি চল তর কপাল টা বরফ দিতে হবে৷ 

(আমি)  হুম চল বলে গাড়ি কালারের  এর দিগে নজর গেছে  সাথে গাড়ির নাম্বারে দিগে ওওওও গেলে সাথে সাথে রাগ টা বেরে গেলে আমি বলাম জান্নাতুল আমি  যামু না তুই একটু দূরে যায়৷  

(জান্নাতুল)  কেন আবার কি হয়েছে তর দেখেত মনে হচ্ছে রেগে আছিস এ-ই গাড়ি টা সাথে হুম তখন আদিবা৷ 

(আদিবা)  আরে গাড়ি দেখে লাভ নাই এমন গাড়িতে উঠে কখন পারবি না তুই৷  

(আমি)  জান্নাতুল ও-ই যে লাঠি টা আমাকে একটু এনে প্লেট৷ 

(জান্নাতুল)  ওকে এনে দিছি বাট কি করবি৷  

(আমি)  তুই এনে দে আমাকে বলতে বলতে জান্নাতুল আমাকে এনে দিলে লাঠি টা আমি লাঠি হাতে নিয়ে প্রথম বারি টা সামনের গ্লাসে মারলাম সাথে সাথে আদিবা লাভ দিয়ে উঠলে৷ 

(আদিবা) এ-ই এ-ই   এ-ই তুই কি পাগল হয় গেছেত নাকি ও-ই ফকিন্নি পুলা তকে বেচলে ওওওও এ-ই গাড়ির একটা চাকা ওওওও কিনতে পরবি না৷ 

কে শুনে কার কথা আমি ইচ্ছা মত গাড়ির কাচ ভেংচি জান্নাতুল ওওওও আমাকে বাধা দিছে বাট আমি কারো কথা শুনছি না কেউ আমার   কাছে ওওওও আসে না ভয়ে ৷ আদিবা তার আব্বু কে কল দিয়ে সব বলে আর আমি এ-ই দিগে দিয়ে সব কমপ্লিট করে ফেলাইছি তখন জান্নাতুল বলে আদি তুই বাসায় চলে যা আদিবা তার বাপ কে কল দিছে আমি শিয়র আদিবা বাবা পুলিশ নিয়ে আসবে প্লিজ আদি চলে যা তুই৷ 

(আমি)  আরে পুলিশ আসলে আসবে বাট আমি কোথাও যামু না আমাকে যদি ধরে নিয়ে যায় তে যাক তুই এত টেনশন করিস কেন হুম৷

(জান্নাতুল)  করমু না টেনশন তর কোনো আইডিয়া আছে গাড়ির দাম কত হবে  হুম ৫০ লাখ হবে৷ 

(আমি)  আমাকে পুলিশ ধরে নিয়ে যাবে তে যাক  দেখি কোন পুলিশ আমাকে ধরে বলে জান্নাতুন হাত ধরে আদিবার সামনে দিয়ে চলে আসলাম আর বেচারি বসে বসে কান্না করছে ৷ 

জান্নাতুল শুধু চিন্তা করে যাচ্ছে আমার গাড়ি ভাঙ্গা দেখে সবাই অবাক কিছু খন পরে ভাসিটিতে পুলিশের গাড়ি সাথে একটা ভদ্রলোক ওওওও আদিবা দৌড়ে গিয়ে ভদ্রলোক কে আমাকে দেখিয়ে দিলে৷ লোক টা আমার কাছে এসে আমার গালে ২ টা চর মেড়ে বলে তুমি জানে এ-ই গাড়িটা  আমার মেয়ের খুব পছন্দ গাড়ি ছিলে কিছু দিন আগে শোরুম থেকে কিনে দিলাম আর তুই সেই গাড়ি টা নষ্ট করে দিলি  বলে আমার কলার টা ধরে নিয়ে গেছে পুলিয় এ-র কাছে৷  

(পুলিশ) কি রে তুই মাস্তানি শুরু করছেত হুম আজ বুঝতে পারবি মাস্তানি ফল কি হয়৷ 

(জান্নাতুল)  স্যার আদি কোনো দোষ নাই আদিবা তে আদি কে লেঙ্গ মেড়ে ফেলাই আর আদি কপাল টা ফুলে যা তাই রাগে বসে সে এ-ই টা করে বসে৷ 

(পুলিশ)  ও-ই মেয়ে যাও এখান থেকে যাও বলে জান্নাতুল করে পাঠিয়ে দিলে আর আমাকে বলে তর বাড়ির নাম্বার টা দে কল দেই৷ 

(আমি)  বাড়ির নাম্বার দিয়ে কি হবে বলেন আমি যা করছি তা ঠিক কাজ টা করছি অফিসার৷ 

(পুলিশ) চুপ কর৷ 

সাথে ভদ্র লোক টা বলে কি এমন করছেন ছোট লোক টা আমার মেয়ের শখের জিনিস টা  নষ্ট করে দিছে তাকে নিয়ে চলেন৷ অফিসার বলে কি হল দে নাম্বার আমি কিছু না বলে আমার ফোন টা বের করে ডিআইজি আংকেল কে কল দিয়ে পুলিশ অফিসার এ-র কাছে দিলাম তখন পুলিশ অফিসার৷ 

(পুলিশ)  ও-ই তুই কে রে তারা তারি করে গাড়ির জরিমানা নিয়ে ভাসিটিতে চলে আয় আর না হয় তদের সবাই কে ধরে নিয়ে এমন মামলা দিয়ে দেমু আর কখন বের হতে পারবি না৷  

(ডিআইজি)  ও-ই তুমি কে হুম আমি ডিআইজি বলছি তুমি কোন থানা পুলিশ  অফিসার হুম৷ 

(পুলিশ)  পুলিশের হাত থেকে ফোন টা পরে যাচ্ছে মাঠিতে পরার আগে  ফোন টা আমি ধরে নিলাম৷ 

 আর আমি ডিআইজি সাথে কথা বলছি ডিআইজি বলে কি নাম অফিসারের আমি নাম টা দেখতে যামু তখনি দেখি হাত দিয়ে নাম টা আড়াল করে ফেলাই আর বলে চোখে ইশারায় সরি৷ আমি ডিআইজি আংকেল সাথে কথা বলে ফোন টা রাখলাম আমি যে থানা মামলা করছি ও-ই থানা ওসি কে ফোন দিয়ে বলি ভাসিটিতে আসার জন্য কিছু খন পরে চলে আসে দুই ওসি একটু দূরে গিয়ে কথা বলে  কথা শেষ করে চলে আসলে৷ 

(পুলিশ)  ভদ্রলোক কে বলে এ-ই গাড়িটা আপনের মেয়ে চালায় তাই না৷ 

(ভদ্রলোক)  জি ওসি সাহেব৷ 

(পুলিশ) কয় তারিখ কি নে দিছেন৷ 

( ভদ্রলোক)  ৭ তারিখে৷ 

সাথে সাথে পুলিশ আমাকে ছেড়ে দিয়ে আদিবা ধরে ফেলে তা দেখে তে সবাই অবাক ভদ্রলোক বলে এ-ই কি হচ্ছে হুম মামলা করলাম আমি আপনাকে আনছি আমি ও-ই মাস্তান কে ধরার জন্য বাট আপনে আমার মেয়েকে ধরছেন মানে কি আপনের মাথা ঠিক আছে তে৷ পুলিশ বলে আপনের মেয়ে নামে মামলা হয়েছে ৭ দিন আগে মাডার মামলা এ-ই ছেলেটা কে মারা চেষ্টা করছিল এ-ই ছেলের জানে বেচে যায় বাট তার হাতের সমস্যা হয় তাই ছেলে টা রাগে বসে গাড়ি টার গ্লাস ভেংঙে এখন আমরা আপনের মেয়ে কে ধরে নিয়ে যামু যতখ না মামলা তুলছে৷ 

(ভদ্রলোক)  তার মেয়ে কে জিজ্ঞেস করে যে পুলিশ যা বলছে তা কি ঠিক কি না৷ 

(আদিবা) আমতা আমতা করতে শুরু করে৷ 

তাতে ভদ্রলোক বুঝে যায় আমার কাছে এসে বলে বাবা  তুমি আমার ছেলে মত তাই ও-ই সময় তোমার গায়ে হাত তুলছি সরি বাবা আমাকে হ্মমা করে দিয়ে না বুঝে তোমাকে একটা থাপ্পড় মেরে দিলা৷ আমি বললাম আরে আংকেল হ্মমা চাইতে হবে না আপনে তে বলছেন যে আমি আপনের ছেলের মতো তখন লোকটা বলে আমার মেয়ে টা কে আমি মানুষ বানাতে পারি নাই বাবা মামলাটা তুলে ফেলাও যদি টাকা লাগে তাহলে আমি আপনাকে টাকা দেমু তখন  একটা ওসি এসে বলে ও-ই যে মিষ্টার আপনে কাকে টাকা গরম দেখাচ্ছে হুম জানেন কে ওনি কার ছেলে তখন আমি পুলিশ অফিসার কে থামিয়ে দিয়ে ভদ্রলোকে বলি আপনের মেয়ের বিরুদ্ধে মামলা আমি তুলে নেমু বাট আপনের মেয়েকে এ-ই শুধু বলতে বলেন যে...........  ঈদের পরে আর গল্প দেমু এ-র আগে আর গল্পের পাট দেমু না.......








Writer:- পিচ্চি ছেলে আদি




NEXT ARTICLE Next Post
PREVIOUS ARTICLE Previous Post
NEXT ARTICLE Next Post
PREVIOUS ARTICLE Previous Post
 

Delivered by FeedBurner