বর্তমান সময়ের সব থেকে আলোচিত বিষয় করোনা ভাইরাস বা কোভিড-১৯।
"ভাইরাসটা আসলেই অনেক আশ্চর্য রকমের! একটু ভেবে দেখলেই বুঝা যায় এটা বেশ আজব ধরনের আচরণ করছে!! আমার মনে হচ্ছে যেনো নির্দিষ্ট কোন একটা উদ্দেশ্য নিয়ে আগাচ্ছে!!
আমার মনে হওয়ার কিছু কারন আছে অবশ্যই!
আমার মনে হওয়ার কিছু কারন আছে অবশ্যই!
"প্রথমেই আসি চায়নার কথা।
এই কোভিড-১৯ শুরু হলো চায়নাতে। উহান নামের একটা শহরে। হঠাত করেই চায়না নিজেই ঘোষণা দিলো যে এই ভাইরাস উহানে ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পরেছে এবং প্রানহানি ঘটছে!! এখন কিছু সংবাদ মাধ্যম থেকে জানা যাচ্ছে যে এই ভাইরাস উহানে অনেক আগে থেকেই ছড়িয়ে পরেছিলো কিন্তু চায়না প্রায় ১ মাস পরে মিডিয়াতে বিষয়টা জানায়!! কারন কি হতে পারে?
এই কোভিড-১৯ শুরু হলো চায়নাতে। উহান নামের একটা শহরে। হঠাত করেই চায়না নিজেই ঘোষণা দিলো যে এই ভাইরাস উহানে ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পরেছে এবং প্রানহানি ঘটছে!! এখন কিছু সংবাদ মাধ্যম থেকে জানা যাচ্ছে যে এই ভাইরাস উহানে অনেক আগে থেকেই ছড়িয়ে পরেছিলো কিন্তু চায়না প্রায় ১ মাস পরে মিডিয়াতে বিষয়টা জানায়!! কারন কি হতে পারে?
"চায়না বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক দেশ। কিন্তু তাদের টার্গেট প্রথম হওয়া। সে ক্ষেত্রে আমেরিকাকে পিছনে ফেলতে হবে!! কিন্তু আমেরিকাকে পিছনে ফেলা তো আর মুখের কথা না যে চাইলেই পারা যাবে!!
কিন্ত চায়নাকে ১ম হতেই হবে এটাই তাদের উদ্দেশ্য!! আর সে জন্য সবার আগে দেশ থেকে দারিদ্র্য দুর করা বেশি জরুরী!! সেটা হুট করে কিভাবে করা যায়?? রাতারাতি দারিদ্র দুর করা সম্ভব না! কিন্তু যদি রাতারাতি দরিদ্র জনগোষ্ঠী গায়েব হয়ে যায়??
কিন্ত চায়নাকে ১ম হতেই হবে এটাই তাদের উদ্দেশ্য!! আর সে জন্য সবার আগে দেশ থেকে দারিদ্র্য দুর করা বেশি জরুরী!! সেটা হুট করে কিভাবে করা যায়?? রাতারাতি দারিদ্র দুর করা সম্ভব না! কিন্তু যদি রাতারাতি দরিদ্র জনগোষ্ঠী গায়েব হয়ে যায়??
"এই কোভিড আউটব্রেক চায়ানাতে এখন প্রায় নেই বললেই চলে! তাদের লকডাউন তুলে নেয়া হয়েছে। অনেক দ্রুত তারা সফলতা পেয়েছে! ৬দিনের মধ্যেই হাসপাতাল তৈরি করে ফেললো! সবাইকে আটকে ফেললো! মাত্র দুই/আড়াই মাসের মধ্যেই তারা বর্তমানে তাদের জনগণকে আবার স্বাভাবিক চলাফেরার ঘোষণা দিয়ে দিলো!! একটু অবাক হওয়ার মত বিষয় না?
"এরই মধ্যে ভারতীয় একটি প্রতিষ্ঠান দাবি করছে যে কোভিড-১৯ পরবর্তি সময়ে চায়নাতে প্রায় দের কোটি মোবাইল সিম বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে!! হুট করে কেনো দের কোটি সিম বন্ধ হয়ে যাবে? এর কারন কি হতে পারে?? এতগুলা মানুষ কোথায় গেলো? যদি ধরেও নেন এই মানুষগুলা সবাই ২টা করে সিম ব্যাবহার করতো তাও ৭৫ লক্ষ মানুষ!! কোথায় গেলো তারা? এর মানে কি চায়না বহির্বিশ্বের কাছে তাদের মৃত্যুর সংখ্যা গোপন করেছে?
হুট করে দারিদ্রতা দুর করার বিষয়টা মাথা থেকে একেবারে ফেলে দেয়া যাচ্ছে না!!
হুট করে দারিদ্রতা দুর করার বিষয়টা মাথা থেকে একেবারে ফেলে দেয়া যাচ্ছে না!!
"এবার আসেন, ভাইরাসটা ছড়ালো এশিয়ার দেশ চায়না থেকে অথচ মহামারী শুরু হলো ইউরোপ আর আমেরিকায়!! অবাক না বিষয়টা??
পুর্ব এশিয়া বা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সাথে চায়নার সম্পর্ক বেশ ভালো। এবং লক্ষ্য করে দেখুন এই দেশগুলোতে করোনার প্রাদুর্ভাব খুব বেশি কিন্তু না যেভাবে ইউরোপ বা আমেরিকায় হচ্ছে!! অবাক লাগছে না বিষয়টা?
পুর্ব এশিয়া বা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সাথে চায়নার সম্পর্ক বেশ ভালো। এবং লক্ষ্য করে দেখুন এই দেশগুলোতে করোনার প্রাদুর্ভাব খুব বেশি কিন্তু না যেভাবে ইউরোপ বা আমেরিকায় হচ্ছে!! অবাক লাগছে না বিষয়টা?
"চায়নার মিত্র দেশ রাশিয়া কিন্তু করোনা নিয়ে তাদের কোন সমস্যায় নেই! খোঁজ নিলেই জানতে পারবেন সেখানে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক!! জনগণকে সাধারণ নিয়ম মেনে চলতে বলা হয়েছে মাত্র!!
আর আরেক মিত্র দেশ উত্তর কোরিয়া যে ভালো আছে তা এর মধ্যেই তার নতুন ক্ষেপনাস্ত্র পরীক্ষার মাধ্যমে জানান দিয়েছে!!
অথচ দক্ষিন কোরিয়ার পরিস্থিতি বেশি ভালো না!!
আর আরেক মিত্র দেশ উত্তর কোরিয়া যে ভালো আছে তা এর মধ্যেই তার নতুন ক্ষেপনাস্ত্র পরীক্ষার মাধ্যমে জানান দিয়েছে!!
অথচ দক্ষিন কোরিয়ার পরিস্থিতি বেশি ভালো না!!
"চায়নার পার্শ্ববর্তি দেশ মঙ্গোলিয়ার করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ এমন কোন খবর পেয়েছেন আজ পর্যন্ত??
অথচ, চায়ানা থেকে বহু দুরে আমেরিকার সব চেয়ে বড় বন্ধু ইংল্যান্ড এর অবস্থা বেশ খারাপ!! কারন কি?
অথচ, চায়ানা থেকে বহু দুরে আমেরিকার সব চেয়ে বড় বন্ধু ইংল্যান্ড এর অবস্থা বেশ খারাপ!! কারন কি?
"চায়না বর্তমানে তার গার্মেন্ট সেক্টর আফ্রিকায় প্রসারিত করছে। কোটি কোটি ডলার তারা বিনিয়োগ করেছে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে। আফ্রিকার করোনা পরিস্থিতি কিন্তু বেশ স্বাভাবিক!!
অথচ, ইউরোপের ১ নাম্বার অর্থনৈতিক ভাবে শক্তিশালী দেশ জার্মানির অবস্থা চিন্তা করেন!! যারা পুরা ইউরোপীয় ইউনিয়নকে অর্থনৈতিক শক্তি যোগায় তারা এখন করোনার সাথে লড়ছে!! তারমানে তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা যে অচিরেই খারাপ হবে তা আর বলা লাগে না!!
অথচ, ইউরোপের ১ নাম্বার অর্থনৈতিক ভাবে শক্তিশালী দেশ জার্মানির অবস্থা চিন্তা করেন!! যারা পুরা ইউরোপীয় ইউনিয়নকে অর্থনৈতিক শক্তি যোগায় তারা এখন করোনার সাথে লড়ছে!! তারমানে তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা যে অচিরেই খারাপ হবে তা আর বলা লাগে না!!
"গার্মেন্টস, লেদার আইটেম, গাড়ির সব থেকে বড় বড় ব্র্যান্ড গুলোই ইতালীর! সেই ইতালি এখন মৃত্যুর সাথে লড়ে ক্লান্ত! তাদের প্রধানমন্ত্রী এখন আকাশের দিকে তাকিয়ে আছেন!! ইতিমধ্যে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে!! তাদের অর্থনীতির কি অবস্থা হবে বুঝতে পারছেন??
"বিশ্বের সব থেকে নামি দামী ব্র্যান্ড এর পার্ফিউমের দেশ ফ্রান্সের অবস্থাও করুন!
ফুটবল নিয়ে বিশ্ব মাতিয়ে রাখা দেশ স্পেন প্রায় ৬০০০ মৃত্যু নিয়ে ধুঁকছে!! মৃত্যুর হার দিনে দিনে বাড়ছে!!
অথচ, তাদের পার্শ্ববর্তি দেশ হাঙ্গেরি, রোমানিয়া, পোল্যান্ড, বেলজিয়াম, শ্লোভাকিয়া এই দেশগুলার নাম কিন্তু শুনি না!! কারন কি?
ফুটবল নিয়ে বিশ্ব মাতিয়ে রাখা দেশ স্পেন প্রায় ৬০০০ মৃত্যু নিয়ে ধুঁকছে!! মৃত্যুর হার দিনে দিনে বাড়ছে!!
অথচ, তাদের পার্শ্ববর্তি দেশ হাঙ্গেরি, রোমানিয়া, পোল্যান্ড, বেলজিয়াম, শ্লোভাকিয়া এই দেশগুলার নাম কিন্তু শুনি না!! কারন কি?
"বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে আমেরিকায়! দেশটির বেশিরভাগ স্টেট লকডাউনে আছে! কার্যত আমেরিকা এখন রুদ্ধ!! করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ২০০০ ছাড়িয়েছে!! খুব সম্ভবত আমেরিকা মৃত্যুর হারে ইতালিকেও ছাড়িয়ে যাবে!! বলা হচ্ছে আমেরিকার পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে এবং মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় ২ লক্ষ ছাড়াতে পারে!!
বুঝতে পারছেন আমেরিকার অর্থনীতির অবস্থা কি দাঁড়াবে??
বুঝতে পারছেন আমেরিকার অর্থনীতির অবস্থা কি দাঁড়াবে??
"আর করোনার কারনে সারা বিশ্বের অর্থনিতির অবস্থা নিম্নগামী হলেও চায়নার পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে!! শুনা যাচ্ছে সারা বিশ্বে শেয়ার এর ব্যাপক দর পতনের কারনে বড় বড় কোম্পানির বেশিরভাগ শেয়ার ইতিমধ্যে চায়না কিনে নিয়েছে!! যদি তাই হয় তাহলে বিশ্ব অর্থনীতির ১ নাম্বার মুরুব্বী হিসবে চায়নার প্রকাশ হতে খুব বেশি দিন লাগবে না!
"করোনা ভাইরাস হুট করে আসে নাই! এই ভাইরাস নিয়ে চীন গবেষণা করছে অনেক আগে থেকেই! এবং তারা এই ভাইরাস দরিদ্র জনগোষ্ঠী নির্মূলে ব্যাবহার করতে পারে এমন তথ্যও আগে থেকেই ছিলো!
এই ভাইরাস নিয়ে ভারত ও দক্ষিন কোরিয়া তাদের দেশে সিনেমাও তৈরি করেছিলো আরো কয়েকবছর আগে! মানে তারা এই ধরনের কিছু আগে থেকেই ধারনা করতে পেরেছিলো!! হয়তো তাই!! জানি না!!
এই ভাইরাস নিয়ে ভারত ও দক্ষিন কোরিয়া তাদের দেশে সিনেমাও তৈরি করেছিলো আরো কয়েকবছর আগে! মানে তারা এই ধরনের কিছু আগে থেকেই ধারনা করতে পেরেছিলো!! হয়তো তাই!! জানি না!!
"তবে এইটা সত্য, এই করোনা প্রাদুর্ভাবের পরে চায়নাই যে হচ্ছে বিশ্বের ১ নম্বর অর্থনৈতিক শক্তি তা এখনই বুঝা যচ্ছে!!
কারন, যেখানে সারা বিশ্ব এখন লকডাউনে চলে গেছে সেখানে চায়না এখন পুরা দমে সচল!!
কারন, যেখানে সারা বিশ্ব এখন লকডাউনে চলে গেছে সেখানে চায়না এখন পুরা দমে সচল!!
সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
Writer:-
মুহাম্মাদ সাজ্জাদ হোসাইন