> জালালুদ্দিন রুমির সেরা ৫০ টি উক্তি | বাংলা উক্তি | রুমির উক্তি | Jalaluddin Rumi | Rumi Quote
-->

জালালুদ্দিন রুমির সেরা ৫০ টি উক্তি | বাংলা উক্তি | রুমির উক্তি | Jalaluddin Rumi | Rumi Quote

১. সৌন্দর্যকে বিশ্বাস করো না
একটি ব্রনই যথেষ্ট।
সম্পদকে বিশ্বাস করো না
একটি স্ফুলিঙ্গই যথেষ্ট।
রবকে বিশ্বাস করো
তিনিই সব কিছুর জন্য যথেষ্ট।


জালালুদ্দিন রুমি


২. স্বার্থ যখন সামনে আসে তখন বুদ্ধি-বিবেক ঢাকা পড়ে যায়, স্বার্থচিন্তায় অন্তরের উপর শত শত পর্দা পড়ে, তারপর পর্দাগুলো চোখের উপর চলে আসে, তখন আর সে কিছুই দেখে না (ফলে স্বার্থের বিপরীতটা সত্য হলেও সেটা তাঁর জ্ঞান বিবেকে ধরা পড়ে না, এমনকি জ্ঞানচক্ষুতে তা দেখতেও পায় না!


জালালুদ্দিন রুমি


৩. আল্লাহর প্রেমে নিজ আত্মা সঁপে দাও। আমি শপথ করে বলছি, এ ব্যতীত কোন পথ নেই।


জালালুদ্দিন রুমি


৪. তুমি কি তোমার আত্মার খোজ করছো? 
তবে মনের খাঁচা থেকে অবমুক্ত হও।


জালালুদ্দিন রুমি


৫. কেন তুমি প্রভুকে খুঁজতে প্রত্যেক দরজায় দরজায় আঘাত করছ? যাও, নিজের অন্তরের দরজায় গিয়ে আঘাত কর।


জালালুদ্দিন রুমি


৬. যেদিন তোমার প্রেম আমায় স্পর্শ করবে, সেদিন আমি এতই উন্মত্ত হবো যে এমনকি সকল উন্মাদও আমা হতে পালাবে।


জালালউদ্দিন রুমি


৭. আধ্যাত্মিক সম্পদে সম্পদশালী ওলীর জামার প্রান্ত ধরে বসো, তা হলে তাঁর দানে তুমি উন্নতি লাভ করতে পারবে!


জালালুদ্দিন রুমি


৮. বাহ্যিক অঙ্গ পায়ের কাঁটার খোঁজ বাহির করা যদি এত কঠিন হয়, তাহলে তোমার অন্তরে বিদ্ধমান কাটা তথা কাম, ক্রোধ, মোহ, মায়া, মদ, মাৎসর্য তা বের করা কতই না কঠিন কাজ!


জালালুদ্দিন রুমি


৯. যদি তুমি চাঁদের প্রত্যাশা কর, তবে রাত থেকে লুকিয়োনা। যদি তুমি একটি গোলাপ আশা কর, তবে তার কাঁটা থেকে পালিয়োনা, যদি তুমি প্রেমের প্রত্যাশা করো, তবে আপন সত্তা থেকে হারিওনা।


জালালউদ্দিন রুমি


১০. যারা তোমার মন ভেঙে দেয় ও নিরুৎসাহিত করে তাদের বর্জন করো। ওরা তোমাকে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যাবে।


জালালুদ্দিন রুমি


১১. তুমি ঘুমন্ত অথবা জাগ্রত,
লেখো কিংবা পড়, যাই করো না কেনো এক মুহূর্তেও আল্লাহকে স্মরণ না করে থেকো না।


জালালুদ্দিন রুমি


১২. বহু দিন বিরহ, যাতনা ও বেদনার পর যদি বন্ধুর মিলন হয়। তবে পিছনের দুঃখ কষ্টের জন্য আফসোস করিতে হয় না। কেননা, যাহা কিছু অনর্থক দুঃখ কষ্ট ভোগ করার ছিল তাহা অতিক্রান্ত হইয়া গিয়াছে। এখন শুধু ভালবাসা বা প্রেম স্থায়ী রহিয়াছে।


জালালুদ্দিন রুমি


১৩. যখন অন্যকে অনুকরণ করলাম, তখন আমি অন্ধ ছিলাম। যখন অন্যের ডাকে সারা দিয়ে এলাম, তখন আমি পথভ্রষ্ট ছিলাম। এরপর আমি সবাইকে বিসর্জন দিলাম, নিজেকে সহ। এখন আমি সবাইকে ফিরে পেয়েছি, নিজেকে সহ।


জালালুদ্দিন রুমি


১৪. আপন মনকে শান্ত কর,
দেখবে আত্মা নিজেই কথা বলছে।


জালালউদ্দীন রুমি


১৫. আমি যে বীজের পরিচর্যা করি,
তার নাম ভালোবাসা।


জালালুদ্দিন রুমি


১৬. ওহে প্রেমিক, তুমি যদি চাও যে, মাওলার সঙ্গে বসিবে, তবে তুমি যে-কোনো এক আল্লাহর ওলির সম্মুখে বসিয়া যাও। যতক্ষণ আল্লাহর ওলির কাছে থাকিবে, ততক্ষণ ইয়াকিন করিবে যে, তুমি আল্লার সঙ্গেই বসে আছো।


জালালউদ্দিন রুমি


১৭. যখন কেউ তোমার সমালোচনা করে অথবা তোমার বিরোধিতা করে, তখন তোমার হৃদয়ে ছোট পিঁপড়ার সমান একটুখানি ঘৃণা আর শত্রুতার জন্ম হয়। তুমি যদি সাথে সাথে সেটাকে মেরে না ফেলো তবে সেটা একটা সাপে পরিণত হতে পারে, এমনকি আরো বড় দানবেও।


জালালুদ্দিন রুমি


১৮. ইহজগৎ মোমেনের জন্য কারাগার এবং অভাবের দেশ, মোমেন এ ক্ষুদ্র জগতের বেষ্টনী মুক্ত হলে সে কারাগার ও অভাবের দেশ থেকে মুক্তি পায়।


জালালউদ্দিন রুমি


১৯. প্রভু তুমি তো সব জায়গায় বিরাজমান, 
তবুও আমি তোমাকে পাগলের মত খুজছি।


জালালউদ্দীন রুমী


২০. অন্যের দোষ লুকাতে
রাতের মত হও।


জালালুদ্দিন রুমি 


২১. যদি থাকে অতুল, তবে দান কর তোমার সম্পদ।যদি থাকে সামান্য, তবে দান কর তোমার হৃদয়।


জালালউদ্দিন রুমি


২২. খোদার নিকট ছুটে যাও, তিনিই আবে হায়াত (সঞ্জিবনী সুধা), তোমার প্রতিটি নিশ্বাসে তার রহমত খুজে নাও।


জালালুদ্দিন রুমি 


২৩. প্রিয়তমাকে খুঁজে পেতে, আপনাকে অবশ্যই প্রিয় হতে হবে।


জালালউদ্দিন রুমি


২৪. আমি সৃষ্টিকর্তাকে খুঁজছিলাম। তাই আমি মন্দিরে গেলাম, সেখানে তাকে খুঁজে পেলাম না। আমি গির্জায় গেলাম, সেখানেও তাকে পেলাম না। এরপর আমি মসজিদে গেলাম সেখানেও তাকে পেলাম না। এরপর আমি নিজের হৃদয়ে তাকে খুঁজলাম, সেখানে তাকে খুঁজে পেলাম।


জালালুদ্দিন রুমি 


২৫. যদি তুমি দোষহীন একজন বন্ধু খোঁজ, তবে তুমি বন্ধুহীন হয়ে যাবে।


জালালুদ্দিন রুমি 


২৬. যে হৃদয় যোগ্য হয়ে গিয়েছে খোদার নুরের, সে হৃদয় পরিপূর্ণ হয়ে গিয়েছে খোদার রহস্যাবলি দ্বারা।


জালালুদ্দিন রুমি 


২৭. কু চিন্তা বাদ দাও,
যাতে তুমি স্বর্গের ব্যাখ্যা দেখতে পাও।


জালালুদ্দিন রুমি 


২৮. শত বৎসরের খাঁটি ইবাদতের চেয়ে ওলিগনের সান্নিধ্যে, কিছুক্ষন বসা অনেক উত্তম।


জালালউদ্দীন রুমী


২৯. যতক্ষণ পর্যন্ত আমার প্রাণ আছে আমি কোরআনের দাস। আমি মোহাম্মদের রাস্তার ধূলিকণা, নির্বাচিত ব্যক্তি। যদি কেউ আমার বলা বাণী ছাড়া অন্য কিছু আমার নামে চালায়, আমি তাকে ত্যাগ করব সেসকল শব্দের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে।


জালালুদ্দিন রুমি 


৩০. তোমার জীবনে যেই আসুক না কেন, তার জন্য কৃতজ্ঞ হও। কারণ অন্তরাল থেকে খোদা প্রত্যেককেই তোমার জন্য পথপ্রদর্শক হিসাবে পাঠিয়েছেন।


জালালুদ্দিন রুমি


৩১. তুমি ভালোবাসা খুজতে যেয়োনা, ও তোমার কাজ নয়।বরং খেয়াল করে দেখো তোমার ভিতরে কি কি প্রাচীর তুমি গড়ে তুলেছো যা তোমাকে ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত করছে।


জালালুদ্দিন রুমি


৩২. তুমি নীরব হয়ে যাও, একমাত্র খোদা’ই তাঁর হাত দিয়ে তোমার হৃদয়ের বোঝাসমূহ দূর করতে পারেন!


জালালউদ্দিন রুমি


৩৩. প্রেম হচ্ছে এমন এক জিনিস যখন স্রষ্টা বলেন, আমি সবকিছুই তোমার জন্য বানিয়েছি। উত্তরে তুমি বলো, আমি সবকিছুই তোমার জন্য ত্যাগ করেছি।


জালালউদ্দিন রুমি


৩৪. যখন তুমি চিন্তিত ও উদ্বিগ্ন থাকবে, তখন ধৈর্য্য ধরবে। ধৈর্য্যের চাবি সুখের দরজা খুলে দেয়।


জালালুদ্দিন রুমি 


৩৫. যখন তুমি সত্য ভালোবাসায় পড়বে, 
তখন শরীর, মন, আত্মার কোন অস্তিত্বই খুঁজে পাবে না। এমন ভালোবাসায় পতিত হও, তাহলে 
তোমাকে কখনও আবার আলাদা হতে হবে না।


জালালুদ্দিন রুমি


৩৬. জ্ঞান-বিজ্ঞান, যুক্তি-তর্ক ও চালাকি-চাতুরী তেজস্বী প্রতিভা আল্লাহ পর্যন্ত পৌঁছার উপায় নয়, নিবেদিত আত্মা ছাড়া কেউ আল্লাহর দয়া মেহেরবানী লাভ করতে পারে না।


জালালউদ্দিন রুমি


৩৭. কোন লোক উত্তম স্থানের দখল লাভ করতে পারলে নিকৃষ্ট স্থান অবশ্যই ত্যাগ করবে। যে ব্যক্তি আল্লাহর নৈকট্য দখল করবে সে দুনিয়া অবশ্যই ত্যাগ করবে।


জালালুদ্দিন রুমি 


৩৮. তোমার মনের ইচ্ছার অনুসরণ করতে গিয়ে 
    বিপথে চলে যেও না।


জালালউদ্দিন রুমি


৩৯. একবার তোমার ভীতরের ক্রীতদাস অদৃশ্য হয়ে যাক, তারপর তুমি সম্রাটেরও সম্রাট হয়ে যাবে।


জালালউদ্দিন রুমি


৪০. বাহ্যিক জ্ঞানের পরিধি অপেক্ষা আধ্যাত্মিক জ্ঞানের পরিধি অনেক বেশি প্রশস্ত!


জালালউদ্দিন রুমি


৪১. বিদায় কেবল সেই মানুষগুলোরই হয়, যারা শুধু নিজের চোখ দিয়ে ভালোবাসে | কারণ মন এবং অন্তর আত্মাকে যারা ভালোবাসে তাদের আলাদা হওয়ার কোনো উপায়ই থাকেনা।


জালালউদ্দিন রুমি


৪২. সত্যের আলো ওলীদের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়,
যদি তুমি পরিচ্ছন্ন হৃদয়ের অধিকারী হওতাহলে তুমিও ভাগ্যবান।


জালালউদ্দিন রুমি


৪৩. গুপ্তধন কখনও সরাসরি দেখা যায়না! গুপ্তধন লুকিয়ে থাকে, যে ভাবে লুকিয়ে আছে মানুষের ভিতরে পরমআত্মা!


জালালউদ্দিন রুমি


৪৪. মন খারাপ করো না; কারন চরম নিরুপায় মুহুর্তে খোদা আশার বাণী দেন। ভুলে যেওনা যে সবচেয়ে অন্ধকার মেঘ থেকেই সবচেয়ে ভারী বৃষ্টিটা আসে।


জালালউদ্দিন রুমি


৪৫. যারা তোমাকে পছন্দ করে না,
তাদের কে নিয়ে কখনও ভাবতে যেও না,
তাদের নিয়েই সবসময় আনন্দের সাগরে ডুবে 
থাকো যারা তোমায় পছন্দ করে।


জালালউদ্দীন রুমি


৪৬. কখনও আশেকের বুকে দুঃখ থাকবে না।
কখনও আশেকের পোশাক কোনো মরণশীল মানুষ স্পর্শ করতে পারবে না। কখনও আশেকের শরীরকে দুনিয়ার মাটিতে কবর দেওয়া হবে না। ভালোবাসতে পারা মানে আল্লাহর কাছে পৌঁছে যাওয়া।


জালালউদ্দিন রুমি


৪৭. তরিকতের পথে, এশকের প্রান্তরে থামিয়া থাকিও না। অগ্রসর হও, উন্নতি করো, ইহা সিমাহীন পথ। সারা জীবন চলিলেও এই পথের শেষ নাই। এই অকুল সমুদ্রের পাড়ি কখনও কুলের নাগাল পায়না। উন্নতির পর উন্নতি করো, ধাপের পর ধাপ অতিক্রম করিয়া উন্নতির চরম শিখরে আরোহন করার চেস্টা করো।


জালালুদ্দীন রুমি


৪৮. সত্য যদি আমাদের বেদনা না দিত,
কী করে জানতাম আনন্দ কাকে বলে।


জালালউদ্দিন রুমি


৪৯. তুমি যদি পাহাড়ের মর্মর পাথরও হও, আউলিয়ার নিকট গেলে তুমি রত্নে পরিণত হবে!



জালালুদ্দিন  রুমি



৫০. তুমি যদি নেককার না হও, তবে সকাল-সন্ধ্যায় নেককারের চেহেরা জিয়ারত করতে থাকো!
তাহলে তুমিও নেককার হয়ে যাবে।


জালালউদ্দিন রুমি
 

Delivered by FeedBurner

a