> রুদ্র গোস্বামীর সেরা ৫০ টি উক্তি | বাংলা বাণী | রুদ্র গোস্বামী
-->

রুদ্র গোস্বামীর সেরা ৫০ টি উক্তি | বাংলা বাণী | রুদ্র গোস্বামী

১. আমাদের বুকের বাঁদিকে হৃদয় নামের একটি প্রদেশ আছে। অথচ কেউই আমরা সেখানে শাসক নই।
রাজা অথবা রানী হিসেবে সেখানে শাসন করে অন্য কেউ।


রুদ্র গোস্বামী


২. একবার তো ডাক দিয়েই দেখ
হাত বাড়িয়ে আছি আমিও কেমন তুমুল উৎসাহে।
একবার তো বল, যেতে পারবি?
মৃত্যুকেও বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চলে যাব তোর সাথে।


রুদ্র গোস্বামী



৩. শূন্যতা বলে কিছু নেই। আমরা যাকে শূন্য বলে ভাবি,
তা আসলে পৃথিবীর মতো বড় একটা বৃত্ত।
ভাবনার দোষে যে বৃত্তটা আমাদের চোখে পড়ে না।


রুদ্র গোস্বামী


৪. বুকের ভেতরে সে তো নেই! তবে কেন এ বিষাদ মৃত্যুর থেকেও বড়ো হয়ে ওঠে? কেন মোম হয়ে পুড়ে যায় বুকের পাঁজর? কেন ঘুম নেই, কেন নদীর জলের মতো ভিজে যায় চোখ? চোখের ওপরে সে তো নেই!


রুদ্র গোস্বামী


৫. যদি হাত ধরিস
যদি অকারণে ডাক দিস
ভুলে যাবো ভালবাসা
কবে কি দিয়েছিস বিষ।


রুদ্র গোস্বামী


৬. আমিও তো চাই বুকের ভিতরে আমাকেও কেউ গুছিয়ে রাখে যেমন কখানা হাড়ের নীচে একটা হৃদয় খুব যত্নে থাকে।


রুদ্র গোস্বামী


৭. প্রতিদিন কিছু ইচ্ছেকে পুড়িয়ে মারি
প্রতিদিন কিছু ইচ্ছেকে পাঠাই নির্বাসনে
ভালোবাসা কি ভীষণ প্রতারক
হৃদয় ভেঙেছে যার সেই জানে।


রুদ্র গোস্বামী


৮. সুখের জন্যে নয়, দুঃখের জন্যে নয়, হাসির জন্যে নয়, কান্নার জন্যে নয়,আসলে একটা সুখবরের অপেক্ষায় আমরা মৃত্যু অবধি বেঁচে থাকি।


রুদ্র গোস্বামী


৯. কেউ সুখের কথা বললেই আমার বুকের ভেতরকার শুকনো পুকুরটা জলে ভরে যায়, আর মনে হয় সেখানে শান বাঁধানো ঘাটে জলে পা ডুবিয়ে তুমি বসে আছ।


রুদ্র গোস্বামী


১০. চোখে সামাজিক ভয়, দুহাতে না পাওয়ার ক্ষত। আমরা তো মরেই আছি বহুদিন, যে যার মতো।


রুদ্র গোস্বামী


১১. যে শ্রাবণে বৃষ্টি নেই
সে শ্রাবণ আমাদের নয়।
তোমার যাওয়ার দিনে
আকাশকে কি, না কাঁদলে মানায়?


রুদ্র গোস্বামী


১২. ভয়ে ভয়ে ডাকলাম, যেয়ো না, তুমি যেয়ো না।
অভিমান বলল, আগে দুঃখকে ডাক,
আমাকে পাবি, ভালোবাসা পাবি।
আমি সেই একটা দুঃখের জন্য বসে আছি।


রুদ্র গোস্বামী 


১৩. মুক্তি চাস?
যা তকে মুক্তি দিলাম!
যখন তুই একলা একা দেখবি আকাশ 
দেখবি আমিও তোর আকাশ ছিলাম।


রুদ্র গোস্বামী


১৪. মুক্তার জন্য যারা ঝিনুক ভাঙে
 তারা ভালোবাসা জানে না।


রুদ্র গোস্বামী


১৫. মানুষের এটাই সব চে' বড়ো দোষ মানুষ তার না পাওয়া গুলোকে খুব বেশি করে যত্ন করে, আর পাওয়া গুলোকে অবহেলা করে দূর করে দেয়, হারিয়ে ফেলে।


রুদ্র গোস্বামী


১৬. অপেক্ষা করতে করতে আতশবাজির মতো
কখন যে ফুরিয়ে গেছি, তোমার ঈশ্বরও জানেন না।
অথচ আঁধার পেরোবার আগে, তোমার আমাকে
আকাশভরা সূর্যোদয় দেবার কথা ছিল।


রুদ্র গোস্বামী


১৭. একলা আমার লাগছে ভীষণ ভয়
আমি নিজের কাছেই বাড়াচ্ছি বিস্ময়
তোকে ভুলতে থাকার চেষ্টা
আমার হারিয়ে দিচ্ছি সুর
আমি একলা হেঁটে যাচ্ছি সমুদ্দুর।


রুদ্র গোস্বামী


১৮. আজ রোদ উঠুক বৃষ্টি পড়ুক
তাতে কি আসে যায়
তুই হাত ধরলেই চলে যাবো
যে দিকে দু'চোখ যায়।


রুদ্র গোস্বামী


১৯. তোমার সুখ না থাক, অসুখ না থাক,
শুধু কেউ থাক, যে কাছে এলে তুমি বারেবারে মরে যাও সুখে।


রুদ্র গোস্বামী


২০. জানিনা সাঁতার
এপার ওপার, তবু নেমেছি জলে
তুই ডেকেছিস বলে 


রুদ্র গোস্বামী


২১. গা পোড়েনি, জ্বর নয়,
তবুও বিস্বাদ মুখ।
আমাকে পেয়ে বসেছে,
তোমাকে দেখতে চাওয়ার দীর্ঘ অসুখ।


রুদ্র গোস্বামী


২২. কোনও বিচ্ছেদেই মানুষ কাঁদে না।
যে যায় সে আসলে তার সেরা গুণগুলোকে রেখে যায়।
যা মানুষ চোখের জলে ধুয়ে হীরের মতো ঝকঝকে করে রাখে।


রুদ্র গোস্বামী


২৩. ভালোলাগা গুলো পায়ে পায়ে হেঁটে
হৃদয়ের খুব কাছাকাছি এলে,
কচি লাউয়ের ডগার মত বেড়ে ওঠে এক বোধ;
তারই নাম, মানুষ বলেছে ভালবাসা।


রুদ্র গোস্বামী


২৪. মুঠো ভরে অপেক্ষা দিয়ে
ধর বলে কখন যে চলে গেলো বেলা!
আমি তার খেয়াল রাখিনি।
হিসেবের খাতা খুলে দেখি
শুধু বেড়েছে বয়স, আর ব্যথাদের ঋণ।


রুদ্র গোস্বামী


২৫. তোমার সঙ্গে ভালো ছবি নেই,
তোমার সঙ্গে ভালো স্মৃতি আছে।
মনেতে ছবি থাকে না অরুণিমা, মনের মানুষ থাকে।


রুদ্র গোস্বামী


২৬. ইচ্ছে হলে চলেই যাবি জানি
তবু মিথ্যে না, হয় হাত বাড়িয়ে দিস
তোর কাছে যে ইচ্ছে গুলো রাখা
আর একটিবার ছুঁয়ে দেখতে দিস।


রুদ্র গোস্বামী


২৭. স্বপ্ন গুলোকে আত্মহত্যা করিয়ে নিয়ে এলাম। একটার নাম আকাশ, একটার নাম আলো, অন্যটা তুমি। লাল, হলুদ, সবুজ আমার আর একটাও স্বপ্ন নেই। এই দেখো আমার দু'হাতে আগুন, এখন আমি সমুদ্র পোড়াতে যাব।


রুদ্র গোস্বামী


২৮. পাখিও তার বাসার ভেতরে খসে যাওয়া পালক রাখে না। অথচ মানুষ তার ভুল স্মৃতি গুলোকেও বুকের ভেতরে আগলে রাখে।


রুদ্র গোস্বামী


২৯. নিজের জন্য আমি কখনো মরতে পারিনি,অথচ তোমার জন্য কী অনায়াসে পারি! 


রুদ্র গোস্বামী


৩০. তুমি ঘুমিয়ে পড়েছ। আর আমি সারা পাড়ার রাত একসাথে জড়ো করে তোমার অভাব শোনাচ্ছি
যাওয়ার আগে যদি এই অভাব টুকু তুমি নিয়ে যেতে।


রুদ্র গোস্বামী


৩১. আমি ছাড়া যদি অন্য প্রেমে পড়ো,
তবে সুখের অসুখ তোমাকে ছারখার করে দিক।


রুদ্র গোস্বামী


৩২. শীত গ্রীষ্ম অথবা বসন্ত প্রেমের নির্দিষ্ট কোনও ঋতু নেই। যখনই হৃদয় প্রথম আঘাতটা পেতে মরিয়া হয়ে ওঠে, তখনই মানুষ প্রেমে পড়ে।


রুদ্র গোস্বামী


৩৩. তোমাকে দেখার অভ্যাস মৃত্যুর থেকেও বেশি করে শিকড় গেঁথেছে আমার ভিতরে। মৃত্যু আমাকে আর মারবে কী?


রুদ্র গোস্বামী


৩৪. তুমি ভাবছো মেঘ করেছে
বৃষ্টি পড়বে অনেকক্ষণ,
আসলে তো মেঘ করেনি
মন খারাপের বিজ্ঞাপন।


রুদ্র গোস্বামী


৩৫. যে থাকার সে দূরে গিয়েও কাছে থাকে। দূরত্ব তাকে গিলতে পারে না।


রুদ্র গোস্বামী


৩৬. ভালোবাসা একটা উল্টো অসুখ। ছেড়ে গেলে মানুষ মরে যায়।


রুদ্র গোস্বামী


৩৭. অসুখে মানুষ মরে যায়, মরে যায় স্বভাবে, তার থেকেও বেশি মরে মানুষ একটা নিজের মানুষ না থাকার অভাবে।


রুদ্র গোস্বামী


৩৮. একবার ভালোবেসে দেখো আমাকে ঘৃণা করা কতটা কঠিন।


রুদ্র গোস্বামী


৩৯. মনখারাপ আসলে একটা প্রচণ্ড চিৎকার 
যা আমাদের বুকের বাইরে কখনও বেরোতে পারে না।


রুদ্র গোস্বামী


৪০. আসলে একটি মেয়ে প্রেমিক হিসেবে তাকেই চায়, যার কাছে সে সহজ হতে পারে। প্রয়োজনে যাকে সে, যা ইচ্ছে তাই বলতে পারে। আবার ভালোও বাসতে পারে।


রুদ্র গোস্বামী


৪১. কাছের সৌন্দর্য মানুষকে ততটা আকৃষ্ট করতে পারে না, যতটা দূরের সৌন্দর্য তাকে টানে।


রুদ্র গোস্বামী


৪২. তুমি যেখানে আঘাত করতে চাইছ, তা আমার হৃদয় নয়। তাকে তুমি অনেক আগেই পাথর করে দিয়েছ।
পাথরে পাথর ঘোষো না ভুল করে, তোমার হাত পুড়তে পারে।


রুদ্র গোস্বামী


৪৩. তোমার প্রত্যাখ্যানের পাশে 
এখনো আমার মৃতদেহ পড়ে আছে
আমি রোজ তাকে পোড়াতে গিয়ে
তার বুকে আর একটা করে গোলাপ রেখে আসি


রুদ্র গোস্বামী


৪৪. হতেও তো পারে, একদিন পাশকাটিয়ে গেলে আমাকে তুমি দেখলেই না। হতেও তো পারে, একদিন আমাকে দেখে তুমি চিনলেই না। সব ভালোবাসাই তো আর দুরারোগ্য অসুখ নয় যে মৃত্যু না দেখে ছাড়বে না।


রুদ্র গোস্বামী


৪৫. প্রেমের ক্ষেত্রে মানুষ সব থেকে বেশি বেহায়া। বারবার আঘাত পেলেও সহ্য করে। বারবার ফিরে যায়। পরাজিত রাজার মতো প্রেমের সামনে হাঁটু গেড়ে বসে।


রুদ্র গোস্বামী


৪৬. সব গাছই পাখিদের ডাকে। কিন্তু পাখিরা সব গাছে বসে না। পাখিরা বোঝে কোন গাছ তাকে ছায়া দেবে, ফল দেবে, বসার জন্য শাখাপ্রশাখা দেবে। মানুষ পাখির থেকেও বোকা কেউ ভালোবেসে ডাকলেই চলে যায়।


রুদ্র গোস্বামী


৪৭. বিচ্ছেদ আসলে একটা সফল উপন্যাস
ভালোবাসা চলে গেলে যেটা আমরা দাঁত কামড়ে পড়তে থাকি।


রুদ্র গোস্বামী


৪৮. যে সুখে তুমি নেই সে সুখ অভিশপ্ত হোক।
তোমাকেই দিয়েছি হৃদয়, একথা জানুক 
এই পৃথিবীর যাবতীয় পুণ্যশ্লোক।


রুদ্র গোস্বামী


৪৯. যদি হৃদপিণ্ড চাও তবে বুক পেতে দিলাম
উদ্ধত ছুরি পুঁতে দিতে পারো
যদি শরীর চাও তবে বিষ মাখা তীর
তোমার দিকে তাক করা থাকবে আমারও।


রুদ্র গোস্বামী


৫০. ছেলেটার কোনো ঠোঁট নেই
বুকের একপাশে পড়ে আছে বাঁশি
ঠোঁট খসে পড়েছে তার
যখনি মিথ্যে বলেছিল, ভালোবাসি।


রুদ্র গোস্বামী

 

Delivered by FeedBurner

a