প্রথম প্রথম আমি ওদের মাখামাখি সম্পর্কটির খুব বেশী গুরুত্ব দিতামনা।ভাবতাম দ্যাওর বৌদির ফ্রী সম্পর্ক থাকাটা স্বাভাবিক। কিন্তু ওদের ফ্রীর ধরণটা ছিলো সম্পূর্ণ আলাদা।যেটা আমার বুকে খুব বিঁধে যায়।ঠিক যেমন বিষাক্ত তীরে ক্ষত বিক্ষত হয় মানুষের হৃদপিন্ড তেমনি আমার বুকে ওদের মেলামেশাটা বিঁধে হৃদয়কে চূর্ণ বিচুর্ণ করে দিত।আমি কিছুই বলতামনা।
একদিন আমার ননদ আমাদের বাড়িতে এলো।ও খুব ভালো।ঠিক আমায় নিজের বোনের মত দ্যাখে।সম্পর্কে আমার ছোট হলেও বয়সে দুই এক বছরের বড় হতে পারে।
তবু আমাদের ভিতর বন্ধুত্বসুলভ সম্পর্ক।
-ছোট বৌদি নিজের স্বামীকে আঁচলে বেধে রেখ।বাঁধন আলগা হলেই বন্ধনকৃত জিনিস আর নিজের থাকেনা।
-কেন দিদি??
- আকাশের ঘুড়ি দেখেছ?? যদি সূতা আলগা হয় তবে ঘুড়ি সুতো কেটে পালিয়ে যায়।শত চেষ্টায়ও সে ঘুড়ি আর ফিরে যাওয়া যাবেনা।
-কি বলতে চাও দিদি??
- এর বেশী আর নিজের ভাইয়ের কথা বলা যায়না বৌদি।
আমি চুপ করে গেলাম।এবার আরো চোখ কান খোলা রেখে চলতে থাকলাম।এরপরে একদিন যা দেখলাম তা দেখার জন্য আমি মোটেও প্রস্তুত ছিলামনা।ওদের অন্তরঙ্গ মুহুর্তের কথা আজও ভুলতে পারিনা।
সেইদিন রাতেই আমার স্বামীর সামনাসামনি হলাম।
সেইদিন রাতেই আমার স্বামীর সামনাসামনি হলাম।
-কি ব্যাপার পার্থ আজকাল তুমি আমায় এড়িয়ে যাচ্ছ কেন??
-কি সব বলছ পাঞ্চালী??আমার কাজ থাকে।সারাদিন কাজ শেষে তোমার ন্যাকামো আমার ভালো লাগেনা।চুপচাপ পারলে ঘুমাও নইলে বাবার বাড়ি যাও।অত সোহাগ দেখানোর সময় আমার হাতে নেই।
- ওভাবে কথা বলছ কেন??আমি তোমার স্ত্রী। তোমার ভালোবাসা পাওয়ার আমার আইনত, ধর্মত ও সামাজিক অধিকার।তোমার হৃদয়ে একমাত্র আমার বিচরণের কথা।
-কি বলতে চাও তুমি?? আমার হৃদয়ের বাসিন্দা তবে কে??
আমি কিছুই বল্লামনা।চুপ মেরে বসে রইলাম।আসলে চুপ মেরে গেলাম।ঐ নোংরা অনৈতিক সম্পর্কটার কথা তুলতে আমার রুচিতে বাঁধলো।
আমার নীরবতা ওর ভালো লাগলোনা।ও আমার চুলের মুঠি ধরে কয়েকটা থাপ্পড় দিলো।
আমার নীরবতা ওর ভালো লাগলোনা।ও আমার চুলের মুঠি ধরে কয়েকটা থাপ্পড় দিলো।
- কিরে বল্লিনা আমার হৃদয়ের বাসিন্দা কে??
-তুই তুকারি করোনা প্লিজ।
-তুই তুকারি করবোনা তবে কি তোকে আপনি আজ্ঞে করব??
ও আবারো ঝাপিয়ে পড়লো আমার উপর।এলোপাথাড়ি মেরেই চলেছে।আমার গায়ে জোর কম তাই সকল মাইর আমার উপর এসে পড়ছে।কথায় আছে দুর্বলের উপর সবলের অত্যাচার চিরন্তন।ভগবান পুরুষের গায়ে শক্তি দিয়েছেন সে শক্তি ক্ষয় করার একটা যায়গা চাইতো।তাই ও আমার উপর ঝাল মেটাচ্ছে।
আমি আমার স্বামীর দেয়া শারীরিক আঘাতে যতটা না শরীরে ব্যথা অনুভব করছি তার চেয়ে ব্যথা পাচ্ছি আমার হৃদয়ে।এ আমার অপমান।এ অপমান আমার নারীত্বের,এ অপমান আমার বাবা মায়ের।এ অপমান আমার ভাইয়ের।
এভাবে কিল ঘুষি খেয়ে আমার রাতটা কেটে যায়। সকালেও ঘুম থেকে উঠতে অনেক দেরী হয়ে যায়।আমার বড়জা এসে আমায় চারটি কথা শুনিয়ে যায়।
আমি আমার স্বামীর দেয়া শারীরিক আঘাতে যতটা না শরীরে ব্যথা অনুভব করছি তার চেয়ে ব্যথা পাচ্ছি আমার হৃদয়ে।এ আমার অপমান।এ অপমান আমার নারীত্বের,এ অপমান আমার বাবা মায়ের।এ অপমান আমার ভাইয়ের।
এভাবে কিল ঘুষি খেয়ে আমার রাতটা কেটে যায়। সকালেও ঘুম থেকে উঠতে অনেক দেরী হয়ে যায়।আমার বড়জা এসে আমায় চারটি কথা শুনিয়ে যায়।
-সারারাত বরের সোহাগ পেয়ে এখন আর ওঠার কথা মনে নেই পাঞ্চালী??
বলি বাড়ির সবকাজ কি একা আমায় করতে হবে নাকি?? কিরকম কান্ডজ্ঞানহীন মেয়ে তুমি??তোমার বাপ মা তোমায় কিছু শেখায়নি?? অসভ্য মেয়ে কোথাকার??
বলি বাড়ির সবকাজ কি একা আমায় করতে হবে নাকি?? কিরকম কান্ডজ্ঞানহীন মেয়ে তুমি??তোমার বাপ মা তোমায় কিছু শেখায়নি?? অসভ্য মেয়ে কোথাকার??
-খবরদার দিদি বাপ মা তুলে কথা বলবেনা।যা বলার আমাকেই বলো।
আর স্বামীর সোহাগ কি আমার কপালে আছে?? ওসবতো যারা সভ্য মানুষ তাদের জন্য।সভ্য মানুষেরা দুই তিনজনের সোহাগও পেয়ে থাকে।আমার বাপ মা আমায় ভদ্রতা না শেখালেও নোংরামো করা শেখাননি।
আর স্বামীর সোহাগ কি আমার কপালে আছে?? ওসবতো যারা সভ্য মানুষ তাদের জন্য।সভ্য মানুষেরা দুই তিনজনের সোহাগও পেয়ে থাকে।আমার বাপ মা আমায় ভদ্রতা না শেখালেও নোংরামো করা শেখাননি।
-কি বলতে চাস তুই??
-আমি কি বলতে চাই তা তুমি ভালো করেই বুঝতে পেরেছ।
এভাবে প্রতিনিয়ত আমার বড়জা আমায় সুযোগমত যা ইচ্ছা তাই বলে গালি দিতেন।এমন ব্যবহার করতেন যেন আমি ওনার সতীন।অবশ্য সতীনের সাথেও মানুষ এত খারাপ ব্যবহার করে কিনা আমার জানা নেই।
আমি ভেবে পাইনা স্বামী বর্তমান থাকতেও কেন মানুষ পরপুরুষে আসক্ত হয়?? সতী শব্দটা মূলত কাদের জন্য?? এরা নিজেকে স্বামীর সতী স্ত্রী বলে পরিচয় দিয়ে আবার গোপনে পরকীয়া করে।অন্য মানুষের সাথে করলে তাও হতো।এযে আপন দেবর।কথায় বলে বড়বৌদি মাতৃস্থানীয়া। কথাটি কি তবে ভুল??
বড়বৌদি কি তবে নিজের বধু স্থানীয়া?
আমি ভেবে পাইনা স্বামী বর্তমান থাকতেও কেন মানুষ পরপুরুষে আসক্ত হয়?? সতী শব্দটা মূলত কাদের জন্য?? এরা নিজেকে স্বামীর সতী স্ত্রী বলে পরিচয় দিয়ে আবার গোপনে পরকীয়া করে।অন্য মানুষের সাথে করলে তাও হতো।এযে আপন দেবর।কথায় বলে বড়বৌদি মাতৃস্থানীয়া। কথাটি কি তবে ভুল??
বড়বৌদি কি তবে নিজের বধু স্থানীয়া?
আমার স্বামীর কথা ভেবেও আমি অবাক হই।আগে যা করার সে করেছে।কিন্তু এখনতো তার ঘরে বউ আছে।মাতৃস্থানীয়া বড়বৌদিকে কি করে সে নিজের ভোগ্যপণ্য বানাতে পারে??
আমি ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে থাকি কবে আমার স্বামী ভালো হবে।ভালো হয়ে ফিরে আসবে আমার কাছে।হায়রে আমার এ অপেক্ষা বুঝি আর শেষ হওয়ার নয়।তিনি আজকাল আমায় স্পর্শ করাতো দুরের কথা আমার সাথে পারত পক্ষে কথাও বলেননা। বল্লেও ঝাড়ি মেরে কথা বলেন।
অথচ এই বিয়ের সময় আমার বাবা তিনলক্ষ টাকা যৌতুক দেন।আরো ঘর সাজানো যত ফার্ণিচার আছে সব দেন।এদের বাড়িতে সেদিন টিউবয়েল বসিয়ে দিয়ে গেছেন।আমার বড়দা বলেছেন আমাদের বাড়ি বিল্ডিং তুলে দেবেন।অলরেডি ইট,বালি এবং সিমেন্ট আনা হয়ে গেছে।
আমার স্বামী আগে হাই স্কুলের শিক্ষক ছিলেন। পরে আমার বাবা যোগাযোগ করে দশ লক্ষ টাকা দিয়ে একটি কলেজে ঢুকিয়ে দেন।সেখানে আবার চার লক্ষ টাকা ঘুষ দিয়ে বেতনও করিয়ে আনেন।এভাবে কেটে যায় একটি বছর।আমার স্বামীর স্বভাবের কোন পরিবর্তন হয়না।তবে মাঝে সাঝে আমায় একটু আধটু ভালোবাসেন।অবশ্য ওটা ভালোবাসা নাকি ছলনা তা বোঝা দায়।প্রায়
প্রতিরাতে চুপিসারে আমার বড়জা ও আমার স্বামী দেখা করতেন।আমার বড় জায়ের মেয়ে এখন ক্লাশ টেনে পড়ে।তবু আমার জায়ের কোন পরিবর্তন দেখিনা।গোপনে ওদের প্রেম অব্যাহত থাকে।আমার বড়জা যেই লক্ষ্য করেনযে আমার স্বামীর সাথে আমার সম্পর্ক ভালোর দিকে ওমনি আমার স্বামীর কানে বিষ ঢুকিয়ে আমায় মাইর খাওয়াতেন।এভাবে আর চলতে পারেনা।তাই একরাতে আমি সরাসরি পার্থর মুখোমুখি হই।
আমি ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে থাকি কবে আমার স্বামী ভালো হবে।ভালো হয়ে ফিরে আসবে আমার কাছে।হায়রে আমার এ অপেক্ষা বুঝি আর শেষ হওয়ার নয়।তিনি আজকাল আমায় স্পর্শ করাতো দুরের কথা আমার সাথে পারত পক্ষে কথাও বলেননা। বল্লেও ঝাড়ি মেরে কথা বলেন।
অথচ এই বিয়ের সময় আমার বাবা তিনলক্ষ টাকা যৌতুক দেন।আরো ঘর সাজানো যত ফার্ণিচার আছে সব দেন।এদের বাড়িতে সেদিন টিউবয়েল বসিয়ে দিয়ে গেছেন।আমার বড়দা বলেছেন আমাদের বাড়ি বিল্ডিং তুলে দেবেন।অলরেডি ইট,বালি এবং সিমেন্ট আনা হয়ে গেছে।
আমার স্বামী আগে হাই স্কুলের শিক্ষক ছিলেন। পরে আমার বাবা যোগাযোগ করে দশ লক্ষ টাকা দিয়ে একটি কলেজে ঢুকিয়ে দেন।সেখানে আবার চার লক্ষ টাকা ঘুষ দিয়ে বেতনও করিয়ে আনেন।এভাবে কেটে যায় একটি বছর।আমার স্বামীর স্বভাবের কোন পরিবর্তন হয়না।তবে মাঝে সাঝে আমায় একটু আধটু ভালোবাসেন।অবশ্য ওটা ভালোবাসা নাকি ছলনা তা বোঝা দায়।প্রায়
প্রতিরাতে চুপিসারে আমার বড়জা ও আমার স্বামী দেখা করতেন।আমার বড় জায়ের মেয়ে এখন ক্লাশ টেনে পড়ে।তবু আমার জায়ের কোন পরিবর্তন দেখিনা।গোপনে ওদের প্রেম অব্যাহত থাকে।আমার বড়জা যেই লক্ষ্য করেনযে আমার স্বামীর সাথে আমার সম্পর্ক ভালোর দিকে ওমনি আমার স্বামীর কানে বিষ ঢুকিয়ে আমায় মাইর খাওয়াতেন।এভাবে আর চলতে পারেনা।তাই একরাতে আমি সরাসরি পার্থর মুখোমুখি হই।
-পার্থ তোমায় একটা কথা বলব??
-বলো।
-রাগ করবেনাতো??
-ভনিতা না করে কি বলবা বলো।
-তুমি আগে যা করেছ তা করেছ এখন আর ওসব করোনা।দেখ ভবিষ্যতে আমাদের সন্তান হলে সে যদি জানতে পারে এসব তবে কি হবে বলতে পারো??
-এই তুই আমায় উপদেশ দিস?? বেয়াদব মেয়ে মানুষ কোথাকার!
আরো অনেক অশ্রাব্য, অকথ্য ও অলেখ্য ভাষায় গালি দিয়ে থাকে।
শুধু গালাগাল করেই সে ক্ষান্ত হয়না।আমাকে আবারো মারতে থাকে।
তলপেট বরাবর লাথি মারে। চুল ধরে ঘুরাতে থাকে।পরে উঠানে থাকা কাঠের চলা দিয়ে আমায় বেদম প্রহার করে।
আমাদের ঝগড়ার এক পর্যায়ে আমার ভাসুর,জা ও শশুর শাশুড়ি এসে আমাকে ওর হাত থেকে মুক্ত করে।নিজেকে আর কন্ট্রোল করতে পারলামনা।আমার বড় জায়ের মুখের উপর থু মেরে দিলাম।আমার ভাসুর অবাক হয়ে আমার মুখে তাকিয়ে রইলেন।
শুধু গালাগাল করেই সে ক্ষান্ত হয়না।আমাকে আবারো মারতে থাকে।
তলপেট বরাবর লাথি মারে। চুল ধরে ঘুরাতে থাকে।পরে উঠানে থাকা কাঠের চলা দিয়ে আমায় বেদম প্রহার করে।
আমাদের ঝগড়ার এক পর্যায়ে আমার ভাসুর,জা ও শশুর শাশুড়ি এসে আমাকে ওর হাত থেকে মুক্ত করে।নিজেকে আর কন্ট্রোল করতে পারলামনা।আমার বড় জায়ের মুখের উপর থু মেরে দিলাম।আমার ভাসুর অবাক হয়ে আমার মুখে তাকিয়ে রইলেন।
-কি হলো পাঞ্চালী?? তুমি লাভলীর গায়ে থু থু দিলে কেন??
-সেটা থাক বড়দা।চলুন আমি আপনার সাথে ঘুমাবো??
- কি বাজে বকছো তুমি??
আমি তোমার ভাসুর হই তোমার বড় ভাইয়ের মত।
আমি তোমার ভাসুর হই তোমার বড় ভাইয়ের মত।
-ভাইয়ের মত কিন্তু ভাই নন।আপনার বউয়ের সাথে যদি আমার স্বামী বিশেষ সম্পর্ক রাখতে পারে তবে আপনার সাথে আমার সম্পর্কটা হবেনা কেন??
লাভলীদিও তো আমার স্বামীর মাতৃস্থানীয়া। শাস্ত্র বলে,সমাজ বলে বড়বৌদি মায়ের মত।
আমার ভাসুর কিছু না বলে মাথা নীচু করে নিজের ঘরে গিয়ে দরজা দেন।পরে দরজা ভেঙে তার অজ্ঞান দেহটা হাসপাতালে নেয়া হয়।আর কিছুক্ষণ ঝুলে থাকলেই বেচারার জীবন গিয়েছিলো।আমার ভাসুর আমার জায়ের সাথে কথা বলা বন্ধ করে দেন।তাকে বাপের বাড়িও পাঠিয়ে দেওয়া হয়।পরে তার বাপের বাড়ির লোক অনেক বলে কয়ে একটা শেষ সুযোগ চায়।আমার বড়জা পাক্কা অভিনেত্রীর মত ভাসুর, শশুর ও শাশুড়ির পায়ে ধরে ক্ষমা চেয়ে নেয়।
আমার জায়ের উপর সবাই রুষ্ট হলেন।আমার স্বামীর উপরও কেউ খুশি ছিলেননা।
সময় যায়।সবকিছুতে আবার স্বাভাবিকতা ফিরে আসে।আমার বড়জা তার কপোটতা দিয়ে আমার ভাসুরকে হাত করে ফেলে।মিল হয়ে যায় ভাসুর ও জায়ের মধ্যে।
তবে দ্যাওর বৌদির প্রেম অভিসার সুযোগমত চলতেই থাকে।না যেভাবে হোক আমার স্বামীকে আমার দিকে ফিরাতেই হবে।কিন্তু কি করে?? পাড়া প্রতিবেশী হলে না হয় হতো এযে ওর নিজের বৌদি।সর্বদাই চোখের সামনে থাকে। অনেক মাথা খাটিয়ে তাই আমার ননদের বুদ্ধিতে স্বামীকে নিয়ে শহরে এলাম ওর কর্মক্ষেত্রে।অবশ্য এমনিতে আসতে চায়নি।আমার শশুর জোর করে পাঠিয়ে দিয়েছে।ছেলেকে সুপথে ফিরাতে আমার শাশুড়িমা তার ছেলের সাথে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছেন।
ও আর আমি এখন একটা ফ্লাটে থাকি।আমার শাশুড়িমা গোপনে খবর নেন আমার কাছে সব ঠিক আছে কিনা।আমি ওনাকে আশ্বস্ত করেছিযে তার ছেলেকে সুপথে ফিরাবোই।
লাভলীদিও তো আমার স্বামীর মাতৃস্থানীয়া। শাস্ত্র বলে,সমাজ বলে বড়বৌদি মায়ের মত।
আমার ভাসুর কিছু না বলে মাথা নীচু করে নিজের ঘরে গিয়ে দরজা দেন।পরে দরজা ভেঙে তার অজ্ঞান দেহটা হাসপাতালে নেয়া হয়।আর কিছুক্ষণ ঝুলে থাকলেই বেচারার জীবন গিয়েছিলো।আমার ভাসুর আমার জায়ের সাথে কথা বলা বন্ধ করে দেন।তাকে বাপের বাড়িও পাঠিয়ে দেওয়া হয়।পরে তার বাপের বাড়ির লোক অনেক বলে কয়ে একটা শেষ সুযোগ চায়।আমার বড়জা পাক্কা অভিনেত্রীর মত ভাসুর, শশুর ও শাশুড়ির পায়ে ধরে ক্ষমা চেয়ে নেয়।
আমার জায়ের উপর সবাই রুষ্ট হলেন।আমার স্বামীর উপরও কেউ খুশি ছিলেননা।
সময় যায়।সবকিছুতে আবার স্বাভাবিকতা ফিরে আসে।আমার বড়জা তার কপোটতা দিয়ে আমার ভাসুরকে হাত করে ফেলে।মিল হয়ে যায় ভাসুর ও জায়ের মধ্যে।
তবে দ্যাওর বৌদির প্রেম অভিসার সুযোগমত চলতেই থাকে।না যেভাবে হোক আমার স্বামীকে আমার দিকে ফিরাতেই হবে।কিন্তু কি করে?? পাড়া প্রতিবেশী হলে না হয় হতো এযে ওর নিজের বৌদি।সর্বদাই চোখের সামনে থাকে। অনেক মাথা খাটিয়ে তাই আমার ননদের বুদ্ধিতে স্বামীকে নিয়ে শহরে এলাম ওর কর্মক্ষেত্রে।অবশ্য এমনিতে আসতে চায়নি।আমার শশুর জোর করে পাঠিয়ে দিয়েছে।ছেলেকে সুপথে ফিরাতে আমার শাশুড়িমা তার ছেলের সাথে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছেন।
ও আর আমি এখন একটা ফ্লাটে থাকি।আমার শাশুড়িমা গোপনে খবর নেন আমার কাছে সব ঠিক আছে কিনা।আমি ওনাকে আশ্বস্ত করেছিযে তার ছেলেকে সুপথে ফিরাবোই।
চলবে---
Writer:- Shibani Mondal