> বিশ্বাস পর্ব ৫ - Bangla Story - Boipoka365
-->

বিশ্বাস পর্ব ৫ - Bangla Story - Boipoka365


_মানে অরু ছোট বোনের জামাইয়ের সাথেও পরকীয়া করে? ছিঃ(আবির)
_কি জানি! হতেও পারে। (আমি)
_ আচ্ছা দেখি কি করে ভিতরে এসে। (আবির)
সেই লোকটা আমাদের সামনে দাঁড়ালো। তার নাম রাজু।
_কি দুলাভাই কেমন আছেন? (রাজু)
_কাকে বললে? (আমি)
_আপনাকেই বলছি রানা সাহেব। (রাজু)
_কতবার আপনার বাসায় গেলাম। আপনার সাথে দেখাই হয় নাই। তবে অরু আপার সাথে ভালো করে দেখা হলো। বিছানার উপর। (রাজু)
_ওইসবের ফল পাবে এখন টেনশন করার দরকার নাই। (আবির)
_১০লাখ টাকার যে মামলা করছেন। এই নেন টাকা আর মামলা তুলে দেন আমরা উড়ে চলে যাই বিদেশ। তা না হলে আপনাদেরই উড়ে উপরে পাঠিয়ে দেবো। (রাজু)
আবির টাকার ব্যাগটা হাতে নিলো। মেয়েকে ও টাকা নিয়ে থানা থেকে বের হয়ে গেলো আবির।
আমি রাজুকে নিয়ে ভিতরে গেলাম অফিসারের কাছে। আমার সাথে রাজুকে দেখে পুলিশ,
-কাকে নিয়ে আসলেন রানা সাহেব?(পুলিশ)
_এ হচ্ছে সব খুনের আসামী। ল্যাপটপ এর কাছেই আছে। (আমি)
_প্রমান ছাড়া কিছু হয় না। আমি অরুর সাথে দেখা করতে আসছি। (রাজু)
_ঠিকই বলছে সে। (পুলিশ)
সোজা থানা থেকে বের হয়ে আবিরের কাছে আসলাম। থানার থেকে একটু দূরে রাস্তার পাশের চায়ের দোকানে বসলাম।
চা খাচ্ছি মেয়েকে কোলে নিয়ে।
-রানা, এই টাকা দিয়ে কি হবে? (আবির)
_যে মেয়ে গুলো মারা গেছে বা খুন হইছে তাদের দিবো। আর কালও আদালত রায় দিয়ে দিলেও ১০লাখ পাবো। সব গুলোই অসহায় মানুষ গুলোকে দিবো। (আমি)
_তাদের পাবো কোথায়? (আবির)
_ আমরা সেই সাইটে গিয়ে ভিডিও গুলো দেখে দেখে আইডি কার্ডের সাথে ফেইস স্কেননিং করে বের করবো। (আমি)
_হুম বুঝলাম। তাহলে এখনি আমরা বাসায় গিয়ে মানুষ গুলোর পরিচয় বের করতে হবে।(আবির)
বাসায় ফিরে সবাই ফ্রেশ হয়ে দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম। মেয়েটা ঘুমাচ্ছে আর আমরা দু বন্ধু বসলাম ল্যাপটপ নিয়ে। সব পর্ণ সাইটে ঢুকলাম দুজন। একটা একটা করে ভিডিও দেখছি আর মেয়ে গুলোর চেহারা স্কিনশট দিয়ে আলাদা আলদা করছি। ভালো করে সব ছবি নিয়ে। নির্বাচনে অফিসের সাইটে গেলাম। সেখানের আইডি কার্ডের সাথে মিলাতে চেষ্টা করতেছি। ১০টা মেয়ের আইডির পরিচয় পাওয়া গেছে।
সন্ধ্যা নাগাত আমরা এইসব বের করে। চললাম সেই সব মেয়ের ঠিকানায়। শহরে খুজ ৫জনের পরিার পেলাম। সবার পরিবারকে জানতে চাইলে বলে কেন আত্মহত্যা করছে কেউ জানে। এইসব পরিবার নানান ভাবে অসহায় হয়ে গেছে। ২লাখ করে সবাইকে ১০লাখ দিয়ে আসলাম টাকা। প্রমান করতে পারলে হয়তো সব খুনের সাজা দিতাম।
বাসায় ফিরেই সবাই ক্লান্ত।
_তোর বোনও মারা গেছে তুইও পারলে মামলা করে তাদের আটকাতে পারবি।
_এইসব করলে আমার পরিবারের নামে পুরো দেশে হয়ে যাবে। আমার বোনের নামে খারাপ কথা লেখা হবে পত্রিকায়। কি করবো আর!
_আচ্ছা। রিপা নামের মেয়ের মাকে নিয়ে সকালে আদালতে যাবো। আর আমি উকিলকে বলে দিছি। কালকে সরকারের হয়ে মানে আমাদের পক্ষের। হয়ে আমার বন্ধুই লড়বে (আবির)
_আচ্ছা ঠিক আছে।
_একটা কথা বলি? (আবির)
_হুম
_অরুকে আমরা মনে হয় খুনী প্রমান করতে পারবো না। তাই বলি কি তাকে আমরাই খুন করে দেই।
_এটা কি বলিস! আমি তাকে ভালবাসি।
_এত ভালবাসা যখন রাজু বললো দেখলে তুমি অফিসে যাও আর সে আরেক বেডার সাথে সময় কাটায়। ভাগ্যিস আমি দেখি নাই তা না হলে রাজুকে খুন করতাম। (আবির)
_থাক মাথা ঠান্ডা কর। ঘুমা রাত হয়ে গেলো অনেক।
সবাই শুয়ে পরলাম রাতে সবাই । আবির সাহেব আজ দুদিন হলো একটু বেশিই মন মরা। কেনো জানি মনে হচ্ছে কিছু নিয়ে চিন্তায় আছে।
আমি ভাবছি কালকে কি করে খুনীকে সামনে আনা যায়। কোন প্রমান নাই। সব গুলো মেয়ের জীবন শেষ করে দিলো। মেয়ে গুলো কত স্বপ্ন হয়তো বুনে ছিলো। তাদের সব স্বপ্ন রয়েই গেলো।
অরুর জন্য কত কি করলাম। কত ভালো ছিলো মেয়েটা। হঠাৎ আমাদের জীবন কি হলো। সব কিছুর হিসাব মিলাতে চাইলাম। পারতেছি না।
আবির আমার পাশেই আজকে শুয়ে আছে । রাত হয়ে গেলো প্রায় ১২টার কাছাকাছি। আবির গভীর ঘুমে মগ্ন। হঠাৎ টুং করে শব্দ হলো আবিরের মোবাইলে।
আমি যদিও তার মোবাইল কখনো ধরিনি। হাতে নিয়ে দেখি একটা ম্যাসেজ। নাম্বার কিছু দিয়েই সেভ করা নাই।
তাতে লেখা," ভাইয়া তুমি বাসায় ফিরে এসো। সবাই তোমাকে অনেক খুঁজ করতেছে। গত ৪টা বছর আমাদের সাথে লুকোচুরি খেলতেছো। বাবা সব কিছুর জন্য অনুতপ্ত। তুমি তোমার বাসার ঠিকানা দাও। আমি আসবো কাউকে বলবো না। বাবু কেমন আছে? "
ম্যাসেজ পড়ে একবারে থমকে গেলাম। আবির সাহেবের পরিবার সবাই আছে। আবির সাহেবের বাবু আছে সবাই জানে। গত ২বছর আমরা একসাথে আবির সাহেব সবসময়ই চুপচাপ থাকে। আমরা আসার আগেই ভাবি নাকি চলে গেছে। তার পরিবার তাকে দেখে না ৪বছর। অথচ আমাকে বললো তার বাবা মারা গেছে। মায়ের কথা বা পরিবারের কথা কখনো বলে নি।
আমিও চুপাচাপ ঠিকানা লিখে দিলাম। আর বলে দেই যেনো আবিরকে না বলে। আমার কাছে সোজা আসতে। আমি তার বন্ধু।
ম্যাসেজ করে আবিরের মোবাইল থেকে ডিলেট করে দিলাম। যাতে সে না বুঝে।
সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে আবিরের পাশে বসলাম। নাস্তা করতেছি আর কথা বলতেছি,,
_আবির সাহেব আপনার পরিবার কোথায়? (আমি)
_আমার কেউ নাই। ৪বছর আগে সবাই মারা গেছে গাড়ি দূর্ঘটনায়। (আবির)
_আচ্ছা আপনি এই শহরেই থাকতেন নাকি বাহির থেকে আসছেন?(আমি)
_কি ব্যাপার আজকে দেখি আমার উপর প্রশ্ন করতেছেন বেশি? (আবির)
_এমনেই বল না! (আমি)
_আরে বললাম তো দোস্ত কেউ নাই দুনিয়ায়। তুই ছাড়া এখন। (আমি)
_আচ্ছা, ঠিক আছে।
মনে মনে ভাবতেছি। কোন না কোন রহস্য আছেই এর পিছনে। আবির সাহেব আমার জন্য এত কিছু করে। তার পরিবার নিয়ে কেন মিথ্যা বলে। তাকে বেশি প্রশ্ন করলে বুঝে যাবে। দেখি তার বোন আসে কিনা!
১০টার কাছাকাছি থানা থেকে বলে দিলো যে অরুকে নিয়ে আদালতে যাচ্ছে আমাদের যেতে তাড়াতাড়ি আদালতে।
আবির একটু আগেই বের হয়ে গেছে। রিপার মাকে নিয়ে যাবে আদালতে। আমি নিজেও রেডি হয়ে বের হয়ে গেলাম মেয়েকে নিয়ে। আদালতে গিয়েই দেখি আবিরও চলে আসছে। বিচারক বিচার শুরু করলো।
_অরু রানার থেকে ডিভোর্স নিয়ে মেয়েও টাকা নিয়ে গেছে নিজের রক্ষার জন্য। রানা একজন মানসিক রোগী তা এই আদালতেই প্রমান হলো। (অরুর উকিল)
_এই মহিলা শুধু টাকাও অপহরণ না বরং কয়েকটা খুন করছে। সে যুবতী নারীরদের দিয়ে পর্ণ ভিডিও বানিয়ে ব্যবসা করে। রানা এইসব জেনে যাওয়া মন্টুকে খুন করে যা রানার নামে চালিয়ে দেয়। এই মহিলার মৃত্যুদন্ড হওয়া উচিত আর কে কে তার সাথে জড়িত তাদেরও সাজা হওয়া দরকার। (উকিল)
_জনাব কোন প্রমান নাই অরু যে খুনী বা কাউকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করছে! (অরু উকিল)
_এটা প্রমান করতে রিপার মাকে এনে জিজ্ঞেস করি। (উকিল)
বিচারক রিপার মাকে নিয়ে গেলো কাঠগড়ায়।
_আচ্ছা রিপা মারা গেলো কেনো?(উকিল)
_মন্টু ওর সাথে প্রেমের নাটক করে শারীরিক সম্পর্ক করে আর তা ভিডিও করে নেটে দিয়ে দেয় তাই। আর এই মহিলা টাকা দিয়ে দিয়ে সেই মামলা তুলে নিতে বলে। না হয় আমাকেই খুন করবে বলে ছিলো। (রিপার মা)
_আপনার কথার কোন প্রমান আছে যে এগুলো সত্য? (অরুর উকিল)
_জ্বি না। (রিপার মা)
_তাহলে আপনি যান। (অরুর উকিল)
একে একে যেই ৫জনের পরিবার পেয়েছি সবাইকে নিয়ে জিজ্ঞেস করা হলো। সবাই একই কথা বলে প্রমান নাই তাই তাদের কথা আদালত মানে নি।
শেষ আমাকেই নেওয়া হলো।
_আচ্ছা, রানা সাহেব বলেন। আপনার বোনকে এই মহিলাই মরতে বাধ্য করছে?(উকিল)
_জ্বি না! আমার বোন এমনেই মারা গেছে। (আমি)
একে একে সবার কথা মিথ্যা হয়ে গেলো আদালতে। আমি যদিও বলতে পারতাম তারপরও বলি নি জানি এখন এইসব বললে আমার বোনের ছবি দিয়ে সারাদেশে খবর হয়ে যাবে।
আমার জানা হয়ে গেছে বিচারের রায় কি। আমি আদালত থেকে বের হয়ে চলে আসছি। বিচার এখন চলতেছে। আবিরকে বললাম রায় দিলে যে টাকা দিবে তা যেনো বাকি যে মেয়ে গুলোর খবর পাওয়া যায়নি তাদের বের করে দিয়ে আসতে। ল্যাপটপ নিয়ে গিয়েছি যেখানে সেই মেয়েদের ছবি রাখছি। আবির বিচার শেষ হলে টাকা যা পাবে নির্বাচন অফিসে গিয়ে খুজে বের করে দিয়ে আসবে টাকা।
আমি বাসায় চলে আসলাম। পারলাম না ভালবাসার মানুষকে শাস্তি দিতে। চাইলে বোনের প্রমানটা দিয়ে তাকে ফাসি দিতে পারতাম। আমি জানি মানুষ যে কাজে আকাশে উড়তে থাকে সেটাই একদিন তাকে একদম নিচে নামায়।
একবার ভাবি তাকে শাস্তি দেবো। আবার পরে ভাবনা পাল্টে আসে তাকে শাস্তি দিবো কি করে তাকে ভালবাসি।
বাসায় ফিরে অনেকক্ষণ বসে বসে কান্না করলাম। এই মেয়েটার কি হবে। কয়দিন থাকবে ভালো। যাক আল্লাহই শাস্তি দিবে তাকে। একদিন তাদের প্রমান করবো তারা দোষী। আমার বোনের সম্মান বাচাতে আজ তাদের বাচালাম। একদিন প্রমানটা থাকবে আমার হাতে।
বিকাল ৩টা বেজে গেছে এতক্ষণে হয়তো বিচার শেষ আবির হয়তো সেই সব মেয়েদের পরিবারকে খুজতে গেছে। ।
মেয়েটাকে গোসল করিয়ে খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিলাম। চায়ের কাপ নিয়ে বসলাম সোফায়। কয়েকবার আবিরকে কল দিলাম ফোন বন্ধ।
হঠাৎ দরজার বেল বেজে উঠলো। আমি দরজা খুলে দেখেই তাকিয়ে রইলাম।
একটা মেয়ে এত সুন্দর হতে পারে। যেমন চোখ, তেমন চাহনী। এক নিমিষেই প্রেমে পড়ে যাওয়ার মতোই। যদিও প্রেমে পড়তে বাধা বিশ্বাস নিয়ে। আমি তার দিক থেকে চোখ ফিরিয়ে।
-জ্বি বলেন।
_আমি মাইশা। গতকাল রানা সাহেব যে ঠিকানা দিলো। আবিরের বোন আমি,,,, আমতা আমতা করে বললো।
_জ্বি! আমিই রানা আসেন ভেতরে।
_বাসায় আর কেউ নাই?
_সমস্যা নাই নির্ভয়ে আসেন। আমি আপনার ভাইয়ের বন্ধু।
মাইশাকে ভিতরে নিয়ে বসালাম। একটু ভয়ের ছাপ দেখতেছি তার মুখে। অপরিচিত মানুষের বাসায় এসে মনে এমন। যা তার সুন্দর চেহারায় দেখা যাচ্ছে।
_ কি খাবেন? চা নাস্তা কি?
_ কিছু না। আমি এয়ারপোর্ট থেকে বের হয়ে খেয়ে আসছি।
আমি তারপর দুকাপ কফি নিয়ে আসলাম। দুজনে মুখোমুখি বসে আছি সোফায়। তাকে বলতেছি চিন্তা মুক্ত হয়েই বসতে।
_আচ্ছা আবির বাসা ছেড়ে এখানে আর আপনরা কোথায় থাকেন?
_আমরা সিলেট থাকি সবাই। বাবার ব্যবসা আছে দেশের বাহিরেও দেশে। (মাইশা)
_আবির কি করলো এমন যে বাড়ি ছেড়ে দিছে।
_ ভাইয়া একটা মেয়ের সাথে প্রেম করতো। তাকে বিয়ে করতে চাইছে। বাবা রাজি হয় নাই। তাকে জোর করে বাবার বন্ধুর মেয়েকে বিয়ে করায়। তখন বাসর রাতেই বউ রেখে বাড়ি ছেড়ে দেয়। রাগে কষ্টে যায় প্রেমিকার কাছে। প্রেমিকার বাসায় গিয়ে দেখে সে আরেকজনের সাথে কথা বলে যে কিনা ভাইয়ার বন্ধু ছিলো ভালো। ভাইয়া সেই প্রেমিকাকে খুন করে ফেলে রাগের মাথায়। পরে ঢাকায় চলে আসে। বউ নিয়ে যাকে বাবা জোর করে বিয়ে করায়। বিয়ের পরই কয়েক বছর কেটে যায়। একদিন ভাবি বলে সে মা হবে। তারপর ঢাকায় আমরা সবাই তার ঠিকানায় যাই আর ভাবির সাথে কথা হয়নি। সেই খুনের দোষে ভাইয়াকে পুলিশ খুজে। পায়নি বাবা টাকা দিয়ে সব লুকিয়ে ফেলে মানে খুন থেকে বাচিয়ে দেয়। যদিও বাড়ি ছাড়ার পর তাদের দেখি নাই আর। শুনেছি শুধু। ঢাকায় অনেক খুঁজেও পাইনি ।
সবসময়ই কথা হয় আমার সাথে পরিবারের কারো সাথে কথা বলেনি আর। (মাইশা)
_তারপর!
_ভাইয়াকে যতই জিজ্ঞেস করি বলে ঢাকায় আছে। বাবাও রাগ করে ভাইয়ার উপর। কিন্তু গতকালই জানলাম আপনার থেকে ভাইয়া এই চট্টগ্রামেই থাকে। বাকি আর কিছুই জানি না। ভাইয়া কলেজ জীবনেও একজনকে একজনকে খুন করে। টাকা দিয়ে বাবা বার বার বাচায়। যদিও সব গুলো ভাইয়ার বিশ্বাস নিয়ে খেলে মেয়েরা। (মাইশা)
_তাহলে এখানে যে বউ নিয়ে থাকতো বললো সেটাই পরিবার বিয়ে করায়। যে চলে গেছে আরেকজন নিয়ে!
_মানে?
_তোমার ভাইয়ের কোন বউ নাই। সে চলে গেছে ৩বছর আগে অন্যজনের সাথে। তোমার বাবার বন্ধুর মেয়ে। (আমি)
_ভাইয়া কখনো বলেনি এটা, বলছে সবাই সুখে আছে। একটা মেয়ে আছে তার। ২বছর বয়সী।
ততক্ষণে আমার মেয়েটা জেগে গেছে। আমি কোলে করে এনে বসলাম।
_আরে, এটাইতো ভাইয়ার মেয়ে। যার ছবি আমায় দিছে। (মাইশা)
আমিও আর বলি নাই কিছু যে এটা আমার মেয়ে। মাইশা আমার মেয়ে জান্নাতকে কোলে নিয়ে আদর করতেছে। যেনো দুনিয়ার সবচেয়ে বড় সম্পদ পেলো।
আমিও এক মুহূর্তে স্বপ্ন দেখে ফেললাম। যদি মাইশা আমার বউ হতো তাহলে এভাবেই আদর করবে মেয়েকে।
_ভাইয়া কোথায়? (মাইশা)
_সে একটা কাজে এক জায়গায় গেছে। চলে আসবে রাতেই। আমিই পাঠিয়েছি।
_মাইশা মেয়েকে নিজের মতো করে আদর করতেছে। আমার থেকে জানতে চাইছে দুধ কোথায়, রান্না ঘর কোথায় মেয়েকে খাওয়ানোর জন্য। তাকে সুন্দর করে যত্ন করতেছে। আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলাম। মাইশার দিকে।
মেয়েটাকে আমার কোলে দিয়ে মাইশা গেলো রাতের খাবার বানাতে।
সন্ধ্যা হয়ে গেলো আবিরের মোবাইল এখনো বন্ধ। আমি টিভি অন করে বসলাম। টিভিতে দেখে আমি কি করবো বুঝতে পারতেছি না।
হেড লাইন এটা আবিরের ছবি দিয়ে যে, "বন্ধুর বউ পরকীয়া করে বলে বন্ধু সেই মহিলাকে ছুরি দিয়ে আঘাত করছে আদালতের ভিতরেই। সেই মহিলা এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন "
তখনই মাইশা আসলো দুধ গরম করে। আর টিভির দিকে তাকিয়ে.......


চলবে.....


Writer:- মো-সোলাইমান রানা
 

Delivered by FeedBurner

a