মূলঃ ড্যান ব্রাউন
প্রকাশনীঃ বাতিঘর প্রকাশনী
ধরনঃ রহস্য উপন্যাস
প্রচ্ছদঃ ডিলান
পৃষ্ঠাঃ ৪৩১
মুদ্রিত মূল্যঃ ৪০০ টাকা মাত্র
কাহিনী সংক্ষেপঃ রবার্ট ল্যাংডনের ক্লয়েস্ট্রোফোবিয়া (Claustrophobia) থাকায় তিনি বদ্ধ জায়গায় ভয় পান। রবার্ট ল্যাংডন হলেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের “ধর্মীয় প্রতিকবিদ্যা” বিষয়ের অধ্যাপক। তিনি একটা লেকচার দেওয়ার জন্য প্যারিসে আসেন। লুভ্র জাদুঘরের কিউরেটর জ্যাক সনিয়ের সাথে তার একটা মিটিং ছিল। কিন্তু জ্যাক সনিয়ের কে খুন করা হয় জাদুঘরের ভিতরেই। যেহেতু রবার্ট ল্যাংডনের সাথে জ্যাক সনিয়ের মিটিং করার কথা ছিল তাই পুলিশ সন্দেহভাজন হিসেবে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য লুভ্রের জাদুঘরের মার্ডার স্পটে নিয়ে যায়। তিনি দেখতে পান জ্যাক সনিয়ে মৃতদেহ অদ্ভূত ভাবে নগ্ন অবস্থায় পড়ে আছে আর সেখানে ইনভিসিবল ইঙ্ক দিয়ে লেখা কিছু সংখ্যা, চিহ্ন আর শব্দ। সেখা্নে পুলিশের ক্যাপ্টেন বেজু ফশে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা অবস্থায় ক্রিপ্টোলজি বিভাগের সোফি নেভু এসে রবার্ট ল্যাংডনকে সতর্ক করেন যে তাকে খুনের দায়ে ফাসানো হচ্ছে। আর সেটা অবশ্যই ফশের অগোচরে জানান। প্রমাণ হিসেবে তার জ্যাকেটের পকেটে একটা জিপিএস লোকেশন ট্র্যাকার দেখান সোফি নেভু। তারপর সোফির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পুলিশকে ফাকি দিয়ে তারা ফেরারি হন। ফরাসি পুলিশ তাদের খুজতে ইন্টারপোল থেকে সাহায্য নেয়। প্রফেসর ল্যাংডন এসব রহস্যের কোন কুল কিনারা করতে পারছিলেন না কেন তাকে খুনির দায়ে ফাসানো হচ্ছে! কেন তার মৃতদেহ অদ্ভুদ ভাবে নগ্ন অবস্থায় রয়েছে! তার মৃতদেহের পাশের সংখ্যা চিহ্ন দিয়ে কি বুঝাতে চেয়েছেন জ্যাক সনিয়ে! বের হয়ে আসে এক সত্য যা দুই হাজার বছরের চেয়ে বেশি সময় ধরে গোপন রাখছিল একটা সোসাইটি যার সদস্য ছিলেন আইজ্যাক নিউটন, ভিক্টর হুগো, বত্তিচেল্লি আর লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির মত জগদ্বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ। আর সেই তথ্যের জন্য শুধু জ্যাক সনিয়ে নন আরও চারজন বিখ্যাত ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়। কেন এই অদ্ভূদ ভাবে খুন করা হয়? কেন রবার্ট ল্যাংডনকে খুনী হিসেবে সন্দেহ করা হয়? আর কি বা সেই তথ্য যে তথ্যের জন্য একইদিনে বিখ্যাত চারজনকে খুন করা হয়? এসব জানতে হলে পড়ে ফেলুন “দ্য দা ভিঞ্চি কোড” বইটি।
পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ বইটা রবার্ট ল্যাংডন সিরিজের দ্বিতীয় বই। বইটা হাতে পাবার পরে মনে হয়েছিলো এত মোটা বই শেষ করতে পারব তো! এই মনোভবটাই হয়ত কিছুদিন বইটা থেকে দূরে রেখেছিল আমাকে। কয়েকটা অধ্যায় পড়তেই বারবার এটা মনে হচ্ছিলো প্রথম দিন থেকেই কেন পড়লাম না। বইটা একটা রহস্যধর্মী উপন্যাস। বইয়ের শুরুতে কিছু তথ্য দেওয়া আছে সেখানে বলা আছে, ‘এই বইতে উল্লেখিত সমস্ত শিল্পকর্ম, স্থাপত্যশৈলি, দলিল-দস্তাবেজ আর গুপ্ত ধর্মিয় আচার-অনুষ্ঠানের বিবরণ কাল্পনিক নয়, একেবারেই সত্যি।‘ বইটা পড়ে দেখতে পারেন আশা করি ভালো লাগবে।
অনুবাদঃ মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন