২০১৭ সালের শেষ এর দিকের কথা। তখন আমি ইউনিভার্সিটির প্রিপারেশন নিচ্ছিলাম। প্রায়ই বিভিন্ন সাজেশন এর জন্য প্রিথি নামের একজন আপুর সাথে কথা বলতাম। আপু ছিলেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। আপুর আইডি তে প্রায়ই দেখতাম একটা আইডির কমেন্টে হালকা কথাবার্তা, একটু খুনসুটি। ভাবতাম ওটা হয়তো আপুর বফ হবে। প্রায়ই ছেলেটার টাইমলাইন ঘুরতাম আমি, কেনো সেটার কারণ জানিনা।
একদিন হঠাৎই দেখলাম সকাল নয়টায় একটা নোটিফিকেশন আসলো 'আদহাম সুলতান চৌধুরী ফাহাদ ' সেন্ট ইউ এ্য ফেন্ড রিকুয়েষ্ট। আমি তো পুরাই অবাক! কিন্তু তখন আর কিছু না করে ওভাবেই রেখে দিলাম। কিন্তু বিকাল তিনটায় কেমন যেন লাগতেছিলো এজন্য কিছু না ভেবেই একসেপ্ট করে ফেললাম!
জীবনে অনেক গল্প পড়েছি, ক্রাশকে ওয়েট করাতে গিয়ে রিকুয়েষ্ট ক্যানসেল হয়ে গেছে।
হাহা, আমি সেই রিস্কটা নিতে চাই না এজন্য আগেই একসেপ্ট করে নিলাম।
আমি সেদিনই একটা ডিপি আপ করলাম
বলাই বাহুল্য আমি সামান্য কাজল দিতাম চোখে।
লিপস্টিক দিতাম না কখনো।
খুব ই নরমাল ভাবে একদম বাচ্চাকাচ্চা ভাব তো, সে কমেন্ট করল একটু খুঁচানো টাইপ বা অপমান টাইপ।
আমি ও রাগে রিপ্লাই দিলাম, আমি আর যাই হই আপনার মত তো আর ছয় মাস এক পিক ঝুলাই রাখিনা।
সাথে সাথে আদহামের ম্যাসেজ আসলো!
বললো, আপনার সাথে আমার এড হইল আজ। আপনি কিভাবে জানলেন আমার পিক ৬ মাস ধরে এক? আমাকে ফলো করতেন?
আমি পুরাই বোকা বনে গেছিলাম তখন।
মনে মনে হাসি ও পাচ্ছিল খুব ( আমার মনে আছে আমি বারান্দায় বসে এত হাসতেছিলাম)।
মনে মনে হাসি ও পাচ্ছিল খুব ( আমার মনে আছে আমি বারান্দায় বসে এত হাসতেছিলাম)।
আমার রিপ্লাই ছিল এমন
থাক ভাইবেন না আমি ক্রাশ খাইছি আপনার উপর! আর আপনার আইডি আগেই থেকেই দেখছি প্রিথি আপুর আইডি থেকে, তাই জানি। নিজেকে কি যে ভাবেন!
ও বললো ক্রাশট্রাশ খাইয়েন না বইন। এসবে লাভ নাই। আমি আর কখনো এসবে জড়াবো না।
আমি বললাম কেনো? ছ্যাকা খাইয়া ব্যাকা হইয়া গেছেন নাকি?
তার উত্তর ছিলো জানাবো পরে।
ঠিক পরেরদিন দুপুরে কল দিয়েছিলো, কিন্তু একটা বারের জন্য ও প্রাক্তন এর কথা বলে না। আমিও আর আগ বাড়িয়ে জানতে চাইনি। এভাবেই কথা হতে থাকলো আমাদের।
আদহাম প্যারিসে থাকতো। ওরে সঙ্গে একটা সময় ভালো বন্ধুত্ব হয়ে গেলো আমার। আমার বেস্ট ফ্রেন্ড আদহাম। যে আমার অভিশপ্ত জীবনে আশীর্বাদ হয়ে এসেছিলো। সম্পর্কটা আপনি থেকে তুই এ নেমে আসলো।
অদ্ভুত একটা বিষয় হলো আদহাম আর আমার জন্মদিন একই দিনে!
২৫/০৭/১৯৯৯ আমার আর আদহামের ২৫/০৭/১৯৯৬
প্রথমে কিছুতেই বিশ্বাস করেনাই যে, একই দিনে আমাদের জন্মদিন কিন্তু যখন আমার ফ্রেন্ডরা উইশ করতেছিলো তখনই বিশ্বাস করেছে।
থাক ভাইবেন না আমি ক্রাশ খাইছি আপনার উপর! আর আপনার আইডি আগেই থেকেই দেখছি প্রিথি আপুর আইডি থেকে, তাই জানি। নিজেকে কি যে ভাবেন!
ও বললো ক্রাশট্রাশ খাইয়েন না বইন। এসবে লাভ নাই। আমি আর কখনো এসবে জড়াবো না।
আমি বললাম কেনো? ছ্যাকা খাইয়া ব্যাকা হইয়া গেছেন নাকি?
তার উত্তর ছিলো জানাবো পরে।
ঠিক পরেরদিন দুপুরে কল দিয়েছিলো, কিন্তু একটা বারের জন্য ও প্রাক্তন এর কথা বলে না। আমিও আর আগ বাড়িয়ে জানতে চাইনি। এভাবেই কথা হতে থাকলো আমাদের।
আদহাম প্যারিসে থাকতো। ওরে সঙ্গে একটা সময় ভালো বন্ধুত্ব হয়ে গেলো আমার। আমার বেস্ট ফ্রেন্ড আদহাম। যে আমার অভিশপ্ত জীবনে আশীর্বাদ হয়ে এসেছিলো। সম্পর্কটা আপনি থেকে তুই এ নেমে আসলো।
অদ্ভুত একটা বিষয় হলো আদহাম আর আমার জন্মদিন একই দিনে!
২৫/০৭/১৯৯৯ আমার আর আদহামের ২৫/০৭/১৯৯৬
প্রথমে কিছুতেই বিশ্বাস করেনাই যে, একই দিনে আমাদের জন্মদিন কিন্তু যখন আমার ফ্রেন্ডরা উইশ করতেছিলো তখনই বিশ্বাস করেছে।
আমাকে উইশ করা জন্ম দিনের ১ম ম্যাসেজটা ছিলো এমন-
"কতক্ষন ভাবছি আজকে তোর জন্মদিন
কি করবো,না করবো! কি করলে তোর ভালো লাগবে, এই এত্ত দূরত্বে থেকেও কি করে তোকে সারপ্রাইজ করা যায়।
গুগলেও সার্চ দিছি, হুদাই কত কিছু পাইছি বাট একটায় ও আমার মন ভরে নাই।
তারপর ভাবছি কোন কিছু কপি করে দিয়ে দেই, কিন্তু সেটাও ভালো লাগেনি । কারন কেনো জানি টান খুজে পাইতেছিলাম না!
"কতক্ষন ভাবছি আজকে তোর জন্মদিন
কি করবো,না করবো! কি করলে তোর ভালো লাগবে, এই এত্ত দূরত্বে থেকেও কি করে তোকে সারপ্রাইজ করা যায়।
গুগলেও সার্চ দিছি, হুদাই কত কিছু পাইছি বাট একটায় ও আমার মন ভরে নাই।
তারপর ভাবছি কোন কিছু কপি করে দিয়ে দেই, কিন্তু সেটাও ভালো লাগেনি । কারন কেনো জানি টান খুজে পাইতেছিলাম না!
জানি না কি মনে হলো, যাক নিজের ভাষাতেই কিছু লিখি। আমি জানি তুই আমাকে অনেক ভালোবাসিস, অনেক কেয়ার করিস, অনেক মিস করিস। আমার চেয়ে বেশি তুই আমার ব্যাপারে টেনশন করিস বেশি।
সত্যি কথা কি জানিস আমি ও তোরে অনেক ভালোবাসি, আর ট্রাই করি তোর কেয়ার করতে। তোকে ঠিক রাখতে, কি ভাবে তোকে সবার চেয়ে বেস্ট বানানো যায় ঐ ভাবে চলা শিখাতে।
তারপর ও তোর মত পারি না। তুই প্রতি বার নামাজে আমার জন্য এক্সটা করে নামাজ পরিস।
বিশ্বাস কর এমন কোন রাত নাই যে রাতে আমি তোর কথা ভেবে না ঘুমাই আর তোর কথা তোর এসএমএস না দেখে ঘুম থেকে উঠি।
তারপর ও তোর মত পারি না। তুই প্রতি বার নামাজে আমার জন্য এক্সটা করে নামাজ পরিস।
বিশ্বাস কর এমন কোন রাত নাই যে রাতে আমি তোর কথা ভেবে না ঘুমাই আর তোর কথা তোর এসএমএস না দেখে ঘুম থেকে উঠি।
জানিস পৃথিবীতে ২ ধরনের মানুষ আছে।
১.এরা খুব সহজেই নিজেদের মনের আবেগ, ভালোবাসা,রাগ অভিমান সব প্রকাশ করে দেয়।
২.এরা চাপা স্বভাবের হয়। কাউকে খুব ভালোবাসলে ও বলতে পারে না।নিজের আবেগ নিজের মাঝেই চেপে রাখে। রাগ প্রকাশ করে না।
আমি হলাম ২য় সারির মানুষ।
বুঝাতে পারি না কাউকেই যে আমি কেমন অনুভব করি।
জানি মাঝে মাঝে ভাবিস কেন এত বেশি বেশি তোরে নিয়া চিল্লা চিল্লি করি, আসলে তোরে নিজের ভাবি, আর নিজের জিনিসকে আমি সব সময় গুছিয়ে যত্ন করে রাখতেই বেশি পছন্দ করি।
বুঝাতে পারি না কাউকেই যে আমি কেমন অনুভব করি।
জানি মাঝে মাঝে ভাবিস কেন এত বেশি বেশি তোরে নিয়া চিল্লা চিল্লি করি, আসলে তোরে নিজের ভাবি, আর নিজের জিনিসকে আমি সব সময় গুছিয়ে যত্ন করে রাখতেই বেশি পছন্দ করি।
জানিস আমার হাতের ব্যাসলাইট টা আমার আম্মু যখন আমি সেকেন্ড ইয়ার এ উঠে আম্মুর কথা শুনে চুল কেটে আসি এর পর গিফট করে। এর পর অনেক বার এটা হারায় আমার থেকে কিন্তু প্রতি বার আমি কোন না কোন ভাবে খুজে বের করি এটাকে।অনেক বার এর জন্য অনেকের অনেক কথা শুনতে হইছে আমার।
যে একটা সাধারন জিনিসকে এত মূল্য দেয় সে তোর মত এত প্রিয় মানুষের খারাপ চাইবে না এটা বলে দিলাম।
তুই আমার লাইফের সব চেয়ে বেস্ট ফ্রেন্ড। অনেক অনেক অনেক দেরি করে ফেলছিস রে আমার লাইফে আসতে।
এই তো মাত্র একটা বার্থডে গেলো। দোয়া করি লাইফের প্রতিটা বার্থ ডে তে তুই আমার সাথে এভাবেই মিলে মিশে থাকবি।
আদহামের এই একটা মেসেজ আমাকে কি পরিমাণ খুশি করেছিলো এটা কখনো কাউকে বুঝাতে পারবোনা।
যে একটা সাধারন জিনিসকে এত মূল্য দেয় সে তোর মত এত প্রিয় মানুষের খারাপ চাইবে না এটা বলে দিলাম।
তুই আমার লাইফের সব চেয়ে বেস্ট ফ্রেন্ড। অনেক অনেক অনেক দেরি করে ফেলছিস রে আমার লাইফে আসতে।
এই তো মাত্র একটা বার্থডে গেলো। দোয়া করি লাইফের প্রতিটা বার্থ ডে তে তুই আমার সাথে এভাবেই মিলে মিশে থাকবি।
আদহামের এই একটা মেসেজ আমাকে কি পরিমাণ খুশি করেছিলো এটা কখনো কাউকে বুঝাতে পারবোনা।
(চলবে)
লেখনীঃ NI Shu (অপরিচিতা)