...এই ভিডিও দিয়ে আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করতে চায়। আমি কি করবো বুঝি নাই।
-আচ্ছা, ঠিক আছে। আমি সব কিছুই দেখবো টেনশন করার কি আছে! (আমি)
_তাহলে তুমি আমায় ক্ষমা করে দিছো?(অরু)
_ওই সব বাদ দাও। আমাকে মাফ করো। আমি বিশ্বাস করতে পারি নাই তোমাকে, তাই আঘাত করছি। (আমি)
অরু আর কিছু বলার আগেই আবির সাহেব আমাকে টেনে নিয়ে গেলো রুমের বাহিরে। মেয়েটা আবির সাহেবের কোলেই আছে এখন।
_রানা সাহেব, মাথা খারাপ হয়ে গেছে নাকি? ভাবিকে আমার সন্দেহ হয়। এত সহজে ছাড়া যাবে না। তা না হলে আমার মতো ফসকাবে!(আবির সাহেব)
_আমি ওই ছেলের ঠিকানা নিয়েই এদিক ওদিক করবো। সব সত্য বের করবো। (আমি)
_টেনশন বেড়ে যাচ্ছে। ভাবিকেই ভালো করে জিজ্ঞেস করেন আর তা না হলে পুলিশের কাছে দেন সব বের হয়ে যাবে সত্যিটা।
_মাথা খারাপ হয়ে গেছে নাকি? বউকে পুলিশের কাছে দিবো। আর আমার কিছু হলে আপনিতো আছেনই!
_বন্ধু বলেই বলতেছি। অরু ভাবিকে ভালো মনে হচ্ছে না। আর আপনার ভালোই চাই আমি। সবসময়েই পাশে থাকবো আমি। আপনি টেনশন করবেন না। (আবির সাহেব)
_ আচ্ছা! চলি আমরা বাসার দিকে।
প্রায় ঘন্টা পর আমার বাসায় চলে আসলাম। অরু শুয়েই আছে, আমি নাস্তা করতে চাও বিস্কুট দিলাম অরুকে। নাস্তা করলে তাকে ঔষধ খাইয়ে দিলাম। বিকাল হয়ে গেলো প্রায়। অরুও প্রায় সুস্থ।
রাতের খাবার খেয়ে বসে আছি। মেয়েটা ঘুমিয়ে আছে। অরু আমার পাশেই বসে টিভি দেখছে।
_ওই ছেলের বাসার ঠিকানা জানো?
_হুম, কেনো?
_সকালে যাবো তার বাসায়। আর তাকে জিজ্ঞেস করেই পুলিশের কাছে দিবো।
_এইসব করার কি দরকার। আমি বুঝিয়ে বলবো তাকে।
_তার ঠিকানা দাও!
অরু ওই ছেলের ঠিকানা দিলে আমি মোবাইলে টাইপ করে রেখে দিছি। সকালে ৯টায় যাবো অরুকে বলছি।
আমি শুয়ে থাকতে গেলাম। টেনশনে ঘুম হবে না জানি তাই ঘুমের ঔষধ খেলাম একটা। একদম নরমাল যেটা বেশি একটা ঘুম হয় না এমন।
সকালে ঘুম থেকে ডেকে দিলো অরু মোবাইলে তাকিয়ে দেখি সাড়ে ৭টা বাজে। আমি উঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করলাম। রেডি হয়ে বাসা থেকে ৯টার দিকে বের হলাম। বাসা থেকে বের নিচে নেমেই দেখি আবির সাহেব দাঁড়িয়ে আছে।
_এই যে রানা সাহেব আজ যে অন্য দিনের আগেই বের হয়ে গেলেন যে। কোথায়ও যাবেন নাকি?
_না, সময় মতোই বের হলাম তো। একটু কাজ আছে তাই যেতে হচ্ছে। আর কোন সমস্যা হলে আমাকে কল দিয়েন। বাসার দিকে দেখে রাখিয়েন। (আমি)
_টেনশন করতে হবে না। আমি আছি।
আবির সাহেব থেকে বিদায় নিয়ে চললাম সেই ছেলেটার বাসার দিকে। রাস্তার পাশ থেকে একটা সিগারেট নিয়ে টানতে টানতে রিক্সা করে ওই ছেলের বাসায় গেলাম। ভাড়া দিয়ে মোবাইল হাতে নিয়ে দেখি ৯.৩০বাজে।
আমি বাসার ভিতরে গেলাম দেখি দরজা খুলা আর বাসায় কেউ নাই।
টেবিলের উপর একটা ল্যাপটপ আছে। আমি ল্যাপটপ অন করে দেখে জ্ঞান হারানোর মতো অবস্থা। একটা পর্ন সাইট চালাতো এই ছেলে আর ওই সাইটে নাম হলো "বাঙালী নারীর হট ভিডিও"
আমি একবারে প্রথম দিকে গেলাম যা ভিডিও আপলোড করছে। আমি একটা ভিডিও অন করে নিজেকে কি বলবো বুঝতে পারতেছি না।সব গুলো দেখেও অরুর কোনটাই ফেলাম না। আমি ডিলেট করে দেওয়া চেষ্টা করলাম পারি নাই। সব সেটিং লক করা।
বাসা থেকে বের হলাম মোবাইলে তাকিয়ে দেখি তখন ১০বেজে গেছে।
আমি বাসা থেকে বের হয়ে রিক্সা করে অফিসে পৌঁছে গেলাম। ওই বাসা থেকে ১৫মিনিটেই চলে গেলাম অফিসে।
অফিসে যেতে যেতে ভাবছি কি করে এইসব হলো। অফিসে গিয়ে কিছুতেই মন বসছে না। অফিস থেকে বের হয়ে চলে আসতেছি বাসায়। হাঁটছি আর ভাবছি।
আমার বোনের ভিডিও কি করে আসলো। তাহলে কি ওর আত্মহত্যার পিছনে ওই ভিডিও দ্বায়ী।
কয়েক মাসের কথা। আমি তখন অফিস থেকে ভারতে যেতে হলো ১০দিনের জন্য। অরু একা আর মেয়েকে নিয়ে কি করে থাকবে তাই গ্রাম থেকে ছোট বোনকে নিয়ে আসলাম। মাকে বললেও সে আসে না শহরে। মাসে মাসে মায়ের জন্য টাকা দিয়ে দেই।
ছোট বোনকে রেখে গেলাম। আসার পরেরদিনই চলে গেলো সে গ্রামে আর যাওয়ার দুদিন পরই আত্মহত্যা করে মারা গেছে। আর লিখে গেছে মৃত্যুর জন্য কেউ দ্বায়ী না তাই আমি আর থানা পুলিশ করলাম না। মা এখনো ছোট ভাইকে নিয়ে থাকে গ্রামে।
এইসব ভাবতে ভাবতে বাসায় চলে আসলাম। এসে ফ্রেশ হয়ে মেয়েকে নিয়ে খেলা করতেছি।
তখনই পুলিশ এসে হাজির আমার বাসার দরজায়। দরজা খুলে দিলাম।
_ রানা সাহেব আপনাকে মন্টুকে খুনের দ্বায়ে আমাদের সাথে যেতে হবে। (পুলিশ)
_মন্টুকে আমি খুন করতে যাবো কেন?(আমি)
_আপনার বোনের অশ্লীল ছবি বের করায়। আর তাকে খুন করছেন। আমরা সেই ঘরে একটা পেনড্রাইব পেয়েছি। সেটায় আপনার বোনের ছবি আছে। (পুলিশ)
আমি মোবাইল নিয়ে আবির সাহেবকে কল দিলাম। আর বলে দেই পুলিশ আমাকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। পুলিশ আমাকে নিয়ে থানায় চললো।
অরুর ভিতর কোন আগ্রহ দেখলাম না। মনে হচ্ছে আমাকে নিয়ে যাচ্ছে সে খুশী অনেক। আমাকে থানায় নিয়ে জেলে রাখা হলো। কিছুক্ষন পরই আবির এসে হাজির।
_রানা সাহেব, কি হয়েছে আপনার? (আবির সাহেব)
_ জানি না। সেই ব্লাকমেইলারের খুনের জন্য নিয়ে আসছে।
_কতবার বললাম অরুকে এত সোজা ভাববেন না। আর সকালে যখন যাচ্ছে আমাকে নিয়ে গেলেও পারতেন।
_ভুলটা সেখাই করছি। সকালে আপনাকে না নিয়ে গিয়ে। এখন বের হওয়ার ব্যাবস্থা করেন। অনেক বড় রহস্য লুকিয়ে আছে।
_মানে?
_ আসলে কয়েকমাস আগে যে বোন আসলো মনে আছে না। সেই বোনও আত্মহত্যা করছে কারন জেনে গেছি তার কাছে ভিডিও আছে বোনের।
_কি? আর এজন্য মেরে দিলেন তাকে।
_না, আমি যখন বাসায় গেছি গিয়ে ল্যাপটপে দেখছি তবে কাউকে দেখি নাই। যখন পুলিশ গেছে সেখানে ল্যাপটপ নাই। কোন না কোন রহস্য আছেই (আমি)
_চিন্তা করার দরকার নাই। শহরের সবচেয়ে বড় উকিল আমার বন্ধু। তাকে দিয়েই বের করে নিবোই। আমি আবির থাকতে কে আটকে রাখে দেখবো।
আবির সাহেবের মতো বন্ধু পেয়ে আমি ভাগ্যমান। আবির সাহেব চলে গেলো থানা থেকে। পরেরদিনই আমাকে আদালতে নেওয়া হলো। অরুও চলে আসছে, আবির সাহেবও।
বিচারের কাজ শুরু হলো।
_এই রানা একজন খুনী যে নিজের বোনকে যারা আত্মহত্যা করতে বাধ্য করছে তাকেই মেরে দিছে। রানা কোন কিছু না ভেবেই বউকে যেভাবে মারছে তাকে এই খুনের বিচার হওয়া দরকার। (বিপক্ষে উকিল)
_রানা যে খুন করছে তা প্রমান করেন তার পরই মেনে নেবো সে খুনী (আমার উকিল)
_আচ্ছা সকাল৮.৩০ মিনিটে সে বাসা থেকে বের হয়েছে। ৯টায় সেই ঘরে পৌঁছে। আর খুন করে ল্যাপটব নিয়ে বের হয়ে অফিসে যায় ৯.৪৫মিনিটে।
_আমি অফিসে যখন গিয়েছি তখন ১০.১৫বাজে ৩০মিনিট আগে নয়। (আমি)
_আর খুন হয় ৯-৯.৩০মিনিটের ভিতর। সব কিছু এটাই প্রমান করে রানাই খুনি। অফিসে পৌছানোর সিসিটিভির ফুটেজ দেখেই বুঝা যাবে কার কথা সত্য। (বিপক্ষের উকিল)
_সব মানলাম অফিসে দেরিতে যেতেই পারে। বাসা থেকে দেরিতে বের হয়েছে। (আমার উকিল)
_তাহলে এটার প্রমান করে দেই আবির সাহেবকে এনে। (বিপক্ষে)
_আবির সাহেব আসেন। (বিচারক)
আবির সাহেব আসলো কাঠগড়ায়।
_সেই দিন রানা সাহেব তো সাড়ে আট'টার দিকে বের হয়ে গেছে তাই না? (বিপক্ষের উকিল)
_জ্বি, এটাও হতে পারে সে অন্য জায়গায় গেছে তাকে মারতে নয় (আবির)
_যা বলি তা বলেন। তার আগের দিন অরুকে অনেক মারছে কিনা ওই ছেলেকে নিয়ে। যা আপনিও দেখে পার্কে দুজন একসাথে। রানার এইসব কথা তার স্ত্রীই বলছে আমাকে। (বিপক্ষের উকিল)
_আবির আর কিছু বললো না। তাকে যেতে দিয়ে ডেকে আনলো অরুকে। আমার উকিল। অরু আসলো।
_অরু, আপনার কি পরকীয়া ছিলো মন্টুর সাথে?(আমার উকিল)
_না, কিন্তু ও আমার ভাই ছিলো। রানা অযথা সন্দেহ করে। তার বোনের ব্যাপারে কিছুই জানি না। (অরু)
_তার মানে আপনে বলতে চায় রানাই খুন করছে।? (আমার উকিল)
_ জ্বি, যে সন্দেহ করে আমাকে এমন করে মারতে পারে সে বোনের জন্য খুন করতেই পারে। (অরু)
আমার উকিল নানান প্রশ্ন করেই যাচ্ছে। আমি ভাবছি আমি বাসা থেকে বের হলাম ৯টায় মোবূইলে টাইম ঠিক ছিলো। সবাই বলে বের হয়েছি সাড়ে আট'টায় । তাহলে আমার মোবাইলের সময়টা পাল্টে দিছে কেউ। এটা অরু করতে পারে না। তাকে আমি অনেক বিশ্বাস করি।
নানান কথা বলে অরুকে চলে যেতে বললো। আমার উকিল মামলার জন্য আরো দুদিন সময় চেয়ে নিলো বিচারকের কাছে।
আমাকে আটকে রাখা হলো জেলে। পরেরদিন জেলে আসলো অরু। হাতে কিছু কাগজ নিয়ে। আবির তখন আমার সাথে দেখা করতে সেখানে উপস্থিত ছিলো।
_এই কাগজ গুলোতে সাক্ষর করে দাও। (অরু)
_ কিসের কাগজ বলে আমি কাগজ গুলো হাতে নিলাম। দেখি ডিভোর্সের কাগজ সব।
_মানে কি অরু(আমি)
_মানে তুমি তো আর বের হতে পারবে না। ফাসি হবেই। আর একটা কথা আমার কোন ভিডিও ছিলো না। মিথ্যা বলেছিলাম। আমার নগ্ন ছবি কোথায় পাবে৷ (অরু)
_রানা আমি আগেই বলেছি এই মেয়ে ভালো না (আবির)
_তুই পারলে বাঁচা তোর বন্ধুকে। আর এই নে মেয়েটাকে দেখেই রাখ। (অরু)
_আমি সব কিছুর প্রতিশোধ নেবো। (আমি)
_আগে তো পারলে বের হ। তারপর দেখিস। জেলের ভিতর কিছু নগ্ন ছবি আর ভিডিও দিয়ে যাবো আমার। তা দেখেই সারা জীবন কাটাইস। (অরু)
আবির বলে, আমি আছি তোকে বের করবোই বন্ধু আর......
চলবে...
Writer:- সোলাইমান রানা
-আচ্ছা, ঠিক আছে। আমি সব কিছুই দেখবো টেনশন করার কি আছে! (আমি)
_ওই সব বাদ দাও। আমাকে মাফ করো। আমি বিশ্বাস করতে পারি নাই তোমাকে, তাই আঘাত করছি। (আমি)
_ওই ছেলের বাসার ঠিকানা জানো?
_হুম, কেনো?
_সকালে যাবো তার বাসায়। আর তাকে জিজ্ঞেস করেই পুলিশের কাছে দিবো।
_এইসব করার কি দরকার। আমি বুঝিয়ে বলবো তাকে।
_তার ঠিকানা দাও!
আমি শুয়ে থাকতে গেলাম। টেনশনে ঘুম হবে না জানি তাই ঘুমের ঔষধ খেলাম একটা। একদম নরমাল যেটা বেশি একটা ঘুম হয় না এমন।
আমি বাসার ভিতরে গেলাম দেখি দরজা খুলা আর বাসায় কেউ নাই।
টেবিলের উপর একটা ল্যাপটপ আছে। আমি ল্যাপটপ অন করে দেখে জ্ঞান হারানোর মতো অবস্থা। একটা পর্ন সাইট চালাতো এই ছেলে আর ওই সাইটে নাম হলো "বাঙালী নারীর হট ভিডিও"
আমার বোনের ভিডিও কি করে আসলো। তাহলে কি ওর আত্মহত্যার পিছনে ওই ভিডিও দ্বায়ী।
কয়েক মাসের কথা। আমি তখন অফিস থেকে ভারতে যেতে হলো ১০দিনের জন্য। অরু একা আর মেয়েকে নিয়ে কি করে থাকবে তাই গ্রাম থেকে ছোট বোনকে নিয়ে আসলাম। মাকে বললেও সে আসে না শহরে। মাসে মাসে মায়ের জন্য টাকা দিয়ে দেই।
ছোট বোনকে রেখে গেলাম। আসার পরেরদিনই চলে গেলো সে গ্রামে আর যাওয়ার দুদিন পরই আত্মহত্যা করে মারা গেছে। আর লিখে গেছে মৃত্যুর জন্য কেউ দ্বায়ী না তাই আমি আর থানা পুলিশ করলাম না। মা এখনো ছোট ভাইকে নিয়ে থাকে গ্রামে।
তখনই পুলিশ এসে হাজির আমার বাসার দরজায়। দরজা খুলে দিলাম।
_ জানি না। সেই ব্লাকমেইলারের খুনের জন্য নিয়ে আসছে।
_কতবার বললাম অরুকে এত সোজা ভাববেন না। আর সকালে যখন যাচ্ছে আমাকে নিয়ে গেলেও পারতেন।
_ভুলটা সেখাই করছি। সকালে আপনাকে না নিয়ে গিয়ে। এখন বের হওয়ার ব্যাবস্থা করেন। অনেক বড় রহস্য লুকিয়ে আছে।
_না, আমি যখন বাসায় গেছি গিয়ে ল্যাপটপে দেখছি তবে কাউকে দেখি নাই। যখন পুলিশ গেছে সেখানে ল্যাপটপ নাই। কোন না কোন রহস্য আছেই (আমি)
বিচারের কাজ শুরু হলো।
_জ্বি, এটাও হতে পারে সে অন্য জায়গায় গেছে তাকে মারতে নয় (আবির)
_ কিসের কাগজ বলে আমি কাগজ গুলো হাতে নিলাম। দেখি ডিভোর্সের কাগজ সব।
_মানে কি অরু(আমি)