> ভালবাসাকে দিলাম ছুটি সূচনা পর্ব
-->

ভালবাসাকে দিলাম ছুটি সূচনা পর্ব


বাবা আমার সাথে এমনটা কেন করল মা ? আমার মত একটা ছেলের সাথে কিনা এই গাইয়া মেয়েটা!! আমি জাস্ট ভাবতে পারছি না মা। কথাটা বলেই ঘন ঘন নিশ্বাস ফেলছে আরহাম।
মনোয়ারা বেগম কি বলবেন বুঝতে পারছেন না। তিনি নিজেও স্বামীর এমন আচরনে বিস্মিত। তার স্বামী কি করে এমন একটা ছেলেমানুষের মতো কাজ করতে পারে তা তিনি বুঝে পাচ্ছেন না। তাদের স্টাটাস বলে তো একটা কথা আছে। কিন্তু কিছু করার নেই, উনি উনার স্বামীকে খুব সম্মান করেন এবং কিছুটা ভয়ও পান। তাই স্বামী মুখের উপর কথা বলার সাহস তার নাই। আর এটাও জানেন তার স্বামী যখন এই কাজটা করেছে তখন কিছু ভেবে নিশ্চয় করেছে। তার নিজের স্বামী উপর যথেষ্ট ভরসা আছে। কিন্তু তাই বলে ছেলেটার জীবন এভাবে,,,,,
মনোয়ারা বেগমও একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে ছেলেকে বুঝাতে চেষ্টা করলেন যেন সে তার বাবার উপর একটু ভরসা রাখে।
- দেখ বাবা, তোর বাবা যখন এতো বড় একটা কাজ করেছেন তখন কিছু বুঝে নিশ্চই করেছেন। একটু অপেক্ষা কর দেখ তোর বাবা কি বলে। এতো হুট হাট মেজাজ খারাপ করিস না।
-হুট হাট কোথায় মা, তুমি ভাবতে পারছ বাবা কি করেছে। আমাকে গ্রাম দেখার নাম করে গ্রামে এনে তার বন্ধুর মেয়ের সাথে ধরে বেধে বিয়ে দিয়ে দিছে। আর তুমি বলছ হুট হাট রাগ করছি।
- আমি বুঝতে পারছি বাবা। কিন্তু তোর বাবার বন্ধুর দিকটা একবার ভেবে দেখ। তিনি কন্যা দ্বায়গ্রস্থ পিতা। তার উপর আবার অসুস্থ। আজ আছে কাল নেয়। তাই মেয়েটার একটা হিল্লে,,
- তাই বলে আমাকে কেন বিয়ে করতে হবে মা। বাবা বলত প্রচুর টাকা দিয়ে আমি নিজে তার বিয়ে দিয়ে দিতাম কোন পাত্র দেখে। কিন্তু এ মেয়েকে নিয়ে আমার সংসার করা সম্ভব নয়।
মনোয়ারা বেগমকে কথা বলতে না দিয়ে কথাগুলো বলে উঠল আরহাম। গ্রামের একটা মেয়ে স্কুল টপকিয়েছে কিনা সন্দেহ তার মতো একটা গ্রাজুয়েটেড ছেলে সাথে কোন দিক দিয়েই যায় না। কোথায় আরহাম বিয়ে করবে কোন উচ্চ শিক্ষিতা গ্রাজুয়েটেড মেয়েকে যাকে নিয়ে সোসাইটিতে যেখানে খুশি নিয়ে যেতে পারবে কোন দ্বিধা হবে না। আর এই মেয়েকে নিয়ে তো ঘর থেকে বের হতেই পারবে না,,, আর ভাবতে পারছে আরহাম। হিস হিস করে কয়েকটা নিশ্বাস ফেলে আবার বলতে শুরু করল,,,
- কি আছে এ মেয়ের আরহাম তাজওয়ার এর পাশে দাড়ানোর মতো। না আছে শিক্ষা না আছে চাল চলনের কোন ঠিক। রুপ যা একটু আছে কিন্তু তা দিয়ে কি আর সোসায়টিতে চলা যাবে?
এবার আরহামের ভাবী নাহুরা কথা বলে উঠলেন। বেশ অনেকদিন হয়েছে তার বিয়ের, শশুড় বাড়ির লোকজন তার বেশ ভাল। আর আরহামকে তিনি নিজের ছোট ভাইয়ের চোখে দেখেন। আরহামও তাকে ভাবী না বোনের চোখেই দেখে। তাদের সখ্যতাও প্রচুর।
- দেখ মেয়েটার রুপ নিয়ে কোন কথা বলবি না। মেয়েটা যথেষ্ট সুন্দরী আছে। এসব গ্রামের বেশভূষাতে আছে তাই, কিন্তু তাকে সুন্দর করে সাজালে বা সুন্দর পোষাক পড়ালে কোন প্রিন্সেস এর থেকে কোন অংশে কম লাগবে না।
আরহাম তার ভাবীর দিকে তাকিয়ে আরও কয়েকটা নিশ্বাস ফেলল। এই সময়ে ভাবীর এই সব কথা তার কাছে বেশ রসিকতা মনে হচ্ছে। কিন্তু এখন তার রসিকতা করার মোটেও কোন ইচ্ছা নেয়।
মুখ খুলে আরও কিছু বলবে এমন সময় হঠাৎ করে তৃতির পাড়াতো সম্পর্কের বোন আর ভাবীরা এসে আরহামকে টানাটানি শুরু করল। আরহাম এসব টানাটানির কোন কারনই খুজে পেল না। করুন মুখ করে মায়ের দিকে তাকাতেই মনোয়ারা বেগম ওদের জিজ্ঞাসা করলেন তারা আরহামকে কোথায় নিতে চায়। তারা বেশ রসিয়ে রসিয়ে বলল যে, তৃতি অপেক্ষা করছে আর বেশ কিছু আচার অনুষ্ঠানও বাকী আছে। হুট করে বিয়েটা হয়ে যাওয়াতে তো কোন আচার আনুষ্ঠান পালন করা হয় নি এখন যেটুকু বাকী আছে তা তারা হাত ছাড়া করতে চায় না।
আরহাম বেশ বিরক্তি নিয়ে বলল, এসবের কোন দরকার নেয়। বিয়ে হয়েছে ব্যাস, আর কোন আচার অনুষ্ঠানের কোন দরকার নাই।
কিন্তু তারা ছাড়বেন কেন। তৃতি তাদের বেশ আদরের তাই তার বিয়ে নিয়ে কিছু তো শখ আহ্লাদ তাদের ছিল সেগুলো না মিটিয়ে তো তারা কিছুেই ছাড়বে না। আরহাম না যেতে চাইলেও ওর মা ইশারায় আপাতত চুপ থাকতে বলল, বিষয়টা পড়ে দেখা যাবে। অগত্যা আরহাম তাদের সাথে যেতে বাধ্য হল। কিন্তু নহুরাকে বেশ উৎফুল্ল ভাবে তাদের সাথে যেতে দেখা গেল। সে বেশ লাফিয়ে লাফিয়ে তাদের সাথে চলে গেল, একবারও শাশুড়ীর অনুমতি নেবারও প্রয়োজন মনে করল না। যায় হোক একমাত্র দেবরের বিয়ে বলে কথা। তারও তো শখ আহ্লাদ কিছু কম ছিল না। এভাবে হওয়াতে সেও কিছুটা মনোক্ষুন্ন হয়েছে কিন্তু যেকুটু বাকী তা হেলায় হারানো তো বুদ্ধিমানের কাজ না। আরও একটা বিশেষ কারন হচ্ছে সে কখনও গ্রামের বিয়ে দেখে নি সেটা দেখারও সৌভাগ্য হয়ে গেল।
আরহাম তাজওয়ার, আশফাক তাজওয়ারের সর্ব কনিষ্ঠ পুত্র। তারা অবশ্য তিন ভাই বোন। বড় ভায়ের নাম আবরার তাজওয়ার আর বোনের নাম ইবনীহা তাজওয়ার। আবরার একটা মাল্টিন্যাসনাল কম্পানিতে জব করে। তার বউয়ের নাম নাহুরা তাজওয়ার, তাদের একটি তিন বছরের মেয়ে আছে অদ্রিতা তাজওয়ার । ইবনীহা সবার ছোট এবার ইন্টারে পড়ে এবং আরহাম মেজ।
ছোট থেকেই আরহাম তুখোড় মেধার অধিকারী ছিল । নানা জায়গা থেকে অসংখ্য ট্রফি এবং সম্মাননা সে অর্জন করেছে। তবে তার সবচেয়ে বড় অর্জন হচ্ছে ক্যালিফোর্নিয়াতে স্কলারশিপ পাওয়া। সেখান থেকে গ্রাজুয়েশন এবং পোস্ট গ্রাজুয়েশন শেষ করে দেশে ফিরেছে কিছুদিন হল। সেখানে ভাল চাকুরির অফার পেলেও বাবার কড়া নির্দেশে দেশে আসতে বাধ্য হয় সে। এখন দেশেও মোটামোটি চাকরি বাজার ভাল তাই খুব একটা আফসোস তার ছিল না। সবথেকে বড় বিষয় বাবা মার সাথে থাকতে পারবে , পরিবারে সাথে ঘনিষ্ঠ কিছু সময় কাটাতে পারবে এ আর কম কিসে।
আরহাম বেশ পড়ুয়া এবং ক্যারিয়ার সচেতন হলেও পরিবারের প্রতি তার টান প্রবল। ছোট থেকে পড়াশোনার পাশাপাশি সে তার পরিবারকে সময় দিত সমানভাবে । ভাইবোনদের সাথেও তাদের বেশ ভাব কেউ দেখলে বুঝতেই পারবে না তারা এতোগুলো দিন তারা একে অপরের থেকে এতো দুরে ছিল।
দেশে ফেরার পর ঢাকা শহরের মতো আবদ্ধ জায়গাটাতে বন্দি ছিল সে। একটু খোলা আকাশের নিচে নিশ্বাস নেওয়াটা খুব জরুরী ছিল। এমনিতেই ছোট বেলা থেকেই পড়াশোনা নিয়ে তার একদন্ড দম ফেলার সময়টুকুও ছিল না। তাই ঘোরাঘুরি করাটা তার ঠিক হয়ে উঠে নি। ঠিক এমন সময় আশফাক তাজওয়ার প্রস্তাব দেন গ্রামে তার বন্ধুর বাসায় ঘুরতে যাওয়ার। সবাই প্রস্তাবটাকে লুফে নেয়। আরহামের ও একটু খোলা আকাশের প্রয়োজন ছিল। আর গ্রামে খোলা আকাশের অভাব নেই তাই সে ও এক কথায় রাজী হয়ে যায়।
কিন্তু বিপত্তি হয় গ্রামে এসে। এর আগে তাদের ফ্যামিলির কেউ গ্রামে আসে নি তাই গ্রামের পরিবেশে মানিয়ে নিতে কষ্ট হয় প্রচুর। গ্রামে ঠিকমতে কারেন্ট থাকে না। তার উপর রেজওয়ান সাহেবের বাসাটা মাটি দিয়ে ইট গেথে বানানো, একদম সেকেলে ধরনের। গ্রামে অবশ্য এসব বাড়ি দেখা যায় কিন্তু শহরে তার অস্তিত্ব পর্যন্ত খুজে পাওয়া ভার।
রেজওয়ান সাহেব একসময় গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। তিনি ছোট থেকেই সততাকে বুকে ধারন করে বড় হয়েছেন। তাই তার সমবয়সী বন্ধুবান্ধবরা বেশ উন্নতি করলেও তিনি দুবেলা দুমুঠো খাবারের জোগার ছাড়া আর কিছুই করতে পারেন নি। রিটায়ার করার পর পেনশনের যা টাকা পেয়েছিলেন তা দিয়েই তার চলে যায় কোন মতে।
আশফাক সাহেব গ্রামে এসে বন্ধুর এমন করুন অবস্থা দেখে মনে বেশ কষ্ট পান। তার জন্য কিছু করার জন্য মনটা বেশ উতলা হয়ে উঠেছিল কিন্তু তার বন্ধু সামনাসামনি কোন সাহায্য নিতে নারাজ। তাই তো অনেক ভেবে নিজের ছোট ছেলের সাথে বন্ধুর একমাত্র মেয়ের বিয়ে দেওয়ার সিধান্ত নেন। যদিও রেজওয়ান সাহেব এতে রাজী ছিল না কিন্তু তিনি মোটামুটি ইমোসনাল ব্লাকমেইল করে তাকে রাজী করিয়েছেন।
তারপর আজ সকালে হুট করেই কাজী ডেকে বিয়ে দিয়ে দেন তার ছেলের সাথে। এবিষয়ে আরহাম কিংবা তার মা ঘুনাক্ষরেও টের পায় নি। পাইলে হয়তো এ বিয়ে তারা হতে দিত না। তিনি হয়তো পারতেন ভাল পাত্র দেখে বন্ধুর মেয়ে বিয়ে ধুমধাম করে দিতে কিন্তু তার মনে হয়েছিল তার ছেলের সাথে বিয়ে দিলে মেয়েটার সুখ এবং বন্ধুর মুখের হাসি সবটা তিনি কাছ থেকে দেখতে পারবেন তাই এমন সিধান্ত নিয়েছেন। তিনি এও জানেন তার ছেলে প্রথমে এই বিয়েটা কিছুতেই মেনে নেবে না কিন্তু তার কথা অমান্য করতে পারবে না। একসাথে থাকতে থাকতে ধীরে ধীরে সব ঠিক হয়ে যাবে একসময়।
মেয়ে হিসেবে তৃতি একেবারে খাসা। যেমন গায়ের রং তেমন তার ব্যবহার। এখনকার শহুরে মেয়েদের মধ্যে এখন সম্মান বিষয়টা উঠে গেছে, বড়দের তারা নিজেদের জীবনে কোন গুরুত্ব দিতে চায় না। কিন্তু এ দিক দিয়ে এ মেয়ে একে বারে আলাদা। বড়দের জন্য তার রয়েছে অগাধ সম্মান আর বুকভরা ভালবাসা। অবশ্য তার বড় ছেলের বউটাও কম যায় না। তাকেও অনেক খুজে বেশ যাচায় বাছায় করে তবে ঘরে এনেছিলেন। এ দিক দিয়ে এ মেয়ের কোন তুলনা হয় না। আর তৃতির তার বাবার প্রতি শ্রদ্ধাও আশফাক সাহেবকে মোহিত করেছে। এ মেয়ে যেন বাবার এক আদেশে মরতেও পারে। এমন মেয়েকে তিনি হাতছাড়া করতে চান নি। এ মেয়ের সাথে বিয়ে দিয়ে তিনি নিশ্চিন্তে থাকতে পারবেন যে তার ছেলে সুখি হবে। এ মেয়ের সাথে কেউ খারাপ থাকতে পারে না কারন সে নিজের আগে তার আশেপাশের মানুষজনের কথা ভাবে। এমন মেয়ের সাথে সুখি না থেকে পারা যায়।
বর্তমানে~
আরহামকে তৃতির বোন ও ভাবীরা এনে একটা ঘরে বসিয়ে দিয়ে যায়। পাশে মাথা নিচু করে বসে আছে তৃতি। অন্য সময় হলে হয়তো সে তৃতিকে খানিকটা সময় পর্যবেক্ষণ করে দেখত কিন্তু এই মুহু্র্তে মেয়েটাকে তার খুব বিরক্ত লাগছে। মনে হচ্ছে সব কিছুর জন্য এই মেয়েটাই দায়ী। আরহাম একবার তৃতির দিকে তাকিয়ে আবার মুখ ঘুরিয়ে নেয়। তার হঠাৎ করে ফিয়ানার কথা খুব করে মনে পড়ছে।
ফিয়ানা ফির‍্যালের সাথে আরহামের প্রথম দেখা হয়েছিল ভার্সিটিতে। মেয়েটা অত্যধিক মিশুক আর সাদা মনের। সেও বাংলাদেশী বংসভুত কিন্তু তার মা অ্যামেরিকান আর তার জন্ম এবং বেড়ে ওঠা পুরোটাই সে দেশেই। কিন্তু সে স্পষ্ট বাংলা বলতে পারে এবং বাংলাদেশী মানুষের প্রতি তার প্রবল টান। হয়তো নিজের দেশের মানুষ তাই। আরহামের সাথে প্রথম বন্ধুত্ব হওয়ার কারন হয়তো আরহাম বাংলাদেশী ছিল তাই। না হলে এমন দুর দেশের একটা মেয়ে কেন যেচে আরহামের সাথে বন্ধুত্ব করতে আসবে।
আরহাম তখন সদ্য দেশ ছেড়ে বাবা মা ভাই বোন ছেড়ে সম্পূর্ণ অপরিচিত একটা দেশে একা। এসময় যেন বট বৃক্ষের ন্যায় দেখা হয় ফিয়ানার সাথে। অপরিচিত একটা দেশে সব সমস্যা একছত্র সমাধান হয়ে ওঠে ফিয়ানা। শুধু ভাল ফ্রেন্ড না তার থেকেও হয়তো বেশী কিছু হয়ে ওঠে ফিয়ানা আরহামে। সে সময়টা আরহাম ফিয়ানা ছাড়া কিছুই করতে পারত না। সেই অথৈ সাগড় থেকে আরহামকে টেনে তুলে নতুন করে বাচতে শিখিয়েছিল সেই মেয়েটা।
আশেপাশে কিছু হাসির আওয়াজে আরহাম ভাবনার জগৎ থেকে বেড়িয়ে আসে। সে দেখে তাদের আশেপাশে বেশ কিছু মানুষ অবস্থান নিয়েছে, যারা তাকে ধরে এনেছিল তাদেরই বেশী দেখা যাচ্ছে। এর ফাকে নহুরাও কখন এসে সেখানে বসেছে তা আরহাম খেয়াল করে নি। হঠাৎ কোথায় থেকে যেন অদ্রি দৌড়ে এসে বাবা বাবা বলে লাফিয়ে উঠল আরহামের কোলে। আরহাম অদ্রিকে কোলে বসিয়ে চুপচাপ বসে রইলো। আর অদ্রি হা করে তাকিয়ে আছে আরহামের পাশে বসা তৃতির দিকে। সে মুগ্ধ হয়ে নতুন বউকে দেখছে। মাঝে একবার আরহামের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করেছে, বাবা এটা কে? আরহামের থেকে কোন উত্তর না পেয়ে সে আবার বউ দেখতে ব্যস্ত হয়ে পড়ল।
মহিলা গুলো কিছু একটা বলছে আর বারবার হেসে হেসে গড়িয়ে পড়ছে আর আরহামের পাশে বসা তৃতি মেয়েটা বেশ লজ্জা পাচ্ছে। কিন্তু উনারা কি বিষয়ে কথা বলছে তা আরহাম জানে না, জানার কোন আগ্রহ নেয় তার। প্রথম দিকে আসার পর তৃতি মেয়েটাকে তার বেশ ভালো লেগেছিল। তার তৃতির জন্য কষ্টও হয়েছিল এমন গ্রাম্য জীবন মেয়েটা সত্যি বেশ সুন্দরী। তার একটা সুন্দর জীবন হতে পারত কিন্তু এভাবে অভাবের সাথে লড়ায় করে বেচে আছে। তার তৃতির জন্য কিছু করতে মন চাইছিল। কিন্তু তাই বলে তার এটা কখনো মনে হয় নি যে সে তৃতিকে বিয়ে করবে। সে কখনও মেয়েটাকে সে চোখে দেখেই নি। কিন্তু তার বাবাটা এটা কি করল তা আরহাম এখনও ভাবতে পারছে না।
আরহাম যেন এক অন্য জগতে বাস করছে তাকে দিয়ে সেই ভাবী সম্পর্কের মানুষগুলো নানা আচার পালন করাচ্ছেন আর আরহাম অসাড়ের মতো সব করে যাচ্ছে। সে কি করছে কেন করছে তাতে তার কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। সে শুধু একটু আগে ঘটে যাওয়া ঘটনাটার বর্ণনা খুজতে ব্যস্ত।
চলবে,,.

Writer:- জাকিয়া সুলতানা
 

Delivered by FeedBurner

a